Torture with love 2😍Part-57

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_57

আজ নীল নীলার এনগেজমেন্ট………..সবাই খুব খুশি…….সবাই বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত……পুরো বাড়ি খুব সুন্দর করে সাজানো হয়েছে……মেঘ,মানিক,আবির,নিলয়,সাগর বাসার বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত……নীলাকে বিকেলেই নীলদের বাসায় আনা হয়েছে……নীলাকে এখন সাজানো হচ্ছে……অনু,মিহু,লিসা,নদী,নাদিয়া ওরাও বিভিন্ন কাজে ব্যাস্ত……..পুরো বাড়ি লাইটিং করা…….গেট টাও খুব সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে……চারিদিকে নাচ/গান হই হুল্লর বেধে গেছে……………….

নীলা: দস্ত,,,

অনু: কি,,,?

নীলা: এই লাহিঙ্গা দেখেই তো,,,আমার গরম লাগতেছে পরবো কি আমি।

মিহু: রুমে এসি,,,এমনকি পুরো বাড়িটাই এসি ফিট করা। তাও তোর গরম লাগে ?

অনু: তুই লাহিঙ্গা টা পর,,, তোকে কিন্তু সাজাতে আসবে।

নীলা: তোরা থাক না রুমে আমার সাথে,,,

মিহু: আমাদের নিচে কাজ আছে।

নীলা: ( জোরে একটা নিশ্বাস ছাড়লো )

অনু: ( নীলার ঘারে হাত রেখে ) কিরে,,,কি ভাবছিস তুই ?

নীলা: কত বছর,,,কত অপেক্ষার পর,,,আজকে এই দিন টা আমার কাছে এলো।

মিহু: তার একটাই কারন,,,তোর প্রতি নীলের বিশ্বাস,,,আর নীলের প্রতি তোর বিশ্বাস। এই বিশ্বাস টাই তোদের একএ করেছে।

নীলা: হয়তো। কিন্তু আমি আমার বেস্টফ্রেন্ড দের চিনতে পারছি নারে। মানিক,,,মেঘ অনেক বদলে গেছে।

অনু: ওদের কথা কেনো তুলছিস তুই ?

নীলা: কারন মানিক,মেঘ এমন না।

মিহু: আমি আর কখনও মেঘের কাছে ফিরবো না। কারন যে ভালোবাসায় বিশ্বাস জিনিস টাই থাকে না। তাকে ভালোবাসা বলে না।

অনু: আর মানিক তো,,,সবকিছু নিজের হাতেই শেষ করে দিলো,,,আমার আর কষ্ট করে কিছু করতে হলো না ( হাসি দিয়ে )

নীলা: আমি চাই,,,তোদের আবার সব ঠিক হয়ে যাক। কিন্তু অনু রাহুল তোকে অনেক ভালোবাসে রে।

অনু: হুমম আমি জানি। কিন্তু কি করবো। আমি আর এগুলো নিতে পারছি না। আমি আর কারো কাছেই ফেরত যাবো না,,,মানিক না রাহুল।

মিহু: অনেক ইমশোনাল কথা হয়ে গেছে,,, এবার তুই রেডি হয়ে নিচে আয় তো,,,আমরা যাচ্ছি কেমন ?

নীলা: ওকে যা,,,

অনু আর মিহু নিচে চলে গেলো………নীলা লাহিঙ্গা পরে নিলো……নীলাকে সাজাতে বসলো তারা……………….

________________________________________
অনু ফুলগুলো নিয়ে যাচ্ছিলো……এমন সময় কারো সাথে ধাক্কা লেগে……পরেই যাচ্ছিলো…….মানিক ধরে ফেললো…..অনু তাকিয়েই দেখে মানিক……..অনু মানিকের থেকে সরে দাড়ালো…………….

মানিক: দেখে সাবধানে হাটা যায় না ? এমনি কঁপালে বেনডেজ করা,,,পরে গেলেই তো এখন আরো ব্যাথা লাগতো। ( রেগে )

অনু: তোমার হাতের কি অবস্তা ? ( ঠান্ডা গলায় )

মানিক: সেটা তোমার না জানলেও চলবে। কেয়ারফুলি ভাবে থাকার চেষ্টা করো। ( চিল্লিয়ে )

অনু আর কিছু না বলেই চলে যাচ্ছিলো……মানিক দেখলো সামনে রং দিয়ে কাগজে কিছু একটা করছে…..মানিক ওখানেই পা দিয়ে রাখলো……অনু যেতে গিয়ে মানিকের পায়ে পা বেজে…..ঐ রং করা কাগজ টার উপর পড়লো…..আর অনুর মুখে ভিজা রংগুলো লেগে গেলো……মানিক তো হাসতে হাসতে অবস্তা খারাপ……আর অনু রাগে ফুলতে লাগলো…..অনু চলে যেতে নিলেই….মানিক টেনে সাইডে নিয়ে……দেয়ালে আটকে ধরে…..অনু কিছু বললো না……………

মানিক: নিজের চেহারা দেখেছো আয়নায় ? রং দিয়ে তো মাখিয়ে রেখেছো চেহারা,,,কেউ চিনতেও পারবে না। এমন কি তোমার রাহুলও না।

অনু: ( ফিক করে হেসে দিলাম ) রাহুল আমার নিশ্বাস টাও চিনে ফেলে,,,কারন রাহুল আমাকে এখনও ভালোবাসে।

মানিক: বাহ্,,,তো যাও ওর কাছে। ( রেগে )

অনু: যাবো তো,,, ( বলেই রুমাল দিয়ে মুখ মুছতে লাগলাম )

মানিক: ( আমি অনুর হাত থেকে রুমাল টা নিয়ে নিলাম। তারপর অনুর মাথার বেনডেজ টাও খুলে দিলাম। রুমাল দিয়ে মুখ মুছার পর,,,অনুর কপালে কাঁটা জায়গায় হাত দিতেই )

অনু: ( মানিক নিজে মুখ মুছে দিলো,,,কাঁটা জায়গায় হাত দিতেই ব্যাথা লেগে উঠলো ) আহ্হ্হ্,,,তোমার আমাকে কঁপাল থেকে রক্ত বের করেও শান্তি হয়নি ? এখন আবার ইচ্ছে করে ব্যাথা দিচ্ছ তুমি ?

মানিক: চুপ,,, ( আস্তে করে অনুর কাঁটা জায়গায় হাত দিয়ে মুছে দিলাম,,,ফু দিলাম ) শেষ,,,

অনু চলে গেলো……মানিক ইচ্ছে করেই অনুকে পা বাজিয়ে রং এর উপর ফেলে দিয়েছিলো …..অনুর কঁপালে কাঁটা জায়গাটা দেখার জন্য………….
________________________________________
মেঘ দেখলো মিহু যাচ্ছে…..মিহুকে টেনে দেয়ালে চেপে ধরলো…..মিহুর রাগে শরীর জ্বলে যাচ্ছিলো…………….

মেঘ: তুমি ওভাবে গতকালকে রাতে বের হয়ে গেলে কেনো ?

মিহু: আমার ইচ্ছা তাই,,,

মেঘ: নাকি বাইরে সানিম দাড়িয়ে ছিলো,,,ওর সাথে ওর বাসায় গেছো ?

মিহু: মেঘ মুখ সামলে কথা বলো তুমি,,,

মেঘ: কেনো ভুল কি বললাম আমি ?

মিহু: তোমার জান্নাত এর মত আমি এতো নোংড়া না।

মেঘ: তুমি জান্নাতের থেকে তো,,,কোনো অংশে কম না।

মিহু: ভালো তো,,,আমার কাছে এসো না। সারা জীবনের মত দুরে সরে যাও। তোমার জান্নাতের কাছে যাও।

মেঘ: যাতে তুমি সানিম এর সাথে থাকতে পারো ?

মিহু: সেটা আমার ব্যাক্তিগত বেপার,,,আমি কি করবো।

মেঘ: ব্যাক্তিগত বেপার মানে ?

মিহু: ( মেঘকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম ) আমার না এখন,,,তোমার ছোঁয়া টাও ঘৃণা করে,,,তোমার সাথে কথা বলতেও ঘৃণা করে।

মেঘ: মিহু জাস্ট সাট আপ। ( চিল্লিয়ে )

মিহু: একটা কথা কান খুলে শুনে নাও। তোমার সাথে,,,আমার সবকিছু শেষ। তুমি তোমার রাস্তায় চলো,,,আর আমি আমার রাস্তায় চলবো। তুমি প্লিজ আর কখনও আমার সামনেও এসোনা। ( বলেই ওখান থেকে চলে এলাম )

মেঘ: আমিও দেখবো কতদিন তুমি থাকতে পারো,,,( কিন্তু এত রিয়েক্ট করছে,,,‌ও কি সত্যি সত্যিই আসবে না। যা ইচ্ছা করুক ও। হোয়াটএবার )
________________________________________

নীল নিচে দাড়িয়ে আছে……নীলা এখনও নিচে নামছে না……নীল তো নীলার অপেক্ষায় অপেক্ষায় শেষ হয়ে যাচ্ছে………………

মানিক: একটু ওয়েট কর,,,নীলা ঠিকই বলে। তুই আস্ত একটা লুচু।

নীল: আমার জায়গায় তোমাকে যেদিন বসাবো,,,সেদিন দেখবো তোমার অবস্তা কি হয়।

মেঘ: তোর তো উপরে সিঁড়ির দিক থেকে চোখ ই সরছে না,,,

নীল: কত যে ভূত সাজতেছে কে জানে,,,

সাগর: একটু সহ্য কর,,,

নীল: আর সম্ভব না।

আবির: জানিস তো,,,মেয়েদের সাজতে একটু দেরি হয়,,,

নীল: সেই বিকালে রুমে ঢুকলো,,,এখন রাত ৮:০০টা বাজে।

নিলয়: এর নামই মেয়ে মানুষ বুঝলি।

নীল: আর বলিস নারে,,,ওয়েট করতে পারছি না।

বলতে বলতেই নীলাকে……অনু,মিহু,নাদিয়া,,,লিসা,,,নদী সবাই মিলে নিচে নিয়ে এলো…….নীল তো চোখ সরাতেই পারছে না……রেড লাহিঙ্গা,,,ফুল গোল্ডেন পাথরের কাজ করা,,, দু কানে গোল্ডেন স্টোনের দুল,,,গলায় গোল্ডেন স্টোনের নেকলেস মাঝখানে রেড একটা বড় স্টোন বসানো,,,নাকে নথ পরা,,,দু হাতে গোল্ডেন + রেড মিলানো কাঁচের চুড়ি পরা,,,চুল সাইড সিঁতি করে ফুলানো তার মাঝে রেড স্টোন বসানো একটা টিকলি পরা,,,দু চোখে গাড়ো করে কাজল দেওয়া,,,গাড়ো সাজ,,,ঠোঁটে লাল লিপিস্টিক…….নীল পুরো আটকে গেছে নীলার মাঝে………

নীলা সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে নীলের দিকে তাকালো……গোল্ডেন কালার সেরোয়ানি পরা,,,তার উপর খয়রি কালার বড় একটা স্টোন বসানো বুকের এক পাশে,,,খয়রি কালার চুড়িদার পায়জামা,,,গলায় খয়রি কালার ওড়না ঝোলানো,,,চুল স্পাইক করা,,,হাতে ব্লেক ঘড়ি,,,এক কানে ব্লেক টপ,,,ব্লেক লোফার…..

নীলা নীলকে একটা চোখ টিপ দিলো….আর নীল হেসে বুকের বাম পাশে হাত রেখে দেখালো…….নীলা লজ্জা পেয়ে চোখ নিচে নামিয়ে ফেললো…….নীল তো তার নীলাকে ঢংগি কে দেখেই যাচ্ছে………..

নিচে নামতেই সামনে…..

চলবে………………

বি.দ্র: কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু😊