Torture with love 2😍Part-53

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_53

পরদিন সকালে ভার্সিটি _____________________

নীল: গুড মনিং গাইজ,,,

মিহু: গুড মনিং,,,

মেঘ: অনু কোথায়,,,?

অনু: এখানে আমি,,,

নীলা: কেমন আছিস এখন ?

অনু: ভালো আছি,,,( মানিকের দিকে চোখ গেলো। গিটার নিয়ে বসে আছে। একটা বার ফোন করে জিঞ্জাসাও করলো না। আমি কেমন আছি )

আবির: গতকাল রাহুল তো,,,মনে হয় তোদের বাসায় গিয়েছিলো ?

অনু: হুমম,,,মিহু কে মেঘের বাসায় পৌছে দিয়ে বাসায় গেছে রাহুল।

লিসা: কি করবি রাহুল কে ?

অনু: রাহুল কে,,,কি করবো মানে ?

নিলয়: লিসা চুপ কর তো ( ইশারায় দেখালাম মানিক কে )

নদী: রাহুলের কাছে তো,,,আমরা গান শিখছি। কেমন শিখায় গান রাহুল ?

অনু: রাহুল খুব ভালো গান শিখায় রে। তুই একবার শিখলেই‌ বুঝে যাবি।

মানিক: অবস্যই,,,রাহুল খুব ভালো শিখায় তাইনা ? আর যাই হোক অনুর এক্স বিএফ বলে কথা,,,কী ঠিক বললাম তো অনু ?

অনু: মানিক মাথা ঠিক আছে তো তোমার ?

মানিক: না,,,কী ভালোবাসার গল্প তোমাদের। আমি তো শুনেই ফিদা। রাহুলের গান শুনে তোমার মনের ভেতর তোলপাড় হয়ে যায়,,,রাহুল তোমার ক্রাশ,,,এতোটাই ভালোবাসা রাহুলের প্রতি যে নিজে গিয়ে কথা বলেছো,,,রাহুল তো তোমার নাচ দেখেই ভালোবেসে ফেললো,,,তোমার নুপুর টাই নিয়ে গেলো,,,তুমি যখন রাহুলের জীবনে সারা জীবনের জন্যে যাবে,,,তখন সেই নুপুর পাবে। কি সুন্দর অসাধারণ ভালোবাসার গল্প তোমাদের,,,আমি তো ভাবছি,,,আমি কেনো ঐ সময় তোমাদের ভালোবাসা টা দেখতে পারলাম না। মিস করলাম ইয়ার। যাও যাও পুরোনো ভালোবাসা কে আপন করে,,,এখন মেনে নাও। ( রেগে + চিল্লিয়ে )

অনু: প্লিজ মানিক,,,অনেক বলছো,,,চুপ করো ( চিল্লিয়ে )

মানিক: ওহ্,,,তুমি
রাহুলের প্রেমে পড়তে পারো,,,রাহুল তোমাকে ভালোবাসতে পারে,,,আর আমি বললেই দোষ।

অনু: মানিক,,,আমার এখন কি মনে হচ্ছে যানো ? আমার জীবনে সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো,,,তোমাকে মেনে নেওয়া। ( চিল্লিয়ে )

মানিক: ইয়াহ্,,,একদম ঠিক। কারন আমার জন্য তো,,,তুমি আর রাহুল আলাদা আজকে তাইনা। আমি আসলে একটা বোকা। তোমাদের দু’জন এর মধ্যে তৃতীয় ব্যাক্তি হয়ে ঢুকে পড়লাম। ( অনেক রেগে )

ওদিকে রাহুল হলরুম এ…..ঢুকতে গিয়েও বাইরে থেমে যায়…….এদিকে অনুর মানিকের এই কথাটা শুনেই মাথা গরম হয়ে যায়……সবার সামনেই মানিক_অনু ঝগড়া করে যাচ্ছে…….অনু গিয়ে মানিকের কলার চেপে ধরলো…….সবাই কি করবে বুঝতেই পারছিলো না………………….

অনু: কি বললে তুমি ? ( রেগে )

মানিক: তোমার সাহস কি করে হয় আমাকে ছোঁয়ার ? কলার ছাড়ো আমার অনু ( চিল্লিয়ে )

অনু: তুমি আগে আমার কথার উওর দাও। তুমি আমাদের মাঝে তৃতীয় ব্যাক্তি হয়ে ঢুকে পড়েছো মানে ? ( রেগে )

মানিক: মানিক চৌধুরি কারো কোনো প্রশ্নর উওর দিতে বাধ্য না। এমন কি তোমারও না। ( চিল্লিয়ে )

অনু: আমার অধিকার আছে,,,তোমাকে প্রশ্ন করার। ( রেগে )

মানিক: অনু ছাড়ো আমাকে ( রাগে চোখ বন্ধ করে )

অনু: আগে আমার উওর দাও ( রেগে + চিল্লিয়ে )

মানিকের রাগে চোখ মুখ ঠোঁট লাল হয়ে গেছে…….অনুর চোখ দিয়ে পানি পরেই যাচ্ছে……মানিক বার বার রেগে অনুকে বলছে….তার কলার টা ছেড়ে দিতে……কিন্তু অনুও জেদ ধরেই বসে আছে…….মানিক শেষে রাগ সামলাতে না পেরে……অনুর হাত ধরে একটা ঝাটকা দিয়ে দুরে ঠেলে দিলো…….আর অনুর এখনও হালকা জ্বর থাকায় অনু তাল সামলাতে না পেরে……পড়ে গিয়ে চেয়ার এর কোনায় মাথা লেগে……কঁপালের কোনা থেকে রক্ত বের হয়ে যায়……সবাই ওদের এমন ঝগড়া দেখে স্তব্দ হয়ে যায়…….রাহুলের রাগে মন চাচ্ছে মানিক কে খুন করতে……………..

মানিক: এর পর থেকে সাবধান। আমার কাছে আসার চেষ্টা করলে ফল ভালো হবে না।

অনু: আহ্হ্হ্হ্,,,

মিহু: অনুউউ ( গিয়ে ওর পাশে বসলাম ) ঠিক আছিস তুই ?

নীলা: ( গিয়ে অনুকে উঠালাম ) অনু উঠ,,,মানিক তুই কি পাগল ( চিল্লিয়ে )

মেঘ: মানিক তোর মাথা পাগল হয়ে গেছে,,,যেই মেয়ে কে তুই বকতেও পারিস না। তাকে ধাক্কা মেরে এভাবে ফেলে দিলি ( চিল্লিয়ে )

নীল: তোর মাথাটা পুরো গেছে। তুই যেহেতু এতই ঘৃণা করিস,,,যা সায়েমার কাছে তুই। ( চিল্লিয়ে )

মানিক: নীললললল ( রেগে + চিল্লিয়ে )

আবির: গলা নিচে কর মানিক ? আজকে যদি এখন কোনো ক্ষতি হয়ে যেতো অনুর ? ( চিল্লিয়ে )

নিলয়: তোকে দিয়ে এগুলো জাস্ট ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে। ( চিল্লিয়ে )

সাগর: আজ আমি তোকে বলে দিচ্ছি,,,তুই আমার অনুর থেকে দুরে থাকবি,,,এমনকি আমার থেকেও।

নাদিয়া: অনু তুই ঠিক আছিস তো,,,

মানিক: বাহ্,,,একটা নোংরা মেয়ের জন্য তোরা আমাকে কথা শুনাচ্ছিস ? তোরা সব ভুলে গেলি ??

লিসা: চুপ কর তুই,,, ( চিল্লিয়ে )

নদী: তুই ভাবলি কি করে অনু এটা করতে পারে,,,এই ভালোবাসা তোর ? এই বিশ্বাস ??

মানিক: আমি যা করেছি,,,সব ঠিক করেছি।

মিহু: আমি যেনো আর কোনোদিন তোকে,,,অনুর সামনেও না দেখি। তোর জন্য ভালো হবে না। ( চিল্লিয়ে )

মানিক: ওর মত নোংরা মেয়ের চেহারা দেখতেও এখন আমার বাধে,,,

রাহুল আর সহ্য করতে পারলো না……অনুকে এত কথা শুনাচ্ছে……রাহুল রেগে হলরুম এ ঢুকেই…..মানিকের কলার চেপে ধরলো……মানিকও রেগে রাহুলের কলার চেপে ধরলো………সবাই অবাক হয়ে গেলো…….

রাহুল: তোর সাহস কি করে হয়,,,অনুর কঁপাল থেকে রক্ত ঝড়ানোর।

মানিক: তুই বলার কে,,,

রাহুল: তোকে তো আজ আমি মেরেই ফেলবো। আর যাই হোক আমার অনুর বেপারে‌ কেউ কিছু বললে তাকে আমি মেরে ফেলবো।

মানিক: তোর সাহস থাকলে মেরে দেখা।

রাহুলের রাগ উঠে গেলো……মানিক কে এক ঘুসি বসিয়ে দিলো গালে……..মানিকও রাহুলের গালে ঘুসি বসিয়ে দিলো……রাহুল_মানিক কে মারামারি করতে দেখে…..অনু উঠেই ওদের দু’জন কে থামানোর চেষ্টা করতে লাগলো………শেষে দু’জন থেমে গেলো……

অনু: কি হচ্ছে এগুলো,,,এভাবে কেউ মারামারি করে ?

রাহুল: সব কথা পরে,,,চলো তোমার অনেক ব্লাড পরছে,,,ডক্তর এর কাছে চলো।

অনু: মানিক তুমি এতটা,,,?

মানিক: জাস্ট সাট আপ,,,আমার সামনে থেকে চলে যাও।

রাহুল: অনু চলো,,,ও কারো ভালোবাসার যগ্যই না,,,যে ভালোবাসায় কোনো বিশ্বাস থাকে না,,,সেটাকে ভালোবাসা বলে না।

নীলা: অনু চল বেনডেজ করতে হবে।

মানিক হলরুম থেকে বের হয়ে চলে গেলো…….নীলা অনুকে বেনডেজ করে দিতে লাগলো……রাহুলও রেগে বের হয়ে গেলো………………

নীল: ইয়ার মানিকের কি হয়ে গেছে,,,

মেঘ: আমার তো মানিক কে চিনতেও কষ্ট হচ্ছে,,,

সাগর: আমার ভাবতে ঘৃণা হচ্ছে,,,মানিক আমাদের বেস্টফ্রেন্ড।

আবির: আমার তো,,,মানিক কে মেরে ফেলতে ইচ্ছে করছিলো।

নিলয়: আমার মাথায় আসছে না,,,হঠাৎ এতটা চেইঞ্জ হওয়ার কারন কি।

অনু: গাইজ প্লিজ,,,মানিকের কোনো দোষ নেই। সব দোষ আমার। ( চোখ মুছে )

মিহু: তুই যদি,,,এখনও মানিক কে আর ভালো বানাতে যাস না ? আমার সাথে কথা বলবি না ( বলেই হলরুম থেকে বের হয়ে গেলাম )

নাদিয়া: আরে দাড়া মিহু,,,

নীলা: অনু তুই একদম চুপ কর।

লিসা: সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে।

নদী: মানিক এটা কি করলো।

অনু: ( মানিক কেনো তুমি আমাকে বুঝো না,,,কেনো )

ওদিকে__________________________________

মিহু: ( আমি কলেজ থেকে বের হতেই থমকে গেলাম। মনে হচ্ছে আমি স্বপ্ন দেখছি। চোখ থেকে পানি পড়ে গেলো )

মিহু কিছু না বলে চলে যাচ্ছিলো…..মনে হলো মিহুর হাত কেউ চেপে ধরলো…..মিহু দাড়িয়ে পিছে ঘুরে তাকালো……

চলবে………………

বি.দ্র: কেমন লাগলো জানাবেন প্লিজ😊