#ভিলেন
#পার্টঃ৪২
#লেখনীঃ Gazi Snigdha Hossain Mona
মেঘলাঃ এই শুনছিস…???
আকাশ উল্টো পাশে ঘুরে দাঁড়িয়ে আছে উত্তর দিচ্ছে না।মেঘলা আকাশের রাগ ভাংগানোর চেষ্টা করছে কিন্তু কি বলবে বুঝতে পারছে না তাই নাবিল মেঘলা কে শিখিয়ে দিচ্ছে।
মেঘলাঃ ধুর বাবা ও কিছুই বলছে না তাহলে আমি কি বলব?নাবিলের কানে ফিস ফিস করে বলল মেঘলা।
নাবিলঃ এত সহজে বলবে নাকি আবার বল…
মেঘলাঃ ভাইয়া শুনছিস..??
আকাশঃ না শুনছি না তোরা ২ টা এই মুহূর্তে এখান থেকে যা। বিরক্ত করবি না
মেঘলা পিছিয়ে আসছে,
নাবিলঃ উফফ এই মেয়েকে দিয়ে আসলেই কিছু হবে না এদের নিয়ে আর পারলাম না।
ওই কোথায় যাচ্ছিস?
মেঘলাঃ ও ত যেতে বলল জোর করলে যদি রেগে যায়..??
নাবিলঃ গাঁধা তোর মাথায় কি গোবর ছাড়া কিছুই নেই? যা ওকে ম্যানেজ করার চেষ্টা কর বলে নাবিল মেঘলালে ধাক্কা দিয়ে আকাশের দিকে এগিয়ে দিল।
মেঘলাকে নাবিল ইশারায় বুঝিয়ে দিচ্ছে কিন্তু মেঘলা বোকার মত দাঁড়িয়ে আছে…
নাবিলঃ উফফ বল…
মেঘলাঃ তোকে অনেক চকলেট কিনে দিব তবুও ক্ষমা করে দে প্লিজ।
কথাটা শুনে আকাশ নাবিল ২ জনেই অবাক হল আকাশ মেঘলার দিকে ঘুরে দাঁড়াল।
মেঘলাঃ সিরিয়াসলি আই প্রমিজ, আমি তোকে অনেক চকলেট কিনে দিব প্রতিদিন ডায়নীবুড়ির গল্প শুনাব ঘুম পাড়ানি গান শুনাব তবুও রাগ করে থাকিস না।
নাবিল মেঘলার কথা শুনে হতবাক সাথে রেগেও গিয়েছে তাই ধমক দিয়ে বলল… কিসব আলতু ফালতু অফার করছিস ভাল কিছু বল…
মেঘলাঃ এগুলা ভাল না..??
নাবিলঃ ওহ গড…আকাশ কি ছোট বাচ্চা যে চকলেট এর লোভে পড়বে আর ডায়নিবুড়ির গল্প শোনার বয়স কি ওর আছে..??
মেঘলাঃ তাহলে কি বলব বিরিয়ানি খাওয়াব বলি..??
মেঘলা আর নাবিল কথা বলছে ওদের কথা শুনে আকাশের খুব হাসি পাচ্ছে কিন্তু এদের সামনে রাগের অভিনয় করতে হবে তাই হাসতে পাচ্ছে না।
নাবিলঃ তুই না একটা ছাগল তোর দ্বারা কিছু হবে না।
মেঘলাঃ উফফ তাহলে কি বলব শিখিয়ে দে।
নাবিলঃ বলবি আই এম সরি, আই লাভ ইউ এই টাইপের কিছু…
মেঘলাঃ ও আচ্ছা আচ্ছা ঠিক আছে বলতেছি…
আকাশ এবার হেসেই দিল…
আকাশঃ একটা গাঁধা একটা ছাগলকে বুদ্ধি দিচ্ছে ব্যাপার টা হাস্যকর।আচ্ছা নাবিল তুই যে শিখিয়ে দিচ্ছিস সেটা কি আমি দেখতে পাচ্ছি না…??এগুলি ত মেঘলার নয় তর কথা তাহলে এগুলা বলে কি লাভ?
আর শোন মেঘলাকে আমি এক যুগে বদলাতে পারি নি তুই এখন পারবি কি করে ওকে যতই শিখা ও সেই চকলেটেই আটকে থাকবে।তাই ওকে বড় করার বৃথা চেষ্টা বাদ দে আর আমাকে এসব বলে কোন লাভ নেই।
মেঘলাঃ আমি বড়দের মত আচারন করলে তুই যে আরও রেগে যাবি সেটা কি আমি জানি না? তোকে কোন ভাষায়, কি বললে তোর মন গলবে সেটা আমার ভাল করেই জানা আছে তাই যতই হাস্যকর হোক আমাকে আপাতত এই ন্যাকামিগুলি চালিয়ে যেতে হবে
(মনে মনে)
মেঘলাঃ আমি ত সবচেয়ে ভাল অফার করলাম আমাকে যদি চকলেট দিত আর ডায়নিবুড়ির গল্প শুনাত তাহলে আমি খুশিতে বাকি সব ভুলে যেতাম।
নাবিল অবাক হয়ে আকাশের দিকে তাকাল,
আকাশঃ এবার বুঝেছিস এটা কি জিনিস?তবে ভাল লাগছে এটা দেখে যে আজ অনেক দিন পর মেঘলা আবার আগের মত আচারন করছে যেমন টা আমার ভাল লাগত।
মেঘলাঃ তা হলে সেই ভাল লাগা থেকেই ক্ষমা করে দে।
আকাশঃ উফস কি বলে ফেল্লাম (মনে মনে) কথা ঘুরানোর জন্য বলল,নাবিল এটাকে নিয়ে এখান থেকে বিদায় হ তানাহলে খুব খারাপ হয়ে যাবে বলে দিলাম
নাবিলঃ হুম ঠিকি আছে এমনিতেও ও ভালর চেয়ে ঝামেলাই বেশি করবে মনে হচ্ছে ওকে নিয়ে চলে যাওয়ায় ভাল এই মেঘলা চল এখান থেকে তোর কথা শুনলে মানুষের রাগ বাড়বে কমবে না।
মেঘলাঃ আমি যাব না ছাড় বলছি… কোথায় নিয়ে যাচ্ছিস।
নাবিল মেঘলাকে নিয়ে যাচ্ছে আকাশ ও পিছন পিছন আসছে আকাশ মুলত নিজের ঘরে যাচ্ছে এতক্ষন বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল।
আকাশ এসে দরজা খুলে ভিতরে যেতে চাই ল
ঠিক তখন নাবিল আকাশের রুমের সামনে এসে মেঘলার হায়ে চিমটি কাটল…
মেঘলা ব্যাথা পেয়ে চিৎকার করে উঠল।
মেঘলাঃ আহ….
আকাশ ভিতরে যাওয়া বাদ দিয়ে ঘুরে দাঁড়াল।
আকাশঃ উফফ নাবিল আমি ওকে নিয়ে যেতে বল্লাম মারতে বলি নি ব্যাথা পাচ্ছে ত আস্তে নিয়ে যা…
নাবিলঃ হুম নিয়ে যাচ্ছি ওর ঠিক যেখানে যাওয়া উচিত সেখানেই নিয়ে যাচ্ছি…বলেই মেঘলাকে আকাশের উপড় ছুড়ে মারল আকাশ ধাক্কা সামলাতে না পেরে রুমের ভিতর গিয়ে পড়ল।
নাবিল সাথে সাথে এসে দরজা লাগিয়ে দিল।
আকাশঃনাবিলের বাচ্চা কি করলি.?
নাবিলঃ সরি গাইজ আমি জানি আপনাদের ২ জনের শরীরেই ব্যাথা কিন্তু এছাড়া আর কোন উপায় ছিল না এখন এক জন আরেক জনকে মারেন কাটেন যাই করো ঘরের ভিতরে করেন।
আকাশঃ নাবিলের বাচ্চা ভাল হচ্ছে না দরজা খোল বলছি।
আকাশ নিচে মেঘলা আকাশের উপড়ে পড়েছে।আকাশ নাবিলকে বকা দিচ্ছে। মেঘলা আকাশের রাগ ভাংগানোর এই সুযোগ টা হাতছাড়া করতে চায় না তাই আকাশকে আটকানোর কোন উপায় না পেয়ে কেঁদে দিল….
আকাশঃ আরে তোর আবার কি হল..??
মেঘলাঃ এ্যা….এ্যা এ্যা…
আকাশঃ কিছু হওয়ার আগেই বাচ্চাদের মত এ্যা এ্যা করা শুরু করে দিস লজ্জাও করে না?
মেঘলাঃ ইনসাল্ট করবি না….
আকাশঃ এ্যা এ্যা করা বন্ধ করে বল কি হয়েছে?
মেঘলাঃ এ্যা আমার কোমড় এ্যা এ্যা….
আকাশঃ আবার এ্যা এ্যা….চুপ কর।
মেঘলাঃ ব্যাথা পেয়েছি তো…
আকাশঃ সেটা তোর ভাই কে গিয়ে বল আমি ফেলেছি নাকি?আকাশ উঠে মেঘলাকেও তুলল।
দেখি কোথায় লেগেছে?আকাশ মেঘলাকে নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ল
কিন্তু হটাৎ লক্ষ্য করল মেঘলা মুচকি মুচকি হাসছে
আকাশঃ হারামি আমার সাথে ফাযলামি করিস?নাবিল আমাদের আটকে দিয়েছে জন্যে ভাবিস না আমি এখন তোর সাথে গদ গদ প্রেম শুরু করে দিব তুই আমার সাথে একটাও কথা বলবি না বুঝেছিস ওখানে গিয়ে চুপচাপ বসে থাক..
মেঘলা মুখে আংগুল দিয়ে বসে আছে
আকাশ ফোন টিপছে…
কিছুক্ষন পর মেঘলাঃ এই শোন না…
আকাশঃ আবার..??
মেঘলাঃ আচ্ছা তুই যা বলবি এখন থেকে তাই করব তবুও মাফ করে দে…
আকাশঃ যা বলব করতে পারবি..??
মেঘলাঃ হুম।
আকাশঃ এটাই তো চাইছিলাম তা নাহলে আমি ত জানতামই আমি খারাপ ব্যাবহার করলে তুই রিয়েক্ট করবি।
মেঘলাঃ কি করতে হবে বল
আকাশঃ আমাকে তুই করে বলা যাবে না…
মেঘলাঃ এ্যা.?
আকাশঃ এ্যা নয় হ্যা ২য় কথা কখনো সোসাইড এর চেষ্টা করা যাবে না মন দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে।
মেঘলাঃ আচ্ছা আচ্ছা আমি সব কিছুতেই রাজি।
আকাশঃ ভ করে ত শুনিসেই নি মনে থাকবে.?
মেঘলাঃ হুম হুম একদম…. এবার আমাকে আই লাভ ইউ বল।
আকাশঃ আজব আই লাভ ইউ বলব কেন?
মেঘলাঃ একটু আগেই ত ডিল হল।
আকাশঃ এটা ত রাগ ভাংগার ডিল হয়েছে প্রেম করার না…
মেঘলাঃ আমি কিছু শুনতে চাই না আই লাভ ইউ বল বল বল আমি তোর সাথে প্রেম করব এটাই শেষ কথা।
আকাশঃআমি করব
না।আরে মেঘলা কি করছিস…
মেঘলা আকাশকে বিছানায় ফেলে দিয়ে আকাশের উপড়ে উঠে গিয়েছে….
আকাশঃ মেঘলার বাচ্চা আমাকে পাগল না করে তুই ঠিক হবি না তাই না…?? সর বলছি।
মেঘলাঃ আই লাভ ইউ বল বল বল
এরমধ্যেই নাবিল দরজা খুলল আর আকাশ, মেঘলাকে এই অবস্থায় দেখে চোখ বন্ধ করে নিল।
নাবিলঃ সরি সরি আমি বুঝতে পারি নি…
আকাশঃ সালা চোখ বন্ধ না করে আমার দিকে তাকিয়ে দেখ কি অবস্থা করেছিস তুই আমার…??
নাবিলঃ ব্রো একে ভালবাসার অত্যাচার বলে তুই ত ভাগ্যবান তোর এমন একজন আছে ইসস আমার কেন যে এমন একটা মেঘলা হল না, যদি থাকত সারাদিন আদর করতাম।
আকাশঃ উমম (চোখ পাকিয়ে)
নাবিলঃ আরে আমি মেঘলার মত কারো কথা বল্লাম মেঘলাকে আদর করব বলি নি।
মেঘলাঃ ধুর তোরা ফালতু কথা বাদ দে তো, এই নাবিল ভাইয়া তুই ওকে বল না আমাকে আই লাভ ইউ বলতে।
নাবিলঃ বাচারি এভাবে বলছে বলে দে না আকাশ
আকাশঃ ইম্পসিবল আমি ওর সাথে প্রেম করব না।
মেঘলাঃ করবি না তো…???
আকাশঃ না
মেঘলাঃ বেশ তবে দেখ এখন আমি কি করি…
আকাশঃ এই শোন শোন কিছু করিস না আমি প্রেম করব।তবে শর্ত আছে
মেঘলাঃ আমি যেকোন শর্তে রাজি
আকাশঃ গুড তাহলে আমাকে প্রতিদি চকলেটের বদলে অন্য কিছু খাওয়াতে হবে
মেঘলাঃ চকলেটের বদলে আইস্ক্রিম তাই তো আচ্ছা খাওয়াব।
আকাশঃ এবার তুই বল নাবিল মেজাজ টা এখন কেমন লাগে..??ওর সাথে প্রেম করা সম্ভব?
নাবিলঃ ও অন্যকিছু চায়ছে রে গাঁধা
মেঘলাঃ সেটা কি..?? না বললে বুঝব কি করে?
আকাশঃ থাক আর বুঝে কাজ নেই আমি প্রেম করব না যা
মেঘলাঃ আমিও বাবার বাসায় চলে যাব এখানে থাকব না।
আকাশঃ পা ভেংগে দিব…
মেঘলাঃ থাল্লা নিয়ে রাস্তায় বসে থাকব
আকাশঃ সাহস কত..??
মেঘলাঃ তো প্রেম করবি না কেন..??
আকাশঃ আমার ইচ্ছা…
মেঘলাঃ ঠিক আছে তোকে মামা বলে ডাকবে আমার বাচ্চা।
আকাশঃ কি…??
মেঘলাঃ কি নয় জ্বি….
নাবিলঃ হয়েছে হয়েছে আপনারা কবিতা বলা বন্ধ করেন আচ্ছা তুই যা চাইছিস মেঘলা দিবে তবুও তুই রাজি হয়ে যা।
আকাশঃ দিবে তো..?? তুই সাক্ষি..
মেঘলাঃ আরে কি দিব সেটা ত বল
নাবিলঃ সে যাই হোক তোর খাওয়াতে হবে না আকাশ খাবে তুই শুধু বাধা দিস না তাহলেই হবে।
মেঘলাঃ আচ্ছা বেশ আমি রাজি।
আকাশঃ প্রমিজ..??
মেঘলাঃ প্রমিজ।
আকাশ হাসতে হাসতে মেঘলাকে জড়িয়ে ধরে বলল পাগলি আমি তোর সাথে কোন রাগ এই করি নি আমি ত জানতামেই আমি খারাপ ব্যাবহার করলে তুই রিয়েক্ট করবি কিন্তু আমাকে কষ্ট দেওয়ার অনুশোচনায় উল্টা পাল্টা কিছু করিস কিনা সেটা দেখার জন্যঅ এতক্ষন অভিনয় করলাম যাক আমি সাকসেস তোর মাথা থেকে আত্মহত্যার ভুত নামল তবে..
নাবিলঃ কি এসব অভিনয় ছিল
আকাশঃ তা নয়ত কি এই পাগলি টাকে তো আমি নিজের চেয়েও বেশি ভালবাসি।
নাবিলঃ তোরা ২ টাই সাইকো ফাউল পোলাপান আমার প্রেসার টাই বাড়িয়ে দিলি আমি যদি স্ট্রোক করি না তোদের দোষ বলে দিলাম বলে নাবিল চলে যেতে চাইল।
মেঘলাঃ কোথায় যাচ্ছিস..??
নাবিলঃ তোদের রোমেন্সের মাঝখানে আমি থেকে কি করব?
মেঘলাঃ কিসের রোমেন্স কি যে বলিস না তুই।
নাবিলঃ আকাশ নামক জিনিস টাকে তুই না চিনলেও আমি ভাল করেই চিনি,চারটা বছর যে ও কষ্ট পেল তোর কি মনে হয় তোকে এমনি এমনি ছেড়ে দিবে?তার শোধ তুলবে না? এখন তোর কি অবস্থা করবে সেটা শুধু ওই জানে আমি এসবে থাকতে চাই না বাবা তাই ভাগছি…
মেঘলাঃ ভাইয়া আমার কথা টা শোন,যাস না প্লিজ।
আকাশঃ দরজা টা লক করে দিস নাবিল
নাবিল যেতে যেতে বলল,সে আর বলতে। নাবিল দরজা লাগিয়ে দিয়ে চলে গেল।
মেঘলা আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে…
মেঘলাঃ তুই কি সত্যি কিছু করবি…
আকাশ হাসতে হাসতে মেঘলার দিকে এগিয়ে গেল।
মেঘলা আকাশের থেকে একটু দূরে গিয়ে বলল,কিছু করবি না বলছি..
আকাশঃ প্রেম ত আমি করতে চাইনি তুমি চেয়েছো বেবি।
মেঘলাঃ আমি কেঁদে দিব কিন্তু।
আকাশঃ অনেক করেছো তুমজ এবার আমার পালা…বলেও একটানে মেঘলাকে এনে বিছানায় ফেলে দিল আকাশ
মেঘলা অভিনয় করে বলল আহ আমার কোমড়…
আকাশ মেঘলার উপড়ে এসে মেঘলার হাত ২টি বিছানার সাথে চেপে ধরে বলল,
আকাশঃ তোর কোমড়ে কোন ব্যাথা নেই আমি জানি।তাই ফালতু অভিনয় করে লাভ নেই।
মেঘলাঃ ভাল হচ্ছে না ছাড়…
আকাশঃ আপনাকে আদর করার জন্য আমি ধরে আনি নি…
মেঘলাঃ তাহলে..??
আকাশঃ হিসেব মিলাতে চাচ্ছি শাস্তি গুলি দিতে হবে না?
মেঘলাঃ কিসের শাস্তি কিসের হিসেব?
আকাশঃ প্রথম হিসেব আমি তোকে কত ভালবাসি সেটা তুই জেনেও তুই নিলিমার কথায় সোসাইড করতে চেয়েছিলি কেন তার শাস্তি…
মেঘলাঃক ক কি শাস্তি দিবি…??
আকাশ মেঘলাকে চেপে ধরে মেঘলার গলায় কামড় বসিয়ে দিল
মেঘলাঃ আ আ আ..কি করছিস ছাড় আমার লাগছে…
আকাশ ছেড়ে দিল,
মেঘলাঃ কি করলি এটা ভিলেন কোথাকার.??
আকাশঃ লাগার জন্যই দিলাম ভিলেন বল যাই বল আমার কিছু যায় আসে না।
মেঘলাঃ ভাল হয়েছে কামড় দিয়েছিস আমি বাসায় ফিরে দাগ দেখিয়ে তোর কথা বিচার দিব বলব তুই একটা ভিলেন আমায় মেরেছিস…
আকাশঃ হা হা হা সবাই তখন কি বলবে জানিস?
মেঘলাঃ কি বলবে..??
আকাশঃ বলবে এটা কামড় নয় লাভ বাইট…
মেঘলাঃ😳😳
আকাশঃ আচ্ছা প্রথম শাস্তি গেল ২য় শাস্তি… প্রথম ৬ মাস আমার সাথে যোগাযোগ কেন করলি না? নাবিল কে একবার বললেই ত যোগাযোগ করিয়ে দিত।
মেঘলাঃ ইচ্ছে হয়েছে তাই করি নি
আকাশঃ আমারো এখন ইচ্ছে করেছে ত
মেঘলাঃ কি ইচ্ছে করছে
আকাশঃ মেঘলার ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে দিল।
মেঘলা আকাশকে ছাড়ানোর চেস্টা করছে কিন্তু আকাশ মেঘলার হাত চেপে ধরে রেখেছে আর ঠোঁট ২ টিকে ইতিমধ্যে ললিপপে পরিনত করে নিয়েছে সে ভুলেই গিয়েছে যে এগুলি ললিপপ না মেঘলার ঠোঁট।
বেশঅনেক্ষন পর ছাড়ল।
মেঘলাঃ আ আ আ…. আমার ঠোঁট…
আকাশঃ আগে শাস্তি দেই তারপর ট্রিটমেন্ট এত ব্যবস্থা করব।
মেঘলাঃ আরো শাস্তি..???
আকাশঃ অবশ্যই ৩য় হিসেব জ্যাকেট খুলে ফেলা..
মেঘলাঃ ও মাগো… এখন কি তবে পেটে কিস করবি…???প্লিজ প্লিজ এটা করিস না আমার কেমন জানি লাগে…
আকাশঃ সেটা আগে মনে ছিল না? আমাকে বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে নিজেই ব্যাথা পাবি সো নড়াচড়া করবি না।বলেই আকাশ মেঘলার টিশার্ট টেনে উপড়ে তুলে দিতে চাইল।
মেঘলা টিশার্ট আখরে ধরে বলল কি করছিস?
আকাশঃ হাত সরা তোর শাস্তি যতটুকু পাওনা ততটাই দিব তার বেশি না ওদিন যতটুকু দেখিয়েছিলি আমি ততটুকুই দেখব।
মেঘলাঃ দেখিস না প্লিজ
আকাশঃ সবাইকে দেখাতে পারিস আমি দেখলে কি সমস্যা..??ছাড় বলে মেঘলার হাত সরিয়ে দিয়ে আকাশ মেঘলার টিশার্ট একটু উপড়ে তুলে দিয়ে মেঘলার পেটে ঠোঁট বুলাতে লাগল।
মেঘলা আকাশ কে সরানোর চেস্টা করেও পারল না।
কিছুক্ষন পর,
আকাশঃ ৪ নাম্বার হিসেব….
মেঘলাঃ না আ আ আ….
আর কোন শাস্তি না আমি কান ধরছি আর কখনো কোন ভুল করব না আমাকে আর এমন শাস্তি দিস না…যা করেছি ভুল করেছি আর কখনো করব না…
আকাশ মেঘলার দিকে তাকিয়ে ভিলেনি হাসি দিল
।
।
।
।
।
চলবে….!!!