মন ময়ূরী’ পর্ব-২১

0
1465

#মন_ময়ূরী
#Tahmina_Akther

শেষপর্বের(দ্বিতীয় খন্ড)

প্রিয় খেয়া,

অবাক হচ্ছো নিশ্চয়ই!কেন তোমাকে চিঠি দিলাম এই ভেবে?না দিয়ে উপায় ছিল না।

জানি না আজকের পর থেকে তোমার সাথে আমার আর কথা হবে কি না?কিছু গোপনীয় কথা বলতে চাই তোমার সাথে, হয়তো আমি যে কথাগুলো তোমাকে বলব সেই কথাগুলো বোঝার ক্ষমতা তোমার নেই। কিন্তু, বয়স বাড়ার সাথে সাথে একদিন আমার কথাগুলো বুঝতে পারবে।

আমাদের কলেজের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আসেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য নায়ক সাইফুল আজম।সেদিন সাইফুলকে দেখার পর আমার অনেক ভালো লাগে ওকে।সেসময় ভাইয়ার রাজনীতির দাপট ছিল অনেক, সেইসূত্রে সাইফুলের সাথে আমার একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। সময় অতিক্রম হবার সাথে সাথে আমাদের এই ভালো সম্পর্ক ভালোবাসার সম্পর্কে পরিণত হয়।
সাইফুলের আমাকে দেয়া বিয়ের প্রতিশ্রুতি ছিল পুরোটাই স্বপ্নের মতো।
আমি সাইফুলের ভাবনায় এতটাই মগ্ন ছিলাম যে বিয়ের আগে ওর সাথে শারীরিক সম্পর্ক হতে থাকে।
হুট করে সাইফুল আমার সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। ওর শুটিংয়ের জায়গায় গিয়ে ওর দেখা পেতাম না।আমার মনে হচ্ছিল ও আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছে।
একদিন,খেয়াল করলাম আমার দু’বার পিরিয়ড মিস হয়েছে,আতঙ্কে পুরো শরীর কাঁপছিল আমার।
আমার সখি তামান্নাকে নিয়ে চলে গেলাম হসপিটালে। সেখানে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পর জানতে পারি আমি সন্তান-সম্ভবা।
একদিকে সাইফুল আমার সাথে যোগাযোগ করছে না অন্যদিকে ওর অনাগত সন্তানের মা হতে যাচ্ছি আমি। সব মিলিয়ে একটা বিশ্রি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল।
তামান্না আমাকে বুঝিয়ে বলে,সাইফুলের বাড়িতে যেয়ে ওর সাথে সামনাসামনি আলোচনায় বসতে। আর সাইফুল যদি জানতে পারে আমাদের সন্তান পৃথিবীর আলো দেখবে তাহলে সাইফুল আমাকে খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে করবে।
আমি তামান্নার কথায় যুক্তি পেলাম তাই চলে গেলাম সাইফুলের বাড়িতে। সেখানে যাবার পর আমি জানতে পারি, সাইফুলের বিয়ে ঠিক হয়েছে শহরের নামকরা ব্যবসায়ীর মেয়ের সঙ্গে। আর সাইফুলকে আমি যখন বললাম আমি ওর সন্তানের মা হতে যাচ্ছি তখন ও সবটা শুনে কি বলে জানো? বলে কার নষ্টের ফল পেটে নিয়ে আমি এখন সাইফুলের নামে চাপিয়ে দিতে চাচ্ছি।

সাইফুলের কাছ থেকে তিক্ত বাক্য শুনে আমি পাথর হয়ে গেলাম। এ কোন সাইফুলের কাছে নিজের ভালোবাসা সর্বস্ব সঁপে দিয়ে ছিলাম!

খেয়া এতটুকু পড়ার পর হয়তো বুঝতে পারছো কেন আমি এমন একটা ঘৃন্য কাজ করতে যাচ্ছি?
শুধুমাত্র তোমার কাছে একটা অনুরোধ করে যাচ্ছি, তুমি কখনো কোনো নায়কের প্রেমে পড়ো না, সাদামাটা মানুষকে নিয়ে জীবন পাড়ি দেয়া অনেক ভালো। নায়কদের নাটকীয় সংলাপের সাথে ওদের বাস্তবিক জীবনের সংলাপ পুরোটাই অভিনয়ে ভরপুর থাকে।

কখনো এই চিঠিটা কাউকে দিবে না,এমনকি তোমার বাবা-মা,দাদা-দাদিকে। এই চিঠিটা যদি উনারা পড়ে তবে অনেক কষ্ট পাবে। তুমি কি চাইবে তোমার কাছের লোকেরা কষ্ট পাক?

ভালো থেকো, তোমার প্রত্যেকটি দোয়ায় আমাকে স্মরণ করো।

ইতি
তোমার রেনু ফুপি

চিঠিটা পড়া শেষ করে আরও একটি চিঠির খাম খুলে চিঠি বের করে পড়তে শুরু করলো,ফায়েজ।

প্রিয়,
বলব না আপনাকে,

চিঠিটা আমার রেনু ফুপির।আমার মায়ের পর আমার রেনু ফুপির মমতার ছায়াতলে বড়ো হয়েছি আমি।রোজকারের মতো ফুপির বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে ছিলাম আমি। কিন্তু, সকালে ঘুম থেকে জাগার পর আমার রেনু ফুপিকে দেখেছিলাম, ফ্যানের সাথে পুতুলের মতো ঝুলে ছিল।কি বিভৎস সেই দৃশ্য! আমি নয় বছরের ছিলাম তখন। আমার চিৎকারে বাবা-মা, দাদা-দাদি সবাই ঘরে এসে দেখে,রেনু ফুপি আত্মহত্যা করেছে।
ফুপির আত্মহত্যার কারণ কেউই খুঁজে পায়নি। আমিও জানতাম না। বাবার রাজনীতির দাপটে হোক ফুপির এই অস্বাভাবিক মৃত্যুকে স্বাভাবিক মৃত্যু ঘোষণা করে ফুপির দাফন সম্পন্ন হয়।
একদিন,হুট করে ফুপির দেয়া সেই ডায়েরির কথা মনে পড়লো আমার। ডায়েরি বের করে প্রথম পাতায় চোখ রাখতে দেখতে পেলাম আমার আর ফুপির ছবি। ফুপির গলা জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি।
দ্বিতীয় পাতায় উল্টাতে একটি খাম দেখতে পেলাম। খাম খুলে পেলাম আমার ফুপির হাতের লেখা চিঠি। চিঠিতে লেখা এক একটি শব্দ আমার মস্তিষ্কে প্রভাব ফেললো।
আমার ফুপির জীবন শেষ করার কারণ ছিল নায়ক সাইফুলের ঘৃন্য অবদান। সে কেন আমার ফুপির সাথে এমন করেছিল আমি জানতে চাই?কিন্তু,আমি জানতে পারি না কারণ আমার ফুপির বারণ করেছে।
আমার খুব রাগ হয় যখনি ফুপির বারণ মনে পড়ে। ফুপি তো কবেই এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে কিন্তু সেই নরপশু সাইফুল এখনও পৃথিবীর বুকে উল্লাসে মেতে আছে।
আমি জানি আমার ফুপির মৃত্যুর কারণ কে ছিল কিন্তু আমি বিচার চাইতে পারি না আমার মৃত ফুপির বারণের জন্য।

নায়ক সাহেব, আপনি হয়তো ভাবছেন আর আমার পরিবারের কেউ আমার ফুপির মৃত্যুর কারণ জানে না, সে জায়গায় আপনাকে কেন জানাচ্ছি?

যখন থেকে আমার বয়স বাড়তে লাগলো তখন থেকে আমি ফুপির সব চিঠির অর্থ বুঝতে পারি। তখন থেকেই আমার এই চলচ্চিত্র জগতের প্রত্যেকটি মানুষকে কেন যেন সহ্য কারতে পারিনি!

আপনার সম্পর্কে আমি প্রথম যেদিন জানতে পারি সেদিন আমার ফুপির সাথে ঘটে যাওয়ার স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায়।তাই আপনাকে যা ইচ্ছে তাই বলেছি কারণ আমি ভাবতাম নায়কেরা এমনই হয়।

এরপর, আপনারা বাবা এলেন আমার সাথে দেখা করতে, কিছু সময় পর আপনিও এলেন।আপনাকে দেখার পর আমার বিরক্তি ছাড়া আর কিছুই হয়নি।

আমাদের দু’জনের দু’বারের সাক্ষাতে আমি আপনাকে আমি অনেক কিছু বলেছি কিন্তু আপনি পাল্টা জবাব দেননি। অথচ, আপনি চাইলে অনেক কিছু আমাকে বলতে পারতেন।

আমার জন্মদিনে বাবার হুট করে এনগেজমেন্ট এনাউন্সমেন্ট শুনে আমার দম আঁটকে যাবার উপক্রম কিন্তু আমার একটা না শব্দের উচ্চারণে বাবার কতটুকু অপমানিত বোধ করবে এই কল্পনা, সেই সাথে আপনারা ক্যারিয়ারের শুরু দিকে এসে একটা ফলস নিউজ আপনার জীবনে কতটা বিরুপ প্রভাব ফেলবে এরকম ভেবে সবকিছু মিলিয়ে আপনাকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছি। আমার বাবার ভুলের জন্য আপনি কেন সাফার করবেন?
সে সময়টাতে আমি নিজেকে যতটা শক্ত ভাবছিলাম কিন্তু আমি ঠিক ততটা শক্ত ছিলাম না।
হুট করে আমার অপছন্দের পেশায় যুক্ত মানুষটাকে আমি আমার জীবনের সাথে জড়াতে চাইছি এই ব্যাপারটা আমার ভয়ের কারণ হয়ে যাচ্ছিলো।উপায় না পেয়ে আপনার সাথে দেখা করে শর্ত জুড়ে দেই। আপনি বিনাবাক্য রাজি হয়ে গেলেন।
আমি ভীষণ অবাক হয়ে ছিলাম জানেন,কেন না একজন পুরুষ বিয়ে করে তার স্ত্রীর কাছে নিজের স্বামিত্ব ফলাতে পারবে না এই ব্যাপারটা ক’জন পুরুষ শর্ত হিসেবে মেনে নিবে!
আপনার সাথে মোবাইলে কথা বলা, শপিংয়ে যাবার পর আপনার মায়ের সাথে আপনার কথোপকথন,হলুদের দিনে আপনার বলা কথা, দুষ্টুমি সব আমার মনে একটু একটু করে ভালোলাগার ক্ষত সৃষ্টি করতে শুরু করেছিল।
আপনি বললেন না আপনি আমাকে বিয়ের রাতে সারারাত চোখের দেখা দেখে ক্লান্ত হয়েছেন?অথচ, সেই রাতে আমি আপনার পরীক্ষা নেবার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম।আপনি সে রাতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন। এরপর দিন আমাদের বাড়িতে আপনাকে একপ্রকার সারারাত অপেক্ষায় রেখে রাগাতে চেয়েছিলাম কিন্তু আপনি রাগ করেননি। সকালে ঘুম থেকে জাগার পর যখন দেখলাম, আপনি হাসিমুখে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে, আমার তখন অনেক রাগ হয়েছিল আপনার উপর। মনে হচ্ছিল আপনি আমার সব প্লানিং জেনে গেছেন, তাই ওসব ভান করে আমার মন জিতে নিতে চাচ্ছেন তাই রাগ করে আপনারা সাথে নিষ্ঠুরের মতো ব্যবহার করেছি।

এতকিছুর পরও যখন ফাহিম এসে বললো,আপনি ইন্ডিয়ায় চলে যাচ্ছেন। তখন আমার হয়েছে আমার অনেক কাছের মানুষ আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। চলে গেলাম এয়ারপোর্টে সেখানে গিয়ে আপনাকে দেখে প্রথমবারের মতো প্রেমে পড়লাম।এমন প্রেমে পড়েছিলাম, যে আপনাকে ছুঁয়ে দেখার জন্য লোভ সামলাতে পারিনি, তাই তো আপনার অনুরোধ রাখার ভান করে আমি আমার চাহিদা মিটিয়েছি।
আপনি তো চলে গেলেন অথচ আপনার সেই জড়িয়ে ধরার সেই অনুভব,আপনার গায়ের গন্ধ সবটা আমার গায়ে জড়িয়ে রাখতে আমি সেই হলুদ শাড়িটা ধুয়ে পর্যন্ত দেয়নি।
সে দিনের পর থেকে আমার আপনাকে ভালোবাসা শুরু হলো। একদিকে আপনাকে ভালোবেসে অজানা শিহরণে কেঁপে কেঁপে উঠছিলাম অন্যদিকে আমার ফুপিকে ধোঁকা দেয়া সেই নায়ক সাইফুলের কথা মনে পড়তেই আমি ভয় পাচ্ছিলাম, আপনাকে ভালোবাসার ভয় পাচ্ছিলাম।
এরপর,একরাতে বাবা আমাকে নিয়ে আপনাদের বাড়িতে নিয়ে গেলো। সেখানে যাবার পর আপনার এত অসুস্থতা দেখে আমি চুপসে গিয়েছিলাম। সারাটা রাত আমি আপনার মুখের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিয়েছি আর নিজের মনের সাথে, নিজের মস্তিষ্কের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করেছি। মস্তিষ্ক বলছে এক যুক্তি আর মন বলছে আরেক যুক্তি।
সারারাত নিজের সাথে যুদ্ধ করার পর নওশিনের কথা শুনে যা বুঝতে পারলাম আপনি আমাকে পছন্দ করেন। তাই আপনাকে রাগানোর জন্য হোক বা আপনার মনের অনুভূতি জানার জন্য হোক আমি আপনার ফিলিং নিয়ে কথা বলেছিলাম।
আপনি খুব শক্ত জবাব দিয়েছিলেন আমায়। আপনার জবাবে আমি যতটা খুশি হয়েছি তারচেয়ে কাঁপছিলাম আপনার মুখ থেকে সেই ম্যাজিকাল তিনটি ওয়ার্ড শুনে।
ফায়েজ,আপনি হয়তো আমাকে বিয়ে করেছেন এই জিনিসটা খুব স্পেশাল ভেবে এসেছেন কিন্তু আমি আপনাকে বিয়ে করেছি এই ব্যাপারটাকে একটা গেইমের মতো করে খেলেছি। আপনাকে প্রতিনিয়ত হারাতে চেয়েছি কিন্তু আপনি আমার ভাবনাকে হারিয়ে প্রতিটি ধাপে জিতে দেখিয়েছেন। আপনার জিত আমার হারের কারণ হলেও আমি বড্ড খুশি কারণ এরকম নায়ক কজন পায় যারা কাছে ভালোবাসার চেয়ে বড়ো কিছু নেই। আপনি শরীর ছুঁয়ে দেখার চেয়ে আমাকে দেখে ক্লান্ত হতে চেয়েছেন। আমার তিক্ত বাক্য জর্জরিত হয়েছেন কিন্তু আমাকে এমন কোনো বাক্য বলেননি যারা জন্য হলেও আমি একটু কষ্ট পাবো। আমার প্রত্যেকটি কথায় আপনি সায় দিয়েছেন এই জিনিসটা আমার ভালো লাগতো না।কারণ,ভালোবাসলে আদায় করে নিতে হয়। ভালোবাসা তো আর আপনার কাছে এসে ধরা দেবে না। এই একটা ব্যাপার নিয়ে আমি আপনার উপর ভীষন রেগে আছি।

সর্বশেষ, একটি কথা আপনাকে জানাতে চাই ফায়েজ,আমার আপনাকে ভালোবাসা ছাড়াও একটি স্বপ্ন আছে আর তা হলো সাংবাদিক হওয়া। আমার ফুপির কারো কাছ থেকে এতটা ধোঁকা পেয়ে দুনিয়া ছেড়ে যাওয়া ব্যাপারটা আমি এখন মেনে নিতে পারিনা। তাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড়ো লক্ষ্য হলো দেশের বড়ো সাংবাদিক হয়ে নায়ক সাইফুলদের মতো মানুষদের এক্সপোজ করা। শুধু নায়ক কেন সাধারণ অনেক পেশার মানুষ মেয়েদের সাথে এরকম ঘৃন্য কাজ করে। আমি চাই আমার জীবনের অর্ধেক অংশ এই বিষয়ে কাজে লাগিয়ে মেয়েদের সাহায্য করতে।

এই যে আপনি আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অজস্র ভালোবাসা দিয়ে আমি তো আপনার হাত খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে পারবো না। কারণ, আপনাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়া মানে আমাকে শূন্য করে ফেলা।

আমার কথার মর্মতা হয়তো আপনি বুঝতে পারবেন। আমি অপেক্ষায় থাকবো কোনো এক কৃষ্ণচূড়ার গাছের ছায়াতলে আপনি নাহয় এসে নিয়ে যাবেন আপনার মন-ময়ূরীকে।

ইতি
নায়ক সাহেবের একমাত্র বৌ
খেয়া

চিঠি শেষ করে ফায়েজ মুচকি হেঁসে উঠলো। আব্দুল জব্বার তার স্যারের দিকে তাকিয়ে বললো,

-কি হয়েছে, স্যার?ভাবি কিছু বলেছে?

-না, তোমার ভাবি কিছুই বলেনি। আর তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

-ধন্যবাদ দিয়ে আমাকে ছোট করবেন না স্যার।

-ধন্যবাদ এইজন্য দিচ্ছি কারণ তুমি সঠিক সময়ে আমাকে এই চিঠি দুটো পৌঁছে দিয়েছো নয়তো আমি আজ বাংলাদেশ থেকে বহুদূরে চলে যেতাম।
আচ্ছা, তোমাদের ভাবির হোস্টেলের কাছাকাছি কোনো কৃষ্ণচূড়া গাছ আছে?

-জি স্যার আছে। কেন স্যার ভাবি আপনাকে ওখানে যেতে বলছে?

ফায়েজ আব্দুল জব্বারের প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে নিজে নিজে হেসে উঠলো,আর চিৎকার করে বলছে,

“বহুদিন পর হোক আমার মন ময়ূরী তবে আমার হলো”

আব্দুল জব্বার বেকুবের মতো তাকিয়ে আছে ফায়েজের দিকে আর ভাবছে তার স্যার পাগল হয়ে গেলো না-কি?

#চলবে

(আসসালামু আলাইকুম। আরও একটি পর্বের পর এই গল্পের সমাপ্তি ঘটবে। লিখতে যেয়ে বুঝলাম গল্পের আরও একটি পর্ব দেয়া লাগবে। হ্যাপি রিডিং)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here