#আলোয়_অন্ধকার🍁
#Roja_islam
#part 33
টিয়া সেই ঘুরে ফিরে স্তব্ধকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে শাওয়ার শেষ করে রুমে ঢুকলো। এলোমেলো বেখেয়ালি দৃষ্টি বেডে পরতেই টনক নড়ে ওঠলো। ডেনিয়াল বেডে বসে আছে পায়ের উপর পা তুলে ফোনে মুখ গুজে।পাশেই টনি দাঁড়িয়ে। টিয়া ভয়ে কাঁপতে লাগলো। ডেনিয়াল কি তবে যেনে গেলো টনি ওর সাথে দেখা করেছে? ওর ভয়ার্ত মন বারবার বলছে ডেনিয়াল এখনি ওর সামনে টনিকে স্তব্ধের মতো রকতাক্ত করবে! তাহলে টিয়াকে কে হেল্প করবে এই নরক থেকে বের হতে! ক্রন্দিত টিয়া ভয়ে টনির দিকে তাকালো। টনি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে! ও চোখ ঘুরিয়ে ডেনিয়ালের দিকে তাকালো। ঠিক তখনি ফোন রেখে ডেনিয়াল টিয়ার দিকে ওর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ছুড়লো। আর টিয়ার ভয়, কষ্ট, রাগ,দুঃখ সব ছাপিয়ে ডেনিয়াল তাকে এমন কিছু শোনাল যা শোনার জন্য টিয়া মোটেও প্রস্তুত ছিলোনা কখনও না!
ডেনিয়াল স্পষ্ট আমেরিকান ভাষায় বলল,
–” তো মিস টিয়া তুমি জানো স্তব্ধকে মারতে আমাকে কে সব থেকে বেশি হেল্প করেছে?”
টিয়া যেন স্থির হয়ে রইলো প্রশ্ন করার শক্তি রইলোনা! ডেনিয়ালের সেটা বুঝতে কষ্ট হলোনা! ও টিয়াকে আর কষ্ট করে প্রশ্ন করার জন্য অপেক্ষা করলোন নিজেই বলল,
— ” টনি তুমি বলবে না আমি?”
বলেই টনির দিকে তাকালো। টনি মাথা নিচু করা অবস্থা চোয়াল শক্ত করে চোখ খিঁচে বন্ধ করলো! টিয়া ক্লান্ত চোখে টগবগ করা জল নিয়ে টনির দিকে তাকালো সাথে সাথেই গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে অসংখ্য অশ্রুধারা! টিয়ার বুঝতে বাকি নেই ডেনিয়াল কি বুঝাতে চাইছে ওকে! টিয়ার কল্পনার বাহিরে ছিলো এটা।
ও কল্পনাতেও ভাবেনি যেই লোকটা একটু আগে তাকে মুক্তির পথ দেখাচ্ছিলো সেই লোকটাই তার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটার ক্ষতি করে বসে আছে। আচ্ছা টিয়া আর এই ভিন দেশে কাকে বিশ্বাস করবে কি হবে ওর জীবনে সব তো শেষ হয়েই গেলো আজ। টিয়া নিজের সমস্ত শক্তি হারিয়ে ফেলেছে ও হাটু মুরে ফ্লোরে বসে পরলো। সেটা দেখে ডেনিয়াল তার উদ্দেশ্যে পূর্ণতার হাসি হাসলো। তারপর টনির কাধে হাত রেখে ওকে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।
টিয়া কান্নায় ভেঙে পরলো। ও সব অন্ধকার দেখতে পাচ্ছে। যখনই কিছু আলো ওর জীবনে আসে মনে হয় আলোয় অন্ধকার সাথে নিয়ে এসেছে এ কেমন ভাগ্য ওর। কিছুই ওর ভাগ্যে স্থায়ী নয়?
,
,
,
ভাগ্য যার যেমনি হোক সময় কারো জন্যেই থেমে থাকে না! সময় তার নিজ গতিতে চলতে থাকে। দেখতে দেখতে এক মাস চলে গিয়েছে। টিয়ার জীবনে যেই ঝড় এসেছে থামার নামি নেই। সেই সাথে আমেরিকার আবহাওয়া ও যেনো বদলেছে। ঝকঝকে পরিস্কার আকাশ ভেঙে তুষাার পরছে থাই গ্লাসের পিছনে দাঁড়িয়ে টিয়া সেই অসম্ভব দৃশ্য দেখতে ব্যাস্ত। ওর চোখে বিস্ময়, প্রচণ্ড বিস্ময় এরকম একটি দৃশ্য ও দেখবে কোন দিন ভাবেনি। যতটুকু তুষার সম্পর্কে শুনেছে স্বচোখে দেখার ইচ্ছে জাগতো মনে! এভাবেই অচিরে সেটা পূর্ণতা পাবে ভাবেনি ও। কী অদ্ভুত তাই না। অনেক সময় আমারা জান প্রাণ দিয়ে কিছু চাইলেও সেটা পূর্নতা পায় না। আবার নিজেই অজান্তেই আওড়িয়ে যাওয়া মনের সুপ্ত চাওয়া গুলো খুব সহজেই পূর্নতা পেয়ে যায়! খুব অদ্ভুত!
টিয়ার ভাবনার সুতোয় টান পরলো। ডেনিয়ালের গম্ভীর কণ্ঠে,
–” এখনে কি করছো এত সকালে ?
টিয়া মিষ্টি হেসে বলল,
–” সকালে এখানের দৃশ্য দিগুণ চমৎকার লাগে! ”
টিয়ার মিষ্টিমুখ দেখে ডেনিয়াল আর কিছু বলল না ওর পাশে দাঁড়িয়ে নিজেও চমৎকার কিছু খুজতে ব্যাস্ত হলো টিয়া দৃষ্টি বুঝে। কিন্তু তুষার পাত ওর জন্য খুবি নরমাল বিষয় জীবনে এ জিনিসটা ও অসংখ্য বার দেখেছে। সেটাই টিয়ার কাছে চমৎকার কিছু? ও হেসে ফেলল! সেটা টিয়ার দৃষ্টি এড়ালো না। গম্ভীরমুখো ঈগলকে হুট করে হাসতে দেখে চট করেই বিস্মিত হতে বাধ্য হলো ও। টিয়ার বিস্ময় বাড়িয়ে দিয়ে ডেনিয়াল ওকে কোলে তুলে নিয়ে বলল,
–” তুমি আমেরিকা ছেড়ে আর কোথাও যাচ্ছোনা তাই স্নো ফোল অসংখ্য বার দেখতে পারবে। তবে আজ আমার অফ ডে সো এক্সাইটিং কিছু করি?”
টিয়া মাথা দুলালো! বলল,
–” কিন্তু সেটা কিভাবে বাহিরে তো আবহাওয়া ভীষণ খারাপ আজ!”
ডেনিয়াল টিয়াকে নিজের রুমের দিকে যাচ্ছে দেখে ঢোগ গিলল টিয়া। ভয়ে বুক ধুকপুক করছে কিন্তু ডেনিয়ালকে কিছু বলল না। বলার কিছু নেই ডেনিয়াল তাই করবে যা ওর মন চাইবে। টিয়া সব মেনে নিয়েছে এটাই হয়তো ওর শাস্তি ওর নিয়ত! ডেনিয়াল ওকে রুমে নিয়ে বেডে ছুড়ে ফেলল! মেট্রেসের জন্য টিয়া দু তিন বার দোল খেয়ে স্থির হলে দ্রুত বেড ছাড়তে যাবে তার আগেই ডেনিয়াল ওকে চেপে ধরলো বেডের সাথে। মুহূর্তে চোখ মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে ওর। ডেনিয়াল প্রায় ওর কাছে আসতে চায়। টিয়া বহু কষ্টে বেঁচে ফিরে ওর হাত থেকে কিন্তু সেটা কতদিন টিয়া জানে না। ও শুধু জানে টিয়া শুধু স্তব্ধ ওর!
ধপধপে তীর্যক রোদ মাথার উপর! রাস্তায় চলাচল করা সবার মুখেই গরমের ভ্যাপসা তিক্ততা। শরীর ঘামে অর্ধ ভেজা ব্যাপার টা খুবি বিরক্ত আর অসহ্য গরম। বিরক্তিতে কুঁচকে আছে পিউয়ের শুকনো মুখটাও। ফর্সা ফ্যাকাসে মুখ জুড়ে চিকচিক করছে মুক্তার দানার মতো ঘাম! রোদের জন্য তাকানো দায়। কলেজ থেকে বেরিয়ে রিকশার জন্য সামান্য হেটে গরমে পিউ অতিষ্ঠ! অবশ্য আজকাল অল্পতেই সবকিছুতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠার নতুন অভ্যাস হয়েছে ওর। আজকাল কিছুই ভালো লাগেনা ওর! তার উপর এক্সট্রা সমস্যা নতুন করে যোগ হয়েছে। ওর মা বিয়ে বিয়ে করে গলা শুকাচ্ছেন। বাবাও পেরে উঠছেনা ওর মার সাথে উনি ভালো সমন্ধ পেয়েছে বিয়ে যখন দিতে হবে একদিন এখনি দিবেন এমন সোনার ছেলে হারানো যায়না। আজ ওকে দেখতে আসবে হয়তো রাতে। ব্যাপার টা নিয়ে ও খুব চিন্তিত। এত চিন্তার কারণ অবশ্য ছিলোনা যদিনা পিউ সেইই স্বপ্নের কথা ভুলে যেতো ও ভুলেনি ও কিছুই ভুলতে পারেনি। ১ মাসে অনেক চেষ্টা করেছে টিয়া ফ্যামিলির থেকে দূরে থাকতে আস্ফিকে না ভাবতে তবুও কিছুই কিছু হয়নি। যত কম ভাবতে চায় ততই ওর ঘুম হারাম হয়ে যায়। টিয়ার আরাফ ফোন দিয়ে দিয়ে ওকে পাগল করে ফেলেছে এই এক মাস ও ফোন বন্ধ করে ছিলো কি বলবে ও আরাফকে পিউ নিজেই যেই সম্পর্কে যানেনা। সেটা আরাফ কেন বুঝেনা। ভাগ্য ভালো বাড়ি এসে হামদুম করছেনা বা পুলিশে যায়নি আরাফ! কিন্তু ও তো চিন্তা মুক্ত কিছুতেই হতে পারছেনা। আস্ফির কোন খোঁজ সেই লাস্ট ফোন কলের পর আর পায়নি ও। অনেক ট্রায় করেছে যোগাযোগ করার কিন্তু আস্ফির ফোন অফ। অভিমানে বুকে কতশত পাথর জমে গেছে তা অগনিত। বুক ফুলিয়ে শ্বাস নিলো ও৷ ঘাড় ঘুরিয়ে আশেপাশে তাকালো একটা খালি রিকশা দেখে ডাক দিলো আস্তে করে। রিকশা কাছাকাছি আসার আগেই ঝড়ের গতিতে একটা গাড়ি এসে থামলো ওর সামনে! হতভম্ব হয়ে কিছু পলক ফেলল পিউ ভীষণ ভয় পেয়েছে ও। মনে হচ্ছিলো গাড়ি ওর উপর দিয়েই যাবে। পিউ শ্বাস নিয়ে অন্যদিকে ফিরবে তখন ড্রাইভিং সীটের জানালা খুলে গেলো তৎক্ষনাৎ। ও সেদিকে না তাকিয়ে পারলোনা। এলোমেলো দৃষ্টিতে তাকিয়ে অন্যদিকে ঘুরে যাবে সেটা আর হলোনা! ওর দৃষ্টি আটকে গেছে ড্রাইভিং সীটে বসে থাকা ব্যাক্তির মধ্যে। আশ্চর্য ও সত্যি দেখছে? এটা আস্ফি?
এদিকওদিক তাকালো পিউ চলে যাবে না কথা বলবে আস্ফির সাথে বুঝতে পারছেনা। লম্বা রাস্তা দিয়ে একবার ভার্সিটির গেইটের দিকে তাকালো ও। তখন আস্ফির শুকনো গম্ভীর কণ্ঠ কানে এলো ওর!
–” সিনক্রিয়েট করিস না! গাড়িতে উঠে বস কথা আছে! ”
পিউ হয়তো ঝামেলা ছাড়া কিছুই করতে পারেনা। তার উপর আস্ফির কথায় রাগ হলো প্রচুর হুট করেই মাথা গরম হয়ে গেলো ওর! তেড়ে গাড়ির জানালা দিয়ে মুখ ঢুকিয়ে হিসহিসিয়ে বলল,
–” আপনার কথা থাকতেই পারে কিন্তু আমার নেই! একদমি নেই! সেটা ভালো করে মাথায় ঢুকিয়ে নিন!”
বলে পিউ ঘুরে চলে যাবে। আস্ফি শান্ত কন্ঠে বলল,
–” ঠিক আছে আপু আমি যাচ্ছি আপনি বিয়ে করে সুখে থাকুন! ”
পিউ হাঁ করে চমকে চাইলো আস্ফির মুখে শুকনো মুখে ভীষণ গম্ভীর্য! পিউ এতক্ষণে লক্ষ্য করলো আস্ফির চোখে মুখে ভীষণ গম্ভীর ভাব রুঢ় এবং শক্ত।
আগের মতো আস্ফির মুখে সর্বদা লেগে থাকা চঞ্চল হাসি নেই। চঞ্চল দুষ্টুমি হাবভাব যেন কখনও যেন ছিলোই না আস্ফির মধ্যে। পিউ কেন যেন আর কিছু বলতে পারলোনা। তখনি পিছন থেকে রিকশা ওয়ালা ডাক দিলো ওকে!
–” আপা চলেন! ”
আস্ফি রিকশার দিকে তাকালো পিউ আস্ফির মুখ থেকে চোখ তুলে হেটে রিকশার কাছে গিয়ে ঠিকানা বলবে। আস্ফি রিকশা ওয়ালাকে চলে যেতে বললো গাড়িতে বসেই। পিউয়ের দিকে ক্রুদ্ধ চোখে তাকিয়ে রাগি কন্ঠে বলল,
–” ডোন্ট ম্যাক মি এঙরি পিউ! তাহলে একবারে তুলে নিয়ে যাবো! আমার শাশুড়ি মা তখন মেয়ে পাবেনা বিয়ে দেওয়ার জন্য! ”
পিউ ভারি চমকালো আস্ফি কি জানতে পেরেছে ওর বিয়ের কথা চলছে? কিন্তু কি করে? এসব আশ্চর্য ঘটনা কি করে ঘটছে সেটা আস্ফির সাথে কথা বললেই জানা যাবে। কিন্তু ওর অভিমান আস্ফির সাথে কথা বলতে বারবার বারণ করছে! ও কোন পথে যাবে এবার! আস্ফি এভাবে নিখোঁজ হয়ে একদম ঠিক করেনি পিউ চোখে পানি নিয়ে আস্তে আস্তে গাড়িতে বসলো! আস্ফি একমনে গাড়ি স্টার্ট দিল!
ওদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো অভিজিৎ, শিশির! চায়ের কাপে শেষ চুমুক দিয়ে তাচ্ছিল্যের সাথে শিশির বলল,
–” স্যার আমার মনে হচ্ছে আমরা ওদের পাহারাদার! আর ওরা হচ্ছে প্রাইম মিনিস্টার। এখানে কোন ক্রিমিনাল কেস চলছেনা। ”
অভিজিৎ টিটকারির স্বরে বলল,
–” শিশির তুমি এতো ফাস্ট বুঝে গেলে বিষয় টা! যাও এবার বাইক স্টার্ট দাও!”
শিশির আসলে কিছুই বুঝলোনা। কেন দুমাস যাবত স্তব্ধের ফ্যামিলির পিছু নিচ্ছে কিন্তু কিছুই করছে না স্যার! ও মাথা চুলকাতে চুলকাতে বাইক স্টার্ট দিলো!
শহর পেরিয়ে বেশ দূরে চলে এসেছে আস্ফি। নিরিবিলি প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে গাড়ি থামালো আস্ফি। তারপর পিছনে তাকিয়ে কিছু একটা দেখে নিলো আগে। তারপর পিউয়ের দিকে না তাকিয়েই এক টানে নিজের সাথে মিশিয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো ওকে! পিউ ভীষণ ভয় পাচ্ছিলো কই নিয়ে যাচ্ছে আস্ফি ওকে৷ দুরুদুরু বুকে আস্ফির হুট করে একটা কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলায় প্রথমে বেশ চমকে গেলেও বিষয় টা বুঝতে পেয়ে নিজেও শক্ত করে জরিয়ে ধরলো আস্ফিকে। মুহূর্তে মনে প্রশান্তি বয়ে গেলো দুজনের। কিছু সময় অতিবাহিত হলে আস্ফি সেভাবেই শান্ত স্বরে বলল,
–” ভাই বা টিয়ার কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা পিউ৷ আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি! আমি খুব ভেঙে পরেছিলাম বাবাকেও সামলাতে হচ্ছিলো সাথে এখানের সব কাজ। এসবের মধ্যে তোর সাথে যোগাযোগ রাখতে পারিনি। ”
পিউ জোর করে নিজেকে ছাড়ালো আস্ফির থেকে। পিউ আস্ফির চোখে চোখ রেখে বলল,
–” এখন?”
–” জানিনা! ”
–” কি বলতে চাইছিস দুটো মানুষ গায়াব হয়ে গেলো!”
–” ইনফরমেশন অনুযায়ী বিয়ে করেছে ভাই টিয়া! ”
পিউ মুখে অদ্ভুত শব্দ করে বলল,
–” বিয়ে তো আগেই হয়েছে অদের কবার বিয়ে করে ওরা? ”
–” তখন বিয়ে হয়নি!”
–” আমি নিজে অদের বিয়েতে গিয়েছিলাম! ”
সেদিনের বিয়ের কথা শুনে আস্ফি নিজের রাগ সামলাতে পারলনা। চেঁচিয়ে বলল,
–” নাটক করেছিলো বিয়ে করেনি ঐদিন টিয়া! টিয়া প্রত্যয়ের কথা শুনে বিয়ের গেম টা ভাইয়ের সাথে না খেললে। ভাইকে অবিশ্বাস না করলে। না ভাই রাগ তো! না ওকে কষ্ট দেওয়ার জন্য নিজেও কিছু নাটক করতো! না ওকে ঐদিন রাতে একা ছাড়তো আর না ঐ অসুস্থ মস্তিষ্কের কিয়াশ মেয়েটার বদলে টিয়া কিডন্যাপ হতো….আর না আজ আমাকে এত এত পেইন নিতে হতো পিউ। টিয়া সব নিজ হাতে শেষ করে দিয়েছে ওর কঠিন শাস্তি পাওয়া উচিৎ! কষ্ট পাওয়া উচিৎ কঠিন…..! ”
রাগে আস্ফির চোখে পানি চলে এলো! পিউ শুধু ভাবল তাহলে ওরা ভুল বুজেছে স্তব্ধকে। টিয়ার দেখা শোনার বাহিরেও অনেক কিছুই এখনও বাকি!
চলবে?
[ সামনে চমক আছে ইন শা আল্লাহ্ 😇]