শুভ্র নীলের প্রেমপ্রহর পর্ব – ১৩

0
2032

#শুভ্র_নীলের_প্রেমপ্রহর
লেখক- এ রহমান
পর্ব ১৩

~ “এই মুহূর্তে ‘কেমন আছো’ এই প্রশ্ন করে তোমার মন আরও খারাপ করে দিতে চাচ্ছি না। তোমার হাতে ধরে থাকা রিপোর্টটা তোমাকে ঠিক কতটা ভেঙ্গে দিয়েছে সেটা আমার থেকে ভালো হয়তো তুমি নিজেও জাননা। আমি জানি তুমিও ঠিক আমার মতন এমন অজস্র তিক্ত মূহুর্ত কাটাচ্ছ। তোমার তিক্ততা বাস্তবতাকে ঘিরে। আর আমার তিক্ততা তোমার নিজের মনের বিরুদ্ধে এই জুদ্ধের কারনে। জীবনের প্রতি এই অনিহার কারনে। এতো অধিকার কেন তোমার নিজের উপরে? কে দিয়েছে? আমার মোটেই সহ্য হয়না তোমার উপরে কেউ অধিকার দেখাক। তাই তো এই অধিকার কেড়ে নিলাম।

যেখানে তোমার শরীরে সামান্য আঁচড়ের দাগও আমাকে যন্ত্রণা দিয়ে যায় সেখানে এতো বড় কাটা ছেড়া! কিভাবে সহ্য করেছি বলতে পার? নিজের অজান্তেই কেমন করে যেন দু ফোটা পানি গড়িয়ে পড়েছিল আমার চোখ থেকেও। কিন্তু একটা কথা মাথায় ছিল পুরুষ মানুষের কাদতে নেই । তাই নিজেকে সামলে নিয়েছি। কিন্তু মনের মাঝে আজ বড্ড অভিমান। কি ভেবেছিলে? আমি কিছুই জানতে পারবো না? তোমার জিবনে আমার অজানা কোন ঘটনা কি কখনও ছিল আদৌ? তাহলে কেন এই লুকোচুরি?

তোমার অবহেলা যে আমাকে কষ্ট দিয়েছে প্রতি নিয়ত। তুমি বুঝতে চাওনি। কারন তুমি নিজের কষ্ট নিয়েই ব্যস্ত ছিলে। কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। এভাবে অবহেলা না করে নিজের কষ্টটা তো বলতে পারতে একবার। পারতাম না কি তোমার হাতে হাত রেখে সব কষ্ট ভাগ করে নিতে?

বিধাতার খেলা বড়ই অদ্ভুত তাই না? ‘বিয়ে’ নামক ছোট্ট একটি পবিত্র শব্দ আমাদের দুজনকে কত কাছে টেনে এনেছে। কিন্তু আবার তোমার জীবনের চরম বাস্তবতাকে ঘিরে আজ তুমি এই অনুভুতি থেকে দূরে। প্রতিনিয়ত তোমাকে ভাবাচ্ছে কোন ভুল করনি তো? কেন ভুল করবে? বিশ্বাস নেই আমার উপরে? হয়তো নেই। তাই এমন ভাবনা তোমার। কিন্তু আমি তো জানি তুমি আমাকে ছাড়া কেমন থাকবে। এই প্রশ্নটা তোমাকে করা মানেই নিতান্ত বোকামি।

তুমি নিজেকে তুচ্ছ ভেবে অন্যায় করেছ। নিজের কাছে তুমি একজন সাধারন মানুষ হলেও আমার কাছে কিন্তু আমার জীবন। এটা কিভাবে ভুলে যাও? নিজের জীবনের সাথে এতো বড় অন্যায় আমি কিভাবে মেনে নেই?

মুখ ফুটে ভালবাসার কথা সবসময় হয়ত তোমাকে বলা হয়ে ওঠেনি। কখনো মুগ্ধতা, কখনো নীরবতা, কখনো অপলক দৃষ্টিতে শুধুই চেয়ে থাকা। এসব কি ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ নয়?

এই যে আমি এতো অদ্ভুত। ভেতরে ভেঙে চুরে একাকার হয়ে যাই,কিন্তু প্রকাশ করার ক্ষমতা নাই। এটা নিয়ে তোমার অভিযোগের শেষ নেই। তবে কি ধরে নিব মুখে না বলায় তুমি ভালবাসা বুঝে নিতে ব্যর্থ? তবে কি জানো। আমার ভালবাসার মতো আমার অভিমানটাও তীব্র। নিজেকে কষ্ট দেয়া মানে আমাকে কষ্ট দেয়া। তুমি ভুল করেছ জান। এটার শাস্তি যে তোমাকে পেতেই হবে। আমি নিরুপায়। আমি সব অপরাধ ক্ষমা করতে পারলেও এই ভুলের অপরাধ ক্ষমা করতে পারিনা। দূরে যেতে চেয়েছিলে! তাহলে দূরত্বটাই থাক।“~

কম্পিত হাতে ধরা চিঠিটি দুরুদুরু বুকে নিশ্বাস বন্ধ করে প্রতিটি লাইন পড়েছে ঈশা। সেই ভালোবাসার শব্দমালা। সাথে এক রাশ গাড় অভিমান মেশানো। চিঠিটি পড়ে আবেগি হয়ে কেদে ফেলল সে। চোখ বন্ধ করে ফেলল। কারো উপস্থিতি বুঝতে পেরে চোখ খুলে সেদিকে তাকাল। দরজার সামনে ইভান দাড়িয়ে হাতে থাকা চিঠিটির দিকে তাকিয়ে আছে। ঈশা নিস্পলক ইভানের দিকে তাকিয়ে আছে। যৌবনের হারান প্রেমিকের সাথে অনেকদিন পর হঠাৎ দেখা হলে মন যেমন আনন্দে নেচে উঠে ঠিক তেমন অনুভুতি হচ্ছে তার। দীর্ঘ ২০ দিন পর ইভানের সাথে তার দেখা। ১০ দিনের মতো হাসপাতালেই থেকেছে। শারীরিক দুর্বলতার কারনে তার সুস্থ হতে একটু বেশী সময় লেগেছে। আর বাকি সময়টা বাসায় এসে পুরো রেস্ট। বিছানা থেকে নামার সুযোগ হয়নি তার। এই ২০ দিনে ইভান যে তার কাছে যায়নি তা নয়। প্রতিদিনই গিয়েছিলো তাকে দেখতে। কিন্তু সে যখন ঘুমিয়ে ছিল তখন। তাই ইভানের সাথে তার দেখাও হয়নি কথাও হয়নি। ইভান অবশ্য ইচ্ছা করেই এমনটা করেছে। কারন ঈশারও একটু বোঝা উচিৎ। প্রিয়জনের অবহেলা আর কষ্ট ঠিক কেমন লাগে। ইভান আগে ঈশার সাথে কখনও এমন করেনি তাই সে বুঝতেও পারেনি। কিন্তু এখন তাকে বুঝতে হবে।

ঈশাকে নিজের ঘরে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে ইভানের যেমন রিয়াক্ট করার কথা ছিল তেমনটা কিছুই করলো না। ঈশার কেন জানি মনে হল সে যে এখন এখানে আসবে সেটা ইভানের জানা ছিল। ইভান একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে চোখ ফিরিয়ে নিলো। ঈশার দিকে একবার তাকাল না। ধির পায়ে হেটে আলমারির সামনে গেলো। আলমারি খুলে একটা বক্স বের করে পিছনে হাত বাড়িয়ে ঈশার দিকে এগিয়ে দিলো। কিন্তু পেছন ফিরে তাকাল না। ঈশা ইভানের দিকে তাকিয়ে বক্সটা নিয়ে নিলো। ইভান এগিয়ে ওয়াশ রুমের দরজার সামনে যেতেই ঈশা নরম কণ্ঠে বলল
–তুমি সব জানতে?

ইভান থেমে গেলো। ছোট্ট করে ‘হুম’ বলতেই ঈশা আবারো কাপা কাপা গলায় বলল
–কবে জানতে পেরেছ? আমাকে বলনি কেন?

ইভান এবার ঘুরে দাঁড়ালো। ঈশার চোখে চোখ রেখে বলল
–এতো কিছু জেনে কি লাভ? জার জানানো উচিৎ ছিল সে তো জানায়নি কিছু। এমন তো হওয়ার কথা ছিলনা তাই না?

ঈশা চোখ নামিয়ে নিলো। নরম কণ্ঠে বলল
–আমি বলতে চেয়েছিলাম অনেকবার। কিন্তু……।

ঈশা কথা শেষ করতে পারল না। তার আগেই ইভান বলল
–এসব লেইম এক্সকিউজ। বিশ্বাস ছিল না তাই বলা হয়ে উঠেনি। মনে হয়েছিলো আমি সবটা জানার পর ছেড়ে চলে যাব। নিজের জীবনের সাথে জড়াতে চাইব না। দায়িত্ব নিতে চাইব না।

ঈশা মাথা নিচু করে চোখের পানি ফেলছে। ইভান তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলল
–যাকে নিজের জীবনের থেকেও বেশী ভালবাসি। জার জন্য আমি এখনও বেঁচে আছি। জার মুখে হাসি দেখার জন্য আমি গোটা পৃথিবী দিয়ে দিতে পারি সে আমাকে এক রত্তি পরিমান বিশ্বাস করেনা। অদ্ভুত!

ঈশা কান্না জড়ানো কণ্ঠে বলল
–আমি এরকম ভাবিনি। বিশ্বাস কর। আমি কখনই এরকম ভাবতে পারবো না। আমি তোমাকে বলতে চেয়েছিলাম। তোমার সাথে কোন রকম সম্পর্কে জড়ানোর আগে আমি তোমাকে সবটা জানাতে চেয়েছিলাম যে আমি কখনও কনসিভ করতে পারবো না। কিন্তু সেরকম সুযোগ হয়ে উঠেনি। সেদিন আমি তোমাকে বলতে এসেছিলাম কিন্তু তুমি বাসায় ছিলে না। তোমার ঘরে এসে ডাইরিটা চোখে পড়ল। সেটা খুলে পাতা উল্টাতেই তোমার লেখাটা পড়ে জানতে পারলাম তোমার বাচ্চা কত পছন্দ। কিন্তু আমি তো অক্ষম। তাই কিছু ভাবতে পারিনি। মাথায় ঐ সময় একটা কথাই ঘুরছিল তোমার জীবনের সাথে জড়ানো মানে আমি অন্যায় করে ফেলব তোমার সাথে। আমার মাথায় সত্যিই কিছু ছিল না। আমি বুঝতে পারিনি।

ঈশা কেদে ফেলল। ইভান কোন কথা বলল না। দাড়িয়েই থাকল একি ভাবে। ঈশা একটা শ্বাস টেনে আবারো বলল
–তারপর আবার বড় মা আমাকে বলছিল তোমার ছোট বেলার সব খেলনা তোমার বাচ্চার জন্য রেখে দিয়েছে। যখন জানতে পারবে তার এই ইচ্ছাটা অপূর্ণ থেকে যাবে তখন কি হবে? কত কষ্ট পাবে?

এবার ইভান শান্ত সরে বলল
–সবার অনুভুতির এতো খেয়াল! এতো চিন্তা! আমার টা কই? এই জিবনে আমার কি আদৌ কোন জায়গা আছে?

ঈশা কেদে ফেলল। ইভান আর কোন কথা না বলেই ওয়াশ রুমে চলে গেলো। ঈশা বুঝতে পারল সব কিছু নিয়ে তার ইভানের সাথে কথা বলা উচিৎ ছিল। তাকে বুঝিয়ে বলা উচিৎ ছিল। সে বড় অন্যায় করে ফেলেছে তার সাথে। ইভানের অভিমান তার দিক থেকে একদম ঠিক। সব দোষ তার নিজের। সে বেশী বুঝতে গিয়েই সবটা এলোমেলো করে ফেলেছে।

ঈশা এলোমেলো পা ফেলে ইভানের বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজের বাড়িতে এলো। ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলো। কাগজটা আবার খুলে চোখের সামনে ধরল। ঈশার সামনে এবার সবটা পরিষ্কার হল। ইভানের এভাবে হুট করে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত টা কোন ছেলে মানুষী ছিলনা। সবটা জেনে বুঝে সে এমনটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভিতরে জমে থাকা কষ্টটা দীর্ঘশ্বাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলো বদ্ধ ঘরে। চোখ বন্ধ করতেই পানি গড়িয়ে পড়ল।

ভাবতে লাগল সেদিনের কথা যেদিন সে প্রথম জানতে পেরেছিল কোনদিন মা হতে পারবে না। ঈশা যখন প্রথম তার এই অক্ষমতার কথা জানতে পেরেছিল তখন অনেক ভেঙ্গে পড়েছিল। চেয়েছিল ইভান কে সবটা জানাতে। সাহস সুযোগ কোনটাই হয়ে উঠেনি। কিন্তু ইভানের মতো একটা মানুষ কোন কিছু না জেনেই তাকে ঠিক সামলে নিয়েছিল তার অসীম ভালবাসা দিয়ে। আর ঈশাও তার এই ভালবাসা পাবার লোভে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। ইভান তাকে জীবনের নেতিবাচক দিক থেকে সরিয়ে এনে সৌন্দর্য টা দেখাতে চেষ্টা করে। আর এতে সে সফল হয়ে উঠে। ইভানের তীব্র ভালবাসার জোরেই ঈশা আবারো নিজেকে সামলে নেয়। কিন্তু ঈশার মতো সাধারন পরিবারের মেয়েরা সাধারন জীবন যাপনের স্বপ্ন দেখে। একজনকে ভালবেসে তার সাথে সাধারন ভাবে বাঁচতে চায়। স্বামী সন্তান নিয়ে সুখি পরিবারের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু এই শারীরিক অক্ষমতা ঈশার জিবনে অভিশাপের মতো মনে হয়েছে। সন্তান বিহীন দাম্পত্য জীবন ভয়ানক কষ্টের। ইভানের ডাইরি পড়ে সেদিন ঈশা বুঝতে পেরেছিল তার বাচ্চা কত পছন্দ। যদিও বা এসবের জন্য ঈশা কোনভাবেই দায়ী না। তবুও সেদিন নিজেকে অপরাধি মনে হয়েছিলো তার। মনে হয়েছিলো এই অপূর্ণতা তার একার। নিজের ভালবাসা আর অনুভুতিকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে সে এতো গুলো মানুষের অনুভুতির সাথে অন্যায় করছে। তাই সেদিন থেকে ইচ্ছা করে ইভান কে ইগ্নর করতে শুরু করে। কিন্তু এটাও বুঝতে পারছিল যে ইভান কে ছাড়া তার জীবন অসম্পূর্ণ। সে কোন ভাবেই বাঁচতে পারবে না। তাই নিজের বাচার ইচ্ছাটা নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো।

ইভান যে এতো সহজভাবে নেবে বিষয়টা ঈশা সেটাই ভাবতে পারেনি। আবারো ইভানের ভালবাসার কাছে বাস্তবতা হেরে গেলো। ভাবনার মাঝেই হাতে থাকা বক্সটার দিকে চোখ গেলো। সেটা খুলতেই একটা চিরকুট বেরিয়ে এলো। মেলে ধরতেই দেখল শুভ্র রঙের একটা কাগজে নীল কালিতে লেখা

“ওয়েডিং নাইটে নাকি বউকে ওয়েডিং গিফট দিতে হয়। বিয়েটা যেভাবেই হোক বউ তো তুমি আমার। তাই সেই দায়িত্বটাই পালন করতে চেষ্টা করেছি। জানিনা তোমার ভালো লাগবে কি না। তবে আমার এই ছোট্ট গিফট নিজের সাথে পরম আলিঙ্গনে রাখলে আমার ভালো লাগবে। জানিনা তুমি এমন কিছু করবে কিনা। কারন আজ কাল আমার ভালো লাগার প্রতি তোমার বড্ড অনিহা! ”

চিঠিটা পড়ে এতক্ষনের কষ্টটা আচমকাই দূর হয়ে গেলো। আশ্চর্য জনক ভাবে হেসে ফেলল সে। ভালবাসার অনুভুতি গুলো বড়ই এলোমেলো। কখন কাদায় কখন হাসায় কেউ বলতে পারেনা। বক্সের ভিতরের প্যাকেটটা খুলতেই বেরিয়ে এলো অসম্ভব সুন্দর একটা পায়েল। তার মানে এটাই সেই ওয়েডিং গিফট! হাতে ধরে ঠোট টিপে হাসল সে। কোনভাবেই এটা পরবে না সে। ইভান জতক্ষন না নিজে হাতে তাকে পরিয়ে দিবে ততক্ষন সে কিছুতেই এটাকে নিজের সাথে জড়াবে না। কারন বিশেষ উপহার তো বিশেষ মানুষের হাতেই পরতে হয়। সেও দেখতে চায় ইভানের অভিমান টা ঠিক কতটা। ঈশা যে ভুল করেছে সেটা সে বুঝতে পেরেছে। নিজের বোকামির ফল যে ইভান কে এতো কষ্ট দিবে সেটা হয়তো আন্দাজ করাও তার পক্ষে সম্ভব হতনা যদি না ইভানের আবেগময় চিঠিটা পড়তো। এটা এখন তার কাছে স্পষ্ট যে ইভানের সাথে অন্যায় করেছে। তার উচিত ছিল ইভানের ভালবাসাটা বোঝা। কিন্তু সে সেটা না করে তার ভালবাসাকে অসম্মান করেছে। ঈশা ভেবেছিল সে ইভানের কাছ থেকে দূরত্ব বজায় রাখবে। কিন্তু এখন আর সেটা সম্ভব নয়। বাস্তবতা জতই কঠিন হোক না কেন যে তার জন্যই বাচে এমন প্রেমিক কে কি কষ্ট দেয়া সম্ভব? এটা যে বড় অন্যায় হবে।

চলবে………

(বিঃ দ্রঃ গল্পটা সম্পূর্ণ কাল্পনিক। এটাকে বাস্তবতার সাথে মেলাতে জাবেন না। এই গল্পের উদ্দেশ্য দুজন ভালবাসার মানুষের জীবনের কিছু ভালো খারাপ মুহূর্ত আপনাদের সামনে তুলে ধরার। কেউ নিজের জীবনের সাথে সেটাকে মিলিয়ে ফেললে আমি কোন ভাবেই সেটার দায় ভার নিতে রাজি না। দয়া করে এমন কমেন্ট কেউ করবেন না যে মানুষের জিবনে এমন হয়না।

আর গল্পের মধ্যে সাসপেন্স আনলেই আপনারা এরকম অধৈর্য হয়ে পড়েন কেন? গল্পের সিকুয়েন্স মেলাতে অনেক অপ্রাসঙ্গিক কিছু ঘটনা আনতে হয়। একটা সাসপেন্স থাকলে সেটা তো অবশ্যই ক্লিয়ার করেই তবে গল্প শেষ করব। যাই হোক। সাসপেন্স ক্লিয়ার করে দিয়েছি। এতদিন যারা গল্পটা পড়ে আসছিলেন তারা আজকে একটু গল্প নিয়ে কমেন্ট করেন তো।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here