Torture with love 2😍Part-44

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_44

রাহুল অনুর বাসায় ঢুকতেই…..অনুর মামি অনুকে এই অবস্তায় দেখে তো পাগল হওয়ার মত…..রাহুল গিয়ে অনুর রুমে…বেড এ শুইয়ে দিলো অনুকে…..

মামি: আমি জানতাম এমন কিছু হবে,,,ওর মামা জানতে পারলে আমাকে মেরেই ফেলবে।

রাহুল: মামি তুমি ওকে কলেজে যেতে কেনো দিলে,,, ( রেগে )

মামি: এখন তুই আমার উপর রাগ দেখাস না,,,তুই তো জানিস অনু কেমন ?

রাহুল: অনু রেস্ট নিক,,,আমরা নিচে যাই চলো।

মামি: চল,,,তুই কখন এলি ??

রাহুল: আমি অনুর কলেজের গানের নতুন টিচার। আজকেই জয়েন করলাম।

মামি: আচ্ছা,,,বাসার সবাই ভালো আছে তো ?

রাহুল: হুমম,,,মামা কোথায় ? প্রতিক ??

মামি: প্রতিক স্কুলে,,,মামা বাহিরে গেলো।

রাহুল: অনুর জ্ঞান ফিরলে আমাকে কল করো কেমন,,,আমি যাচ্ছি কলেজে। পরে এসে কথা বলছি।

মামি: ঠিকাছে সাবধানে যাস,,,

রাহুল: হুমমম,,,

ওদিকে__________________________________

মানিক: মিহু তুই অনুকে কেনো আনলি কলেজে ? ( রেগে )

মিহু: তুই কোনো কথা বলিস না মানিক ( চিল্লিয়ে )

নীল: অনুর এতটা জ্বর,,,তাও তুই ওকে নিয়ে আসলি কেনো ?

মিহু: আমি বারন করেছিলাম,,,শনেনি আমার কথা অনু,,,

মেঘ: রাহুল কে ?

মানিক: রাহুল কে দেখে অনু এমন করছিলো কেনো ??

মিহু : আমাদের গান শিখাতো আগে রাহুল।

সাগর: তো,,,কি হয়েছে। এমন রিয়েক্ট অনুর ?

মিহু: অনু নিজেই সব বলবে পরে।

রাহুল: কি নিয়ে কথা হচ্ছিলো ?

মিহু: কিছুনা,,,অনু ?

রাহুল: জ্ঞান ফেরেনি,,,অনেক জ্বর ওর।

মানিক: ( এতটা কেয়ারলেস কেনো অনু তুমি )

রাহুল: মিহু,,,

মিহু: হুমম,,,

রাহুল: অনু এমন করছিলো কেনো ? ( করুন ভাবে )

মিহু: সেটা নিশ্চই অজানা নয় তোমার ?

রাহুল: আর মানিক ?

মিহু: ( মানিকের দিকে তাকালাম ) অনুর কাছে পারলে জেনে নিও ( বলেই যাবো আর রাহুল বলে উঠলো )

রাহুল: সানিম ও কিন্তু ফিরেছে বাংলাদেশ এ।

মিহু: ( রাহুলের দিকে ফিরে ) কি করবো আমি জেনে ?

রাহুল: হুমম,,,সেটাই তো।

মিহু: রাহুল তুমি কি আমাকে অপমান করছো ?

রাহুল: উহু,,,একদম ই না।

মেঘ: ( এই সানিম টা কে )

মিহু: কেমন আছে সানিম ?

রাহুল: সেটা নিজেই সানিম কে তুমি জিঞ্জাসা করো ?

মিহু: আমি কথা বলবো না,,,বলেই তো তোমাকে জিঞ্জাসা করলাম।

রাহুল: তোমরা আর কিছু পারো বা না পারো,,,কষ্টটা ভালো করেই দিতে পারো ?

মিহু: দোষটা তোমাদের ছিলো,,,আমাদের না। নিজের ভুল শিকার করো ? ওহ্ আর একটা কথা ?

রাহুল: কি ?

মিহু: সানিম কে তুমি বলে দিও,,,সানিম যদি আমাকে ভুলতে পারে,,,আমিও ওকে ভুলতে পারবো।

রাহুল: দেখা যাক। সন্ধায় আজ আমি অনুদের বাসায় যাবো ?

মিহু: আমাকে একটা কল করো। আমিও যাবো।

রাহুল: ওকে,,,আমার একটু কাজ আছে বাই। ( কোনো তো একটা গন্ডগল আছে এখানে )

মিহু: আল্লাহ কি হচ্ছে এগুলো,,,যেগুলো ভুলতে চাই সেগুলোই সামনে চলে আসে কেনো। ফেড আপ আমি।

আবির: মিহু কি হচ্ছে এগুলো ? কিছুই তো বুঝলাম না।

নিলয়: মিহু বল কিছু ?

মিহু: তোদের সাথে কথা বলতেও আমার বাধছে,,,তোদের শুধু একটা কথা বলি আমি,,,সত্যটা একদিন সবার সামনে আসবে,,,তোরা অনুকে হারিয়ে ফেললি,,,ঠিক যেমন ভাবে রাহুল অনুকে এক সময় হারিয়েছিলো,,,কিন্তু মানিক তোর কাছ থেকে এগুলো আসা করিনি।

মানিক: জাস্ট সাট আপ মিহু,,,অনুকে আমার চেনা হয়ে গেছে,,,গাইজ তোদের বলা হয়নি,,,অনুর সঙ্গে কিন্তু গতকাল রাতেই আমার ব্রেকআপ হয়ে গেছে।

মানিক এর মুখে এই কথা শুনে…..সবার মাথায় একটা বড় সর বাঁশ পড়লো……আবির তো সহ্যই করতে পারছে না….কারন আবির নিজে অনুকে একদিন প্রমিস করেছিলো…..অনুর চোখের পানি ও পড়তে দিবে না……………..

নিলয়: কি বললি তুই ?

আবির: তোর মাথা ঠিক আছে ?

মানিক: মাথা ঠিক না থাকার কি আছে এখানে ?

সাগর: আমি তো এটাই ভাবতে পারছি না,,,তুই এটা কি করে বিশ্বাস করলি ?

নীল: মানিক তুই এটা একটু বেশি করে ফেললি না ?

মেঘ: অনুর সাথে এটা তুই গতকাল রাতে করেছিস,,,অনু বাসায় গেছে ভিজতে ভিজতে বৃষ্টিতে ?

মানিক: সেই কারনেই জ্বর টা এসেছে,,,এতটা কেয়ারলেস কি করে হয় মানুষ ( রেগে )

মেঘ: আচ্ছা সানিম কে ? ( মিহুর দিকে তাকিয়ে )

মিহু: আমার বেস্টফ্রেন্ড সানিম।

মানিক: রাহুল এর সাথে কি এমন হয়েছিলো অনুর ?

মিহু: আচ্ছা তাহলে শুনো আমাদের কাহিনী।

৪ বছর আগের সৃতি অংশ___________________

মিহু: অনুউউউ কোথায় তুই ?

অনু: দেখ না,,,আমি সংগীত একাডেমি তে গান শিখবো,,,বাবা আমাকে একা যেতেই দিবে না,,,বলে বলছে গান করতে দিবে না,,,এএএএএএ,,,

মিহু: উফফফ ফাঁটা বাঁশের মত চেচাচ্ছিস কেনো,,,আমিও তোর সাথে গান শিখতে যাবো এখন থাম তুই।

অনু: ( এক লাফে উঠে মিহুর গলা জরিয়ে ধরলাম ) সত্যিই বাবু ?

মিহু: ছাড়,,,হুমম সত্যিই।

অনু: আমার লক্ষি বাবু,,,জানুটা,,,ঝান্তু বাবু টা,,,উমমমমাহ্,,,

মিহু: সর লেসবো,,,

অনু: তুই সর,,,তোর জিবনে কোনোদিন বিয়ে হবে না দেখেনিস তুই,,,তোর কপালে জামাই জুটবে না।

মিহু: তাইলে আমি তোর সাথে গানও করতে যাবো না।

অনু: এই,,,না না না,,,বাবু আমি দোয়া করে দিলাম তোর একটা সুন্দর কিউট জামাই হবে,,,তোকে ঘোড়ায় তুলে বিয়ে করে নিয়ে যাবে দেখিস।

অনুর বাবা: কি হয়েছে কি তোদের ?

মিহু: বড় বাবা,,,বলছিলাম কি আমিও অনুর সাথে সংগীত একাডেমি তে গান শিখতে যাবো। এখন তো তোমার সোনার সোখাগী মেয়েকে ছাড়ো ?

অনুর বাবা: ঠিক আছে,,,কাল থেকে তোরা যা। সময় মত বেতন পৌছে যাবে সংগীত একাডেমি তে।

অনু আর মিহু তো লাফাতে লাফাতে….ব্রেক ডান্স শুরু করে দিলো….দেখতে দেখতে একদিন কেটে গেলো…..অনু_মিহু পরদিন সকালে রওনা দিলো…..সংগীত একাডেমি এর উদ্দেশ্যে…

মিহু: বাহ্ খুব সুন্দর তো সংগীত একাডেমি টা,,,

অনু: আমার তো সারাদিন গান করলেও মন ভরবে না।

মিহু সব ঘুরে ঘুরে দেখছিলো….সামনে একটা পিয়ানো দেখতে পেলো….ওটা নিয়ে বাজানোর চেষ্টা জুড়ে দিলো মিহু…..এদিকে একটা ছেলে সেই তখন থেকে…..মিহুর বৃথা চেষ্টা দেখে হেসেই যাচ্ছে…..মিহু কিছু একটা বুঝে সামনে তাকালো……ছেলেটা বলে উঠলো………….

ছেলেটা: পিয়ানো এভাবে বাজাতে হয়না বোকা মেয়ে।

মিহু: আমি বোকা না বুঝলেন ( ভেংচি দিয়ে )

ছেলেটা: রেগে যাচ্ছ কেনো ?আজকে নতুন নাকি ?

মিহু: কি মনে হচ্ছে ? আমাকে দেখেছেন আগে আরও ??

ছেলেটা: ওকে,,,নাম ?

মিহু: মিহু,,,আপনার ?

ছেলেটা: সানিম,,,

মিহু : ভালো,,,

সানিম: আমাকে চিনো ?

মিহু: আজকেই তো নতুন এলাম,,,আপনাকে চিনবো কি করে আমি।

সানিম: এই সংগীত একাডেমি টা যার,,,তার আপন ছোটো ভাই আমি।

মিহু: ( এই রে,,,গানের টিচার এর ছোটো ভাই এর সাথে এভাবে কথা বললাম,,,আমাকে যদি সংগীত একাডেমি থেকে বের করে দেয় ) ক…কি ?

সানিম : জি,,,

মিহু: ( জিভে কামড় দিয়ে ) আ’ম সরি,,,আসলে আমি বুঝতে পারিনি।

সানিম: আমি এভাবে বললে তো শুনবো না,,,আমি চাইলে তো এখনি তোমাকে বের করে দিতে পারি এমন বিহেভ এর জন্য ?

মিহু: এই না না না,,,আমি বললাম না সরি,,,আপনি তো অনেক ভালো ( রাক্ষস একটা )

সানিম: এভাবে শুনবো না,,,শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে ?

মিহু: ( ভয়ে ভয়ে ) শা…শাস্তি ?

সানিম: হুমম ?

মিহু: কি শাস্তি ?

সানিম: ক্লাস এর সময় হয়ে গেছে,,,আজকে ভাইয়া আসবে না,,,তাই আমি সংগীত ক্লাস নিবো। চলো ক্লাস এ এখন,,,যাওয়ার সময় বলবো।

মিহুও ‌বাধ্য মেয়ের মত….সানিম এর কথা শুনে সানিম এর পিছে পিছে চলে গেলো….তারপর সানিম ক্লাস নিচ্ছে….সবাইকে গান ঠিক করে দিচ্ছে…..মিহু_অনুকে #সা_রে_গা_মা_পা ……থেকেই শুরু করলো সানিম…..মিহুকে পিয়ানো বাজানো ও কিছুটা শেখালো…..ক্লাস শেষ এ……মিহুকে ডাকলো সানিম…..অনু বললো যেতে….মিহু গেলো…..

সানিম: ভয় পাচ্ছ নাকি ?

মিহু: তো ভয় পাবো না,,,কি শাস্তি দিবেন আল্লাহ্ ভালো জানে,,,প্রথম দিন সংগীত একাডেমি তে এসেই,,,কপাল পুরলো আমার ( তোর মত নাইজেরিয়ান এনাকন্ডা,,,আফরিকার জিরাফ কে তো সবাই ভয় পাবেই,,,বজ্জাত পোলা একটা )

সানিম: ( মিহুর কথা শুনে হাসতে লাগলাম ) রিয়েলি,,,ইউ আর সো ফানি,,,

মিহু: ঘোড়ার ডিম ( ভেংচি দিয়ে )

সানিম: হোয়াট,,, ?

মিহু: কিছুনা,,,

সানিম: এনিওয়ে,,,

সানি‌ম মিহুর সামনে একটা…….কিটকেট নিয়ে বসে পড়লো….দু হাটু গেরে….মিহুর তো চোখ গুলো রসগোল্লার মত হয়ে গেলো……….

সানিম: হবে আমার বেস্টফ্রেন্ড,,,সারা জীবনের জন্য,,,কখনও আমাকে ছেড়ে যাবেনা,,,আর এটাই তোমার শাস্তি। ( ছোট্ট একটা হাসি দিয়ে )

মিহু: ( আমি কি বলবো বুঝতেই পারছিলাম না,,,মাথা নারিয়ে হ্যাঁ বললাম,,,আর চকলেট না নিলাম ) এটা কেমন শাস্তি ?

সানিম: কেনো পছন্দ হলো না ? তো কঠিন শাস্তি দিবো ?

মিহু: না না থাক,,,

সানিম: চল অনুর কাছে।

মিহু: হুমম,,,

সানিম : ( অনু ফোন দেখছিলো,,,ওর সামনে হাত বাড়িয়ে দিলাম ) ফ্রেন্ডশিপ করবে আমার সাথে ?

অনু: ( আমি ফোন রেখে সামনে তাকালাম ) উমমম ভাবতে হবে।

সানিম: আমি কিন্তু হাত বাড়িয়ে রেখেছি অনেক আগেই ?

অনু: ( আমিও হাত বাড়িয়ে দিলাম,,,একটা কিটকেট দিলো আমাকে ) তুমি জানলে কি করে আমি চকলেট পছন্দ করি ?

সানিম: প্রথমত,,,আমি তোর ফ্রেন্ড সো,,,তুমি এলাও না। তুই বলতে হবে,,,দ্বিতীয়ত আমি সানিম আমি সব বুঝতে পারি ( বলেই চোখ টিপ দিলাম )

অনু: তো কি হলো ?

সানিম: ( অনুর মাথায় বারি দিয়ে ) কিছুনা,,,চল।

সেদিনের মত…. সংগীত একাডেমির সব মেয়ে অবাক….যে সানিম কোনো মেয়ের দিকেও তাকায় না….সেই ছেলে নতুন মেয়েদের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করলো….সানিম_আর_ওর_বড়_ভাই…… সংগীত একাডেমির সব মেয়েদের ক্রাশ বললেই চলে……তিনজন যার যার বাসায় চলে গেলো…..দ্বিতীয় দিন অনু_মিহু….সংগীত একাডেমি তে ঢুকতেই….অনুর কানে ভেসে এলো একটি সুর….সেই সুর অনুর মন ছুঁয়ে গেলো…..অনু কিছু না ভেবেই দোড়ে….সেই সুরের মানুটাকে খুজতে লাগলো……………..

চলবে………………

বি.দ্র: কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু😊