#হৃদয়ের_শুভ্রতা🌸🌸
পর্ব~১৯
#ফাবিহা_নওশীন
🍀🍀
হৃদ ডিনার করে ছাদে গিয়েছিলো।ছাদ থেকে রুমে এসে দরজা বন্ধ করতেই চোখ গেলো বিছানার দিকে।শুভ্রা বিছানার এক পাশে চাদর গায়ে শুয়ে আছে।মুখ অন্য দিকে ঘুরানো।গতরাতের মতো মাঝে কুশন দেওয়া।
হৃদ দু’হাত ভাজ করে কিছু একটা ভাবলো দেন বাকা হেসে শুভ্রার দিকে এগিয়ে গেলো।আস্তে আস্তে বিছানায় উঠে যাতে শুভ্রার ঘুম না ভাংগে।তারপর কুশনগুলো নিয়ে একপাশে রেখে দিয়ে চাদর টেনেটুনে গায়ে জড়িয়ে শুভ্রাকে জড়িয়ে শুয়ে পরলো।
শুভ্রার ঘুমের মধ্যে মনে হচ্ছে কেউ ওকে ঝাপ্টে ধরে আছে।ঘুমঘুম চোখ খোলে বুঝতে পারলো হৃদ ওকে জড়িয়ে ধরে আছে।
শুভ্রা ঘুরতে চাইলে পারলো না।শুভ্রা তবুও চেষ্টা করছে হৃদের দিকে ঘোরার কিন্তু পারছেনা।শুভ্রার নড়াচড়ার কারণে হৃদের ঘুম ভেঙে গেলো।হৃদ ঘুমঘুম চোখে বললো,
—–এতো নড়ছো কেন?ঘুমাতে দেও।
শুভ্রা কিছুটা জোরে বললো,
—–আমাকে ছাড়ো তারপর ঘুমাও।
হৃদ মাতাল করা কন্ঠে বললো,
—–উমম,,বিয়ে করেছি আর বউকে জড়িয়ে ঘুমাবোনা তা কি হয়?নো বেবি।
—–আমাকে ছাড়ো বলছি,,
হৃদ শুভ্রার কোমড়ে জোরে চাপ দিয়ে বললো,
—–দেখ রাত দুপুরে ঘুমের বারোটা বাজাবি তো আমি তোর বারোটা বাজাবো।এখন তো জাস্ট জড়িয়ে ধরেছি বাড়াবাড়ি করবি তো গতরাতে যেটা হওয়ার ছিলো সেটা এখন হবে।
শুভ্রা আর কোনো কথা বললো না।আর না নড়াচড়া করছে।চুপ করে রইলো।হৃদ মুচকি হেসে শুভ্রার আরেকটু কাছে ঘেষে শুয়ে রইলো।
সকাল বেলায় শুভ্রার ঘুম ভাংতেই শুভ্রা দেখলো হৃদ আর ওকে জড়িয়ে ধরে নেই।আর না শুভ্রা অন্য দিকে মুখ ঘুরানো।ওরা দুজনেই একবালিশে মুখোমুখি হয়ে ঘুমিয়ে আছে।হৃদকে এতটা কাছে দেখে চোখ কপালে।হটাৎ করে হৃদের ঘুম ভেঙে যায়।হৃদ ছোট ছোট করে চোখ মেলে শুভ্রার বড়বড় চোখ দেখে মুচকি হাসলো।
শুভ্রা হৃদের হাসি দেখে সকাল সকাল ক্রাশ খেলো।হৃদ শুভ্রার কাছে থেকে আরো কাছে আসছে।ওর চোখে মুখে অজানা নেশা জড়ো হয়েছে।শুভ্রা হৃদের ঘোরের মধ্যে আটকে গেছে।হৃদের উষ্ণ নিশ্বাস গাঢ়তর হচ্ছে।শুভ্রা আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেললো অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটার আশায়।
অনেকক্ষন কেটে যাওয়ার পরও কোনো কিছুর অস্তিত্ব অনুভব করতে না পেরে চোখ মেললো।
চোখ মেলে ওর চোখ চড়কগাছ।আশেপাশে হৃদ কেন কেউ নেই?
শুভ্রা বোকা বনে গেলো।
—–স্ট্রেঞ্জ।গেলো কই?এভাবে বোকা বানালো?
হৃদ ওয়াশরুমে বেসিনের আয়নার সামনে দাড়িয়ে হাসছে।
—–কি ভেবেছিস শুভ্রা আমাকে কষ্ট দিবি?এভয়ড করবি?বাট আমি তোর কোনো কিছুই কেয়ার করবোনা।অপমান অবহেলা কোনো কিছুই গায়ে মাখবোনা।দেখি তুই কতদূর কি করতে পারিস?কতদিন নিজের জেদ বজায় রাখতে পারিস।
তারপর কিছুক্ষণ আগের ঘটনা ভেবে হাসতে লাগলো।
হৃদ ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে শুভ্রা চাদর দিয়ে মাথা ঢেকে শুয়ে আছে।হৃদ চাদর টেনে সরিয়ে ফেলে।শুভ্রা অগ্নি দৃষ্টি ছুড়ে দিলো হৃদের দিকে।হৃদ তারপর বললো,
—–বাড়ির বউ এতো বেলা করে ঘুমায় না।উঠে ফ্রেশ হ।
শুভ্রা চাদর টেনে নিয়ে বললো,
—–আমি উঠবো না তোমার সমস্যা?
হৃদ বললো,
—–নো,,আই হেভ নো প্রব্লেম।বাট দেরি করে নিচে গেলে সবাই ভাববে আমি সারারাত তোর উপর রোমান্টিক টর্চার করেছি।বাট আমি মাসুম ছেলে এমন অপবাদ কি করে নেই?
শুভ্রা হৃদের কথায় চোখ বড়বড় করে তাকালো।তারপর চাদর ছুড়ে ফেলে উঠে গেলো।
শুভ্রা ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এলো।হৃদ আয়নার সামনে দাড়িয়ে চুল সেট করছে।শুভ্রাকে দেখে বললো,
—–বউ এদিকে এসো।
শুভ্রা হৃদের এমন আদুরে ডাকে ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলো।হৃদ ওকে ওভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বললো,
—–কি হলো এসো?পা চলছে না?কোলে করে আনতে হবে?
শুভ্রা হৃদের দিকে তাকিয়ে নাক ফুলিয়ে আলমারির কাছে গেলো।হৃদ শুভ্রার হাত ধরে টেনে আয়নার সামনে দাড় করালো।তারপর হৃদ শুভ্রার হাতে টাই দিয়ে বললো,
—–টাই বাধো।
শুভ্রা ভ্রু কুচকে বললো,হোয়াট??
হৃদ শুভ্রার কোমড় জড়িয়ে ধরলো।তারপর বললো,
—–তুই কানে কম শুনিস?যতক্ষণ টাই বাধা না হবে তুই ছাড়া পাবিনা।এভাবেই থাকতে হবে।
হৃদ শুভ্রাকে নিজের সাথে আরেকটু মিশিয়ে নিলো।
শুভ্রা বিরক্ত হয়ে বললো,
—–এসব করে কি পাবে?জোর করে স্বামী স্ত্রীর সুন্দর সম্পর্ক গড়া যায়না।
হৃদ বললো,
—–দুরর,,সম্পর্ক কে গড়তে চায়?আমি চাই আমার বিয়ে করা বউ আমার সব দায়িত্ব পালন করুক।ইচ্ছে করে না করলে জোর করে করাবো।বিয়ে করেছি কি বউকে শোকেসে সাজিয়ে রাখতে?
নেও এবার টাই বাধো দেরি হয়ে যাচ্ছে।
শুভ্রা অগত্যা হৃদের টাই বেধে দিলো।টাই বাধা শেষ করতেই হৃদ শুভ্রাকে ঠেলে সরিয়ে দিলো।
তারপর অফিসের জিনিসপত্র নিয়ে বেরিয়ে গেলো।
শুভ্রা ভাবছে,
“নিজেই কাছে টেনে নিচ্ছে,নিজেই সরিয়ে দিচ্ছে?আমি অবহেলা করছি না অবহেলিত হচ্ছি?কোনটা?”
শুভ্রা গালে হাত দিয়ে ভাবতে বসে গেলো।
রোজের প্রচন্ড মন খারাপ।অরিত্র আর ওকে ফোন করেনি।সারারাত অপেক্ষা করেছে।কিন্তু কোনো ফোন আসেনি।রোজ অনেকবার ট্রাই করেছে কিন্তু অফ পাচ্ছে।রোজ চুপচাপ বসে নাস্তা করছে।শুভ্রা অনেকক্ষণ যাবত রোজকে দেখছে কিন্তু কিছু জিজ্ঞেস করতে পারছেনা।রোজ চুপচাপ নাস্তা করে উঠে গেলো।
শুভ্রাও নাস্তা শেষ করে রোজের পেছনে পেছনে যাচ্ছে।মেইনডোরের বাইরে যেতেই শুভ্রা রোজকে ডাকলো।শুভ্রার ডাক শুনে রোজ থেমে গেলো।
—–শুভ্রাপু কিছু বলবে?
শুভ্রা রোজের কাছে গিয়ে বললো,
—–কি হয়েছে তোর?চোখ মুখ এমন শুকনো কেন?মুখটা মলিন লাগছে কেন?অরিত্রের সাথে কিছু হয়েছে?
রোজ আমতা আমতা করে বললো,
—–না কিছু হয়নি।আসলে অরিত্রের সাথে এখন আগের মতো দেখা হয়না,কথা হয়না তাই একটু মন খারাপ।
শুভ্রা রোজের কাধে হাত দিয়ে বললো,
—–বোকা মেয়ে মন খারাপ করিসনা।পরীক্ষা শেষ তাই হয়তো ফ্যামিলি,ফ্রেন্ডদের সাথে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে।
—–হুম।
🍁
🍁
কেটে গেছে আরো এক সপ্তাহ।অরিত্র রোজের সাথে ফোনে টুকটাক কথা বললেও দেখা করে নি।রোজ অনেকবার বলেছে দেখা করার কথা কিন্তু অরিত্র নানা ব্যস্ততা দেখিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে গেছে।আগের মতো কথাও বলে না।নিজ থেকে ফোনও করে না।রোজ ফোন করলে দুচার কথা বলে রেখে দেয়।
রোজ ক্যাম্পাসে বসে আছে।তখনই ওর এক ফ্রেন্ড বললো ও অরিত্রকে মাঠে বসে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দেখে এসেছে।রোজের বিশ্বাসই হচ্ছে না।
রোজ তাই জিজ্ঞেস করলো,
—–তুই ঠিক দেখেছিস তো?
—–আরে হ্যা।একঘন্টা যাবত আড্ডা দিচ্ছে।আমি তো ভাবলাম তুই জানিস।তোর সাথে দেখা করতে এসেছে।
রোজ আমতা আমতা করে বললো,
—–হ্যা আমার সাথে দেখা করতেই এসেছে।আচ্ছা আমি যাই ওর সাথে দেখা করে আসি।
রোজের মনে মনে কষ্ট হচ্ছে।অরিত্র একঘন্টা যাবত ভার্সিটিতে এসেছে।বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে অথচ রোজকে বলে নি আসবে।কিংবা দেখাও করতে আসেনি।
রোজ দূর থেকে অরিত্রকে দেখছে।অরিত্র বন্ধুদের সাথে মাঠে বসে কথা বলছে।রোজ ওদের কাছে যায়নি।কিছুক্ষণ পর অরিত্র ওর বন্ধুদের সাথে উঠে ভার্সিটির গেইটের দিকে যাচ্ছে।রোজ সেটা দেখে পেছনে পেছনে যাচ্ছে।অরিত্র গেইটের বাইরে গিয়ে নিজের গাড়ির দরজা খোলছে।
রোজ অরিত্রের সামনে গিয়ে দাড়ালো।তারপর বললো,
—–অরিত্র!!
অরিত্র রোজের কন্ঠ শুনে থমকে গেলো।অরিত্র এমনভাবে রোজের দিকে তাকালো যেনো রোজকে আশাই করেনি।রোজ অরিত্রের হাত ধরে একপাশে টেনে নিয়ে গেলো কথা বলার জন্য।
রোজ অরিত্রের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিলো।
—–কি চলছে এসব?
অরিত্র মাথা নিচু করে আছে।রোজের থেকে দৃষ্টি লুকাচ্ছে।
রোজ সেটা দেখে বললো,
—–নো অরিত্র,আমার দিকে তাকাও।তুমি আমাকে এভাবে এভয়ড কেন করছো?তুমি আমার সাথে দেখা করতে চাওনা কেন?আজ তুমি ভার্সিটিতে এসেছো অথচ আমাকে অন্যের কাছ থেকে এই খবর শুনতে হয়।তুমি ঘন্টার পর ঘন্টা বন্ধুদের সাথে কাটাতে পারো আর আমার সাথে ৫মিনিট কথা বলার সময় তোমার নেই।কিসব ব্যস্ততা দেখাচ্ছো।এতো কিসের ব্যস্ততা তোমার?এন্সার মি।
অরিত্র কঠোর গলায় বললো,
——তোমাকে আমার সব কিছুর কৈফিয়ত কেন দিতে হবে?আমি আমার বন্ধুদের সাথে সময় কাটাবো না কার সাথে সময় কাটাবো সেটা আমার ব্যাপার।তুমি তোমার জায়গায় থাকো।
—–আমার জায়গা?আমার জায়গাটা কোথায়?আমি তোমার লাইফের কোথাও আমার জায়গা দেখতে পাচ্ছিনা।
অরিত্র চোখ মুখ শক্ত করে বললো,
—–কজ আমার লাইফে তোমার কোনো জায়গা নেই।তোমার প্রয়োজন আমার ফুড়িয়ে গেছে।
অরিত্রের মুখে এই কথা শুনে রোজের পায়ের নিচের মাটি সরে গেছে।প্রচন্ড ঝড় বইছে বুকের মাঝে।রোজ কাপাকাপা কন্ঠে বললো,
——অরিত্র তুমি এসব কি বলছো?
——হ্যা ঠিকি বলছি।প্লিজ লিভ মাই লাইফ।
রোজের চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়ছে।অবাক চোখে অরিত্রকে দেখছে।অরিত্রের দৃষ্টি শূন্যে।রোজ কান্নামিশ্রিত কন্ঠে বললো,
—–তুমি আমাকে ভালোবাসোনা?
অরিত্র অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে বললো,
—–না।
—–তাহলে এতোদিন কি ছিলো?
অরিত্র চট করে বললো,
—–টাইমপাস।
রোজ চোখের পানি মুছে শুকনো হেসে বললো,
—–টাইমপাস ছিলো?তাহলে এত স্বপ্ন কেন দেখিয়েছিলে?
—–আমাকে যেতে হবে।তোমার সাথে ফালতু কথা বলে সময় নষ্ট করতে চাইনা।আর হ্যা আমাকে আর ডিস্টার্ব করবেনা।
রোজ চোখ মুখ শক্ত করে বললো,
—–তুমি কি ভেবেছো এই রোজ তোমার পেছনে পাগলের মতো ঘুরবে?নো।তুমি আমার পেছনে কুকুরের মতো ঘুরেছো,আমি তোমার কাছে যাইনি।আর না আজকের পর যাবো।তুমি এই রোজের যোগ্যই না।হীরা শুধু জহুরি চিনে রাস্তার ছেলে নয়।রাস্তার ছেলেদের মতো চরিত্রের ছেলেরা রাস্তার মেয়েদের যোগ্য রোজের নয়।
অরিত্র রোজের দিকে ঘুরে চেচিয়ে বললো,
—–মুখ সামলে কথা বলো।
—–চিতকার করবেনা।তোমার এই অন্যায়ের শাস্তি আমি তোমাকে দিতে পারতাম।কঠিন শাস্তি দিতে পারতাম কিন্তু আমি তা করবোনা।কারণ তুমি আমার অনেক উপকার করেছো নিজের চরিত্র সামনে এনে।থ্যাংক ইউ সো মাচ।
তোমার মতো ছেলেদের মুখে থু ছিটাতেও রোজ আসবেনা।গুড বাই।
রোজ দৌড়ে সেখান থেকে চলে গেলো।অরিত্র রোজের যাওয়ার দিকে চেয়ে আছে।তারপর গাড়িতে উঠে গাড়ি স্টার্ট দিলো।ফুলস্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে।
~~~
শুভ্রা গাল ফুলিয়ে বেডে বসে আছে।হৃদ ল্যাপটপে অফিসের কাজ করছে।শুভ্রার সব প্ল্যান উল্টো হয়ে গেছে।
যেখানে শুভ্রা চেয়েছিলো হৃদকে শাস্তি দিবে সেখানে নিজেই শাস্তি পাচ্ছে।শুভ্রা হৃদকে অপমান অবহেলা করার সুযোগই পায়না।হৃদ সে সুযোগ দেয়না।শুভ্রা কিছু একটা করতে চাইলে হৃদ সব ভেস্তে দেয়।হুট করে কাছে টেনে নেয় আবার হুট করেই দূরে সরিয়ে দেয়।নিজের প্রয়োজনীয় কাজগুলো করিয়ে নিচ্ছে।শুভ্রা করতে না চাইলে বাধ্য করে করায়।শুভ্রার মনে হচ্ছে হৃদকে নাকানিচুবানি খাওয়াতে গিয়ে নিজেই নাকানিচুবানি খাচ্ছে।
হৃদ ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে বললো,
—–সমস্যা কি তোমার?কাজ কি করতে দিবে না?
শুভ্রা অবাক হয়ে বললো,
—–আমি কি করলাম?
—–হ্যান্ডসাম,কিউট,হট ছেলেটাকে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছো আবার বলছো কি করেছো?
শুভ্রা চোখ বড়বড় করে বললো,
—–কিহ!! হুহ আমার বয়েই গেছে।
—–বয়ে না গেলে যাও এক কাপ কফি বানিয়ে নিয়ে এসো।
—–পারবোনা।
হৃদ ল্যাপটপ রেখে উঠে দাড়িয়ে বললো,
——তাহলে আর কি বউকে দিয়ে তৃষ্ণা মেটাই।
হৃদ এক পা দু পা করে শুভ্রার দিকে আগাতেই শুভ্রা উঠে দাড়িয়ে বললো,
—–যাচ্ছি।
শুভ্রা কফি বানাচ্ছে আর বলছে দাড়া আজ তোকে এমন কফি খাওয়াবো যে বারবার খেতে চাইবি।শুভ্রার স্পেশাল “ঝাল কফি”।আহা!!
চলবে…..