#চন্দ্ররঙা_প্রেম_২
#পর্বঃ২১
#আর্শিয়া_সেহের
শানদের বাড়িতে হইহই রইরই শুরু হয়ে গেছে। রুশানকে একটু পরেই গায়ে হলুদ ছোঁয়ানো হবে। একটা ছোট হাতার সাদা গেঞ্জি আর লুঙ্গি পরিয়ে গার্ডেনে এনে দাঁড় করিয়েছে রুশানকে। লুঙ্গি আর গেঞ্জির ব্যাপারটা রুশানের বাবা রেজাউল সাহেবই ঠিক করেছেন। তার সময়ে নাকি এভাবেই গায়ে হলুদের পাত্রকে বাইরে আনা হতো। রুশান এই বেশে সকলের মাঝে দাঁড়িয়ে লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে।
গার্ডেন এরিয়া পুরোটাই তলিয়ে আছে মানুষের ভীড়ে। তার মধ্যে অসহায় রুশান। তবে কপাল জোরে আজ সে তনিমের হাত থেকে বেঁচে গেছে। তনিম পুনমের গায়ে হলুদের ব্যাপারটা সামলাচ্ছে। সে এখানে আসলে রুশানকে লজ্জা দিয়েই মেরে ফেলতো আজ।
শান-রুমঝুম,মেহেদী-সিন্থিয়া, মেঘা-রুমেল, প্রান্ত,-শিরীন, তিহান-অ্যামিলিয়া, বিথী, শান্ত সবাই কলাপাতা রঙের শাড়ি-পান্জাবি পড়েছে। এটা তিহানের আইডিয়া ছিলো। বিথী এই প্রথম কোনো শাড়ি অতি যত্নে পড়েছে।সবার থেকে দূরে দূরে থাকছে যেন শাড়িতে কিছু লেগে না যায়। তিহান চলে গেলে এই শাড়ির ভাঁজেই নাহয় তিহানকে খুঁজবে সে।
বাচ্চাদের জন্য হালকা গোলাপি রঙের কাপড় কিনেছে। এতো ভিড়ের মধ্যেও ফুটে রয়েছে বাচ্চাগুলো।
উর্বিন্তা গায়ে হলুদের বেশ কিছুক্ষণ আগেই চলে এসেছে। কেন যেন মনে হয় এই পরিবারের মানুষগুলো তার অনেক আপন । এদের আশেপাশে থাকলে তারও ভালো লাগে। উর্বিন্তাকে দেখেই সাঁঝ দৌড়ে চলে এলো তার কাছে। উর্বিন্তাও মিষ্টি হেঁসে সাঁঝের গাল টেনে দিলো। সাঁঝ এক দৌড়ে বাড়ির মধ্যে চলে গেলো। চাচ্চু বলেছিলো উর্বি আন্টিকে দেখা মাত্রই তাকে খবর দিতে। সাঁঝ একদৌড়ে দোতলায় শান্তর ঘরের সামনে এসে দাঁড়ালো। গলার জোর বাড়িয়ে বললো,
-“এই চাচ্চু,উর্বি আন্টি এসেছে। তাড়াতাড়ি আসো।”
উর্বিন্তা এসেছে শুনেই শান্ত একলাফে উঠে বসলো। খাটের এক কোনায় ফেলে রাখা কলাপাতা রঙের পাঞ্জাবিটা টান দিয়ে নিয়ে শরীরে ঢুকিয়েই লম্বা লম্বা পা ফেলে বেরিয়ে এলো বাইরে।
শান্তকে যেই দেখছে সেই চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে যেন চিড়িয়াখানার কোনো জন্তুকে দেখছে। শান্ত পাত্তা না দিয়ে গার্ডেনে চলে এলো। সাথে সাথেই আশেপাশে উচ্চশব্দে হাঁসি শুরু হলো। শান্ত এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলো সবাই তার দিকে চেয়েই হাসছে। বিরক্তিতে কপাল কুঁচকে এলো তার। এরা নিশ্চয়ই তার মনোযোগ পাওয়ার জন্য হাসছে।
-“কি রে শালা,তোর এই অবস্থা ক্যান?”
প্রান্তর কথা কানে আসতেই শান্ত মাথা ঘুরিয়ে তাকালো প্রান্তর দিকে। বিরক্ত গলায় বললো,
-“প্রান্ত ভাই ,তোমারে বলছি না আমারে শালা ফালা ডাকবা না।”
প্রান্ত হেঁসে বললো,
-“সে না হয় বলবো না কিন্তু তোর নিচের দিকে এ অবস্থা ক্যান? উপরে ফিটফাট,নিচের দিকে সদরঘাট।”
শান্ত সাথে সাথেই নিচের দিকে তাকালো। সে থ্রিকোয়ার্টার প্যান্টের সাথে পান্জাবি পড়ে বেরিয়ে এসেছে। এই অবস্থায় সকলে তাকে দেখলো। কে জানে ওই উর্বিটাও দেখে নিলো কিনা। আসলেই বাবা ঠিক বলে,সে আস্ত একটা হাদা।
প্রান্ত একটু এগিয়ে এসে বললো,
-“উর্বিন্তা দেখেনি। তাড়াতাড়ি চেন্জ করে আয়।”
শান্ত চকচকে চোখে চেয়ে বললো,
-“সত্যিই দেখেনি?”
-“সত্যিই দেখেনি। গায়ে হলুদ শুরু হয়েছে,সে ওখানে দাঁড়িয়ে আছে। তবে আরো কিছুক্ষণ দাঁড়ালে দেখে ফেলতে পারে।”
শান্ত ডানে বায়ে না তাকিয়েই দিলো দৌড়।
মিনিট দশেক পর আবার বেরিয়ে এলো প্যান্ট পড়ে। সোজা হেঁটে গায়ে হলুদের জন্য বরাদ্দকৃত জায়গায় চলে গেলো। উর্বিন্তা হাঁসি মুখে রুমঝুমের পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
গায়ে হলুদ প্রায় শেষের পথে। রুশানকে হলুদ মাখাচ্ছে আর মাথায় পানি ঢালছে। বেচারার করুন অবস্থা। শান্ত লাফিয়ে গিয়ে এক খাবলা হলুদ তুলে নিয়ে রুশানের লুঙ্গির ফাঁকে হাত গলিয়ে হাঁটু অবধি মাখিয়ে দিলো। প্রায় সাথে সাথেই পেছন থেকে কেউ একজন কলসি ভর্তি পানি ঢেলে দিলো যার অর্ধেক পড়লো রুশানের গায়ে আর বাকি অর্ধেক এসে শান্তর গায়ে পড়লো। আশেপাশের খানিকটা জায়গা জুড়ে কাঁদা কাঁদা হয়ে গেছে। শান্তকে ভিজে যেতে দেখে উর্বিন্তা শব্দ করে হেঁসে দিলো। শান্ত ছোট ছোট চোখে উর্বিন্তার দিকে তাকালো। তার এমন দশা দেখে এই মেয়ে হাসছে? হলুদের প্লেট থেকে মুঠো পুরে হলুদ তুলে নিলো শান্ত। পা বাড়ালো উর্বিন্তার দিকে। কিন্তু উর্বিন্তা পর্যন্ত আর যাওয়া হলো না। তার আগেই কাদাপানিতে পিছলে দাড়াম করে পড়লো গার্ডেনে। লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে শান্তর। ওদিকে উর্বিন্তার হাঁসি বেড়েই চলেছে। তাল মিলাচ্ছে আরো অনেকে। শান্তর মনে হচ্ছে আজ তার জন্য নাস্তানাবুদ দিবস।
…
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে। প্রকৃতি এখন বেশ শান্ত। পুনম দুই হাতে মেহেদি লাগিয়ে বসে আছে প্রিয়ার পাশে। পিহু ঘরের এক সাইডে রাখা সিঙ্গেল সোফায় বসে জোর করে তনিমের হাতের তালুতে মেহেদি লাগিয়ে দিচ্ছে। পুনম তা দেখে ঠোঁট চেপে হাসছে। তনিমকে এ অবস্থা থেকে উদ্ধার করলো রুশানের কল। রুশানকে কল করতে দেখে তনিম পিহুর কাছ থেকে উঠে গেলো। পিহুও আর বাধ সাধেনি। তনিম বাইরে গিয়ে কল রিসিভ করলো।
-“হ্যালো স্যার ।”
-“তনিম একটু দেখা করতে পারবে? খুব দরকার।”
তনিম ঘাবড়ে গেলো খানিকটা। সময় নিয়ে
বললো,
-“কেন স্যার? কোনো সমস্যা?”
রুশান ব্যস্ত কন্ঠে বললো,
-“আহা কোনো সমস্যা না। এসো তুমি।”
তনিম সময় ব্যয় না করে বেরিয়ে পড়লো।
-“স্যার কি হয়েছে? কোনো সমস্যা?”
তনিমের কন্ঠ পেয়ে রুশান পেছনে তাকালো। মৃদু হেঁসে বললো,
-“হুম সমস্যা কিন্তু সেটা আমার না,তোমার।”
তনিম বুঝতে না পেরে বললো,
-“মানে? আমার কেমন সমস্যা?”
রুশান এগিয়ে এসে বললো,
-“আমি আজ রাতে পুনমের সাথে দেখা করতে চাই ওকে না জানিয়ে। ব্যাবস্থা করে দাও।”
-“ওকে না জানিয়ে কিভাবে ব্যবস্থা করবো স্যার?”
-“আমি কি জানি? আচ্ছা ওর অগোচরে ওর রুমে যাওয়ার ব্যবস্থা করো,তাতেই হবে।”
-“আর একটা দিন ধৈর্য্য ধরতে পারছেন না স্যার? আজকেই কেন যেতে হবে?”
রুশান চোখ পাকিয়ে তাকালো। দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
-“বড্ড বেশি বুঝো তুমি। যা বলেছি তাই করো।”
তনিম চুপসানো গলায় বললো,
-“আচ্ছা স্যার। চলুন আমার সাথে। দেখি কি করা যায়।”
তনিম আর রুশান যখন পুনমদের বাড়িতে পৌঁছালো তখন সবাই খাওয়া দাওয়ার জন্য ডাইনিং রুমে চলে গেছে। এই সুযোগেই তনিম আর রুশান বাড়িতে ঢুকে পড়লো। পিহু রান্নাঘর থেকে তরকারি নেওয়ার সময় দু’জনকে স্পষ্ট দেখলেও কোনো কথা বললো না। শুধু শুধু লজ্জা দিয়ে লাভ কি?
রুশান পুনমের ঘরের এক কর্ণারে গিয়ে ঘাপটি মেরে বসে রইলো। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই হাজির হলো মশা বাবাজিরা। বেচারা রুশান চুপচাপ তাদের দাঁতের ক্যালানি হজম করছে।
-“এতো ধীরে খাও কেন শালিকা? একটু তাড়াতাড়ি খেয়ে রুমে গিয়ে ঘুমাও। কাল তোমার বিয়ে না?”
পুনম চোখমুখ কুঁচকে তনিমের দিকে তাকালো। জহুরী চোখে পরখ করে বললো,
-“হঠাৎ কি হলো তনিম ভাই? আমার বিয়ে তার জন্য তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে কেন? তুমিও তাড়াতাড়ি ঘুমিয়েছিলে নাকি?”
-“আরে বেশি কথা না বলে খাও তো।”
পিহু খাবার বেড়ে দিচ্ছে আর মিটমিট করে হাসছে। রুশানের প্রতি তার ভালোবাসাটা এখন আর নেই। সবটাই সম্মান আর শ্রদ্ধা। ভালোবাসাটা এখন তার স্বামীর জন্যই বরাদ্দ।
তনিমের সুরে তাল দিয়ে পিহুও বললো,
-“কথা না বাড়িয়ে খা। এখনো অনেক লোক খেতে বাকি।”
পুনম আর কথা না বাড়িয়ে চুপচাপ খেয়ে রুমে চলে গেলো। দরজা বন্ধ করে লাইট অফ করে খাটের দিকে এগুতেই কেউ একজন পেছন থেকে জাপ্টে ধরলো তাকে। আতংক যেন রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়লো পুনমের। চিৎকার করতে যাবে তখনই চাপা স্বরে রুশান বললো,
-“চিৎকার করো না,আমি রুশান। তোমার বর।”
এর আগে কখনই রুশান তাকে এভাবে ধরেনি। তাই এই স্পর্শ চিনতে সময় লেগেছে পিহুর। রুশানের বুকের সাথে পিঠ ঠেকিয়ে নিচু কন্ঠে বললো,
-“তুমি এই সময়ে এসেছো কেন? জানো কত ভয় পেয়েছি?”
-“জানি ভয় পেয়েছো। কিন্তু এরপর থেকে আর পাবে না। কারন তোমাকে জাপ্টে ধরার অধিকার শুধু আমার।”
পুনম হাসলো। রুশানের হাত পুনমের গাল ছুঁয়ে ধীরে ধীরে গলার কাছে নেমে এলো। পিহু নড়াচড়ার শক্তি হারাচ্ছে ধীরে ধীরে। গলা ছুঁইয়ে হাত সরিয়ে নিলো রুশান। পুনম স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে তখনই বুঝতে পারলো রুশানের হাত তার কোমর সহ পুরো পেটে বিচরন করছে। নিঃশ্বাস আটকে এলো পুনমের। এই প্রথম এতো কাছ থেকে প্রিয় মানুষের গভীর ছোঁয়া অনুভব করছে সে। পুরো শরীরে শিরশিরানি বয়ে যাচ্ছে।
হঠাৎ করেই পুরো বাড়ি অন্ধকার হয়ে গেলো। রুশান বিরক্তি প্রকাশ করে বললো,
-“এই তনিমটা সবকিছুতে ব্যস্ততা দেখায়।”
পুনমের কানের কাছে মুখ নিয়ে এসে বললো,
-“কাল দেখা হবে প্রিয়তমা। বধুসাজে আমার অপেক্ষা করো।”
বলেই কানের লতিতে চুমু খেয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে গেলো। পুনমের আটকে রাখা নিঃশ্বাসটা এবার বের হলো। আরেকটুখানি এই ছেলের বাহুবন্ধনে আটকা থাকলে সে বুঝি আজ মরেই যেত। রুশান বেরিয়ে যাওয়ার মিনিট পরই ইলেকট্রিসিটি চলে এলো। পুনমের মুখে ,গলায় আর পেটে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। দৌড়ে গিয়ে দরজা আটকে লাইট জ্বাললো পুনম। আয়নার সামনে দাঁড়াতেই চক্ষু চড়কগাছ।
তার গাল,গলা আর পুরো পেট জুড়ে হলুদে মাখামাখি। হলুদ মাখানোর জন্যই তাহলে এসেছিলো পাগলটা। মুচকি হেঁসে পেছন ঘুরতেই চোখ পড়লো তার বিছানার উপর। এগিয়ে গিয়ে দেখলো একটা আংটির ফাঁকে একটা রঙিন কাগজ মুড়িয়ে ঢোকানো রয়েছে। আংটির মধ্যে থেকে কাগজ বের করে খুললো পুনম। রুশানের হাতের লেখা চিনতে সময় লাগলো না তার।
কাগজটিতে বেশ সুন্দর করে লেখা রয়েছে,
” আমার অনেকদিনের ইচ্ছে ছিলো নিজ হাতে বউকে হলুদ মাখাবো। সেই ইচ্ছে পূরণ করতেই তোমাকে একটু ভয় দেখালাম। আশা করি ভয় কাটানোর জন্য মেডিসিনের ডোজটাও মোটামুটি ভালোই হয়েছে। এই আংটিটা তোমার হলুদের উপহার। ভালোবাসি তোমাকে।”
চিঠিটা পড়া শেষ হওয়ার পরও সেদিকে তাকিয়ে রইলো পুনম। এখনো রুশানের ছোঁয়া অনুভব করতে পারছে সে। কি যেন একটা ছিলো সেই ছোঁয়ায়। পুনম নিজ ভাষায় সেটাকে ‘মাতাল করা ছোঁয়া’ নামে আখ্যায়িত করলো।
রাত প্রায় বারোটা বেজে গেলো মাহমুদ পরিবারের খাওয়া-দাওয়া শেষ হতে। রুশানকে নিয়ে একদফা হাসাহাসিও করলো সবাই। বেচারা লুকিয়ে লুকিয়ে বউকে হলুদ মাখাতে গিয়ে নিজের পাঞ্জাবিতেও ছোপ ছোপ হলুদ লাগিয়ে ফেলেছে। তা নিয়েই সবার এতো হাসাহাসি। রুশান তাদের হাসির জোয়ারে ভেসেই দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে শান্তর রুমে ঢুকলো। দরজা আটকে দিয়ে দেখলো শান্ত উপুড় হয়ে বালিশে মুখ গুজে শুয়ে আছে। রুশান এগিয়ে এসে উঁচু কন্ঠে বললো,
-“কি রে শান্ত, কাদতেছিস নাকি? এতো কিসের কষ্ট রে তোর?”
শান্ত ফোলা মুখটা তুলে হেচকি তুলে বললো,
-“তোমার তো বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, তুমি কিভাবে বুঝবা আমার কষ্ট? আমার মতো প্রেমিকার সামনে নাস্তানাবুদ হইছো কখনো? হলে বুঝতে আমার কষ্টটা।”
বলেই আবার বালিশে মুখ গুজলো শান্ত। আজকের পরিস্থিতি বেশ গরম সেটা বুঝতে পারলো রুশান। তাই বেশি জল ঘোলা না করে চুপচাপ শান্তর পাশে শুয়ে পড়লো।
.
মাঝরাতেই বুকের মধ্যে থেকেই কেঁদে উঠলো বিন্দু। বিথী ধড়পড়িয়ে ঘুম থেকে উঠে গেলো। মেয়েকে বুকে টেনে নিয়ে বললো,
-“কি হয়েছে বিন্দু? কাঁদছিস কেন মা?”
বিন্দু চোখ বন্ধ করে কাঁদছে আর অস্পষ্ট ভাবে আম্মু আম্মু বলে চিৎকার করছে। বিথী বুকের সাথে চেপে ধরলো মেয়েকে। তবুও শান্ত হচ্ছে না মেয়েটা। হুট করেই বুকটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে বিথীর। মনে হচ্ছে আর কখনোই মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমানো হবে না তার।
চলবে…….
(বিয়ে তো কালকে। আজকে যে যেখানে পারেন ঘুমিয়ে পড়েন। আগামীকাল বিয়ে খেয়ে বাড়ি চলে যাবেন।
মাত্রই লেখা শেষ করলাম। রি-চেক দেইনি। হয়তো কয়েকটা ভুল থাকতে পারে। ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন সবাই।)