Torture with love-2😍Part-9

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_9

নীল: নদী তোকে কি Drop করে দিতে হবে ?

নদী: না তুই যা। আমি চলে যেতে পারবো।

নীল: সিওর ?

নদী: হুমম। ( নীল চলে গেলো )

________________________________________
নিলয়: ( আমি কথা বলছিলাম আর তাকিয়ে দেখি নদী আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে )

নদী: ( আমি চোখ সরিয়ে নিলাম। ধুর নদী তুইও না। গ্রালফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড দিকে নজর দিস। বাট আমার তো কোনো খারাপ নজর ছিলো না। ঐ বজ্জাত ছেলেই তো বললো ওর নাকি Varsity তে কোনো ফ্রেন্ড এর দরকার নেই। তাইতো দেখলাম কে এটা। বলতেই সামনে তাকিয়ে দেখি দু পকেটে হাত রেখে দাড়িয়ে আছে নিলয় ) আপনি ???

নিলয়: তুমি ওভাবে আমাদের কেনো দেখছিলে ( করুন ভাবে )

নদী: আমি আপনাদের দিকে কেনো তাকাতে যাবো। ওদিকে কি আপনারা একা ছিলেন নাকি। কত ছেলে মেয়েই তো ছিলো।

নিলয়: ওহ্ জাস্ট সাট আপ ওকে।তুমি আমাদেরই দেখছিলে। নিলয় এর এগুলো একদমই পছন্দ না। যে ওকে কেউ ‌ফলো করুক। তোমার সাহস তো দেখছি অতিরিক্ত ( চিল্লিয়ে )

নদী : আজব তো। আমি আপনাদের কেনো দেখতে যাবো। আপনি‌ আপনার গ্রালফ্রেন্ড এর সাথে যা ইচ্ছা করুন আমি কেনো দেখতে যাবো।

নিলয়: তুমি আসলেই একটা স্টুপিড মেয়ে। তোমাকে যেনো Next টাইম আর কখনো আমার সামনে না দেখি গট ইট।

নদী: আপনার একার Varsity নাকি ? আমি Varsity র যে জায়গায় ইচ্ছা যাবো।

নিলয়: ( ওর কথা শুনে রাগ উঠে গেলো। ওর দিকে আগাতে আগাতে ) এই তোমার কি আমাকে একটুও ভয় লাগেনা। তোমার কোনো ধারনা নেই আমি কতটা খারাপ ?

নদী: ( এটা আবার আগায় কেনো। ওদিন এর মত কিছু করলে। আমি ভাগি বলেই দোড় )

নিলয়: স্টুপিড একটা।
________________________________________
নীল: নীলালালালা দাড়াও বলতেছি।

নীলা: আমি যাবোনা তোমার সাথে। আমি একা চলে যাবো।

নীল: নীলা এখন কিন্তু অতিরিক্ত হচ্ছে ?

নীলা: ( নীল এর কথা শুনে দাড়িয়ে গেলাম ) কোনটা অতিরিক্ত হচ্ছে নীল ?

নীল: চলো আমার সাথে তুমি।

নীলা: এনাফ নীল ( চিল্লিয়ে )

নীল: প্লিজ ?

নীলা: তুমি কি বুঝোনা আমি তোমাকে ভালোবাসি না ? আমি তোমাকে অলয়েজ এরিয়ে চলি ?? নীল প্লিজ লিভ মি এলোন. ( বুকে পাথর রেখে )

নীল: সিওর নীলা ইউ ডোন্ট লাভ মি ?

নীলা: আমি সিওর হয়েই তো বললাম ( অন্যপাশ ফিরে )

নীল: ওকে ফাইন ।আজকের পর থেকে আমি আর কখনও তোমাকে ডিস্টাব করবো না প্রমিস।

নীলা: Thank you so much নীল চৌধুরি।

নীল: ( আমি আর কিছু না বলেই ওখান থেকে চলে এলাম )

নীলা: ( আমিও উল্টো পথে ঘুরে চলে এলাম )
________________________________________
লিসা: ( আবিরের বাসায় গেলাম। আন্টি গেট খুললো। আন্টিকে জরিয়ে ধরলাম ) কেমন আছো তুমি আন্টি।

আবিরের মা: এইতো ভালো আছি। তুই তো এখন আসিস ই না। কোথায় হারিয়ে যাস তুই ?

লিসা: এই যে এখন তো আসলাম।

আবিরের মা: বস তুই আমি আসছি। নয়তো উপরে যা আবির রুম এ ই আছে।

লিসা: হুমম। ( যাবো উপরে ? না আমি ওর সাথে কেন কথা বলবো ও না বললে। কিন্তু লুকিয়ে দেখতে কি প্রবলেম । বলেই উপরে গেলাম। গিয়ে দেখি বারান্দায় বসে গিটার বাজাচ্ছে। আমি পদার পিছে লুকিয়ে ছিলাম )

আবির: ( মনে হচ্ছে কেউ আমাকে দেখছে। গিটার রেখে গেলাম রুমের বাহিরে। কেউ তো নেই রুমের সামনে। আমারি ভুল হয়তো )

লিসা: ( আবির ভেতরে চলে গেলো।আমি সামনে যাবো আর হাত লেগে ফুলদানি টা পরে গেলো। আমি শেষ। বলেই দোড়ে চলে যাচ্ছিলাম আর কেউ হাত টেনে রুমের ভেতরে নিয়ে গেলো। তাকিয়ে দেখি আবির ) তুই এ..এভাবে টান কেনো দিলি।

আবির: ( আমি দরজার সামনে দাড়িয়ে দেখি পদার পিছে কারো ছায়া। আমিও কিছুক্ষন লুকিয়ে রইলাম লিসা বের হলো পদার আরাল থেকে আর ফুলদানি পরে গেলো ও তো দোড়। ওকে টেনে রুমে নিয়ে এলাম ) আমি জানতাম না আমার বাসায় এতো বড় চোর ও আছে সিরিয়াসলি।

লিসা: মানে😡

আবির: মানে তুই যে এতবড় চোর আমি জানতাম ই না।

লিসা: তুই আমাকে চোর বললি😡

আবির: তো আর কি বলবো ? চোরের মত লুকিয়ে আমাকে দেখছিলি কেনো ? তোর কি আমার রুমে আসা বারন ?

লিসা: সর তুই। আমি যাবো আন্টি নিচে বসে আছে।

আবির: এটা তো আমার প্রশ্নর উওর না ?

লিসা: ভালো করেছি লুকিয়ে দেখেছি। তুই অন্য মেয়ের সাথে কথা বলতেই পারিস। তাই লুকিয়ে দেখছিলাম।

আবির: আমি অন্য মেয়ের সাথে কথা বললে তোর কি ( ওকে দেয়ালে চেপে ধরে )

লিসা: আমা…আমার কি হবে। আমার কিছুনা।

আবির: তো তুই দেখবি কেনো লুকিয়ে ?

লিসা: ( দিলাম ওকে ধাক্কা ) ইচ্ছা তাই। তোকে বলতে বাধ্য না। ( বলেই নিচে চলে এলাম )

আবির: ( আমি ওর কাহিনী দেখে হেসে দিলাম। কিছুই বুঝিনা ওর কাহিনী )
________________________________________

নাদিয়া: কি করবো কিছু বুঝতে পারছি না আমি। সাগর কেনো তুই আমাকে এতো ভুল বুঝিস।

সাগর: ( আমি গাড়ি Parking এর ওদিকে যাবো দেখি নাদিয়া রাস্তার মাঝখান দিয়ে হেটে যাচ্ছ )

নিলয়: ( আমি যাচ্ছিলাম আর দেখি নাদিয়া রাস্তার মাঝখান দিয়ে যাচ্ছে। পিছনে একটা গাড়ি হন বাজিয়ে যাচ্ছে। ওর তো কানেই যাচ্ছে না )

সাগর: ( Shit নাদিয়ার পিছে গাড়ি হন বাজিয়ে যাচ্ছে। ওর কোনো হুস ই নেই ) নাদিয়া…….

নিলয়: ( আমি দোড়ে গিয়ে নাদিয়ার হাত ধরে দিলাম টান )

সাগর: ওহ সিট….

নাদিয়া: ( মনে হলো হাত ধরে কেউ টান দিলো। আমি তাল সামলাতে না পেরে পরে গেলাম আর ধরে ফেললো। তাকিয়ে দেখি নিলয় )

নিলয়: ( ও পরে যাচ্ছিলো ধরে ফেললাম। তারপর ওকে দাড়া করলাম ) মাথায় কি সমস্যা আছে নাকি ?কোন খেয়ালে হাটো রাস্তায় আজব।

সাগর: তুই কি পাগল নাদিয়া। এখন যদি তোর কিছু হয়ে যেতো ?

নাদিয়া: আ’ম সরি নিলয়। আমি আসলে খেয়াল করিনি।

নিলয়: এখনি তো উপরের টিকিট রেডি হয়ে যাচ্ছিলো। রাস্তায় হাটার সময় একটু খেয়াল করে হেটো। পরের বার থেকে এনিওয়ে বাই।( বলেই চলে এলাম )

________________________________________
সাগর: তোর প্রবলেম কি একটু বলতো ?

নাদিয়া: আমি খেয়াল করিনি।

সাগর: এখন যদি তোর কিছু হতো ডেম ইট। ( রেগে + চিল্লিয়ে )

নাদিয়া: আমার কিছু হলে তোর তো কিছু আসে যায় না তাইনা ?

সাগর: জাস্ট সাট আপ নাদিয়া। আর একটা কথাও তুই বলবি না।

নাদিয়া: ( আমি মাথা নিচু করে দাড়িয়ে ছিলাম )

সাগর: ( দেখলাম এখনও কান্না করে যাচ্ছে। সামনে গিয়ে ওর গালে দু পাশে হাত রেখে ওর দু চোখে ভালোবাসার পরস দিলাম )

নাদিয়া: ( এর ঠোঁটের ছোয়া লাগতেই কেপে উঠলাম। সাগরকে জরিয়ে ধরলাম )

সাগর: তুই প্লিজ এরেকুম করিস না। তোর কিছু হলে আমি থাকতে পারবো না ( ওকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে )

নাদিয়া: আমি গাড়ি আনিনি আমাকে Drop করে দে।

সাগর: চল।
________________________________________

অজানা ছেলে: পরশু কিন্তু আমাদের যেতে হবে।

অজানা মেয়ে: I think তোদের Fab 5 এর Performance এর আগে পৌছতে হবে ?

অজানা ছেলে: হুমম। Fab 5 এর Performance এর আগে না পৌছলে ধামাকা দিবো কি করে।

অজানা ছেলে: সব শেষ করে দেবো ( রেগে )

অজানা মেয়ে: কাউকে ছাড়বি না।

অজানা ছেলে: আমাদের এতোদিন এর Plan পরশুদিন সব খতম হবে।

অজানা মেয়ে: প্লেন টা খুব সাবধানে ঘটাতে হবে।

অজানা ছেলে : দেখা যাক আগে তো যাই। তারপর সব দেখা যাবে।

অজানা মেয়ে: আই উইস সব খতম হয়ে যাক।

অজানা ছেলে: সব খতম করে দিবো। আর ওদের Performance ও ( শয়তানি হাসি দিয়ে )

তিনজন মিলে শয়তানি হাসি দিলো……কারন ওদের সব প্লেন অনুযায়ী হচ্ছে……………….

চলবে………………

বি.দ্র: কেমন লিখলাম জানিনা😊কেমন লাগলো জানাবেন Plz😊