__________জীবনের গল্প__________
লেখক: ShoheL Rana
____________পর্ব:-২১___________
আয়েশা বেগম রান্নাঘরে রান্না করছিলেন, হঠাৎ কলিং বেলের আওয়াজ শুনে দরজা খুলে দিতে গেলেন। দরজা খুলতেই ঘর্মাক্ত শরীরে ঘরে ঢুকলো আমান সাহেব। আয়েশা বেগম স্বামীর অবস্থা দেখে বললো,
-এ কী অবস্থা হয়েছে তোমার? যাও, বাথরুমে গিয়ে গোসল করে আসো।’
-হুমম… রাজ, বীথি কোথায়?’ গায়ের শার্টটা খুলে আমান সাহেব স্ত্রীর হাতে দিলো।
-ওরা এখনও ফিরেনি ভার্সিটি থেকে।’
-ওহ…
-বাথরুমে যাও তুমি, আমি লুঙ্গি আর তোয়ালে দিচ্ছি।’ বলেই আয়েশা বেগম লুঙ্গি-তোয়ালে আনতে গেল। আর আমান সাহেব বাথরুমে ঢুকে ট্যাবটা ছেড়ে দিলো। একসময় টিউবওয়েল থেকে পানি চেপে গোসল করতেন, নয়তো বাড়ির পাশের পুকুরটাতে গিয়ে ডুব দিতেন। এখন ওসব করা হয় না। টিউবওয়েলের শব্দই শোনা যায় না এই শহরে। আগেকার দিনগুলোতে তার স্ত্রী টিউবওয়েল চেপে দিতো, আর সে টিউবওয়েলের মধুর সুর শুনতে শুনতে স্ত্রীর কোমর নাড়ানো দেখতো। মুহূর্তগুলো ভালোবাসায়পূর্ণ ছিল। প্রায় দশটি বছর কেটে গেল এই যান্ত্রিক শহরে। গ্রামের কী অবস্থা এখন, মানুষগুলো কেমন আছে কে জানে।
-এই নাও তোমার লুঙ্গি, তোয়ালে।’
স্ত্রীর কথায় সম্বিত ফিরে পেল আমান সাহেব। নীরবে স্ত্রীর হাত থেকে লুঙ্গি-তোয়ালে নিয়ে বাথরুমের রশিতে ঝুলিয়ে রাখলেন। তারপর বালতি থেকে মগ নিয়ে পানি নিয়ে একের পর এক ঢালতে লাগলেন মাথার উপর।
.
.
আয়েশা বেগমের রান্না শেষ। এবার স্বামীর জন্য খাবার বেড়ে টেবিলে সাজিয়ে রাখলো সে। একটুপর তোয়ালে দিয়ে মাথা মুছতে মুছতে বাথরুম থেকে বের হলো আমান সাহেব। তারপর সোজা বসে গেল খেতে। খুব খিদে লেগেছে তার। আয়েশা বেগম স্বামীর প্লেটে ভাত তরকারি দিয়ে বললো,
-খাও…’
আমান সাহেব নীরবে খেতে লাগলো। পাশে বসে আয়েশা বেগম স্বামীর খাওয়া দেখতে লাগলো। হঠাৎ স্বামীর মাথার দিকে তাকিয়ে সে বলে উঠলো,
-দেখি, দেখি, দেখি…’ বলেই স্বামীর মাথায় কী যেন খুঁজলো সে। আমান সাহেব ভাত চাবাতে চাবাতে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
-কী?’
স্বামীর মাথা থেকে একটা পাকা চুল নিয়ে আয়েশা বেগম বললো,
-তোমার মাথায় দেখছি অনেক চুল পেকে গেছে।
-তোমার মাথায়ও তো পাকা চুল দেখা যাচ্ছে। বয়স কি আর কম হলো আমাদের? ঘরে বিয়ে উপযুক্ত দুটো ছেলেমেয়ে আছে।
-হুমম, দেখতে দেখতে প্রায় দশটি বছর কেটে গেল। ওহ, আজ বাড়িওয়ালার লোক এসেছিল বাড়িভাড়া খুঁজতে। আমি বলেছি সন্ধ্যায় দিতে।
-সন্ধ্যায়? সন্ধ্যায় বলেছো কেন? সন্ধ্যায় আমি টাকা কোথায় পাবো?
-কী করবো? বলে তো দিছি। তুমি একটু ম্যানেজ করো না…
-আচ্ছা আমি দেখছি।’ আর খাওয়া হলো না আমান সাহেবের। টাকার চিন্তায় খিদে মিটে গেল তার। এই শহরে সুন্দরভাবে বাঁচতে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন। অথচ সে একটা সামান্য বেতনের চাকরি করে। একটি কাপড়ের দোকানের হিসাবরক্ষক সে।
খাবার টেবিল থেকে উঠে আমান সাহেব বেডরুমের দিকে যেতে লাগলো। যেতে যেতে স্ত্রীর উদ্দেশ্যে বললো,
-রাজকে এবার একটা চাকরি খুঁজতে বলো, এভাবে টিউশনি করে করে আর কতদিন চলবে সে? তারও তো একটা ভবিষ্যৎ আছে।’
স্বামীর কথাটা নীরবে হজম করলো আয়েশা বেগম। টেবিলটা পরিষ্কার করতে লাগলো সে। কিছুক্ষণ পর আবার কলিংবেল বাজলো। দরজা খুলে দিলো আয়েশা বেগম। মেয়েকে দেখে সে বললো,
-এসেছিস? আয়… তোর ভাইয়া তো এখনও এলো না।’
-কী জানি, হয়তো কোনো জ্যামে-ত্যামে আটকে গেছে। ভাত দাও তো মা, খিদে লাগছে।’
কাঁধের ব্যাগটা একপাশে রেখে সোফায় বসে পড়লো বীথি। আয়েশা বেগম দরজা অফ করতে চাইলো, তখন বাহির থেকে রাজ বললো,
-মা, মা, দাঁড়াও। তোমার একমাত্র আদরের ছেলে ঘরে ফিরেছে।
-আয়, যা হাত মুখ ধুয়ে নে। খাবার দিচ্ছি তোদের।’
রাজ ভেতরে ঢুকতেই আয়েশা বেগম দরজা আটকে দিলো।
.
.
হাতমুখ ধুয়ে দুই ভাইবোন খেতে বসলো। খেতে খেতে রাজ মাকে জিজ্ঞেস করলো,
-তুমি খাবে না মা?’
-আমি আগেই খেয়ে নিয়েছি। এতো বেলা পর্যন্ত না খেয়ে থাকতে পারি না আমি, জানিস না?’
-মা এখনও গ্রামের অভ্যাস ফেলতে পারেনি।’ মন্তব্য করলো বীথি। আয়েশা বেগম প্রসঙ্গ পাল্টিয়ে বললেন,
-রাজ, তোর বাবা বলছে তোকে চাকরি খুঁজে নিতে।
-উফ মা, চাকরি কি চাইলেই পাওয়া যায়? অভিজ্ঞতা আর ঘুষের টাকা না থাকলে চাকরি মিলে না এখানে।
-তো তুই কী করবি? এভাবে কি সংসার চলবে? তোর বাবা আর কত কষ্ট করবে? আজকেও বাড়িওয়ালা এসেছিল ভাড়া খুঁজতে। টাকা না পেয়ে চলে গেছে, সন্ধ্যায় আবার আসবে। তোর বাবা এখন চিন্তায় পড়ে গেছে টাকা কীভাবে যোগাড় করবে।’
মুখে একগ্রাস খাবার দিতে গিয়ে নামিয়ে নিলো রাজ। মুখটা মলিন হয়ে গেল তার। ম্লান কণ্ঠে বললো সে,
-ঠিক আছে মা, আজ হয়তো একটা টিউশনিতে টাকা পাবো। ওগুলো বাবাকে দিও।’
বলে আবার খেতে শুরু করলো রাজ। বীথি খেয়ে উঠে গেল। এর কিছুক্ষণ পর রাজের খাওয়া শেষ হলো। রাজ হাত ধুয়ে রুমে এসে গায়ের কাপড়টা পাল্টে নিলো। চোখের চশমাটা মুছে চোখে লাগালো। বীথি রুমে এসে রাজের বেডে বসলো।
-কোথায় যাচ্ছিস?’ জিজ্ঞেস করলো সে রাজকে।
-কোথায় যাচ্ছি, জানিস না?’ আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে বললো রাজ।
-টিউশনিতে?
-হু…’
-না যেভাবে তুই চুলগুলো উপরে তুলে সাজুগুজো করে যাস, আমার মাঝেমাঝে বুঝতে কষ্ট হয় পড়াতে যাস নাকি, পার্কে প্রেম করতে যাস।’
রাজ বোনের কান টেনে ধরে বললো,
-খুব পাকা হয়েছিস না?’
-ছাড়, ছাড়া, ব্যথা পাচ্ছি তো…’
রাজ বীথির কান ছেড়ে দিলো। বীথি রাজের চোখ থেকে চশমাটা নিয়ে বললো,
-এই ছাতার মাথাটা চোখে না দিলে তোর হয় না? আমার কিউট ভাইটাকে সবাই কানা ভাবে তো…’
-আরে ওটা পরলে মেয়েরা ভদ্র ভাবে… দে চশমাটা…’ বীথির হাত থেকে চশমাটা নেয়ার চেষ্টা করলো রাজ।
-না, দেবো না।’ হাত সরিয়ে নিলো সে। তারপর আবার বললো,
-তোর কয়টা চশমা ভেঙেছি আমি এই পর্যন্ত, বলতো?
-বারোটা…’
-এখন তেরোটা হলো…’ বলেই চশমাটা রাজের দিকে বাড়িয়ে দিলো, তবে ভাঙা। রাজ রাগ দেখিয়ে আবার কান টেনে ধরলো বীথির। তারপর বললো,
-ভেবেছিলাম, টিউশনির টাকা পেয়ে তোর জন্য চকলেট কিনে নিয়ে আসবো। এখন আর আনবো না।’
-না, না, না। তা হবে না। আচ্ছা আমি সুপার গ্লু দিয়ে লাগিয়ে দেবো আবার চশমার পার্টগুলো।
-না, চকলেট পাবি না তুই।’ বোনের গালটা টেনে দিয়ে বের হয়ে গেল রাজ। পেছন থেকে বীথি গলার আওয়াজ বাড়িয়ে বললো,
-চকলেট না আনলে তোর বউ দেখতে কালো পেঁচার মতো হবে বলে দিলাম।’
বলেই হাতের ভাঙা চশমাটার দিকে তাকিয়ে আছাড় মারলো বীথি।
.
.
টিউশনিতে এসেই রাজ কলিংবেল বাজালো। একটুপর দরজা খুলে দিলো সুমন। সুমন রাজের স্টুডেন্ট। ক্লাস টেনে পড়ে সে। রাজ তাকে পড়াতে বসে গেল।
-হিসাববিজ্ঞান খুলো…’ সুমনের উদ্দেশ্যে বললো রাজ।
-স্যার, ইংলিশে একটা প্যারাগ্রাফ খুঁজে পাচ্ছি না…
-কোন প্যারাগ্রাফ?
-ভিলেজ ফেয়ার’ স্যার। আমার গ্রামার বইগুলোতে পাইনি।
-আচ্ছা আমাকে খাতা আর কলম দাও, আমিই লিখে দিচ্ছি।’
সুমন খাতা আর কলম এগিয়ে দিলো। রাজ সুমনকে অন্য একটা সাবজেক্টে পড়া দেখিয়ে দিয়ে ‘ভিলেজ ফেয়ার’ সম্পর্কে লিখতে বসলো। জীবনের ষোলোটি বছর গ্রামে কাটিয়েছে সে। গ্রামের মেলা সম্পর্কে ভালোই ধারণা আছে তার। বিশেষ করে পহেলা বৈশাখের দিন মেলা হতো গ্রামে। তবে নিজ গ্রামে কখনও হয়নি। কয়েকগ্রাম পর একটা বড় মাঠে মেলা হতো। ওখানে কতকিছু বিক্রি হতো, কত কী যে আয়োজন হতো, চোখ জুড়িয়ে যেতো। একবার মনি আর বীথিকে সাথে নিয়ে চুরি করে মেলায় গিয়েছিল সে। তখন ওর বয়স ছিলো বারো বছর, আর মনি, বীথির বয়স ছিল দশ বছর। ছোট বলে বাড়ির কেউ ওদেরকে মেলায় যেতে দিচ্ছিলো না, বড়রাও মেলায় যাচ্ছিল না। তখন বাধ্য হয়ে তিনজনে চুরি করে চলে যায় মেলায়। সারাদিন ঘুরে, কুস্তি খেলা দেখে, গ্রামে ওটাকে বলি খেলা বলে। দূর দূরান্ত থেকে কুস্তিগিররা এসে কুস্তি লড়ে। আরও অনেক ধরনের খেলা হয় মেলায়। ঘুরে ঘুরে দেখে ওরা। নাগরদোলা দেখে তিনজনের সেদিন খুব লোভ হয়েছিল নাগরদোলায় চড়ার। কিন্তু সাথে টাকা ছিল না বলে চড়তে পারেনি। সন্ধ্যার দিকে তিনজনে ঘরে ফিরে এসেছিল। তারপর তিনজনের ভাগ্যে জুটেছিল মার।
ভাবতে ভাবতে রাজ লিখে ফেলে ‘ভিলেজ ফেয়ার’ নিয়ে পুরো একটা প্যারাগ্রাফ, তারপর ওটা এগিয়ে সুমনকে। তখন ভেতর থেকে আসে সুমনের মা। রাজ তাকে সালাম দেয়। সালামের জবাব দিয়ে সুমনের মা মাথায় ওড়না ঠিকঠাক করে দেয়। তারপর হাতের একটা ছোট খাম রাজকে দিয়ে বলে,
-স্যার, আপনার এ মাসের বেতন।’
রাজ মৃদু হাসলো জবাবে। সুমনের মা তখন বললো,
-স্যার বলছিলাম, বাসায় একটু আর্থিকভাবে সমস্যা বলছে, তাই আপনি কাল থেকে আর আসিয়েন না।’ কিছুটা লজ্জাভাব নিয়ে কথাটা বললো সুমনের মা। টিউশনিটা হারাতে হবে ভেবে কষ্ট হলো রাজের। কিন্তু তা বুঝতে দিলো না সে। বললো,
-ঠিক আছে আন্টি। আমি কাল থেকে তাহলে আর আসবো না।
-কিছু মনে নিয়েন না স্যার।
-না, না, কী মনে করবো? কিছু মনে করিনি আমি।’ জোর করে হাসার চেষ্টা করলো রাজ। সুমনের মা আবার বললো,
-একটু বসুন। নাস্তা দিচ্ছি, নাস্তা খেয়ে চলে যাইয়েন।’ বলেই আবার ভেতরে গেল সুমনের মা। কিছুক্ষণ পর ট্রেতে করে নাস্তা নিয়ে এলো। রাজ শুধু চা খেয়ে উঠে দাঁড়ালো। ভালো লাগছে না তার। সুমনের মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,
-ভালো করে পড়ো, কেমন? আসি…
-মাঝেমাঝে বেড়াতে আসবেন স্যার।’
-হুমম…’ জোর করে আবার হাসতে চেষ্টা করলো রাজ। তারপর বের হয়ে এলো ঐ বাসা থেকে। এখন বাসায় যেতে হবে। হাতে এক ঘণ্টা সময় আছে। প্রতিদিন বাসা থেকে বের হয়ে রাতে ফিরতো রাজ। কিন্তু আজ এই টিউশনি থেকে তাড়াতাড়ি বের হয়ে এলো বলে হাতে এক ঘণ্টা অলস সময় পড়ে গেল। এই এক ঘণ্টা সে কী করবে? আশেপাশে কোনো জায়গা নেই বা কোনো বন্ধুর বাসা নেই যে গিয়ে একটু আড্ডা দিবে এই এক ঘণ্টা। কিন্তু শহরে বন্ধু পাওয়াটাও কপালের বিষয়। গ্রামের মানুষের মতো শহরের মানুষগুলো এতটা মিশুক টাইপের না। কলেজ, ভার্সিটিতে যেসব বন্ধু পাওয়া যায়, ওরাই শুধু বন্ধু। তাও অনেকে হারিয়ে যায়। কলেজে থাকতে কয়েকজনের সাথে বন্ধুত্ব হয়েছিল রাজের। কলেজ থেকে বের হয়ে আসার পর বন্ধুগুলোও হারিয়ে গেছে যে যার মতো। এখন আর কারও সাথে যোগাযোগ নেই।
ভাবতে ভাবতে রাজ একটা চকলেটের দোকানে ঢুকলো। চারদিকে চোখ বুলিয়ে বোনের জন্য ‘কিটকাট’ চকলেট কিনে নিলো। বীথি এগুলো খেতে খুব পছন্দ করে। একটা রিকশা ডেকে উঠে পড়লো রাজ। তারপর নিজ বাসার ঠিকানা বলে দিলো রিকশাওয়ালাকে।
রাজকে তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতে দেখে অবাক হলো মা ও বীথি। মা জিজ্ঞেস করলো,
-কীরে, এতো তাড়াতাড়ি ফিরলি যে আজ?’
-মা একটা টিউশনিতে নাকি আর্থিক প্রবলেম হচ্ছে। ছেলের জন্য আর টিউটর রাখতে পারবে না, তাই আমাকে মাসের বেতন দিয়ে বিদায় করে দিলো। এই নাও টাকা, আর কিছু যোগ করে বাড়িভাড়া দিতে বলো বাবাকে।’ বলেই অবশিষ্ট টাকাগুলো মায়ের হাতে দিলো রাজ। তারপর বোনকে চকলেট দিয়ে বললো,
-এই নে তোর চকলেট।’
অন্যসময় হলে বীথি খুব খুশি হতো চকলেট পেয়ে। কিন্তু এখন খুশি হতে পারলো না। ভাইয়ের খুশিতে সে খুশি হয়, কিন্তু ভাইয়ের কষ্ট তারও হৃদয়ে গিয়ে লাগে। ম্লান কণ্ঠে সে বললো,
-এখন এসব আনতে গেলি কেন ভাইয়া? আমি কি কষ্ট পেতাম চকলেট না আনলে?’
-আরে নে নে। একটাই তো বোন আমার।’ বীথির পিঠে আলতো করে হাত চাপড়ে রাজ রেস্ট নেওয়ার জন্য নিজের রুমে যেতে চাইলো। পেছন থেকে বীথি দৌড়ে এসে ‘ভাইয়া’ বলে জড়িয়ে ধরলো রাজকে। রাজ দেখলো বীথির চোখে জল।
-আরে পাগলি কাঁদছিস কেন?’ জিজ্ঞেস করলো রাজ। বীথি চোখ মুছে বললো,
-আই লাভ ইউ, ভাইয়া।
-আই লাভ ইউ টু। যা এখন বসে বসে চকলেট খা।’ আমি একটু রেস্ট নিই, একটুপর আবার বরোতে হবে।’
বীথি ভাইকে ছেড়ে দিলো, আর রাজ রুমে ঢুকে দরজাটা আটকে দিলো।
.
.
(চলবে….)