গোধূলীর_রঙিন_ছোঁয়া পর্ব_২৩
#লেখায়_ফারহানা_ছবি
.
.
🦋
প্রাণো সিমি কে নিয়ে চলে আসতে নিলে আর একটি ছেলে পেছন থেকে প্রাণো কে শুট করতে নিলে প্রাণো পেছনে না তাকিয়ে রিভলবার ঘুড়িয়ে শুট করে দেয় ছেলেটির বুকে৷ মুহূর্তে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে ছেলেটি৷ সিমি চোখের সামনে ছেলেটিকে মরতে দেখে নিজেই জ্ঞান হারালো৷ প্রাণো সিমির দিকে তাকিয়ে দেখে সিমি জ্ঞান হারিয়েছে৷ কণা সিমির দিকে একবার তাকিয়ে প্রাণোকে বললো,” ওকে হয়তো আজ অপারেশনে না নিয়ে এলে ভালো হতো ৷ মেয়েটা ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে৷”
” কণা সিমিকে মেয়ে গুলোর সাথে গাড়িতে তুলে নিতে বল৷”
” ওকে”
RV সিমিকে কোলে তুলে নিয়ে মেয়ে গুলোর সাথে গাড়িতে তুলে দিলো প্রাণোর নির্দেশে ৷ প্রাণো তাড়া দিতে লাগলো সবাই কে কাজ টা দ্রুত শেষ করতে ৷ পাঁচ মিনিটের মাথায় সব কাজ শেষ হলে ৷ প্রাণো তার টিম আর মেয়েদের নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে৷
অন্যদিকে আরমান শেখ যতোক্ষণে সবটা জানতে পারলো ততোক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে গেছে৷ সর্বশান্ত হয়ে আরমান শেখ পাগল প্রায়৷ তার সব সম্পদ টাকা পয়সা লাগিয়ে ছিলো এই কন্ট্রাকে , আর আজ অজানা অচেনা কেউ এসে তার সম্রাজ্ঞ্য ধ্বংস করে তাকে নিশ্ব করে দিয়ে গেল৷ আরমান শেখ এটা মানতে না পেরে নিজেই নিজের মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে সুইসাইড করলো৷
________
” বস আরমান শেখ সুইসাইড করেছে”
” ওয়াট! “বসা থেকে উঠে দাড়িয়ে অবাক হয়ে বললো JM..
” জ্বি বস, আরমান শেখ যে ডন এর সাথে ডিল ছিলো সে ডিল পূরণ করতে না পেরে সুইসাইড করেছে৷ ”
” ইম্পসিবল ৷ আরমান শেখ কে আমি যতোটুকু চিনি সেখান থেকে বলতে পারি আরমান শেখ এর সুইসাইড করার লোক না ৷ আরমান যথেষ্ট পাওয়ারফুল একজন বিজনেসম্যান৷ খোজ লাগা এটা সুইসাইড নাকি মাডার্র নাকি এর পেছনে অন্য কোন রহস্য লুকিয়ে আছে?”
” ওকে বস”
” শোন আমি বের হচ্ছি ৷ এই দিকটা সামলে নিস আর হ্যাঁ আরমান এর মৃত্যুর কারণ খুজে বার কর দ্রুত৷”
” ওকে বস কাল সকালের মধ্যে আপনি সব নিউজ পেয়ে যাবেন৷”
JM তার কোট টা হতে নিয়ে বেড়িয়ে গেল৷
___________
রাত তিনটার দিকে জুনাইদ কবির বাসায় ফিরে ক্লান্ত শরীর নিয়ে ড্রইংরুমে ঘুমিয়ে পড়ে৷ সাদমান এর ফোন টা বেজে ওঠায় সাদমান এর ঘুম ভেঙে যায়৷ সাদমান ফোন কানে ধরতে ওপাশ থেকে মেয়েলি কন্ঠে কেউ বলে উঠলো , ” আমার ঘুম কেড়ে নিয়ে তুমি নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছো সাদ?”
” ওহ সুইটহার্ট তুমি এতো রাতে ফোন করলে? আর এটা কার নাম্বার?”
” এটা আমার নতুন নাম্বার সাদ ৷ সাদ তোমাকে একটা নিউজ দেওয়ার জন্য এতো রাতে ফোন করা৷”
” কি নিউজ দিবে যার জন্য তুমি এতো রাতে কল করেছো?”
” তোমার বোন প্রাণো আজ যা করলো সেটা যদি শুনো আমি নিশ্চিত তুমি হার্টফেল করবে৷”
” ভনিতা না করে যেটা বলতে চাও সেটা ক্লিয়ার করে বলো মৌ ৷”
” তুমি তো জানো আমি একজন জার্নালিস্ট ৷ আজ খবর পেয়েছিলাম বিশিষ্ট শিল্পপতি আরমান শেখ তার লোকজন নারী আর ড্রাগ’স পাচার করবে৷ আমি যথা রিতি সেখানে পৌছে গিয়ে ছিলাম তারপর যা দেখলাম তা ছিলো অবিশ্বাস্য ৷ প্রাণো তার টিম নিয়ে ওখানে লোকদের উপর এট্যাক করে অনেক মেয়েদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়৷ ”
” তুমি এতোটা শিওর কি করে যে ওটা আমার বোন প্রাণো ?”
” শিওর হয়েছি প্রাণোর নীল চোখ দেখে সাদ৷ তুমি জানো আমি একবার কোন মানুষকে দেখলে তাকে দুর থেকেও চিনতে ভুল হয় না ৷ সেখানে তোমার বোন তো ইউনিক চোখের অধিকারিণী ৷ ”
” যাস্ট স্যাটয়াপ মৌ ৷ আমার বোন যথেষ্ট নরম মনের মেয়ে৷ যে মেয়ে কিনা রক্ত দেখলে জ্ঞান হারায় ৷ সে মেয়ে কিনা ওতো গুলো লোক কে …. শোন মৌ আমার মনে হয় তোমার রেস্টের প্রয়োজন৷ কাজ কাজ করতে করতে তোমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে৷ তুমি দয়াকরে কিছুদিন রেস্ট করো৷” খানিকটা রেগে বললো সাদমান তার প্রেমিকা মৌ’কে…
” সাদ তুমি আমাকে বিশ্বাস করছো না? ফাইন আমি তোমাকে প্রুফ দেখাবো ৷ ”
” ফাইন যে দিন তুমি আমাকে প্রুফ দেখাতে পারবে সে দিন আমাকে ফোন করো এর আগে যদি আমাকে ফোন করো তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হবে মৌ মাইন্ড ইট৷ ”
কথাটা বলে কল ডিসকানেক্ট করে জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিয়ে রাগটা সংযত করার চেষ্টা করতে লাগলো সাদমান৷
অন্যদিকে মৌ তার ফোনটা বেডের উপর ছুড়ে মেরে রেগে বলতে লাগলো , ” সাদ তুমি আমাকে অবিশ্বাস করলে তাই না? আমি এবার নিজে তোমাকে প্রমান দিবো৷ তোমার বোন প্রাণো উপরে যতোটা সহজ সরল বোকা সোকা ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করে আসলে তোমার বোন তেমন নয়৷ সে কোন হরিণী নয় বরং বাঘিনী ৷ ওই নীল চোখ তার চাহনি কিছুতেই ভুলতে পারবো না৷ এক মিনিট আমি তো সব ভিডিও করেছিলাম ৷ ক্যামেরা আমার ক্যামেরাটা কোথায় ?”
মৌ তার ব্যাগ চেক করে কিন্তু সেখানে ক্যামেরা না পেয়ে রাগে নিজের মাথার চুল টানতে লাগলো৷
” শিট কতো বড় ভুল করে ফেললাম ৷ ক্যামেরা টা হয়তো ওই ফ্যাক্টরির বাইরে কোথাও পড়ে গেছে ৷ আর আমি খেয়াল করলাম না৷ ”
মৌ আবার নিজেকে মুখ স্কাফ দিয়ে ঢেকে ক্যামেরাটা খোজার জন্য সেই ফ্যাক্টরিতে যাওয়ার জন্য বের হয়৷
________________
” প্রাণো মেয়ে গুলোকে ডক্টর চেকয়াপ করছে ৷ ওদের কে অতিমাত্রায় ড্রাগ দেওয়ায় ওরা ওদের জ্ঞানে নেই৷”
” কণা প্রপ্রত্যেকটা মেয়ের উপর নজর রাখবে৷ যেন জ্ঞান ফিরলে পালাতে না পারে৷ চারিদিকে সিকিউরিটি বাড়িয়ে দেও৷ আর সিমি আপুর জ্ঞান ফিরেছে?”
“ডক্টর বলেছে কিছুক্ষণ এর মধ্যে জ্ঞান ফিরে আসবে৷ ”
কণার কথা শেষ হতে দরজায় নক করে কেউ ৷ প্রাণো পার্মিশণ দিতে ছেলেটি ভিতরে ঢুকে প্রাণোকে বলে.” ম্যাম আমরা যখন বাইরে পাহাড়া দিচ্ছিলাম তখন কোন এক রিপোর্টার সেখানে উপস্তিত হয় এবং উনি পালানোর সময় ওনার ব্যাগ থেকে এই ক্যামেরাটা পড়ে যায়৷”
ক্যামেরাটা প্রাণোর হাতে দিয়ে বললো৷
“ওকে আপনি এখন যেতে পারেন৷”
” ওকে ম্যাম”
কণা প্রাণো দু’জনে ক্যামেরা অন করে ফটো ভিডিও গুলো দেখে দু’জনে হতবাক৷
” ওহ মাই গড প্রাণো আমাদের অজান্তে কেউ আমাদের কে ভিডিও করেছে৷”
” হুম তাই তো দেখছি৷ কিন্তু লাভ হয়নি পালানোর সময় ক্যামেরাটা ফেলে গেছে৷ এখুনি সব ফটো ভিডিও ডিলিট করে দিচ্ছি আর এইসডি কার্ড টা নষ্ট করে ফেলবো৷”
” হুম তাই কর কিন্তু এটা তো জানা হলো না কে এই ব্যক্তি যার এতো সাহস নিয়ে আমাদের ভিডিও করলো?”
” ওই এরিয়ায় সি সি ক্যামেরার লাগানো আছে ৷ খোজ নে কে এই ব্যাক্তি?”
” ওকে প্রাণো৷”
প্রাণো কণার হাতে পড়ে থাকা ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখে সারে চারটা বাজে তার মানে আর কিছুক্ষণ এর ভিতর ভোর হয়ে যাবে৷ আর এখুনি ওই বাংলোতে স্মরণের কাছে পৌছাতে হবে তাকে৷
” কণা আমাকে এখুনি বের হতে হবে RV কে বলো এখুনি গাড়ি বের করতে ৷”
” তুই চিন্তা করিস না সময় মতো RV তোকে পৌছে দিবে৷ আমি এখুনি RV কে বলছি৷”
___________
আজ অনেকদিন পর প্রিয়া মন ভরে ঘুমন্ত সাজিতকে দেখছে৷ উপরে উপরে সাজিত ঘৃনা করলেও এখনো মনে মনে প্রচন্ড ভালোবাসে প্রিয়া৷ প্রিয়া খুব ভালো করে বুঝতে পারছে সাজিত তাকে একটু হলেও ভালোবাসতো কিন্তু কোন এক অজানা কারণে তাকে ছেড়ে প্রাণোকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়৷ কেন ঠকালো সাজিত তাকে এই প্রশ্ন সর্বক্ষণ প্রিয়ার মাথায় ঘুরপাক খায়৷ প্রিয়া মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলো এবার সাজিতকে তাকে ভালোবাসতে বাধ্য করবে এতোটাই বাধ্য করবে যে তাকে এক নজর দেখার জন্য ছটপট করবে সারাক্ষণ ৷ যেভাবে প্রিয়াকে সাজিত আঙ্গুলের ইশারায় নাচিয়েছিলো ঠিক তেমনি এবার প্রিয়া সাজিতকে আঙ্গুলের ইশারায় নাচাবে৷
কথা গুলো ভাবতে ভাবতে আজানের ধ্বনি শুনতে পেল৷ প্রিয়া আর না ঘুমিয়ে ঝটপট ওজু করে নামাজ আদায় করে নিয়ে ব্যালকনিতে গিয়ে দাড়িয়ে পরবর্তী প্লান গুলো এক এক করে সাজিয়ে নিলো৷
__________
খুব সাবধানে পা টিপে টিপে বাংলোর ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে রুমে এসে দেখে স্মরণ আগের মতোই ঘুমিয়ে আছে৷ প্রাণো ওয়াশরুমে গিয়ে ওজু করে ফজর এর নামাজ আদায় করে স্মরণের বুকে মাথা রেখে চোখ বন্ধ করে ফেললো৷
পৃথিবীর অন্ধকার কে নিশ্চিন্হ করে সূর্যের কিরণ পৃথিবীতে পৌছে চারিদিক তার আলোয় আলোকিত করে তুললো৷ পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে স্মরণ এর ঘুম ভেঙে যায়৷ চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে তার প্রাণ ছোট্ট বাচ্চাদের মতো তার বুকে মাথা রেখে জড়িয়ে ধরে আছে৷ প্রাণোর এলোমেলো চুল গুলো বার বার প্রাণোর মুখে এসে মুখটা ঢেকে দিচ্ছে৷ স্মরণ প্রাণোর কপালের এলোমেলো চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে আলতো করে কপালে ঠোঁট ছুইয়ে দিয়ে বালিশে ঠিক মতো শুইয়ে দিয়ে স্মরণ উঠে ওয়াশরুমে চলে গেল৷
বেলা এগারোটায় প্রাণোর ঘুম ভাঙতে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে স্মরণ তার দিকে মহোনীয় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে৷ প্রাণো স্মরণের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে বলে , ” গুড মরনিং মাই কিউট হাসবেন্ট ”
” গুড মরনিং সুইটহার্ট ৷ এখন দ্রুত উঠে ফ্রেস হয়ে নেও বাড়ি ফিরতে হবে তো?”
” এতো তাড়াতাড়ি ?” মুখ গোমড়া করে বললো প্রাণো৷ তা দেখে স্মরণ প্রাণো দু’গাল স্পর্শ করে প্রাণোর ঠোঁটের আলতো করে চুমু দিয়ে বলে,” জান সাদমান ফোন করেছিলো সকালে , তোমাকে দ্রুত বাড়ি যেতে বলেছে আঙ্কেল আন্টি তোমাকে নিয়ে টেনশন করছে৷”
প্রাণোর তার বাবা মায়ের কথা মনে পড়তে দ্রুত ওয়াশরুমে ঢুকে ফ্রেস হয়ে বেড়িয়ে দেখে স্মরণ তার জন্য খাবার নিয়ে অপেক্ষা করছে৷ ব্রেড সিদ্ধ ডিম আর দুধ ৷ এগুলো দেখে প্রাণো নাক সিটকে বলে,” এই সব কি স্মরণ? দুধ ডিম ব্রেড ! এগুলো আমি খাই না ৷ ”
” এগুলো খেতে হবে তোমাকে নেও খেয়ে নেও৷” স্মরণ জোর করে প্রাণোকে সব খাইয়ে দেয়৷
প্রাণো কপাল কুচকে চুপচাপ খেয়ে নিলো কারণ এখন তাল বাহানা করলে দেরি হয়ে যাবে ৷
স্মরণ নিজেও নাস্তা করে প্রাণোকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ে ৷ প্রাণোর বাড়ির কিছুটা দুরে গাড়ি থামাতে বলে প্রাণো ৷ প্রাণোর কথা মতো স্মরণ গাড়ি থামিয়ে দেয়৷
” এখানে গাড়ি থামাতে বললে কেন প্রাণ?”
” গর্ধব বাড়ির সামনে গাড়ি থামালে বাবা বা মায়ের চোখে পড়লে কতো সমস্যা হতে পারে বলে তোমার কোন ধারনা আছে?”
” না গো আমার কোন ধারনা নেই ৷ তবে দেখলে ভালোই হবে আমাদের আবার নতুন করে বিয়ে দিয়ে দিবে৷”
” এগুলো কল্পনায় দেখো বাস্তবে তখন আমি অন্য করোর বউ হয়ে যাবো আর আব্বু ভুলেও তোমার সাথে বিয়ে দিবে না৷”
প্রাণোর সব কথা ঠিক থাকলেও অন্য কারোর বউ হয়ে যাবে কথা একদমি পছন্দ হয়নি স্মরণের ৷ রাগে চোখ দু’টো লাল বর্ণ ধারণ করেছে৷ প্রাণো স্মরণের চোখ মুখ দেখে বুঝতে পারলো সে কি ভুল কথা বলে ফেলেছে ৷ এই মুহূর্তে স্মরণ কে শান্ত করা খুব প্রয়োজন নাহলে অনর্থ ঘটে যেতে পারে বলে প্রাণো হুট করে স্মরণের ঠোঁটের ভাজে ঠোঁট ডুবিয়ে দেয়৷ প্রাণোর ছোঁয়ায় স্মরণের রাগ গলে জল হতে বেশিক্ষণ সময় নিলো না৷ কিছুক্ষণ পর প্রাণো স্মরণ কে ছেড়ে দিয়ে গাড়ি থেকে বের হতে নিলে স্মরণ প্রাণোর হাত টেনে ধরে বলে উঠলো ,” প্রাণ তুমি শুধু আমার , তুমি আমার বউ এই ইফতেকার মাহমুদ স্মরণ এর বউ তুমি এই কথাটা আজ এই মুহূর্তে মাথায় ভালো করে সেটআপ করে নেও ৷ ভুলেও অন্য কারোর বউ হওয়ার দুঃসাহস করতে যেওনা তাহলে ইফতেকার মাহমুদ স্মরণ কতোটা খারাপ হতে পারে সেটা কল্পনাও করতে পারবে না৷ আর এই নেও ”
” এটা কি?”
” ফোন ৷ গতকাল তোমার ফোনটা ভেঙে দিয়েছিলাম ৷”
” এটার কোন প্রয়োজন নেই স্মরণ”
” কিসের প্রয়োজন আছে আর কিসের প্রয়োজন নেই সেটা আমি বুঝবো তুমি নও ৷ আর একটা কথা একবার কল দেওয়ার সাথে সাথে কল রিসিভ করবে নাহলে আমি সোজা তোমায় তুলে নিয়ে যাবো ৷ মনে থাকবে?”
প্রাণো মাথা নাড়লো তারমানে ঠিক আছে৷ প্রাণো ফোনটা হাতে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে বাসায় ঢুকে যাওয়ার পর স্মরণ গাড়ি ঘুড়িয়ে চলে গেল৷
প্রাণো বাসায় ঢুকতে নিশিতা বেগম রক্তিম চোখে প্রাণোর সামনে দাড়িয়ে আছে৷ নিশিতা বেগম কিছু বলতে যাবে তখনি পেছন থেকে সাদমান বলে উঠলো…….
.
.
.
#চলবে…………..