অচেনা তুমি পর্বঃ৩২

0
1419

#অচেনা_তুমি
#লেখিকাঃমহিমা_হাছনাত_মাহি
#পর্বঃ৩২

দিনভর একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। সকালের পর বৃষ্টি থামলেও সারাদিন আকাশ মেঘলা রয়ে গিয়েছে। মাঝে মাঝে এক চিলতে রোদ দেখা যাচ্ছে। তো মাঝে মাঝে এক পশলা বৃষ্টি।

এখন সন্ধ্যার পর বৃষ্টি নেই, ঘনঘন মেঘ ডাকছে আর বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। বিদ্যুতের ঝলক যেন আকাশের উপরে সোনার দাগ কেটে পালিয়ে যাচ্ছে বারবার। চোখের পলকেই দেখতে না দেখতে উধাও হয়ে যায়। আর পরেক্ষনেও “গুড়ুম, গুড়ুম ” করে বেজে উঠে সারা আকাশময়।

বসার ঘরে জানালার ধারে বসে জীর্ণ শীর্ণ মন নিয়ে এক দৃষ্টিতে বাইরের পরিবেশ দেখছে কুবরা। বাড়ির সকলের যেখানে আড্ডা গানে মশগুল সেখানে চারদিকটা কেমন মনমরা লাগছে তার। কেন জানি না কিচ্ছু ভালো লাগছে না তার। আশেপাশের সবকিছুই বিরক্ত লাগছে।

শুভ্রাঃ ভাইয়া একটা গান ধরো না। আগে যেমন বৃষ্টির দিনে গান শুনাতে তেমনি।

পারভেজঃ আরে সে সব দিন কি আর এখন আছে? আর আমি সেই কবে বিদেশ গিয়েছি থেকে গান গাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। এখন আর ওসব সুর তাল মিলিয়ে গাওয়া ভুলে গিয়েছি।

শুভ্রাঃ কিছু হবে না। গাও তুমি।

সাদাফঃ হুম শুভি ঠিকি বলেছে। ভায়া আপনি গান আমি গিটার বাজাই। বৃষ্টির দিনে বেশ জমে উঠবে।

তারপর সাদাফ গিটার টা নিয়ে এসে সুর তুলে। সকলে নীরব শ্রোতার মতো বসে সাদাফ আর পারভেজের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।

পারভেজ গানের সুর তুলতে তুলতে কুবরার দিকে এগিয়ে যায়। কুবরার কানের কাছে গিয়ে গেয়ে উঠে ঃ
আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে
মনে পড়লো তোমায়
অশ্রু ভরা দুটি চোখ
তুমি ব্যথার কাজল মেখে
লুকিয়েছিলে ঐ মুখ
বেদনাকে সাথী করে
পাখা মেলে দিয়েছো তুমি ▶️ কুবরাকে ইশারা করে ◀️

কত দূরে যাবে বলো
কত দূরে যাবে বলো
তোমার পথের সাথী হবো আমি
বেদনাকে সাথী করে

পাখা মেলে দিয়েছো তুমি
কত দূরে যাবে বলো
কত দূরে যাবে বলো
তোমার পথের সাথী হবো আমি▶️ইলিয়ানার দিকে তাকিয়ে ◀️

আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে
মনে পড়লো তোমায়
একাকিনী আছো বসে
পথ ভুলে গিয়েছো তুমি

▶️সাদাফ,আবির,পারভেজ একসাথে গলা মিলিয়ে◀️

কোন দূরে যাবে বলো
কোন দূরে যাবে বলো
তোমার চলার সাথী হবো আমি
একাকিনী আছো বসে

পথ ভুলে গিয়েছো তুমি
কোন দূরে যাবে বলো
কোন দূরে যাবে বলো
তোমার চলার সাথী হবো আমি

আজ এই বৃষ্টির কান্না দেখে
মনে পড়লো তোমায়
অশ্রু ভরা দুটি চোখ
তুমি ব্যথার কাজল মেখে
লুকিয়েছিলে ঐ মুখ

🎶🎶🎶🎶🎶🎶

ইলিয়ানা মুগ্ধ নয়নে পারভেজের গান গাওয়া আর তার ভঙ্গি চেয়ে আছে। ডাক্তার মানুষ ও যে এতো সুন্দর গান গাইতে পারে তা তার একেবারেই ধারণাতীত ছিলো। গান শেষে সকলে মিলে একসাথে হাততালি দেয় তাদের জন্য। ইলিয়ানাও হাত মেলায়।

শুভ্রাঃ ভাইয়ায়া..৷ তোমার গলা সেই আগের মতোই দারজ আর প্রফুল্ল আছে। একদম কিচ্ছুটি পরিবর্তন হয়নি। পুরাই এই আবহাওয়ার সাথে ফাটাফাটি।

পারভেজঃ তা নাহয় বুঝলাম। তবে আমার এই ছোট্ট বোনটির আজ কি হলো? এমন মন মরা হয়ে আছিস যে?? আজ এমন চুপচাপ??

কুবরাঃ ক… কই না তো ভাইয়া। এমনিই চুপচাপ বসে তোমাদের আড্ডা এনজয় করছি আর কি।

কুবরার মাঃ বাব্বা আজ সূর্য কোন দিকে উঠলো রে। আমার ছোট মেয়েটা এমনিই নাকি চুপচাপ বসে আছে। এও সম্ভব!!

কুবরাঃ আজ সূর্য উঠেনি বলেই ভেবে নাও চুপচাপ আছি। এমনিতেও তো ভনভন করি বলে বকা দেওয়ার শেষ নেই। আজ চুপচাপ আছি বলেই সমস্যা? আজব!! ( চেচিয়ে)

মিসেস মালিহা মেয়ের তেজ দেখে চুপচাপ আবারও নিজেদের কথার মধ্যে মশগুল হয়ে ফেলেন। তিনি বুঝে গেছেন যে কুবরা কোনো কারনে রেগে আছে। এখন যদি তিনি আরেকটা বলে উঠেন কুবরা আবারও চেতিয়ে উঠবে। তাই আর কথা না বাড়িয়ে সকলে নিজেদের আড্ডায় আবার যোগ দেয়।

ইলিয়ানাঃ আরে আরে রেগে যাচ্ছো কেন বুনু। এমনিই মজা করছে আর কি। আজ বাদে কাল তো আমরা চলেই যাবো। যাওয়ার আগে এভাবে মুখ গোমড়া করে বসে থাকলে চলে?? ( কুবরার পাশে এসে বসে)

কুবরাঃ ভালো লাগছে না ইলু আপ্পি ( ইলিয়ানার কাধে মাথা দিয়ে) ।

ইলিয়ানার কাধে কুবরা মাথা রাখায় কেমন এক প্রশান্তি কাজ করছে তার মনে। যেন তারই ছোট বোন বিষন্নভরা মন নিয়ে তার কাধে মাথা দিয়ে শুক কাটাতে চাচ্ছে। ইলিয়ানা মুচকি হেসে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয় কুবরার।

ইলিয়ানাঃ তা এই পিচ্চি বুড়ির মন খারাপের কারণটা কি জানতে পারি??

কুবরাঃ সেটাই তো আমি নিজেও বুঝে উঠতে পারছি না যে কেন কিছু ভালো লাগছে না, কেন সবকিছু এতো বিরক্ত লাগছে। ( কাপা কাপা কন্ঠে) ।

ইলিয়ানাঃ হুমমম…. বুঝেছি…। নাদিম ভাইয়াকে মিস করছো বুঝি??

কুবরা ইলিয়ানার কাধ থেকে মাথা তুলে আশ্চর্য পলকে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। ইলিয়ানা যে সত্যিই কথাটাই বলেছে। এমনিতে মন খারাপ তার উপর পারভেজের গাওয়া গানের প্রতিটি লাইনে সে নাদিমকে আপ্লুতভাবে স্মরণ করছিলো, অনুভব করছিলো। কিন্তু কষ্টের ব্যাপার হলো আজ সকলের এমন হাসিখুশির দিনেই সে তার পাশে নেই। এই জন্য বার বার মন ঢুকরে উঠছিলো। আশেপাশে হাসিঠাট্টা যেন বিষাদময় লাগছে তার কাছে। কুবরাকে চুপ থাকতে দেখে কুনুই দিয়ে নাড়া দেয় ইলিয়ানা।

ইলিয়ানাঃ কি গো চুপ করে আছো যে??

কুবরাঃ ধুরু কি যে সব বলো না তুমি। আমি কেন ওই পচা বাদাম মিয়াকে মিস করতে যাবো?

ইলিয়ানাঃ উমম.. আমি সবই বুঝি বুঝেছো?? নাদিম ভায়া তোমাকে আর তুমি নাদিম ভাইয়াকে ঠিক কতোটা ভালোবাসো তা তো আমি দেখেছিই। আমি কাউকে ভালো না বাসলে কি হবে। অন্যদের ভালোবাসা টের পাওয়া তো আমি শুভ্রা আর সাদাফ ভাইয়াকে দেখেই বুঝেছি। তা তুমি আমার কাছ থেকে কিছুতেই লুকোতে পারবে না। ( কুবরার মাথায় হাত দিয়ে)

কুবরা ইলিয়ানাকে আর কিছু বলে না চুপচাপ বসে আছে আর বাইরে তাকিয়ে ঝড়ো বাতাস দেখছে।

পরেরদিন সকালে🌄🌄🌄

মধ্যরাতেই ঝড় থেমে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ও দেশ কাটায়ে কলকাতার দিকে বয়ে গিয়েছে। আপাতত সব কিছু ঠিকঠাক। ফ্লাইট, যাতায়াত ব্যবস্থা ও ইতিমধ্যে চালু হয়ে গিয়েছে। সকাল থেকে ইলিয়ানা আর পারভেজরা গোছগাছ শুরু করে দিয়েছে। ১২ টা বাজতেই সকলে রেডি। ১ টার পর সকলে খেয়েদেয়ে বের হয়। সাদাফ শুভ্রা আর কুবরা তাদের সি-অফ করতে যায় এয়ারপোর্টে।

যাওয়ার সময় ইলিয়ানা কুবরা আর শুভ্রার জড়িয়ে ধরে একে অপরের কি কান্না।

ইলিয়ানাঃ তোমাদের খুব মিস করবো আমি। কতো ভালো ভালো মূহুর্ত কাটিয়েছি তোমাদের সাথে।

শুভ্রাঃ আমরাও। ওখানে গিয়ে আমাদের ভুলে যাবে না তো?

কুবরাঃ হ্যা। আমি কিন্তু তোমায় রোজ কল দিবো।

ইলিয়ানাঃ আচ্ছা দিও। কক্ষনো ভুলবো না তোমাদের আমি। বেড়াতে যেও কিন্তু। ঢাকা এসে কক্সবাজার ভুলে যেও না যেন।

ইলিয়ানার মা বাবা ইলিয়ানার এমন ব্যবহারে খুব খুশি। মনে মনে দুজনে শুভ্রাকে অজস্র ধন্যবাদ দেয়। শুভ্রাকে ফলো করেই আজ তাদের মেয়ে এতো পরিবর্তিত হয়েছে।

তারপর পারভেজ দের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে তারা এয়ারপোর্টের ভিতরে রওনা দেয়।

২ টাই ফ্লাইট উড়ে গন্তব্য দেয় কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে। প্লেন উড়ার সময় শুভ্রা আর কুবরা কক্সবাজারকে খুব মিস করছিলো। যতোই হোক ছোট বেলা থেকে তো সেখানেই বড় হয়েছে। সাদাফ দেখে দু বোনের মন বিষন্নতায় ছেয়ে গিয়েছে। এয়ারপোর্ট থেকে সাদাফ দুজনকে ফুচকা খাওয়া তে নিয়ে যায়।

দুজন তো ফুচকা পেয়ে মহাখুশি। কয়েক মূহুর্তের জন্য যেন তারা তাদের মন খারাপ কে ভুলে আনন্দতাকে বন্ধুত্ব করে নিয়ে ফুচকা খাওয়াতে মনোনিবেশ করলো।

বিকেল হতেই তারা বাড়ি ফিরে এলো। বাড়িটা কেমন ফাকা ফাকা লাগছে হঠাত। আজ কারো হৈ-হুল্লোড় নেয়, সবাই চুপচাপ। পরিবেশ টা যেন আবার আগের মতো হয়ে উঠে।

সন্ধ্যা ৭ টা মতো কুবরা টিভি দেখছিলো। সাদাফের মা এবং শুভ্রার মা রান্নাঘরে শুভ্রাকে রান্নায় হেল্প করছিলো। এমন সময় সাদাফ ফোনে কথা বলতে বলতে কুবরার পাশের সোফায় বসে।

সাদাফঃ কিরে কি বলিস? আমাকে না বলে থাইল্যান্ড চলে গেলি?

(অপর পাশে)ঃ —————————————-

সাদাফঃ ভাই তুই তো দেখছি আমার সাথে টক্কর দেওয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিস।

(অপর পাশে)ঃ————————————

সাদাফঃ নাদিম্মা তুই একবার দেশে আয়। তোকে দেখাচ্ছি আমি। আচ্ছা কাজে মন দে তাহলে রাখি।

নাদিমের নাম শুনা মাত্র কুবরা টিভি থেকে চোখ তোলে সাদাফের কথা বলার দিকে তাকিয়ে থাকে। আজ প্রাই ৩ দিন পর মনে হয় নাদিমের কোনো খবর তার কাছে গিয়েছে।

সাদাফের মাঃ কিরে নাদিম কল দিয়েছে নাকি? ছেলেটা কতোদিন বাড়ি আসে না। খুব দেখতে ইচ্ছে করছে রে।

সাদাফঃ আসবে কি করে। সে তো থাইল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছে।

থাইল্যান্ডের কথা শুনে শুভ্রার বুকটা মুচড় দিয়ে উঠে। তবে কি সেদিনের কথায় সে রাগ করে একেবারে দূরে চলে গিয়েছে? আর কাছে আসবে না বলে কুবরাকে কষ্ট দেওয়ার জন্যই সুদুর থাইল্যান্ডে চলে গেলো!!

সাদাফের মাঃ কি বলিস? হঠাৎ থাইল্যান্ডে কেন? বলা নেই কওয়া নেই ।

সাদাফঃ বলতে পারে নি নাকি। ওদিন ঝড় যে শুরু হয়েছিলো। সেদিন ফ্লাইট বন্ধ হওয়ার আগেই সে তড়িঘড়ি করে চলে গিয়েছিলো। আর ঝড়ের কারনে নেটওয়ার্ক না থাকায় কল ও ঢুকে নি তখন আমাদের ফোনে।

সাদাফের মাঃ তা না হয় বুঝলাম। তো এতো তাড়াহুড়ো করে থাইল্যান্ড যাওয়ার মানে কি বুঝলাম না।

সাদাফঃ বুঝোনি? তোমার ওই পাতানো ছেলে আমায় টক্কর দিতে চাচ্ছে। এতোদিন তো বেকার ছিলো যে তাও কতো বড়াই করে বলতো। তবে আংকেল অসুস্থ হওয়ার পর থেকে আরো দায়িত্ববান হয়ে উঠে। যে কাজটা।আংকেল পারে নি তা কদিনের পরিশ্রমে নাদিম তা দেখিয়েছে। দেশের বাইরেও বিজনেস ওয়ার্কে গিয়েছে সে।

সাদাফের মাঃ আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ যা করে ভালোর জন্য করে। আমিও খেয়াল করেছি ছেলেটস কদিনে কতোটা পালটে গিয়েছে। আর পাতানো ছেলে কি রে? এসব টক্কর ফক্করের কথা কোথা থেকে আসছে? তোরা দুজনই আমার কাছে সমান। মা নেই বলে ছেলেটাকে একটু আদর যত্ন করি। তাতেও তো এতো হিংসে। তুই না বেস্ট ফ্রেন্ড!

সাদাফঃ আরে আম্মু মজা করি আর কি। ওর সাথে মজা না করলে মনে ঠিক শান্তি জমে না। তবে আমিও খুশি আমার আকাইম্মা ভাইটা যে এতোটা রেস্পন্সিবল হয়ে উঠেছে।

কুবরার মনে যেন ঝড়ের বাতাস বইছে। কষ্টে, হাহাকারে, আর ছটফটানি তে থাকা অসহ্যকর হয়ে উঠছে।

সাদাফঃ কুবরা রিমোট টা দাও তো একটু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের খেলা চলছে। ( হাত বাড়িয়ে)

কি ভেবে কুবরা রিমোট উপরে তুলে ফেলে। সাদাফ প্রশ্নবোধক চাহনিতে কুবরার দিকে তাকিয়ে থাকায় বলে উঠেঃ “দিবো রিমোট, তবে মোবাইলটা দেন আমায়। খেলা দেখতে ভালো লাগে না আমার। ”

সাদাফঃ ওওও ভালো কথা বলেছো। তোমায় একটা মোবাইল কিনে দিতে হবে। ইশশ আমারও ঝামেলায় মনে ছিলো না ব্যাপারটা। এই নাও মোবাইল।

শুভ্রার মাঃ না না ওকে আবার মোবাইল কেন? শুভ্রা আর আমার টা আছে তো। লাগবে না।

কুবরাঃ তোমার একদম বেশি কথা। ভাইয়া আমাকে দিতে চাচ্ছে তাতে তোমার কি? সবার আছে শুধু আমার নেই। তোমার ওই বাটা মোবাইল দিয়ে আমি কি করবো বলোতো?

এই বলে কুবরা সাদাফের মোবাইলটা নিয়ে হন হন করে নিজের রোমে ঢুকে দরজা আটকে দেয়।

রোমে ঢুকা মাত্র সাদাফের কন্টাক্ট লিস্টে গিয়ে নাদিমের নাম্বার বের করে মায়ের মোবাইলে তুলে কুবরা। কতোদিন তার প্রিয় মানুষটার সেই আবেগ মাখানো কন্ঠস্বর শুনে না। নাম্বার ডায়েল করা মাত্রই খুশিতে চোখ চিক চিক করে উঠে কুবরার।

পরেক্ষনে কল দিতে গেলে বার বার এক মহিলা কন্ঠে বলে উঠে “নট রিচেবেল “।

দেশের বাইরে থাকায় নাদিমের মোবাইলে কল ঢুকছে ও না। পরে সাদাফের মোবাইল চেক করে দেখে নাদিমের সাথে সে মেসেঞ্জারে কথা বলেছে।

এই মুহূর্তে তার হাতে থাকা মায়ের বাটা মোবাইল টা আছাড় মেরে ছুড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছে করছে যে কেন তার মায়ের মোবাইল টা এমন। আজ একটা ফেসবুক একাউন্ট থাকতো বলে নিশ্চয় নাদিমের সাথে কথা বলতে পারতো।

হতাশা ভরা মন নিয়ে সাদাফের গ্যালারিতে নাদিমের ছবিগুলোর দিকে তাকিয়ে টপটপ চোখের পানি ফেলে কুবরা। নিশ্চয় সেদিনের কথাটা সত্যি করার জন্য আজ সে ইচ্ছে কর কুবরাকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। ঢুকরে ঢুকরে গলা ভেঙে কান্নার স্রোত বসে যাচ্ছে। তবে কি নাদিম কুবরাকে এবাবে শাস্তি দিচ্ছে! নাদিম কে মনে মনে আকতে আকতে মোবাইল টা পাশে রেখেই কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে পড়ে কুবরা।

#চলবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here