#আলোয়_অন্ধকার🍁
#Roja_islam
#part 23
স্তব্ধের কপালের রগ মনে হয় ফুলে উঠলো টিয়ার কথা শুনে। স্তব্ধ এতো সময় সামনে তাকিয়ে কথা বলছিলো টিয়া তার পিছনে ছিলো। স্তব্ধ টিয়ার দিকে ঘুরে দাড়ালো। রক্তচক্ষু নিয়ে৷ টিয়া স্তব্ধের এই রূপ দেখে পিছাতে লাগলো আর স্তব্ধ টিয়ার দিকে এগুতে!
এগুতে এগুতেই স্তব্ধ দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
— কেনো আমার সামনে আসবে না? হোয়াই? জানতে হবে না তোমার আমি কে? কি করি? মাহিনকে কেনো মেরেছি?
টিয়া পিছাতে পিছাতে দেয়ালে লেগে গেলো। স্তব্ধ টিয়ার দিকে এগুতে এগুতে টিয়ার একদম কাছে চলে এসেছে। টিয়া ভয়ে কাপছে। স্তব্ধের কথার উত্তর দেওয়ার মতো কিছুইনেই তার কাছে। কারণ এসব জানবে বলেই তো আজ তার এই অবস্থা। টিয়া মাথা নিচু করে চোখের পানি ফেলতে লাগলো।
স্তব্ধের চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো টিয়াকে চুপ থাকতে দেখে তাই আবারও রেগে বললো,
— আমি কে? এটা জানতে শুধু বিয়ের অভিনয় করেছো?? নাকি মাহিনকে মারায় কষ্ট হচ্ছিলো তোমার? তাই প্রতিশোধ নিতে চাইছিলে? কোনটা এন্সার মি ড্যাম ইট!
স্তব্ধের ধমকে টিয়া ভয়ে এক নজর তাকালো স্তব্ধের দিকে। স্তব্ধ এবার টিয়ার দিকে ভালো করে তাকিয়ে ধমকের স্বরেই বললো,
— তুমি ভাবলে কি করে প্রত্যয় তোমায় প্ল্যান করে বিয়ের অভিনয় করতে বলবে? আর আমি সেটা জানবো না?? ভাবলেকি করে??
স্তব্ধের ধমকে টিয়া এবার হেঁচকি তুলে কাদতে কাদতে বললো,
— জানতেন যেহেতু? আসলেন কেনো সেদিন বিয়ে করতে??
স্তব্ধ বাঁকা হেসে বললো,
— দেখতে চেয়েছিলাম তোমার ভালোবাসা কতটা ঠুকনো!
স্তব্ধের কথাটা টিয়ার বুকে গিয়ে বিঁধলো মনে হয়। সে দিগুণ জোরে কাদতে কাদতে বললো,
— হ্যাঁ আমার ভালোবাসা ঠুকনো। শুনেছেন আমার ভালোবাসা ঠুকনো। আর আপনি কি করছিলেন বৌ থাকা শর্তেও আমাকে বিয়ে করতে যাচ্ছিলের৷
টিয়ার কথা শুনে স্তব্ধের ভয়ংকর কিছু করতে ইচ্ছা করলো, খুবি ভয়ংকর৷ স্তব্ধ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে টিয়ার ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে রইলো। টিয়া সেটা লখ্য করে কাচুমাচু করতে করতে ঢোগ গিলে হাত দিয়ে তার ঠোঁট ঢাকলো। তাতে স্তব্ধ এবার টিয়ার চোখে চোখ রেখে বললো,
— তুমি ভাবলে কি করে? স্তব্ধ বৌ রেখে তোমায় বিয়ে করবে? স্তব্ধ খান আর যাই হোক চরিত্রহীন নয় সেটা তোমার বুঝা উচিৎ ছিলো! কিন্তু বুঝবে কি করে তোমার ভালোবাসাটাই তো ঠুকনো! ভালোবাসলে ঠিকি বুঝতে স্তব্ধ খান কি? ভালোবাসো না তাই তো আমার উপর তোমার বিশ্বাস ছিলো না! এখনো নেই!
টিয়ার মাথায় বাজ পড়লো। স্তব্ধের কথা শুনে। স্তব্ধের কথায় আজ স্পষ্ট অভিমান অভিযোগ প্রকাশ পাচ্ছে! সত্যিকি টিয়া ভুল করেছে স্তব্ধকে বুঝতে? হ্যাঁ বৌ রেখে বিয়ে করার মতন ছেলে স্তব্ধ নয়! তাহলে তার মানেকি স্তব্ধ বিবাহিত নয়৷ তাহলে ঐ মেয়ে কে? টিয়া দ্রুত বললো,
— তাহলে ঐ মেয়ে কে??
স্তব্ধের গম্ভীর গলায় জবাব,
— সেটা তোমার না জানলেও চলবে।
বলেই ঘুরে রুম থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে বললো,
— যারকে বিশ্বাস করোনা তার কাছে প্রশ্ন বেমানান! ব্যাগে ঠাণ্ডার পোশাক আছে পড়ে তৈরী হয়ে নাও। আমাদের এখান থেকে যেতে হবে!
টিয়া স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে কি বলে গেলো এসব স্তব্ধ? টিয়া ফ্লোরে বসে পরলো মাথায় হাত দিয়ে। কারণ সে যা যা স্তব্ধের ব্যাপারে আজ পর্যন্ত ভাবছিলো সব উল্টো হচ্ছে। সে ভেবেছিলো স্তব্ধ কখনো আসবেনা তার বৌকে ছেড়ে তাকে বাঁচাতে কিন্তু এসেছে। আর আজ সে কি শুনলো এটা স্তব্ধ বিয়ে করেনি? ঐ মেয়ে স্তব্ধের বৌ নয়??
টিয়া দুই হাতে মাথা চেপে ধরলো। স্তব্ধের প্রতিটা কথা টিয়ার গায়ে কাটা দিচ্ছে আজ। যদি স্তব্ধের কথা সত্যি হয়ে থাকে?
টিয়া নিজের দিকটা ভাবলো বসে।তারপর তার মনে হলো আসলেই সত্যিই তো বলেছে স্তব্ধ। তার ঠুকনো ভালোবাসা সে কখনও স্তব্ধকে বিশ্বাস করতে পারেনি চোখের দেখা গুলোকেই অনেক বেশী গুরুত্ব দিয়েছে৷ তবেকি সত্যি চোখের দেখায় ও ভুল আছে?
সে তো দেখলো ঐদিন রাতে ঐ মেয়েকে ধরে ঘুমিয়ে ছিলো স্তব্ধ সেটাও কি তবে মিথ্যে? টিয়ার মাথা গোল গোল ঘুরছে। কি হচ্ছে এসব? যা হচ্ছে সব এলোমেলো লাগছে টিয়া কোন কিছুই হিসাব মিলাতে পারছে না। স্তব্ধ কেনো বলেছিলো তার বৌ এর সেবা করতে হবে?? স্তব্ধ তো নিজেই বলেছিলো তার বৌ এর কথা তাহলে এটা মিথ্যা কেনো হবে। টিয়া কোনটা সত্যি ধরবে এখন?? আর ভাবতে পারলো না টিয়া মাথা ফেটে যাচ্ছে টলতে টলতে উঠে দাড়িয়ে একটু শুয়ে রইলো টিয়া।
আমেরিকার সময়ে ঠিক ১১ টায় স্তব্ধ। সার্ভেন্ট পাঠালো টিয়ার রুমে। নিচে নামার জন্য৷ টিয়া স্তব্ধের দেওয়া পোশাক পড়েই রেডি হয়ে বসে ছিলো৷ সার্ভেন্টের কথায় নিচে নেমে আসে সার্ভেন্টের সাথে৷ বাড়ীর বাইরে আসতেই স্তব্ধের দিকে চোখ আটকে যায় টিয়ার৷ স্তব্ধ ফোনে কথা বলছে দাড়িয়ে পুড়াই কুল লাগছে স্তব্ধকে! ব্ল্যাক লম্বা কোর্ট আর ব্ল্যাক জিন্স। কালো চুল গুলো সুন্দর করে বাকা হয়ে কপালে পড়ে আছে। সুন্দর মুখ খানিতে চকলেট কালার ঠোঁটটা সব সময়ই অসাধারণ লাগে টিয়ার। তবে আজ একটু বেশীই আকর্ষণীয় লাগছে!
টিয়া স্তব্ধকে দেখে বিরবির করলো,
— আমায় ভালোবাসিস না! ঠিক আছে! কিন্তু দিন দিন এতো হ্যান্ডছাম হওয়ার কি আছে? উফফ..
স্তব্ধ টিয়াকে নিয়ে গাড়ীতে উঠে বসলো। একজন গার্ড ড্রাইভ করছে আর টনি পাশের সীটে বসা! টিয়া বাইরে দেখছে৷ স্তব্ধ এক নজর টিয়ার দিকে তাকিয়ে। ফোনে মুখ গুজে দিলো!
প্রায় ১ ঘণ্টা পড় টিয়া স্তব্ধের দিকে একটু চেপে বসলো। টিয়ার কেমন কেমন জানি লাগছে। বুঝতে পারছেনা টিয়া। কেমন ছটফট করতে লাগে টিয়া। দুই হাতে মাথা চেপে ধরে সে৷ না পেরে স্তব্ধকে বলে উঠে,
— স্তব্ধ আমার কিছু একটা খেতে ইচ্ছে করছে প্লিজ কিছু করুণ?
স্তব্ধ তখনও ফোনেই মুখ গুজে। সামনে টনি গার্ড তাদের মতো বসে আছে। টিয়া যখন স্তব্ধকে বলে কোনো রেসপন্স পেলো না। কিন্তু নিজেকেও কেমন শান্ত করতে পারছেনা। টিয়া রেগে স্তব্ধের হাত চেপে ধরে।
স্তব্ধ এবার রাগি ফেইস নিয়ে তাকায় টিয়ার দিকে। তাতে টিয়া ভয়ে মিয়িয়ে যায়। চুপ করে মাথা নুইয়ে বসে থাকে সে। কিন্তু স্তব্ধের গম্ভীর গলায় আওয়াজ শুনতে ঠিকি পায় টিয়া।
স্তব্ধে বলছে,
— চুপচাপ বসে থাকো তুমি খেয়েই এসেছো। এখন এখানে খাওয়া যাবেনা। সো জাস্ট…
আর কিছু বলেনা স্তব্ধ চোখ বন্ধ করে জোরে শ্বাস নেয় সে। প্রচণ্ড রাগ হচ্ছে তার…. স্তব্ধের কথা শুনে টিয়া নিজের হাত কচলাচ্ছিলো গায়ের জোরে। চোখ দিয়ে টুপটুপ করে পানি পড়ছে অসম্ভব খারাপ লাগছে টিয়ার! কি জেনো মন চাইছে তার খেতে কিন্তু স্তব্ধের এমন বিহেভিয়ার খারাপ লাগছে টিয়ার যার ফলস্বরূপ চোখের পানি।
হঠাৎ স্তব্ধের কি হলোকে জানে টিয়ার হাত ধরে হ্যাঁচকা টানে নিজের কাধে মাথা রাখে টিয়ার! টিয়াও এবার চুপ হয়ে যায় স্তব্ধের হাত চেপে ধরে। ফুপিয়ে কাদতে কাদতে এক সময় ঘুমিয়ে যায়… স্তব্ধ টিয়াকে শক্ত করে ধরে রাখে নিজের সাথে! চোখের পানি আলতো ছুঁয়ে মুছে দেয়৷
🔥
আস্ফি ঐ সময় কবির রুমে এসে যাওয়ায় কথা বলতে পারেনি পিউ এর সাথে তাই রাতে কল দেয় পিউকে৷
রাত দুইটা বাজে! পিউ গভীর ঘুমে….হঠাৎ টক টু মি সং এর টোনটা বিকট জোরে বেজে উঠে। পিউ এক প্রকার লাফিয়ে উঠে বসে। যেমন আল্লাহ ঠাডা ফালিয়েছে তার রুমে! পিউ বুঝতে পারে এটা তার ফোনের টোন। তাই হুরমুরিয়ে ফোন খুজতে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো পিউ৷ অবশেষে বইয়ের ভেতর থেকে ফোন পেয়েই কল রিসিভ করে কানে রাখলো পিউ না দেখেই।
ভীষণ রেগে পিউ বললো,
— এই এই কোন অসভ্যরে? এতো রাতে কেউ কাউকে ফোন দিয়ে ডিস্টার্ব করে? ম্যানার্স নেই একটুও?
আস্ফি নিজের মুখে একটা চাপড় দিয়ে বিরবির করলো,
— স্টার্ট হয়ে গেলো ঝগড়ার মেশিন!
পিউ রেগে বললো,
— কোন অসভ্যরে বাবা এতো রাতে ফোন দিয়েছে আবার কথাও বলছনা 😤
আস্ফি চেচিয়ে বললো,
— বেবি আমি অসভ্য বলছি!
পিউ দিগুণ রেগে বললো,
— বেবি এই কেরে তোর বেবি আমি কি ফিডার খাই তুই দেখছিস খেতে?
— অহ আল্লাহ পিউ আমি আস্ফি?
— হারামি তুই আস্ফি তো আমি কি করবো? হ্যাঁ তুই কি ভেবেছিস। আমি আস্ফি বললে আমি তোকে দুইটা চুম্মা দিবো??
আস্ফি ভ্যাবাচেকা খেয়ে চুপ করে রইলো। পিউ আবারো বললো,
— একদম ভদ্র ঘরের মেয়েদের রাত বিরাতে ফোনদিয়ে ডিস্টার্ব করবিনা৷ আমি তোর নামে কেস করবো। বাদর কোথাকার। কখন কোথায় লাফিয়ে বেরায় আবার কল দেয় হু খুজেও পাওয়া যায় না! আস্ত বাদর!
আস্ফি হেসে বললো,
— ছাদে আয় এখুনি!
— কেন রে! কেন আসবো কে তুই? যে তোর কথা আমার শুনতে হবে? বাদর ব্যাটা তুই যা আমার বাড়ী থেকে। আর একদম আমায় কল দিবি না।
আস্ফি ভাবলেশহীন ভাবে বললো,
— আচ্ছা তো আমিই তোর রুমে আসছি। বায় বেবি!
পিউ রাগে গজগজ করতে করতে বললো,
— আ…আমি আসছি স্টুপিড!
— দ্যাটস লাইকা গুড গার্ল! কাম কুইক।
বলে আস্ফি ফোন কেটে দিলো।
পিউ আস্তে করে নিজের রুম থেকে বেরিয়ে এদিক ঐদিক তাকিয়ে। ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে গেলো চুপিচুপি বাবা মা ঘুমিয়ে থাকায় বেশী সমস্যা হয়নি৷ ছাদে গিয়ে আশেপাশে তাকিয়ে দেখতে পেলোনা কাউকে! পিউ মনে মনে ভাবছে সে স্বপ্নে আস্ফির সাথে কথা বলেনি তো? যেই ফোনটা চ্যাক করতে যাবে৷ তখনি কেই পিছন থেকে জরিয়ে ধরে পিউকে৷ পিউ ভয়ে ফ্রিজ হয়ে গেলো! চুপচাপ চোখ মুখ শক্ত করে দাড়িয়ে আছে পিউ৷ এই ভেবে ভূত ধরেনি তো তাকে?
আস্ফি হেসে পিউ এর কানে ফিসফিস করে বললো,
— আই মিস ইউ মাই কুইন, ঝগড়ার মেশিন,মাই শেরনি।
আস্ফির কণ্ঠ শোনার সাথে সাথে পিউ দ্রুত পিছন ফিরে এলোপাতাড়ি আস্ফির বুকে কিল ঘুষি মারতে লাগলো। কিন্তু অভিমানে কিছু বলতে পারছেনা!
আস্ফি বললো,
— মেরে ফেলবি নাকি। লাগছে তো আমার৷
আস্ফি বলছে ঠিকি লাগছে। কিন্তু পিউকে আটকাচ্ছেনা। আস্ফি দেখলো। পিউ এর চোখ লাল। চোখের পানিতে গাল ভিজা! আস্ফি বুঝলো পিউ এতক্ষণ তার সাথে নিশ্বব্দে কাদতে কাদতে কথা বলছিলো৷ কথা বললে ভুল হবে তাকে রীতিমত ঝাড়ছিলো তাকে পিউ। আস্ফি হঠাৎ পিউ এর দুই হাত ধরে এবার নিজের বুকে এনে ফেললো। পিউ তাতে শান্ত হয়ে আস্ফির দিকে তাকালো।
আস্ফি দুষ্টু হেসে বললো,
— ঝগড়ার মেশিন টাই ঠিক ছিলি৷ এমন ভাল্লুক হলি কবে থেকে৷ কখন থেকে আমার বুকে খাবলে যাচ্ছিস?
পিউ কান্নামিশ্রিত রেগে বললো,
— তুই…
পিউ বাকিটা আর বলতে পারলোনা। তার চোখ বড়বড় হয়ে গিয়েছে কারণ। আস্ফি তার পেছনের চুপ আকরে ধরে পিউ এর ঠোঁট দুটো তার দখলে নিয়ে নিয়েছে। আস্ফি আবেগি ময় হয়ে পিউ এর ঠোঁট দুটো তীব্র থেকে তীব্র গতিতে নিজের করতে ব্যাস্ত। পিউ তার চোখ বন্ধ করে রেখেছে শক্ত করে৷ আর বারবার হাত দিয়ে সরাতে চাইছে আস্ফিকে। কিন্তু পারছেনা! অবশেষে আস্ফি নিজেই ছেড়ে দৌড়ে পালায় যেদিক দিয়ে এসেছিলো! আস্ফি লাফ দিয়ে রেলিং এর ঐপাশ চলে গেছে তা দেখে।
পিউ রেগে চিৎকার করে উঠে,
— আস্ফিইইইইইই হারামির বাচ্ছা আমি তোকে ছাড়বোনা! তুই আবার এটা করলি!!!
পিউ এর চিৎকারে ছাদটা কেপে উঠেছে মনে হলো আস্ফির৷ পিউ এর হুমকি শুনে সে দ্রুত মই দিয়ে নামতে নামতে বিরবির করে বললো,
— বেবি আমি তো এটাই চাই তুমি আমাকে না ছাড়ো।
পিউ দৌড়ে গেলো। আস্ফি যেদিক দিয়ে গেছে। রেলিং এ ধরে পিউ নিচে ঝুকে দেখলো। একজন হুডি পড়া লোক মই ধরে রেখেছে আর আস্ফি নামছে! পিউ আর চিৎকার করতে পারলোনা। কারণ সবাই না হলে জেগে যাবে পড়ে তারি ঝামেলা হবে আস্ফিতো চলেই যাবে৷ আস্ফি নামতেই নিজেও দ্রুত হুডি পড়ে উপরে তাকালো৷ আর ফ্লাইং কিস ছুঁড়ে দিলো পিউ এর দিকে। পিউ এর শরীল রাগে কাপছে। আস্ফি হাতে ইশারা করে পিউকে বায় বলে সামনেই একটা কালো গাড়ী রাখা তাতে করে লোকটাকে নিয়ে চলে যায়। মইটাও ডিক্কিতে করে নিয়ে গেছে…. পিউ আর কি করবে ঠোঁটে হাত দিয়ে আস্ফিকে গালি দিতে দিতে নিচে চলে গেলো। নিচে গিয়ে পড়লো বিপদে……
চলবে!
[আপনাদের রেসপন্স এ হতাশ 😴]