#Child_Of_Night
Writer: Tanjima Islam
[14]
ওরহানের বলা শেষ কথাটা শুনে আরেক দফা অবাক হয়ে গেছে সে।
তার অবস্থা মীরার মতো হবে এর মানে কি? তার মানে মীরার মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চয়ই ওরহান জানে।
নীরা উদ্বিগ্ন কন্ঠে বলল,
” আপুর মতো অবস্থা হবে এর মানে কি ওরহান? আমার আপুর কি হয়েছিলো?
ওরহান একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, ” আমি এখনই গিয়ে ট্যাক্সি পাঠিয়ে দিচ্ছি।
এবার বেডের পাশে রাখা লাগেজটা নিয়ে বেরিয়ে যেতে যেতে বলল,
” মিলিয়ানকে বায় বলে এসো।
বলেই হনহনিয়ে বাড়ির বাইরে চলে গেলো ওরহান। নীরা সেখানেই থ হয়ে দাড়িয়ে রইলো।
এসব কি ঘটছে তার সাথে? আর ওরহানই বা তাকে হটাৎ চলে যেতে বলছে কেন?
মিলিয়ানকে বায় বলতে বলছে! তাহলে কি মিলিয়ানকে ছাড়াই তাকে চলে যেতে বলছে ওরহান?
নীরা এলোমেলো পা ফেলে রুম থেকে বেরিয়ে মিলিয়ানের রুমের দিকে এগিয়ে গেলো।
দরজা খোলাই আছে। নীরা দরজার নব ঘুরিয়ে ভেতরে ঢুকে দেখল, রুমের সব লাইট অফ করে বেড ল্যাম্প জ্বালানো।
বেডে উবু হয়ে শুয়ে আছে মিলিয়ান। নীরা বেডের দিকে যেতে গিয়ে ড্রয়িং স্ট্যান্ডের টুলে হালকা ধাক্কা খেয়ে দাড়িয়ে গেলো।
স্ট্যান্ডটাও গুছিয়ে রাখেনি মিলিয়ান। আজকাল কি যে হয়েছে ছেলেটার।
নীরা স্ট্যান্ডটা ধরে একপাশে রেখে সরে এলো। স্ট্যান্ডে আটকানো আর্ট পেপারে তাকাতেই দেখল, একটা আবেদনময়ী নারীচিত্র আঁকানো।
তার কোমরের ওপরের অংশ পুরোটাই বিবস্ত্র। নিচের অংশে কালো রঙের স্কার্ট ধরনের কিছু পরা। সে উদাসভঙ্গীতে পাথরে কাধ রেখে তাকিয়ে আছে দূরে কোথাও।
নীরা ভ্রুকুটি করে ঘুমন্ত মিলিয়ানের দিকে তাকালো। এইটুকু একটা বাচ্চা এমন বিবস্ত্র নারীচিত্র এঁকেছে! চরম অস্বস্তি আর রাগে ফুসতে লাগল নীরা।
রেগেমেগে স্ট্যান্ড থেকে আর্ট পেপারটা খুলে নিয়ে দেখল, চিত্রের নিচে ইংরেজিতে লেখা “লামিয়া”
আরেক দফা অবাক হয়ে গেলো নীরা। এই লামিয়া আবার কে? আশেপাশে কোনো মহিলার নাম লামিয়া বলে তো মনে পড়ছে না।
আর থাকলেও তো মিলিয়ানের তাকে চেনার কথা না। সে পাশাপাশি বাসায় পল ফ্যামিলির কাউকেই ঠিকমতো চেনেনা।
সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে সেই আর্টিকেলটা মনে পড়ল নীরার। হ্যাঁ সেটাতেই লামিয়া নামে কিছু একটা লেখা ছিলো।
খুব সম্ভবত সে রাজা জিউস এর গোপন প্রেমিকা ছিল। নীরা আর্ট পেপারটা হাতে ধরেই মিলিয়ানের রুম থেকে বেরিয়ে এসে নিজের রুমে চলে এলো।
___________________
|
|
|
|
|
ল্যাপটপ অন করে লামিয়ার ব্যাপারে বিভিন্ন ডকুমেন্ট দেখতে লাগল নীরা। সব গুলো ডকুমেন্ট এর সারসংক্ষেপ এমন,
” প্রাচীন গ্রিক পুরাণে লামিয়া ছিল লিবিয়ার একজন সুন্দরী রাণী যে পরবর্তীতে একটি বাচ্চাখেকো দাণবে পরিণত হয়েছিল। ডিয়োডরাস সিকিউলাসের মতে, মিশরের রাজা বেলাসের সুন্দরী কন্যা ছিল লামিয়া।
লামিয়া ছিল পোসেইডন এবং লিইবির নাতনী। তার বাবার মৃত্যুর পর সে লিবইয়া রাণী হয়।
লামিয়ার সাথে জিউসের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং সন্তানের জন্য সে তাকে বিরক্ত করত।
যখন জিউসের স্ত্রী হেরা বিষয়টা জেনে ফেলে তখন সে রাগে বাচ্চাদের মেরে ফেলে।
বাচ্চাদের মৃত্যুর শোকে পাগল হয়ে লামিয়া তার বাচ্চাদের খেয়ে ফেলতে শুরু করে।
ডিয়োডরাসের মতে, তার চেহারা তখন বিকট আকৃতির হয়ে যায়। প্রতিশোধস্বরূপ লামিয়া ভ্যাম্পায়ার হয়ে যায় এবং রাতের বেলা শিশুদের রক্ত পান করতে থাকে।
জিউস তাকে তার চোখ অপসারণ করার ক্ষমতা দান করে। ডিয়োডরাস মতে, এর উদ্দেশ্য অস্পষ্ট।
কিন্তু অন্য একটি জায়গায় উল্লেখ যে, তার বাচ্চা হারানোর শোক প্রশমিত করতে জিউস এটা করেছিল।
কিছু গল্প বলে যে, অভিশাপে লামিয়ার চোখ বন্ধ করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
যাতে সে সারাক্ষণ তার মৃত সন্তানদের চিন্তায় মগ্ন থাকে। কারোও মতে, হেরা তার সন্তানদের খেতে তাকে বাধ্য করেছিল।
পৌরাণিক বিভিন্ন ভাবে বর্ণনা করে যে, লামিয়া শোকে পড়ে হেরার রাগে বিকট দানব আকৃতি ধারণ করে।”
নীরা জানে এসব শুধুই পৌরাণিক কাহিনি মাত্র। কিন্তু ১৯০৯ সালে হার্বাট জেমস ড্রাপারের আঁকা ছবিটা দেখে তার মস্তিষ্ক এলোমেলো হয়ে গেছে। মিলিয়ানের আঁকানো সেই চিত্র আর হার্বাট জেমস ড্রাপারের আঁকা চিত্রের নারী একই জন, ” Λάμια (লামিয়া)
নীরার হাত থেকে আর্ট পেপারটা পড়ে গেলো। একটা পাঁচ বছরের বাচ্চা ছেলে পৌরাণিক এক বিবস্ত্র নারীর চিত্র কিভাবে আর কেনই বা আকালো?
নীরার মন বারবার বলছে লামিয়া আর মিলিয়ান এর মধ্যে কোনো একটা যোগসূত্র নিশ্চয়ই আছে।
কিন্তু তা কিভাবে সম্ভব?
নীরা আর ভাবতে পারছেনা। ভীষণ মাথাব্যথা করছে তার। শ্বাসপ্রশ্বাস ক্ষীণ হয়ে আসছে।
দম বন্ধ হয়ে যাবে মনে হচ্ছে। নীরা ল্যাপটপ অন রেখেই বেড থেকে নেমে এলো।
আবারও মিলিয়ানের সেই রক্তমাখা মুখটা ভেসে উঠছে নীরার সামনে।
সারলোটের দেখা একই সময়ে সেই দুটি নীরা। সন্ধ্যায় দেখা সেই ছায়ামূর্তি।
এসবকিছুই চোখের ভ্রম নয়। নীরা টলমল পায়ে চলতে চলতে মিলিয়ানের রুমে এসে দাড়ালো।
মিলিয়ান এখনও উবু হয়ে ঘুমিয়ে আছে। নীরা ঘুমন্ত মিলিয়ানকে কোলে তুলে নিল।
ঘুমন্ত অবস্থায় কারো হাতের ছোয়া পেয়ে মিলিয়ান একবার চোখ মেলে নীরা’কে দেখে আবার ঘুমিয়ে পড়ল।
বাইরে ট্যাক্সির হর্ন বাজছে। নীরা থেমে থেমে মিলিয়ানের ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে বলল,
” বাবা মিলিয়ান। আমি আছি তোমার সাথে। কখনো তোমাকে ছেড়ে যাবো না।
নীরা আলতো করে মিলিয়ানের কপালে চুমু খেয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখল, গেটের সামনে ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে আছে।
নীরা দ্রুত পায়ে ট্যাক্সিতে গিয়ে উঠে বসল। সাথেসাথেই গাড়ি স্টার্ট দিল ড্রাইভার।
নীরা আজকের রাতটা কাটাতে রেগেন্সবুর্গের একটা ফাইভ স্টার হোটেল এ নিয়ে যেতে বলল ড্রাইভারকে। ড্রাইভার না তাকিয়েই বলল,
” মি. ওরহান যেখানে নিয়ে যেতে বলেছেন সেখানেই নিয়ে যাচ্ছি।
নীরা আর কিছু বলল না। তার ধারণাই ঠিক, ওরহান সব জানে। কাল সকালেই তার সাথে দেখা করতে হবে। মিলিয়ান এখনও নীরার কোলে ঘুমিয়ে আছে।
নীরা ফোনস্ক্রিনে তাকিয়ে দেখল, রাত বারোটা তেইশ বাজে। নীরা ফোনস্ক্রিন অফ করে নিজেও সিটে হেলান দিয়ে শুয়ে পড়ল।
____________________
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
একটা অতিকায় বাদুড় চক্কর দিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে মিলিয়ান থমসন এর বাড়ির চারপাশে।
উড়তে উড়তে একসময় সেটা মিহি ধূলিকণা রূপে দরজার নিচ দিয়ে ভেতরে ঢুকে গেলো।
ভেতরে ঢুকে ধূলিকণা গুলো হাওয়ায় ভেসে ভেসে এগিয়ে যেতে লাগল মিলিয়ানের রুমের দিকে।
ভেতরে ঢুকে দেখল রুমে কেউ নেই। ধূলিকণা গুলো মুহুর্তেই পাক খেতে খেতে একটা ছায়ামূর্তিতে রুপান্তরিত হল।
মিলিয়ানের রুম থেকে বেরিয়ে এবার পুরো বাড়ি চষে বেড়াতে লাগল ছায়ামূর্তিটা।
ঘুরতে ঘুরতে নীরার রুমে এসে দেখল, রুমে কেউ নেই।
বেডের ওপর ল্যাপটপের স্ক্রিন অন করা। ছায়ামূর্তিটা ধীর পায়ে ল্যাপটপের দিকে এগিয়ে গেলো।
স্ক্রিনে তাকিয়ে নারীচিত্রটা দেখে দপ করে জ্বলে উঠলো তার চোখ জোড়া।
রুবি পাথরের ন্যায় জ্বলন্ত চোখ জোড়া দিয়ে মুহুর্তেই ভেঙে গুড়িয়ে দিল ল্যাপটপটা।
ধীর পায়ে এগিয়ে এসে জানালা খুলে দিল। আকাশে ঝুলে থাকা রূপোলী চাঁদের আলোয় আলোকিত হয়ে গেছে প্রকৃতি।
ছায়ামূর্তিটা জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে আবারও বাদুড়ে রূপ নিয়ে সা করে আকাশে উড়ে গেলো।
________________
|
|
|
ট্যাক্সিটা চলতে চলতে হটাৎ ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে গেলো। ঘুমের মধ্যে আচমকা ঝাকি খেয়ে উঠে বসল নীরা। মিলিয়ানেরও ঘুম ভেঙে গেছে।
নীরা আশেপাশে তাকিয়ে দেখল, একটা জনমানবহীন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে তাদের ট্যাক্সিটা।
রাস্তার দুপাশে সারি সারি গাছের ঘনকালো জংগল। লোকটা এখানে গাড়ি দাড় করিয়েছে কেন।
কোনো কুমতলব নেই তো! এতো রাতে একা একটা মেয়ে আর বাচ্চাকে দেখে কি মতলব আঁটছে কে জানে। নীরা কিছুটা ধমকের সুরে বলল,
” কি ব্যাপার! আপনি এখানে থামালেন কেন?
” ম্যাম, রাস্তায় অনেক গুলো কাঠের গুড়ি ফেলানো। এর ওপর দিয়ে যাওয়া অসম্ভব। অন্তত চার পাঁচটা গুড়ি সরালে তবে যেতে পারবো।
রাস্তায় কাঠের গুড়ি ফেলানো শুনে নীরার মেজাজ বিগড়ে গেলো।
সে সামনে তাকিয়ে দেখল, সত্যি সত্যিই অনেক গুলো কাঠের গুড়ি ফেলানো।
কিন্তু কে ফেলালো এভাবে? রেগেন্সবুর্গে ডাকাত দলের উৎপাত আছে বলে তো জানা নেই তার।
কিন্তু কে জানে, হয়তো রাত বিরেতে কোনো অসহায় যাত্রী পেলে তাদের থেকে সব হাতিয়ে নেওয়ার ধান্দা। নীরা বিরক্ত হয়ে বলল,
” আপনি গাড়ি ঘোরান। অন্য পথ দিয়ে চলুন। এতো রাতে রাস্তায় কাঠের গুড়ি ফেলে রাখা কোনো স্বাভাবিক ব্যাপার নয়।
” কিন্তু ম্যাম, অন্য পথ দিয়ে যেতে হলে আরও রাত হয়ে যাবে। আর হাইওয়েতে কাঠের গাড়ি যাওয়ার সময় প্রায়ই দড়ি ছিড়ে কাঠের গুড়ি পড়ে যায়। আপনি একটু বসুন। আমি চার পাঁচটা গুড়ি সরিয়েই গাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।
ড্রাইভারের মুখে হাইওয়ের কথা শুনে নীরা অবাক হয়ে বলল, ” হাইওয়ে মানে কি? আমরা এখন হাইওয়েতে? কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন আমাদের?
ড্রাইভার ট্যাক্সি থেকে বের হতে হতে বলল,” মিউনিখ। মি. ওরহান সেখানকার একটা এড্রেস দিয়েছেন।
ড্রাইভার দ্রুত এগিয়ে গিয়ে শক্ত হাতে গুড়ি গুলো সরাতে লাগল।
নীরা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে মিলিয়ানের দিকে তাকালো।
তার চোখেমুখে স্পষ্ট আতংক দেখা যাচ্ছে। নিশ্চয়ই ভাবছে তাকে হটাৎ কোথায় নিয়ে যাচ্ছে নীরা।
হতে পারে এমন নির্জন অন্ধকারে ভয় লাগছে তার। নীরা মিলিয়ানকে জড়িয়ে ধরে বলল,
” ভয় পেয়োনা বাবা। মাম্মাম আছি তোমার সাথে।
মিলিয়ান কোনো উত্তর না দিয়ে নীরা’কে জড়িয়ে ধরল। বেশ কিছুক্ষণ কেটে গেল কিন্তু ড্রাইভার তখনও ফিরে এলো না।
কতক্ষণ লাগে পাঁচটা গুড়ি সরাতে। নীরা মিলিয়ানকে ছেড়ে সামনে তাকালো।
কাঠের গুড়ি গুলো সরিয়ে রাখা। কিন্তু ড্রাইভার নেই। সে আবার কোথায় গেলো?
নীরার এবার মেজাজ আরও খারাপ হয়ে গেলো। মুখ বাইরে বের করে হাক ছাড়ল,
” ড্রাইভার?
রাতের নিস্তব্ধতা বিদীর্ণ করে দূর থেকে কয়েকটা হুতোম প্যাঁচার ডাক ভেসে এলো।
ড্রাইভারের কোনো হদিস নেই। নীরা মিলিয়ানকে বলল,
” তুমি একটু বসো। আমি এক্ষুনি আসছি।
নীরা যেই না বের হতে যাবে মিলিয়ান তার হাত খামছে বলল, ” মাম্মাম! যেয়োনা প্লিজ।
মিলিয়ানকে ভীষণ ভীতসন্ত্রস্ত দেখাচ্ছে। নীরা কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা।
এখানে এভাবে বসে থাকলেও তো চলবেনা। সে ড্রাইভিং পারেনা।
নাহলে সে নিজেই ড্রাইভ করে চলে যেতো। কিন্তু তাকে এখন ড্রাইভারকে ডেকে আনতে হবে।
হয়তো সে আশেপাশে কোথাও প্রাকৃতিক কাজ সারতে গেছে।
নীরা মিলিয়ানের দু’হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বলল,
” যাই হয়ে যাক। ট্যাক্সি থেকে বের হবে না। মাম্মাম এক্ষুনি যাবে আর আসবে।
নীরা আর দেরি না করে ট্যাক্সির দরজা লাগিয়ে সামনে চলে গেলো।
মিলিয়ান ভীতসন্ত্রস্ত অসহায় চোখে এদিক ওদিক তাকিয়ে বলল, ” ওরা এসে গেছে। আমাদের আশেপাশেই আছে কোথাও।
___________________
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
[চলবে]
বিঃদ্রঃ ১৩ নভেম্বর থেকে আমার অনার্স প্রথম বর্ষের ফাইনাল এক্সাম। শেষ হবে ১২ ডিসেম্বর। এরপর আছে প্রাক্টিকাল এক্সাম। সব মিলিয়ে ডিসেম্বরে এক্সাম শেষ হবে। তো সেই পর্যন্ত #Child_of_night এর পরবর্তী অংশ দিতে পারবোনা। তবে এক্সাম শেষেই ফিরে আসবো আপনাদের মাঝে। মাঝেমধ্যে গ্রুপে এক্টিভ থাকবো। আশা করি আপনারাও আমাকে ভুলে যাবেন না। আপনারাও গ্রুপে এক্টিভ থাকবেন। আপনারা সবাই আমার পাঠক পাঠিকা পরিবার। আপনাদের ভালোবাসাতেই লেখার উৎসাহ খুজে পাই। ফিরে এসে গল্পের পরবর্তী অংশ দিবো ইনশাআল্লাহ। সেই পর্যন্ত সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আর আমার জন্য একটু দোয়া করুন। আর ভালবাসা সবাইকে❤️
আমার লেখা সকল আপডেট পাবেন গ্রুপে⤵️
https://www.facebook.com/groups/510764400233529/?ref=share