#ভিলেন
#পার্টঃ৬৫
#লেখনীঃ Mona Hossain
আকাশ যাওয়ার পরে মেঘলা ওয়াশরুমে ঢুকে শাওয়ারের নিচে বসে আপন মনে কেঁদে চলেছে।
আকাশ বাইরে থেকে খাবার নিয়ে ঘন্টাখানেক পর ফিরে আসল কিন্তু ঘরে ঢুকে আকাশ আবার ক্ষেপে গেল কারন মেঘলা এখনো ভিজজে।
আকাশঃ মেঘলার বাচ্চা দরজা টা খোল…
মেঘলা উত্তর দিল না।
আকাশ দরজায় জোরে ধাক্কা দিয়ে বলল এবার না খোললে দরজা ভাঙব তারপর তোর কি অবস্থা করব সেটা জানিস নিশ্চুই।
আকাশ কয়েক টা ধাক্কা দেয়ার পরে মেঘলা দরজা খোলে বেরিয়ে আসল ঠান্ডায় কাঁপছে মেঘলা।
মেঘলা ভেবেছিল আকাশ হয়ত নিজের ভুল বুঝতে পারবে আর তার এমন অবস্থার জন্য তাকে আদর করবে যেমন টা সবসময় করে কিন্তু এবার সেটা হল না আকাশ আদরের বদলে মেঘলাকে ঠাস করে একটা থাপ্পড় মারল।
মেঘলা অবাক হল।
আকাশঃ এভাবে ভিজেছিস কেন?আবার জেদ দেখাচ্ছিস…?? তোর কি কোনদিন শিক্ষা হবে না মেঘলা? হয়েছে অনেক করেছিস বেশি লায় দিয়ে মাথায় তুলে ফেলেছি তাই না? একটা কথা কান খোলে শোনে রাখ
এখন থেকে আমার সাথে জেদ দেখানো চলবে না আমার কথার বাইরে কিছু করলে মেরে পা ভেঙে দিব বুঝেছিস? অনেক স্বাধীনতা দিয়েছি তুই তার মুল্য দিতে পারিস নি এবার থেকে বুঝবি পরাধীনতার কি মজা। ২ মিনিটের মধ্যে চেঞ্জ করবি..যা চেঞ্জ করে আয়।
মেঘলাঃ করব না… কি করবি তুই…??
আকাশঃ আমাকে চ্যালেঞ্জ করিস? আকাশ একটু হেসে বলল আচ্ছা বেশ বেশি কিছু করবনা… বলে নিজের জিন্স থেকে বেল্ট খুলে সামনে রাখল।
মেঘলা চোখ বড় বড় করে বলল ভয় দেখাচ্ছিস?তুই আমাকে মারবি…??
আকাশঃ যতক্ষন নড়বি
মেঘলাঃ মানে..??
আকাশঃ মানে আমার কথা না শুনলে যতক্ষন নাড়াচাড়া করার মত শক্তি থাকবে তক্ষন মারব।তোকে আমি এবার মানুষ করে ছাড়ব মেঘলা।সে যাই হোক এত কথা বলার সময় নেই এখনী চেঞ্জ কর।
মেঘলাঃ করব না…
আকাশঃ গুড করিস না। বলে বেল্ট টা হাতে নিয়ে আকাশ মেঘলার দিকে এগিয়ে আসল।
মেঘলাঃ ক ক ক কি করছিস…??
বলে মেঘলা পিছিয়ে গেল।
আকাশ এসে মেঘলার ২ হাত একসাথে করে বেল্ট দিয়ে আটকে দিল তারপর মেঘলা কিছু বুঝার আগেই একটানে শাড়ি খুলে ফেলল।
সাথে সাথে মেঘলা নিচে বসে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করল।
আকাশঃ কি হল এখন এমন করছিস কেন আয় আমি চেঞ্জ করে দিচ্ছি।
মেঘলাঃআমি নিজে করতে পারব।
আকাশঃ সুযোগ দিয়েছিলাম মিস করে ফেলেছিস এবার আমিই করে দিব
মেঘলাঃ ছি তোর লজ্জা করছে না?
আকাশঃ কই না তো আমার তো তোকে ইচ্ছে করছে।আয় টপ আর স্কার্ট টা খোলে দেখি কেমন লাগে।
মেঘলাঃ কিসব বাজে কথা বলছিস
আকাশ মেঘলাকে টেনে তুলল।
মেঘলা তাড়াতাড়ি আমতা আমতা করে বলল আ আ আ আমি চেঞ্জ করতাম তো কিন্তু এখানে আমার কোন কাপড় চোপড় নেই তাই চেঞ্জ করতে পারি নি আমি জেদ দেখাই নি।
আকাশঃ যাক যতটা গাধা ভেবেছিলাম তত টা না অযুহাত টা ভাল দিয়েছিস যা ছেড়ে দিলাম কিন্তু তুই কি কখনো আমার জামার কাপড় পড়িস নি…??
মেঘলাঃ হুম হুম পড়েছি তো। হাত টা খুলে দে এখনী পরে নিচ্ছি।
মেঘলা ভয় পেয়েছে দেখে আকাশ একটু হাসল তারপর মেঘলার হাত খুলে দিল মেঘলাও তাড়াতাড়ি গিয়ে চেঞ্জ করে আকাশের জামা কাপড় পরে আসল।
মেঘলা ঘরে ঢুকে দেখল আকাশ খাবার নিয়ে বসে আছে…
আকাশঃ আয় খেয়ে নে। না খেতে পেয়ে মুখটা শুকিয়ে গিয়েছে।
মেঘলাঃ ক্ষুধা নেই খাব না…
মেঘলার উত্তর দিতে দেড়ি হল কিন্তু আকাশের খাবার টা ফেলতে দেড়ি হল না।
আকাশঃ এর ফল পরে বুঝাব এখন মেঝেটা পরিষ্কার করে শুতে আয়।
মেঘলাঃ তোর কি মনে হয় এভাবে তুই আমাকে আটকে রাখতে পারবি…??আজ হোক কাল হোক পাপা আমাকে খুঁজতে আসবে সাথে ওই লোকটাও তখন কি করে আমাকে আটকে রাখবি?তুই প্রমান করতে পারবি না যে আমি তোর বউ বাধ্য হয়ে আমাকে ছেড়ে দিতে হবে।
আফটার অল আমি উনার লিগ্যালি বউ।
আকাশঃ মুখে খই ফোটে তাই না? আমি কি করব কি করব না তার চিন্তা তোর করতে হবে না শুবি আয়।
মেঘলার খুব ক্লান্ত লাগছিল তাই কথা না বাড়িয়ে গিয়ে বিছানার এক কোণে শুয়ে পড়ল।
আকাশঃ বিছানায় শুয়ার কি দরকার ছিল নিচে শুলেই পারতি।
মেঘলা কিছু বলল না
আকাশঃ কথা কানে যায় নি? এদিকে আয়।
মেঘলা কথা না বাড়িয়ে একটু এগিয়ে আসল।
আকাশঃ আরও এদিকে।
মেঘলা আরও কিছুটা এগিয়ে আসল।
আকাশঃ হয় নি …
মেঘলাঃ আর কত?
আকাশঃ যতক্ষন না তোর মাথা আমার বুক স্পর্শ করছে।
মেঘলাঃ আমি যে তোর মত পিশাচের সাথে এক বিছানায়
শুয়েছি এটাই যথেষ্ট নয় কি?
আকাশ মেঘলা চুল ধরে টেনে বলল একটাও বাড়তি বলবি না। তোকে আমার কাছে আনতে আমার ১ মিনিট ও লাগবে না কিন্তু আনব না তোর নিজ থেকে আসতে হবে।তোর কত জেদ আছে আমি দেখতে চাই।
মেঘলাঃ তুই আমাকে চিনিস বলেছি যখন আসব না তখন আসবই না।
আকাশ উঠে গিয়ে বেল্ট দিয়ে মেঘলাকে আঘাত করতে চেয়েও করল না বিছানায় আঘাত করে মেঘলাকে ভয় দেখাল।
মেঘলা কেঁদে কেঁদে বলল এত মেরেও শান্তি হয় নি?
আকাশঃ আসবি নাকি না…?? (ধমক দিয়ে)
মেঘলাঃ যাব…
আকাশঃ এই তো লক্ষি মেয়ে।
আকাশ এসে শুয়ে পড়ল কিন্তু মেঘলা আসছে না দেখে আকাশ মেঘলার দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে তাকাল
আকাশ চোখ পাকাতেই মেঘলা তাড়াতাড়ি এসে আকাশের বুকে মাথা রাখল।
আকাশ মেঘলার মাথায় বুলিয়ে বলল
আমি তোকে কখন মারলাম?
মেঘলা মাথা তুলে বলল মারিস নি?
আকাশ মেঘলাকে টেনে বুকে মিশিয়ে দিল।
আকাশঃ বেশি ব্যাথা পেয়েছিস?
মেঘলা আকাশের টিশার্টে নাক মুছতে মুছতে বলল ন্যাকামি করবি না। সারা শরীর ব্যাথা করছে আর উনি এসেছেন জিজ্ঞাসা করতে ব্যাথা পেয়েছি কিনা।
আকাশঃ আচ্ছা সরি আসলে প্রথমবার তো আর তুইও জোরাজোরি করেছিস তাই এমন হল পরের বার থেকে আর খারাপ লাগবে না।
মেঘলা আকাশের দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে বলল তুই আবার আমার সাথে এমন করবি..??
আকাশ হেসে বলল না করব না যাচাই করার জন্য বললাম..
মেঘলাঃ কিসের যাচাই..??
আকাশঃ কিছু না ঘুমা।
মেঘলা চোখ বন্ধ করে নিল।
আকাশঃ তারমানে সত্যিই এটা মেঘলার ফার্স্ট টাইম বেড শেয়ার। নীরবের সাথে সেদিন কিছু করেনি যা করেছিল আমাকে দেখানোর জন্য করেছিল। যদিও বাসায় সবাই তোকে খারাপ কথা শুনাবে তাও তোকে ক্ষমা করে দিলাম।
গভীর রাত আকাশ ঘুমে আছন্ন,কিন্তু মেঘলার চোখে ঘুম নেই।
মেঘলাঃ আমার কি করা উচিত বড় মা যদি জানতে পারে আমি আবার ভাইয়ার কাছে এসেছি নিশ্চুই ক্ষেপে যাবে না না আমার এখানে থাকা উচিত হচ্ছে না। ভাইয়া ঘুমাচ্ছে পালানোর এটাই সঠিক সময় আমাকে ক্ষমা করিস ভাইয়া তোকে ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছি।
মেঘলা আস্তে করে উঠে পা টিপেটিপে দরজার কাছে গেল কিন্তু দরজা খোলার আগেই আকাশ বলে উঠল
আকাশঃ লাভ নেই যেখানেই যাস না কেন আবার ধরে আনব।
আকাশের কথা শুনে মেঘলা চমকে উঠল।
মেঘলা আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখল আকাশ চোখ বন্ধ করে আছে।
মেঘলাঃ ও তো ঘুমাচ্ছে তাহলে বুঝল কি করে আমি পালচ্ছি এটা নিশ্চুই আমার মনের ভুল।
কিন্তু মেঘলার ভুল ধারনা ভেঙে দিয়ে
আকাশ উঠে এসে মেঘলাকে ধরে বলল।
আকাশঃ কি শুরু করেছিস মেঘলা?এত প্যারা দিচ্ছিস কেন?সত্যি করে বল কি হয়েছে তোকে কি কেউ আমাকে ছাড়তে বলেছে?
মেঘলাঃ না আমি নিজেই তোকে ছাড়তে চাই….আমি বিদেশে যেতে চাই।
আকাশঃ গুড আচ্ছা যাওয়াচ্ছি তোকে বিদেশে।
বলে মেঘলার হাত পা বেঁধে বিছানার সাথে বেঁধে গিয়ে শুয়ে পড়ল।
মেঘলাঃ আমার কি সব বলে দেয়া উচিত..?? কিন্তু বলে দিলে ওকি আমায় বিশ্বাস করবে..??
নির্ঘুম একটা রাত কেটে গেল আকাশ আর মেঘলার।
সকালে ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই মেঘলার বাবা জাফর আহমেদ সহ কয়েকজন পুলিশ এসে হাজির হল আকাশের বাসায়।
বাসার কাজের লোক এসে খবর দিল।
মেঘলাঃ এবার কি করবি বহুত বার বেড়েছিল না এবার দেখি তুই কি করিস।
আকাশ উঠে মেঘলার মুখ বেঁধে দিল।
আকাশঃ একটুও ঝামেলা করবি না।একদম শান্ত হয়ে থাক।বলে আকাশ নিচে নেমে আসল।
আকাশঃ এত সকালে আপনারা আমার বাসায় কেন কি চাই?
মেঘলার বাবাঃ এখনো মুখ দিয়ে কথা বের হচ্ছে?
আকাশঃ আমি চোর নাকি ডাকাত যে ভয় পাব? অফিসার কি সমস্যা বলুন।
অফিসারঃ এই ভদ্রলোক কমপ্লিন করেছেন আপনি উনার বউ কে তুলে এনেছেন। তাছাড়া মেয়ের বাবা কমপ্লিন করেছেন আপনি নাকি নানান সময়ে নানা ভাবে তার মেয়েকে উত্তক্ত করেছন।যেহেতু আপনার কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই তাই ধরে নিলাম মেয়ের সাথে আপনার একটা সম্পর্ক আছে কিন্তু আপনার এটা জানা উচিত মেয়ের সাথে যদি কোনো এফেয়ার থেকেও থাকে তবুও বিয়ের পর আপনি তাকে তুলে আনতে পারেন না।যেহেতু বিয়ে হয়েছে তাই লিগ্যলি জাফর সাহেব তার হাজবেন্ড। আপনাদের পালানোর হলে বিয়ে হওয়ার আগে পালানো উচিত ছিল এখন মেয়ে যদি তাকে ডিভোর্স ও দিতে চায় সেক্ষেত্রে ৬ মাস অপেক্ষা করতে হবে ৬ মাসের আগে ডিভোর্স হয় না।তাই ভালই ভালই বলুন মেঘলা কোথায় অন্যথায় আপনাকে থানায় নিয়ে যেতে বাধ্য হব।
পিছন থেকে নাবিলঃ কিন্তু তার আগে যদি আপনার চাকরি টা চলে যায়?
অফিসারঃ কে আপনি? আপনার এত সাহস অন ডিউটি পুলিশ অফিসার কে আমাকে হুমকি দিচ্ছেন?
নাবিলঃ ছি ছি কি যে বলেন আমাকে দেখে কি মাফিয়া মনে হচ্ছে..?? আমি একজন সম্মানীয় নাগরিক হিসেবে বলেছি।অযথা মিথ্যা অপবাদে আমার ভাইকে হ্যারেস করার কারনে আমি আপনার নামে মান হানির মামলা করব তখন আপনার চাকরি থাকবে তো..??
জাফর সাহেবঃ মিথ্যা মানে কি..?? এত এত লোকের সামনে তোমরা মেঘলাকে তুলে এনেছো তারপরেও বড় বড় কথা বলছো?অফিসার কাল এই ছেলেটাও ছিল।
অফিসারঃ সবাই সাক্ষি দিয়েছে আপনারা কাল কনে কে তুলে এনেছেন।
আকাশঃ তো কি হয়েছে আনার ছিল তাই নিয়ে এসেছি।
অফিসারঃ এদের এত সাহস কে যে দিয়েছে? টাকার অহংকারে অন্য কিছুই হয়ত চোখে দেখতে পায় না। আইনকে নিজের হাতে মোয়া মনে করে।এই কে আছো এদের এরেস্ট করো।
আকাশ নাবিল কে চোখে ইশারা করল নাবিলও কি যেন ভেবে আকাশ সম্মতিসূচক মাথা নাড়ল তারপর নাবিল অফিসারের একদম কাছে গিয়ে দাঁড়াল তারপর বলল,
নাবিলঃ আজ যদি আমজ আপনার বউ কে বিয়ে করে ফেলি আপনি কি আপনার বউ কে ছেড়ে দিবেন? নাকি আমার কাছ থেকে কেড়ে নিবেন?
কথাটা শুনে অফিসার প্রচন্ড রেগে গিয়ে নাবিলের কলার টেনে বলল আর একটা বাজে কথা বললে মেরে হাড়গোড় ভেঙ্গে দিব।
নাবিলঃ স্যার স্যার ছেড়ে দিন প্লিজ আমি শুধু এরেস্ট ওয়ারেন্ট দেখতে চেয়েছি আপনি ক্ষেপে গেলেন কেন এটা তো আমার দেখার অধিকার আছে তাই না?আপনি আমাকে মারছেন কেন ছেড়ে দিন স্যার অনুনয়ের সুরে কথাগুলিববলল নাবিল।
আকাশঃ পারফেক্ট…
আকাশ বলার সাথে সাথেই
নাবিল এক ধাক্কায় অফিসারের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিল।
নাবিল; কার সাথে খেলতে নেমেছেন না জেনেই মাঠে নামা উচিত হয় নি আপনার অফিসার।ছোট থেকে এসব হ্যান্ডেল করেই বড় হয়ছি।
শুনোন স্যার আপনি যে কমপ্লিন নিয়ে এখানে এসেছেন সেটা পুরোটাই মিথ্যা এবং সাজানো আইন আমরাও জানি এই যে ম্যারিজ রেজিস্ট্রি পেপার গত কিছুদিন আগেই আমার ভাই তথা আকাশের সাথে মেঘলার বিয়ে হয়েছিল ইনফেক্ট মেঘলা এতদিন আমাদের বাসাতেই ছিল হঠাৎ ওর বাবা জোর করে ধরে নিয়ে মেঘলার বিয়ে দেয়। আকাশ সেটা জানতে পেরে তার বউকে ফিরিয়ে আনে।স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় ডিভোর্স ছাড়া ২য় বিয়ে দেয়া এটা ঠিক কোন আইনে আছে দেখান আমাকে…???
অফিসারঃ মেয়ের আগে বিয়ে হয়েছিল?
নাবিলঃ সরকারি স্ট্যাম্প কি মিথ্যা হয় নাকি..??জানতাম না তো নাকি রেস্ট্রি পেপারো আপনি চিনেন না মেঘলা আকাশের লিগ্যাল ওয়াইফ বুঝেছেই তাই মেঘলা চাইলেও ৬ মাসের আগে আকাশকে ডিভোর্স দিতে পারবে না।অতএব আপনারা এখন আসতে পারেন।
অফিসারঃ আমরা মেঘলার মুখ থেকে জানতে চাই। আপনারা উনাকে আটকে রেখেছেন নাকি উনি নিজের ইচ্ছায় এখানে আছেন?ডাকুন উনাকে।
আকাশ এবার মোবাইল বের করে একটা ভিডি অন করল যাতে আগে বা পরের কোন কথা নেই শুধু অফিসার নাবিল কে হুমকি দিচ্ছে আর নাবিল অনুনয় করে বলছে সে এরেস্ট ওয়ারেন্ট দেখতে চায়।
আকাশঃ এরেস্ট ওয়ারেন্ট চাওয়ায় অনডিউটি অফিসার অযথা পাবলিকের কলার টেনে মারধরের হুমকি দিচ্ছে ব্যাপার টা ভালই তাই না?
অফিসারঃ এ এ এসবের মানে কি?
আকাশঃ থানায় নতুন এসেছেন দেখেই বুঝেছি। এর পর থেকে কারোর বাসায় যাওয়ার আগে তার ব্যাপারে ভাল করে জেনে নিবেন আপনি আমাকে হ্যারেস করতে চাইলে আমিও করতে বাধ্য হব জানেন তো ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়।
আমি এখন ভিডিও টা কমিশনারের কাছে পাঠাই সেটা যদি আপনি না চান তাহলে এক্ষনী এখান থেকে বেরিয়ে যান। আর একটা কথা মেঘলার যদি নিজে গিয়ে আপনার কাছে কমপ্লিন করে তবেই ২য় বার এখানে আসার দুঃসাহস দেখাবেন তার আগে না।
নাবিলঃ প্লিজ বেরিয়ে যান।
অফিসারঃ আপনার মেয়ের আগে বিয়ে হয়েছিল সেটা আমাকে আগে বলেন নি কেন এভাবে পুলিশ কে হ্যারেস করার কি মানে?
জাফর সাহেবঃ তারমানে আপনি কোন পদক্ষেপ নিবেন না?
অফিসারঃ কিসের পদক্ষেপ নিব প্রথম বিয়ের ডিভোর্স না হলে ২য় বিয়ে হয় নাকি উনার স্ত্রীকে নিজের কাছে রাখার ফুল অধিকার উনার আছে। চলুন এখান থেকে।
পুলিশ চলে গেল।
আকাশঃ থ্যাংকস নাবিল তুই ছাড়া ব্যাপার টা সামলাতে পারতাম না বিয়ের পেপার দেখালেও মেঘলাকে যেভাবে বেঁধে রেখেছিলাম নিশ্চিত জেল হতো।
নাবিলঃ এসব ছাড় আগে বল এই রেস্ট্রি পেপার কোথা থেকে আসল?
আকাশঃ কেন ওইদিন যে মেঘলার বাসায় গিয়ে সাইন আনলাম?
নাবিলঃ ওটা দলিল ছিল না..?? তুই ত বলেছিলি তুই মেঘলার কাছ থেকে সব ফিরত আনতে গিয়েছিলি।
আকাশঃ হুম সবি ত ফিরিয়ে আনলাম ইনফেক্ট সারাজীবনের জন্য ওকেই কিনে নিলাম।তোর কি মনে হয় মেঘলাকে আমি এত সহজে ছেড়ে দিতাম আমি শুধু দেখছিলাম ও কতটা বাড়তে পারে দেখছিলাম সত্যি নিরবকে বিয়ে করতে পারে কিনা বিয়ে করলেও আমি মেঘলাকে কিছুদিন পর গিয়ে নিয়ে আসতাম তাতে ওর কলংক টা মুছে যেত সবাই বলতো ওর দুটো বিয়ে হয়েছে কিন্তু কেউ দুষচরিত্র বলতে পারত না।
নাবিলঃ তুই আগে থেকেই প্লেন করে রেখেছিলি?
আকাশঃ হুম…
নাবিলঃ কিন্তু এটা ত মেঘলার অনিচ্ছাকৃত বিয়ে ও না জেনে সাইন করেছে।
আকাশঃ এটা যাস্ট একটা কাগজ গত এক মাস আগে মেঘলা নিজের ইচ্ছায় ইমাম সাহেবের বাড়িতে গিয়ে পবিত্র কালাম কে সাক্ষি রেখে আমাকে বিয়ে করেছিল।
নাবিলঃ এত কিছু ঘটেছে…??
আকাশঃ হুম তোকে বলিনি কারন তুই লুকিয়ে বিয়েতে মত দিতি না তাই।
নাবিলঃ সে যাই হোক ফাইলানি বিষয় টা কি দাঁড়াল? তুই মেঘলার স্বামী তাই তো।
আকাশঃ হুম আইন এবং শরীয় ২ মতেই। কিন্তু আমি যে মেঘলার লিগ্যালি স্বামী এটা মেঘলাকে জানাব না।
নাবিলঃ কিন্তু কেন
আকাশঃ সময় হলেই বঝতে পারবি।
।
।
।
চলবে…!!!