#ভিলেন
#পার্টঃ৬১
#লেখনীঃ Mona Hossain
দরজা খুলে আকাশ বেশ অবাক হল।
কারন মেঝেতে মেঘলার জামা পড়ে আছে আকাশ জামাটা হাতে নিয়ে বিছানার দিকে তাকাতেই আকাশের হাত থেকে প্লেট টা পড়ে গেল।
এমন একটা দৃশ্য তার জন্য অপেক্ষা করছে সেটা আকাশ চিন্তাও করতে পারে নি।
প্লেট ভাংগার শব্দে মেঘলার ঘুম ভাংগল।
মেঘলা আড়মোড় ভেংগে বলল তুই এত সকালে আমার ঘরে কি করছিস…??
আকাশ রীতিমতো কাঁপছে…মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে না।
মেঘলাঃ কিরে স্ট্যাচু হয়ে গেলি নাকি? কি হয়েছে?এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?
আকাশঃ এ এ এ এসবের মানে কি মেঘলা…??
মেঘলাঃ বলছি আগে শার্ট টা দে আমার জামাটা তো খাবার ফেলে নস্ট করে ফেলেছিস।
আকাশঃ এমনভাবে কথা বলছিস যেন কিছুই হয় নি..?
মেঘলাঃ শার্ট দিবি নাকি এভাবেই উঠে আসব বলে মেঘলা কম্বলের নিচ থেকে বের হতে চাইল।
আকাশ সাথে সাথে নিজের শার্ট খুলে মেঘলার দিকে ছুড়ে মারল।
মেঘলা শার্ট টা পড়ে বিছানা থেকে নেমে দাঁড়াল।
মেঘলাঃ এবার বল কি হয়েছে..??
আকাশঃ না কিছু হয় নি তবে হবে বলে মেঘলার ঘরের দরজা বন্ধ করে এগিয়ে গিয়ে বিছানা থেকে নিরব কে টেনে নামাল তারপর মারতে শুরু করল।
মেঘলাঃ কি করছিস ছাড় ওকে যা বলার আমাকে বল ওকে মারছিস কেন..??
আকাশের কানে মেঘলার কথা ঢুকছে না
আকাশঃ আমার বাসায় ঢুকার আগে বুক কাঁপল না?কোন সাহসে এখানে এসেছো?বলতে বলতে মারছে নীরব কে।
মেঘলা আকাশকে টেনে থামিয়ে দিল,
মেঘলাঃ কেন ও ভয় পাবে কেন..??
আর আমিই বা পাব কেন আমি যেটা ভিডিও তে দেখেছিলাম তুই সেটা বাস্তবে দেখলি পার্থক্য এইটুকুই তোর টা অবৈধ ছিল আর আমার টা বৈধ।নীরব আমার বর ওর সাথে আমি থাকতেই পারি।
আকাশ এবার মেঘলাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল।
নীরবঃ মেঘলা… বলে গিয়ে মেঘলাকে টেনে তুলল।
আকাশঃ বর…?? ও বর হলে আমি কে? কিরে বল আমি কে? জবাব দে।
মেঘলাঃ কেউ না তুই আমার কেউ না।
মেঘলার বলতে দেরি হল কিন্তু আকাশের তাকে মারতে দেরি হল না।
হটাৎ নিরব আকাশের হাত ধরে ফেলল,
নিরবঃ অনেক হয়েছে ওকে মারার কোন রাইট তোমার নেই আকাশ মেঘলা ছোট বাচ্চা না ও কার সাথে থাকবে সেই সিধান্ত নেয়ার অধিকার ওর আছে তুমি জোর করে তোমার সিধান্ত মেঘলার উপড় চাপিয়ে দিতে পারো না আর একবার মেঘলার গায়ে হাত তুললে আমি সেটা সহ্য করব না।
আকাশঃ তাই নাকি দেখি তুই আমাকে কিভাবে আটকাস।
বাক বিতন্ডায় আকাশ আর নিরবের মাঝে হাতাহাতি লেগে গেল কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজি না।
বাসার সবাই হতবাক হয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে আছে।জানলা দিয়ে দেখা গেলেও দরজা বন্ধ থাকায় কেউ ভিতরে আসতে পারছে না।
মেঘলা চেস্টা করছে ২ জনকেই থামাবার কিন্তু সম্ভব হচ্ছে না।
হাতাহাতির এক পর্যায়ে আকাশ আলমারিতে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে গেল মেঘলা দৌড়ে গিয়ে আকাশকে ধরল।
আকাশের কপাল থেকে রক্ত পড়ছে।
আকাশ মেঘলার দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বলতে গিয়েও বলল না তারপর উঠে গিয়ে নিরব কে মারতে লাগল নিরব এবার আর বাঁধা দিচ্ছে না শান্তভাবে মার খাচ্ছে।
মেঘলাঃ ভাইয়া তোর পায়ে পড়ছি ছেড়ে দে আর মারিস না প্লিজ।মারতে হলে আমাকে মার ওকে ছেড়ে দে।
মেঘলার কথায় আকাশ আরও ক্ষেপে গেল সে মেঘলাকে লাথি দিয়ে দূরে সরিয়ে দিল।
সেই মুহুর্তে নাবিল আসল।এসে অবাক হল ঘরের দরজা বন্ধ সবাই বাইরে দাঁড়িয়ে বুঝার চেষ্টা করছে কি হচ্ছে।
নাবিলঃ কি হচ্ছে এখানে..?? আকাশ এসব কি করছে?
আজব তোমরা সবাই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছো ওকে আটকাচ্ছ না কেন?
আকাশ দরজা খোল কি করছিস এসব থাম বলছি?দরজায় ধাক্কা দিতে দিতে বলল নাবিল।
নাবিলের গলা শুনেই মেঘলা দোড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিল।
আকাশ,নিরব, মেঘলা ৩ জনেরেই অবস্থা খারাপ দেখে নাবিল অবাক হল।
নাবিল গিয়ে আকাশকে থামতে বলল,
আকাশঃ তুই আমাকে থামতে বলছিস?আমাকে থামানোর আগে এর অবস্থা দেখ তার পর আমাকে বলতে আসিস।
নাবিল মেঘলার দিকে তাকিয়ে বলল,
হুম দেখলাম তুই খালি গায়ে আর মেঘলা তোর শার্ট পরে আছে তারমানে কি আমি ধরে নিব তুই মেঘলার সাথে খারাপ কিছু করেছিস?
আকাশঃ are you sick নাবিল..?? তুই বুঝতে পারছিস না এখানে কি ঘটেছে?
নাবিলঃ আমি যেটা দেখতে পাচ্ছি সেটাই বল্লাম আমি যা দেখছি সেটা যেমন সত্যি না তেমনি তুই যেটা দেখেছিস হয়ত সেটাও সত্যি না।তাই বলছি শান্ত হ,কি ঘটেছে আগে শোন।
নাবিলের কথা শুনে আকাশ থেমে গেল।
নাবিল গিয়ে আবার দরজা বন্ধ করে দিল।
মেঘলাঃ দরজা বন্ধ করছিস কেন..??
আকাশঃ তো কি করবে তোর কৃর্তির কথা সবাইকে জানাবে..??
নাবিলঃ আহ আকাশ আবার? যাইহোক তোরা এবার একটু থাম নিরব তুমি এখানে কি করছো..??
নিরব মাথা নিচু করে আছে
মেঘলাঃ আমি ওকে আসতে বলেছিলাম।
আকাশঃ এরপরেও আমাকে শান্ত হতে বলবি?বলবি আমি ভুল বুঝছি?
মেঘলাঃ না তুই ভুল বুঝবি কেন এই জীবনে তোর ত কোন ভুল নেই সব ঠিক।এত এত অন্যায় করেও গলা ফাটিয়ে বলতে পারবি যা করেছি ঠিক করেছি।
আকাশঃ হ্যা বলবই তো যা করি না সেটা বলব কেন ভুল করলে অবশ্যই স্বীকার করতাম
নাবিলঃ আচ্ছা মেঘলা বল শুনি আকাশের ভুল গুলো কি কি?
আকাশঃ ও আর কি বলবে আমি কোন ভুল করি নি বুঝেছিস তবে এখন করব,আজ আমি ওকে খুন করব তারপর যা হবার হবে।
মেঘলাঃ ভুল করিস নি..?? তাহলে কাল কোথায় ছিলি তুই?
আকাশঃ মানে কি? আমি ত অফিসেই ছিলাম এটা ভুল?
নাবিলঃ ও আচ্ছা… তাইতো আকাশ সত্যিই তো তুই অন্যায় করেছিস
আকাশঃ কিসের অন্যায়?
নাবিলঃ কাল তুই অফিসে থাকবি কেন মেঘলা তোকে আনতে যাওয়া সত্ত্বেও তুই আসলি না কেন?
আকাশঃ এটা অন্যায়? ও কি ছোট বাচ্চা যে যখন যা চাইবে তাই করতে হবে?
মেঘলাঃ রাখ তো ভাইয়া কাকে কি বলছিস,দ্যা গ্রেট আকাশের কাছে নিজের কোন ভুল কখনো ছিল না আজও নেই। জেনির সাথে কতকিছু করে ফেলল তাও তার মনে হল না সে অন্যায় করেছে।
নাবিলঃ আকাশ গত কাল মনির মৃত্যু বার্ষিকী ছিল মেঘলা তোকে নিয়ে কবর জিয়ারত করতে যেতে চেয়েছিল তুই যাস নি।আমি যদি এত দুর থেকে এসে মিলাদে শরীক হতে পারি তুই পারলি না কেন?
আকাশঃ এটাই আমার ভুল..??
নাবিলঃ তোর এটাকে ভুল মনে হচ্ছে না?
আকাশঃ না একদমেই না।যদিও আমি কয়ফত দিতে পছন্দ করি না তাও তোর কাছেও যেহেতু ভুল মনে হচ্ছে তখন ব্যাখ্যা দিচ্ছি। আচ্ছা নাবিল মনি কবে মারা গিয়েছে তোরা কেউ আমাকে বলেছিলি…??
আমাকে বললে আমি নাকি বিদেশ থেকে চলে আসব তাই তোরা কেউ আমাকে মৃত্যুর খবর টা জানাস নি দেশে এসে জানলাম মনি মারা গিয়েছে ৬ মাস হয়ে গিয়েছে কিন্তু ঠিক কবে মারা গিয়েছে বলেছিলি কোনদিন তাহলে আমি কি করে জানব গতকাল মনির মৃত্যু বার্ষিকী ছিল মেঘলা আমাকে একবার বলত দেখত আমি যাই কিনা।
আর কবর জিয়ারত নির্দিষ্ট দিনেই করতে হবে কেন আমি ত প্রতিমাসেই মনির কবর জিয়ারত করি জানি এই বেইমান মেয়ে সেটাও বিশ্বাস করবে না তাই প্রমান দিচ্ছি শোন কবর স্থানে যে প্রতিমাসে ফি দিতে হয় মেঘলা দিয়েছিল কোনদিন? বা ফি টা কে দেয় খোঁজ নিয়েছিল কখনো? আমি যত ব্যাস্তই থাকি প্রতিমাসের কবরস্থানে গিয়ে ফি দিয়ে কবর জিয়ারত করে আসি বুঝেছিস?
আমার ২য় ভুল আমি কেন জেনিকে বাসায় আনলাম তাই তো? মেঘলা তুই কি বাধ্য হয়ে এনগেইজমেন্ট করতে রাজি হোস নি? জীবনে অনেক পরিস্থিতি আসে যখন আমরা না চাইলেও তা করতে বাধ্য হই আমিও বাধ্য হয়েছিলাম একজন মৃত্যু পথযাত্রীর শেষ অনুরোধ আমি ফিরাতে পারি নি। হ্যা আমি মানছি আমি তোকে জেনির সাথে এক ঘরে থাকতে বাধ্য করেছিলাম কিন্তু সেটা কেন জানিস? যাতে তুই আমাকে সন্দেহ না করিস আমি ভেবেছিলাম আলাদা রুমে থাকলে তুই হয়ত মাইন্ড করবি ভাব্বি আমি না জানি কি করছি ওর সাথে। তোর সাথে থাকলে সারাক্ষন তোর সাথেই থাকবে তাই আমি ওর সাথে কিছু করছি না সেটা তোর চোখে পড়বে কিন্তু তোর চোখে সেটা পড়ে নি। আর অফিসে ত নাবিল ছিলই জিজ্ঞেস করে দেখ কখনো সন্দেহজনক কিছু দেখেছে কিনা?
এবার আসি ভিডিও এর ব্যাপারে
আমার ৩য় ও সবচেয়ে বড় ভুল আমি জেনির সাথে পার্সনাল টাইম স্পেন্ড করেছি তাই না…?
মেঘলা ভিডিও টা দেখা নাবিল কে তুই না বুঝলেও নাবিল ভিডিও টা দেখলে নিশ্চুই বুঝবে বলে আমার বিশ্বাস।
মেঘলা ফোন দিচ্ছে না দেখে,আকাশ নিজেই মেঘলার ফোন টা নিয়ে নাবিল কে দেখাল. তারপর নিজের ফোন থেকে সেদিনের মেঘলার ফোন থেকে করা এসমেস টা নাবিল কে দেখাল।
নাবিলঃ এটা ত স্পষ্ট ই বুঝা যাচ্ছে জেনি প্লেন করে সবটা করেছে।
মেঘলাঃ প্লেন মানে কিসের প্লেন?
নাবিলঃ মেঘলা তুই কি অন্ধ?দেখতে পাচ্ছিস না জেনি তোর জামা পরে আছে।
আকাশঃ ওর এসব দেখার সময় কোথায়?ও তো অন্যকিছু দেখতে ব্যাস্ত।
নাবিলঃ জেনি তোর ফোন থেকে এসমেস করে আকাশকে ডেকেছিল তারপর তোর জামা পড়ে দাঁড়িয়ে ছিল তাহলে আকাশ কি করে জানবে ওটা তুই না জেনি।
আকাশ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,মেঘলা শোন আমার যদি কোন মেয়ের কাছ থেকে সুযোগ নেয়ার হত সবার আগে তোর কাছ থেকেই নিতাম কমপক্ষে একবার হলেও তোকে ব্যবহার করতাম তারপর নাহয় দুরে ঠেলতাম তার আগে না।যাইহোক যা করেছিস ভাল করেছিস কাউকে বেশি ভালবাসলে কষ্ট পেতে হয় শুনেছিলাম কিন্তু বিশ্বাস করি নি আজ বিশ্বাস করলাম।
আমার আর কিছু বলার নেই এখন নাবিল যা সিধান্ত নিবে সেটাই হবে।
নাবিলঃ তোর আর কিছু বলার আছে মেঘলা..?? আমার মনে হয় না আছে।দেখ মেঘলা আকাশ যতই অন্যায় করুক এমন একটা জঘন্য কাজ করা তোর উচিত হয় নি
এবার তুই বল তোর কি শাস্তি হওয়া উচিত? তাছাড়া আমাদের বাসাটা ত আর হোটেল না যে যার যখন ইচ্ছা চলে আসবে।
বাইরের একজন এসে বাসার একজন কে মারবে সেটা ত আর মানা যায় না।তাই নীরবকেও এর মাসুল দিতে হবে।
মেঘলাঃ ভাইয়া যা করার আমি করেছি যা শাস্তি দেয়ার আমাকে দে ওকে কিছু বলিস না।
আকাশঃ এত ভালবাসা…?? আচ্ছা দেখি এই ভালবাসা কতক্ষন থাকে বলে নীরবকে মারতে গেল আকাশ।
নাবিল এসে আকাশকে থামাল।
নাবিলঃ মারামারি করে লাভ নেই আকাশ ও যেহেতু পারমিশন ছাড়া আমাদের বাসায় এসেছে ওকে পুলিশে দিয়ে দেই।
মেঘলাঃ না না প্লিজ ভাইয়া এমন করিস না।
আকাশ এবার মেঘলাকে একটা থাপ্পড় মারল।
নিরবঃ আমি রাজি আমাকে পুলিশে দিয়ে দাও তবু ওকে মেরো না প্লিজ।
নাবিল মেঘলাকে নিজের কাছে নিয়ে ফিসফিস করে বলল,
নাবিলঃ মেঘলা আকাশকে আর রাগাস না আমার বন্ধু নতুন জয়েন করেছে থানায় আমি ওকে বলি আসতে নিরব কে নিয়ে যাক থানায় নিয়েই ছেড়ে দিবে আমি বলে দিব আকাশের হাত থেকে নিরবকে বাঁচাতে চাইলে এর চেয়ে ভাল উপায় আর নেই তুই আর বাড়াবাড়ি করিস না
আকাশঃ কি বিড়বিড় করছিস পুলিশ কে খবর দেয়ার দরকার নেই আমার শাস্তি আমি নিজেই দিতে পারব।
নাবিলঃ মেঘলা কমপ্লিন করতে রাজি তাই না মেঘলা..??
মেঘলা নিরবের দিকে তাকাল নিরব সম্মতি জানাল তাই মেঘলাও বলল সে কমপ্লিন করবে।
কিছুক্ষনের মধ্যেই নাবিলের বন্ধু সহ আরোও কয়েকজন পুলিশ আসল মেঘলা নিরবের নামে অভিযোগ করতে বাধ্য হল পুলিশ অভিযোগ পত্রে সাইন নিয়ে নীরব কে নিয়ে চলে গেলেন।
নাবিলঃ আকাশ এবার তুই নিজের ঘরে যা।
আকাশঃ ঘরে যাব মানে আসল কাল্প্রিট ত এখনো আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে আগে এটাকে বিদায় করি।
এই ড্রেস চেঞ্জ কর আজকেই তোকে ওই বাসায় রেখে আসব।
মেঘলাঃ আমি যাব না…
আকাশঃ তুই যাবি তোর ১৪ গোষ্ঠী যাবে আচ্ছা ঠিক আছে চেঞ্জ করতে হবে না এভাবেই যাবি চল বলে আকাশ নিজেই মেঘলার কিছু কাপড় চোপড় ব্যাগে ঢুকিয়ে মেঘলাকে টানতে টানতে নিয়ে চলল।
আকাশ দরজা খুলতেই বাসার সবাই এগিয়ে আসল।
আকাশের বাবাঃ এখানে ঠিক কি হচ্ছিল জানতে পারি কি..??
নাবিলঃ ওকে কিছু বলো না আমি সব খুলে বলছি বড় বাবা।
আকাশ আর এক মুহূর্ত না দাঁড়িয়ে মেঘলাকে নিয়ে বাইরে গেল।
মেঘলাঃ যেভাবেই হোক আকাশের রাগ ঠান্ডা করতে হবে না হলে আমাকে রেখে এসে ও নিজের ক্ষতি করবে। না আমি এটা হতে দিব না
আচ্ছা আমার বাসা ত অনেক দুর রাস্তায় যেতে যেতে ওকে কাবু করে ফেলতে পারব মনে হয় ভাবতে ভাবতে
মেঘলা গাড়িতে উঠতে চাইল।
আকাশঃ সামনে নয় পিছনে আমি তোর মুখ দেখতে চাই না আমার পাশে বসার অধিকার তোর নেই পিছনে বস।
মেঘলাঃ পিছনে বসলে তোর রাগ ভাংগাব কি করে
উম হেরে গেলে চলবে না যেভাবেই হোক সামনে বসতে হবে(মনে মনে)
আকাশ মেঘলাকে নিয়ে গাড়িতে তুলে দিল।
আকাশ যখন গাড়িতে উঠল তার আগেই মেঘলা নেমে গেল।
আকাশ নেমে দাঁতে দাঁত চেপে বলল
আকাশঃ সমস্যা কি?
মেঘলাঃ আমি যাব না বলেছি না আমি ওই বাসায় যাব না বলেই মেঘলা দৌড় দিল কিন্তু আকাশ আবার ওকে ধরে আনল।
আকাশঃ তুই যা চাইবি তাই হবে নাকি চুপচাপ গাড়িতে বস তুই যাবি তোর ঘাড় যাবে বলে মেঘলাকে টানতে লাগল।
মেঘলাঃ লাভ নেই তুই যখন আবার আমাকে রেগে ড্রাইভিং সীটে যেতে চাইবি আমি তখন আবার নেমে যাব।
আকাশঃ তাই নাকি আচ্ছে দেখে কেমন পারিস বলে আকাশ মেঘলাকে সামনে নিজের সাথে বসিয়ে একহাতে ওকে শক্ত করে ধরে রাখল। যা এবার নেমে যা দেখি কত ক্ষমতা বলে আকাশ গাড়ি স্টার্ট দিল
মেঘলাঃ আচ্ছা আচ্ছা বসছি নামব না। ধরে রাখতে হবে না এভাবে গেলে এক্সিডেন্ট হবে।
আকাশঃ কোন চালাকি করবি না বলে দিলাম।
মেঘলাঃ করব না।
আকাশ সীট বেল্ট লাগিয়ে দিয়ে ড্রাইভিং এ মন দিল।
কিছুদূর যাওয়ার পর,
মেঘলাঃ কি আজব একবার তাকাচ্ছেও না পর্যন্ত এত রাগ করেছে..??
তুই কি তোর মেঘলাকে চিনিস না? তবুও কেন রাগ করে আছিস?তুই কি বুঝতে পারছিস না আমি বাধ্য হয়ে এমন করেছি।
তোর আপনজনারাই তোর ভাল চায় না আমি কি করব বল কিন্তু ওরা তোর ভাল চাক বা না চাক আমার সাথে রাগ করে তুই নিজের ক্ষতি করবি এটা আমি হতে দিব না ( মনে মনে)
মেঘলাঃ ১ টা পার হয়ে গিয়েছে আমার যে ক্ষুদা পেয়েছে সেটা কি কেউ বুঝতে পারছে…?? সকাল থেকে কিচ্ছু খাই নি😔
আকাশ শুনেও না শুনার ভান করল।
মেঘলাঃ ওই আমার কথা কি কানে যাচ্ছে না…??বলছি আমার ক্ষুদা পেয়েছে।
আকাশঃ তো আমি কি করব…??
মেঘলাঃ খাওয়াবি
আকাশঃ ন্যাকামি করিস না তোকে আমার যাস্ট অসহ্য লাগছে ইচ্ছে করছে তোকে যদি গলা টিপে মেরে ফেলতে পারতাম তাহলে শান্তি পেতাম আর সেই তোকে কিনা আমি খাওয়াব এটা ভাবলি কি করে?
মেঘলাঃ আচ্ছা নাই বা খাওয়ালি একটা পানির বোতল অন্তত কিনে দে।
আকাশঃ কিচ্ছু না তোর জন্য একটা পয়সাও খরচ করব না আমি।
মেঘলাঃ আচ্ছা করতে হবে না আমার কাছে টাকা আছে তুই গাড়িটা থামা।
আকাশঃ পারব না তুই যা যা চাইবি তার কোন কিছুই আমি পারব না।
মেঘলাঃ ভাল হচ্ছে না কিন্তু…
আকাশঃ চুপ একদম চুপ চুরের মায়ের আবার বড় গলা।
মেঘলাঃ আচ্ছা লাগবে না তোর পানি
বলে গাড়িতে থাকা একটা পানির বোতল নিয়ে নিল মেঘলা এই যে পানি পেয়ে গিয়েছি।এটাই খাব আমি।
মেঘলা পানিটা খেতে যাবে তার আগে আকাশ বোতল টা নিয়ে নিল।
আকাশঃছি ইয়াক থু কবের না কবের পানি এটা তুই খাবি?
মেঘলাঃ তো কি করব তুই ত কিনে দিবি না।
আকাশঃ আমাকে না জ্বালালে তোর শান্তি হয় না তাই না রে…??জঘন্য একটা মেয়ে তুই।
মেঘলাঃ বাজে বকা বন্ধ কর পানিটা দে… বলে বোতল নিয়ে নিল মেঘলা
আকাশঃ ছি ছি ছি খাস না এটা আচ্ছা আচ্ছা সামনের দোকান থেকে কিনে দিব।
মেঘলাঃ ঠিক তো…??
আকাশঃ হ্যারে বাবা হ্যা…
মেঘলাঃ আচ্ছা তাহলে অপেক্ষা করি বলে বোতলের মুখ লাগিয়ে দিল।
আকাশঃ এটা ফেলে দে
মেঘলাঃ আহা হা খেয়ে ত কাজ নেই তোকে বিশ্বাস করি পরে একুল ওকুল দু কূলেই যাক আমার।
আকাশঃ আমি তোর মত বেইমান না বুঝেছিস
দে এটা তোর কোন ভরসা নেই কখন এটাই খেয়ে ফেলবি কে জানে।
মেঘলাঃ দিব না..
আকাশঃ বলেছি যখন দিব তখন খাওয়াব বুঝেছিস। বলে বোতল টা ফেলে দিল আকাশ।
তারপর একটার পর একটা দোকান পেরিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আকাশ থামছে না।
মেঘলাঃ আরে হচ্ছে টা কি? এই তো দোকান থামাচ্ছিস না কেন?
আকাশ কিছু না বলে ভিলেনি হাসি দিল।
মেঘলাঃ আমি জানতাম তুই এমন করবি হারামি কোথাকার।
আকাশঃ মুখ টা বন্ধ রাখ নাহলে এমন মার মারব যে নিজের নাম ভুলে যাবি।
মেঘলা আর কিছু না বলে চোখ বন্ধ করে নিল। সে এতক্ষন ঘুমানোর চেস্টা করছিল কিন্তু ক্ষুধায় ঘুম আসে নি চোখ বন্ধ করে আছে।
আকাশ বেশ অনেক্ষন পর গিয়ে গাড়ি থামাল।গাড়ি থামাতে মেঘলা চমকে উঠল।
মেঘলাঃ কি সর্বনাশ এত তাড়াতাড়ি চলে এসেছি? কিন্তু ওর রাগ ত এখনো ভাংগাতে পারলাম না এখন কি হবে..??
আকাশঃ এতক্ষন ত খাবারের জন্য পাগল করে দিচ্ছিলি এখন চোখ বন্ধ করে কিসব বিড়বিড় করছিস?
মেঘলা বাইরে তাকিয়ে দেখল তারা একটা রেস্টুরেন্ট এর সামনে দেখে মেঘলা অবাক হল।
আকাশঃ আকাশ চোধুরী কখনো নিজের কথার খেলাপ করে না বুঝেছিস নাম এবার।
মেঘলাঃ তুই ত বলেছিলি শুধু পানি খাওয়াবি তাহলে নেমে কি করব তুই গিয়ে নিয়ে আয়।
আকাশঃ পানি খেলে পেট ভরবে?
মেঘলাঃ যাক সময় নষ্ট করার একটা সুযোগ পাওয়া গেল( মনে মনে)তুই কত ভাল রে আমার কথা কত ভাবিস
আকাশঃ জ্বি না আমি তোর কথা ভেবে থামিনি তোকে এখন না খাওয়ালে সারা রাস্তায় তুই আমার কান খেয়ে ফেলবি তাই খাওয়াতে নিয়ে যাচ্ছি। তাই আকাশ কুসুম চিন্তা না করে চল।
মেঘলা প্রভু ভক্তের মত আকাশের পিছন পিছন গেল।
আকাশ একটা টেবিল বুক করে মেঘলাকে বসতে বলল,মেঘলাও বসল।
আকাশঃ কি খাবি?
মেঘলাঃ চার্ট দেখি…
আকাশঃ এই শোন আমি তোকে ডেটে নিয়ে আসিনি যে ঢং করবি যা হোক একটা কিছু খেয়ে উদ্ধার কর আমায়।
মেঘলাঃ আচ্ছা চার্ট লাগবে না এই যে শুনোন মুরগীর লেগ পিস সহ ফ্রাইড রাইস,চিলি চিকেনের সাথে কাটলেট,বিফ গ্রিল,ফিস ফ্রাই,এক্টু খানি সস চাওমিন আর এক প্লেট ফালুদা দিন ও তার আগে একটা জুস দিয়েন বাকি সব গুলো এক পিস করে দিবেন আর স্যারের জন্য এক গ্লাস ঠান্ডা পানি।
আকাশঃ কি হল এটা..??
মেঘলাঃ এর আগেও আমি এখানে এসেছি তাই কি কি পাওয়া যায় জানি জেনেই অর্ডার করেছি।
আকাশঃ কোন রাক্ষস ও এত কিছু খেতে পারবে কিনা আমার সন্দেহ আছে
মেঘলাঃ তুই আমায় খাবার নিয়ে খোটা দিচ্ছিস…??
আকাশঃ এমন আচারন করছে যেন কিছুই ঘটে নি।
ওয়েটার এসে খাবার দিল।
আকাশঃ তাড়াতাড়ি খেয়ে চল এখান থেকে যে ড্রেস পড়ে এসেছিস কেউ দেখলে আর মান সম্মান থাকবে না।
মেঘলাঃ খায়িয়ে দিবি..??
আকাশঃ কি…??? তোর সাহস দেখে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি কোন ধাতু দিয়ে গড়া তুই এত কিছুর পরেও আমি তোকে খায়িয়ে দিব কোন মুখে বললি এটা?
মেঘলা থাক লাগবে না আমিই খাচ্ছি বলে কোন কারন ছাড়াই সারা মুখ মাখিয়ে বাচ্চাদের মত খাওয়া শুরু করল।
আকাশ নাক ছিটকে বলল কি করছিস ভালভাবে খা লোকে দেখলে কি বলবে…??
মেঘলাঃ হা আ আ আ…
আকাশঃ হা মানে কি?
মেঘলাঃ খায়িয়ে দে…
আকাশঃ একটা কিক মারব আমার হাতে খাওয়ার শখ মিটে যাবে।
মেঘলাঃ ভিলেন একটা…
আকাশঃ কি বললি?
মেঘলাঃ খায়িয়ে যখন দিবিবনা তাহলে চুপচাও বসে থাক আমার যেভাবে ইচ্ছা আমি সেভাবেই খাব।
আকাশ কিছু বলতে যাবে তখন একজন এসে বলল,
আরে আকাশ না কতদিন পর দেখলাম কবে দেশে ফিরেছিস..??
আকাশঃ আরে ভাই আপনি..?? এই তো কয়েকমাস আগেই ফিরেছি।কেমন আছেন?
লোকটিঃ ভাল আছি তা কি করছিস এখন।
আকাশঃ এই ত ভাই কার এক্সপার্ট ইম্পোর্টের বিজনেস।
লোকটিঃ বাহ দেখতে দেখতে বড় হয়ে গিয়েছিস হ্যা..
আকাশঃ কি যে বলেন না ভাই।বসুন না লাঞ্চ করুন আমাদের সাথে।
লোকটিঃ আমাদের সাথে মানে…?? আরে ওহ গড আমি এত ক্ষন ভাবি কে খেয়ালেই করি নি আসলামুয়ালাইকুম ভাবি কেমন আছেন?
মেঘলা ভ্রু কুচকে আকাশের দিকে তাকাল।
আকাশঃ আমার বড় ভাই হাই বলো…
মেঘলাঃ জ্বি ভাল আছি দাঁড়িয়ে আছেন কেন বসুন না।
লোকটি বসে বলল,
ভাবিকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে আদুরে মেয়ে বাসায় নিশ্চুই খায়িয়ে দিতে হয় তাই না…??
লোকটির কথায় আকাশ মেঘলার দিকে তাকাল আর দেখল সারা মুখে সস লেগে আছে।
আকাশ কিছুটা অপ্রস্তুত হল।তারপর মেঘলার ড্রেস দেখে আকাশের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেল।
আকাশঃ বেশি আদর পেলে যা হয় আর কি খুব জেদি মেয়ে দেখুন না এত এত ড্রেস থাকতে আমার শার্ট পরে আসবে তাই পরে এসেছে।এত করে বললাম আমি খায়িয়ে দেই না নিজে খাবে।
মেঘলাঃ কি হারামি রে বাবা নিজের দোষ ঢাকতে একের পর এক মিথ্যা বলে যাচ্ছে। আমি নাকি এসব পরেছি আরে তুই ত টেনে আনলি (মনে মনে)
লোকটিঃ নিশ্চুই বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে তাইনা
মেঘলাঃ একসময় ছিলাম…
লোকটিঃ মানে..??
আকাশঃ আরে মানে আগে একমাত্র মেয়ে ছিল এখন একমাত্র বউ হয়ে গিয়েছে এই আর কি তাই না বেবি।
মেঘলাঃ হু হু হু কত নাটক পারে বাবা।
আকাশঃ আমাকে অপ্রস্তুত করে খুব মজা পাচ্ছিস তাই না (ফিসফিস করে)
মেঘলাঃএত কেবল শুরু দেখ না আরও কি কি করি, তা বড় ভাই এত দিন পর ছোট ভাইয়ের সাথে দেখা হল ছবি তুলবেন না? আমার সাথে প্রথম দেখা হল এই মুহুর্ত টাকে ধরে রাখার জন্য হলেও সেলফি তুলা উচিত
লোকটি বেশ অবাক হয়ে বলল
এ্যা…. ছবি..??
মেঘলাঃ এ্যা নয় হ্যা ফোন বের করুন।
আকাশঃ আমাকে প্যারা দিয়ে কি মজা পায় বুঝি না।এই অবস্থায় এমন ড্রেসে অপরিচিত একজনের সাথে ছবি তুলতে চাইছে।কি আজব মেয়েরে বাবা।
লোকটি আমতা আমতা করে ফোন বের করল।
সাথে সাথেই আকাশ মেঘলাকে টেনে জরিয়ে ধরল যাতে ছবিতে মেঘলার মুখ দেখা না যায়।
আকাশঃ ভাই আজ নাহয় থাক অন্যদিন বাসায় জমিয়ে আড্ডা দিব কেমন।
লোকটিঃ সেই ভাল আজ আমি আসি আকাশ।
লোকটি চলে যেতেই মেঘলা হি হি করে হেসে দিল।
আকাশ নিজের বুক থেকে মেঘলাকে সরিয়ে দিল।
আকাশঃ আমাকে বিব্রত করতে খুব ভাল লাগে তাই না..??
মেঘলাঃ হুম খুব…
আকাশঃ লজ্জাও নেই নিজের সম্মান নিজেই রাখরে জানে না হয়েছে হয়েছে অনেক খেয়েছিস আর খেতে হবে না চল এখন।
মেঘলাঃ আমার খাওয়া এখনো হয় নি।
আকাশঃ তোকে খেতে দিলে এই খাওয়া রাতের আগে শেষ হবে বলে মনে হয় না।দেখি প্লেট দে আমি খায়িয়ে দিচ্ছি।নাহলে এই সময়ে আর কার কার সাথে দেখা হবে কে যানে?বলে আকাশ মেঘলাকে খাওয়াতে শুরু করল।
মেঘলাঃ আমি নিজের হাতে খাব…
আকাশঃ না আমি খাওয়াব তুই সারাদিনেও খাওয়া শেষ করবি না বুঝেছি খা বলছি।
মেঘলাঃ ধুর বাবা ভেবেছিলাম ধীরে ধীরে খেয়ে সময় টা পার করে দিব হল না জল্লাদ টা ত এখনী খায়িয়ে পেট ভরিয়ে দিবে।
মেঘলার ধ্যান ভাংগিয়ে দিয়ে আকাশ বলল
আকাশঃ ম্যাডাম এবার কি চিবিয়ে দিব..??
মেঘলাঃ মানে কি…??
আকাশঃ না মানে খাবার মুখে নিয়ে বসে আছেন চিবাতে পারছেন না তাই বল্লাম আমি কি চিবিয়ে দিব কিনা..???
মেঘলা কিছু বলল না আকাশ মেঘলার মুখ চেপে ধরে বলল গিল বলছি।
মেঘলাঃ ভিলেনের ও দয়া মায়া থাকে কিন্তু তোর নেই।
আকাশঃ এবার যদি না খাস সত্যি সত্যি চিবিয়ে খাওয়াব।
মেঘলা বাধ্য হল খেতে।
আকাশঃ এবার সারা রাস্তায় আর একটাও কথা বলবি না চুপচাপ থাকবি বুঝেছিস?যা গাড়িতে গিয়ে বস আমি বিল দিয়ে আসছি
মেঘলাঃ😏😏
মেঘলা কচ্চপ গতিতে হাঁটছিল তখন আকাশ হনহন করে এসে মেঘলাকে কোলে তুলে নিল।
মেঘলাঃ কি করছিস..??
আকাশঃ হট প্যান্ট পরে বাইরে চলে এসেছিস দেখে ত আমারেই লজ্জা করছে সবাই কিভাবে দেখছে দেখেছিস কোথায় তাড়াতাড়ি গিয়ে গাড়িতে বসবি তা না ১ বছরে বাচ্চার মত গুটিগুটি পায়ে হাঁটা শুরু করেছিস তাই কোলে নিলাম
মেঘলাঃ এই আমি এভাবে আসতে চাইনি তুই জোর করে নিয়ে এসিছিস তাই উল্টাপাল্টা কথা বলবি না।
তবে যাই বল এখন লোকে আমাদের দেখে কি ভাব্বে বলতো?
আকাশঃ কি ভাব্বে?
মেঘলাঃ হানিমুন কাপল…☺
আকাশঃ তোর মাথায় যত শয়তানি বুদ্ধি সেসব অন্যদের মাথায় নেই তাই অন্যরা কেউ এসব ভাব্বে না।
ফালতু চিন্তা বাদ দিয়ে এখন চল।
মেঘলাঃ জল্লাদ ভালবাসা বলতে কিচ্ছু নেই।
আকাশঃ কেন আবার আমাকে দুর্বল করে দিচ্ছস মেঘলা। তোর মত করে আমাকে কেউ কন্ট্রোল করতে পারে না একমাত্র তুই এই পারিস আমার জেদ ভাংগতে আজ এত ঝামেলার পরেও আমার পাশে বসবি বলেছিস বসেই ছেড়েছিস আমার হাতে খাবি বলেছিস খেয়েই ছেড়েছিস। নিজেই আমাকে ছেড়ে যেতে চাইছিস আবার নিজেই নিজের মায়াজালে আটকে রাখছিস কি চাইছিস তুই মেঘলা?
(মনে মনে)
.
.
.
চলবে…!!