#উপন্যাস_প্রপর্ণ(২৫)
#কুরআতুল_আয়েন
রায়ান অনেকটা ইতস্তত নিয়েই বুরাগদের বাসায় এসেছে।তার এইখানে আসার কোনো ইচ্ছাই ছিলো না।তার কারণ একটাই,তার অবাধ্য মন।তার অবাধ্য মন শুধু খুশিকে একটিবার দেখার জন্য খুঁজে।রায়ান আর কয়েকদিন পরেই চলে যাবে লন্ডনে।তার বাবার সাথে কথা হয়েছে।সব কিছু ঠিক করেই রায়ানকে লন্ডনে পাঠিয়ে দিবে।
রায়ান ভিতরে ভিতরে অনেক পুঁড়ছে।নিজেই নিজের মনকে কিছুতেই বুঝতে পারছে না।রাতের ঘন রেশ ঘনিয়ে আসতেই রায়ান ব্যস্ত হয়ে পড়ে নিজের ফোনে খুশিকে দেখার জন্য।যতোবার খুশিকে দেখছে ততবারই তার মন অবাধ্য হয়ে যায়।
ছাঁদের দোলনায় বসে আছে রায়ান।চারপাশের গাছপালা গুলোর দিকে তাকিয়ে আছে।আসার পর আশপাশ না তাকিয়ে সোজা ছাঁদে চলে এসেছে।বুরাগ নিচে গিয়েছে দু’কাপ কফি আনার জন্য।রায়ানকে নিয়ে বুরাগ নিজের রুমেই বসতে পারতো।কিন্তু বসে নি বেলী ঘুমোচ্ছে তাই।তাই ছাদে এসেই বসেছে।মিনিট দশেক পর বুরাগ দু’কাপ কফি নিয়ে এসে রায়ানের পাশে বসে পড়লো।একটা কফির মগ রায়ানের হাতে দিয়ে বললো,
–“খাওয়া শুরু কর আগে।বাকি কথাগুলো খেতে খেতেই বলবো।”
রায়ান বুরাগের কথা সম্মতি জানিয়ে কফিটা হাতে নিয়ে নিলো।আগের ন্যায় দূরের গাছগুলোর দিকে তাকিয়ে আছে আর কফিতে চুমুক দিচ্ছে।
বুরাগ কিচ্ছুক্ষণ নিশ্চুপ মেরে বসে রইলো।তারপর শান্ত কন্ঠে বলে উঠলো,
–“রায়ান!বেলীকে সব বলে দেওয়া উচিত।স্নিগ্ধার সাথে আমার সম্পর্ক হওয়ার শুরু কীভাবে আর শেষ কীভাবে!”
–“আমারও তাই মনে হচ্ছে।ফোনে যতটুকু বললি ততটুকুতেই মনে হয়েছে লিটন আর স্নিগ্ধা অনেকটা দূর এগিয়ে গিয়েছে।ওদের এবার একটা শাস্তি পাওয়া উচিত।আর,পারভীন ফুপির মনের অবস্থার কথা বাদই দিলাম।কীভাবে যে চুপ মেরে নিজেকে সামলিয়ে যাচ্ছে তা বলাই মুশকিল!!”
–“আরো একটা কথা আছে এইখানে।”
রায়ান ইশারা দিয়ে বললো,
–“কি কথা?”
বুরাগ শুধু রাগে ফোঁসফোঁস করছে।চোখ,মুখ তার শক্ত হয়ে গিয়েছে।নিজের মুখ দিয়ে লিটন আর স্নিগ্ধার নাম টা আনতেও তার ঘৃণা হচ্ছে।পরমুহূর্তেই বুরাগ শক্ত গলায় বললো,
–“ওই লিটন এখন বেলীর দিকে চোখ দিয়েছে।তার বেলীকে ছুঁয়ে দেখতে মন চায়।”
রায়ান চট করে বুরাগের দিকে তাকালো।এইরকম একটা কথা শুনবে তা কিছুতেই মাথায় আনে নি।তার,এখন কেন জানি খুশিকে নিয়ে ভয় হচ্ছে।খুশিরও তো বাড়ন্ত বয়স এখন।কয়েকদিন পরেই স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে হাই স্কুলের গন্ডিতে যাবে।তখন মেয়েদের সাথে অনেক কিছুই হয়।মেয়েদের বয়ঃসন্ধিকালের উপযুক্ত সময় সেইটা।আর,লিটনের মতিগতির কথা শুনে রায়ানের মনে গেঁথেই গেছে লিটন খুশির সাথেও খারাপ কিছু করতে চাইবে।কথাটা মনে করেই রায়ান নিজের ভিতরে একটা শূন্যতা অনুভব করতে পারছে।শক্ত মুখ করে ছাঁদের বড় বড় টাইলস গুলোর দিকে তাকিয়ে রইলো
বুরাগকে রায়ানের উত্তর না পেয়ে ওকে পর্যবেক্ষণ করতে লাগলো।রায়ানের মুখের মতিগতি না বুঝতে পেরে বুরাগ বলে উঠলো,
–“তুই কিছু নিয়ে চিন্তিত রায়ান?তোকে তো এমন চুপচাপ দেখা যায় না।তুই তো সমসময় সবকিছু মাতিয়ে রাখিস।”
বুরাগের গলার আওয়াজ পেয়ে রায়ান একটু নড়েচড়ে বসলো।আমতাআমতা করে বললো,
–“কিছু হয় নি আমার।তবে,ওই লিটনকে একটা শাস্তি দেওয়া উচিত।যেনো বউ ছাড়া আর কারোর দিকে না তাকায়।আর,পারভীন ফুপির সাথে কথা বলে নিস।ফুপিকে একটু হাল্কা হতে বলিস।”
বুরাগ আর কিছুই বলছে না শুধু চা খেয়ে যাচ্ছে।তার মাথায় শুধু এক ভাবনা,লিটনকে কীভাবে শাস্তি দেওয়া যায় আর ফুপি পারভীনের সাথে কীভাবে কথা বলবে।তার তো ফুপির সামনে যেতেই কষ্ট হচ্ছে।সবকিছুই কেমন বিষাদ লাগছে।
প্রায় ঘন্টাখানেক সময় ব্যয় করে রায়ান চলে যাওয়ার জন্য উঠে পড়লো।তার উপর সন্ধ্যা হয়ে আসছিলো।বুরাগ আর রায়ান দু’জনেই সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামছে আর কথা বলছে।রায়ান সামনে তাকিয়েই নিজেকে ঠিক করে নিলো।সে তো খুব তাড়াতাড়ি চলে যেতে চেয়েছিলো যাতে করে খুশির সাথে যেনো দেখা না হয়।রায়ান নিজের ভাগ্যকে দূর্ভাগ্য বলবে নাকি সৌভাগ্য বলবে সেটাই বুঝতে পারছে না।কেমন একটা তালগোল পাঁকিয়ে যাচ্ছে।
হাসি আর খুশিকে আনতে গিয়েছিলেন কোহিনূর কোচিং থেকে।রায়ান আড়চোখে খুশির দিকে তাকিয়ে আছে।আর বুরাগ নিশ্চুপ হয়ে নিচে নামছে।কোহিনূর রায়ানকে দেখেই মিষ্টি হেসে বললেন,
–“কেমন আছো রায়ান?কখন আসলে?”
রায়ান মুচকি হেসে জবাবে বললো,
–“জ্বি!আন্টি ভালো আছি।এইতো দুপুরের দিকে এসেছিলাম।”
–“হাসি আর খুশিকে কোচিং থেকে আনতে গিয়েছিলাম তো তাই মনে হয় তোমার সাথে আর দেখা হয় নি।তুমি বস নাস্তা করে যাবে।”
রায়ান কোহিনূর কে বাধা দিলেও কোহিনূর তা মানতে রাজি নন।জোর করে রায়ানকে সোফায় বসতে বললো।অগ্যাতা রায়ান আর না করতে পারে নি।একপ্রকার বাধ্য হয়েই গুটিসুটি মেরে চুপটি করে বসে রইলো।হাসি রায়ানকে দেখে কথার মেলা ছড়িয়ে দিয়েছে।কিন্তু,খুশি এককোণায় রোবটের মতো দাঁড়িয়ে রইলো।তার কেন জানি রায়ানকে একদমই ভালো লাগে না।তাই,হাসি দুষ্টুমি মজা করলেও খুশি একদমই করে না।রায়ানের দিকে খুশি একপলক তাকিয়েই রুমের দিকে দৌড়ে চলে গেলো।খুশির দৌড় দেখে রায়ান আনমনেই মুচকি হেসে উঠলো।খুশির দৌড় দেখেই রায়ান বুঝে গিয়েছে খুশির মনে কি চলছে।রায়ান ঠোঁট কামড়ে হাসছে আর বিরবির করে বলছে,
কি করলি তুই রায়ান!ওইদিন ছাঁদে ওই কাজটা নাও করতে পারতি।বেচারি এখন শুধু তোকে দেখলেই পালাবে।অবশ্য,তার আগে আমিই তো দূরে চলে যাচ্ছি।নসিবে থাকলে কোনো একদিন দেখা হবে।
—-
বেলীর শরীর টা তেমন ভালো লাগছে না।তার উপর আজকে বমি হয়েছে।একটু আগেও বমি করে এসে বিছানায় থম মেরে বসে রইলো।বিছানায় বসে থাকলেও বেলী কিছু নিয়ে চিন্তায় মগ্ন।চিন্তার একমাত্র কারণ হলো,তার ফুপি শ্বাশুড়ি পারভীনকে নিয়ে।উনার যে কিছু একটা হয়েছে তা বেলী ঠিক বুঝতে পেরেছে।পারভীনের ফ্যাকাসে,হাসি বিহীন মুখ দেখলেই তা বুঝা যায়।বেলী নখ কামড়াচ্ছে আর ভাবছে কি হতে পারে।
বুরাগ রায়ানকে বিদায় দিয়ে এসেছে।রুমে ঢুকে দরজা টা বন্ধ করে বেলীর কাছে এসে বসলো।বেলীর কাঁধে মাথা ঠেকিয়ে বুরাগ কোমল কন্ঠে বললো,
–“কি এতো ভাবছো বেলী।এতো কি চিন্তায় ডুবে থাকো।”
বেলী একটু নড়েচড়ে বসলো।বুরাগের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো,
–“আচ্ছা ফুপির কি কিছু হয়েছে?উনাকে অন্যরকম লাগছে।কেমন একটা প্রাণহীন মানুষ।যার মন থেকে সব আনন্দ মুছে গিয়েছে।ফুপিকে দেখে আমার খুব চিন্তা হচ্ছে।”
বুরাগ সোজা হয়ে বসলো।বেলীর কথায় গলা পরিষ্কার করে বললো,
–“তেমন কিছু হয় নি ফুপির।তুমি এইসব নিয়ে চিন্তা করো না।হয়তোবা,প্রেগ্ন্যাসির জন্য এমন মুড সুইং হয়ে আছে।আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।তুমি এইসব চিন্তা বাদ দিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগ দাও।সামনে তো তোমার আবার এক্সাম।”
বেলী ঘুরে বুরাগের মুখোমুখি হয়ে বসলো।আমতাআমতা করে বললো,
–“আপনি কান্না করেছিলেন কেন?তার উত্তর কিন্তু আমি এখনো পায় নি।আপনি নিশ্চয় আমার থেকে কিছু লুকাচ্ছেন।আপনি জানেন না স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কিছু গোপন করতে নেই।সব কিছুই খোলসা করে বলতে হয় একে অপরকে বন্ধু ভেবে।”
বুরাগ মুখে হাসি ফুটিয়ে তাকিয়ে রইলো বেলীর দিকে।বেলীকে আজকে তার কাছে সম্পূর্ণ নারী লাগছে।কেন জানি,তার কথায় আজকে একজন পূর্ণ নারীর সুভাস পাচ্ছে।বুরাগ বেলীকে জড়িয়ে ধরে বললো,
–“বলবো!তোমার এইসব কিছুর উত্তর আমি দিবো।তবে এখন না।সঠিক সময়ে তুমি তোমার উত্তর গুলো পেয়ে যাবে।সবকিছুরই একটা সঠিক সময় থাকে।ভেবে নাও,আমার এইকথাগুলোরও সঠিক সময় আছে!”
বেলীর কেন জানি বুরাগের কথাটায় মন ভরে নি।তার এখনোই ইচ্ছা করছে বুরাগের মুখ থেকে সব কিছু শুনতে।কিই বা এমন কথা গুলো যার জন্য সঠিক সময় লাগবে।তাই,বেলী বুরাগের কথার কোনো রেসপন্স না করে বসে রইলো।বুরাগ বেলীর দিকে নিষ্পলক তাকিয়ে রইলো।বেলীর হাবভাবে বুরাগ বুঝে গিয়েছে।তবে,বুরাগ এখন চাচ্ছে না সব কিছু বেলীকে বলতে।অবস্থা বুঝে কোনো একসময় বেলীকে বলে দিবে।কিন্তু,তার আগে বুরাগ পারভীনের সাথে দেখা করে ক্ষমা চেয়ে নিবে।কারণ,তার জন্যই তো পারভীন এখন এমন কষ্ট পাচ্ছে।ওইদিন যদি লিটনকে ওইসব কথা না বলতো তাহলে পারভীন কিছুতেই এইসব শুনতে পেতো না।বুরাগের নিজেকে খুব অপরাধী মনে হয়।
বুরাগ বেলীর মন খারাপের দিকে পাত্তা না দিয়ে আচমকাই বেলীর গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো।বুরাগের এমন হুট করে স্পর্শ করায় বেলী শিউরে উঠলো।বেলী ভেবে পায় না বুরাগের মতিগতি।কখন যে কি করে বসে তাতে বেলীই মাঝেমধ্যে ফ্রিজড হয়ে যায়।যেমন এখন মনে হচ্ছে এইরকম।শরীরের সব কোষ যেনো নিস্তেজ হয়ে আসছে।বুরাগ বেলীর গলায় চুমুতে ভরিয়ে দিচ্ছে।বুরাগের মনের ভিতর একটা নেশা কাজ করছে।ইদানীং বেলীকে খুব কাছে পেতে ইচ্ছা করে।কিন্তু,ইচ্ছা করেই বেলীর কাছ থেকে দূরে থাকে।এই সময় কোনো ভুল করতে চায় না বুরাগ।কিন্তু,আজকে বেলীকে দেখে নিজেকে ঠিক রাখা খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে তার জন্য।বুরাগ নেশা জড়ানো কন্ঠে বললো,
–“বেলী!তিনমাস শেষ হতে আর কতোদিন।”
বেলী বুরাগের টি-শার্ট খামচে ধরলো।কাঁপা কাঁপা গলায় বুরাগের প্রশ্নের উত্তরে বললো,
–“বেশিদিন না।কয়েকদিন পরেই তিনমাস শেষ হয়ে চারমাসে পড়বে।”
বুরাগ নিজেকে সংযত রেখে বেলীকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো।জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে বুরাগ।বেলী বুরাগের বুকে ঘাপটি মেরে আছে বিড়ালছানার মতো।
—-
পারভীনের মনমরা হয়ে বিছানায় বসে আছেন।বুক ফেটে একদফা কান্না করেও যেনো উনার মনে শান্তি মিলছে না।আজকে সারাদিন লিটনের জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করে ছিলেন।পুনরায় ব্যর্থ হলেন পারভীন।লিটন একটি বারের জন্যও পারভীনের কাছে আসে নি।নাওয়া,
খাওয়া বাদ দিয়ে পারভীন আজকের দিনটা পার করলেন।তবে উনি মনে মনে অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত বেছে নিয়েছেন।এইভাবে আর থাকতে পারছেন না।কান্না করলেও পেটে অসম্ভব রকমের চাপ অনুভব করেন।বিষন্ন পৃথিবীটায় থাকা পারভীনের কাছে খুবই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
রাতে খাবার টেবিলে বুরাগ রাগান্বিত চোখে তাকিয়ে আছে লিটনের দিকে।লিটন হাসিমুখে প্লেটে খাবার তুলে নিচ্ছে।তার মধ্যে কোনো ভাবান্তর নেই।লিটনের কাছে এখনের সময় টা খুব ভালো লাগছে।পালিয়ে পালিয়ে এখন তার স্নিগ্ধার সাথে কথা বলতে হবে না।যা হবে,সবার সামনেই হবে।
বুরাগ লিটনের দিকে তাকিয়ে আফিয়াকে বললো,
–“মা!ফুপি খেয়েছে।”
–“পারভীন বলেছে খাবে না।ওকে খাবার দিয়ে এসেছিলাম কিন্তু ও বললো ওর ভালো লাগছে না।”
পারভীনের কথা শুনেও লিটনের মধ্যে কোনো ভাবান্তর তৈরি হলো না।সে তার মতো ব্যস্ত হয়ে আছে খাবার খেতে।বুরাগ অনেক কষ্টে নিজেকে সামলিয়ে রাখছে।সবার সামনে কিছুই করতে চায় না সে।তাই তো আর কোনো কথা না বাড়িয়ে চুপ করে খাবার খাওয়ায় মনোযোগ দিলো।
মাঝরাত!পারভীন বিছানার উপর চেয়ার টা অনেক কষ্টে রেখেছেন।বুকে উনার অসহ্য রকমের যন্ত্রণা হচ্ছে।উনি কিছুতেই এই যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছেন না।চেয়ার টায় আস্তে করে উঠে পড়লেন।নিজের এই ভারী শরীরটা নিয়ে উঠতে পারভীনের অনেকটা হিমশিম খেতে হয়েছে।ফ্যানে ঝুলানো ওড়নাটার দিকে একবার তাকিয়ে নিলেন।শূন্যহীন দৃষ্টি নিয়ে নিজের ফোলা পেটটায় তাকিয়ে থেকে বললেন,
আমাকে ক্ষমা করে দিবি তোরা।তোদের কে পৃথিবীর আলো দেখাতে পারলাম না।
নিজের গলায় ওড়নাটা পেঁচিয়ে চেয়ারটা পা দিয়ে দূরে ঠেলে ফেলে দিলেন।একসময় ছটফট করতে করতে পারভীন দূর পথে পাড়ি জমালেন।বিষন্নতা যেনো পারভীনকে প্রপর্ণের মতো ঝরিয়ে দিয়েছে।
চলবে..