বান্ধবীর ভাই যখন বর 💗পর্ব-২৭

0
2753

💗 বান্ধবীর ভাই যখন বর 💗
Part – 27
________________________________
27,,,

সারারাত ঘুম না হওয়ার কারনে মাথাটা ঝিম মেরে আছে পরির।
বেড বরাবর বিশাল মাপের ঘড়ি জানান দিচ্ছে যে একটু পর ই আযান দেওয়া হবে।
পরি নিজের কান্না কোনো মতে সামলে নিয়ে ব্যালকনিতে চলে গেল।
শীত কাল পড়ে যাওয়াতে ফযরের আযান দেওয়া হলে ও আকাশে অন্ধকার থাকে।
শীতের হালকা কুয়াশা পরি কে ছুঁইয়ে দিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু শিশির ভেজা এই ভোর কে পরি কিছুতেই উপভোগ করতে পারছে না।
স্থির হয়ে কুয়াশায় মুরানো আকাশের দিকে চেয়ে আছে পরি।
কিছুক্ষণের মাঝেই আযানের সুমধুর সুর ভেসে আসলো।
পরি ওড়না টেনে মাথায় ঘোমটা দিয়ে নিলো।
আযান শেষ হতেই ওয়াসরুম থেকে অযু করে নামায পড়ে নিলো।
মোনাজাতে আল্লাহর কাছে নিজের সমস্ত টা উজার করে বলল।
সৃষ্টিকর্তা অন্তরজামী ওনার কাছে কোনো কিছু লোকানো যায় না।
পরি মোনাজাতে আল্লাহর কাছে বলল
– হে আল্লাহ আমি জানি আমি পাপ করেছি।
বাবা মায়ের অমতেই বিয়ে করেছি।
কিন্তু আমাকে তো জোড় করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল এটা কি মেনে নেওয়া খুব উত্তম ছিলো।
আল্লাহ আমি আপনার কাছে একটাই মিনতি করছি আমি আমার স্বামী আর পরিবার দু দিক টাই বেছে নিতে চাই।
আমি যে অন্যায় করেছি তার জন্য আমাকে ক্ষমা করুন।
ভালোবাসা টা কি খুব অন্যায় ?
তাহলে মনে কেন দিলেন এই প্রেমের অনুভূতি।
আমি তো চাই নি এই অনুভূতি।
আমি জানি আপনি সর্বোত্তম যেটা সেটাই করেন।
আপনার উপর আমার আস্থা বিন্দু মাত্র কমবে না।
শুধু মাত্র কষ্ট সইবার মতো ক্ষমতা আমাকে দিন।
আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন।
আমি যেন আপনার সিদ্ধান্ত ই মন থেকে মেনে নিতে পারি সেই ক্ষমতা টুকু আমাকে দিন।
সকলের দীর্ঘায়ু কামনা করছি,,, সকল কে সুস্থ রাখুন ভালো রাখুন।
আল্লাহ আমি আমার স্বামীর হাতে হাত রেখেই চলতে চাই যদি সেটা সম্ভব না ও হয় অন্তত জান্নাতে ওনার সাথে থাকতে চাই।
আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করুন।
সকল কে হেফাজত করুন।

পরি মোনাজাত শেষ করতেই চোখ থেকে একফোটা পানি গড়িয়ে পড়লো।
মনে হচ্ছে এই এক ফোঁটা পানির সাথে বুকের ভেতর জমে থাকা পাথর টা সরে গেল।
বাকি টা আল্লাহর ইচ্ছে ,,, নিশ্চয়ই তিনি সর্বোত্তম পথ দেখাবেন।

পরির নিজেকে হালকা লাগছে।
নামাযের মতো প্রশান্তি কোথাও পাওয়া যায় না।
পরির চোখে ঘুম নেই ,,,, সমস্ত ঘুম দুঃখ গুলোর সাথে উবে গেছে।
আকাশে আলো ফুটতেই পরি নিচে চলে গেল।
রোজিনা বেগম এখনো ঘুম থেকে উঠেন নি।
সকাল হতে খানিকটা সময় বাকি।
পরি ভাবলো কিচেনে গিয়ে সবার জন্য নাস্তা বানিয়ে নেওয়া যাক।
তাহলে আম্মু কে আর কষ্ট করতে হবে না।
পরি ময়দা নামিয়ে মেখে নিলো,,,
মটর শুটি সিদ্ধ করে নিলো।
তারপর মটরশুটির কচুরি বেলে নিলো। কিন্তু
ভাজলো না,, কারন এতো আগে ভাজলে ঠান্ডা হয়ে যাবে।
সাথে আলুর দম আর চাটনি।
কফি আর চায়ের পানি বসিয়ে দিয়ে জুস বানাতে লাগলো।
জুস বানানো শেষ হতেই রোজিনা বেগম কিচেনে এসে পরলেন।

কিচেনে পরি কে দেখে অবাক হয়ে গেলেন।
রোজিনা বেগম কে দেখে পরি মিষ্টি করে হাসি দিলো।
রোজিনা বেগম বাটি খুলে খুলে সমস্ত টা দেখে নিলো।

পরির দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বললেন
– এই পাকামো গুলো তোকে কে করতে বলেছে ?

পরি মৃদু হেসে বলল
– আম্মু তুমি তো রোজ বানাও আজ না হয় আমি ই বানালাম।
আর আমি এই গুলো বেশ ভালোই পারি।
সবাই চেটে পুটে খাবে দেখে নিও।

রোজিনা বেগম মৃদু স্বরে বললেন
– সেটা না রে মা। বাসায় আজ কতো লোকজন এতো সব একা হাতে করতে গেলি কেন ?
আমাকে তো ডাকতে পারতি তাই না।

পরি চা আর কফি চুলা থেকে নামাতে নামাতে বলল
– আম্মু ঘুম আসছিলো না।
তাই ভাবলাম কাজ করলে ভালো লাগবে আর তোমার কাজে সাহায্য ও হবে।
তুমি একা হাতে এতো কিছু সামলাও আর আমি এই টুকুনি করতে পারবো না।

রোজিনা বেগম পরির কপালে চুমু দিয়ে বললেন
– আমার লক্ষি মেয়ে।

পরি মৃদু হাসলো,,,, রোজিনা বেগম বললেন
– সাত টা বেজে গেছে আমি ময়না কে দিয়ে সবার জন্য চা কফি পাঠিয়ে দিবো তুই চিন্তা করিস না।
তুই এখন যাহহ রেস্ট নেহহ

পরি বলল
– আম্মু কচুরি গুলো ভাজা বাকি আছে তো।
একটু পরে যাই ,,,,,

রোজিনা বেগম শোনতে নারাজ।
রোজিনা বেগম চা কফি সাজাতে সাজাতে বললেন
– আমি নীলের জন্য ব্ল্যাক কফি বানিয়ে দিচ্ছি তুই নিয়ে যাহহ।

পরি বলল
– আমি ওনার জন্য ব্ল্যাক কফি বানিয়ে রেখেছি।

রোজিনা বেগম মৃদু হেসে বললেন
– তাহলে আর কি নীল কে দিয়ে আয়।

আর কিচেনে আসা লাগবে না।অনেক পাকামো করেছেন এখন স্বামী সেবা করুন।
স্বামী সেবা কথা টা শুনতেই পরি লজ্জায় কুকরে গেল।
কফি হাতে নিয়ে লজ্জা মাখা কন্ঠে বলল
– আমি আসছি আম্মু।

পরি কে লজ্জা পেতে দেখে রোজিনা বেগম হাসলেন।
ময়না কে ডেকে সবাই কে চা কফি দিয়ে আসতে বললেন।
আর স্বামীর চা টা নিজ হাতে নিয়ে গেলেন।
হানিফ আহমেদ রোজিনা বেগমের হাত থেকেই চা নিতে পছন্দ করেন।
তাই রোজিনা বেগম ও যথাসম্ভব চেষ্টা করেন স্বামীর ইচ্ছের সম্মান প্রদর্শন করতে।
_______________________

পরি নীলের রুমের কাছে এসে কফি হাতে দাঁড়িয়ে আছে।
দরজা টা ভেজানো পরি নক করবে না কি করবে না তা নিয়ে ভাবছে।
নক করা উচিত ভেবেই দরজায় কড়া দিলো পরি।
দরজায় কারো কড়া দেওয়ার শব্দে নীল বলল
– কামিং।

পরি দরজাটা হালকা খুলে ভেতরে আসলো।
নীল রকিং চেয়ারে বসে মাথায় হাত গুঁজে বসে আছে।
পরি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে নীল কে দেখে নিলো।
কিন্তু কিছু বুঝে উঠতে পারলো না।
পরি খানিকটা অস্বস্তি নিয়ে বলল
– আপনার কফি।

পরির কন্ঠস্বর শুনে নীল মাথা উঁচু চরে তাকালো।
নীল কে দেখেই বোঝা যাচ্ছে সারা রাত ঘুমায় নি।
কিন্তু নীল কেন ঘুমায় নি ?
ওও কি কোনো কিছু নিয়ে টেনশনে আছে।
নীলের মুখ টা দেখেই পরির বুকের ভেতর চিন চিন ব্যাথা শুরু হয়ে গেল।
এই কয়েক দিনে নীলের এমন ফ্যাকাসে মুখ পরি দেখে নি।
পরি কে ভাবলেশহীন ভাবে তাকাতে দেখে নীল মলিন হাসলো।
নীল পরির হাত থেকে
কফি টা নিয়ে বলল
– দাড়িয়ে আছো কেন বসো।

পরি বসলো না ,,, পরি নীলের মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝার চেষ্টা করলো নীলের কি কিছু হয়েছে।
পরি কে না বসতে দেখে ও নীল কিছু বলল না।
নীল কফি টা অতি যত্নে শেষ করে নিলো।
পরি এখনো নীলের দিকে তাকিয়ে আছে।
মনে হচ্ছে নীল কে নিয়ে কঠিন কোনো গবেষনা করছে পরি।
রকিং চেয়ার থেকে নীল উঠে দাঁড়ালো।
কফির মগ টা সাইট টেবিলে রেখে নীল মুচকি হেসে বলল
– কফি টা ভালো ছিলো। এখন থেকে রোজ আমার এই কফি চাই।
এর মানে আমি যতদিন বাসায় থাকবো তুমি ই কফি বানিয়ে দিবে।
আর মিসেস রাফসান আহমেদ বাবার বাড়িতে এক সপ্তাহের বেশি বেরানো আপনার জন্য অনুমতি নেই।
আমি আপনাকে ছাড়া বেশি দিন থাকতে পারবো না।
বুঝেছেন
এই বলেই নীল পরির নাক টিপে দিলো।
নীল পরির কপালে উষ্ণ ঠোঁট শুইয়ে দিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেল।

পরি নীলের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইল।
যদি বাবা মা নীল কে সহ মেনে না নেয় ?
তাহলে তো বিচ্ছেদের মতো কঠিন সত্য কে মেনে নিতে হবে।
নীল কে ছাড়া থাকতে পারবে কি পরি?
আর নীল তো পরি কে নিয়ে স্বপ্ন বুনছে।
পরি কি করে ভেঙে দিবে এই স্বপ্ন।
আর বাবা মা তাদের কে কষ্ট দিয়ে ই বা পরি কতোটা ভালো থাকবে।
পরির চোখ দিয়ে আবার বর্ষন নেমে গেল।
নীল নাকি পরিবার পরির শান্ত হওয়া মনটা বিচ্ছেদের কথা ভাবতেই অশান্ত হয়ে গেল।
এ কেমন অনুভূতি?
কেন হচ্ছে এমন ?
ওয়াসরুমের দরজা খোলার শব্দে পরি পেছন ঘুরে নিলো।
চোখের পানি টুকু আড়াল করার নিরোধ চেষ্টা চালাতে লাগলো।
নীল পরি কে দেখেই বুঝে গেল পরি কেঁদেছে।
কিন্তু নীল কিছু বলল না ,,,, নীল মৃদু হেসে শার্ট এর হাতা ফোল্ড করতে করতে বলল
– পরি আমাকে আজ তুমি খাবার সার্ভ করে দিবে।
তোমার হাতের রান্না উফফফ ভাবতেই কেমন অনুভূতি হচ্ছে।

নীলের কথাতে পরি খানিকটা চমকালো নীল কি করে জানালো পরি ই যে আজকে রান্না করেছে।
নিজের কৌতুহল দমিয়ে রেখে পরি মৃদু স্বরে বলল
– আপনি আসুন আমি খাবার রেডি করছি।

পরি যেতেই নীল মলিন হাসলো।
কেন জানি নীলের মনের ভেতর খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে।
নীল নিজেকে সামলে নিয়ে নিচে চলে গেল।
ডাইনিং এ সবাই কে দেখে নীল হাসলো।
রোজিনা বেগম সবাই কে খাবার সার্ভ করছেন।

নীল ডাইনিং এ এক মিনিট বসে রইলো।
তারপর উঠে দাড়িয়ে বলল
– পরি আমার নাহ একটু কাজ আছে প্লিজ তুমি আমার খাবার টা রুমে নিয়ে আসবে ?

পরি মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি জানালো।
নীল মুচকি হেসে চলে গেল।
ডাইনিং এ সবাই মিটিমিটি হাসছে।
পরি সবার দিকে তাকিয়ে হাসির কারন বিশ্লষণ করতে লাগলো।
কিন্তু কোনো কারন ই খুজে পেল না।
পরি খাবার বেরে নিয়ে উপরে উঠে গেল।

অনিক খাচ্ছে আর হাফসা আর চোখে অনিক কে দেখছে ।
হাফসার ইচ্ছে করছে অনিকের মাথা টা ফাটিয়ে দিতে।
কাল রাতে কি ভয় টা দেখিয়েছে।
পুরো রাত হাফসা নির্ঘুম কাটিয়েছি শুধু মাত্র অনিকের জন্য।
অনিক সামনে তাকাতেই হাফসার সাথে চোখাচোখি হয়ে যায়।
হাফসা অনিকের দিকে রাগি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তাকাতেই অনিক ভ্রু নাচায়।
হাফসা অনিক কে ভেঙ্চি কেঁটে খাবারে মনোযোগ দিলো।
হাফসা খাওয়া শেষ করে উপরে উঠে যায়।
হাফসা নিজের রুমের দিকে পা বাড়াতেই
অনিক হাফসা কে হ্যাঁচকা টান মেরে নিজের কাছে নিয়ে আসে।
হাফসা চোখ রাঙিয়ে বলল
– কি হচ্ছে কি ?

অনিক বাঁকা হেসে বলল
– কি হচ্ছে মানে কি ?
কাল তো তুমি ই আমাকে জড়িয়ে ধরেছিলে।
আর আমি ধরলেই দোষ ,,,,

দিস ইজ নট ফেয়ার হাফসা।

কাল রাতে ”The wrong house”
মুভি দেখে সবাই এক প্রকার জমে গেছে।
আর থিয়েটার রুমটা এমন করে সাজানো যার ফলে মনে হয় মুভির সমস্ত ঘটনা নিজের সাথেই হচ্ছে।
মুভি শেষ হলে যে যার রুমের দিকে পা বাড়ায়।
হাফসার বুক ধুকপুক করছে,,, ভয়ে হাত পা কাঁপছে।
মনে হচ্ছে এখনি জ্ঞান শূন্য হয়ে পড়বে।
হাফসা করি ডোর দিয়ে নিজের রুমের দিকে পা বাড়াতেই কেউ একজন হ্যাঁচকা টান মেরে গেস্ট রুমে ঢুকিয়ে দেয়।
হাফসা ভয়ার্ত কন্ঠে বলে কে ? কে এখানে ?
কিন্তু হাফসার ডাকে কারো সাড়া পাওয়া গেল না।
হাফসা শুকনো ঢোক গিলে ডিম লাইট এর মৃদু আলোতে চোখ ঘুরিয়ে পুরো রুম দেখে নিল।
কিন্তু কাউকে দেখতে পেল না,,, হাফসা বুকে ফু দিয়ে রুম থেকে বের হতে গেলেই দরজা টা লক হয়ে যায়।
হাফসার আত্মা পানিশূন্য হয়ে পড়ে।
বরাবর ই হাফসা বেশ ইন্টারেস্ট নিয়ে হরোর মুভি দেখে কিন্তু শেষমেষ ভয়ে কাঁপা কাপি করে।
কিন্তু আজ এই মুভি দেখার পর হাফসার ভয় যেন চার গুন বেড়ে গেছে।
তারউপর এমন উদ্ভট ঘটনা ঘটছে,,,,
ভুত নামক জিনিস এ বিশ্বাস না করলে ও প্রচুর ভয় পায় হাফসা।
হাফসা কাঁপা কন্ঠে বলে দেখুন কে এখানে।
এই রকম ফাজলামি আমার একদম কাছে ভালো লাগছে না।
আমি জানি ভুত বলে কিছু নেই।
সামনে আসুন আর না হলে আমায় যেতে দিন।

কিন্তু কারো কোনো সাড়া পাওয়া গেল না।
হাফসার শরীর কাঁপছে,,,, হাফসা কাঁপা কাঁপা হাত দিয়ে দরজা ধাক্কা মারতে থাকে।
কিন্তু এতে ও কোনো বিশেষ লাভ হলো না।

হাফসা পেছন ঘুরে তাকাতেই একটা বিবর্ণ ভয়ঙ্কর ছবি ভেসে উঠলো।
যা দেখে হাফসা চিৎকার করে দিলো,,,,,,,
কিন্তু সাউন্ড প্রুফ রুম হওয়ার কারনে কেউ কিছু শুনতে পেল না।
হাফসা বেশ ভয় পেয়ে গেল,,,, ভয়ে চোখ দিয়ে পানি ও পড়ছে না।
হঠাৎ ই লাইট অন হয়ে গেল,,,,, সামনে অনিক কে দাড়িয়ে থাকতে দেখে হাফসার বুকে প্রান এলো।
হাফসা এতো টাই ভয় পেয়ে গিয়েছিল যে কি হয়েছে কিছু বুঝার আগেই অনিক কে জড়িয়ে ধরলো।
হাফসার আচকমা জড়িয়ে ধরাতে অনিক থতমত খেয়ে গেল।
কারন সে এটা আশা করে নি ,,,, হাফসা কাঁপছিলো।
অনিক হাফসা কে মৃদু কন্ঠে বলল
– ক্ল্যাম ডাউন হাফসা।

কিছুক্ষন পর হাফসা শান্ত হলো আর যখন বুঝতে পারলো অনিক কে জড়িয়ে ধরেছে তখন অনিক কে ছেড়ে দূরে চলে গেল।
হাফসা নিজের আচারনে বেশ লজ্জা পেল।
মনে মনে স্থির করলো অনিক কে সরি বলবে ।
কিন্তু হঠাৎ ই মাথায় আসলো অনিক এখানে কি করে আসলো।
হাফসা সব কিছু মিলিয়ে বুঝে গেল এই সমস্তটাই অনিকের কাজ।
হাফসা রাগি চোখ দিয়ে অনিকের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো।
অনিক মুখ চেপে হাসছিলো।

হাফসা আর কিছু বলতে পারলো না ,,,,,,কিছু বলার ইচ্ছে টাই মরে গেছে । রাগে কটমট করতে করতে রুম থেকে বের হয়ে গেল।
তবু ও সেই বিকৃত দৃশ্য হাফসার চোখের সামনে ভেসে উঠছিলো।
যার কারনে সারা রাত হাফসা চোখের পাতা এক করতে পারে নি।
অনিকের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করতে করতে রাত কাটিয়ে দিলো।
সকাল বেলা অনিকের এই শান্ত দৃষ্টি আর বিহেফ হাফসা নিতে পারছিলো না।
ওর মনে হচ্ছিলো অনিকের মাথা টাই ফাটিয়ে দিতে।
কি ফাজিল ছেলে ,,,,,

( আসসালামুআলাই রির্ডাস। দেরি করে দেওয়ার জন্য দুঃখিত । ফোনে চার্জ ছিলো না ।
গল্পটা কেমন হচ্ছে কমেন্ট করে জানাবেন প্লিজ ।
আমার লেখা গল্প পেতে পেজ এ লাইক ফলো আর বন্ধুদের ইনভাইট দিয়ে পাশে থাকুন )

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।

💙 হ্যাপি রিডিং 💙

চলবে
ফাতেমা তুজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here