💗 বান্ধবীর ভাই যখন বর 💗
Part – 26
________________________________
26,,,,
হাফসা হন্তদন্ত হয়ে পরির রুমে ঢুকলো।
পরি উপর হয়ে শুয়ে টিভি দেখছিলো। হাফসা কে রাগী মুডে রুমে ঢুকতে দেখেই পরি উঠে বসলো।
হাফসার দিকে তাকিয়ে একবার আগাগোড়া দেখে নিলো।
কিন্ত কিছুই বুঝে উঠতে পারলো না।
পরি হালকা ভয় নিয়ে জিজ্ঞাসা করল
– কি হয়েছে।
হাফসা পরির দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে বলল
– তোর জামাই এর জন্য আমার জীবন টা তেনা তেনা হয়ে গেল।
হাফসার কথা শুনে পরি ভ্যাবলা হয়ে গেলো।
পরি ইনোসেন্ট ফেস করে বলল
– কে কির জামাই ?
আমি পিউর সিঙ্গেল।
হাফসা কিছু বলতে যাবে তার আগেই নীল এসে হাজির।
নীল হাফসা কে উদ্দেশ্যে করে বলল
– হাফসা জিহান সহ সবাই কে থিয়েটার রুমে নিয়ে যাহহ।
একটু পর ই মুভি শুরু হবে।
হাফসা কিছু না বলে চলে গেল।
বাইরে বেরিয়ে ভাইয়ের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করলো।শেষমেষ নিজেই বোকা হয়ে গেল।
ভাইয়ের চৌদ্দ গোষ্ঠীর মধ্যে একজন তো হাফসা ও তাই না।
হাফসা আনমনে হাসতে লাগলো।
আজকাল উল্টো পাল্টা কথা বলছে ওওও।
হাফসা চলে যেতেই নীল রুম লক করে দিলো।
পরি ভয়ার্ত চোখে তাকালো,,, যেখানে নীল নিজেই পরির জন্য আলাদা রুম দিয়েছে।
সেহেতু উল্টো পাল্টা কিছু হওয়ার চান্স জিরো।
তবু ও কেন জানি পরি ভয় পাচ্ছে ।
নীল পরি কে একপলক দেখে বলল
– পরি তুমি টোটালি সিঙ্গেল তাই নাহ ?
পরি কিছু বলল না,,, ইসস নীল শুনে নিয়েছে।
নীল হঠাৎ পরির কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো।
নীলের স্পর্শ পরির গায়ে লাগতেই পরি জমে গেল।
হাত পা অবশ হয়ে যাচ্ছে ,,,,
নীল কোলে মাথা রেখে বলল
– হুমমম বউ কে আলাদা রুমে রাখলে তো এমন ই হওয়ার কথা।
বউ নিজেকে সিঙ্গেল বলেই দাবি করবে।
যাই হোক একটা চিহ্ন তো বসিয়ে দেওয়া উচিত।
পরি কোনো রকম নিজেকে সামলে নিয়ে বলল
– মানে ?
নীল বাঁকা হেসে উঠে বসল।
তারপর পরির কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল
– মানে কোনো একটা কিছু করা তো দরকার।
একটা লাভ বাইট বসিয়ে দিলে কেমন হয় ?
পরি ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে আছে ,, মুখ দিয়ে কোনো শব্দ ই বের হচ্ছে না।
পরির এমন অবস্থা দেখে নীল ফিক করে হেসে দিলো।
নীল কে হাসতে দেখে পরি বোকা বনে গেল।
নীল কোনো মতে হাসি থামিয়ে বলল
– এতো ভয় পাও কেন ?
তারপর আবার ভ্রু কুঁচকে বলল
– এই তুমি কি আমার বাচ্চাদের ভবিষ্যত অন্ধকার করার প্ল্যান করছো নাকি ?
আয় হায় আমার বাচ্চা গুলো তো এখনি আসার জন্য কাঁদছে।
পরি তুমি কেমন মাম্মা,,,, চলো আমাদের বেবি দের নিয়ে আসি।
নীলের কথার আগা মাথা খুঁজে পেল না পরি।
পরি ভাবলেশহীনভাবে বলল
– আমাদের বাচ্চা মানে?
কোথায় কবে কেমনে ?
পরির কথাতে নীল হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেল ।
হাসতে হাসতেই বলল
– মানে টা হলো আমাদের বাচ্চা আসার জন্য কাঁদছে,,, তো মাম্মা পাপা হিসেবে আমাদের উচিত ওদের এই পৃথিবীতে আনার ব্যবস্থা করা।
নীলের কথা শুনে পরি কয়েক সেকেন্ড নীলের দিকে তাকিয়ে থাকলো। কিছুক্ষণ পর যখন পরি
নীলের কথার মানে বুঝলো।
তখন পরি নীলের মুখে বালিশ ছুঁড়ে ওয়াসরুমের দিকে দৌড় দিলো।
নীল পরির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলো।
নীল হাসি থামিয়ে বলল
– পরি তাড়াতাড়ি থিয়েটার রুমে চলে এসো।
নীল আর কিছু না বলে হাসতে হাসতে বাইরে চলে আসলো।
রুম থেকে বের হতেই রোজিনা বেগমের মুখোমুখি হলো।
রোজিনা বেগম কে দেখে নীল দমে গেল।
রোজিনা বেগম ছেলেকে এক পলক দেখে নিলেন।
তারপর মিষ্টি হেসে বললেন
– কি হয়েছে নীল এত খুশি কেন তুই ?
নীল বোকা হেসে গল্প সাজাতে লাগলো।
মায়ের কাছে কি ঐসব কথা বলা যায়।
ছেলে কে বিব্রত বোধ করতে দেখে রোজিনা বেগম মৃদু হাসলেন ।
কিছু বুঝলেন কি না তা ওনার মুখ দেখে বোঝা গেল না।
নীল কিছু একটা বলতে চাচ্ছিল ঠিক তখনি রোজিনা বেগম থামিয়ে দিলেন।
রোজিনা বেগম বললেন
– আর কিছু বলতে হবে নাহহ।
আপনি যেতে পারেন সেহেজাদা।
মায়ের কথাতে নীল মুচকি হাসলো। মা কে জড়িয়ে ধরে বলল
– হুমমম আম্মি জান আপনার আজ্ঞা শিরোধার্য।
ছেলে আর মা খুনসুটি করে নিজেরাই হাসতে লাগলো।
হানিফ আহমেদ পাশ দিয়েই যাচ্ছিলেন।
মা আর ছেলে কে হাসতে দেখে দাড়িয়ে গেলেন।
নীল বাবা কে দেখে বলল
– আব্বু তুমি আমাদের মা ছেলের মাঝে হিংসে করো না পিল্জ।
আমার দশটা না পাঁচ টা একটা মাত্র আম্মু।
ছেলের কথা শুনে হানিফ আহমেদ মৃদু হাসলেন।
তারপর চোখ মুখ কুঁচকে বললেন
– তা কি বলছিস আরেক টা আম্মু লাগবে ?
আমার কিন্তু সমস্যা নেই ,, আমি দু পায়ে রাজি।
হানিফ আহমেদের কথা শুনে রোজিনা বেগম রাগে ফুঁসতে লাগলেন।
রাগি চোখে তাকিয়ে স্থান ত্যাগ করলেন।
হানিফ আহমেদ অসহায় দৃষ্টি তে চেয়ে বললেন
– এই রে ক্ষেপে ছে আজ আমার অবস্থা শেষ।
আমি যাই ,,,দেখি কিছু করতে পারি কি নিহহ্।
যাহহহ রাগ রে বাবা
মা বাবার এমন হাজারো খুনসুটি ভালোবাসা দেখে নীল অভ্যস্ত।
মা বাবার কান্ডে নীল হাসতে লাগলো তারপর আপন মনে বলল
– ইসসস আমার বউ টা যে কবে আগের মতো হবে।
একদম মিষ্টি পরি ,,, যাকে দেখলেই ছুইয়ে দিতে ইচ্ছে হয়।
ছোট সময়ে কেমন বাচ্চামো টাই নাহ করেছে। আর এখনো তো বাচ্চা পুরো,,, শুধু কিছু সময়ের জন্য চাপা পরে আছে।
ইসসস আর মাত্র কয়েকটা দিন তারপর পরি পুরোপুরি আমার।
ভাবতেই নীলের চোখের কোণে কিঞ্চিত পানি চিকচিক করে আবার দমে গেল।
ভালোবাসা বুঝি এমন ই হয় ?
শান্ত মন কে অশান্ত করার জন্যে প্রিয় মানুষটার একপলক চাহনি ই যথেষ্ট।
নীল উড়ছে ভালোবাসার আগুনে ,,, আর নীল চায় জীবনের শেষ সময় অব্দি এভাবেই পরির সাথে কাটিয়ে দিতে।
ইসসস পরি কি তখন খুব লজ্জা পেয়েছে ?
পরির লজ্জা মাখা মুখ টা নীলের খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।
আহহহ কি যে লাগে তখন,,, পুরো আকাশে বাতাসে।
নীল আপন মনে হাসতে লাগলো আর নিজেকে বলল
– পুরো পাগল হয়ে যাচ্ছি আমি।
পরির প্রেমে পাগল ,,,,,,
_______________________
অনিক থিয়েটার রুমে তার লাগাতে ব্যস্ত,,, জীবনে কখনো এই তার ফার লাগায় নি অনিক ।
বাবার আদরের দুলাল কি নাহহ ,,
তবে পড়াশোনা আর বিজন্যাস বেশ ভালো বুঝে।
অনিক দু হাতে দু রকমের তার নিয়ে ভাবছে কোনটা লাগাবে।
কিন্তু বুঝে ঊঠতে পারছে নাহহ ,,,,,
হাফসা থিয়েটার রুমে ঢুকে অনিক এর এই অবস্থা দেখে হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছে।
হাফসার হাসির শব্দ গাঢ় হতেই অনিক পেছন ঘোরে তাকায়।
পেছন ঘুরতেই হাফসা চুপ হয়ে যায়।
অনিক বিরক্তি নিয়ে বলল
– এভাবে না হেসে পারলে হেল্প করো।
হাফসা ভাব নিয়ে বলল
– কোনো ব্যাপার ই না এটা।
সরুন আমি লাগিয়ে দিচ্ছি ,,,,,
অনিক ভ্রু কুঁচকে বলল
– আই ইউ সিউর ?
হাফসা মুখ বাঁকিয়ে বলল
– তোহহ
অনিক সরে যেতেই হাফসা তার নিয়ে নাড়াচাড়া করতে লাগলো।
দশ মিনিট বসে থেকে ও কোনো কুল কিনারা খুঁজে পেল না।
অনিক তাড়া দিয়ে বলল
– হয়েছে ?
হাফসা পেছন ঘুরে মেকি হাসি দিয়ে বলল
– এই তো আর একটু।
কিন্তু আর ও পাঁচ মিনিট বসে থেকে ও কোনো কিছু করতে পারলো না হাফসা।
হাফসা উঠে দাড়াতেই
অনিক হাসতে লাগলো।
বেচারা হাফসা গোমড়া মুখ করে রইলো।
জিহান থিয়েটার রুমে ঢুকতেই অনিক বলল
– দেখো তো তার টা লাগাতে পারছি না।
জিহান দেখছি বলে তারের কাছে চলে গেল।
দুই মিনিটের মধ্যে জিহান তার লাগিয়ে দিলো।
অনিক ভ্রু নাচাতেই
হাফসা বোকা হাসি দিলো।
হাফসা কোনো মতে কাজ দেখিয়ে নিজেকে সরিয়ে নিলো।
অনিক বিষয়টা বুঝতে পেরে মৃদু হাসলো।
তারপর জিহিন কে নিয়ে বাকি কাজ গুলো সেরে ফেললো।
_______________________
থিয়েটার রুমে পর পর পাঁচ সিটের চার সেট সোফা আছে।
কিন্তু সবাই একটু স্পেস নিয়ে বসেছে।
প্রথম টায় নিশাত , রনি , জিহান বসেছে ।
দ্বিতীয় টায় অনিক ,রিহান আর হাফসা বসেছে।
তৃতীয় টায় রিনি , তিন্নি আর লিমন
সবার শেষের সোফাতে নীল আর পরি বসেছে।
পরি হাফসার সাথে বসতে গিয়েছিল কিন্তু নীল হাত টেনে ধরেছিলো।
যার কারনে পরি দমে গিয়ে নীলের সাথেই বসেছে।
হরোর মুভি নাম শুনতেই পরির বুক ধুকপুকানি শুরু হয়ে গেছে।
দিনের বেলা হলে ও চলতো এখন তো রাত 11 টা বাজে।
আজকে পরি শেষ ,,, পরি বার বার ঢোক গিলছে।
নীল পরির অবস্থা বুঝতে পেরে মুচকি হাসছে।
অনিক রিমোট ক্লিক করতেই স্কিনে বড় বড় করে
ভেসে আসলো…..
”The wrong house”
এই নাম দেখেই পরির আত্মা কেঁপে উঠলো।
ইংলিশ হরোর মুভি গুলো অত্যন্ত ভয়াভয়।
পরি হরোর মুভি দেখলেই কেঁদে ভাসিয়ে দেয়।
হাফসা পপ্পন হাতে হৈ হৈ করছে ,,,,, হাফসার সাথে সবাই তাল মেলাচ্ছে।
কিন্তু পরি একদম শান্ত,,, আর নীল পরির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে।
মুভি অন হতেই সবাই চুপ হয়ে গেল।
ভয়ানক সুর ভেসে আসতেই পরির পা কাঁপছে।
পরি শুকনো ঢোক গিলে খানিকটা নীলের কাছে এসে বসলো।
নীল মিটমিটিয়ে হাসছে ,,, কারন সে তো এটাই চায়।
হরোর টোন কানে আসতেই পরি কেঁপে কেঁপে উঠছে।
মুভি চলছে,,,, সবাই মুভি দেখতে ব্যস্ত।
হঠাৎ স্কিনে ভয়ানক চেহারা বড় করে ভেসে উঠতেই পরি নীল কে দুহাতে আঁকড়ে ধরলো।
মনে হচ্ছে ঐ ভয়ানক চেহারা টা একদম চোখের সামনে এসে পড়েছে।
এই বুঝি গলা টিপে দিবে ,,,, কি ভয়ংকর।
পরি কাঁপছে,,,, নীল পরি কে এক হাতে জড়িয়ে নিল।
একদম নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো ,,,,, পরি নীল কে শক্ত করে জড়িয়ে আছে,,, মনে হচ্ছে ও নীলের বুকের ভেতর ঢুকে যাবে।
নীল মৃদু হাসছে,, নীল আলতো হাতে পরির হাত ধরে নিলো।
এতোক্ষন কোনো ধ্যান না থাকলে ও নীলের স্পর্শ পেয়ে পরির ধ্যান ফিরলো।
পরি জড়োসড়ো হয়ে নীলের থেকে সড়ে গেল।
নীল ভ্রু কুচকে নিলো,,,, পরি সড়ে যেতেই হ্যাঁচকা টান মেরে পরি কে নিজের কাছে নিয়ে আসলো।
পরির হার্ট বিট বেড়ে গেছে,,, নীল পরির কানের কাছে মুখ নিয়ে ঘোর লাগানো কন্ঠে বলল
– এতো দূরে কেন যাচ্ছো ?
কাছে আসতে লজ্জা পাচ্ছো ,,, আজ তো আমি।
নীল পুরোটা শেষ করার আগেই পরি নীলের মুখ আটকে নিলো।
নীল পরির নাকে ঠোঁট শুইয়ে দিলো ,,,,, পরি কেঁপে উঠে নীল কে আকড়ে ধরলো।
পরি নীল কে আবার দু হাত দিয়ে সরিয়ে দিতে চাচ্ছে কিন্তু নীল পরি কে যেতে দিচ্ছে না ।
বার বার পরি কে নিজের সিথে মিশিয়ে নিচ্ছে।
পরির কোমর জড়িয়ে ধরে নীল নিজের কোলে বসিয়ে দিলো।
নীল পরির খোলা চুল গুলো গলার এক সাইটে দিয়ে ঘাড়ে চুমু বসিয়ে দিলো।
নীলের উষ্ণ ঠোঁটের স্পর্শে পরি বার বার কেঁপে উঠছিলো।
পরি নীল কে দূরে সরাতে চেয়ে ও পারছে না।
নীল পরির কোমর জড়িয়ে ধরে বসে রইলো।
পরি কিছু বলতে ও পারছে নাহহ ।
যদি একটু কিছু বলে তো এই আশে পাশের জনগন এটাকে মুভি বানিয়ে দিবে।
হরোর মুভির থেকে ও নীলের খুনসুটি গুলো পরি কে বেশি ভয় পাইয়ে দিচ্ছে।
পুরো 1ঘন্টা 40 মিনিট নীলের খুনসুটি চলতেই থাকলো।
পরি বিরক্তি মাখা দৃষ্টি তে তাকালেই নীল বাঁকা হাসছে।
পরি শোকনো ঢোক গিলে নীলের খুনসুটি গুলো উপভোগ করছে ।
ইসসসস এই নীল আজকাল লজ্জাহীন হয়ে যাচ্ছে ।
কি ভয়ঙ্কর বিষয়,,,,,
_______________________
রাত তিনটা বাজে কিন্তু পরির চোখে ঘুম নেই।
এই নীল আজকাল অসভ্য হয়ে যাচ্ছে।
সবার সামনে ছিইইইই,,,, যদি কেউ দেখে নিতো।
পরির ইচ্ছে করছে নীল কে দু চার টা কিল ঘুসি মেরে দিতে।
এখন প্রেম দেখাতে আসছেন ওনি।
গত তিনটে বছর কতোটা জ্বলেছে পরি ,,, একটি বার কি খবর নিয়েছে?
সব কিছু ভাবতে ভাবতে আবার পরিবারের কথা মনে পড়ছে পরির।
সবাই কি খুব রেগে আছে পরির উপর ?
পরির কান্না পাচ্ছে ,,,,,, কিন্তু পরি নিজেকে সমলানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
পরি ভাবছে
– আচ্ছা আম্মু আব্বু কি আমাকে আর নীল কে মেনে নিবে না ?
আমি কি সেই সব মেয়েদেল তালিকায় পড়ে গেলাম যারা বাবা মা কে কষ্ট দিয়ে চলে আসে।
পরি এই সব ভাবতে ভাবতে অঝোরে কান্না করে দিলো।
ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আজ পরি অসহায়।
প্রিয় মানুষটা থাকতে ও পরি নিজের অস্তিত্ব অনুভব করছে না।
একটি মেয়ে শুধুমাত্র ভালোবাসার মানুষটা কে নিয়ে সম্পূর্ণ হতে পারে না।
যে বাবা মা এতো ভালোবাসা দিয়ে বড় করেছেন।
ভালো থাকার জন্য তাদের কে ও যে প্রয়োজন।
পরির ইচ্ছে করছে সব কিছু ছেড়ে চলে যেতে ,,, কিন্তু নীল ?
এই নীল কে নিয়ে কতো স্বপ্ন ছিলো পরির ,,,, কতো রাত নির্ঘুম কাটিয়েছে শুধুমাত্র নীলের জন্য।
নীল কে ছাড়া অন্য কারো সাথে নিজেকে কল্পনা করা টা ও অসম্ভব।
আর এতো দিন তো দুটানার মধ্যে ছিল,,,, কিন্তু নীল তো এখন পরির স্বামী।
নীলের অস্তিত্ব পরির সঙ্গে বেঁধে গেছে।
নীল কে ছাড়া সম্ভব নয় ,,,, যদি নীল কে ছাড়তে হয় তো আত্মহত্যা নামক মহা পাপ কে বেঁচে নেওয়া টাই হবে উত্তম ।
আর নীল কে পেয়ে ও পরি ভালো নেই।
পরিবার কে ছাড়া পরি ভালো থাকতে পারবে না।
আচ্ছা
নীল তো বলেছে সব ঠিক করে দিবে ,,,, হ্যাঁ নীল পারবে সব কিছু ঠিক ঠাক করে দিতে।
যদি না পারে ?
তাহলে কি করবে পরি ?
এ কেমন দুটানার মাঝে ফেলেছেন সৃষ্টিকর্তা।
নীল নাকি পরিবার ?
কোনটা বেঁছে নিবে পরি ?
আর আত্মহত্যা কি হতে পারে সব কিছুর সমাধান ?
পরি ভাবতে পারছে না আর ,,, নিজেকে পাগল পাগল লাগছে ওর।
পৃথিবীর সব থেকে অসহায় মূহুর্ত বুঝি এটাই পরিবার আর ভালোবাসার মানুষের মধ্যে যে কোনো একজন কে বেছে নেওয়া ?
আচ্ছা নীল তো এখন ওর অংশ ,,, ওর স্বামী।
তাহলে নীল ও তো ওর পরিবারের অংশ।
পরি আর ভাবতে পারছে না ,,,, বুকের ভেতর তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছে।
এই মূহুর্তে বেঁচে থাকা টাই সব থেকে কষ্টকর আর কঠিন কাজ মনে হচ্ছে ।
মৃত্যু কে বেশী শান্তি মনে হচ্ছে।
তবে কি মানুষ আত্মহত্যা নামক মহা পাপ কে বেঁচে নেয় শুধুমাত্র দোটানায় থাকার কারনে?
কোনো একজন কে বেছে নেওয়ার যুদ্ধে হেরে যাওয়ার কারনে ?
হয়তো হ্যাঁ,,,,,,,,,
( আসসালামুআলাই রির্ডাস। আজকের পার্ট টা আগের পার্ট এর থেকে বড় দিয়েছি।
যথা সম্ভব চেষ্টা করছি আমি ,,, কোথাও গিয়ে গল্প মেলাতে সমস্যা হচ্ছে।
তবু ও আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
গল্প কেমন হচ্ছে জানাবেন প্লিজ।
আমার লেখা গল্প পেতে পেজ এ লাইক ফলো আর বন্ধুদের ইনভাইট দিয়ে পাশে থাকুন )
বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।
⛔ আত্মহত্যা কখনোই কোনো কিছুর সমাধান নয়।
💙 হ্যাপি রিডিং 💙
চলবে
ফাতেমা তুজ