মন মুনিয়া পর্ব-৪৪

0
874

#মন_মুনিয়া
তন্বী ইসলাম -৪৪

পুরো বাড়ি ঝকঝকে তকতকে করা শেষ। এবার রেস্ট করার পালা। মনিও আজ যথেষ্ট খাটুনি করেছে। মুনিয়াকে ঘুম পাড়িয়ে সেও কাজে লেগে গেছিলো পরে। বাড়ির বাইরের সমস্ত কাজকর্ম নীল আর নিলয় মিলে করেছে। যদিও ওদের সাথে দুটো ছেলে ছিল, যাদেরকে টাকার বিনিময়ে কাজে লাগিয়েছিলো ওরা।

সমস্ত কাজকর্ম শেষ করে নিলয় আর নীল যার যার রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলো। নীল লম্বা একটা শাওয়ার নিয়ে বিছানায় এসে গা এলিয়ে দিলো। তখন মাগরিবের আজানের সময়। মনি অযু করে এসে নামাজে বসেছে। মুনিয়া ঘুমিয়ে ছিলো। হটাৎ করে ঘুম ভেংগে গেলো ওর। ঘুম ভাংগা মাত্রই কাঁদতে শুরু করলো মেয়েটা। আশা রুমে নেই। হিমা আর রাবেয়া যার যার রুমে নামাজরত অবস্থায় আছে। এদিকে মেয়ে কাঁদছে, অথচ নামাজ ছেড়ে মনি উঠতেও পারছেনা। মুনিয়ার কান্নার বেগ বেড়েই চলেছে অনবরত।।

একটা সময় নীলের কান পর্যন্ত পৌছুলো মুনিয়ার কান্না। হটাৎ এভাবে কান্নার কারণটা তার অজানা। আর কেউ ওকে কোলে নিয়ে কান্না থামাচ্ছেই বা না কেন? চিন্তার সাথে নীল উঠে পরে বিছানা ছেড়ে। ধীর পায়ে এগিয়ে যায় মনির রুমে।। পর্দার ওপাশে মনি নামাজে আছে সেটা নীল আগেই বুঝতে পেরেছে। বাকিরাও নামাজ পড়ছে, কিন্তু আশা, ও কোথায়? এদিকে মুনিয়ার কান্না থামছেই না।।

কোনো উপায় না পেয়ে নীল এগিয়ে গেলো মুনিয়ার কাছে। এক নজরে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো নিষ্পাপ মুখখানির দিকে। মেয়েটি তখনো কেঁদে চলেছে। বাচ্চাকাচ্চা কোলে নেওয়া সম্পর্কে নীল এখনো অবুঝ। কখনো সেভাবে কোনো বাচ্চাকে কোলে নেওয়া হয়নি। নিজের ফ্যামিলিতে কোনো বাচ্চা না থাকায় সেটা সম্পর্কে একদমই অবগত নয় সে। তবে বাধ্য হয়ে আজ মুনিয়াকে কোলে নিতে হলো।

আশ্চর্যজনক ভাবে নীলের কোলে আসতেই মুনিয়ার কান্না মুহুর্তেই থেমে গেলো। প্রচন্ড অবাক হলো নীল। এটা কি করে সম্ভব হলো? নীল বার কয়েকবার এদিক ওদিক তাকালো। মনির নামাজ শেষ হয়নি, এদিকে আশাও উধাও। নীল মুনিয়াকে বুকের সাথে চেপে ধরলো। এক অজানা শান্ত অনুভব করলো সে। মুনিয়া ফ্যালফ্যাল চোখে তাকিয়ে আছে নীলের দিকে। নীলের মন বলছে মুনিয়া হয়ত ভাবছে, “এই রামছাগলটা আবার কে, একে তো আগে কোনোদিন দেখিনি। আমাকে চুরি করতে এসেছে নাকি? করুক চুরি, এমন চিৎকার করবো, ব্যাটার কানের পর্দা ফাটিয়ে তারপর থামবো।”

এমন অদ্ভুত চিন্তাভাবনার জন্য একা একাই হাসলো নীল। পরক্ষণে মুনিয়ার কপালে একটা চুমু খেয়ে বললো, “লক্ষী মামনী, চলো বাবার রুমে যাই।” শুধু মায়ের রুমে থাকলে কি চলবে? শেষে সত্যি সত্যি যদি চোরের উপাধি দিয়ে বসো। আমি বাবা রিস্ক নিতে চাই না। আগেবাগেই বাবার সাথে পরিচিত হয়ে যাও সোনা।

নীল মুনিয়াকে নিয়ে নিজের রুমের দিকে চলে গেলো। রুমে আসার পর হলো আরেক ঝামেলা। আবারও কান্না শুরু করে দিয়েছে মেয়েটা। এবার ঝামেলায় পরলো নীল। কিছুতেই থামাতে পারছেনা মেয়েটাকে। নীল কিছু বুঝতে না পেরে মুনিয়াকে বিছানায় রেখে ওর চারপাশে বালিশের দেওয়াল বানিয়ে ওকে বসিয়ে দিলো, এরপর মুনিয়ার সামনাসামনি দাঁড়িয়ে লাফাতে লাগলো, কান্না থামানোর জন্য। মুনিয়া থামছেনা। নীল জিহ্বা বের করে বানরের মতো অভিনয় করতে লাগলো। কিন্তু এইটুকু ছোট বাচ্চা এগুলোর কি বুঝে?

নীল ভাবলো, মুনিয়ার হয়তো খিদে পেয়েছে। তাই হয়তো এভাবে কাঁদছে। কিন্তু কি খাওয়াবে ওকে?
মুনিয়াকে খাওয়ানোর জন্য নীল কি যেনো হাতে নিলো। কিছুক্ষণ মগের সাথে ধস্তাধস্তি করে এরপর মগটা নিয়ে এলো মুনিয়ার সামনে। ওর মুখের সামনে মগটা ধরে বললো
-নাও বাবা, কফি খাও। বিদেশী কফি, খুব টেস্ট।
কোনোভাবেই মুনিয়াকে খাওয়াতে পারলোনা নীল। শেষে বিরক্ত হয়ে বললো
-এ কে রে, এমনে তো কাউরেই এভাবে জ্বালাস না, আমার পেছনে কেন পরলি রে আম্মা। আমি তোর কোন বাড়া ভাতে ছাই দিছি বল?

অদ্ভুতভাবে মুনিয়ার কান্না থেমে গেলো তখন, সে ফ্যালফ্যাল করে ছলছল চোখে নীলের দিকে তাকিয়ে রইলো। নীল হেসে বললো
-এইতো আমার লক্ষী মামনী। আয় সোনা, আমার কোলে আয়। নীল মুনিয়াকে দুইহাতে আলতো করে ধরে কোলে টেনে নিলো। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই নীলের চেহারার মধ্যে আমুল পরিবর্তন দেখা গেলো। চোখ মুখ বিকৃত হয়ে গেছে তার, নাক কুচকে একদম ছোট হয়ে গেছে। দেখে মনে হচ্ছে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মুনিয়ার চাইতেও ভয়ংকরভাবে সেই কেঁদে ফেলবে।

মনির নামাজ পড়া শেষ হলে সে চটজলদি জায়নামাজ গুছিয়ে উঠে পরে। মুনিয়ার কান্না এতোক্ষণ তার কানে আসছিলো, কিন্তু নামাজ ছেড়ে তো উঠা সম্ভব ছিলোনা তখন। মনি তরিঘরি করে নীলের রুমে গেলো। নীল যখন মুনিয়াকে নিয়ে গেছিলো, তখন সে বুঝতে পেরেছিলো সেটা। নীলের গলার আওয়াজ পেয়েছিলো সে। নীলের রুমে ঢুকামাত্রই সে দেখতে পেলো মুনিয়াকে কোলে নিয়ে নীল স্ট্যাচুর মতো বসে আছে। চোখমুখের আকৃতিটা একটি ভিন্নরকম দেখা যাচ্ছে।

মনি সেদিকে পাত্তা না দিয়ে মুনিয়ার কাছে গিয়ে ওকে নিজের কোলে নিয়ে নিলো। একটা হাসি টেনে কৃতজ্ঞতার সাথে নীলকে বললো
-আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, মুনিয়াকে কোলে নিয়ে আমাকে নামাজ পড়তে সাহায্য করার জন্য।
নীল নিশ্চুপ। মনি বললো,
-কি হলো, কথা বলছেন না যে।
-হিসি। অসহায়ের মতো করে বললো নীল।
মনি বিস্ময়ে বললো
-কিহ!!
-মুনিয়া হিসি করে দিছে আমার কোলে। এটাই কি ভালোবাসার প্রতিদান? আমি কত্তো আদর করে ওকে কফি খাওয়াইলাম, আর ও কিনা….

নীলের কাঁদো কাঁদো ফেইসটা দেখে মনি অবাক হলো। আবার হাসিও পেলো খুব। তবে হাসলে চলবে না। বেচারা কখনো বাচ্চাকাচ্চা কোলে নেয় না। এতোটুকুও যে নিয়েছে এটাই অনেক। মনি অনেক কষ্টে নিজের হাসিটা দমিয়ে বললো
-চেইঞ্জ করা লাগবে?
-হুহ। মাথা নাড়িয়ে বললো নীল।
-আপনি করতে পারবেন, নাকি আমার সাহায্য লাগবে?
-এই নাহ, আমিই পারবো। তুমি তোমার মেয়ে সামলাও। কি সাংঘাতিক মেয়ে রে বাবা। তোমার কোলে হিসি দেয় না? নাকি আমাকে চিনে না বলে রাগে এটা করেছে? আমাকে কি ও চোর ভেবেছে? ও কি ভেবেছে আমি ওকে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছি? আচ্ছা মনি, আমার ফেইসটা কি চোরের মতোন?

মনি এবার আর হাসি দমাতে পারলো না। হু হু করে হেসেই ফেললো। পাগল হয়ে গেলো নাকি লোকটা? বড্ড বোকা বোকা লাগছে আজ মানুষটাকে।

মুনিয়াকে নিয়ে রুমে গিয়ে ঢুকতেই আশাকে বিছানায় বসে থাকতে দেখলো মনি। মনিকে দেখা মাত্রই আশা বললো
-কোথায় গিয়েছিলি?
-আমিতো ঘরেই ছিলাম আশাপু। নামাজ পড়ে উঠেছি। তুমি কোথায় গিয়েছিলে?
-ছাদে গিয়েছিলাম রে।
-এই অসময়ে ছাদে?
-হুম। ভালো লাগছিলো না কিছু, তাই। তুই নামাজ পড়ছিলি তাহলে বাইরে থেকে এলি যে।
-তোমার ভাইয়ের রুমে গিয়েছিলাম।
-কেন? মিস করছিলি!
-কি যে বলো। মুনিয়ার ঘুম ভেংগে গেছিলো, তাই কান্না করছিলো খুব। আমিও নামাজে ছিলাম, তাই কোলে নিতে পারছিলাম না। তুমিও ছিলে না। অগত্যা তোমার ভাই এসে নিয়ে গেলো ওকে। আর যা কান্ড হলো আরকি।

আশা উৎফুল্লতা নিয়ে বললো
-এই কি হয়েছে রে?
মনি হাসলো। এরপর সমস্ত ঘটনাটা এক এক করে বলতে শুরু করলো। আশা তো হেসে খুন। সব কথা শোনা হলে মুনিয়াকে টেনে নিজের কোলে নিয়ে আশা বললো
-একদম ঠিক করেছিস। মাগনা মাগনা বাপ হইছে, অথচ বাপের দায়িত্ব পালন করতে দেখলাম না এখনো। এইটাই উপযুক্ত শাস্তি হইছে, ভবিষ্যতে আরো করবি এইরকম।
মনি হাসলো আশার কথায়। ওদিকে নীলের জন্যও চিন্তা হলো কিছুটা। বেচারা সাহায্য করতে গিয়ে মুনিয়ার শিকার হয়ে গেলো। মনি মনে মনে ভাবলো, “আমার কি একবার গিয়ে দেখে আসা দরকার?”

যেই ভাবা সেই কাজ। সে আশাকে মুনিয়ার কাছে রেখে ঘর থেকে বেরিয়ে এলো। নীলের রুমের সামনে এসে দেখলো ওর রুম ভেড়ানো। দরজাটা ঠেলে ভিতরে ঢুকলো মনি। নীল রুমে নেই। ওদিকে ওয়াশরুমের দরজাটা লাগানো। হয়তো ওয়াশরুমেই আছে ভেবে মনি চলে আসতে লাগলো। ঠিক তখনই ওয়াশরুমের দরজা খোলার আওয়াজ কানে এলো মনির। সে হাসিমুখে পেছনে ফিরতেই চমকে উঠলো। মুহূর্তেই চোখ বন্ধ করে ঘুরে দাড়ালো সে। নীল তাওয়াল পরে আছে শুধু।।

মনিকে ঘুরে যেতে দেখে মুচকি হাসলো নীল। মনির দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বললো
-এতো লজ্জা পেয়ো না বউ, পরে এই লজ্জামাখা মুখটা দেখে হার্ট অ্যাটাক করলে তোমায় ভালোবাসবে কে?
-বাজে কথা ছাড়ুন। আপনি এভাবে আছেন কেন?
-গোসল করেছি তাই।
-কেন?
-মুনিয়া যে হিসি করে দিলো আমার কোলে, গোসল না করে কি কোনো উপায় আছে?
মনি অবাক হলো, এতোটুকু একটা বাচ্চার প্রসাবে গোসল করা লাগে?

মনি আর কোনো কথা না বাড়িয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যাবার জন্য পা বাড়ালো। এরই মধ্যে সে থমকে গেলো। পেছন থেকে নীল তাকে জড়িয়ে ধরেছে। হটাৎ ভালোবাসার স্পর্শে কেঁপে উঠলো মনি। চোখের পাতা মিলিয়ে নিলো এক ঝটায়। নীল মনিকে নিজের দিকে ফিরিয়ে নিলো আলতো হাতে। দুহাত ওর গালে রেখে মুখের কাছে মুখ নিয়ে মৃদু গলায় ফিসফিসিয়ে বললো
-আই লাভ ইউ মনি। আই লাভ ইউ টু মাচ।
মনির কন্ঠস্বর দিয়ে কোনো কথা আসছেনা। সে এখনো চোখ বন্ধ করে বিমোহিত হয়ে আছে নীলের ভালোবাসার ছোঁয়ায়।

নীল আঁধো গলায় বললো
-কথা বলছো না যে?
-কি বলবো?
-ভালোবাসার কথা।
-গুছিয়ে বলতে পারিনা।
-আমি গুছিয়ে নেবো। তুমি শুধু বলো।
মনি কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারলোনা। ঠোঁট কাপছে তার। নীল মৃদু হেসে মনিকে নিজের সাথে আষ্টেপৃষ্টে জরিয়ে ধরলো। মনিও পরম আবেশে নীলের বাহুডোরে আটকা পরলো।

কিছুক্ষণ বাদে মনির হুশ এলো। লজ্জায় সে মুখ তুলে তাকাতে পারছেনা। নীল মুচকি হেসে মনির থুতনিতে হাত দিয়ে নিজের দিকে ফেরালো। একটা লাজুক হাসি দিয়ে মনি মুহুর্তেই সেখান থেকে দৌড়ে চলে এলো। নীল সেদিকে তাকিয়ে এক তৃপ্তির হাসি হেসে একা একা বিড়বিড় করে বললো
“নীলের মনি কোঠরে তুমি প্রচন্ডভাবে বাধা পরেছো মনি। যতোই পালাও, ধরা তুমি পরবেই। লাজুকলতার মতো নেতিয়ে বাধা পরবে আমার ভালোবাসায়। সেদিনটার অপেক্ষায় আছি আমি। তুমি ভালোবাসার ঘ্রাণ নিয়ে আমার কাছে আসবে, আমি সেই ঘ্রাণ বিমোহিত চিত্তে গ্রহণ করবো। প্রচন্ড ভালোবাসবো তোমায়””

পরের দিন সকাল থেকেই রান্নাবান্নার তোড়জোড় লেগে গেছে রান্নাঘরে। পুরো বাড়িটা গোছানো হয়েছে সুন্দর করে। মনিও হাত লাগিয়েছে রান্নাবান্নায়। আশা মুখ ফুলিয়ে বসে আছে নিজের রুমে। রাবেয়া বার বার এটা ওটা বলছে আশাকে। আশা সেগুলো এক কান দিয়ে ঢুকিয়ে অন্য কান দিয়ে বের করে দিচ্ছে।।

সকাল গড়িয়ে বেলা হয়ে গেছে। দুপুরের আগ নাগাদ পাত্রপক্ষ এসেছে আশাকে দেখার জন্য। দুজন মহিলা আর তিনজন পুরুষ। মহিলাদের মধ্যে একজন পাত্রের বড় বোন আর একজন ভাবী। পুরুষ গুলো হচ্ছে পাত্র, ওর বড় ভাই আর ওর বাবা।
পাত্রদের সামনে মেয়ে আনা হবে, সেইজন্য আশাকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। যদিও সেটা জোরপূর্বক। আশা চায়নি এতো ব্রাইডাল লুকে তাকে সাজানো হোক। তবে হিমা নাছোরবান্দা, সাজিয়ে ছাড়বেই।

একটা সময় আশাকে নিয়ে যাওয়া হলো পাত্রের সামনে। পাত্রপক্ষরা অধীর আগ্রহে বসে আছে সোফায়। আশাকে পুর্বে থেকে বলে রাখায় সে ওদের সামনে এসেই লম্বা করে এক সালাম দিলো। ওর কন্ঠস্বর শুনে পাত্র কিছুটা চমকে তাকায় আশার দিকে। চোখের মোটা চশমাটা খুলে গভীরচোখে তাকে দেখতে থাকে।
আশা এতোক্ষণ নিচের দিকে তাকিয়ে ছিলো। এবার চোখ তুলে সামনে তাকায় সে। পাত্রকে দেখতে পেয়ে কপাল কুচকে যায় তার। ভ্রু বাকিয়ে বিস্মিত গলায় বলে
-মিস্টার খাম্বা, আপনি এখানে কি করছেন?
শ্রাবণ ভ্রু বাকিয়ে বলে,
-ওহ, তাহলে আপনিই মিসেস গার্জিয়ান। আমার প্রথম থেকেই কেন জানি চেনা চেনা লাগছিলো। মেকাপের প্রলেপে নিজেকে ঢেকে রেখেছিলে, তাই চিনতে পারিনি।
ঘরের সবার নজর তখন শ্রাবনের দিকে। ওর বড় বোন প্রশ্ন করলো,
-তুই কি ওকে চিনিস আগে থেকেই?
-হুম আপা। ওর বাচ্চা আমার কলেজেই পড়ে।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here