🏵তুইতেই আমি🏵
লেখিকাঃইসরাত আয়রা ইচ্ছে
পর্বঃ৮
🍁🌼🍁
–আমার চিঠি পরেছিস?
–আমি কোন চিঠি পাই নি আহান(আমতা আমতা করে)
–তাহলে এগুলো কি ভুতে ছিড়েছে??
–হুম,,,, না না
–তাহলে?
–আমি বলেই কেদে উঠলাম
–তো এমন মহৎ কাজ করে কাদছিস কেন?
–আমার ভুল হয়ে গেছে আহান।আমি আর জীবনে জানালা দরজা আটকাবো না,আপনার কোনো জিনিস ছিড়ব না। যত্ন করে রেখে দেব,,,কাউকে ধরতেও দেব না।আমাকে বকবেন না পিলিজ আপনি যা বলবেন আমি তাই করব
— যা বলবো তাই?
–হ্যা
–সিউর?
–হ্যা হ্যা(দুই হাত মুখে চেপে ধরে মাথা নাড়াচ্ছি)
–সিউর তো
–হ্যা বলেও ঘাবড়ে গেলাম কি এমন বলবে? তাকে কোনো বিশ্বাস নেই একদম বিশ্বাস নেই
–আমার সামনে,,,
–কি?
–আমার সামনে,,,
–কি?
এই ফাজিল টা কি বলে কে জানে,,,,এর শিরায় শিরায় শয়তান দৌড়াদৌড়ি করে
এরপর আহান আয়েশ করে বসলেন খাটের উপর। বললেন
–১০০ বার কান ধরে উঠ বস কর তো ঝটপট
–কিইইইইইইইই
–এই হাবা আস্তে ভালো মা এসে যাবে
–ওহ হ্যা মানে কি আহান আমি এই বয়সে,, আমি যে এখন আর ছোট নেই
–তুই ছোট নেই? কই দেখি তো,, (বিছানা থেকে উঠতে উঠতে)
–কি নায়ায়ায়া(ভয়ে দুই কদম সরে গেলাম সব কিছু ঠিকঠাক আছে তবুও জামাকাপড় টেনে টুনে ঠিক করায় ব্যস্ত হয়ে গেছি আমি)
–কেন?
–কান ধরছি ধরছি আপনি এগোবেন না পিলিজ আমার ভয় করছে
–গুড গার্ল,, বলে নিজের জায়গায় গিয়ে বসলেন
বিনা বাক্যে কান ধরে উঠা বসা ছাড়া গতি নেই আমার।উঠছি বসছি উঠছি বসছি
–আহান আর পারছি না।আমার পেটে ব্যথা ছিলো এমনিতেই আমার দাড়া আর হচ্ছে না আহান
–চুপ চাপ উঠবস করবি অজুহাতে চলবে না
সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে।কষ্টে চোখ দিয়ে দু ফোটা জল বেড়োলো।তখনই আহানের গলা
— বলতে পারতি সমস্যা আছে কাদার কি আছে
–বলেছিলাম
–আচ্ছা সরি টুকি বুঝিনি আমি ।বেশি কষ্ট হয়েছে?
— নাহ
–তাহলে আবার করাই?
–নায়ায়ায়া
–আয় বস পানি খা
বিছানায় বসালেন আমাকে,,দৌড়ে গিয়ে পানি ঢেলে আনলেন,নিজের হাতে খাওয়ালেন,আমার ওরনা দিয়ে মুখ মুছালেন। তার কেয়ার আমাকে খুব মুগ্ধ করে,,, সে এমনই আমাকে কাদাবে কিন্তু তার সামনে কাদলে সেটা কখনোই সহ্য করবে না।রাগ বেশি থাকলে বলবে ঘরে গিয়ে কাদ আর না থাকলে পাশে বসিয়ে এভাবেই যত্ন করবেন।ভালোবাসা উপলব্ধি করার পর থেকে এসব আরও ভালো লাগে। কেমন ভালো লাগে তার ব্যাখ্যা দেয়া কোন মতেই সম্ভব না।ভালোবাসায় যে ডুব দেয় সেই বুঝি এই সুখ অনুভব করতে পারে।আমিও এই দুনিয়ার সেই সুখ অনুভব করার ভাগ্যটা বুঝি এবার অর্জন করেই নিলাম
আহান পানির গ্লাস রাখতে রাখতে বললেন কি এতো ভাবছিস আমার দিকে তাকিয়ে?
আমতা আমতা করে উত্তর দিলাম না কিছু না এমনি দেখছি
–আরিয়া আমাকে কখন এভাবে দেখে জানিস ?
— কখন?
— যখন ও আমার উপর নতুন করে প্রেমে পড়ে। ওর প্রেম দিনে অনেক বার নতুন হয় ইনফ্যাক্ট আমাকে দেখলেই হয়
আমি ভীষম খেলাম।নিজের বোকামিতে আর রাগ লাগছে আরিয়ার ব্যাপারটা শুনে। আমার আহানের দিনে মেয়েটা কেন তাকাবে? হুম? আমার আহান আমি তাকাবো ওই মেয়ে কেন? কেন? কেন? হোয়াই?
–কেন আহান আপনি কি ওর এমন ভাবে যত্ন করেন?
মুচকি হেসে ফেললেন যা চোখ এড়ায় নি আমার। আমার পাশে এসে বসতে বসতে বললেন
— যত্ন নিচ্ছি বলে তাকিয়ে আছিস?
–না তো(এর সাথে কথা বাড়ায় মানুষ?,,, নিজেই ফেসে যাব তাই চুপ থাকাই বেটার মনে হচ্ছে)
আহান নিজেই আর প্রসঙ্গ টা না টেনে বললেন
–ছেলেটা এতো দিন তোকে ডিসটার্ব করে বলিস নি কেন?আজ থাপ্পড় মেরে নিজেই ভয় পেয়ে দৌড় লাগালি,,,,৷ সাহসীকতার কি পরিচয় দিলি বলবি আমাকে?এই জেনারেশন এ এসে মেয়েদের এভাবে হলে চলবে না মোটা মাথায় কিছু ঢুকেছে?
–থাপ্পড় মেরেছি তো ভয় পাই আর যা করি।আমাকে কেন মারলেন (অভিযোগের স্বরে)
–একই কাজ ছেলেটা প্রতিদিন করত ইচ্ছে।তুই প্রথম দিন মারলে আমি মারতাম না তোকে। প্রথম দিন মারিস নি তুই ছেলেটাকে,আর যেদিন থেকে এসব শুরু করেছে সেদিনই এসে বলিস নি আমাকে,,,, তাহলে তোকে মারবে না তো কি গলায় মালা পরাবো?
–আহান আপনি ওই ছেলের থেকে অনেক ছোট।ছেলেটা আমার থেকে এক ইয়ারের বড়। আমি কিভাবে আপনাকে বলতাম?
–আমি ছোট আমি ছোট? চাইলে বাচ্চার বাপ হয়ে যেতে পারি জানিস তুই? আমাকে ছোট বলে,,
এই তুই বডি দেখেছিস আমার?ছোট লাগে তোর থেকে?
–নাহ কিন্তু বয়সে তো,,,আর আপনাকে তো আমার কাছে কিউট একটা বেবি ফেসের ছেলে মনে হয়।কাছে পেলে যেসব বাচ্চাদের গাল টেনে দিতে মন চায় আপনার গালও টেনে দিতে মন চায় হিহি
–চুপ একদম চুপ আমি তোর থেকে বড় মাথায় রাখবি।আমি তোর থেকে কি? বড়। নইলে তোকে দিয়েই এক্সপেরিমেন্ট করে বুঝিয়ে দেব আমি বড় নাকি বেবি
–কিসের এএক্সপেরিমেন্ট? আর এটাকে বড় বলে না ম্যাচুরিটি বলে।আপনার আমার থেকে ম্যাচুরিটি বেশি কিন্তু বড় না
–আবার জ্ঞানউহ এ তুই চুপ করবি? দাড়া তোর শাস্তি শেষ হয় নি
বলেই চটাং করে বিছানায় শুয়ে পরল,,
— নে পা টেপ।সারা রাত পা টিপে দিবি
–এই রাতে? আমি ঘুমাবো না?
–না ঘুমাবি না।আমি ঘুমাবো মেয়েদের এতো ঘুমাতে নেই দুইদিন পরে বিয়ে করে শশুড় বাড়ি চলে যাবি তখন দেখবি রাত জাগা কাকে বলে
মনে মনে বলছি আমার শশুর বাড়ি দূরে হবে কেন যে পাঠাতে হবে আর রাতই বা জাগতে হবে কেন হুম?
–আচ্ছা রাত জাগতে হবে কেন আহান?
-উহ হু রে তুই মানুষ হবি কবে,,এখন রাত জাগবে কেন তাই শিখাবো?শিখালে খুব খারাপ হয়ে যাবে,,,, পা টেপ নয়তো রাত জাগা শিখিয়ে দেব।
শেষ কথাটা কানের খুব কাছেই এসে বললেন। আমার কি হলো জানি না তার দিকে আর তাকাতে পারছি না।বিনা বাক্যেই পা টিপছি। আর উনি পা দুলাচ্ছে আর বলছে তোর পা টিপা হচ্ছে না ইচ্ছে।আচ্ছা সে যদি এভাবে পা দুলায় আমি কিভাবে ভালো ভাবে কাজটা করবো? সব ইচ্ছে করে করছে সব।
হঠাৎ করে বলে উঠলেন
–তুই নাকি কাকে ভালোবাসিস?
–আমতা আমতা করে বললাম কি যে বলেন আমি আবার কাকে। কে বলল আপনাকে?
–নাহ শুনলাম ফ্লোরে প্রচুর গড়াগড়ি দেয়ার কম্পিটিশন করছিস। আর আয়ান বলল তোর মধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে প্রেম প্রেম ভাব,,,,,
–ওই আয়ানটাই নষ্টের মূল। ওর খবর আছে
কানের কাছে এসে বললেন ভালোবাসাতে ক্ষতি নেই। স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক ভালো
— কেমন ভালো সময় হলে শিখাবো।পা টিপ পা টিপ।হ্যা এদিক এদিকটায় হ্যা হ্যা
ওনার এমন কাজে খুব রাগ হওয়ার কথা কিন্তু কেন জানি না আমার ভালোই লাগছে। সারাজীবন এভাবে পা টিপেও যদি তার সাথে থাকা যায় আমি রাজি খুব রাজি হিহি।
মনে মনে হাসছিলাম নিজের বেখেয়ালে তা যে সত্যিই ভ্যাক ভ্যাক করে হাসছিলাম তার টের আমি পাই নি।তা বুঝলাম আহানের কথায়
–হাসি থামিয়ে আমার কথা শুন
নিজের কাজ কর্মে আমি সত্যিই অবাক হচ্ছি।
–হ্যা হাসছি না বলুন
–আমরা ৫ দিন পরে ঘুরতে যাচ্ছি। ভাবছি দূরে যাব কোথাও একটা ।
–আমরা কারা ফ্যামিলির সবাই?
–না
–আপনার বন্ধুদের সাথে? আমি তো যাচ্ছি তাই না আহান?
— না আমরা ফ্রেন্ড সার্কেলরা যাচ্ছি।
–কে কে? শুধু ছেলেরা?
–না আয়রা নিশুতি রাজ শুভ
–আমিও তো তাহলে যেতে পারি
–না পারিস না আমি নেবো না।
–আপনি তো আমাকে ছাড়া ঘুরতেও যান না তাহলে
— যাইনি যাব।তুই তো বেড়িয়ে এলি।
— তখন কার সিচুয়েশন আপনি জানেন আহান
–হু তো?
পা টেপা থামাতে বলি নি আমি
— সরি বলেই কথা না বাড়িয়ে নিজের মতো চুপ করে কাজ করছি।সেও কোন কথা বলছেন না।
কখন চোখ লেগে এলো জানি না। আহানের পেটের উপর আমার মাথা ধুম করে পরল।মেয়েদের ঘুম যতই গাড়ো হোক কোনো ছেলের সংস্পর্শে আসলেই তা ভেঙে যাবেই। ঘুমের ঘোরে পরে গেছি উঠতে চেয়েও পারলাম না ততক্ষণে আহান আমার মাথায় হাত রেখেছে।সে এখন কি করবে তা দেখার লোভে আমিও আর নড়লাম না ঘুমের ভান ধরেই পড়ে রইলাম।
আহান সেভাবেই মাথায় হাত বুলাচ্ছে আর বলছে খুব খারাপ ব্যবহার করি তোর সাথে?এসব নিয়েই তো আমি বেঁচে আছি। কষ্ট পায় না কেমন? টুকি তোকে যেদিন থেকে সুখ দিবো সেদিন থেকে আর কখনও কাদাবো না আমি কখনোও না।
এদিকে খুশিতে আমার নাচতে মন চাচ্ছে কিন্তু আমি নিরুপায়।আমি যে তার অন্যরকম ছোয়ার অর্থ পেয়ে গেছি।কবে দেবে সেই সুখ আমায় কবে?ভালোবাসে উনি আমাকে? কই ভালোবাসি তো বললো না।তবুও তার আদর মাখা গলা যেনো আমায় এক অন্য অনুভূতির জগতের জানান দিলো।
আহানের ধারণা মতে ইচ্ছের ঘুম খুব কড়া আর তাই সে নিশ্চিন্তে ইচ্ছের গালে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।
কিছুক্ষণ পরে আমার হাত দুইটা ধরে টেনে উঠিয়ে তার বুকের উপর আমার মাথা রাখলেন তারপর টাইড করে জড়িয়ে ধরলেন। পেটের গান টা ভালোই লাগছিলো আমার। ছোট বেলায় মায়ের পেটের উপর সটাং হয়ে শুয়ে পেটের দারুণ গান টা উপভোগ করতাম তারপরে এই আহানের।মায়া মায়া লাগছিলো। অনুভব করলান বুকের ঢিপঢিপ আওয়াজ টা আরও অধিক সুন্দর আরও অধিক। কি সুন্দর রিদাম।এই বুকের ঢিপঢিপ আওয়াজ এর সাথে হারিয়ে যাচ্ছি আমি ।এমন মনে হচ্ছে এই ঢিপঢিপ আওয়াজ আমার প্রতিদিন চাই প্রতিক্ষণ চাই। আহানের বুকে হালকা করে নিজের অজান্তেই ঠোঁট ছোঁয়ালাম। সে কি সুখ আর চুরি করে এমন কাজ করাতে এত আনন্দ হয় তা আগে জানতাম না আমি সত্যি জানতাম না।অচেনা জগৎ চিনতে এতো ভালো লাগা কাজ করে,,,, আমি আরও নতুন জগৎ চিনতে চাই আরও আরও
এদিকে আহান ইচ্ছেকে বুকের উপর থেকে নামিয়ে নিজের হাত ছড়িয়ে হাতের উপর শোয়ালো।
আমার সারা মুখে আঙুল দিয়ে আকিবুকি করছে।ধুর বাবা শুরশুরি লাগে তো।এভাবে কতক্ষণ করবে কে জানে?
ওনার আঙুলটা আমার ওষ্ঠদ্বয়ে আকিবুকি শুরু করলেন।আমার শরীর শীতল হয়ে আসছে। কোথায় হারিয়ে যাচ্ছি আমি জানি না সত্যিই জানি না।জানব কি করে সব টার সাথেই যে নতুনভাবে পরিচিত হচ্ছি আমি।নতুন ভাবে।আহানের কেমন লাগছে আমি জানি না।তখনি আহানের গলা
–কি মিষ্টি তুই!এতো মিষ্টি ঠোঁট নিয়ে কেউ একটা ছেলের পাশে এমন নিশ্চিন্তে ঘুমায়?ভুল করে ফেলি যদি? এই ভুলের কিন্তু শাস্তি হয় না
এই বলেই খানিকটা হাসলেন।
আসলেই আহান আমি নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে নেই ঠিকি কিন্তু ঘুমের ভান ধরে আছি নইলে আপনিই আমার থেকে চরম বিরক্তিতে পরে যাবেন। এতো শক্ত কথার পিছনে আপনার আদর মাখা গলাটা আমাকে শুনাতে চান না তা আমি বুঝে গেছি।
আমার ঠোঁট ধরে রীতিমতো টানাটানি শুরু করে দিয়েছে।কি করছে এগুলা।আহান আবার বলছে
–আমি পারছি না আমার ভুলটা করতে মন চাচ্ছে ইচ্ছে।তুই জানলে কি হবে উহ। তুই বল কোন ছেলে পারে এই অবস্থায় সাধু হয়ে থাকতে সে হিসেবে আমার চাওয়া সামান্য,, খুবই
কি করতে চাইছেন উনি।এবার আমারই বুক ঢিপঢিপ না ঢপঢপ করছে। লজ্জা লাগছে সব লাগছে।কিছু ভুল বলেননি উনি।কিন্তু কি করতে পারে?আবার উনি বলছেন
–এই ভুল একবার করলে যে বার বার করতে ইচ্ছে করবে কিন্তু এমন সুযোগ আমি পাব কই? আবার কিছুটা থেমে বললেন রাতের বেলা চুপি চুপি তোর রুমে আসতেই পারি।বেশি কিছু না এইটুকুন দুষ্টমি করব যেদিন তোকে সবটা বলব খুব করে সরি বলে দেব রাগ করবি না কেমন?এমন ছোয়া এই প্রথম কেমন হবে আমি জানি না। আই আম সো এক্সছাইটেড।তুই তেই যে আমি তোকেই ছুবো সমস্যা কি? আমারই আমানত তুই শুধু আমার।
আবার উনি খিলখিলিয়ে হাসছেন।
আমি তার কথা কান পেতে খুব মনযোগী হয়ে শুনছি কিছু একটা হবে আমার সাথে খুব বুঝতে পারছি খুব।কিন্তু কি হবে? তাই ভাবছি।নিজেকে নিয়ে ভয় পাচ্ছি আরও বেশি।ধরা না খেয়ে যাই।কেন যে ঘুমের ভান ধরতে গেলাম আফসোস করছি খুব করে।
আমার এমন ভাবনার মধ্যেই হঠাৎ করে ঠোঁটে স্পর্শ পেলাম।আকস্মিকতায় চোখ নিজে নিজেই খুলে গেছে।আহানের চোখ তখন বন্ধ। তার প্রত্যেক কাজের মতোই মনযোগের এই কাজটাও।এমনটাই তাকে দেখে মনে হচ্ছে আমার।আর আমি? আমি আমাকেই ভুলে যাচ্ছি এ এক অন্য অনুভূতি। ঠোঁটের স্পর্শ এমন হয়,,,এমন অনুভূতি। নতুন ভাবে এত কিছু কেন শিখাচ্ছে সে আমাকে? এটা বুঝলাম ভালোবাসার মানুষ এর ছোয়া কখনও খারাপ লাগে না প্রথম বারেও না,অনিচ্ছায় হলেও না। আমি এক ধ্যানে তাকিয়ে আছি কতক্ষণ পরে তিনি নিজেকে আমার থেকে সরালেন আমি জানি না।
সে চোখ খুলে আমাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে ছিটকে দূরে সরে গেলেন।আমি ততক্ষণে চোখ বুঝেছি কাজ হবে কি? দেখে ফেলেছেন উনি।
নিচের দিকে তাকিয়ে আছে অপরাধীর মতো। আমি কি করব কি বলবো বুঝতে পারছি না আস্তে আস্তে করে উঠে বসলাম। আজ নিজের বোকামির জন্য এমনটা হলো ।তাই আমি নিচে দিকে তাকিয়ে আছি।
আহান আস্তে করে সরি বললেন।এরপর বললেন ঘুমের অভিনয় করে ঠিক করিস নি।তারপরে ব্যালকুনির দরজা খুলে নিজের ঘরে চলে গেলেন। আমি তাকিয়ে আছি আমার চমক কাটছে না একদম না। আমি ভাবছি এখনো ওটা লিপকিস ছিলো? লিপকিস খেতে এমন হয়?
চলবে,