Torture with love-2😍Part-3

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_3

নদী: ( ধুর কি যে হচ্ছেনা। ঐ ছেলের সাথে আর ঝগড়া করতে ইচ্ছে করে না। আর কত ঝগড়া করবো। এখন থেকে আর কিছু বলবো না। না বলেও তো থাকতে পারিনা। কি কথাগুলো শোনায়। আসছে আমার বাপের বেটা হুহ। হাটছিলাম আর একজন এর সাথে বার বার আটকে যাচ্ছি। আমি যে পাশে যাচ্ছি উনিও ঐ পাশ দিয়েই যাচ্ছে উফফ উপরে তাকিয়ে দেখি রাক্ষসটা )

নিলয়: কোনো সমস্যা ? যেতে তো দিবা নাকি ??

নদী: তো আপনিও তো আমাকে যেতে দিচ্ছেন না। কি সমস্যা আপনার ?

নিলয়: আমার সাথে কেউ কখনও জোরে কথা বলেনা ( রেগে )

নদী: আমি কাউকে ভয় পাইনা ( চিল্লিয়ে )

নিলয়: ( ওর কথা শুনে রাগ উঠে গেলো। সাথে সাথে ওকে দেয়ালে চেপে ধরলাম ) কি বললে তুমি ( চিল্লিয়ে + রেগে )

নদী: ( আমি কিছু বলার আগেই টেনে দেয়ালে চেপে ধরলো। আমি তো ভয়ে শেষ। সাথে সাথে চোখ বন্ধ করে ফেললাম )

নিলয়: এখন খুব ভয় লাগছে তাইনা ?

নদী: আমি..বললাম না কাউকে ভয় পাইনা ( ভয়ে ভয়ে )

নিলয়: আচ্ছা তাই। এতো সাহস তোমার ? তো তোমার কথা এরেকুম শোনাচ্ছে কেনো শুনি??( নদীর গালে এক আঙ্গুল দিয়ে Slide করতে করতে )

নদী: ( নিলয় গালে হাত দিতেই আমি কেঁপে উঠলাম ) ছিঃ তুমি এতো খারাপ ( বলেই নিলয় কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দৌড়ে ওখান থেকে চলে এলাম )

নিলয়: ( ওর অবস্তা দেখে হাসতে হাসতে শেষ আমি )

নদী দৌড়ে চলে গেলো…আর নিলয় দাড়িয়ে দাড়িয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে….গিটার ঘাড়ে নিয়ে চলে গেলো………

________________________________________

নীলা: নাদিয়া কালকে আমার বাইক রেস আছে।

নাদিয়া: নীল ভাইয়া তো তোর সাথেই বাইক রেস এ আছে।

নীলা: জানি আমি। আচ্ছা সাগরের সাথে কিছু হয়েছে ?

সাগর: উহু নাদিয়ার সাথে আমার কিছু হয়নি।

নীলা: তুই কোথা থেকে এলি ?

সাগর: তোদের পিছেই ছিলাম।

নীলা: আমার বাসায় যেতে হবে।

নীল: ( নীলার হাত ধরে ) চলো আমি Drop করে দিচ্ছি। নাদিয়া তুই সাগরের সাথে চলে যা। সাগর বাসায় যাওয়ার পথে নাদিয়া কে বাসায় নামিয়ে দিস।

নীলা: আমি তোমার সাথে যাবোনা নীল। হাত ছাড়ো আমার😡

নীল: তুমি কি চাও আমি রাস্তায় কিছু করি তোমার সাথে ( নীলার চোখে চোখ রেখে )

নীলা: ( আমি আর একটা কথাও বললাম না ) বাই গাইজ . কালকে দেখা হচ্ছে।

________________________________________
সাগর: চল নাদিয়া ।

নাদিয়া: সাগর আবার তোর কি হলো বলবি ?

সাগর: কিছুনা ( বলেই ওর হাত ধরে গাড়িতে বসালাম )

নাদিয়া: ( সাগর কেনো তুই আমাকে ভুল বুঝিস বলবি। বলতেই চোখে পানি চলে এলো )

সাগর: নাদিয়া চোখের পানি মুছ। ( করুন ভাবে )

নাদিয়া: ( সাগর তো Drive করছে। ও কি করে দেখলো আমার চোখ থেকে পানি পরছে ) আমি কান্না করছি না। তুই Drive কর।

সাগর: আমি তোকে আজকে থেকে চিনি না নাদিয়া। ছোটোবেলা থেকে চিনি তোকে আমি। আমি তোর বেস্টফ্রেন্ড.তোকে চিনতে আমি ভুল করবো ?

নাদিয়া: আচ্ছা শুধু বেস্টফ্রেন্ড ই আমরা তাইনা।

সাগর: হুমমম ( মজা নিয়ে )

নাদিয়া: ( সাগরের কথা শুনে কেমন খারাপ লেগে উঠলো। বাসার সামনে সাগর গাড়ি থামালো। আমি বের হয়ে যাবো আর সাগর হাত ধরে টান দিলো )

সাগর: ( নাদিয়া চলে যাচ্ছিলো ওর হাত ধরে টেনে ওর গালে এক সাইডে কিস করলাম। তারপর ওর চোখের পানি মুছে দিলাম ) তুই আসলে একটা পাগলি।আমি তোকে ভুল বুঝবো কে বললো তোকে। আর তুই আমার কি তুই জানিস না।

নাদিয়া: ছাড় আমি বাসায় যাবো। ভালোলাগছে না।

সাগর: কাল সকালে আমি নিতে আসবো ওকে।

নাদিয়া: হুমম।

সাগর: ( নাদিয়া চলে গেলো। আমিও চলে এলাম। কিন্তু ওর বস্ এর কাহিনী টা বুঝলাম না )
________________________________________
নীলা: ( নীল বাসার সামনে গাড়ি থামালো। আমি নেমে চলে আসবো আর নীল বলে উঠলো )

নীল: কালকে বাইক রেস আছে। তুমি কি ভুলে গেলে ? ( হাত দিয়ে চুল নাড়িয়ে )

নীলা: ( নীলের সামনে যেয়ে ) নীলা সহজে কিছু ভোলে না।

নীল: তুমি তো আমার সাথে পারবে না ( বাঁকা হাসি দিয়ে )

নীলা: তুমি এখনি কি করে বলে দিলে যে আমি পারবো না ?

নীল: আমি নীল ওকে ( নীলার সামনে আঙ্গুল উঠিয়ে )

নীলা: আমিও নীলা ওকে ( নীলের সামনে আঙ্গুল উঠিয়ে )

দুজন দুজনের অনেকটা কাছাকাছি এসে….দুজন দুজনের দিকে আঙ্গুল তুলে…..দুজনের চোখে রাগ….আর জেতার আকাঙ্খা…………….

নীল: তুমি আমার সাথে বাইক রেস দিচ্ছো। আবার জোর গলায় বলছো জিতবে ?

নীলা: সময় কথা বলবে। তুমি না নীল চৌধুরি ( কিছুটা ভাব নিয়ে )

নীল: ( নীলার হাত ধরে টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে দিলাম ) যত যাই করনা কেনো। এই নীল চৌধুরির ঘরেই তোমাকে বউ হয়ে আসতে হবে। কথাটা মনে রেখো।

নীলা: ( নীলের কাছ থেকে সরে এসে ) তোমার এই ভুল ধারোনা তোমার মাথা থেকে টোকা মেরে ফেলে দাও। আমি না চাইলে কেউ আমাকে নিতে পারবে না।

নীল: জোর করে তোমাকে নিয়ে বিয়ে করবো ( নীলাকে চোখ টিপ দিয়ে )

নীলা: ( রাগে মন চাচ্ছে ওর মাথা ফাটাই ) হুহ যতসব…..( বলেই বাসায় চলে এলাম )

নীল: নীলা কালকে হারবা তুমি ( বলেই চলে এলাম )
________________________________________

অনু: ( আমি বসে ভাবছিলাম আর মিহু পিছন থেকে এলো )

মিহু: কিতা ভাবছিস বাবুসোনা।

অনু: মিহু আমার কেনো জানিনা। একটা অন্যরকম কিছু মনে হচ্ছে।

মিহু: মানে বুঝলাম না আমি ?

অনু: মানিক আর মেঘ এর ক্ষতি কে চাইতো।

মিহু: এই জিনিসটা তো আমাকেও ভাবায়। অনু তোকে সায়েমা মারতে চেয়েছিলো কারন সায়েমা চায়নি তুই আর মানিক একসাথে কখনও থাকতে না পারিস।

অনু: তাহলে কি সায়েমা মানিক আর মেঘকে মারলো ?

মিহু: অনু সায়েমা যেদিন চলে গেলো। ও বলেছিলো যে ও আমাদের কাউকে ছাড়বে না। আর ও তোকে মারবেই। মানিকের লাইফ থেকে তোকে সরাবেই।

অনু: তাহলে কি সায়েমাই মেঘ আর মানিক কে মেরে ফেললো ?

মিহু: কিন্তু সায়েমা তো মানিক কে ভালোবাসে। তো সায়েমা মানিক কে কেনো মারবে। আর মেঘকে সায়েমার মেরে লাভ কি।

অনু: তাহলে কি সায়েমা আমাদের প্রতিদিন লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতো যে কখন আমরা কি করি।

মিহু: তাহলে কি ওদিন রাতে তুই আগে গাড়িতে বসবি…বা মানিক তোকে Drop করে দেবে সায়েমা জানতো ?

অনু: কিন্তু আমি তো গাড়িতে বসেও উঠে চলে এলাম। আমাকে মারতে গিয়ে মানিক আর মেঘকে মেরে ফেললো ?

মিহু: মানিকের বাসার দারোয়ান তো অলয়েজ ওদের বাসার গেটে থাকে। তো ঢুকলো কি করে সায়েমা বাসায়।

অনু: আমার মাথায় কিচ্ছু কাজ করছে না। সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছে আমার ( মাথায় দু পাশে হাত দিয়ে )

মিহু: আমার মাথায় সবকিছু ঢুকেও কেমন আউলিয়ে যাচ্ছে। কিছু বুঝে উঠতে পারছি না আমি।

অনু: আমি তো সব বের করেই ছাড়বো। কালকে নীলার সাথে এগুলো নিয়ে কথা বলবো।

মিহু: হুমম কাল সকালে Varsity গিয়ে কথা বলতে হবে।

________________________________________
লিসা: ( আমি কি ঠিক করছি। আমার কি আবির এর সাথে ফ্রেন্ডশিপ রাখা উচিত। নাকি অনুর জন্য আবির এর থেকে দুরে সরে যাওয়া উচিত। কি করবো বলতেই নিচে তাকিয়ে দেখি আবির গাড়িতে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আমাকে দেখছে )

আবির: ( আমি লিসার বাসার সামনে এসে দেখি ও বারান্দায় দাড়িয়ে কি ভাবছে ) কি ভাবা শেষ ? নাকি আরোকিছু আছে ভাবার ??

লিসা: তুই এতো রাতে বাসার নিচে কি করিস ???

আবির: তুই আগে বল নিচে নামবি নাকি আমি আসবো ?

লিসা: আসলেই কি আমার থেকে আমার বাবা-মার কাছে তুই বেশি আপন।

আবির: তুই ভুলে গেছিস তোর বাসায় তোর দিদা আছে। সে অন্যকিছু ভেবে পকপক করা শুরু করবে। আর তুই কি সেটাই চাস ? তাহলে আসছি উপরে আমি ?

লিসা: না না। আমি আসছি। ( তারপর আমি নিচে গেলাম )

আবির: তুই একটু আগে ফোন এ কি বললি ?

লিসা: আবির প্লিজ আমাকে কোনো কিছুতে জোর করিস না।

আবির: তুই যাবি তোর ঘারও যাবে আমার সাথে কাল।

লিসা: আমি তোর কোনো কথা শুনতে বাধ্য না। আর আমি তোর সাথে কোথাও যাবো না।

আবির: কেনো সেটা তো বল ?

লিসা: এমনি যাবো না। যা বাসায় অনেক রাত হয়ে গেছে।

আবির: ( লিসা বলেই চলে যাচ্ছিলো। ওর হাত ধরলাম ) দাড়া তুই আমার কথা আছে।

লিসা: ( হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে ) বল ?

আবির: তোর কি হয়েছে একটু বলবি ? তুই আমাকে এরিয়ে চলার চেষ্টা কেনো করছিস বলতো। ( লিসার দু গালে হাত রেখে )

লিসা: আমি তোকে এরিয়ে চলছি না। আর আমি একদম ঠিক আছি। এখন তুই বাসায় যাবি। দিদা উঠে আমাকে না দেখলে চেচাবে যা না।

আবির: তুই আজকে থেকে বুঝবি আবির কি জিনিস। আমাকে তুই বললি না তো কেনো এমন করছিস। জাস্ট আজকের দিনটা মাথায় রাখিস তুই ( বলেই রেগে গাড়ি স্টাট দিয়ে চলে এলাম )

লিসা: ( আবির তোকে যদি সবটা বলতে পারতাম তাহলে আজ কি হতো জানিনা আমি। আর তোকে যদি বলি যে আমি তোকে ভালোবাসি তাহলে তুই যদি আমার সাথে সবকিছু শেষ করে দিস, যদি আমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ টাও শেষ করে দিস। তখন কি করবো আমি )
________________________________________

চলবে………………

বি.দ্র: জানিনা কেমন লিখলাম । আর আপনাদের কেমন লাগবে । কেমন লাগলো জানাবেন Plz😊