Torture with love 2😍Part-28

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_28

লিসা ছাদে দাড়িয়ে আছে…বারবার নিচের দিকে তাকাচ্ছে….এই বুঝি আবির গাড়ি নিয়ে ঢুকলো…..লিসা তো ভয়েই মরে যাচ্ছে…কি করে আবির কে বলবে কথাগুলো….এই ভাবছে আর নিচের দিকে তাকাচ্ছে…..হঠাৎ গাড়ির আওয়াজ এলো….লিসা নিচে তাকাতেই দেখে আবিরের গাড়ি…আবির গাড়ি ব্রেক করে বের হয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে দেখে…..লিসা তাকিয়ে আছে….আবির একটা ছোট্ট করে হাসি দিলো….তারপর লিসার বাসায় ঢুকলো………..

লিসার মা: ( আমি সব গোছাচ্ছিলাম আর মনে হলো কেউ এলো। তাকিয়ে দেখি আবির ) আরে তুই ? তাও এতো রাতে ??

আবির: কেনো ডারলিং আমি কি আসতে পারি না ?

লিসার মা: আমি সেটা কখন বললাম। তুই তো কখনও এতো রাতে আসিস না তাই ?

আবির: তোমার মেয়ে আসতে বললো। জানিনা কেনো ? তুমি কি জানো কিছু ?

লিসার মা: আমি কি করে জানবো। রাতে খেয়েছিস ?

আবির: হুমম খেয়েছি।

লিসার মা: কিছু খাবি ? আচ্ছা তুই যা উপরে। আমি খাবার পাঠাচ্ছি।

আবির: ওকে ।

________________________________________
আবির: ( আমি ছাদে এসে দেখি কেউ নেই। কিন্তু লিসা তো ছাদেই ছিলো )

আবির আকাশ পানে দাড়িয়ে ছিলো…..হঠাৎ করে কেউ সামনে এলো….না আর কেউ নয় ….এটা লিসা….আবির লিসার দিকে মুখ করে দাড়ালো….লিসার চুলগুলো খোলা….রাতে চাঁদের আবছা আলো….ঠান্ডা বাতাসে শরীর ছুঁয়ে যাচ্ছে….বাতাসে লিসার চুলগুলো বারবার উরে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে…আর আবির একদম পলকহীন ভাবে লিসার দিকে তাকিয়ে ছিলো….দু জনেই নিরব….লিসা পিছন থেকে দু হাত দিয়ে বড় একটা লাল কালার লাভ বেলুন বের করলো….আর সেটা আবিরের সামনে ধরলো….বেলুন টার উপরে বড় করে….আই লাভ ইউ লেখা…..আবির অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলো…আবির এই সারপ্রাইজ এর জন্য…….. মটেও প্রস্তুত ছিলো না…….আর লিসা চোখ বন্ধ করে দাড়িয়ে ছিলো…

লিসা: আবির আমি চেয়েছিলাম তুই নিজে থেকে ফিল কর যে আমি তোকে ভালোবাসি,,,কিন্তু আমি তোকে বোঝাতে পারিনি,,,তাই আমি কখনও তোকে বুঝতে দিতে চাইনি যে আমি তোকে কতটা ভালোবাসি,,,সব কষ্ট নিজের মধ্যে পুষে রাখতে চেয়েছিলাম,,,এমন কি আমি তোর কাছ থেকে দুরে সরেও আসতে চেয়েছি,,,কারন তোকে আমি নিশিতার সাথে দেখলেই খুব কষ্ট হতো,,,তাই যাতে আর কষ্ট না হয় সেই জন্যই তোর কাছ থেকে দুরে সরে আসতে চেয়েছিলাম,,,কিন্তু দেখ আমার ফ্রেন্ডগুলো আমাকে তোর থেকে দুরে আসতে দিলো না,,,আমি ভেবেছিলাম তুই যেহেতু আমার ভালোবাসা কোনোদিন বুঝতেই পারিস নি,,,আমি তোর কাছে আর কখনও যাবো না,,,কিন্তু তুই যে আমাকে ভালোবাসবি আমি এটা কখনও এক মিনিট এর জন্যও ভাবিনি,,,আমি তোকে কষ্ট দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমি পারবো না তোকে কষ্ট দিয়ে ভালো থাকতে,,,অনেক ভালোবাসি তোকে,,,প্লিজ কখনও আমাকে ছেড়ে যাস না।

আবির শুধু অবাক হচ্ছে…আর লিসা এক নিশ্বাসে কথাগুলো বললো চোখ বন্ধ করে…আবির লিসার সামনে গেলো…দু হাত দিয়ে লিসার গালে দু পাশে হাত রাখলো….আর লিসা চোখ বন্ধ অবস্তায়….নিজের গালে কারো ছোঁয়া পেয়ে কেঁপে উঠলো….আবির লিসার কপালে একটা চুমু দিলো….লিসা সাথে সাথে নিজের হাতগুলো শক্ত করে মুঠি করে ধরলো….আবির লিসার দু চোখের উপরে আলতো করে চুমু দিলো….তারপর লিসাকে জরিয়ে ধরলো শক্ত করে….লিসাও শক্ত করে তার আবির কে জরিয়ে ধরলো….লিসা কখনও ভাবেনি যে আবির কে ও নিজের করে পাবে…আর আবির ওকে এতটা ভালোবাসবে….তাহলে হয়তো অনেক আগেই আবির কে বলতো ও আবির কে ভালোবাসে….আজ লিসা ভাবতেই পারছে না যে আবির শুধু তার….শুধু তাকেই ভালোবাসে……

আবির: তোর প্রথম ভুল এটা মনে করা যে তুই আমাকে তোর মনের কথা বললে আমি তোর লাইফ থেকে দুরে সরে যেতাম,,,দ্বিতীয় ভুল তুই আমাকে ভালোবাসিস সেটা আমাকে বুঝতে না দেওয়া। আমার থেকে সেটা লুকিয়ে রাখা,,,তৃতীয় ভুল আমার লাইফ থেকে একদম দুরে যাওয়ার চিন্তা ভাবনা করা। কারন তুই আমার সবকিছু,,,আমার লাইফে আমি তোকে ছাড়া কিছুই ভাবতে পারিনা,,,তোকে ছাড়া থাকা আমার পক্ষে অসম্ভব,,,তুই আমাকে যতটা ভালোবাসিস তার থেকে বেশি আমি তোকে ভালোবাসি,,,আই লাভ ইউ।

লিসা: আই লাভ ইউ টু।

আবির: আচ্ছা তুই যে এতগুলো ভুল করলি সেটার জন্য তোর কি শাস্তি হওয়া উচিত ? ( হালকা রেগে )

লিসা: ( আবির এর থেকে সরে দাড়িয়ে ) কি ভুল করছি আমি ( রেগে )

আবির: তুই হিসাব কর কতগুলো ভুল করেছিস তুই ?

লিসা: আমি কোনো ভুল করিনি। যা অন্য মেয়েদের কাছে। আমাকে তো তোর ভালোই লাগে না।

আবির: আচ্ছা আমি অন্য মেয়েদের কাছে যাচ্ছি।

লিসা: ( আবিরের কলার টেনে ধরলাম ) কোথায় যাচ্ছিস তুই আমাকে ছেড়ে। পা ভেঙ্গে বাসায় বসায় রাখবো।

লিসা আবিরের কলার টেনে ধরতেই…..আবির লিসার কোমড় ধরে আরো কাছে নিয়েই….লিসার ঠোঁট নিজের দখলে করে নিলো….লিসা আবিবের কলার আরো শক্ত করে চেপে ধরলো….আবির প্রায় ১৫ মিনিট পর লিসাকে ছেড়ে দিলো….লিসার ঠোঁটগুলো লাল হয়ে আছে…লিসা তো লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে…..আবিরের এতো হাসি পাচ্ছিলো যা বলার বাহিরে……………..

আবির: লিসা তুই আমার সামনে লজ্জা পাশ আমার আগে জানা ছিলো না।

লিসা: তোর মত লুচু নাকি আর নিলোজ্জ নাকি আমি। উফফফ গতকাল কেও সেম কাজ করছিস তুই। আবার আজকেও। আমার ঠোঁট গুলো ব্যাথা বানায় দিছিস তুই বজ্জাত পোলা সর।

আবির: ( লিসাকে আরো কাছে টেনে ) আমার কাছ থেকে দুরে যাওয়ার চেষ্টা করলে দেখবি আরো খারাপ কিছু হবে।

লিসা: হুহ্। ঘোড়ার ডিম হবে।

আবির_লিসা ছাদে ….চাঁদের আলোতে বসে…অনেক্ষন আড্ডা দিলো….তারপর আবির বাসায় চলে এলো….লিসা ব্লাসিং হয়ে পুরো ঘর নেচে বেরাচ্ছে….আর আবির তো কিস এর মোমেন্ট….আর লিসার কথাগুলো….. মনে পরতেই হেসে দিলো…..

________________________________________

In varsity_______________________________

নদী: লিসা তো ফোন টাও ধরলো না। কারো কোনো খবরই নেই। ( কলেজে ঢুকবো মনে হলো পিছে কেউ তাকিয়ে দেখি কেউ নেই। সামনে তাকিয়েই দেখি রোহান ) রোহান তুইইই ?

রোহান: কেনো চিনতে কি সমস্যা হচ্ছে নাকি ?

নদী: আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। মনে হচ্ছে আমি স্বপ্ন দেখছি।

রোহান: একটা হাগ তো দে আগে ?

নদী: ( রোহান কে জরিয়ে ধরলাম )

রোহান : ( আমিও নদীকে জরিয়ে ধরলাম )

নিলয়: ( আমি গাড়ি রেখে যেই ঢুকবো দেখি নদী একটা ছেলেকে জরিয়ে ধরে রেখেছে। আর ঐ ছেলেটাও )

রোহান: তারপর খবর কি তোর ?

নদী: ভালো বাট তোকে তো কিছু বলাই উচিত না।

রোহান : আরে রাগ কেনো করছিস তুই ? বাই দা ওয়ে আমি কিন্তু এই Varsity তেই এসেছি।

নদী: মানে ???.

রোহান: মানে আমি আজ থেকে এই Varsity তে তোদের সাথেই ‌পরছি।

নদী: মজা হবে। চল ভেতরে যাই ?

রোহান : তুই যা আমি আসছি।

নদী: ওকে। ( আমি ভেতরে ঢুকবো দেখি নিলয় তাকিয়ে আছে। তাও রাগি চোখে। বুঝলাম না তো আমার দিকে এভাবে কেনো তাকিয়ে আছে )

নিলয়: ( কে ছেলেটা। নদীর সাথে ঐ ছেলেটার কি )

________________________________________

অনু: গুড মনিং গাইজ ?

নীলা: গুড মনিং নিউ কাপুল।

মিহু: রাইট।

লিসা: নিউ কাপুল মানে। আমি আর ওর মত গরধোপ কে বিয়ে করবো ইমপসিবল ( আবিরের দিকে তাকিয়ে )

আবির: আমি ছাড়া অন্য কেউ তোর মত পাগলি রে বিয়ে করবে না।

মানিক: ইনফেক্ট ওদের মত কোনো পাগলি রেই আমরা ছাড়া অন্য কেউ বিয়ে করবে না।

নীল: বিয়ের আগেই ছেলে পক্ষ পালাবে।

মেঘ: আমরা তোদের বিয়ে করতেছি তোদের ভাগ্য বুঝলি।

সাগর: আল্লাহ্ এদের মত পাগলি জেনো কোনো ছেলের কপালে না জুটে।

নিলয়: যেই ছেলের ভাগ্যে পরবে। ঐ ছেলে শেষ।

নীলা,,,অনু,,,মিহু,,,নাদিয়া,,,লিসা,,,নদী তো রাগে কটমট করতে করতে শেষ…………..

নদী: গাইজ অনেক খুশি আমি।

অনু: কেনো শুনি ?

নদী: আমার ফ্রেন্ড রোহান আজকে থেকে আমাদের Varsity তে পড়বে।

নীলা: বাহ্ তোর জন্য তো মনে হচ্ছে খুব ভালো হলো। ( চোখ টিপ দিয়ে )

নদী: হুমম খুশি আমি অনেক।

মিহু: শুধু ফ্রেন্ড তো নাকি সামথিং সামথিং হুমম হুমম।

নদী: তোরা তো আচ্ছা বজ্জাত মাইয়া।

নাদিয়া: তুমি আকাম করবা আমরা বললেই দোষ ?

নদী: কি করছি আমি ?

লিসা: এই যে আমরা জানিনা বাট লুকায় লুকায় প্রেম করো তুমি।

নদী: তোদের সাথে পারা মুশকিল। তোরা যা ভাবিস।

নিলয়: ( তার মানে নদী ঐ ছেলেকে পছন্দ করে। আমার কেনো এতো রাগ হচ্ছে। ধুর )

চলবে………………

বি.দ্র: কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু😊