আলোয় অন্ধকার🍁পর্ব-১১

0
2009

#আলোয়_অন্ধকার🍁
#Roja_islam
#part 11
আস্ফি কথা গুলো ভেবেই চুপ করে বসে আছে! আস্ফির মাথা মনে হচ্ছে হ্যাং মেড়েছ! হঠাৎ স্তব্ধের কথায় আস্ফি স্তব্ধের দিকে তাকালো,

— আস্ফি আমি প্রেমিক হিসেবে খুবী খারাপ তাই না??…. অহ শাট নো… নো…! আমায় তো প্রেমিক বলা যায় না কজ প্রেমিক রা তো পাগলামো করে থাকে প্রেমিকার জন্য কিন্তু আমি তো তেমন কিছুই করিনি! আমায় প্রেমিক বলা যায় নাহ নেভার!!

এই টুকু বলেই স্তব্ধ আবার সিগারেট খেতে লাগলো!! অস্থির হয়ে বারবার সিগারেট টান দিচ্ছে স্তব্ধ! এক বসায় প্রায় অনেক গুলো সিগারেট শেষ করলো স্তব্ধ!

আস্ফি এক দৃষ্টে তাকিয়ে রইলো স্তব্ধের দিকে! সে আজ ডিসিশন নিয়েই নিয়েছে আর কোনদিন স্তব্ধকে বুঝতে যাবে না! কারণ স্তব্ধ কি সেটা বোধ সে নিজেও জানে না এ মাল এক পিস! একে ভুল বুঝাও দায়! ঠিক বুঝাও অন্যায়! তাই সঠিক সময়ে জেনে যাবে আস্ফি কি করবে স্তব্ধ ওর মুখের কথা বিশ্বাস করবে না আস্ফি আর! কেনোনা স্তব্ধের মনে অন্য কিছু!মুখে অন্য কিছু! এসব বুঝতে গেলে আস্ফি পাগল হয়ে যাবে! তাই আস্ফি বিশ্বাস রাখবে স্তব্ধের উপর যে সে টিয়ার কিছু হতে দেবেনা! কেনোনা আর কিছু আস্ফি জানুক বা না জানুক এটা তো জানে এই একরোখা জেদি ছেলেটা টিয়াকে কত টা ভালোবাসে!! টিয়ার কোন ক্ষতিই স্তব্ধ হতে দিবে না! ভেবেই আস্ফি উঠে দাঁড়ালো! তারপর বললো!

— ভাই আমি আর তোমায় বুঝতে চেষ্টা করবো না প্রমিস! জেসিয়ার কাছে যাচ্ছি ওকে মেডিসিন দিতে হবে!

স্তব্ধ কিছু বললো না! আস্ফি চলে গেলো একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে! স্তব্ধ ভাবছে তাকে কেনো ভালোবেসেছিলো টিয়া? কেনো? যদি টিয়া তাকে ভালো না ভাসতো তো আজ এসব কিছুই হত না!! যদিও স্তব্ধ ও টিয়াকে ভালোবেসেছিলো তার কারণ ছিলো একদম ভিন্ন!!

জীবনে ফ্রেন্ডসার্কেল বেশীই ছিলো স্তব্ধ ওর! ভার্সিটি কাপিয়ে রাখতো সবাই মিলে! তাদের গ্রুপ টা ছিলোই অন্য রকম! গাঢ় ভালোবাসা আস্থা ছিলো এক জন আর এক জনের উপর! তার মধ্যে সেই ছিলো এক রোখা আর জেদি যার জীবনে ভালোবাসা আস্তার কোন বিশ্বাস ছিলো না! স্তব্ধ কাউকে বিশ্বাস করতো না! না নিজের উপর কাউকে বিশ্বাস করতে দিতো! তাও স্তব্ধকে সবাই ভালোবাসতো কারণ স্তব্ধ এক কথার মানুষ ছিলো যা বলতো! তাই করতো কোন নড়চড় নেই! কাউকে বিশ্বাস না করলেও নিজেকে কাউর বিশ্বাস এর যোগ্য মনে না করলেও! সঠিক সময়ে ফ্রেন্ডদের দরকারে সবার আগে স্তব্ধকে পাওয়া যেতো! সেই দিক থেকে স্তব্ধ ভালো মানুষ ছিলো! কিন্তু এ্যাটেটিউট এ ভরপুর ছিলো ! অন্যরকম পার্সোনালিটির আর হ্যান্ডসাম সুপুরুষ একজন মানুষ হওয়ায়! অনেক মেয়েই পিছে পড়ে ছিলো স্তব্ধওর কিন্তু সে? সেতো তার বন্ধুদের থেকেই দূর থাকতো তাদের এতো ভালোবাসতো তাও! সেই জায়গায় কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক এগুলার প্রশ্নই আসেনা! আর ভালোবাসা স্তব্ধের জীবনে হতেই পারেনা ! এসব বিষয় খুব সূক্ষ্ম ভাবেই ইগনোর করে চলতো স্তব্ধ!! স্তব্ধের এমন এক রোখা মুডি হওয়ায় অনেক কথাই সবার থেকে শুনতে হত তাকে কিন্তু তার প্রফেশন এর কথা চিন্তা করে স্তব্ধ কোন সময় নিজেকে চেঞ্জ করতেও চেষ্টা করেনি!!

এভাবেই স্তব্ধের জীবন চলছিলো! স্তব্ধ কোন কিছুকে প্রায়োরিটি দিতো না মোট কথা তার জীবনে! তার কারন ছিলো তার প্রফেশন… কিন্তু হঠাৎ ই দমকা হাওয়ায় সব বদলে দিয়ে যায় স্তব্ধ ওর।

ভার্সিটিরর লাস্ট ইয়ারএ তখন স্তব্ধ! টিয়া তখন সবে ভার্সিটির নিউ কামার! টিয়ার মত কতই না মেয়েকে দেখা যায় ভার্সিটিতে কিন্তু স্তব্ধ কখনওই দেখেনি টিয়াকে আলাদাভাবে, বা ভালো লাগার চোখে! কিন্তু টিয়া দেখেছিলো স্তব্ধকে! খুব ভালো করেই দেখে ছিলো!

টিয়া কেনটিনে নতুন বন্ধু বান্ধবী দের সাথে আড্ডায় ব্যাস্ত ছিলো! টিয়া খুব চঞ্জল আর হাসীখুশী মেয়ে হওয়ায় বেশ তাড়াতাড়িই ভালো ফ্রেন্ড জুটিয়ে ফেলে ছিলো! স্তব্ধ এর ফ্রেন্ডরাও সেদিন কেনটিনে আড্ডা দিচ্ছিলো। স্তব্ধ ছাড়া তার গ্রুপের সবার প্ল্যান ছিলো নিউ কামার দের রেগিং করবে সবাই মিলে! তা স্তব্ধকে জানানো হয়নি! কারণ স্তব্ধ এসব একদম পছন্দ করেনা ইনফেক্ট তার জন্য ভার্সিটির কেউই কাউকে রেগিং করতে পারেনা! ঐদিন তার ফ্রেন্ড রা তাকে না জানিয়েই! টিয়ার দের ডিপার্টমেন্ট এরই এক ছেলে আর মেয়েকে হেনস্ত করা শুরু করলে স্তব্ধ খুব রেগে তার ফ্রেন্ড জনিকে খুব মারে সবার সামনে! সেদিন সেই মারার অবস্থায়ই টিয়া দেখেছিলো স্তব্ধকে! তার খুব ভালোলাগে ব্যাপার টা বন্ধু বলে ছেড়ে দেয়নি স্তব্ধ! মেরে নাক মুখ থেকে রক্ত বের করে ফেলেছিলো!তখন বাকি বন্ধুরা আটকায় স্তব্ধকে।স্তব্ধ খুব রেগে চিৎকার করে বলেছিলো ভার্সিটিতে কোন রেগিং হবে না!এখানে পড়াশোনা করতে আসে স্টুডেন্ট সিনিয়র দের সাথে রেগিং হতে নয় ! বলেই হন হন করে স্তব্ধ কেনটিন ত্যাগ করে!!

টিয়া ঐদিন থেকে ভার্সিটিতে স্তব্ধকে খুঁজত! লুকিয়ে লুকিয়ে স্তব্ধকে দেখতো স্তব্ধের বিষয়ে জানার চেষ্টা করতো! কিন্তু তেমন কিছুই জানতে পারতোনা এটা ছাড়া স্তব্ধ খুব রাগী বদমেজাজি! কিন্তু টিয়ার স্তব্ধের অনেক কিছুই ভালো লেগেছিলো! সেটা হলো স্তব্ধ অন্যায় মেনে নিতোনা সে যেই হোক! টিয়ার সেটা খুব ভালোলাগতো সেটা! টিয়া স্তব্ধকে লুকিয়ে ফলো করে এসব স্তব্ধ জানতোই না কারণ স্তব্ধ মেয়েদের এর এতো লখ্য করতো না!!

তারপর আস্তে আস্তে টিয়ার পাগলামির খবর স্তব্ধের কানে যায়! স্তব্ধের মারামারির জন্য অনেকেই স্তব্ধকে খারাপ ভাবতো!স্তব্ধের আড়ালে অনেকে অনেক কথা বলতো! সে সব টিয়ার কানে গেলে টিয়া রেগে তাদের কথা শুনিয়ে দিতো আরো না না ভাবে তাদের শায়াস্তা করতো দুষ্টুমি বুদ্ধিদিয়ে। এসব খবর আস্তে আস্তে পুরো ভার্সিটি জেনে যায়! যে টিয়া স্তব্ধকে ভালোবাসে তাই সে স্তব্ধের জন্য ঝগড়া করে! স্তব্ধ এসব শুনে পাত্তা দেয়নি! কারণ এরকম পাগলামো কত মেয়েকেই তার জন্য করতে দেখেছে! স্তব্ধ তখনো টিয়া নামের মেয়ে টিকে দেখেইনি! তার বন্ধুরা টিয়ার নাম নিয়ে মজা করতো স্তব্ধকে দেখাতে চাইতো টিয়াকে স্তব্ধ দেখত না! স্তব্ধ না দেখলেও প্রত্যয় ঠিকি দেখতো কিন্তু বুঝাতো না কাউকে! প্রত্যয় এর ভালোলেগেছিলো টিয়াকে!

এদিকে টিয়া স্তব্ধকে পছন্দ করতো সেটা ভালোবাসায় পরিনত হয়!আর পাগলামো দিন দিন বারছিলো তার! এভাবেই ৭/৮ মাস চলে যায়! হঠাৎ একদিন টিয়া যানতে পারে কিছুদিন পর স্তব্ধের ভার্সিটি লাইফ শেষ! টিয়া এটা শুনে সিদ্ধান্ত নেয় স্তব্ধ ভার্সিটি ছেড়ে যাওয়ার আগেই টিয়া তার মনের কথা জানাবে স্তব্ধকে!যেই ভাবা সেই কাজ টিয়া খুব সাহস নিয়ে একদিন কেনটিনে সবার সামনেই স্তব্ধকে তার মনের কথা বলে! কারণ স্তব্ধকে একা পাওয়া দুষ্কর! কিন্তু টিয়া ভাবেনি! স্তব্ধ তাকে অপমান করবে কেনটিনে সবার সামনে! সে দিন স্তব্ধের অপমানের চটে টিয়া তার সামনেই কেঁদে চলে গিয়েছিলো!

স্তব্ধ সেদিন টিয়াকে অপমান করলেও টিয়ার সাহস দেখে সেও অবাকি হয়! কারণ টিয়াই প্রথম মেয়ে যে সবার সামনে তাকে প্রপোজ নামক জিনিশ টা করেছে! অন্য সব মেয়েরা তার জন্য পাগলামি করলেও স্তব্ধের সামনে আসার সাহস কারোর ছিলো না! সেই সাহস টিয়া দেখিয়েছে! স্তব্ধ ঐদিন টিয়ার উপর নয় টিয়ার সাহস এর উপর প্রেমে পড়েছিলো!!

তারপর থেকে টিয়ার সেই কান্নারত চেহারা আর সেই সাহসিকতা ভুলতে দিতো না স্তব্ধকে। তাই স্তব্ধ গায়াব হয়ে যায় টিয়ার চোখের আড়াল করে নেয় নিজেকে! কিন্তু তার পর হঠাৎ স্তব্ধকের কানে আসে প্রত্যয় টিয়াকে ভালোবাসে আর টিয়াকে প্রপোজ করবে! এটা কেনো জেনো হজম হয়নি স্তব্ধের! সে প্রত্যয় এর সাথে দেখা করে টিয়ার থেকে দূরে থাকতে শাসায়। প্রত্যয় ও ভয় পায় কারণ সে স্তব্ধকে জানে! স্তব্ধ এসব করলেও টিয়ার সামনে জেতোনা কিছুতেই!

সে কোন ভাবেই নিজেকে দুর্বল করতে চায় না কাউর জন্য!! কিন্তু দুর্বল না হলেও আড়ালে সে নিজেও টিয়ার জন্য পাগলামি শুরু করলো! টিয়ার জন্য একে ওকে মারা!টিয়াকে কেউ বিরক্ত করে কি না খেয়াল রাখা! যখন টিয়া তাকে খুঁজত! আড়াল থেকে টিয়াকে দেখা এসব স্তব্ধের একটা অভ্যাস হয়ে যায়! আর আস্তে আস্তে কখন জেনো ভালোবাসা…….

স্তব্ধ এই টুকু ভেবেই উঠে দাঁড়াল একটু ঘুম দরকার!! লাস্ট একটা বিয়ার হাতে নিয়ে খেতে খেতে নিচে চলে গেলো স্তব্ধ ঘুমাতে যদিও ঘুম হবে না…… !! স্তব্ধ যেখান টায় বসে ছিলো! সে খানে প্রায় ৩০ টা সিগারের এর লাস্ট অংশ পড়ে আছে……..!

টিয়া ফ্রেস হয়ে হন্তদন্ত হয়ে নিচে গেলো এক প্রকার!! কারণ সে শাওয়ার নিতে লেট করে ফেলেছে! তাও নিচে গিয়ে আরেক ঝটকা খেলো টিয়া!! সে দিন এর সেই কালো পতাকার মতন লোকটা দাঁড়িয়ে আছে ড্রইং রুমে আর ডেনিয়াল সোফায় পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে! কালো লোকটা কি জেনো বলছে ডেনিয়ালকে! টিয়া ধীর পায়ে এক্টু সামনে গেলো শুনার জন্য কি বলছে তারা!!

— স্যার কায়রা ম্যামকে মারলেন কেনো?? কি করেছে ছিলো সে? বিগ বস জিজ্ঞেস করছেন!

ডেনিয়াল দাঁত মুখ খিঁচে বললো,
— প্রশ্ন করছিলো আমায়! ডেনিয়াল গ্লোবার কে প্রশ্ন করছিলো! তাই প্রাণ হারিয়েছে!

— স্যার বিগ বসকে কি বলবো এখন?

ডেনিয়াল বিরক্ত স্বরে বললো,
— কাম অন জ্যাক একটা কিছু বলে দাও! এটাও আমায় তোমাকে শিখিয়ে দিতে হবে??

জ্যাক এবার ভয়ে পেয়ে বললো,
— নো স্যার!

— আউট ইউ স্টুপিড!!

জ্যাক ভয়ে ভয়ে বললো,
— স্যার একটা কথা বলার ছিলো??

— স্পিক?

— স্যার ইনফরমেশন পাওয়া গিয়েছে! টিয়া নামক মেয়ে টাকে স্তব্ধের বাংলো বাড়ী থেকে কিডন্যাপ করার দিন! স্তব্ধ এবং জেসিয়া একি বাড়ীতে ছিলো!!

ডেনিয়াল বসা থেকে দাঁড়িয়ে বললো,
— হোয়াট?? আর ইউ শিউর???

— ইয়েস স্যার!!

— তাহলে প্রত্যয় এটা কেনো বলেনি আমাদের??

— সেটা তো স্যার সেই জানে!!

— ওকে ধরে আনো আমার উত্তর চাই!!

— স্যার সেটা সম্ভব নয়!!

— কেনো??

— স্তব্ধ খান ওকে মেরে ফেলেছে কারণ সে আমাদের হেল্প করেছে স্তব্ধ সেটা জেনে গেছে কোন ও ভাবে !

— তাহলে তুমি ইনফরমেশন কোথায় পেলে স্তব্ধ জেদিয়া টিয়াকে কিডন্যাপ করার সময় ঐ বাড়ীতেই ছিলো??

— রায়হান বলেছে! যে কিনা স্তব্ধের কাছের লোক ছিলো! সে প্রত্যয় কে হেল্প করে টাকার জন্য ! সে আমায় জানায় প্রত্যয় কে মেরেফেলেছে স্তব্ধ! সে যদি আজ স্তব্ধের বাড়ী থেকে বেচে ফিরে তো! আমাদের হেল্প করবে স্তব্ধকে ধরতে! কিন্তু..বেড নিউজ….

ডেনিয়াল হেসে বললো,
— বেড নিউজ! তুমি রায়হানের সাথে আর কানেক্ট হতে পারোনি?? তাই তো??

জ্যাক হতাশ স্বরে বললো,
— ইয়েস স্যার!

— পারবেও না কারণ স্তব্ধ রায়হান কেও হয়ত মেরে ফেলেছে!! হাহা! মানতে হবে স্তব্ধ খানের ব্রেইন আছে নো মোড় চ্যান্স একদম ফিনিশ করে দেয়!! তাই তো ড্যাড ওকে হাত করতে চায় কিন্তু ধরা মুশকিল ওকে!! বাট না মুমকিন নয়!

— ইয়াহ স্যার স্তব্ধ এখন তারি এরিয়ায় আছে এখনও!! কিন্তু আমাদের লোক আর ঢুকতে পারছেনা তার এরিয়ায়!! টিয়াকে কিডন্যাপ করার পড় থেকে!

— সবি স্তব্ধের মাস্টার মাইন্ড! কিন্তু আমাদের হাতে আসতেই হবে ওকে! আজ মিটিং হবে ওকে নিয়ে সবাইকে বলে দাও!!

— ওকে স্যার!

জ্যাক চলে যায়! টিয়া অদের পিছন থাকায় কেউ দেখেনি ওকে! টিয়া খিঁচে দাঁড়িয়ে আছে! ডেনিয়াল আর জ্যাক এর কথা কিছুই মাথায় ঢুকেনি আর সবি ঢুকেছে! কিন্তু স্তব্ধ প্রত্যয়কে মেরে ফেলেছে শুনে টিয়ার হাত পা কাপছে! টিয়ার মাথা হ্যাং লাগছে! এসব কি হচ্ছে??

ডেনিয়াল বসে সোফায় কিছু ভাবছে সে!! গভীর ভাবে ভাবছে কিন্তু ভাবনায় ছেদ পড়ে টিয়ার কথায়! টিয়া কাঁপা কাঁপা স্বরে ডেনিয়ালকে বলছে!

— কারা আপনারা কি চাই আপনাদের?? কেনো এসব করছেন??

ডেনিয়াল টিয়াকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত এক বার দেখে বললো,
— আমার তো তোমাকে চাই!!

টিয়া ঘৃণা ভরা দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো ডেনিয়ালের দিকে!
— আপনি একটা শয়তান!! স্তব্ধকে কেনো চাই আপনাদের নিশ্চয় কোন খারাপ মতলব আছে! কিন্তু স্তব্ধ তো খারাপ কাজ মরলেও করবে না!! তাই আমায় ধরে এনেছেন তাই তো?? আমাকে মারার ভয় দেখিয়ে স্তব্ধকে দিয়ে আপনাদের মতলব পূর্ন করবেন ! তবে শুনুন স্তব্ধ আমার জন্য মরে গেলেও কিছু করতে রাজী হবে না সে অন্যায় মেনে নেয় না! তাতে যাই হোক! যে খুশী সে মরুক ! আর আমি তো ওর কিছুই না! আমায় সে না কোনদিন বাঁচাতে আসবে না আপনার কাছে নিজেকে ধরা দিবে!

ডেনিয়াল টিয়ার কথায় রাখলেও! তার রাগ সামলে হেসে বললো,
— খুব ভালো জানো দেখছি স্তব্ধকে!

— হ্যাঁ জানি কারণ ভালোবাসি আমি স্তব্ধকে!!

ডিনায়াল প্রচুর রেগে যায় টিয়ার এই কথায়! টিয়ার কথা শেষ না হতেই ডেনিয়াল…..

চলবে
[ নায়ক কে নায়ক কে যারা করছেন! তাদের বলি আরে ভাই নায়ক কে যদি আমি বলে দি গল্পের মজাই তো নষ্ট হয়ে যাবে! আমি সাজিয়েছি গল্প টা একটু কনফিউজড ভাবে! তাই জন্য গল্পের শুরু টা বাজে লেগেছিলো! তাও অনেকে গল্প বুঝে! বাট যারা বুঝেন না! তাদেত লাস্ট পর্যন্ত পরুন বুঝে যাবেন! আর হ্যাঁ জেসিয়াকে গল্পে যেহেতু তার নাম বলেছি সে কে কি! সব বলবো গল্প শেষ হয়ে যায় নি! আর কারো কোথায় আমি ঠাস করে বলতে পারবো ও না জেসিয়ার কাহিনী আসলে কি? সময় হলে সব জানবেন! ধন্যবাদ!]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here