Torture with love 2😍Part-61

#Torture_with_love_season_2😍😍
#লেখিকা ( অনু )
#Part_61

রাহুল আর নীলা ঢুকেই দেখে…….নীল মীমকে আংটি পরাবে বলে হাত ধরছে…….রাহুল বললো……………..

রাহুল: কি হচ্ছে এখানে ? ( রেগে + চিল্লিয়ে )

রাহুলের গলা শুনে……সবাই গেটের দিকে তাকালো…….রাহুলের সাথে নীলাকে দেখে সবাই অবাক হয়ে গেলো……মীম তো রাগে শেষ হয়ে যাচ্ছে……আর একটুর জন্য ওর সাথে নীলের এনগেজমেন্ট টা হলো না…….নীল আংটি টা ফেলে দিলো…….গিয়ে নীলাকে জরিয়ে ধরলো…….নীলাও নীলের বুকে মাথা রেখে কান্না শুরু করলো……..

নীলা: নীল আমি ভেবেছিলাম তোমাকে হারিয়ে ফেলবো। আজ রাহুল না থাকলে যে কি হতো আমি জানিনা।

নীল: নীলা শান্ত হও। দেখো সব ঠিক আছে। ( নীলাকে উঠিয়ে নীলার চোখের পানি মুছে দিলাম )

মেঘ: কি হয়েছিলো বল তো ?

নীলা: ( আমি ওদের সব কাহিনী বললাম )

রাহুল: ( আমি ওদের সব বললাম )

মীম বুঝে ফেললো…..এখন নীল কে পেতে হলে কি করতে হবে………মীম কিচেন থেকে ছুরি এনে হাতে ধরলো নিজের……….

মীম: নীল তুমি যদি আমাকে বিয়ে না করো,,,আমি নিজেকে শেষ করে দিবো।

আবির: মীম জাস্ট সাট আপ। উল্টো পাল্টা এসব বন্ধ করো ( ধমক দিয়ে )

নিলয়: হাত থেকে ছুরি টা ফেলে দাও মীম ( শান্ত গলায় )

মীম: না,,,নীল আমাকে যদি তুমি বিয়ে না করো,,,আমি নিজেকে শেষ করে দিবো।

নীলা: তুই‌ এভাবে মানবি না।

নীলা গিয়ে মীমের মুখে….. কষিয়ে একটা চড় লাগালো……..ঠাসসসসসস্……… মীম তাল সামলাতে না পেরে পরে গেলো……..অনু গিয়ে মীমের মাথার চুল ধরে টেনে তুললো……তারপর অনুও মীমের মুখে……একটা চড় লাগলো…….ঠাসসসসস্………..মিহু গিয়ে আরো একটা চড় লাগালো……….ঠাসসসসস্……….নাদিয়া লিসা আর নদী গিয়ে…….মীম কে ধরে টেনে এক লাথি দিলো পায়ে………আর বাসা থেকে বের করে দিলো ধাক্কা দিয়ে………

মানিক: এতগুলো মানুষের সামনে,,, এতগুলো মাইর খাওয়ার পর যদি তোর লজ্জা থাকে,,,তো আর কোনোদিন আমাদের সামনে নিজের মুখ দেখাবি না। বেরিয়ে যা বাড়ি থেকে।

নীল: দারোয়ান চাচা,,,দারোয়ান চাচা ?

দারোয়ান : জি ছোটো সাহেব,,,

নীল: এই শয়তান কে ধরে,,,বাসা থেকে বের করে দাও।

সাগর: আর কোনোদিন ভেতরে আসতে চাইলেও,,,এই রাক্ষসী কে ভেতরে ঢুকতে দিবে না তুমি। এটা আমার অডার রইলো।

মেঘ: মেয়েটা কে বের করে দিন।

মীমকে দাড়োয়ান ধরে বের করে দিলো বাসা থেকে…….মীমের তো রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে……ওদিকে সবাই একটু শান্তি পেলো……..

সাগর: নীলা তুই একটু ফ্রেস হয়ে নে। তারপর নাহয় আংটি বদল হবে ( চোখ টিপ দিয়ে )

নীলা: হুমম আমি যাচ্ছি,,,

নাদিয়া: রাহুল স্যার আপনি ঠিক আছেন তো ?

লিসা: উনার তো হাতে লেগেছে দেখছি ?

রাহুল : ওটা কিছু না,,,এমনি ঠিক হয়ে যাবে।

অনু: ( রাহুলের সামনে গিয়ে ) দেখি হাতটা আমাকে দেখাও ?

রাহুল: অনু কিছু হয়নি,,,একটু কেটে গেছে রিলেক্স ঠিক হয়ে যাবে।

অনু: ( রাহুলের হাত ধরে ) চলো আমি বেনডেজ করে দিচ্ছি,,,ইনফেকশন হয়ে যাবে।

রাহুল: অনু,,,

অনু: চুপ চলো,,,

রাহুল আর কিছু না বলে অনুর সাথে উপরে গেলো………মানিক তো রাগে একটা গ্লাস আছার দিলো নিচে……..

নীল: এতো রাগ দেখিয়ে কোনো লাভ নেই।

মেঘ: অনু এখন আর তোর নেই,,,এটা তুই ভুলে যাচ্ছিস।

সাগর: অনুর সাথে তোর ব্রেকআপ। আর তাছাড়া তুই তো অনুকে সহ্য করতে পারিস না। তাইনা ?

আবির: মানিক তুই অনেক বড় একটা ভুল করে ফেললি। নিজের থেকে অনুকে দুরে সরিয়ে।

নিলয়: এখন নিজের ভুল শিকার করেও লাভ হবেনা।

মানিক: আমি কোনো ভুল করিনি। অনুর উপযুক্ত শাস্তি অনুকে দিয়েছি। আর আমি অনুকে আমার লাইফে চাইও না।

মিহু: তো এগুলো করে কি লাভ হচ্ছে। তুই চাইলেও অনুকে আমি তোর সাথে আর রিলেশন এ যেতে দিবো না। তুই যা করেছিস ক্ষমার অযগ্য।

নাদিয়া: এখন এসব বাদ দে। বড় আম্মু আর নীলার আম্মু তো নীলার সাথেই গেলো। আমি দেখে আসছি।

লিসা: হুমম যা,,,

নদী: অনু আর রাহুলও তো এখনও নামলো না।

________________________________________
অনু রাহুলকে বসিয়ে……ফাসটেড বক্স নিয়ে এলো……..অনু বসে চোখ বন্ধ করে রক্তগুলো পরিষ্কার করছিলো……কিন্তু অনুর হাত কাঁপছিলো…..কারন অনু রক্ত একদমই দেখতে পারে না……অনেক ভয় পায়……রাহুল সেটা ভালো করেই জানে……তাই রাহুল বললো……………..

রাহুল: অনু আমাকে দাও,,,রক্ত টা আমি পরিষ্কার করে দিচ্ছি,,,তুমি বেনডেজ করে দিও।

অনু: আমিই পারবো,,,তুমি বসো।

রাহুল অনেকবার বললো……অনু শুনলো না……রাহুলও আর জোর করলো না…..অনু ভয়ে ভয়ে পরিষ্কার করে……বেনডেজ করে দিলো……..রাহুল এতক্ষন অনুর সাথে দুষ্টুমি করেই যাচ্ছে……অনুর চুলে ফু দিয়েই‌ যাচ্ছে……আর অনু বার বার রাগী চোখে তাকাচ্ছে….রাহুল তাও ফু দিয়ে যাচ্ছে…….আবার হাসছে………………

রাহুল: তোমাকে জ্বালানোর চেয়ে বড় শান্তি আর কিছুতে নেই।

অনু: তুমি তো একটা রাক্ষস,,,বজ্জাতের হাড্ডি,,,ছাল ছাড়া মোরগ,,,

রাহুল : আবার সেই আজব গালি। কিন্তু শুনতে বেশ ভালো লাগে।

অনু: তুমি হাতে এতটা ব্যাথা পেয়েছো,,,তাও তোমার কোনো কষ্ট হচ্ছে না। উল্টে আমার খারাপ লাগছে।

রাহুল: তুমি পাশে থাকলে সব ব্যাথা মাটি হয়ে যায়।

অনু: চল নিচে যাই।

রাহুল: চলো,,,
________________________________________

অনু আর রাহুল নিচে নেমে এলো……..মানিক অনুর দিকে তাকালো…..অনু চোখ সরিয়ে নিলো…………নীলাও নিচে নেমে এলো………

মানিক: নীলা এখন ঠিক আছিস তো ?

নীলা: হুমম,,,

মেঘ: মুখটা এমন করে রেখেছিস কেনো তুই ?

নীলা: আমি অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।

সাগর: মীমকে তো পারলে আমি মেরে ফেলতাম আজ।

আবির: সব মেয়েরা মিলে,,,মেরে ফেলার থেকে কম কি করলো।

নিলয়: যেভাবে মীম কে মারলো।

অনু: এই তোরা কি আমাদের পঁচাচ্ছিস ? নাকি আমাদের সুনাম করছিস কোনটা ?

মিহু: তোর মনে হয় ওরা আমাদের সুনাম করতে পারে ?

নাদিয়া: সারা জীবন পঁচানি খেতে খেতে এই অব্দি এলাম। আমার তো অভ্যাস হয়ে গেছে।

লিসা: আমাকে তো শেষ করে দিলো।

নদী: এতো কষ্ট করে ডাইনি টাকে বাসা থেকে বের করলাম। আর তোরা সবাই মিলে অপমান করছিস আমাদের ?

নীলা: আমি এই এনগেজমেন্ট টা করবো না ( অনেকটা করুন ভাবে )

নীলার মুখে এ কথা শুনে…..সবার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো……নীল তো স্তব্দ হয়ে গেলো…….নীলার মা নীলার কাছে গিয়ে বললো……………..

নীলার মা: কি বলছিস এগুলো তুই ?

নীলা: বললাম তো আম্মু,,,আমি এই এনগেজমেন্ট টা করবো না।

নীল: নীলা কি বলছো এগুলো তুমি ? আমি কি দোষ করলাম।

অনু: নীলা তোর মাথা ঠিক আছে ?

মানিক: এত কিছুর পর,,,এখন সবটা ঠিক হতে চলেছে। আর তুই ?

মিহু: নীলা কি হয়েছে তোর ?

মেঘ: নীলা হুট হাট করে একটা কথা এভাবে বলিস না।

নাদিয়া: স্টপিট গাইজ,,,নীলা ভাইয়া কি কিছু করেছে ?

সাগর: নীলা কথা বল ?

নীলা: আলবাদ তোর ভাইয়ের দোষ আছে,,,নয়তো আমি এনগেজমেন্ট কেনো করবো না বল ?

লিসা: কি করেছে নীল ?

আবির: বল নীলের কি দোষ ?

নীলা: কি করেনি নীল ?

নদী: সেটাই তো তোকে জিজ্ঞাসা করছি ?

নিলয়: যে নীল কি দোষ করেছে বল ?

নীলা : তোরা নীলের কাছেই জিজ্ঞাসা কর নীল কী করেছে,,,কিন্তু আমি এই এনগেজমেন্ট করবো না।

নীল : নীলা প্লিজ এটা বলো না,,,আমি কি করেছি বলো,,,কিন্তু এটা বলোনা।

নীলা: নীল আমি যা বললাম সেটাই,,,আমি এই এনগেজমেন্ট করবো না।

সবাই চুপ হয়ে গেলো……সবার মধ্যে খটকা লাগলো……হঠাৎ কি হলো নীলার……এমন বলার মানে টা কি…….নীলা তো এমন করার কথা না………………….

চলবে………………

বি.দ্র: কেমন লাগলো জানাবেন কিন্তু😊