💖 স্বপ্নের প্রেয়সী 💖
Part – 23
________________________
বই নিয়ে বসে আছি।
মেজাজ গরম হয়ে আছে ।
কি আজব মাত্র হসপিটাল থেকে রিলিজ পেলাম ।
আর ওনি আমাকে বই নিয়ে বসিয়ে দিলেন।
আজবববব এর থেকে আজব।
এই লোকটা আমাকে পাবনা পাঠানোর জন্য পাগল হয়ে গেছে।
উফফফ আর পারি না।
______________
ফারহান ভাইয়া তখন আমার বই ঘাটছিলেন।
আসলে 2 মাস বাদেই তো পরীক্ষা।
বেশ অনেকটা ক্ষতি হয়ে গেছে।
আমি স্থির হয়ে দাড়িয়ে আছি।
ফারহান ভাইয়া আমাকে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে বললেন
– কি হলো ?
এভাবে দাড়িয়ে আছিস কেন ?
আমি কিছু বললাম না দেখে ফারহান ভাইয়া ব্রু কুঁচকে তাকালেন।
আর তখনি রিফাত ভাইয়া এসে ফারহান ভাইয়ার পিঠ চাপরে বলল
– আরের পরে পড়াতে বসাইস।
এখন তো আর অন্য কোথাও যাচ্ছিস না।
সো নো টেনশন
রিফাত ভাইয়ার
শেষের কথাটা আমার বোধগম্য হলো না।
তখনি বড় মা লান্স করার জন্য ডাকলেন।
ফারহান ভাইয়া আর রিফাত ভাইয়া চলে গেলেন।
আর আমি বোকা বনে গেলাম।
কিছুক্ষণ পর আবার বড় মা ডাক দিলেন।
আমি চুপচাপ ডাইনিং এ গিয়ে বসলাম।
কোনো দিকে না তাকিয়ে ভাবলেশহীনভাবে খাচ্ছি।
খাওয়া শেষে সবার সাথে বসে আছি।
আব্বু বললেন
– তো আমরা 7 দিন বাদে ঢাকা যাচ্ছি?
আমি অবাক হয়ে রইলাম।
পরে আব্বু বললেন যে আমার পরীক্ষার আগেই চাচ্চুর বিয়ে সারতে চান।
বেচারাদের আর কতো অপেক্ষা করাবে।
এটাই ঠিক হলো যে সাত দিনে আমি সুস্থ হয়ে যাবো আর তারপর সোজা ঢাকা যাবো।
বাহহহ বেশ মজা হবে আমি এই দুটো বছরে একটি বারের জন্য ও ঢাকা যাই নি।
সবাই গেছে শুধু আমি বাদে।
পুরনো স্মৃতি গুলো র কথা ভাবতেই গা শিউরে উঠলো।
বেশ মজা হবে উফফফ ভাবতেই পারছি না আমি।
_________________
রিফাত ভাইয়ার রুমে ফারহান ভাইয়া আর আরিফ চাচ্চু র রুমে রাজিব চাচ্চু থাকবেন।
আর মনি আন্টি আর মনিকা আপু একসাথে থাকবে।
যদি ও আমি মনিকা আপু কে আমার সাথে থাকতে বলেছিলাম।
কিন্তু মনিকা আপু বলল
– তুই অসুস্থ ।
তোর একটু স্পেস দরকার ।
আমি আর কিছু বললাম না।
তবে বেশ ভালো ই হলো এই কয়েকটা দিন সবার সাথে বেশ আড্ডা হবে।
কিন্তু পরক্ষণেই মুখ গোমড়া হয়ে গেল।
ফারহান ভাইয়া ও তো থাকবে এই লোকটা কি আমাকে মজা করতে দিবেন।
পারলে আমাকে বেধে রাখবে ধ্যাত।
রুমে ঢুকেই সোজা চিটপটাং হয়ে শুয়ে পরলাম।
কিছুক্ষণ পর ফারহান ভাইয়া রুমে ঢুকলেন ।
ওনাকে দেখেই হুমরি খেয়ে পরলাম ।
তাড়াতাড়ি উঠে ওড়না পেঁচিয়ে নিলাম।
ফারহান ভাইয়া আমাকে অপ্রস্তুত হতে দেখে ঘুরে দাড়িয়ে বুক স্লেফ থেকে বই ঘাটতে লাগলেন।
কিছুক্ষণ পর এতো গুলো বই নামিয়ে মার্ক করে দিলেন কি কি পড়তে হবে।
ফারহান ভাইয়ার ডাকে হুস ফিরল।
ফারহান ভাইয়া বলল
– এতো কি ভাবছিস ?
মনে হচ্ছে গবেষণা করতে বসেছিস।
তাড়াতাড়ি ফিনিস কর।
ওনার কথা মতো বইয়ের মধ্যে মুখ গুঁজে দিলাম।
বেশ কিছুক্ষণ পর হঠাৎ করে আমি দৌড়ে ব্যালকনিতে গেলাম।
ব্যালকনিতে গিয়ে থম মেরে গেলাম।
ফারহান ভাইয়া আমাকে এভাবে দৌড়াতে দেখে ব্যস্ত পায়ে ব্যালকনিতে গেলেন।
তারপর আমাকে ডাকলেন
– ফারাবি? এই ফারাবি কি হয়েছে কি?
আমার সাড়া না পেয়ে ওনি আমাকে নিজের দিকে ঘুড়িয়ে নিলেন।
আমার দিকে তাকিয়ে উনি ও স্তব্ধ হয়ে গেলেন ।
আমি ছলছল চোখে ওনার দিকে তাকিয়ে আছি।
মনে হচ্ছে এখনি চোখ থেকে পানি টপটপ করে পরবে।
ফারহান ভাইয়া আমাকে দেখে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছেন।
ওনি বোধহয় বোঝার চেষ্টা করছেন কেন আমি কাঁদছি।
ফারহান ভাইয়া আমার চোখের কুর্নিশ থেকে পানি মুছে দিয়ে বললেন
– ফারাবি কি হয়েছে ?
কাঁদছিস কেন ?
আমি কথা বলতে পারছিলাম না।
চোখের ইশারায় ওনাকে ব্যালকনির সাইটে রাখা ছোট্ট টপ টাকে দেখালাম।
_________________
কিছুক্ষণ আগে যখন ফারহান ভাইয়া আমাকে এক গাদা পড়া দিয়ে পড়তে বললেন।
তখন পড়তে পড়তে হঠাৎ মনে পড়ল ফারহান ভাইয়ার দেওয়া কালো গোলাপের গাছটার কথা।
বাইরের গুলো তে আসার সময় ই দেখেছি কিন্তু এটার কথা মনে ই ছিলো না।
তাই দৌড়ে গিয়ে দেখলাম গাছ গুলো ঠিক আছে কি না।
কিন্তু গিয়ে দেখলাম কালো গোলাপ গাছটা একদম শুকিয়ে গেছে ।
মৃত প্রায় অবস্থা আসলে শীতের দিন হওয়ায় গাছটি বেশ অনেকদিন ধরে রোদ পায় নি।
আর এটা বিরল জাতীয় গাছ ।
অনেক বেশি সেনসিটিব ও ।
আর তার উপর কেউ আমার এই গাছটির যত্ন ও নেয় নি।
ওনারার তো সবাই আমাকে নিয়ে ব্যস্ত ছিলো।
বাইরের গাছগুলোতে মালি যত্ন করেছেন।
কিন্তু এটা তো করেন নি।
যার জন্য গাছটির অবস্থা করুন ।
আমার মোটে ও ভয় লাগে নি।
যদি ও ফারহান ভাইয়া আমাকে গাছটি দেওয়ার সময় বলেছিলেন কিছু হলে পা ভেঙে দিবেন ।
কিন্তু আমার এই দিকে ধ্যান নেই।
দীর্ঘ দুটো বছর এই গাছটি আমার সঙ্গি।
অনেক কিছু শেয়ার করি এই গাছটির সাথে ।
বড্ড কষ্ট হচ্ছে আমার , মনে হচ্ছে কলিজা ছিড়ে যাচ্ছে।
ফারহান ভাইয়া আমার চোখ আবার মুছিয়ে দিয়ে বললেন
– এই টুকুনির জন্য কেউ কাঁদে ।
আর এতে তো তোর কোনো দোষ নেই।
আর আমি এই গাছটিকে একদম ঠিক করে দিবো।
তুই কাদিস না প্লিজ।
ফারহান ভাইয়া আমাকে রেখে ব্যালকনির সাইটে চলে গেলেন।
গাছটিকে আগা গোড়া ভালো করে দেখে নিলেন।
তারপর অতি যত্নে গাছটি কে স্প্রে করলেন।
আর ফোনে কিছু একটা অর্ডার করলেন।
ত্রিশ মিনিটের মাথায় একজন ডেলিভারি বয় এসে পার্সেল টা দিয়ে গেলেন।
আমি ফারহান ভাইয়ার দিকে সন্দিহান চোখে তাকিয়ে আছি।
আমাকে এভাবে তাকাতে দেখে ওনি মৃদু হেসে বললেন
– এটা একটা বিশেষ সার আর কিছু স্পেশাল স্প্রে।
গাছটি দুদিনের মাথায় একদম ঠিক হয়ে যাবে।
আর আমি তো আছি , পুরোপুরি যত্ন নিবো।
তুই অসুস্থ, বেশি চিন্তা করবি না বুঝেছিস।
না হলে কান ধরিয়ে উঠ বস করাবো কোনো কথা ই শুনাবো না।
ওনার কথায় স্বস্তি পেলাম সাথে ফিক করে হেসে দিলাম।
ফারহান ভাইয়া ও হাসলেন।
ওনি এখন আমাকে আর পড়ালেন না । কারন খানিকটা মন এখনো খারাপ।
আমরা দুজন ব্যালকনিতে দাড়িয়ে রইলাম।
কিছুক্ষণ পর মিনু ( আমাদের বাসায় কাজ করে )
এসে দু মগ ধোয়া উঠা কফি দিয়ে গেলেন।
বুঝলাম আম্মু বা বড় মা পাঠিয়েছেন।
সন্ধ্যা প্রায় ছুঁই ছুঁই, এখনি সূর্য্যি মামা অস্ত যাবেন।
যদি ও পুরো আকাশ কুয়াশা তে মুরুনো, কিন্তু সন্ধ্যার ছায়া তো দেখতে পাচ্ছি।
ফারহান ভাইয়া আর আমি ব্যালকনিতে দাড়িয়ে কফির সাধ নিতে থাকলাম সাথে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য তো আছেই।
__________________
রাত নয়টা বাজে ।
ফারহান ভাইয়া বেশ কিছু পড়া দিয়েছেন।
আটটার দিকে এসে চেইক ও করে গেছেন ঠিকঠাক পড়ছি কি না।
আম্মু এসে ডাক দিলেন ডিনারের জন্য ।
পাঁচ মিনিট বলে আবার পড়ায় মনোযোগ দিলাম।
সত্যি বলতে এই কয়েকটা দিনে পড়াশুনাতে বেশ ক্ষতি হয়ে গেছে।
হালকা ক্ষুধা ও লেগেছে, কিন্তু পড়া রেখে উঠতে ইচ্ছে করছে না।
একটানা 3 ঘন্টা ধরে পড়ছি , যার দরুন অস্বস্তি ও হচ্ছে।
9’20 বেজে গেছে কিন্তু তাও ডিনার করতে গেলাম না।
কিছুক্ষণের মাঝে ফারহান ভাইয়া আসলেন।
শরীর টা ক্লান্ত ও লাগছে , কোনো মতে ওনার দিকে তাকালাম।
ওনি আমার পাশে বসলেন তারপর বললেন
– কতটুকু হয়েছে ?
আমি বললাম
– 60%
এখনো 40% বাকি আছে ।
ফারহান ভাইয়া মৃদু হেসে বললেন
– গুড।
এখন আর পড়তে হবে না।
আমি ক্লান্ত চোখে বললাম
– 40% তো এখনো বাকি । সকালে পড়া দিবো কিভাবে?
ফারহান ভাইয়া হালকা হেসে বললেন
– এখন যদি আর ও পড়িস তো 1 ঘন্টা তে 10% ও কাভার হবে না।
যদি রেস্ট নিয়ে পড়তে বসিছ তো এক ঘন্টা তে অলমোস্ট 20 %কাভার হয়ে যাবে।
আর একটু সকালে জাগিয়ে দিবো।
সকালে 1 ঘন্টা পড়লেই দেখবি অল ডান।
তো বেশি খেটে যদি কাজ না হয় তো তাতে লাভ কি।
ওনার কথায় স্বস্তি পেলাম।
ঠিক ই বলেছেন ওনি , শুধু শুধু খাটনি করে লাভ নেই।
বরং রেস্ট নিয়ে আবার পরব।
ফারহান ভাইয়ার সাথে ডিনার করতে চলে গেলাম।
ডিনার শেষে সবাই ছাদে আড্ডা দিতে গেলাম।
ছোট চাচ্চু আর রাজিব চাচ্চু কাজ নিয়ে একটু ব্যস্ত যার দরুন ওনারা আড্ডা দিতে আসলেন না ।
ছাদে মাদুর পেতে আমি , ফারহান ভাইয়া, রিফাত ভাইয়া, মনি আন্টি আর মনিকা আপু বসে আছি।
শাল জড়িয়ে কাঁচুমাচু হয়ে আছি।
আসলে আমার শীত বেশি।
রিফাত ভাইয়া আমাকে কাঁচুমাচু হয়ে বসে থাকতে দেখে বলল
– কি রে শীত কুমারী।
বড্ড শীত লাগছে ?
ভাবছি তোর বিদেয় টা দিয়েই দিবো।
যাতে তোর বর তোকে শীতের মাঝে জড়িয়ে ধরে থাকতে পারে।
আর তোর সমস্ত শীত তবে যায়।
এই বলেই হাসতে লাগলো।
আমি মুখ ফুলিয়ে বসে রইলাম।
ফারহান ভাইয়া আমার দিকে আড়চোখে তাকিয়ে আছেন।
মনিকা আপু রিফাত ভাইয়া কে হালকা করে ধাক্কা দিলো।
আর মনি আন্টি বলল
– রিফাত আমি জানতাম ফারহান ই লাগামহীন , এখন তো দেখছি তুই ও কিছু কম না।
তোদের সামনে হবু কাকিমা বসে আছে আর তুই কি সব বলছিস।
রিফাত ভাইয়া উত্তর খুঁজতে লাগলেন।
কিন্তু তার আগেই ফারহান ভাইয়া বললেন
– শোনো তুমি , আরিফ চাচ্চু আর রাজিব চাচ্চু কে আমরা কোনো মতেই লজ্জা পাই না।
তুমি আমার থেকে বড় জোর 3 বছরের বড় আর আরিফ চাচ্চু 7 বছরের।
তো তোমাদের সামনে সব বলাই যায়েজ আফটার অল তোমাদের সেটিং তো আমরাই করিয়েছি।
মনি আন্টি থম হয়ে গেলেন।
এর সাথে পারা সত্যি বড্ড মুশকিল।
মনি আন্টি বলল
– ক্ষমা কর আমার বাপ ।
তোর সাথে লাগতে যাবো না আর।
সেই প্রথম থেকে জ্বালাচ্ছিস।
উফফফ
মনি আন্টির এমন কান্ডে সবাই এক সাথে হেসে উঠলাম।
বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে রুমে চলে আসলাম।
এখন মনটা ফ্রেস লাগছে আর ক্লান্তি ও নেই।
ফারহান ভাইয়া আমাকে মার্ক করে দিলেন।
যাতে এই টুকু পড়া হলে ঘুমিয়ে পড়ি ।
ওনার কথা মতো পড়া শেষে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকাল 6 টায় ফারহান ভাইয়া আমাকে নক করলেন।
কিন্তু আমি এতো টাই ঘুমে বিভোর যে এতো ডাকার পর ও শুনতে পেলাম না।
অগত্যা ফারহান ভাইয়া দরজা ঠেলে ঘরে ঢুকলেন।
জানালার পর্দা ঠেলতেই কুয়াশা ভেদ করে কিছুটা আলো আমার মুখে পড়ল।যার কারনে আমি হালকা জেগে উঠলাম।
ফারহান ভাইয়া আমাকে হালকা করে ডেকে উঠিয়ে দিলেন।
আমি বললাম হুম উঠছিইই তো।
ওনি কোনো রকম কথা না বলে হনহনিয়ে চলে গেলেন।
আর আমি প্রতি বারের মতো বনে গেলাম আহাম্মক ।
এভাবে যাওয়ার কি হলো বুঝতে পারলাম না।
এই লোকটা কখন কি করে বুঝি না।
ধ্যাত হঠাৎ মনে পড়ল আমার 20% পড়া কমপ্লিট করতে হবে।
দ্রুত গতিতে ফ্রেস হয়ে বই নিয়ে বসে পরলাম।
প্রায় দের ঘন্টা পর বড় মা এসে বললেন নাস্তা করতে আয়।
আমি বললাম 10 মিনিট রিভাইস করেই আসছি।
রিভাইস শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম ।
বাহহহ সব কিছুই কমপ্লিট।
শান্তি আর শান্তি , তাড়াতাড়ি নাস্তা করতে বসলাম।
খাওয়ার মাঝে ফারহান ভাইয়া বললেন
– ফারাবি সব কমপ্লিট করে এসেছিস ?
আমি হালকা হেসে ফুরফুরে মনে বললাম
– হুমম সব কমপ্লিট।
আম্মু হেসে বললেন
– ফারহান তুই এবার ফারাবি কে আচ্ছা করে টাইট দিয়েছিস।
মনে হচ্ছে এবার প্লাস টা হয়েই যাবে।
ফারহান ভাইয়া মৃদু হেসে বললেন
– হুমম কাকি।
ওকে তো প্লাস পাইয়েই ছাড়বো।
বড় মা হালকা হেসে বললেন
– তা তো বুজলাম
, কিন্তু মাঝে 15 দিন তো আবার গেভ যাবে।
ফারহান ভাইয়া আমার দিকে বাকা হেসে বলল
– মাত্র চারটে দিন ছাড় আছে।
বাকি দিন গুলো ওর পড়াশুনা কমপ্লিট করতে হবে।
কোনো মতেই পড়াশুনা তে ফাঁকি দেওয়া যাবে না।
এই শুনে আমার মুখ ফেকাসে হয়ে গেল।
ঢাকা গিয়ে ও নিস্তার পাবো না।
পরক্ষণেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে ভাবলাম যে না সামনে এক্সাম কিছুতেই ফাঁকি দেওয়া যাবে না।
এমনিতেই কয়েকটা দিনে ক্ষতি হয়ে গেছে।
খাওয়া শেষ করে রুমে গিয়ে দেয়ালে পা ঠেকিয়ে ফোনে কার্টুন দেখতে লাগলাম।
কি করবো এরা তো আমকে সিম দেন নি ।
যার কারনে ফেসবুক একাউন্ট ও নেই আমার।
যদি লুকিয়ে খুলি তো আর কেউ না হলে ও আমার জঘন্য তম শত্রু ফারহান ভাইয়া পা ভেঙে দিবেন।
তাই ওয়াই ফাই দিয়ে ইউটিউব থেকে কার্টুন দেখতে লাগলাম।
এমন সময় ফারহান ভাইয়া এসে পরলেন।
ওনার ডাকে হুরমুরিয়ে উঠলাম।
বেশ খানিকটা লজ্জা ও পেলাম ।
কিভাবে শুয়ে ছিলাম আমি ছিইইই।
ফারহান ভাইয়া আমাকে পড়াতে শুরু করলেন।
সব পড়া পারলাম ও তাই মন টা বেশ ভালো লাগছে।
যার সব ক্রেডিট দ্যা গ্রেট ফারহান ভাইয়ার।
______________________
( আসসালামুআলাই রির্ডাস । একদিনে দুটো পার্ট দিলাম।
আশা করি সবার ভালো লাগবে।
আমার রিডার্স দের মত অনুযায়ী 30+ আর 40 + পার্ট করার মতামত এসেছে।
আমি সবার মতামত কে গুরুত্ব দিয়ে 35 + পার্ট করবো ইনশআল্লাহ ।
সেই হিসেবে 8 বা 9 দিনেই এই গল্পের ইতি টানবো।
আমি আশা রাখছি এই গল্পের ইতি টানার আগেই 1000 + ফলোয়ার হবে।
আমার রিডার্স দের প্রতি পূর্ন বিশ্বাস আছে তারা আমাকে এই গল্পের ইতি টানার আগেই 1000+ ফলোয়ার উপহার দিবে।
আমার গল্পের একটি রিভিউ আশা করছি ।
বিভিন্ন গ্রুপে একটি রিভিউ দিবেন যাতে আমার গল্প টি সবার কাছে পৌছে যেতে পারে ।
আমার লেখা গল্প পেতে পেজ এ লাইক আর বন্ধুদের ইনভাইট দিয়ে পাশে থাকুন।আর কমেন্ট করতে ভুলবেন না ।)
বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।
💜 হ্যাপি রিডিং 💜
চলবে
ফাতেমা তুজ