Torture with love 2😍Part-21

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_21

মানিক: গুড মনিং গাইজ।

মিহু: হুমম গুড মনিং।

নীলা: এই লিসার কি হলো বলতো ?

মেঘ: হুমম লাস্ট ৪ দিন হয়ে গেলো Varsity আসছে না। আমাদের ফোন তুলছে না।

নদী: ওর বাসায় গেছিলাম তো বললো যে ও নানু বাসায়।

অনু: বুঝলাম নানু বাসায় বাট ফোন না ধরার কি হলো। ফোন তো ধরাই যায় ?

নীল: সেটাই তো কথা আমারও। কাল রাতে ওকে অনলাইন দেখলাম মেসেজ ও দিলাম। বাট নো রিপ্লে।

নিলয়: আচ্ছা আবির তোর সাথে কিছু হয়েছে নাকি ? মানে তুই কিছু জানিস ??

আবির: আজব আমি কি করে জানবো ওর বেপারে। তোরা যেখানে আমিও তো সেখানেই ?

মানিক: হুমম তা ঠিক। কিন্তু লাস্ট ৪ দিন আগে তোর সাথে ওর ঝগড়া হয়েছিলো।

আবির: আমি কিছু জানিনা। ( বলেই হলরুম থেকে বের হয়ে গেলাম )

লিসা: ( আমি Varsity তে ঢুকছিলাম। আর একটা ছেলে পিছে থেকে এলো ) কে আপনি ?

জাবের: তুই আমাকে চিনিস না সিরিয়াসলি ?

লিসা: তোর সাথে তো কথা বলতেও রাগ উঠে যায়। এতোদিন আমার কথা মনে ছিলো না আর আজকে মনে পরে গেলো ?

জাবের: সরি সরি দস্ত আমি একটা কাজ এ বিজি ছিলাম। অনু কোথায়?

লিসা: হলরুম এ আছে।

জাবের: আমি ওর সাথে দেখা করে আসছি ওয়েট।

________________________________________
লিসা: ( আমি যাচ্ছিলাম আর কেউ মনে হলো টান দিলো ) আরে জাবের….( তাকিয়ে দেখি আবির )

আবির: ( দেখলাম লিসা Varsity তে এসেছে আজ। আমি যাবো ওর কাছে তার আগেই একটা ছেলের সাথে কথা বলে যাচ্ছে। আমার রাগ উঠে গেলো। ওকে টেনে দেয়ালে চেপে ধরলাম )

লিসা: আরে সমস্যা কি তোর ?

আবির: জাস্ট সাট আপ। এই ৪ দিন কোথায় ছিলি তুই ?

লিসা: আবির আমাকে ছাড়। আমি তোর কোনো প্রশ্নর উওর দিতে পারবো না।

আবির: কি বললি তুই ? তুই আমার কথার উপর এ যাচ্ছিস ?

লিসা: দেখ আবির আমি তোর সাথে কোনো ঝগড়া করতে চাচ্ছি না। ছাড় আমাকে।

আবির: এই ৪ দিন তুই আমার ফোন ধরিস নি কেনো ইনফেক্ট তুই কারো ফোন ধরিস নি কেনো ? ( রেগে + চিল্লিয়ে )

লিসা: তুই আমার উপর চিল্লানোর কে ? আমি আমার লাইফে কি করবো না করবো আমার বেপার তোর কি তাতে।

আবির: আজ একটু আগের ঐ ছেলেটা কে ছিলো ( রেগে )

লিসা: সে যেই হোক তোকে কেনো বলবো আমি।তোর গ্রালফ্রেন্ড এর বেপারে আমি কখনও তোকে কিছু জিঞ্জাসা করেছি ? তো তুই কেনো প্রশ্ন করছিস আমাকে । ছাড় আমাকে আবির। ( বলেই আবির কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম )

আবির: তুই কোনো ছেলের সাথে কথা বলবি না ( রেগে )

লিসা: এটা আমার লাইফ। আর তুই এখন আমার কিচ্ছু লাগিস না। সো আমি কার সাথে কথা বলবো কি করবো তোকে বলতে বাধ্য না।

বলেই লিসা চলে যাচ্ছিলো….আবার আবির লিসার কোমড় টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে দিলো….আবির লিসার এতোটা কাছে ছিলো যে….লিসা আবিরের প্রতিটা গরম নিশ্বাস ফিল করতে পারছিলো……আবির লিসার কোমড় টেনে ধরতেই লিসা কেঁপে উঠে….আর কাঁপতে থাকে…..লিসা ভয়ে কিছু বলতেও পারছিলো না…আবিরের রাগ দেখে….লিসা কখনও আবিরের এই রুপটা দেখেনি আগে…..এতো রাগ………………..

আবির: এর মধ্যে তুই বয়ফ্রেন্ড ও বানিয়ে নিলি ?

লিসা: হুমম তাতে তোর কি। ছাড় আমাকে তুই।

আবির: লিসা আমি কিন্তু লাস্ট টাইম বলছি। তুই ঐ ছেলের থেকে দুরে থাকবি ( রেগে+ চিল্লিয়ে )

লিসা: আমি তো বললাম তোর কথা শুনতে আমি বাধ্য না। সো লিভ মি।

বলেই লিসা নিজেকে…আবিরের থেকে ছুটিয়ে….দোড়ে সেখান থেকে চলে গেলো…..আর আবির রাগে….দেয়ালে একটা জোরে ঘুশি দিলো…..তারপর হলরুম এ গেলো……..

________________________________________

জাবের: আমি কি আসতে পারি ?

অনু: ( মনে হলো জাবেরের গলা। পিছে ফিরেই দেখি জাবের ) জাবের তুই ???

মিহু: ( গিয়েই জাবের কে জরিয়ে ধরলাম ) ইয়ার কতদিন পর দেখা হলো তোর সাথে।

জাবের: হুমম আমি একটু কাজে বিজি ছিলাম। তাই এতোদিন আসতে পারিনি।

মিহু: ( জাবের কে ছেড়ে দিয়ে ) তোদের কি খবর সেটা বল ?

অনু: ওর তো জানার কোনো দরকার আছে বলে আমার মনে হয়না।

জাবের: ( গিয়ে অনুকে জরিয়ে ধরলাম ) আ’ম সরি আমার পিচ্চি।

অনু: ( আমিও জরিয়ে ধরলাম জাবের কে। মানিকের দিকে তাকিয়ে দেখি রাগে লাল টমেটো না তার চেয়েও বেশি লাল হয়ে আছে। মনে হচ্ছে এখনি কাঁচা গিলে খাবে )

জাবের: ( অনুকে ছেড়ে ) তোরা প্লিজ আমার সাথে রাগ করে থাকিস না।

মানিক: ( ছেলে টা কে। অনুকে জরিয়ে ধরার সাহস কি করে পায় ও। আমার তো মন চাচ্ছে। কি যে করি )

মেঘ: ( মিহু তোমার তো আজকে খবর আছে। ছেলেটা এমন কে হয় যে তোমার ওকে জরায় ধরতে হবে )

অনু: এতগুলো দিন আমাদের ছাড়া কি করে ছিলি তুই বলতো ?

জাবের: সিরিয়াসলি আমার একটা কাজ ছিলো।

মিহু: বই দা ওয়ে। গাইজ এটা অনুর বেস্টফ্রেন্ড নিড আমারও।

জাবের: হাই গাইজ ?

সবাই: হ্যাঁলো…

আবির: ( অনুর বেস্টফ্রেন্ড জাবের। তো লিসার সাথে )

তারপর জাবের এর সাথে…… সবাই আড্ডা দিলো……জাবের চলে গেলো…..এদিকে লিসাও জাবের এর সাথে চলে গেলো….লিসার নাকি ভালোলাগছিলো না….তাই জাবের কে বললো Drop করে দিতে….আর এদিকে আবির তো জ্বলে যাচ্ছে…

নিলয়: পোরা পোরা গন্ধ পাচ্ছি আমি। ( আবিরের দিকে তাকিয়ে )

নীলা: আরে অনেক পুরে গেছে তো ( আবির কে চোখ টিপ দিয়ে )

মানিক: জ্বলে পুরে ছারখার হয়ে গেলো রে ( মুচকি হেসে )

মিহু: তোরা কেউ পানি ঢাল রে। এতো ধোয়া উরছে যে কি বলবো।

সাগর: তো এতো ধোয়া কেনো উরছে রে ? এতো জ্বলছে কেনো।

নাদিয়া: ভালোবাসা ভালোবাসা।

নদী: এক বিন্দু ভালোবাসা দাও,,,আমি এক সিন্ধু হৃদয় দেবো।

আবির: স্টপ ইট গাইজ। ( চিল্লিয়ে )

মেঘ: কেনো লিসা যার সাথে ইচ্ছা যাক। তোর কি তাতে ?

নীল: তোর তো নিশিতা আছে। তো লিসারও বয়ফ্রেন্ড আছে। তোর এতো কেনো সমস্যা হচ্ছে।

আবির: ও একটা খারাপ মেয়ে তো বয়ফ্রেন্ড তো থাকবেই।

অনু: জাস্ট সাট আপ আবির ? তোর গ্রালফ্রেন্ড থাকলে ওর কেনো বয়ফ্রেন্ড থাকবে না। আর তার চেয়েও বড় কথা তোর কি লিসার বয়ফ্রেন্ড থাকলে। তুই মেয়েদের সাথে মিশতে পারবি। তাতে কোনো দোষ নেই ? আর লিসা ছেলেদের সাথে ঘুরলেই খারাপ ?

মানিক: তুই তো লিসাকে ভালোবাসিস না। তো তোর কি প্রবলেম লিসা অন্য ছেলের সাথে রিলেশন এ গেলে ?

আবির: অনেক প্রবলেম আমার। আমি ওকে অন্যকারো সাথে সহ্য করতে পারিনা। আমি ওকে অন্য কোনো ছেলের সাথে দেখলেই রাগ উঠে যায়। আমি জানিনা কেনো এমন হয়। আর তোরা জানিস না। লাস্ট ১ মাস জাবত ওর সাথে আমার কিছুই ঠিক নেই।

নীলা: আমি সব জানি।

মানিক: তুই ভালোবাসিস না। সো তোর কোনো প্রবলেম হওয়ার কথাই না।

সাগর: এটা কি জানিস আবির ? ভালোবাসার প্রথম দিক।

আবির: আমি কিচ্ছু জানিনা ইয়ার।

মানিক: তুই ভালোবাসতে নাই পারিস। কিন্তু লিসা তোকে অনেক ভালোবাসে।

অনু: তুই ছিলি লিসার প্রথম ক্রাশ।

মিহু: তোকে প্রথম দিন থেকেই লিসা অনেক ভালোবাসতো।

নাদিয়া: কিন্তু আমাদের বলেছিলো তোকে না বলতে।

নদী: কসম কাটিয়েছিলো তোকে যেনো কিছু না বলি আমরা।

নীল: তুই দেখতি না আমরা তোকে আর লিসা কে নিয়ে মজা করতাম। আর লিসা লজ্জা পেয়ে চলে যেতো ? কারন ও তোকে ভালোবাসতো।

সাগর: লিসা তোকে ভালোবাসতো আর লুকিয়ে কান্নাও করেছে যখন তুই নিশিতার কথা ওকে বলিস।

মেঘ: কিন্তু আফসোস তুই কখনোই লিসা কে বুঝলি না।

মানিক: লাস্ট দিন ভেবেছিলাম তোকে সব বলবো। যেদিন তুই নিশিতা কে প্রোপজ করলি।

নীলা: কিন্তু ঐ দিনও লিসা আমাদের কিছু বলতে না বলে তোকে।

নিলয়: ইয়ার তোদের গ্রুপ এ আমি এসেছি ১ সপ্তাহ হবে। আমি বুঝে গেলাম যে লিসা তোকে ভালোবাসে। শুধু তুই ই বুঝলি না।

আবির: ( ওদের সবার কথা শুনে মনে হচ্ছিলো আমি আকাশ থেকে নিচে পড়লাম ) তোরা এতোদিন কেনো বলিস নি আমাকে।

মানিক: আগের কথা ছাড়। এখন তো তোকে আমরা সবটা বললাম।

নীল: এখনও সময় আছে।

মেঘ: লিসা কে নিজের করে নে।

সাগর: নয়তো পরে হারিয়েও ফেলতে পারিস।

নিলয়: বেশি দেরি করলে। সারা জীবনের জন্য হারাতে হবে।

নদী: ( বাহ্ নিলয় তুমি সবার ভালোবাসা বুঝলা কিন্তু আমার ভালোবাসা তো বুঝলা না। তাহলে তোমার আর আবির এর মধ্যে কি তফাত রইলো বলো )

আবির: গাইজ আমার মাথায় কিচ্ছু আসছে না। ( বলেই হলরুম থেকে বেরিয়ে গেলাম )

মানিক: গাইজ আমার মনে হয় আবির কে একা থাকতে দেওয়া উচিত।

চলবে………………

বি.দ্র: কি সব লিখলাম আপুরা নিজেও জানিনা। খারাপ লিখলে আগেই সরি। আর কেমন লাগলো জানাবেন Plz😊