বসন্তের_ফুল🌺পার্ট ৪৭

0
1845

বসন্তের_ফুল🌺🌺
#তারিন_জান্নাত
#পার্ট৪৭

সূর্য্যি মামা জাগার পূর্বে অভ্র জেগে যায়।চোখ মেলে নিজের অবস্থান দেখে নেই।সেই সোফাতেই রয়েছে এখনো।প্রেমা যাওয়ার পর এখানেই ঘুমিয়ে পড়েছে অভ্র। তাতে কী? ঘুমটা পরিপূর্ণ হয়ে হলো এই ঢের।

চোখ কচলিয়ে একবার সময় দেখে নেয় একবার। সকালের শাওয়ার আর নামাজ কোনটাই অভ্র ছুটতে দেয় না। আদায় করে নেয়। ঘড়িতে ছয়টা বাজার সাথে সাথে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালো।

পৃথিবীর বুকের সবচেয়ে নজর কাড়া এবং মু্গ্ধকর দৃশ্য দেখা যায় ভোর-সকলে। আঁচল থেকে সৈন্দ্যর্য যেনো উঁপচে পরছে। অভ্র বাঁ দিকে তাকাল। সচিকত চোখে তাকিয়ে রয় বাঁ দিকে।

মাথা উরনা দিয়ে প্রেমাও দাঁড়িয়ে রয়েছে। সামনে নদীর দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ। উঁকিঝুঁকি মারছে। ঠোঁট টেনে হাসে অভ্র। যাইহোক এ বুকের ধুকপুকানি সে আজো অবধি আঁটকাতে পারেনি। যা প্রেমার উপস্থিতিতে বেড়ে যায়।
আংশিক দূরত্ব।তাতেও অভ্র তার বুকের ধুকপুকানিকে কাবু করতে পারছে না।
মাথায় শয়তানি বুদ্ধি আসে অভ্রের। মৃদু হেসে রুমে গিয়ে একটা বল নিয়ে আসে।
বলটা প্রেমাকে নিশানা করে ছুঁড়ে মারে।

পেঁছন ফিরতেই পিঠে ব্যাথা অনুভব করে।প্রেমা পিঠে হাত বুলাতে বুলাতে দ্রুত ফিরে তাকাল। তখনি অভ্রের হাস্যজ্বল মুখে প্রেমার চোখ আঁটকে যায়। অজান্তে প্রেমার ঠোঁটেও মুক্তার হাসি ঝিলিক দিয়ে উঠে।

অভ্রকে দেখে প্রেমার ব্যাথাটা নিমিষেই গায়েব হয়ে যায়। অদ্ভুদ শিহরন বয়ে যায় শরীর বেয়ে।
প্রেমার চাহনি মধ্যে অভ্র কিউট করে বলে উঠলো, ‘গুড মর্নিং ডিয়ার,’

প্রতিউত্তরে প্রেমা শুধু হাসে।ঠোঁট আলগাই হচ্ছে না তার। যার জন্য সে নিরুত্তর থাকে। কোন মতে ঠোঁটের হাসিটা প্রসারিত করে মাথা নাড়ায়।

‘- বলটা ছুঁড়ে মারো।
অভ্রের কথায় অন্যমনস্ক হয়ে বলটার দৃষ্টি ছুঁড়ে। সে বুঝতেই পারেনি অভ্র বল ছুঁড়েছিলে বলেই সে পিঠে ব্যাথাটা পেয়েছিলো। বলটা হাতে নিয়ে দাড়াল। অভ্রের দিকে ছুঁরে মারতেই
বলটা ক্যাচ ধরে ফেলে।

‘ আমি আবারও ছুঁড়ে মারছি,যদি তোমার গায়ে টাচ করে তাহলে তুমি হারবে,আর যদি টাচ না করে তুমি জিতবে, হুম?(অভ্র)

প্রেমাও শুনেও বুঝতে পারেনি,মৃদু কন্ঠে বলে,’কী??
প্রেমাকে উত্তরের অপেক্ষায় রেখে অভ্র বলটা ছুঁড়ে মারে। প্রেমা দ্রুত সরে গিয়ে চকিত দৃষ্টিতে তাকাল। বল ছুঁড়াছুঁড়িতে প্রেমা মজা পেতে শুরু করে। সেও বলটা কুড়িয়ে দ্রুত গতিতে বলটা ছুঁড়ে। মিস হয়ে যায়, তাতে প্রেমা কিঞ্চিৎ গাল বাঁকা করে,আর অভ্র হাসছে। অভ্র পুনরায় বল ছুঁড়ে বলল, ‘আমিই জিতবো,তুমি হারবে।

প্রেমাও হেসে সরে দাঁড়ায়, এবং যার ফলে মিস হয়ে যায়, হাসতে হাসতে বলে উঠলো, ‘আমিই জিতবো।

দু’জনে বল ছুঁড়াছুঁড়ির চূরান্ত মুহুর্তে অভ্র ইচ্ছেকৃত ভাবে হেরে যায়।এবং প্রেমাকে জিতিয়ে দেয়।প্রেমা খুশী মুহূর্তে পাহাড়ের তুঙ্গে পৌঁছায়।
এটাই দেখতে চেয়েছিলো অভ্র।প্রেমার হাসিমাখা মুখটা তাঁকে বিষণ আকৃষ্ট করে। রেলিং হাত ঠেকিয়ে দু’গালে রেখে আমোদিত স্বরে অভ্র প্রেমার দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে, ‘কী চাই বলো? যা চাই তাই দিবো। চাঁদ,তারা,সূর্য,এসব বাদে।

প্রেমা শব্দ করে হাসে।সে কখনেই এসব চাইবে না।তাই প্রেমা বলে উঠে, ‘এগুলা ন্যাকারা চাই,আমি এমন ন্যাকি না।

অভ্র রসিকতাপূর্ণ স্বরে বলে,
-‘আচ্ছা,কিন্তু ঢঙ তো কম করো না। বরং বেশিই করে।

হালকা কড়া কন্ঠে প্রেমা বলে উঠে,
-‘অভ্র!

-আচ্ছা বলো কী চাও? (অভ্র)

অভ্রের প্রশ্নে প্রেমা কিছুসময় মৌনতা পালন করে। কয়েক সেকেন্ড পার হওয়ার ভ্রু উঁচিয়ে আকাশের দিকে তাকাল, এবং আশেপাশের পরিবেশটা দেখে নিলো। তারপর গলা হালকা ঝেড়ে নরম স্বরে বলল,

-আমি ওই ‘পদ্মবিল’ যেতে চাই,প্লিজ না করো না।দেখো আকাশটা মেঘলা হয়ে আছে। সঙ্গে কালো মেঘের আবরণ। বৃষ্টি পড়ার সম্ভাবনা বেশি।আমি পদ্মবিল যেতে চাই। সঙ্গে একটা নৌকাও থাকবে।আর তুমি হবে আমার ‘মাঝি’
রাজি তো?

প্রেমার কোমল স্বরের ধ্বনিতে অভ্র মাতোয়ারা প্রায়। নিজেকে অনেক ভাগ্যমান মনে হচ্ছে তাঁর। প্রেমা আর ওর মধ্যে অনেক মিল।অনেক!

আর যাই হোক,প্রেমার মধ্যে অন্যকোন চাওয়া নেই।সব সীমিত। একদিন এই সীমিত চাওয়ার মধ্যে দিয়ে এক শক্ত বাঁধনে আবদ্ধ হবে।

-‘ ঠিক আছে,রেডি হয়ে নিচে এসো।

প্রেমা হেসে মাথা নাড়ায়। অভ্রের দিকে প্লেইন কিস ছুঁড়ে মারে, এবং দ্রুত রুমে চলে যায়।কাজটা করে প্রেমা নিজেই লজ্জায় মরিমরি অবস্থা।ভাবছে কতো নির্লজ্জ হয়ে গেছে।প্রেমা মনেমনে বলে উঠে,’সব দোষ অভ্রের।সেই তো আমাকে পাগল করে দিয়েছে।’
দু’হাত দ্বারা মুখ ঢেকে ফেলে।

প্রেমার আচরণে অভ্র গভীর শ্বাস টেনে হাসে। এ মেয়েটার সেল্ফ কন্ট্রোল ও নেই,
নিজ মনের সাথে বলে উঠে অভ্র।
___________

নাস্তা করে গল্প করছিলো চারজনে মিলে।তার মধ্যেই জেরিনের ফোনটা বেজে উঠে। তাত্ক্ষণিক জেরিন অভ্রের দিকে তাকাল।ফোন রিসিভ হচ্ছে দেখে অভ্র জেরিনের দিকে তাকাল।জিজ্ঞেস করল,’ধরছিস না কেন?’

জেরিন প্রেমার দিকে দৃষ্টি রেখে বলল, ‘আংকেল! মানে প্রেমা আপুর আব্বু ফোন দিয়েছে।
প্রেমাও সচকিত দৃষ্টিতে জেরিনের দিকে তাকাল, এ কয়দিনে বাড়ির কথা তার মনেও পড়েনি। কতোটা স্বার্থপর সে। মনেমনে ভাবে।আবার নিজ মনে বলে উঠে, ‘পৃথিবীর সকল মানুষই কোন না কোন দিক দিয়ে স্বার্থপর থাকেই। নিঃস্বার্থ সব বিলিন করে দেওয়া মানুষটি মধ্যেও স্বার্থ থাকে। এক চিলতে সুখের!

প্রেমা চোখ চিকচিক করে উঠে,তাকে যদি চলে যেতে বলে।অভ্র তো ওর অভ্যাস হয়ে গেছে।যাকে দু’দন্ড না দেখলে চোখ জ্বলে।বুক কাঁপে,চিনচিন ব্যাথা করে। গভীর শ্বাস টেনে অভ্রের দিকে তাকাল, অভ্র তখন জেরিনকে ইশারায় বলছিলে যাতে ফোনটা ধরে। সাথে একটা মেসেজও দেয়,যাতে লেখা রয়েছে কী বলতে হবে।

-আসসালামু আলাইকুম!
-ওয়ালাইকুম আসসালাম,মা তুমি কী প্রেমার বান্ধবী? প্রেমা তোমার ওখানে?
প্রেমার বাবার প্রশ্নে জেরিন অভ্রের দিকে তাকাল, এরপর বলে,’হ্যাঁ আংকেল প্রেমা এখানেই আছে।’আপনি কথা বলবেন?

-‘হ্যাঁ,হ্যাঁ মা কষ্ট করে প্রেমাকে একটু ফোনটা দাও। (প্রেমার বাবা)

জেরিন প্রেমার দিকে ফোন এগিয়ে দেয়,ফোনটা হাতে নিয়ে অন্যদিকে পদাপর্ন করে প্রেমা।

প্রায় বিশ মিনিট পর মুখ গোমড়া করে ফিরে সোফায় বসল।প্রেমার মুখ দেখে অভ্র দ্রুত প্রেমার পাশে এসে বসে। জিজ্ঞেস করে,’কী হয়েছে প্রেমা? চোখমুখ এমন দেখাচ্ছে কেন?
প্রেমা ভাঙা গলায় জবাব দেয়,
-কাল চলে যেতে বলেছে,তবে গ্রামে নয়।বাবা আলাদা ফ্ল্যাট কিনেছেন।সেখানে ফিরে যেতে বলেছে। তোমাকে আর জেরিনকে সহ দাওয়াত দিয়েছে।
প্রেমার কথায় অভ্র কয়েক সেকেন্ড অবাক হয়ে থাকে,আবার হুট করে হেসে দেয়,এবং বলে,
-‘ তো কী হয়েছে,তোমার বিয়ে তো হয়নি,যে শশুড় বাড়ি যাবে।অবশ্যই তোমার মা-বাবা যেখানে আছে সেখানেই তোমাকে ফিরতে হবে।
এতে মন খারাপের কী আছে?

-‘আমার মন খারাপের কারণটাও বুঝছে না,ছেলেটা! এমনি সব বুঝে। চাপা স্বরে কথাটা বলে মাঝখান থেকে উঠে রুমে চলে যায় প্রেমা।

অভ্র প্রেমার মন খারাপের আগা-গোড়া সব বুঝতে পেরেছে। শুধু চুপ থাকে। একটু একা থাকা দরকার প্রেমার।নিজ থেকে মনকে বুঝাতে না পারলে অন্য কারো কথায় মনকে সহজে বুঝ দেওয়া যায় না। উপরের দিকে তাকিয়ে মৃদু শ্বাস ছাড়ে অভ্র।
______________

এক ঘন্টা পর প্রেমার দরজার সামনে এসে দাড়াল অভ্র। রুমে ঢোকে প্রেমাকে পায়নি।তাই সোফায় বসে অপেক্ষা করতে শুরু করে।আরো কিছুক্ষণ বাদে প্রেমা রুমে আসে।চোখেমুখে ঘাম।যেনো কোন কাজ করে এসেছে।

প্রেমা অভ্রকে খেয়াল করেনি,উরনা রেখে ওয়াসরুমে যাবে,এমন সময় অভ্র বলে উঠে,
-উরনা সাথে নিয়ে গেলে কী ক্ষতি বুঝিনা।

হঠাৎ অভ্রের কন্ঠ শুনে চমকে তাকাল প্রেমা।সোফায় বসে অভ্র মিটিমিটি হাসছে। তবে ফোনের দিকে চোখ রেখে।দ্রুত উরনা পরে নিয়ে ব্যস্ত স্বরে প্রেমা জিজ্ঞেস করে,
‘তুমি এখানে?
প্রমার অযুক্তিকর প্রশ্নে বিরক্তিতে মুখ কুঁচকালে অভ্র। সে এখানে থাকবে না তো কে থাকবে। তাই অভ্র তীক্ষ্ণ স্বরে বলে, ‘ যেখানে যাচ্ছো যাও,আর প্যাকেটে যেটা আছে সেটা পড়ে তারপর এসো।
প্রেমা ভ্রু কুঁচিত করে তাকিয়ে থাকে,কিন্তু অভ্র তাকায়নি,সে ফোনে ব্যস্ত।কপট রাগ নিয়ে প্রেমাও বিড়বিড় করে কিছু বলে ওয়াসরুমে ঢোকে।প্রেমা যেতেই অভ্র হেসে উঠে। ওয়াসরুমের দরজার দিকে একটু সময়ের জন্য তাকিয়ে উঠে দাঁড়ায় অভ্র।রুম থেকে বের হয়ে দরজাটা বাইরে থেকে লকড করে দিয়ে,দাড়িয়ে থাকে। যেনো পাহারাদার সে।

গোসল করার পর প্রেমার নজরে আসে একটা প্যাকেট। হাতে নিয়ে খোলে দেখলো।ব্লাউজ, ফেটিকোট,এবং একটা শাড়ি।হালকা গোলাপি এবং সাদা রং মিশ্রিত। এসব দেখেই হেসে উঠে প্রেমা।অভ্র ছাড়া কে দিবে এসব।
ভেজা অবস্থায় দরজা খোলে বাইরে সোফার দিকে উঁকি দিলো। অভ্র নেই,দেখেই স্বস্তির শ্বাস নেয়। মৃদু পা টিপে দরজার কাছে গিয়ে দরজাটা ভেতর থেকে লক করে।
শব্দটা অভ্রের কানে আসতেই ঘুরে দরজার দিকে তাকাল।হালকা হেসে লক খুলে দিয়ে নিজের রুমে চলে যায় সে।

প্রেমা শাড়ি পড়ে চুল খোঁপা করে আয়না বার বার নিজেকে দেখছে। লজ্জাই মিঁইয়েও যাচ্ছে।
অভ্র এভাবে দেখলে ওকে কী বলবে?

ফোনের মেসেজে আসে অভ্রের থেকে,
-শেষ হলে নিচে নেমে বাইরে চলে এসো।ডিয়ার!

এতুটুক পড়তেই প্রেমার শরীরের পশম দাড়িয়ে যায়।কী মারাত্মক! আত্মা কেঁপে উঠে কেন বারেবারে?

শেষ বার আবারো আয়নায় নিজেকে একবার দেখে নিলো।অতঃপর সোজা নেমে অভ্রের সামনে এসে দাড়াল। হাতে একটা সবুজ থলে।

অভ্র প্রেমাকে দেখে থমকে যায়।তবে সেটা ভেতরেই গেঁথে রাখে। প্রেমাকে বুঝতে না দিয়ে বলল,’হাতে কী?

প্রেমা দাঁত বের করে হেসে বলল, ‘বিরিয়ানি’ নৌকাতে বসে খাবো।
প্রেমার কথায় হাসে অভ্র। তারপর বাইকে উঠে প্রেমাকে উঠতে ইশারা করে। প্রেমার মনটা নিমিষেই খারাপ হয়ে যায়। শাড়ি পড়তে বলল,পড়েছে, তাও একটু প্রশংসা করলো না।ভালো বা খারাপ। প্রেমা ভাবে একটু জিজ্ঞেস করবে,পরক্ষণে নিজেকে সামলে নেয়।যদি বেহায়া ভাবে তো?

– প্রেমা,আসো!
ভাবনা ভাঙে প্রেমার।অভ্রের দিকে এক পলক চেয়ে,বাইকে উঠে বসে।বিষণ মন খারাপ করে। অভ্র বাইকে স্টার্ট দেওয়ার আগে ঘাঁড় বাঁকা করে প্রেমার দিকে তাকাল,প্রেমার সাথে চোখাচোখি হয়ে যায়। প্রেমা চোখ নামাতে নিলে,অভ্র প্রেমার মুখে ফুঁ দেয়।

মৃদু কেঁপে উঠে প্রেমা।অভ্রের ঘাঁড় খামছে ধরতে গিয়েও, থেমে যায়।উফ্ কী যে বেসামাল আমি। নিজেকে বলল প্রেমা।প্রেমার থেকে চোখ সরিয়ে অভ্র হাসে।

বাইক স্টার্ট দিয়ে অনেকটা রাস্তা পেরিয়ে চলে আসে।বড় রাস্তার মোড়ে উঠে,মানুষ একদম কম এই রাস্তায়। তাই কোন জনযাট ছাড়াই বাইক চালানো যায়। আরো কিছুদূর যেতেই বামদিকে রাস্তার প্রবেশ করে।
আরেকটু যেতেই অভ্রের খটকা লাগে। কেমন যেনো অদ্ভুদ লাগছিলো।মনে হচ্ছে কেউ ফলো করছে। কিঞ্চিৎ ঘাঁরটাকে বাঁকাল।ঠিক তাই যেটা সন্দেহ করেছিলো সেটায়।

মাঝাপথে অভ্র বাইকটা থামিয়ে ফেলে,পেঁছনে বাইকে থাকা দু’জন খুব সাবধানে অভ্রকে ক্রস করে চলে যায়। তা দেখে অভ্র বাঁকা হাসে,মনেমনে বলল,
যাই করো না করো না কেন? আমাকে ধরা সহজ না।
বলেই বাইকটা পুনরায় বের হয়ে যায়,এবং রাস্তা দিয়ে অভ্রের নানার বাড়ির কাছে আসে,বাইকটা সেখানে রেখেই পেঁছনের রাস্তা দিয়েই ‘পদ্মবিলে’ চলে যায়।
আসার পথে প্রেমার প্রশ্নের কবলে পড়তে হয় তাঁকে। তখন অভ্র এক ধমকেই থামিয়ে দেয়।

পদ্মবিল এসে আচমকা অভ্র ‘আসছি’ বলে কোথায়ও উধাও হয়ে যায়।আধঘন্টা হয়ে যায় তবুও আসেনা। একসময় প্রেমা ভয়ে কেঁদে দেয়। বড় করে কয়েকবার ডাক দিয়েও সারা পায়নি, হঠাৎ………

(চলবে)

আর দুঃখীত দেড়ি হওয়ার জন্য,আশেপাশের অবস্থা দেখে মন ভালে ছিলোনা।
রি-চ্যাক করেনি,ভুল হতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here