Torture with love 2😍Part-54

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_54

মিহু চোখের পানি মুছে…..এড়িয়ে যাচ্ছিলো……আর মিহুর মনে হলো কেউ তার হাত চেপে ধরেছে……মিহু পিছে ফিরে তাকালো…..ওদিকে মেঘও বের হতেই দেখলো……একটা ছেলে মিহুর হাত চেপে ধরেছে…..মেঘ ওখানেই দাড়িয়ে গেলো………..

সানিম: এখনও আমার সাথে তুই কথা বলবি না ? ( ঠান্ডা ভাবে )

মিহু: তোর সাথে তো,,,আমার কথা বলাই উচিত না। তুই একবারও আমার কথাটা ভাবলি না,,,যে আমি কতটা কষ্ট পেতে পারি,,,তুই আমাকে কিছু না জানিয়ে আমেরিকা চলে গেলি। তারপরও কি করে ভাবলি তোর সাথে আমি কথা বলবো ( করুন ভাবে,,,অভিমান করে )

সানিম: তুই তো বলেছিলি চলে যেতে ?

মিহু: আমি রাগের মাথায় বললাম,,,আর তুই কাউকে কিছু না বলেই চলে গেলি ?

সানিম: আজ নাহয়,,,৪ বছর আগের কথা বাদ ই দিলাম।

মিহু: আমাকে কি দরকার তোর?,,,কোনো দরকার নেই।

সানিম: দরকার না হলে,,,আমি তোর কাছে আসতাম না। কতগুলো দিন পর তোর সাথে আমার আজ দেখা হলো।

মিহু: হাতটা ছাড়,,,আমি যাবো।

সানিম: তুই আমার সাথে,,,আজকেও কথা বলবি না ?

মিহু: নাহ্,,,

সানিম: ( মিহুর সামনে কান ধরে ) আ’ম সরি,,,প্লিজ এমন করিস না,,,এতগুলো দিন পর তোকে পেলাম। আর ঝগড়া করতে চাইনা।

সানিমের কান ধরা দেখে…..মিহু হাসতে লাগলো…..সানিমও মিহুর মাথায় একটা টোকা দিয়ে……মিহুকে জরিয়ে ধরলো……মিহুও জরিয়ে ধরলো…..মেঘ তো পারছে না এখনি…..মিহুর খবর করে ফেলতে…..মেঘ ওখান থেকে চলে গেলো……কিন্তু জান্নাতও ছিলো কলেজের সামনে…..আর জান্নাত সব দেখেছে……জান্নাত এখন পুরো প্লেন করে নিলো……কি করে মেঘ_মিহুর মধ্যে গন্ডগোল পাকাবে……জোরে জোরে শয়তানি হাসি দিতে লাগলো……………..

সানিম: আচ্ছা তুই কাদছিলি কেনো ?

মিহু: সে অনেক কথা,,,তোকে পরে সব বলবো।

সানিম: চল ভেতরে।

হলরুমে সবাই ছিলো…..সানিম ঢুকা মাএই অনু থ হয়ে গেলো……সানিম গিয়ে অনুকে জরিয়ে ধরলো…..কিন্তু অনু এখনও শকড এর মধ্যে আছে…..সানিম অনুকে ছাড়তেই…..অনু সানিমের নাম ধরে ডাকলো…..তখন সবাই বুঝতে পারলো….এটা সানিম রাহুলের ভাই…..

রাহুল: কখন আসলি তুই ?

সানিম: বেশ কিছুক্ষন হলো।

অনু: আমি কি স্বপ্ন দেখছি ?

সানিম: রাখ তোর স্বপ্ন,,,ব্যাথা পেলি কি করে তুই ?

অনু: কি…কিছুনা এমনি পড়ে গিয়ে।

সানিম: মিথ্যে বলিস না,,,ওকে পড়ে যেনে নিবো। কিন্তু ওরা কারা ?

মিহু: ওরা সবাই আমার ফ্রেন্ড। আর গাইজ,,,এটাই সানিম।

নীলা: হাই সানিম,,,

সানিম: হ্যাঁলো,,,

তারপর অনেক্ষন সবাই কথা বললো…..সবাই সবার মত চলে গেলো….

________________________________________
মিহুও বাসায় গেলো……রাতে মেঘের বাসায়………………

মেঘ: বাহ্,,,তোমার ফ্রেন্ড তো বেশ ভালো।

মিহু: মানে,,,

মেঘ: কিছুনা,,,এটাই কি সানিম?

মিহু: কেনো আমি তো,,,সবার সামনেই বললাম।

মেঘ: গুড,,,মিহু তুমি কিন্তু ইধানিং আমাকে অনেক এড়িয়ে যাচ্ছ।

মিহু: কোথায় ? আমি তোমাকে এড়িয়ে কেনো যাবো।

মেঘ কিছু না বলে…..মিহুকে দেয়ালে চেপে ধরলো…..আর মিহু মাথা নিচু করে রাখলো….মেঘ বলে উঠলো……………..

মেঘ: আমার দিকে তাকাও মিহু,,,

মিহু: তার কোনো প্রয়োজন মনে করি না আমি।

মেঘ: আমার কোনো দাম নেই তোমার জীবনে তাইনা মিহু ?

মিহু: ( মেঘের দিকে তাকালাম ) তোমার কোনো দাম যদি,,,আমার জীবনে না থাকতো,,,তো আজ আমি তোমার বাসায় থাকতাম না।

মেঘ: আমার সাথে কেনো করছো এমন তুমি ?

মিহু: আমি কিছুই করছি না।

মেঘ মিহুকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো……মিহু অবাক হলো……মিহুও মেঘকে জরিয়ে ধরলো…

মিহু: মেঘ,,,

মেঘ: মিহু প্লিজ,,,আমাকে এভাবে কষ্ট দিও না। আমি নিতে পারবো না। ভালোবাসি তোমাকে আমি।

মিহু: তো আমি কখন বললাম,,,আমি তোমাকে ভালোবাসি না ?

মেঘ: প্লিজ মিহু,,,ওদিন সবার সামনে একটু বেশি রিয়েক্ট করে ফেলেছিলাম। আ’ম সরি।

মিহু: হুমম ( বলেই দিলাম পায়ে পাড়া,,,জরিয়ে ধরা ছুটাচ্ছি তোর )

মেঘ: ( মিহু হুট করে পায়ে পাড়া দিলো ) আহ্,,,উফফফ শুরু হইছে তোমার ফাজলামো।

মিহু: লুচু কোথাকার….জরিয়ে ধরা ছুটাবো তোমার।

মেঘ: ( মিহুর দিকে আগাতে আগাতে ) আমি লুচু ?

মিহু: ( মেঘ আগাতে লাগলো,,,আর আমি পিছাতে লাগলাম ) তা নয়তো কি ?

মিহু দিলো দোড়….মেঘও মিহুর পিছে দিলো দোড়…..মিহু পুরো বাড়ি দোড়াতে লাগলো……সাথে মেঘও পুরো বাড়ি দোড়াতে লাগলো……শেষে মেঘ মিহুকে ধরেই ফেললো….মিহুর কোমড় টেনে মিশিয়ে নিলো মেঘ নিজের সাথে…..তারপর মিহুর নাকের সাথে নাক ঘসে দিলো মেঘ…..মিহু লজ্জা পেয়ে গেলো…….

________________________________________
নীল: কি হলো তোমার ?

নীলা: নীল সব আমার মাথার উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে।

নীল: আজকে আমার নিজেরই ইচ্ছে করছিলো,,,মানিক কে মারি আমি।

নীলা: তুমি তো দেখলে আমি কেমন ব্যবহার করলাম মানিকের সাথে।

নীল: থাক ওসব নিয়ে আপাযত না ভাবাই ভালো।

নীলা: হুমম,,,

নীল: সামনে তোমাকে দেখতে যাবে,,,চাচা-চাচীরা।

নীলা: তোমার লজ্জা করে না ( রেগে )

নীলার কথা শুনে…..নীল ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো……নীলা তো রেগেই বম…………..

নীলা: তোমাকে না আমি বললাম,,,আমার বিয়ে হয়ে গেছে ( রেগে )

নীল: আমি কখন বললাম,,,তোমাকে আমি বিয়ে করবো ( বাঁকা হাসি দিয়ে )

নীলা: মানে ?

নীল: ( নীলার কানের কাছে গিয়ে ) মানে আমি মীম কে বিয়ে করবো।

নীলা: কিইইইই,,,বজ্জাত পোলা, রাক্ষসের ১০ নম্বর জামাই,বিটকেল একটা,শয়তানের নানা, হরিণের মামা, কুমিরের নানি,মুখ পোরা হনুমান,জঙ্গলে ঝুলে থাকা সাপ, নিল তিমি, মরা হাঙ্গর মাছ। তোমার উপর খোদার গজব পড়বে।

নীলা তো পকপক করেই যাচ্ছে…..নীল আর সহ্য করতে না পেরে….নীলার ঠোঁটে আলতো করে….একটা চুমু দিলো….নীলার তো রাগে চোখ মুখ সব লাল হয়ে গেছে…..মন চাচ্ছে নীল কে শেওরা গাছে ঝুলিয়ে পিটাতে……নীলা মাজায় দু হাত দিয়ে দাড়ালো…..

নীলা: এটা কি করলে তুমি ?

নীল: একটু ভালোবাসা দিলাম ( এক ঢোক গিলে )

নীলা: কিইইইই ( চিল্লিয়ে )

নীল: আরে ফাঁটা বাশ চুপ করো না,,,তুমি পকপক করতেছিলা তাই এটা করতে বাধ্য হলাম।

নীলা: তোমার সাথে,,,ব্রেকআপ,,,ব্রেকআপ ব্রেকআপ ( নাকমুখ ফুলিয়ে )

নীল: তুমি একবার দুরে যেয়ে দেখো ? মেরে তোমার পায়ের নলি কেঁটে রাখবো আমি।

নীলা: বাই,,,

বলেই নীলা চলে যাবে….আর নীলাকে টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসে….নীলার কোমড়ে Slide করতে থাকে……

নীলা: নীল এটা রাস্তা ?

নীল: কিন্তু রাস্তায় তুমি আর আমি ছাড়া কেউ নেই।

নীলা: তুমি ছাড়বা,,,নাকি আমি চেচাবো ?

নীল: যদি চেচাও তো কিস ফ্রি ( চোখ টিপ দিয়ে )

নীলা: চুপ লুচু কোথাকার।

নীল: আজকে তোমার বাসায় তাড়া নেই।

নীলা: খোদার গজব,,,আমি তো ভুলেই গেছি। নীল আমাকে দিয়ে আসো নয়তো আম্মু আমাকে কিমা বানাবে। আর তোমার বিয়ে করতে হবে না।

বলেই নীলা গিয়ে গাড়িতে বসলো…..নীল একটা বাঁকা হাসি দিয়ে….গাড়িতে উঠলো….তারপর নীলাকে বাসার দিকে নিয়ে গেলো………………

________________________________________

মানিক বাসায় বসে ড্রিংক্স’স করেই যাচ্ছে…..আর বার বার অনুকে ধাক্কা দেওয়ার কাহিনী মনে পড়ছে…….তারপর অনু_রাহুলের কথা মনে পড়ছে……..রাহুল মানিকের কলার চেপে ধরেছে…..সবকিছু মনে পড়তেই মানিক ড্রিংক্স’স এর বোতল টা…..জোরে আছাড় দিয়ে ফেলে দিলো……আর মানিকের মা দোড়ে মানিকের রুমে এলো…..

মানিকের মা: কি করছিস তুই ?

মানিক: আমি জানিনা ( করুন ভাবে )

মানিকের মা: এভাবে নিজেকে কষ্ট দিচ্ছিস কেনো তুই ?

মানিক: আমি কোনো কষ্ট পাচ্ছি না,,,আমাকে একটু একা থাকতে দাও। ( রাগে চোখ বন্ধ করে )

মানিকের মা: তোকে একটা কথা বলি আমি ?

মানিক: বলো,,,

মানিকের মা: কলেজে অনুর নামে কোনো বিচার নেই,,,তাছাড়া সবাই বলে ভালো। মনে হচ্ছে না অনু এগুলো কিছু করেছে।

মানিক: সব ঠিক আছে। কিন্তু অনুর সাইন আম্মু ?

মানিকের মা: তুই একটু মাথা ঘামা। বুঝে যাবি। তোর সাথে আরো একটা কথা ছিলো ।

মানিক: কি কথা,,,

মানিকের মা: তোকে প্রফেসর তামিম দের বাসায় যেতে হবে।

মানিক: আবিরের বাসায় ?

মানিকের মা: হুমমম,,,কিছু ডকুমেন্ট আছে ওগুলো আনতে।

মানিক: কবে লাগবে ?

মানিকের মা: তুই ফ্রি হয়ে এনে দিস।

মানিক: হুমমম,,,

মানিকের মা নিচে চলে গেলো…..মানিক তার মার কথাটা ভেবে ঠিক করে নিলো…..মানিক পুলিশ স্টেশন যাবে পরশুদিন……………

চলবে………………

বি.দ্র: কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু😊