সবটাই তুমিময় পর্ব-🎁সারপ্রাইজ পর্ব🎁

0
3859

#সবটাই_তুমিময়
#লেখনিতে-মিথিলা মাশরেকা
🎁সারপ্রাইজ পর্ব🎁

-এভাবে চোরের মতো চুপিচুপি আমার রুমে ঢুকে সবকিছু ওলোটপালোট করছেন যে?কিছু সরিয়েছেন নাকি?এটা জানেন তো?এএসএ’র ঘরে চুরির দায়ে আপনাকে ঠিক কতোবড় মাশুল দিতে হতে পারে মিস অদ্রি?

চমকে উঠলাম অঙ্কুরের গলা শুনে।সকালে ব্রেকফাস্ট শেষে ওনাকে বেরিয়ে যেতে দেখেছিলাম।নিচে ড্রয়িংরুমের চারপাশে গার্ডসরা ছিলো বলে বিরক্তি নিয়ে উপরে করিডোরে পাইচারি করছিলাম।হুট করে মনে পরলো ক্যামেরা আর ফাইলগুলোর কথা।ওগুলো অঙ্কুরের কাছেই আছে।আর উনি অবশ্যই তা নিজের ঘরেই লুকিয়েছেন।তাই সাহস জুগিয়ে চুপচাপ ঢুকে পরেছিলাম তার রুমে।এতোএতো ট্রফি,ব্যাচ,মেডেলের ভীড়ে খুজতে লাগলাম ওগুলো।ছিমছামভাবে সাজানো পুরো ঘরটা এলোমেলো করে ফেলেছি একদম।ভেবেছিলাম ওনার আসতে দেরি হবে,গুছিয়ে নেবো।কিন্তু এবার ওনার গলা শুনে ভয়ে গলা শুকিয়ে আসলো আমার।পিছন ফেরার সাহসটাও হলো না।

-পেয়েছেন?ফাইলগুলো?

ওড়না খামচে ধরে চোখ‌ খিচে বন্ধ করে রইলাম।উনি বুঝে গেছেন সবটা।আর এর ফল মোটেও ভালো হবে না তা বেশ আন্দাজ করতে পারছি আমি।

-চোখ খুলুন।

মাথা নাড়িয়ে না বোঝালাম।উনি আরো গম্ভীরভাবে বললেন,

-চোখ খুলতে বলেছি!

একটা শুকনো ঢোক গিলে চোখ খুললাম।উল্টেপাল্টে থাকা বিছানার উপর বসে জুতো খুলতে ব্যস্ত উনি।বললেন,

-এটা কিন্তু বোকামো।মানে বড়সড় বোকামো।আপনার কি ধারনা?ওগুলো আপনার হাতের নাগালের মধ্যে রাখবো আমি?

নিজের গালে নিজের অদৃশ্য বিবেক ঠাটিয়ে চড় লাগিয়ে বললো,এই লোক দুশো পার্সেন্ট ঠিক বলেছে,এমনিতে তো নিজেকে চালাক দাবি করিস।আর আজ তোর মাথায় এটুক ঢুকলো না?আস্তেধীরে পিছোতে লাগলাম।উনি উঠে দাড়িয়ে ঘড়ি খুলতে খুলতে বললেন,

-রুমের বাইরে গেলে শাস্তিটা আরো বেশি হবে।

পা থেমে গেলো আমার।দরজা ঘেষে দাড়িয়ে রইলাম।অঙ্কুর শান্তশিষ্টভাবে তোয়ালে কাধে ঝুলিয়ে ওয়াশরুমের দিকে পা বাড়ালেন।দরজায় থেমে গিয়ে আমার দিক ফিরে বললেন,

-আমি বেরোনোর পর পুরো রুম একদম আগের মতো গোছানো চাই।একবিন্দু এদিক ওদিক হলেই….

কথা শেষ করেননি।ভেতরে ঢুকে গেলেন উনি।এই লোকের এই একটা চরম বদঅভ্যাস!কথা শেষ করেন না!সবসময় এই কাজটার জন্য ভয় হাজারগুন বেড়ে যায় আমার।কপাল চাপড়ে তাড়াতাড়ি সব গোছাতে লাগলাম।ওনার বেরোনোর আগেই হয়ে গেছে সবটা।জোরে শ্বাস নিয়ে আরো ভালোমতো খুতিয়ে খুতিয়ে দেখতে লাগলাম তবুও।দরজা খোলার শব্দে সেদিক তাকাতেই হাত মুঠো করে চোখ‌ বন্ধ করে নিলাম।অঙ্কুর শাওয়ার নিয়ে শুধু ট্রাউজারটা পরে‌ একদম উদোম গায়ে বেরিয়েছেন ওয়াশরুম থেকে।আওয়াজ আসলো,

-এইসব লজ্জাটজ্জা পরে পাবেন!এখানে এই ট্রফিটা আর মেডেলটা একসাথে রাখা ছিলো।উল্টে দিয়েছেন।তাছাড়া বুকশেলফে উপরের তাকে হুমায়ন আহমেদের চারটে বই ছিলো।দুটো নিচের তাকে রেখে দিয়েছেন।আরো অনেক ভুল করেছেন আপনি মিস অদ্রি!এবার এসবের জন্য বোনাস শাস্তিভোগ করুন!

-দ্ দেখুন মিস্টার অঙ্কুর,আমি তো….

-হেডেক হচ্ছে।কফি বানিয়ে আনুন আমার জন্য।

-কিহ্?

-ঠিকই শুনেছেন।একদম কফি নিয়ে রুমে ঢুকবেন।তার আগে নয়!বেরোন রুম থেকে!বেরোন!

এমনভাবে আদেশ করছে,যেনো আমি তার কাজের লোক!রাগে চোখ মেললাম।কিন্তু আবারো বন্ধ করে নিতে হলো চোখজোড়া।এখনো উনি শুধু ট্রাউজার পরেই আছেন।রাগী গলাতেই বললাম,

-আমি আপনার বাসার কাজের লোক নই!

-একবারো তা বলেছি?

-এভাবে ওর্ডার করতে পারেন না আপনি আমাকে!

-ওর্ডার নয়,শাস্তি!

-হোয়াটএভার!পারবো না!

-ও।তারমানে এর থেকে বেটার শাস্তি চাইছেন আপনি?বেশ!তাহলে এক কাজ করুন!মাথা ব্যাথা করছে,মাথায় হাত বুলিয়ে দিন!ঘুমাবো আমি।

-হোয়াট?

-এবারও ঠিকই শুনেছেন!আর হ্যাঁ,দুটোর একটা আপনাকে করতেই হবে মিস অদ্রি!নইলে….

আবারো অসমাপ্ত কথা!মাথায় হাত বুলাতে পারবো না তার।কোনোভাবেই না।কিন্তু কফিও‌ তো বানাতে পারি‌ না।চুলোই জ্বালাতে পারবো না হয়তো।আগুনে ফোবিয়া বলে মনিমা তো কিচেনের ধারেকাছেও ঘেষতে দিতো না কোনোদিন আমাকে।চোখ বন্ধ রেখেই আমতা আমতা করে বললাম,

-আ্ আমি কফি বানাতে পারি না!

অনেকক্ষন নিরবতা।আস্তে আস্তে চোখ খুললাম।অঙ্কুর বেডে বসে।গায়ে টিশার্ট দেখে শ্বাস নিলাম।কিন্তু ওনার চাওনি দেখে মনে পরলো কি বলেছি।জোর করে হাসি ফুটালাম মুখে।বললাম,

-ইয়ে আ্ আসলে মনিমা আমাকে কোনোদিনও….

-নায়েব কাকা!

আমার দিকে তাকিয়ে বেডে বসে থেকেই ডাক লাগালেন অঙ্কুর।একটুপরেই একজন বয়স্ক লোক ভেতরে আসলো।আগেও দেখেছি ওনাকে।পরিচয় জানার আগ্রহবোধ হয়নি শুধু।উনি কাধের গামছা হাতে নিয়ে হাত মুছতে মুছতে বললেন,

-কি হইলো অঙ্কুর বাবা?

অঙ্কুর আমাকে দেখিয়ে বললেন,

-মনিমার এই ননীর পুতলটাকে এক্ক্ষুনি কিচেনে নিয়ে যাও!এর হাতের রান্না খাবো আজ!সব রান্না আজ একে দিয়ে করাবে!

বড়বড় চোখ করে তাকালাম তারদিকে।বললাম কফিটাও বানাতে পারি না,আর উনি সোজা আমার হাতের রান্না খেতে চাইছেন?চেচিয়ে বললাম,

-কিইইই?আমি?রান্না?

-গেট লস্ট ফ্রম হেয়ার!মেয়ে নামের কলঙ্ক আপনি!কফিটাও বানাতে জানেন না?আজ রান্না শিখবেন আপনি!যতোক্ষন লাগে লাগুক!লান্চ না জুটলে দরকার পরলে ডিনার করবো একদম!তবুও আপনাকেই রান্না করতে হবে আজ!গেট আউট!

আবারো ধমক!আবারো ধমক দিলেন উনি আমাকে।প্রচন্ড রাগ হলো।অগ্নিদৃষ্টি তাক করে রাখলাম অঙ্কুরের দিকে।আর উনি বিরক্তি নিয়ে মাথা ধরে বেডে বসে।কোনো গুরুত্ব পায়নি আমার রাগী চাওনি।পা ছুড়ে বেরিয়ে এলাম রুম থেকে।নায়েব কাকা বললেন,

-চলো আহানিতা মা,অঙ্কুর বাবা যহন কইছে,তুমিই রান্না করবা,তোমারই রান্না করোন লাগবো আইজ!

-কিন্তু আমি তো….

-রান্না জানো না তাইতো?আরে এই বাসায় মস্ত মস্ত সব রাধুনি আছে!ওই কি জানি নাম?শাফ!শাফ!

-শেইফ?

-হ!হ!ওইডাই!ওরাই রান্না কইরা দিবো!আমি কমুনে অঙ্কুর বাবারে,তুমিই রান্না করছো!ওর মাথাব্যথা হইতাছে না?এক কাপ কফি দিলেই ওহনই ঘুমায়া পরবো ও!নিচে আসবো না আর!কে রান্না করলো হেইডাও বুঝবো না!

চোখ চকচক করে উঠলো আমার।খুশিমনেই কিচেনে আসলাম।কিচেনের যেপাশে স্টোভ বসানো,সেদিকটা ড্রয়িংরুমের সাথেই।ড্রয়িংরুম আর কিচেনের মাঝে ছোট দেয়ালের উপর স্টোভ।নায়েব কাকা ড্রয়িংয়ের এপাশেই অনেকটা দুরে দাড় করিয়ে দিলেন আমাকে।বললেন,

-তোমার রান্নাঘরে যাওন লাগবো না।এইহানেই থাকো!খালি দেইক্খা রাখো,ওরা কেমনে কি করে।যাতে অঙ্কুর বাবা কিছু জিগাইলে কইতে পারো।বুঝছো?

মাথা ঝাকিয়ে হ্যাঁ বুঝালাম।যাক!কিছুতো উপায় হলো!কুকিং এপ্রোন পরে দুজন শেফ কাটাকাটি করছিলেন কিছু।নায়েব কাকা ওনাদের কিছু বুঝিয়ে দিতেই তারা মাথা নাড়াতে লাগলো।শুরু হলো তাদের রান্না।বেশ আগ্রহ নিয়ে দেখছিলাম সবটা।তবে আগুন ছেড়ে দুরেই ছিলাম।আচমকাই একজন শেফের চুলোয় ধরে রাখা ফ্রায়িং প্যানের একদম উপরে আগুন ধরে গেলো।অনেকখানি জুরে উপরে উঠেছে আগুনটা।সাথেসাথেই কোনো এক বিস্ফোরনের দৃশ্য ভেসে উঠলো চোখের সামনে।আম্মু বলে চিৎকার করে মেঝেতে লুটিয়ে পরলাম।আবছা হয়ে আসলো চারপাশ।

.

জ্ঞান ফেরার পর ড্রয়িংরুমের মেঝেতেই খুজে পেলাম নিজেকে।মাথার নিচে কুশন দেওয়া।আশেপাশে তাকিয়ে শেইফ দুজন আর নায়েব কাকাকে দেখতে পেলাম।গলায় স্থেটোস্কোপ আর এপ্রোন পরিহিতা একজন মহিলাও আছেন।ডক্টর!আমার পাশেই হাটুগেরে বসে উনি।মাথাটা ধরে আস্তেধীরে উঠে বসলাম কোনোমতে।অঙ্কুরকে দেখলাম বুকে হাত গুজে অনেকটা দুরে চিন্তিতভাবে দাড়িয়ে আছেন।ডক্টর বললেন,

-এখন কেমন ফিল করছেন মিস আহানিতা?

-জ্বী,ঠিকাছি।তবে একটু ব্যাকপেইন হচ্ছে।

উনি অঙ্কুরের দিকে তাকিয়ে বললেন,

-আপনাকে বলেছিলাম মিস্টার অঙ্কুর, ওনাকে কোলে তুলে রুমে নিয়ে যেতে!দেখুন,মেঝেতে ছিলেন বলে ব্যাকপেইন হচ্ছে ওনার!

-উনিই বলেছেন ওনাকে স্পর্শ না করতে।

সরু চোখে তাকিয়ে রইলাম অঙ্কুরের দিকে।আমি অসুস্থ্য হয়ে পরেছি,আমার ওই দশাতে তার এই স্পর্শ না করার কথাটাই বড় হলো?ডক্টর ঠোট টিপে হাসলেন।তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,

-আপনার অন্যকোনো….

-না!ঠিকাছি আমি!

উনি উঠে দাড়ালেন।এগিয়ে গিয়ে অঙ্কুরকে বললেন,

-আমি আসছি মিস্টার অঙ্কুর।আই হোপ,আপনার কাজে লাগতে পেরেছি!

-ইয়েস ডক্টর।থ্যাংক ইউ!

-মাই প্লেজার!

ডক্টর বেরিয়ে গেলেন।গলার ওড়না ঠিকঠাকমতো টেনে গায়ের ময়লা ঝেরে মেঝে থেকে উঠে দাড়াতে যাবো,অঙ্কুর দুটো কাগজ আমার কোলে ছুড়ে মারলেন।

-এটা কি?

-আপনার মেডিকেল রিপোর্ট!

-এটুকোর জন্য আবার মেডিকেল রিপোর্ট?আপনাকে না বলেছি,আমাকে নিয়ে না ভাবতে!আগুনে ফোবিয়া আছে আমার।তাই সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিলাম।আর কিছু না!

-এটা আগের রিপোর্ট!

একটু আশ্চর্য লাগলো।ভ্রুকুচকে বললাম,

-কবেকার?

-যেদিন আপনাকে এ বাসায় আনা হয়।সেদিনও তো সেন্সলেস ছিলেন আপনি।ওইদিনই কিছু টেস্ট আর চেকাপ করা হয়েছিলো আপনার।রিপোর্টগুলো আজই দিয়েছে ডক্টর।

ধপ করে গায়ে আগুন ধরে গেলো আমার।রিপোর্ট মেঝেতে ফেলে উঠে দাড়িয়ে বললাম,

-হাউ ডেয়ার ইউ?আমার অজ্ঞান হওয়ার সুযোগ নিয়ে আপনি চেকাপ করিয়ে ফেললেন আমার?টেস্টও করিয়েছেন?একবারও আমার অনুমতি….

-সেরোগেশনের আগে আপনার মেডিকেল হিস্ট্রি জানাটা জরুরি ছিলো।তাই…

-হোয়াট দ্যা হেল?কিসের মেডিকেল হিস্ট্রি?আমি তো কোনো সেরোগেশন করাবোই না!ইউ নো দ্যাট!আর….

এতোক্ষনে আমার দিকে ফিরলেন উনি।চোখদুটো রক্তিম হয়ে আছে তার।যা দেখেই থেমে গেলাম আমি।হাতদুটো মুঠো করে রেখেছেন।ফর্সা গলার রগগুলো জেগে উঠে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে।অঙ্কুর চোয়াল শক্ত করে বললেন,

-আপনি করাতে চাইলেও তা সম্ভব না মিস অদ্রি।কারন রিপোর্টে স্পষ্ট বলা,সেরোগেশনের জন্য ফিজিক্যালি রেডি নন আপনি!

আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো খুশিকে দিয়ে যদি সর্বোচ্চ আনন্দটাকে বোঝানো হয়,তবে আমি যেনো সেই আকাশের চাঁদটাকেই হাতে পেলাম।ভেতরটা আনন্দে নেচে উঠলো।মনপ্রান জুড়ে প্রশান্তি বয়ে গেলো আমার।ঠোটে খুশির হাসি।খুশিতে কি বলবো ভেবেই পাচ্ছি না।তবুও চকচকে চোখে অঙ্কুরের সামনে দাড়িয়ে বললাম,

-দ্ দেখেছেন?দেখেছেন মিস্টার অঙ্কুর?আ্ আমি…আমি ফিজিক্যালি ফিট নই সেরোগেশনের জন্য!ফিট নই!তারমানে আপনার বেবির জন্য সেরোগেট মাদার আমি হতে পারবো না!আমাকে আর আপনার শর্ত মানতে হবে না!এবার তাহলে আমাকে ছেড়ে দিন?যেতে দিন এখান থেকে?আমি তো….

-খুব তাড়াতাড়িই আমাদের বিয়ে হচ্ছে মিস অদ্রি!গেট ইউরসেল্ফ রেডি!

আমাকে শেষ করতে না দিয়েই কথাটা বললেন অঙ্কুর।কথাটা কর্নগোচর হয়ে কানে বাজতে লাগলো কয়েকবার।কথাটার মানে গোছাতে মস্তিষ্কের নিউরনগুলো বেশ অনেকটা সময় লাগিয়েছে।কিন্তু বুঝ আসতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো আমার।এটা কি শুনলাম আমি?ঠিক শুনলাম?এটাই বললেন অঙ্কুর?থমকে আছি যেনো।চারপাশও আটকে গেছে বলে মনে হচ্ছে।অত্যন্ত শান্তভাবে এটুক বলে সিড়ি বেয়ে উপরে চলে গেলেন অঙ্কুর।ধপ করে আবারো মেঝেতে বসে পরলাম।আবার কি ঘটতে চলেছে আমার জীবনে?বিয়ের কথা করনো বললেন অঙ্কুর?ঠিক কি করতে চাইছেন উনি?

#চলবে…

[ সারপ্রাইজিং ছিলো?🙃
পর্বটা মুলত আরো দুটো পর্ব পর দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম।কিন্তু কাল ঈদ,মাঝে গ্যাপ দিয়েছি দুদিন আর আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ সুস্থ্য আছি খানিকটা।তাই আজকেই দিয়ে দিলাম।সকল রিডার্সদের অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা,দোয়া আর ভালোবাসা।খুব ভালো কাটুক আপনাদের ঈদ।ঈদ মোবারাক❤ ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here