#সুপ্ত_ভালোবাসা
#পর্ব_৩৩
#Tahmina_Akther
-ছোট আব্বু, তুমিই বলো আজ ছ’মাস ধরে সে আমেরিকায় পরে আছে।বলেছে ফুপি সুস্থ হলে চলে আসবে। এখন তো ফুপি সুস্থ তাহলে সে আসে না কেন? আজ দশটা দিন ধরে সে না আমার কাছে কল করেছে না আমি কল দিলে রিসিভ করেছে।
কান্না করছে আর নাক টেনে টেনে কথাগুলো বলছে হিয়া।
-কিন্তু, আমাদের সাথে তো দু’দিন আগেও কথা হলো। কিন্তু, তোর সাথে এতদিন ধরে যোগাযোগ করছে না এই ব্যাপারটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে রে মা। অভিক তো এমন নয়!
-তোমাদের অভিক বদলে গিয়েছে। হয়তো তার মনেও নেই হিয়া নামক একটা মানুষ তার জীবনে আছে।তুমি জানো তোমার ছেলে সেখানে যাবার পর কি কান্ড ঘটিয়েছে?
এবার অভিকের মা মুখ খুললেন,
-ও আবার কি করেছে? কিছু করলে তো নোভা বা নিঝুম আমাদের জানাতো।
-কি করে নি সেটা দেখো।
বলেই হিয়া ওর মোবাইল থেকে গ্যালারিতে যেয়ে ছবি বের করে ওর শ্বাশুড়ি দিকে এগিয়ে দিলো।
অভিকের মা মোবাইল হাতে নিয়ে দেখলেন অভিকের গালে একটি মেয়ে চুমু দিচ্ছে।
তিনি এই ছবি দেখে অবাকের চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেলেন। মানে অভিক ওই দেশে যেয়ে এরকম করে বেড়াচ্ছে!
অভিকের মা’কে চুপ থাকতে দেখে হিয়ার মা এগিয়ে এসে উনার হাত থেকে মোবাইল নিয়ে ছবিটি দেখলেন। এরপর, মোবাইল দিলেন উনার স্বামীর হাতে। সর্বশেষ, ছবিটি দেখলেন অভিকের বাবা। রাগে উনার শরীর থরথর করে কাঁপতে লাগলো।রাগ সামলে হিয়াকে জিজ্ঞেস করলো,
-তোকে এই ছবি কে পাঠিয়েছে?
-নোভা কাল রাতে আমার মেসেঞ্জারে দিয়েছে। যদি অন্য কেউ দিতো তাও বিশ্বাস করতাম না কিন্তু নোভা যখন এই ছবি দিয়েছে তারমানে ব্যাপারটা বড় ধরনের ছোট আব্বু। এখন তুমি বলো আমি কি করবো? অভিক কি ভাবে পারলো আমার সাথে বেঈমানী করতে!
হু হু করে কেঁদে উঠলো হিয়া। পরিবারের প্রত্যকেটি সদস্য যেন বাকহারা হয়ে আছে। কি বলে স্বান্তনা দিবে হিয়াকে?
অভিকের বাবা উঠে দাঁড়ালেন এরপর হিয়া সহ সকলকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
-বাড়ির সবাই অভিকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করো।যদি ওর সাথে কারো যোগাযোগ হয় তবে আমাকে জানাবে। আমি ওর মুখ থেকে শুনতে চাই ও কেন এমনটা করলো হিয়ার সাথে?
দ্রুতগতিতে হেঁটে রুম থেকে বেরিয়ে গেলেন অভিকের বাবা। উনার পিছু পিছু অভিকের মা এবং অরিন চলে গেলো।বাকি রইলো হিয়ার বাবা-মা। মেয়ের চোখের পানি যেন তাদের হৃদয়কে রক্তাক্ত করে ফেলছে।
হিয়ার বাবা মেয়ের মাথায় হাত রাখতেই চোখ তুলে তাকালো হিয়া। বাবাকে দেখে যেন কান্না আরো বেড়ে গেলো। মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন,
-মা রে আমরা হয়তো তোর চোখের পানি দেখে কষ্ট পাচ্ছি কিন্তু তোর মনে যে আঘাত লেগেছে তা আমরা কখনোই অনুভব করতে পারবো না। তবুও বলবো মা’রে অভিক এমন ছেলে নয়। সে তোকে পাবার জন্য কি করেছে আমরা সকলেই জানি। তাই বলছি কি ওর সাথে যোগাযোগ করে না হয় ব্যাপারটা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি। তুই কাঁদিস না মা তোর শরীরটা এমনিতেই ভালো যাচ্ছে না এখন যদি এভাবে কাঁদিস তাহলে আরো অসুস্থ হয়ে পড়বি।
আর কাঁদিস না চল আব্বুর সাথে কিছু খেয়ে নে। তোর আম্মু আজকে সব তোর পছন্দের খাবার তৈরি করেছে।
মেয়ের চোখের পানি মুছিয়ে কথাগুলো বললেন ইসমাঈল জামান৷ হিয়ার মা মেয়েকে কি বলে স্বান্তনা দিবেন বুঝতে পারছেন না। মেয়ের কান্না দেখে উনার বুক ফেঁটে কান্না আসছে। কিন্তু, মেয়ের সামনে উনি কাঁদবেন না নয়তো মেয়ে যে আরো ভেঙে পড়বে।
——————
হিয়া তার মায়ের হাতে অল্প ভাত খেলো। এই অল্প ভাত খেতে গিয়ে যেন বারবার গলায় আঁটকে আসছিলো।পানি দিয়ে কোনোভাবে খাবার গিলে নিজের রুমে চলে এলো।
রুমে আসতে আবারও চোখের নোনা পানি বেরিয়ে গাল ভিজে যাচ্ছিলো।এই তো কিছুদিন আগেও অভিকের সাথে কথা বলার একফাঁকে হিয়া বলেছিলো,
-ফুপি তো এখন সুস্থ হচ্ছে। তুমি কিন্তু আর দেরি করো না দেশে ফিরতে। চলে এসো জানো তো তোমায় ছাড়া একটা দিনও ভালো লাগে না। একটা দিন পুরো সময় মিলিয়ে চব্বিশ ঘণ্টা। আগে এই সময় চোখের পলকে চলে যেতো।আর তুমি যাবার পর এই চব্বিশ ঘণ্টা চব্বিশ দিন মনে হয়।
-আরে বোকা আমারও তোমাকে ছাড়া ভালো লাগছে না। এই তো আর কিছুটা দিন এরপর কখনো তোমায় ছেড়ে আর কোথাও যাবো না।
-অভিক?
-হুম, বলো বৌ’টা
-দোয়া করি তুমি যেন জলদি দেশে ফিরে আসতে পারো আর তোমার জন্য একটি সারপ্রাইজ আছে।
-কি সারপ্রাইজ?
-যদি বলে দেই তাহলে সারপ্রাইজ হলো কি ভাবে! আগে এসো তুমি।
পুরনো স্মৃতিচারণে শেষে হিয়া চোখের পানি মুছে বলছে,
-কেন এমনটা করলে অভিক? আমি তো বেশ ছিলাম আমার একাকীত্বের বেদনায়।কেন তুমি আমার জীবনে এসে আমার বদ অভ্যেস হলে?যদি আমারই না ছিলে তবে কেন এত প্রেম,ভালোবাসা আমায় দেখালে।আমার সাথে কেন এমনটা হয় বলতে পারবে কেউ? আহান চলে গেলো আমায় ছেড়ে। যখন সব ভুলে তোমার হাত আঁকড়ে ধরলাম তখন তুমি মাঝপথে এসে আমার হাত ছেড়ে দিলে।কি এমন অপরাধে আজ আমি একাকীত্বের অনূভুতিতে জর্জরিত!
বারবার কথাগুলো বলছিলো আর কান্না করছে এরইমাঝে কখন যে হিয়া ঘুমিয়ে পড়লো!
———————
রাত তখন অনেক গভীর। হিয়া বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। কে যেন আস্তে করে রুমের দরজা খুলে প্রবেশ করলো।শব্দহীন পায়ে হেটে হিয়ার শিয়রে এসে দাঁড়ালো। এরপর,ঝুঁকে গেলো হিয়ার মুখের সামনে।
রুমে কারো উপস্থিতি পেয়ে আমার ঘুম ভেঙে যায় চোখ মেলে তাকাতেই আমার সারা শরীরে হীম শীতল স্রোত বয়ে গেলো।
কে এতরাতে আমার ঘরে আসব?চোর নয়তো নাকি ডাকাত? এরইমাঝে আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো সেই আগুন্তক।হায় আল্লাহ, আমার সাথে উল্টাপাল্টা কিছু করবে না তো!
আমার মুখের উপর ঝুঁকতেই আমি মনে মনে সাহস জুগিয়ে চোখ বন্ধ করে দিলাম এক চিৎকার।
আরেকটা চিৎকার দিবো তার আগেই আমার মুখ চেপে ধরলো সেই আগুন্তক।আমি উুঁ উুৃ করতে লাগলাম ছাড়া পেতে কারণ আমার দম আঁটকে আসছিলো।
দরজা জোরে জোরে বারি মারছে আর আর আমাকে ডাকছে আব্বু, চাচ্চু সহ সবাই। এরইমাঝে আগুন্তক আমার কানে কানে ফিসফিসিয়ে বলছে,
– দিলে তো আমার সব প্লান নষ্ট করে। এই যে ছেড়ে দিচ্ছি আর একটাও চিৎকার দিবে না। বাবারে তোমার চিৎকারে পুরো কানের বারোটা বেজে গেছে আমার। একটুও নড়বে বসে থাকো আমি দরজা খুলে দিচ্ছি।
আমাকে বসিয়ে দিয়ে সে চলে গেলো দরজা খুলতে আর আমি থম মেরে বসে আছি। সে চিরচেনা কন্ঠের মালিক তবে এলো আমার কাছে। চোখের পানিগুলো যেন শত্রু আমার যখন তখন বের হয়ে আসছে।
দরজা খোলার পর হিয়ার রুমে সবাই ঢুকার জন্য পা বাড়াতেই একজনকে দেখে সকলে হতবিহ্বল হয়ে একবার হিয়ার দিকে আরেকবার অভিকের দিকে তাকাচ্ছে।
অভিকের বাবা এগিয়ে এসে সপাটে থাপ্পড় মেরে দিলো অভিকের গালে।
উপস্থিত সকলে আরো একবার হতবিহ্বল হয়ে পড়লো। কারণ, অভিকের বাবা কখনোই অভিকের গায়ে হাত তুলে নি।
অভিক আচমকা ওর বাবার এরকম আচরণে বেশ অবাক হলো।লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে গেলো ওর কারণ সেখানে হিয়ার বাবা-মাও উপস্থিত।
-তুমি আমেরিকায় গিয়েছিলে কেন? তোমার ফুপি অসুস্থ তোমার ভাই সব সামলাতে পারছে না তাকে তুমি হেল্প করতে সেখানে গিয়েছো।কিন্তু, ওখানে যাবার পর কি তুমি ভুলে গেছো যে, বাংলাদেশে তোমার স্ত্রী আছে যাকে তুমি সমাজের নিয়মের বাইরে গিয়ে বিয়ে করছো?কি ভাবে পারলে হিয়াকে ভুলে অন্য নারীকে? ছিহহ আমার বলতেও লজ্জা লাগছে।
কে এই মেয়ে যার জন্য তুমি হিয়ার সাথে বেঈমানি করেছো?
বেশ চিল্লিয়ে কথাগুলো বললেন অভিকের বাবা।
অভিক তার বাবার একটি কথাও বুঝতে পারছে না। কি বলছে ওর বাবা? আবার এখানে কোন নারীর কথা বলছে?না তাকে জানতে হবে কোন নারী কথা শুনে তার বাবা এভাবে ক্ষেপেছে?
-তুমি কার কথা বলছো বাবা? আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
-এত কান্ড করে এখন বলছো বুঝতে পারছো না তাই না! এই যে এই মেয়ে কে যার সাথে তুমি এত ঘনিষ্ঠ হয়ে ছবি তুলেছো?
ছবিটি দেখে অভিক বোকা বনে গেলো। এই কাজটা করলো কে? কে পাঠালো এই ছবি তার পরিবারের কাছে?
-বাবা, এই ছবিটি কে পাঠিয়েছে?
-নোভা গতকাল রাতে আমার মেসেঞ্জারের দিয়েছে। নিশ্চয়ই নোভা আমাদের মিথ্যে কিছু দেখায় নি?
পিছন থেকে হিয়া অভিককে উদ্দশ্যে করে বললো।
-নোভা তোমাকে এবং সবাইকে মিথ্যে কিছু দেখিয়েছে।আমি প্রমান করতে পারবো এই নারীর সাথে আমার কোনো খারাপ সম্পর্ক নেই।
-তাহলে করো প্রমান আমরাও দেখি তুমি কতটা নির্দোষ?
অভিক অবাক হয়ে তার ফুলের দিকে তাকালো। তার ফুল তাকে এতটা অবিশ্বাস করে!দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল বের করে নিঝুমকে কল করলো।
দু’বার রিং হতেই কল রিসিভ করলো নিঝুম। অভিক বললো,
-হ্যালো নিঝুম ভাইয়া। বাসায় আছো?
-হ্যা বাসায় আছি। তুই কি পৌঁছে গেছিস?
-হ্যা, পৌঁছালাম মাত্র।নোভা কোথায় ওকে একটু দাও তো কথা আছে?
নিঝুম কয়েকবার ডাক দিতেই নোভা এসে মোবাইলটা কানে ধরলো।
-হ্যালো, হ্যা অভিক। কখন গেলি?
-এই তো একটু আগে। তুই গতকাল কার ছবি দিয়েছিস ফুলের কাছে?
-তাহলে ধামাকা হয়ে গেছে।
-কিসের ধামাকা বলছিস তুই? যার সাথে আমার ছবি সে কিভাবে আমার সাথে ছবি তুলেছে তোর থেকে ভালো কে জানে? আর তুই কি না এরকমটা করতে পারলি আমার সাথে?
-তুই ঠিক কি কি করেছিস আমার সাথে ছোটবেলায় মনে আছে? আমার সব প্লানিং তুই নষ্ট করতি? তাই এবার আমি তোর সাথে এমনটা করলাম। ব্যস হিসাব সমান সমান।
আমি ভিডিও কল দিচ্ছি হিয়াকে বল তোর সাথে থাকতে।
এতক্ষণ, সবাই নোভা আর অভিকের কথা শুনেছে। আর এতক্ষণে ক্লিয়ার হলো অভিকের সাথে ওই নারীর খারাপ কোনো সম্পর্ক নেই।
নোভা ভিডিও কল দিতেই হিয়া কল রিসিভ করলো।কল রিসিভ করতেই মোবাইল স্ক্রীনে এক নারীকে দেখা যাচ্ছে যে। আরেহ এ তো ছবিতে অভিকের সাথে থাকা নারী। হিয়া তৎক্ষনাৎ নোভাকে বললো,
-কে উনি? তোদের বাড়িতে কি করছে?
-আরে উনি তো ভাইয়ার গার্লফ্রেন্ড। যার সাথে একবার ব্রেকআপ হয়েছিলো।উনাদের আবারও পেচ আপ হয়েছে।আম্মু সুস্থ হলে উনাদের বিয়ে হবে।
-কিন্তু তুই না আমায় ছবি দিয়ে বললি, অভিকের সাথে উনার গভীর সম্পর্ক আছে?আর ছবিতে এত ঘনিষ্ঠ কেন ওরা?
-আরে বোকা, জেনিফার ভাবি অভিকের সাথে মজা করছিলো আর এমন টাইমে আমি ছবিটা ক্লিক করেছিলাম।যখন শুনলাম অভিক দেশে যাবে কিন্তু তোদের বলবে না মানে সারপ্রাইজ দিবে আর তোর থেকেও শুনলাম অভিকের সাথে কয়েকদিন যোগাযোগ হচ্ছে না ঠিকমতো। তখন এই ছবিটা তোকে দিয়েছি যেন অভিকের সারপ্রাইজ প্ল্যান ফ্লপ হয় আর সবার কাছে বকা খায় বুঝলি।
আর তুই তো জানিস না তোর জামাইটা আমাকে ছোট থাকতে আমেরিকায় এসে বহু জ্বালান জ্বালাইছে।তাই এবার প্রতিশোধ নিলাম।
ফট করে হিয়ার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নিলো অভিকের বাবা। এরপর নোভাকে বললেন,
-তোমার ষ্টুপিডিটির জন্য আজ কি হয়েছে এখানে তোমার ধারণাও নেই। তোমার এই কাজে আমি বেশ কষ্ট পেয়েছি। তোমার মা সবসময়ই তোমাদের ভুল শিক্ষা দিয়েছে। নয়তো এরকম একটা সেনসেটিভ বিষয়ে কেউ এরকম মজা করতে পারে না।
নোভাও বেশ লজ্জা পেলো ওর ছোট মামার মুখ থেকে কথাগুলো শুনে। আসলে সে বুঝতে পারেনি ব্যাপারটা এমব ঘোলাটে হয়ে যাবে।
বাড়ির সবাই অনুতপ্ত অভিককে ভুল বুঝার জন্য বিশেষ করে অভিকের বাবা আর হিয়া।
ছেলের কাছে গিয়ে রোকন জামান বললেন,
-আব্বু, বুঝতে পারিনি আসলে ছবিতে?
-থাক বাবা, আমি বুঝতে পেরেছি। তুমি মনে কষ্ট নিও না। আমি ঠিক আছি। তোমরা সবাই ঘুমিয়ে পড়ো অনেক রাত হয়েছে। সকালে কথা হবে।
একে একে সকলে রুম থেকে চলে গেলো। অভিক দরজা লক করে বেডসাইড টেবিলে রাখা এক গ্লাস
পানি খেয়ে নিলো।
এরপর, হিয়ার দিকে একপলক তাকিয়ে শুয়ে পড়লো সোফায়।হিয়াকে উদ্দেশ্য করে বললো,
-হিয়া, লাইট অফ করে দাও। আমি ভীষণ ক্লান্ত উনিশ ঘন্টার ফ্লাইট জার্নিতে।
হিয়া আর কোনা কথা না বলে লাইট অফ করে দিলো।
অভিকের মুখ থেকে এই প্রথম হিয়া ডাক শুনে ভীষণ কষ্টে চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো হিয়ার।
কখনোই অভিক তাকে হিয়া নামে ডাকে নি ফুল বলে ডেকেছে। তবে আজ কি অভিক অনেক কষ্ট পেয়েছে তাকে ভুল বোঝার জন্য !
#চলবে