Torture with love 2😍Part-22

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_22

রাতে আবিরের বাসায়______________________

আবির বারান্দায় বসে গিটার বাজাচ্ছিলো আর…..ভাবতে লাগলো সবার কথাগুলো মিলানোর চেষ্টা করতে লাগলো….জোরে জোরে গিটার বাজিয়ে যাচ্ছে…..যে ও এতদিন এ লিসার কথাটা বুঝলো না…..হঠাৎ নিশিতার কল বেজে উঠলো…….

নিশিতা: হ্যাঁলো ?

আবির: বলো ??

নিশিতা: আজকে সারাদিন তোমার কোনো কল নেই, কোনো মেসেজ নেই। প্রবলেম কি তোমার ?

আবির: কিছুনা।

নিশিতা : আজ তোমার কলেজে গিয়েছিলাম। সবাই বললো তুমি বাসায় চলে গেছো। আচ্ছা তোমার কাছে একটা প্রশ্ন ছিলো আমার ?

আবির: কি প্রশ্ন ?

নিশিতা: লিসা কে হয় তোমার ?

আবির: হঠাৎ এই প্রশ্ন ?

নিশিতা: তোমাকে আমি প্রশ্ন করলাম। তুমি উল্টে আমাকেই প্রশ্ন করছো ?

আবির: লিসা আমার লাইফ। ( জোরে একটা নিশ্বাস ফেলে )

নিশিতা: আর আমি ?

আবির: তোমার জায়গা আর লিসার জায়গা টা আলাদা।

নিশিতা: আমার জন্য তুমি লিসার সাথে সবকিছু শেষ করতে পারবে ?

আবির: ইমপসিবল। আমি ওকে ছাড়া ১ মিনিটও থাকতে পারিনা। আর সারা জীবন প্রশ্নই আসে না।

নিশিতা: আর লিসা যদি সেম কথাটা তোমাকে বলে ? যে আমাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য তখন ?

আবির: আমি ভেবে দেখবো সেটা। যখন সময় আসবে তখন।

নিশিতা: লিসার টা বলে দিলে। আর আমার বেলায় ভাববে তুমি ? এই ভালোবাসো আমাকে তুমি ? নাকি লিসাকে ভালোবাসো তুমি ??

আবির: জাস্ট স্টপ ইট নিশিতা।

নিশিতা: ওকে ফাইন। তুমি চোখটা বন্ধ করো ?

আবির: হোয়াট কেনো?

নিশিতা: তুমি চোখটা বন্ধ করই না।সবার প্রথমে যার চেহারা টা তোমার চোখের সামনে ভেসে উঠবে। তুমি তাকেই ভালোবাসো। সো চোখ বন্ধ করো।

নিশিতার কথা মতো আবির চোখ বন্ধ করলো….চোখ বন্ধ করতেই লিসার পাগল করা হাসিটা ভেসে উঠলো আবিরের চোখে….সাথে সাথে আবির চোখ খুলে ফেললো…..আবার চোখ বন্ধ করলো…..লিসার কান্না করা চেহারাটা ভেসে উঠলো…..সাথে সাথে মনে হলো আবিরের বুকে এক বড় সর ধাক্কা দিলো……আবার চোখ খুললো……………..

আবির: আমি লিসাকে….

নিশিতা: হুমম তুমি লিসা কে ভালোবাসো। কিন্তু এটা বুঝতে অনেক দেরি করে ফেললে তুমি।

আবির: বিশ্বাস করো নিশিতা। লিসা কখনও আমাকে বুঝতেই দেয়নি। যে ও আমাকে এতটা ভালোবাসে। কিন্তু তুমি কি করে ?

নিশিতা: কলেজে যাওয়ার পর তোমার বন্ধুদের কাছ থেকে সব শুনি। এটলাস্ট আমিও তো একটা মেয়ে তাইনা। বাট তোমার লাস্ট দিন লিসাকে ওভাবে চড় মারাটা ঠিক হয়নি। এনিওয়ে বেস্ট অফ লাক। রাখছি আমি কেমন।

আবির: নিশিতা আমি তো তোমার সাথে রিলেশন এ আছি। আমি তোমাকে এভাবে ছাড়তে পারি না। এটা তো তোমার সাথে বেইমানি হবে। আমি তোমাকে কি করে কষ্ট দিবো।

নিশিতা: সেটা যদি আমি তোমায় কিছু না বলতাম। তাহলে বেইমানি হতো। কিন্তু আমি নিজে তোমাকে বলেছি যেতে। তাই তুমি যদি এই ৩ দিন এ আমাকে এক ফোটাও ভালোবেসে থাকো তুমি আজ আমার কথাটা শুনবে। কারন লিসাকে তুমি ভালোবাসো ৭ মাস বা তারও বেশি। কিন্তু আমাকে ভালোবাসো মাএ ১ সপ্তাহ। আমার থেকে বেশি অধিকার তোমার লাইফে লিসার। ইউ নো হোয়াট ? তোমার লাইফে লিসা আসার আগে যদি আমি আসতাম। তাহলে সিওর থাকো তোমাকে আমি ছাড়তাম না। বাট তুমি আমাকে না লিসাকে ভালোবাসো। বুঝতে অনেক দেরি হয়ে গেলো তোমার। কিন্তু বেপার না।

আবির: আই হোপ তোমার মত সব মেয়ে এমন ভালো হতো।

নিশিতা: শেষ তারিফ করা আমার ? আমার ফ্রেন্ড হবে। ( চোখে পানি নিয়ে )

আবির: হুমম হবো।

নিশিতা: আচ্ছা আজ রাখছি। পরে ফোন করবো।

আবির: ওকে বাই। টেক কেয়ার।

নিশিতা ফোন কেটে কান্নায় ভেঙ্গে পরলো……কারন লাস্ট ৩ দিনে অনেক টুকুই ভালোবেসে ফেলেছে আবির কে…….আর এদিকে আবির আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলো…….আজ চাঁদ এর মধ্যে সে তার লিসাকে দেখতে পাচ্ছে……আজ আবিরও ফিল করছে….যে সে কতটা ভালোবাসে তার লিসাকে…..

ঠিক ৫ দিন আগেও…..এই চাঁদে সে অন্য কাওকে ভেবেছিলো….হুমম সে আর কেউ না অনু…..কিন্তু সেটা কি ভালোলাগা ছিলো….নাকি মায়া ছিলো অনুর প্রতি…..হয়তো দুটোই ছিলো……আর নিশিতার প্রতি শুধু ভালোলাগা টাই ছিলো……আজ তো অন্যকিছু মনে হচ্ছে…..না এটাই হয়তো ভালোবাসা…..এই ভেবেই আবির মাথা চুলকাতে লাগলো……..

________________________________________

নীলের বাসায়_____________________________

নীলা: এই তো গুনোধর ভাই কই রে ( রেগে )

নাদিয়া: দেখ গিয়ে নিজের রুমে আছে হয়তো।

নীলা: আজকে ওর এমন খবর করবো আমি। ওকে কেউ চিনতেই পারবে না।

নাদিয়া: যা ইচ্ছা কর। আমি আমার রুমে রেডি হতে গেলাম।

________________________________________
নীলা: ( রুমে এসে দেখি নীল নেই ) এই নীল গেলো কই। নীলললললল ( চিল্লিয়ে )

নীল: ( বের হয়েই দেখি নীলা রুমে ঘুর ঘুর করছে ) কি হলো ?

নীলা: ( নীলের আওয়াজ পেয়ে পিছে তাকিয়ে দেখি ভিজা চুল ঝারছে। আর টাওয়াল পেচিয়ে বের হচ্ছে।ছিঃ…..ছিঃ….হোয়াট দা হেল। তোমার লজ্জা করে না। এভাবে বের হতে ( বলেই দু চোখ হাত দিয়ে ধরলাম )

নীল: ( সামনে গিয়ে নীলার কোমড় টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে দিলাম ) আমি কি করে জানবো আমার রুমে এতো বড় ডাইনি ঢুকছে ? আর আমার রুমে আমি যে ভাবে ইচ্ছা বের হবো।

নীলা: হুমম ভালো। আমাকে ছাড়ো তুমি ( রেগে )

নীল: তুমি আগে চোখ খুলো ?

নীলা: আমি তোমার মতো নাকি। লজ্জা ছাড়া মানুষ ( বলেই ছুটাছুটি করতে লাগলাম )

নীল: আচ্ছা বিয়ের পর কি করবা তাহলে ?

নীলা: থাকবো না তোমার সাথে এক রুমে আমি।

নীল: আচ্ছা তাই। দেখবো কোন রুমে তুমি থাকো। সব রুম লক করে রাখবো। আমার রুম ছাড়া।

নীলা সাথে সাথে… চোখ থেকে হাত সরিয়ে…. নীলের দিকে তাকালো….নীল সাথে সাথে চোখ টিপ দিয়ে….একটা বাঁকা হাসি দিলো……তারপর নীলাকে আরো কাছে টেনে…..ওর দিকে আগাচ্ছিলো…..নীলা জোরে একটা চিমটি দিলো….নীলের পেটে….নীল নীলাকে ছাড়তেই নীলা দোড়….নীল হাসতে লাগলো……………..

নীলা: আসলে একটা বজ্জাত লুচু এইটা ( রেগে )
________________________________________

In varsity_______________________________

মানিক: বেপার কি এতো খুশি কেনো আজকে ?

মেঘ: কাকে বললি ?

সাগর: গাইজ আমার আর নাদিয়ার মধ্যে সব ঠিক এখন।

নিলয়: যাক এখন শুধু আবির তোর পালা।

নীল: কথা বলেছিলি লিসার সাথে ?

আবির: গতকাল নিশির সাথে কথা হয়েছিলো।

অনু: কি বললো ?

আবির: ( গতকাল রাতের সব কথা বললাম ওদের। নিশিতা আর আমার )

মিহু: আমার তো লিসাকে নিয়ে টেনশন হচ্ছে।

আবির: আমি সামলে নিবো নো প্রবলেম।

নীলা: তুই যতটা সহজ ভাবছিস ততটাও সোজা নয়।

নাদিয়া: হুমম লিসা কিন্তু অনেকটা রেগে আছে।

নদী: আমি লিসাকে চিনি। মনে হয় না লিসা এতো সহজে সবটা মেনে নিবে।

মানিক: তুমি কোন দিক থেকে কম। তোমার কপালে যে ছেলে আছে। তোমাকে মানাতে গেলে অবস্তা খারাপ হবে।

নদী: কখনও ই না। আমি একজন বাদে লাইফে খুব সহজে সবাইকে মেনে নিবো ( নিলয় এর দিকে তাকিয়ে )

নিলয়: ( নদী আমার দিকে তাকিয়ে কেনো বললো কথাটা। আমাকে শুনিয়ে বললো নাকি। যাই হোক আমার কি তাতে )

অনু: আচ্ছা লিসাকে আসতে দে। ওকে দেখলেই বুঝবো আমি।

লিসা: হ্যাঁলো গাইজ। কি নিয়ে কথা হচ্ছিলো ?

মেঘ: তোকে নিয়ে ?

লিসা: বাহ্ আমি এতো ফেমাস।

নীল: হুমমম। রাস্তার ফকিরের কাছে। আমাদের কাছে না।

লিসা: তুই তাইলে রাস্তার ফকির ?

মানিক: তাইলে তুইও।

আবির: ( এক নজরে লিসার দিকে তাকিয়ে ছিলাম )

লিসা: ( হঠাৎ করে আবিরের দিকে চোখ গেলো। তাকিয়ে দেখি আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি চোখ সরিয়ে নিলাম )

অনু: চোখে চোখে ভালোবাসা আদান প্রদান হচ্ছে নাকি।

সবাই হাসাহাসি শুরু করে দিলো……………

চলবে………………

বি.দ্র: সরি আপুরা #মানিক_অনু ওদের কাহিনী দিতে পারছি না। এদের কাহিনী গুলো আগে শেষ করি। আর মাঝে ওদের কাহিনীও দিবো। কেউ বকোনা প্লিজ😊আর কেমন লাগলো জানাবেন Plz😊