Destiny’part-64

0
1611

💫🔮💜#Destiny 💜🔮💫

Writer : Angel Ruhi💜

<<<<<<< Part-64 >>>>>>

হঠাৎ কেউ জোরে জোরে হাত তালি দিয়ে বলল,,,’বাহ,,ভালোই তোহ চলছে দেখছি’,,,
অনু আর রোগ সামনে তাকিয়ে যেনো শক খেলো,,,অনু ভয়ে আর ছলছল চোখে একবার সামনে তাকাচ্ছে আরেকবার রোদের দিকে তাকাচ্ছে,,,রোদ একবার অনুর চোখের দিকে তাকালো,,,তারপর সামনে তাকালো,,,

রোদ : ই,,ইরা,,,,,😟

ইরা : yeah,,কেনো রোদ তুই কি খুশি না আমাকে দেখে,,,সেদিন একা রেখে দৌরে চলে গেলি,,আমি তোহ ভেবেছিলাম কি না কি হয়ে গেছে,,কিন্তু এখানে এসে তোহ,,,,not bad rod,,ভালোই surprise দিলি আমাকে তুই,,,😠

রোদ : ইরা plz listen to me,,,আমি জানি আমি অনেক blunder করেছি,,,but believe me,,,আমি কাউকে কষ্ট দিতে চাই নি,,,কিন্তু না চেতেও দিয়ে ফেলেছি,,,and I am really very sorry for that,,,আর আমি মনে করেছিলাম যে তুই হয় তোহ চলে গিয়েছিস,,,😔

রোহান : yeah,,ইরা,,,তোকে আমরা অনেক ফোন করেছি,,,কিন্তু not reachable ছিল,,তাই আমরা ভেবেছি তুই হয়তো রেগে চলে গিয়েছিস,,,আর তাই,,

ইরা : আর তাই,,কি তাই,,,হ্যা,,আর তাই তোরা আমাকে এতো বরো একটা surprise দিয়ে দিলি,,,কিন্তু আমিও কম না,,,তোদের জন্য আমিও একটা surprise নিয়ে এসেছি,,infact its not surprise ,,it’s shock,,,(সয়তানি হাসি দিয়ে)

আয়ান : মানে কি,,,কিসের শক,,,😕

ইরা কিছু না বলে একটা মুচকি হাসি দিয়ে সামনে গেটের দিকে তাকালো,,,ইরাকে তাকাতে দেখে,,বাকি সবাইও তাকালো গেটের দিকে,,,,তখনি আবির মুখে হাসি নিয়ে ভেতরে আসলো ওদের কাছে,,,ইরার পাশে এসে দারাতেই ইরা আবিরের হাত ধরে সবার দিকে তাকিয়ে বলল,,,

ইরা : guys,,meet my husband abir,,,😊

সবাই : what,,,😧

অনু : আবির,,,😧

আবির : yeah partner,,,ইরা ঠিক বলছে,,we are married,,মনে আছে তোমাদের engagement-এর দিন আমি বলেছিলাম,,আমার পক্ষ থেকেও তোমাদের জন্য একটা শক আছে,,যেটা সময় মতো দিব,,,তোহ কেমন লাগলো শক টা,,😉[যাদের মনে নেই তারা ৫১ পর্বে দেখে নিও,,😁]

রুহি,তন্নি,অনু : পুরো 1000 ভোল্টের লেগেছে,,😐😶

রোহান : wait,,,তারমানে তোমাদের বিয়ে আগেই হয়েছে, তাহলে এতোদিন বলোনি কেনো তোমরা,,আর ইরা তুই বিয়ে করেছিস বললি না কেনো আমাদের,,,😕

রোদ : তাহলে ওইদিন এমন করলি কেনো,,আমাকে এয়ারপোর্ট নিয়ে যাওয়া,,আর বাকি সব,,,😕

আয়ান : stop guys,,,ইরা plz সব খুলে বল,,,মাথা হেং হয়ে গেছে আমাদের,,সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে,,,সব clear কর plz,,,🙁

ইরা : আরে তোরা তোহ বলতে দিচ্ছিস না,,,প্রথমে sorry,,,তোদেরকে না জানিয়ে বিয়ে করার জন্য,,,কিন্তু সব কিছু এতো তারাতারি হয়ে গেলো যে তোদের জানাতেও পারলাম না,,আবির আর আমি US-এ একসাথে পরাশুনা করি,,,সেখান থেকেই friendship,like then love,,,,কখন যে একজন আরেকজনকে এতটা ভালোবেসে ফেলেছি বুঝতেই পারলাম না,,(হালকা হেসে) ভালোবাসা হয়তো এভাবেই হয়,,কখন কিভাবে কার সাথে হয়ে যায় নিজেও জানতে পারি না,,তোরা তোহ জানিস,,আমার নানু আমাকে কতটা ভালোাবাসে,,সবসময় আমার বিয়ে কখন দেখবে তা নিয়ে থাকে,,,আবিরের কথা বাসায় সবাই জানে,,হঠাৎ একদিন নানু অনেক অসুস্থ হয়ে পরে,,অনেক ক্রিটিকাল অবস্থা,,তার হাতে সময় কম ছিল,,তাই তিনি চেয়েছিলেন যাওয়ার আগে আমার বিয়ে দেখতে,,আর তাই একদিনের মধ্যে দুই পরিবারের সামনে আমাদের বিয়ে হয়ে গেল,,,আর তোদের জানাবো তার আগেই তোরা আমাকে ফোন দিয়ে তোদের বিয়ের খবর দিলি,,,সাথে তোদের বউদের ছবি,,😊

আবির : আর তখন আমি ইরার সাথেই ছিলাম,,,অনুকে ফোন করছিলাম,,কিন্তু মহারানি ধরছিল না,,,তখনি ইরার ফোনে অনু,তন্নি,রুহির ছবি দেখে জানতে পারি,,ইরার তিন বেস্টফ্রেন্ডের বিয়ে আর কারো সাথে না বরং আমাদের অরুন্নির সাথে হচ্ছে,,তাই ভাবলাম কেননা একেবারে তোমাদের সামনে গিয়েই তোমাদের surprise দেওয়া যাক,,,তাই কাউকে কিছুই জানাইনি,,কিন্তু engagement-এর দিন আমরা আমাদের plan change করলাম,,,😊

ইরা : হুমম,,,কারন আমি জানতাম রোদ আমাকে like করে অনেক আগের থেকে,,but it’s like not love,,এই ডাফারটা বন্ধুত্বকে ভালোবাসা ভেবে নিয়েছিল,,,কিন্তু যখন জানতে পারলাম,,, রোদ অনুকে বিয়ে করছে তাও ভালোবেসে,,,তখন অনেক খুশি হয়েছিলাম যে,,finally রোদ বুঝতে পেরেছে ভালো লাগা আর ভালোবাসার মধ্যে পার্থক্য,,,কিন্তু এখানে এসে দেখলাম না রোদ এখনো শুধরায়নি,,,রোদের হাব-ভাব দেখে কিছুটা খটকা লাগছিল ডাউট হচ্ছিল যে ওর মনে চলছে কি,,,তাই ঠিক করলাম ডাউট টা clear করবো,,,কারন বিয়ে কোনো ছেলে খেলা না,,আমি চাইনি একটা ভুল সিদ্ধান্ত দুজনের লাইফ নষ্ট করুক,,,আর অনু রোদকে অনেক ভালোবাসে এটা ওহ আগেই আবিরকে বলেছিল,,,কিন্তু রোদ,,ওকে নিয়ে doubt হচ্ছিল,,,তাই আবিরকে ইশারা দিয়ে বললাম,,যাতে এখন না বলে,,,কিন্তু একটা জিনিস খেয়ান করলাম,,,অনুকে আবিরের সাথে দেখলে রোদের চেহারার রং বদলে যায়,,,জেলাস ফিল করে,,,আর তাই আবির ইচ্ছে করে রোদকে আরও জেলাস ফিল করাচ্ছিল,,,

আবির : যাই বলো,,,তখন রোদের ফেস দেখে অনেক কষ্টে নিজের হাসি কন্ট্রোল করতাম,,,বাপরে পারে না আমাকে কাচা খেয়ে ফেলে,,,রোদের ওই অবস্থা দেখে বুঝতে পারলাম যে,,,রোদও অনুকে ভালোবাসে কিন্তু এটা ওহ নিজেই জানে না,,,,কারন ইরাকে অন্য কারো সাথে হাগ করতে দেখেও ওকে জেলাস হতে দেখিনি,,,কিন্তু অনু অন্য কোনো ছেলের সাথে কথা বললেও রোদেরও চেহারার রং পাল্টিয়ে যেত,,,যেন এখনি world war -3 শুরু করে দিবে,,,😂

রোদ : 😒😒

ইরা : আর তাই আমরা ডিসাইড করলাম,,,তোকে রিলাইজ করাবো যে তুই অনুকে কতটা ভালোবাসিস,,,তাই এতো ড্রামা আর একটিং করলাম,,,এটা দেখতে যে তুই শেষ পর্যন্ত কি করিস,,,কিন্তু রোদ তুই এতো গাধা আমি আগে জানতাম না,,,নিজের ফিলিংস বুঝতেই পারছিলি না,,,তাই এয়ারপোর্টে নিয়ে গিয়ে ইচ্ছে করে তোর সাথে গেম খেলি,,,,আর তা কাজেও দিলো,,,তুই ফাইনালি অনুর প্রতি তোর ভালোবাসা বুঝতে পারলি,,,আর এক্সেপ্টও করলি যে তুই অনুকে ভালোবাসিস,,,কিন্তু হ্যা তখনও যদি তুই না বুঝতি তাহলে বারি মেরে তোর মাথা ফাটিয়ে দিতাম আমি,,,এরপর যা হল তা তোহ সবার জানা,,,😊

তন্নি : wait,,,এতদিন তোমরা কেনো কিছু বললে না,,,আর তোমরা ছিলে কই এই কয়দিন,,,😕

আয়ান : আসলেই,,,ইরা তুই এতোদিন বলিস নি কেনো এসব,,,,,

ইরা : আরে বলতাম,,,কিন্তু তখন ভাবলাম,,,জেনে হোক বা না জেনে রোদ অনুকে অনেক hurt করেছে তাই ওর কিছুটা শাস্তি পাওয়া উচিত,,,কথায় আছে না কোনো কিছু খুব সহজে পেয়ে গেলে মানুষ তার মুল্য বুঝে না,,,,আর রোদ তোহ না চেয়েই পেয়ে গেছে অনুকে তাই হয়তো নিজের ফিলিংস বুঝতে এতো টাইম লেগেছে ওর,,,,আর এতকিছুর পর অনুর মনেও হয়তো রোদের প্রতি কোথাও না কোথাও চাপা একটু অভিমান,সন্দেহ,কষ্ট রয়েই যেত,,,যে রোদ তাকে আসলেই ভালোবাসে নাকি করুনা করছে,,,তাই কিছু বলিনি,,,আমরা চেয়েছিলাম এবার রোদ কষ্ট করে অনুর মন জয় করুক,,আর ওদের ভালোবাসা যেনো আরও বারুক আর আরও strong হোক,,,যার মাঝে কখনো কেউ আসতে পারবে না,,,😊

ইরার বলা শেষ হতেই অনু গিয়ে ইরাকে জরিয়ে ধরলো,,,আর বলল,,,

অনু : thank u ,,,,,thank u so much,,,,এতো কিছু করার জন্য,,,আমাদের এক করার জন্য,,,😊

রোদ : exactly,,,আমাদের দুজনকে এক করতে তোমরা এতো কিছু করেছো,,,তার জন্য thanks বলাও কম হয়ে যাবে,,,তোমরা যা করেছো তাতে আমাদের ভালোবাসা আর strong আর গভীর হয়েছে,,,you know what ইরা,,,তুই আর আবির আমাদের দুজনের লাইফের এন্জেল হয়ে এসেছিস,,,😊

অনু : কিন্তু হ্যা,,,পার্টনার,,,অন্য সময় হলে এতোক্ষনে ঘুসি মেরে তোমাস নাকের চাটনি বানিয়ে দিতাম,,,,পুরো আবির হালুয়া বানিয়ে দিতাম,,,আর ইচ্ছে মতো করলার জুস খাওয়াতাম,,,,কিন্তু এখন তা করবো না,,,কারন আমার,, ভাবিকে খুব পছন্দ হয়েছে,,,I like her so much,,,,,you are very lucky partner,,,she is such a wonderful and lovely soul,,,,তাই এবারের জন্য মাফ করলাম,,😁

আবির : thank god,,বেচে গেলাম,,,😅

সবাই :😂😂

সেতু : guys,,,অনেক রাত হয়ে গেছে,,চলো সবাই কালকে এভাবে তিনটে বিয়ে আর দুটো ফাংশন একসাথে,,,তাই সকাল তারাতারি উঠেই কাজে লেগে পরতে হবে,,,so,, সবাই রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরো,,,

তন্নি : yeah right,,,রুহিরও রেস্টের প্রয়োজন,,,এভাবে কালকে সারাদিন অনেক ধকল যাবে,,,

রুহি : তোরা যা আমি আমার মেডিসিন নিয়ে আসছি,,,

অনু : ok তারাতারি আয়,,,

একে একে সবাই চলে গেলো পুল সাইড থেকে শুধু রোহান আর রুহি বাদে,,রোহান ফেনে কথা বলছিল,,,কথা শেষ করে পেছনে ঘুরতেই রুহি জরিয়ে ধরলো রোহানকে,,,রোহান হালকা হেসে রুহিকে জরিয়ে ধরলো,,আর বলল,,

রোহান : বাহ,,আজ দেখি আমার princess নিজে এসে আমাকে মিষ্টি করে জরিয়ে ধরেছে,,,😊

রুহি : আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই,,,any problem,,,

রোহান : no problem mam,,,আমার হাতে থাকলে সময়টা আমি এখানেই থামিয়ে দিতাম,,,😊

রুহি : (রোহানকে ছেরে সামনে দারিয়ে মুচকি হেসে বলল)রোহান,,,তোমার জন্য আমার কাছে কিছু আছে,,,😊

রোহান : কি আছে,,,😕

রুহি : close your eyes,,,😊

রোহান : what,,,but why,,😕

রুহি : 😠

রোহান : ok ok relax,,,,এখনি চোখ বন্ধ করছি,,😅

রোহান চোখ বন্ধ করতেই রুহি আস্তে করে হেসে দিল,,,তারপর রোহানের কাছে গিয়ে রোহানকে একটা লকেটসহ চেইন পরিয়ে দিল,,,রোহান চোখ খুলে দেখলো অনেক সুন্দর একটা লকেট,,যেটাতে অনেক সুন্দ করে R লেখা নিচে ছোটকরে একটা হার্ট আছে পাশে ছোট করে লেখা always and forever,,,,রোহান লকেট টা দেখছিল অর মধ্যেই রুহি R লেখাটা আঙুল দিয়ে হালকা চাপ দিল,,আর তখনি এর মধ্যে থেরে রুহির কন্ঠ বাজলো,,I love u my Prince Charming,,,,♥️রোহান রুহির দিকে তাকাতেই রুহি বলল,,,

রুহি : সবসময় তোহ তুমিই আমার জন্য সব কিছু করো,,,আমার প্রত্যেকটা ইচ্ছে পূরন করো,,তা যতই আজিব টাইপের হোক না কেনো,,,কখনো কিছু বলো নি যতই irritate করি না কেনো,,,সব সময় আমার মুখে হাসি আনার জন্য কতকিছু করেছো,,,আর তার বিনিময়ে আমি শুধুই তোমাকে কষ্টই দিলাম তাই না,,,জানো রোহান,,অনেক ভেবে,,তোমার জন্য এটা এনেছি,,,রোহান আমি তোমার কাছে থাকি বা না থাকি,,এই লকেট টা দেখলেই মনে করবে তোমার রুহি সবসময় তোমার কাছে আছে তোমার পাশে আছে,,,always and forever,,,,🙂

রোহান : (ছলছল চোখে) তোমার কিছ্ছু হবে না princess দেখে নিও,,আমি তোমাকে কখনো নিজের থেকে দুরে যেতে দিব না,,,আর না তোমাকে কিছু ভুলতে দিব,,,রুহি আছে তোহ রোহান আছে,,রুহি নেই তোহ রোহানও নেই,, remember that,,,now promise me ruhi,,you never leave me alone,,never ever,,,plz promise me,,,🥺

অনেক কষ্টে চোখের পানি আটকালো রোহান,,কারন ওর চোখে পানি দেখলে রুহি নিজেও কেদে দিবে,,,রোহানের অবস্থা দেখে ওর হাত ধরে রুহি বলল,,

রুহি : I promise you rohan,,,আল্লাহ তা’য়ালা না চাওয়া পর্যন্ত আমি কখনো তোমাকে ছেরে যাবো না,,,আচ্ছা অনেক হয়েছে এখন,,,তুমি তোহ বললে না আমার গিফ্ট তোমাপ কেমন লাগলো,,,পছন্দ হয়নি,,,☹️

রোহান : princess তার Prince Charming কে কিছু দিবে আর তা তার পছন্দ হবে না,,,এটা কখনো হতে পারে,,,কিন্তু আমি অন্য কিছু ভেবে অবাক হচ্ছি,,,😊

রুহি : কি ভেবে,,,🤔

রোহান : উমম,,ভেবেছিলাম কালকে দিব,,কিন্তু তুমি তা হতে দিলে না,,,

রুহি : মানে,,

রোহান মুচকি হেসে পকেট থেকে কিছু একটা বের করে রুহির গলায় পরিয়ে দিল,,,রুহি তোহ অবাক হয়ে একবার নিজের গলার দিকে তাকাচ্ছে আরেকবার রোহানের দিকে,,রোহান মুচকি হাসি দিয়ে রুহির দিকে তাকিয়ে আছে,,,রুহি অবাক হয়ে বলল,,

রুহি : how is it possible,,,,,আমাদের দুজনের gift একরকম হলো কিভাবে,,,wait,,,এটাতেও কি তোমার ভয়েস রেকর্ড করা আছে,,,

রোহান : নিজে দেখে নাও,,,😊

রুহি নিজের গলার লকেটে R লেখায় আঙুল দিয়ে হালকা চাপ দিতেই রোহানের কন্ঠে বেজে উঠলো,,I love u princess,,,♥️রুহি হেসে রোহানের দিকে তাকাতেই,,,রোহান বলল,,,

রোহান : এটা কখনো খুলবে না,,,যতবার তুমি এটা দেখবে আমার কথা মনে পরবে,,,দেখে নিও আমি না পারলেও এই লকেট ঠিক তোমাকে আমার কথা মনে করিয়ে দিবে,,আমাকে কখনো তুমি ভুলতে পারবে না,,,তাই কোনো স্ট্রেস না নিয়ে আমাদের বিয়েটা মন খুলে enjoy করো,,এই সময় বারবার আসবে না,,,don’t worry,,,everything will be alright,,,,(রুহির গালে হাত রেখে),,😊

রুহি : I love u rohan,,,always and,,♥️

রোহান : forever,,,,♥️

রোহান রুহির কপালে কিস করে টাইট করে hug করলো,,,,দুজনেই দুজনের থেকে চোখের পানি লুকিয়ে নিল,,,কিন্তু আসলেই কি লুকাতে পেরেছে,,,🙂

ওদিকে আয়ান তন্নিকে টেনে বাগানে নিয়ে গেলো,,,তন্নি আয়ানকে বলল,,

তন্নি : আরে আয়ান,,,what happened,,,আমাকে এখানে কেনো নিয়ে আসলো,,,😕

আয়ান : কারন আমার চাশমিশ কিছু ভুলে গেছে তা মনে করাতে,,,(মুচকি হেসে)

তন্নি : আমি আবার কি ভুললাম,,,,🤔

আয়ান :(তন্নির সামনে ব্রেসলেটটা ধরে) এটা,,,এটার কথা ভুলে গেছিলে,,,তুমি এই ব্রেসলেট টা আমার জন্য specially বানিয়েছিলে,,আমাকে নিজ হাতে পরিয়ে দিবে বলে,,,আমি জানি এই ব্রেসলেট পরার যোগ্যতা আমি নিজের দোষে হারিয়েছিলাম,,,তোহ এখন যদি আমি তোমার এই ব্রেসলেটের আর তোমার ভালোবাসার যোগ্য হয়ে থাকি তাহলে plz এটা পরিয়ে দাও,,,(ছলছল চোখে মুচকি হেসে)

তন্নি কিছুক্ষন আয়ানের দিকে ছলছল চোখে তাকিয়ে ছিল,,,তারপর আয়ানের হাত থেকে ব্রেসলেট নিয়ে অনেক যত্নে আয়ানকে পরিয়ে দিল,,আয়ানের মুখে বিশ্বজয় করা খুশি,,,কারন আয়ান অনেক অপেক্ষা করেছিল এই দিনের,,,তারপর পকেট থেকে আরেকটা same ব্রেসলেট বের করে তন্নির হাতে পরিয়ে দিয়ে হাতে কিস করলো,,,তন্নি অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো আর বলল,,,,

তন্নি : তুমি এটা কখন,,

আয়ান :(তন্নির কথা থামিয়ে) যেদিন থেকে তোমার হাতে এই ব্রেসলেট টা পরার জন্য অপেক্ষা করছি,,,সেদিনই তোমার জন্য এটা বানিয়েছি,,,specially তোমার জন্য,,আর অপেক্ষা করছিলাম কখন তোমাকে এটা পরাবো সারাজীবনের জন্য নিজের সাথে বেধে রাখবো,,,,finally আজ আমার অপেক্ষা শেষ হলো,😊,,,তন্নি,,,

তন্নি : হুমম,,,

আয়ান : আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি তাই না,,,অনেক কাদিয়েছি,,,but I swear,,,তোমাকে আর কখনো কাদাবো না,,কষ্ট পেতে দিব না,,,নিজের সবটা দিয়ে তোমাকে আগলিয়ে রাখবোা,,,promise,,,I love u chashmish,,,♥️

তন্নি :(ছলছল চোখে হালকা হেসে আয়ানকে জরিয়ে ধরে বলল) I love u too ayan,,☺️♥️

আয়ানও তন্নিকে শক্ত করে নিজের লাথে জরিয়ে ধরলো,,,ওদিকে রোদ আর অনু রুফটপে দারিয়ে আছে,,,রোদ অনুর দিকে তাকিয়ে আছে অনেক্ষন ধরে,,,অনু এটা দেখে বলল,,,

অনু : কি হলো,,এভাবে কেনো তাকিয়ে আছো,,,মনে হচ্ছে প্রথমবার দেখছো আমার এই থোবরা,,,দেখো তারাতারি বল কেনো নিয়ে এসেছো,,নাহলে এই রুফটপ থেকে ধাক্কা মেরে নিচে ফালিয়ে দিব,,🤨

রোদ : ধুর,,দিলো আমার রোমেন্টিক মুডের ১৪টা বাজিয়ে,,,😫কি আর করার,,টেরা হে পার মেরা হে,,,😉

অনু : হুহ,,,😏

রোদ : হয়েছে আর রাগতে হবে না আমার angry bird,,,তোমাকে এখানে নিয়ে আসার কারন হলো,,,একটা অনেক importante কিছু অম্পূর্ন রয়ে গেছিল,,,ওইটাই আমি আজ সম্পূর্ন করতে চাই,,,😊

অনু : কি,,,😕

অনু আর কিছু বলতে যাবে,,,তার আগেই রোদ পকেট থেকে অনুর জন্য নেওয়া engagement ring 💍 টা বের করলো,,,,হাটু গেরে বসে অনুর সামনে রিং টা ধরে বলল,,,

রোদ : আগেরবার যখন রিং টা পরিয়েছিলাম,,তুমি খুলে আমার হাতে ধরিয়ে দিয়েছিলে,,,জানি দোষটা আমার ছিল,,কিন্তু বিশ্বাস করো,,,আমার অনেক কষ্ট হচ্ছিল তখন,,বুকের বাম পাশে চিন চিন ব্যাথা হচ্ছিল,,,কিন্তু বুঝতে পারলাম না,,,তুমি বলেছিলে না,,এই রিংটা তার হাতেই মানাবে যে আমার real love,,আমার soulmate হবে,,,তাহলে এটা শুধুমাএ তোমার হাতেই মানাবে,,.its made only fir you,,because your my real love,my soulmate,my life,my everything,,,,থাকবে তোহ আমার লাইফে সবসময়,,,কখনো ছেরে যাবে না,,,আমি চাই তুমি আমার জান কবজ করার আজরাইলের মতো আমার জীবনে থাকো(হালকা হেসে),,,সবসময় আমার সাথে তোমার দুষ্ট মিষ্টি ঝাল,,ঝগরা করতে থাকো,,,তোমার অদ্ভুদ বকাগুলো সারাজীবন শুনতে চাই,,,সবসময় সুপারগ্লুয়ের মতো তোমর লাইফের সাথে চিপকিয়ে থাকতে চাই,,,এতে তুমি যতই আমাকে মি. চিপকু বলো না কেনো,,,বলো না,,ভালোবাসবে তোহ আমাকে,,সারাজীবন,,,দিবে আমাকে life long gurrenty,,,,সারাজীবন থাকবে তোহ আমার angry bird হয়ে,,,🥺

অনু রোদের চোখের দিকে তাকিয়ে রোদের মতো করে ওর সামনে বসে,,ছলছল চোখে মুচকি হেসে হাতটা এগিয়ে দিয়ে মাথা নারিয়ে সম্মতি দিল,,,রোদে খুশি হয়ে বিগ বাইট স্মাইল দিয়ে অনুকে রিং পরিয়ে দিল,,,তারপর আরেকটা রিং পকেট থেকে বের করে বলল,,

রোদ : আমি জানি তুমি হয়তো আমার উপর রেগে,,আমার engagement রিংটা ফেলে দিয়েছো,,,it’s ok,,,তাই আমি আরেকটা রিং নিয়ে এসেছি,,,সেদিন তোহ পরাওনি,,,আজকে তোহ আমাকে পরিয়ে দাও,,,😊

অনু একবার রিংয়ের দিকে তাকালো আরেকবার রোদের দিকে তারপর রোদের হাত সরিয়ে দিল,,,

অনু : না,,,আমি তোমাকে এটা পরাবো না,,,

রোদ : কেনো,,,ওহ বুঝেছি,,তুমি এখনো আমাকে মন থেকে ক্ষমা করতে পারোনি,,,তাই না অনু,,,,😥

অনু কিছু না বলে নিজের গলার চেন থেকে রোদের রিংটা বের করে রোদকে পরিয়ে দিল,,,আর বলল,,,

অনু : রোদ আমি যতই angry bird হই না কেনো,,,কিন্তু তোমার সাথে জরিত কোনো কিছুই আমার কাছে ফেলনা নয়,,,তা এই রিং হোক বা তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা,,,😊

রোদ ছলছল চোখে স্মাইল করে অনুকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো,,,

রোদ : I love you my angry bird,,,my lady vampire,,,♥️

অনু : I love you too,,,mr. flatter,,,my Dracula,,,,♥️

ওরা আরও কিছুক্ষন থেকে সেখান থেকে চলে গেলো,,রুহিও অনেক্ষন পর আসলো রুমে,,,রুমে ঢুকতেই অনু আর তন্নি লাফ দিয়ে বলে উঠলো,,সারপ্রাইজ,,,রুহি প্রথমে কিছুটা চমকিয়্ উঠলেও,,আশে পাশে তাকিয়ে অনেক খুশি হয়ে গেলো,,,,কারন অনু আর তন্নি পুরো রুমে ওদের শুরু থেকে এই পর্যন্ত সব ছবি,,,,পুরো রুমে সাজিয়েছে,,,আর সাথে ওদের তিনজনের হাজারো স্মৃতি,,,রুহি দেখতে খুশিতে অনু আর তন্নিকে জরিয়ে ধরলো,,,তারপর তিনজনে অনেকক্ষন পর্যন্ত ছবিগুলো দেখছিলো আর তার সাথে জরিত স্মৃতি গুলোর কথা বলে অনেক হাসলো,,অনেক গল্প করলো,,,সব যেনো ওদের চোখে সামনে ভাসছে,,,মেডিসিনের এফেক্টের জন্য রুহি ঘুমিয়ে পরলো,,,কিন্তু অনু আর তন্নির চোখে ঘুম নেই,,,দুজনেই রুহির মাথের দুপাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে নি:শব্দে কেদে দিলো,,,এতোক্ষন রুহির জন্য নিজেদের সামলিয়ে রাখলেও পারছে না,,,ওরা হয়তো শপ্নেও ভাবে নি কখনো এমনও দিন আসবে,,,যে ওদের মনে রুহিকে হারানোর ভয় থাকবে,,,ওদের রুহি ওদের ভুলে যাবে,,, মনে মনে ওরা একটা কথাই বলল,,,যত যাই হোক না কেনো,,,অরুন্নি এক ছিল,,আছে আর সারাজীবন থাকবে,,,,💜

পরেরদিন সকালে,,,
সকাল থেকেই সবাই ব্যস্ত,,হবে নাই বা কেনো তিন তিন বিয়ে একসাথে,,তাও হলুদ আর বিয়ে একদিনেই,,,কিছুক্ষনের মধ্যেই হলুদের ফাংশন শুরু হয়ে যাবে,,,রুহি,তন্নি,অনু পরেছে অনেক সুন্দর হলুদ লেহেঙা যার উপর কমলা কালারের ফ্লোরাল ডিজাইন করা,,,আর রোহান,আয়ান,রোদ পরেছে হলুদ শেরওয়ানি,,তার উপরে কলারের সাইডে কমলাস কালারের ডিজাইন করা,,,ওদেরকে একসাথে বসিয়ে হলুদের ফাংশন শুরু করা হলো,,, রোহান,আয়ান আর রোদ তোহ জেদ ধরেছে,,হলুদ একসাথে হবে,,আর এরা যে যার যার হবু বউকে প্রথম হলুদ ছোয়াবে,,ওদের না করলেও ওরা রাজি হলো না,,শেষ পর্যন্ত ওদের জেদের কাছে হার মানতে হল,,আর সবাই ওদের কথায় রাজি হয়ে গেল,,,হলুদের ফাংশনটা ভালোমতো শেষ হতেই ওরা রুমে চলে গেল,,রুহি রুমে ঢুকেই সোজা washroom-এ গিয়ে মুখে পানি দিল,,অনেক্ষন ধরে নিজেকে স্বাভাবিক রাখছিল,,,কিন্তু মাথাটা মনে হচ্ছে ফেঠে যাবে,,মাথাটা যেনো ঘুরছে ওর,,,রুহি নিজে নিজেই আস্তে আস্তে বলল,,,

রুহি : আল্লাহ,,,plz,,plz দয়া করাে,,,আর কিছু সময় বাকি বিয়েটা হতে,,ততক্ষন পর্যন্ত plz আমাকে এই অসহ্য যন্ত্রনা সহ্য করার শক্তি দাও,,অনেক কষ্টে সবাই বিয়েতে মন থেকে খুশি হয়ে,,exited হয়ে সবকিছু করছে,,আনন্দ করছে,,plz,,এদের এই আনন্দ যাতে,,আমার জন্য শেষ না হয়,,,plz আল্লাহ দয়া করে আমাকে ধৈর্য ধরার আর নিজেকে স্বাভাবিক রাখার শক্তি দান করো,,,আহহ,,(মাথায় হাত দিয়ে কাদতে কাদতে)😖😢

এর মধ্যেই দরজায় টোকা পরলো,,,তন্নি আর অনু দরজা বারি দিচ্ছে,,

অনু : রুহি তুই কি ভেতরে,,,

রুহি : (পানির কল ছেরে দিয়ে,,চোখের পানি মুছে বলল)হুমম,,

তন্নি : রুহি ঠিক আছিস তোহ,,😥

রুহি মুখে আরও পানি দিয়ে নিজেকে দীর্ঘশ্বাস নিয়ে,,,নিজেকে স্বাভাবিক করে,,তোয়াল দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে বলল,,,

রুহি : relax guys,,,আমি ঠিক আছি,,শুধু শুধু টেনশন না করে,,,,বিয়ের ড্রেস অর্নামেন্টস সব হাতে কাছে রাখ,,,একটু পরেই রেডি হওয়া শুরু করতে হবে,,,মনে আছে তোহ,,আমরা ডিসাইড করেছিলাম,,যে আমাদের বিয়ের সাজ অন্য কেউ না আমরা তিনজনই একজন আরেকজনকে বউ সাজাবো নিজের হাতে,,,😊

অনু : তা আর বলতে,,,আমি তোহ অনেক exited,,,☺️

তন্নি : আমার তোহ এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না,,আমাদের সব ইচ্ছে সব শপ্ন এতো সুন্দর করে পূরন হচ্ছে,,,☺️

রুহি : তোহ চল,,সব রেডি হওয়া শুরু করে দেই,,না হলে দেরি হয়ে যাবে,,,,😊

অনু,তন্নি : হুমম,,let’s start,,,,😊

তারপর ওরা একজন আরেকজনকে বিয়ের সাজে সাজালো,,খুব সুন্দর লাগছে তিনজনকেই,,কেউ দেখলে চোখ সরাতেই পারবে না,,,বিয়ের হলে ছেলে পক্ষরাও এসে পরলো,,,ঐশি গেইট ধরে দারিয়ে আছে,,কিছু বলার আগেই রোহান,আয়ান,রোদ তিনজনই ঐশির হাতে চেক ধরিয়ে দিয়েছে,,,তাও ঐশি যতটা ভেবেছিল তার থেকে বেশি,,,ঐশি প্রথমে অবাক হলেও,,পরে খুশিতে লাফানো শুরু করলো,,আহান বলল,,,

আহান : যাহ,,কোথায় ভাবলাম,,মজা করবো,,গেইটের টাকা নিয়ে ঝগরা করবো,,কিন্তু তোরা হতে দিলি না,,,☹️

ঐশি : কি বললেন,,,😒

আহান : nothing,,,এই চল সবাই ভেতরে,,,😅

ঐশি :😏

ওদের কান্ডে বাকিরা হেসে দিল,,,,রোদ আহানের কানে কানে বলল,,,

রোদ : বাব্বাহ,,,এখনি এই হাল,,,😂

আহান কিছু না বলে মাথা চুলকাতে চুলকাতে ভেতরে চলে গেল,,,ঐদিকে আহানা ফোন দেখতে দেখতে ঢাক্কা লেগে পরে যেতে নিলে আর্নিল ধরে ফেলল,,আহানা তোহ ভয়ে চোখ বন্ধ করেছিল,,,চোখে খুলে দেখলো অর্নিল,,অর্নিলকে দেখেই আহানা ব্লাস করতে লাগলো,,,অর্নিল আহানা দারা করিয়ে বলল,,

অর্নিল : once again ,,,মানে প্রত্যেকবার তুমি ঢাক্কা খাওয়ার জন্য আমাকেই পাও তাই না,,,

আহানা :প্রত্যেকবার আমার সামনে আপনিই আসেন,,তাহলে আমি কি করবো,,,

অর্নিল : হুমম,,,বুঝলাম,,কিন্তু সবসময় তোহ বাচানোর জন্য আমি থাকবো না,,,তাই না,,কাই নিজের খেয়ান রাখো,,,ok,,,😊

আহানা :হুমম,,,😔

অর্নিলের এমন কথায় আহানার বুকে এক অজানা ব্যাথা হতে লাগলো,,,কেনো তা হয়তো আহানা জানে,,নাহলে জেনেও না জানার ভান করে,,,আহানা মন খারাপ করে অর্নিলকে ক্রস করে চলে যেতে লাগলো,,,আহানাকে এভাবে মন খারাপ করে থাকতে দেখে অর্নিলের অনেক খারাপ লাগলো,,,অস্থির লাগছিল,,,কেনো তা হয়তো ওহ নিজেও জানে না,,,কিছু না ভেবে আহানাকে পেছন থেকে ডাক দিল,,,

অর্নিল : আহানা,,,

অাহানা :(অবাক হয়ে পেছনে ঘুরে বলল) জি,,,

অর্নিল : you are looking very beautiful,,,,😊

আহানা : 😳

অর্নিল আর কিছু না বলে ফোনে কথা বলতে বলতে চলে গেল,,,আর আহানা ওই খানেই দারিয়ে ব্লাশ করতে থাকলো,,,ওদিকে সেতু কিছু না খেয়েই সব দেখাশুনা করছে,,,ওহ চায়না বিয়েতে কোনো ধরনের কোনো কমতি থাকুক,,,আর সৌরভ খাবারের প্লেট নিয়ে সেতুর পেছন পেছন ঘুরছে আর খাইয়ে দিচ্ছে নিজের হাতে,,,সৌরভ যতই workaholic হোক না কেনো,,,যা করে সব ওর সেতু বেইবির জন্য,,,সেতুর কেয়ার করায় কোনো কমতি রাখে না সৌরভ,,,সেতুর অবশ্য সৌরভের এই কেয়ার অনেক ভালো লাগে তাই আরও ইচ্ছে করে ঝগরা করে অভিমান করে থাকে,,,রাগ দেখায়,,,infact এখনো ইচ্ছেকরেই সৌরভকে পেছন পেছন ঘুরাচ্ছে ওর হাতে খাওয়ার জন্য,,,

কিছুক্ষন পরে পুরো হলরুমের লাইট হালকা হয়ে গেলো,,,ফোকাস লাইটটা সিরির উপর পরলো,,,সেখানে তাকাতেই সবাই থমকে গেলো,,,রুহি,অনু,তন্নি তিনজনেই লাল লেহেঙা পরে,,লাল অপশরি,,লাল পরি হয়ে নিচে নামছে,,,সবার মুখ দিয়ে আপনা আপনি বেরিয়ে গেলো ,,মাশাল্লাহ,,,আয়ান,রোহান,রোদের তোহ চোখের পলকও পরছে না,,মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে,,,অবশ্য ওদেরও আজকে White and golden combination এর শেরওয়ানি পরে কোনো রাজপুএের থেকে কম লাগছে না,,,রুহির পাপ আর মা ছলছল চোখে হালকা হেসে রুহির দিকে তাকিয়ে রইলো,,,অনু আর তন্নির বাবা মাও মুখে হাসি দিয়ে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলো,,, ওদের ছোটবেলার মুহুর্তগুলো যেনো তাদের চোখের সামনে ভাসছে,,,ওরা নিচে নামতেই রুহি পরে যেতে নিলে রোহান আর রুহির পাপা দৌরে রুহির দুইসাইডে গিয়ে দুজন দুই হাত ধরে বলল,,

রোহান : are you ok,,,😥

রুহির পাপা : ডল,,কি হয়েছে,,,খারাপ লাগছে,,😥

রুহি একবার নিজের পাপার দিকে তাকালো আরেকবার রোহানের দিকে তাকালো,,তারপর হালকা হেসে বলল,,

রুহি : যতক্ষন পর্যন্ত এই দুইহাত আমাকে সামলানোর জন্য আছে,,আমার কিছ্ছু হবে না,,calm down,,,আমি একদম ঠিক আছি,,,just ,,,লেহেঙার সাথে পা আটকিয়ে গিয়েছিল,,,thats it,,,now lets go,,,যেভাবে দুজন ধরে আছে ঠিক সেভাবেই আমাকে স্টেজে নিয়ে যাবে,,done,,😊

রুহির পাপা,রোহান :done,,,☺️☺️

রুহি দুজনের দুইহাত ধরে নিজের পাপার বুকে মাথা রেখে,,রোহানের দিকে তাকিয়ে হাসি দিয়ে,,,সামনে যেতে লাগলোা,,,রুহি মনে মনে বলল,,,

রুহি : (মনে মনে) oh god,,,আমার মাথা কেনো ঘুরাচ্ছে এতো,,,এখনি তোহ সবাই বুঝে যেত,,,no ruhi,,,you are not a looser,,,control yourself,,আল্লাহ plz আর কিছুক্ষন সময় দাও আমাকে plz,,😢

আরালে নিজের চোখ মুছে নিলো রুহি,,,স্টেজে ওরা ৬জন বসে আছে,,আর কাজি পাশে দারিয়ে বিয়ে পরাচ্ছে,,প্রথমে আয়ান তন্নির কবুল বলার পাল্লা,,,আয়ানকে কবুল বলতে বলার সাথে সাথেই আয়ান তারাতারি করে একদমে তিনবার কবুল বলেদিলো,,,আয়ানের কান্ডে সবাই হেসে দিলো,,আর তন্নি নিচের দিকে তাকিয়ে ব্লাশ করছে,,,তারপর তন্নি কবুল বলল,,,তন্নি কবুল বলা শেষ হতেই একজনের চোখ দিয়ে পানি পানি গরিয়ে পরলো,,,সে আর কেউ না অর্নিল,,,অর্নিল তারাতারি সবার আরালে চোখের পানি মুছে নিল,,,তারপর ওদের দিকে তাকিয়ে স্মাইল করলো,,,

অর্নিল :(মনে মনে)যত যাই বলি না কেনো,,,কিন্তু ভালোবাসার মানুষকে চোখের সামনে অন্যজনের হতে দেখা অত্যন্ত কষ্টদায়ক,,,কিন্তু এটাও সত্যি ভালোবাসার মানুষটা যদি অন্যকারো সাথে মন থেকে সুখে থাকে,,তাহলে তা নিজের মনেও এক অজানা সুখ আর শান্তি এনে দেয়,,,দুর থেকে তার মুখে সেই হাসি দেখেই সারাজীবন পার করা যায়,,,আমি জানি আমার সুইট ক্যান্ডি,,,তুমি আয়ানের সাথে সবসময় খুশি থাকবে,,,আর দোয়া করি তোামরা দুজন যেনো সবসময় একসাথে হাসি-খুশি থাকো,,,I know আয়ান তোমাকে অনেক ভালোবাসে,,,আর ওহ তোমাকে আমার থেকেও বেশি আগলিয়ে রাখবে,,,best of luck my sweet candy,,,wish you a very happy married life,,,😊

অর্নিলের সবার আরালে চোখের পানি লুকানো সবার চোখে না পরলেও,,,আহানার চোখে পরেছে,,,তারপর অর্নিলকে তন্নির দিকে তাকিয়ে হালকা স্মাইল করা দেখে,,আহানার আর বুঝতে বাকি রইলো না,,,যে অর্নিলের মনে তন্নির জন্য ফিলিংস আছে,,অজান্তেই আহানার চোখ দিয়ে এক ফোটা পানি গরিয়ে পরলো,,, নিচের দিকে তাকিয়ে সাথে সাথে লুকিয়ে ফেলল,,,এদের ভালোবাসা হয়তো এমনি,,,pure love without any expectations,,,♥️এদিকে আহান ঐশির পাশে দারিয়ে কাধে হালকা ধাক্কা দিয়ে বলল,,,

আহান : এদের তিনজনের পরে next turn কিন্তু আমাদের,,,you and me,,,😉♥️

ঐশি : হুহ,,,yeah right,,,in your dreams,,😏😤

এদিকে সৌরভ আর সেতু দারিয়ে নিজেদের বিয়ের মুহুর্ত মনে করছে,,,

সৌরভ :সেতু বেইবি,,,

সেতু :হুমম,,,

সৌরভ : আমাদের বিয়ের দুই বছর হয়ে গেলো তাই না,,,কিভাবে যে এতোগুলোা সময় চলে গেলো বুঝতেই পারলাম না,,,জানো মাঝে মাঝে ভাবি তুমি আমার জীবনে না আসলে আমার কি হতো,,কিছুই না,,,সেতু বেইবি আমার অগোছালো জীবনে এসে এতো সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার জন্য,,,thank u,,,thank u so much and love u😊♥️

সেতু : you know what,,এটা তু মি ঠিক বলেছো,,আমি তোমার জীবনে না আসলে তোমার কি যে হতো,,,🤔যা workaholic তুমি,,দেখতা সারাজীবন চিরকুমার না থেকে যেতে😌,,,কিন্তু হ্যা এই workaholic টা যতই কাজ নামক সতিন নিয়ে পরে থাকুক মা কেনো,,,আমার থেকে বেশি priority কখনো পায় না,,,কখনো আমার কেয়ার করায়,ভালোবাসায় কোনো কমতি রাখে না,,mr.workaholic,,,আমারে এতোটা বেশি আগলিয়ে রাখার জন্য,,thank u ,,thank u so much and,,love u too,,,☺️♥️

এদিকে ইরা আবিরের কাধে মাথা রেখে বিয়ে পরানো দেখছে,,,আর আবিরও ইরার হাত ধরে বিয়ে পরানো দেখছে,,,আর নিজের আর ইরার বিয়ে স্মৃতি মনে করে স্মাইল করছে,,,ওদিকে রোদকে কবুল বলতে বলার জন্য কাজী ক উচ্চারন করতেই রোদ এক নাগারে তিনবার কবুল বলে দিল😂,,,রোদের কান্ড দেখে প্রথমে এক একজন অবাক হলেও পরে জোরে হেসে দিল,,,অনু তোহ মনে মনে একশটা বকা দিল রোদকে,,,বেচারি লজ্জা পেয়েছে,,,😂,,,,অনুকে কবুল বলতে বলায় অনু ইচ্ছে করে দেরি করছিল,,,অনুকে চুপ থাকতে দেখে রোদ বলল,,

রোদ : এই কি হলো বলছো না কেনো,,,😕

অনু : না এই ভাবছি আর কি,,,যে তোমার মতো একটা ড্রেকুলাকে কবুল বলবো কি না,,,🤔

রোদ : অনু,,,,😠😡

রোদের রাগি ফেস দেখে অনু ভয়ং একদমে তিনবার কবুল বলে দিল,,,ওদের কান্ড দেখে কাজীও না হেসে পারলো না,,এক একজনের তোহ হাসি থামার নাম নেই,,,,,এরপর আসলো রোহান আর রুহির পাল্লা,,,,রোহানকে কবুল বলতে বলায়,,রোহানও রুহির দিকে তাকিয়ে একদমে তিনবার কবুল বলেদিলো,,,রুহির কাছে এসে কবুল বলতে বলল কাজী,,,রুহি এতোক্ষন অনেক কষ্টে নিজেকে কন্ট্রোল করেছে আর আল্লাহকে ডেকেছে,,,কিন্তু এখন আর পারছে না,,,চোখ দুটো যেনো বন্ধ হয়ে আসছে,,,তারপরও অনেক কষ্টে বলল,,,

রুহি : কবুল,,কবুল,,ক,,,,

রোহান : রুহি,,,,,,😨😢

অনু,তন্নি : রুহি,,,,,😢😰

শেষ কবুলটা আর বলতে পারলো না রুহি তার আগেই জ্ঞান হারিয়ে পরে গেলো,,,রুহির পাপা মেয়ের সামনে ধপ করে বসে পরলো আর অস্থির হয়ে উঠলো,,,ডক্টর আংকেল সেখানেই ছিল রুহিকে সাথে সাথে চেক করলো,,,আর বলল,,,

ডক্টর আংকেল : oh no,,,রুহি মামুনির condition যত সময় যাচ্ছে ঝুকি বারছে,,,আমাদের আজকেই immediately operation করতে হবে,,,নাহলে রুহিকে বাচানো যাবে না,,,,আমি গিয়ে সব রেডি করছি,,,তোমরা তারাতারি রুহিকে নিয়ে আসো,,,😥

রোহান কোনো কথা না বলে রুহিকে পাজকোলে নিয়ে ছুটলো হসপিটালে যাওয়ার জন্য,,,হসপিটালে রুহিকে OT তে স্ট্রেকচারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে,,,দুই পাশে রোহান আর রুহির পাপা,,,রুহির হাত ধরে আছে,,,আর কান্না করছে,,,রুহিকে ভেতরে নিয়ে গেলো,,,আর ওর হাত তাদের দুজনের হাত থেকে ছুটে গেলো,,,দুজনেই তাকিয়ে আছে,,,রুহি তোহ এদের দুজনেরই জান,,,ওকে হারানোর কথা যেনো ভাবতেই পারছে না,,,রুহির মা তোহ,,,রুহির অবস্থা দেখে অসুস্থ হয়ে গেছে,,,কাদতে কাদতে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছে আর রুহিকে দেখতে চাচ্ছে,,,তাই আর না পেরে তাকে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে,,,যাতে আরও অসুস্থ না হয়ে যায়,,,ওদিকে তন্নি আর অনু জায়নামাজে বসে অনেক কাদছে আর রুহির জন্য দোয়া করছে,,,বাকিরাও নামাজ পরে রুহির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করছে,,,,টানা দুই ঘন্টা পর ডক্টর আংকেল বের হল ,,,,,তাকে দেখেই রোহান আর রুহির পাপা এগিয়ে আসলো,,,কিছু জিগেস করলো না শুধু তাকিয়ে রইলো,,,কি বলবে তা শুনার জন্য,,,দুজনেই কিছু জিগেস করার শক্তি আর সাহস পাচ্ছে না,,,ডক্টর আংকেল কিছু না বলে মাথা নিচু করে ফেলল,,,,😔,,,এটা দেখে রুহির পাপা স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলো,,,,রোহান ধপ করে ফ্লোরে দুহাটু গেরে বসে পরলো,,,,তারপর জোরে বলল,,,

রোহান : রুহিিিিিিিি,,,,,,,,,😭

To be continue……………………….😍

{বি.দ্র. -কোনো কিছু ভুল হলে so sorry,,,,অসুস্থা নিয়ে তিনদিন লাগিয়ে লিখসি,,,তাই কি যে লিখসি নিজেও জানি না,,,কেমন লাগলো পর্বটা plz জানাবেন,,,☺️আর হ্যা এর পরের পর্বটা লাস্ট পর্ব হবে,,,আর আমি last part নিয়ে কিছুই এখনো ভাবি নাই,,,তাই ending টা totally আমার সকল রিডারদের উপর নির্ভর করতাসে,,,যদিও Destiny or নিয়তি টাইপের বেশির ভাগ গল্পের sad ending হয়🤔,,,কিন্তু আপনারা যেটা বলবেন সেটাই হবে,,,so comment-এ vote দিন happy ending নাকি sad ending,,,,যেটার ভোট বেশি আসবে আমি ending টা সেভাবেই দিব,,,promise,,😊
Happy Reading 📖 💜}

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here