#আকাশে_তারার_মেলা
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
#পর্ব -১৩
শত শত তারার মেলা দেখানো মানুষ টা নিমিষেই তুলির কল্পনার আকাশ টা ঢেকে দিল মেঘে।
ফ্লোরে বসে বিছানায় হেলান দিয়ে বসে আছে তুলি। দু চোখের কার্ণিশ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে অবাধ্য জল। এলোমেলো হয়ে আছে শরীরের কাপড় টা। চুল গুলোও কেমন ফ্লোরে গড়াগড়ি খাচ্ছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। আজ তুলি নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে। নিজের অস্তিত্বে যেই মানুষ টা কে মিশিয়ে নিয়েছিল সেই মানুষ টাই বিলীন করে দিল তুলির অস্তিত্ব। কোনো প্রতিক্রিয়া নেই তুলির। পাথর হয়ে পড়ে আছে মেঝেতে। ভিতর টা কাঁদছে চিৎকার করে অথচ সেই কান্নার কোনো আওয়াজ নেই। কি অবলীলায় শব্দবিহীন হু হু করে কেঁদে উঠছে মনটা। গভীর চিন্তায় নিমগ্ন তুলি। তাচ্ছিল্যের হাসি পাচ্ছে তার নিজের সতেরো বছরের জীবন টা কে নিয়ে। প্রত্যেক টা মানুষ তার হৃদয়ভঙ্গ করতে যেন সর্বদাই প্রস্তুত থাকে। ভালোবাসা কি এতোটাই বাজে নেশা? কেন এই নেশায় ডুব দিয়ে তুলি ভেঙে পড়ছে বার বার? কেন তুলির যন্ত্রণা হচ্ছে বুকের ঠিক মাঝখান টায়? কেন মরে যেতে ইচ্ছে করছে তার? সে তো বিশ্বাস করেছিল, ভালোবেসেছিল। তবে কেন আদ্র এতো যত্ন করে ভালোবাসা শিখিয়ে কঠোরভাবে ভেঙে দিল? এতো নিখুঁত অভিনয় হয়? এতো যত্নে গড়া মায়ায় জড়ানো তীব্র ভালোবাসা কখনও অভিনয় হতে পারে? প্রশ্নগুলো মনে আঁকড়ে ধরেই ডুকরে কেঁদে উঠল তুলি। এতোক্ষণের চেপে রাখা কান্না গুলো মুক্তি পেল। উচ্চশব্দে তুলির চিৎকার প্রতিধ্বনিত হতে লাগল চার দেয়ালের মাঝে।
–“ভালোবাসায় এতো যন্ত্রণা আদ্র? আগে কেন জানলাম না আমি? তবে তো আমি আমার মন টা কে বেঁধে রাখতাম। কখনও আপনার নিকট সঁপে দিতাম না। কেন এই অসহনশীল যন্ত্রণা আমার ভাগে ঢেলে দিলেন আদ্র? কোথায় আপনি? আমায় ডুবিয়ে হারিয়ে গেলেন? সারাটা জীবন এই যন্ত্রণা যে আমায় কুঁড়ে কুঁড়ে খাবে আদ্র। আমি পারছি না। আমার পক্ষে যে সহ্য করা সম্ভব না। কি করবো আমি? কি করব একটু বলে দেন প্লিজ। যেদিন থেকে আপনার ভালোবাসায় জড়িয়েছি প্রতিটা দিন, প্রতিটি মুহূর্ত ভয়ে ভয়ে কাটত আমার। মনে হতো এই বুঝি আমার আদ্র কে কেঁড়ে নিবে কেউ। অথচ আমার ভয় পাওয়া তো নিছক ছিল। আপনি তো কখনও আমার ছিলেন না আদ্র। কখনও আমার ছিলেন না। আপনি তো অন্য কারো। পাপ করেছি আমি। অন্য কারো স্বামী কেঁড়ে নিতে চেয়েছি।”
তুলির আত্ম চিতকার সারা ঘরময় ভেসে বেড়াচ্ছে। আবেগি মনে দু দু বার বেদনার সম্মুখীন হয়েছে মেয়েটা। একজন কে বিশ্বাস করে এবং অপরজনকে নিজের অস্বস্তিে মিশিয়ে। কষ্ট গুলো সময় বেধে বাড়তেই লাগল। সেই সাথে বেড়ে গেল কান্নার বেগ। এ বয়সে এতো ধাক্কা কিভাবে সইবে মেয়েটা? কাঁদতে কাঁদতে চোখ দুটো ও লাল আলতার মতো টুকটুকে লাল হয়ে আছে। যেই চোখে কল্পনায় কিছু সময় আগেও ফুটে উঠেছিল লজ্জার ছাপ, বউ সেজে আদ্রর জন্য অপেক্ষা করার মুহুর্ত ডাগরডাগর সেই আঁখি দু’টো তে সময়ের ব্যবধানে কষ্টের ছাপ। সময়ের সাথে কতকিছু বদলে যায়। কেউ কষ্ট কাটিয়ে সুখের আভাস পায় তো কেউ হারানোর যন্ত্রণায় ছটফট করে সারাক্ষণ।
হাতের নীল কাঁচের চুড়ি গুলোর দিকে তাকিয়ে হা হা কার করে উঠল তুলির বুকটা। চুড়ি গুলোও যে আদ্রর কিনে দেওয়া। নিমিষেই মনের মধ্যে জমে থাকা কষ্ট অভিমানে পরিণত হল। রাগে-কষ্টে, অভিমানে হাত টা আছাড়তে লাগল ফ্লোরে। রিমঝিম আওয়াজ তুলে একের পর এক ভাঙতে লাগল চুড়ি গুলো। সাদা ফ্লোরে গড়িয়ে যেতে দেখা গেল লাল তরল রক্ত। কাঁচের টুকরো গেঁথে গেছে তুলির কোমল হাতে। দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে নিচ্ছে মেয়েটা। এই ব্যাথা যে তাকে ব্যাথিত করতে পারছে না। সামান্য ব্যাথা টুকু কিভাবে ভাঙবে তুলি কে? সে তো পুড়ে যাচ্ছে। পুড়ে যাচ্ছে প্রণয়ের দহনে। এক সময় রক্ত দেখেও চিৎকার দেওয়া মেয়েটা নেতিয়ে পড়েছে কষ্টের ভারে।
_______
ইনশিতা রুমে পায়চারী করছে চিন্তিত হয়ে। খুব কান্না ও পাচ্ছে তার। তুলি কে রুমে নিয়ে যাওয়ার পর শরীর খারাপ লাগছে বলে রেষ্ট নিবে জানাল। তাই ইনশিতা ও সামিরা চলে এসেছে। কিন্তু ইনশিতার কিছুই ভালো ঠেকছে না। দুশ্চিন্তা হচ্ছে তুলির জন্য। আমরিন গিয়ে ঢেকেছিল অনেকবার কিন্তু তুলি দরজা মেলে নি। অজানা ভয়ে চোখ মুখ শুকিয়ে এল আমরিনের। ভুলেও নিচে গিয়ে জানানো যাবে না কোনো কিছু। তাই তড়িঘড়ি করে ফোন দিয়ে আদ্র কে জানাল। মিনিট দশেক অতিবাহিত হয়ে গেছে। আমরিন উপর থেকে সদর দরজার দিকে তাকাতেই দেখল আদ্র ঢুকছে হুড়মুড়িয়ে। পঁচিশ মিনিটের রাস্তা দশ মিনিটেই পার করে চলে এসেছে। অস্থির ভাব স্পষ্ট। সবাই ডাকলেন অথচ ফিরে ও তাকাচ্ছে না আদ্র। আদ্রর বাবা রাদিফ সাহেব রেগে গেলেন প্রচন্ড। আদ্র সবসময় ওনার কথার অবাধ্য হন তা আজ নতুন নয়। সায়েরা বেগম সামলে নিলেন কোনোমতে। ছেলের পিছু পিছু ছুটে চললেন তিনিও। ভাইয়ের দিকে এগিয়ে গেল আমরিন। একদমে বলল,,
–“তুলি কোনো সাড়া দিচ্ছে না ভাইয়া। আমি অনেকবার ডেকেছি। ভিতর থেকে দরজা লক করা।”
নিজেকে সামলে নিয়ে রুমে গেল আদ্র। সায়েরা বেগম মেয়ের কথায় বুঝতে পারছেন খারাপ কিছু ঘটেছে। যেতে নিলে আমরিন আটকে দিল মাকে।
–“তুৃমি যেও না আম্মু।”
–“তুলির কি হয়েছে আমরিন?”(চিন্তিত কন্ঠে)
–“একটু শরীর খারাপ। তুমি ইনশিতা আপু কে নিয়ে নিচে যাও। ভাইয়া ঠিক সামলে নিবে।”
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে ইনশিতা কে নিয়ে নিচে চলে গেলেন সায়েরা বেগম। আমরিন ও নিজেকে স্বাভাবিক করে সামিরার সাথে নিচে চলে আসল।
।
।
বারান্দা টপকে তুলির রুমে আসল আদ্র। মেঝেতে তরল রক্ত চাক্ষুষ হতেই আদ্রর চোখ থেকে এক ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ল সাথে সাথেই। অগ্নি বর্ষণ হতে লাগল দু চোখ থেকে। কপালের রগ গুলো ফুলে গেছে। রাগে থরথর করে কাঁপতে লাগল পুরো শরীর। চোখের পলকেই যন্ত্রণা গুলো হৃদপিণ্ডে ছুরি গাঁথতে লাগল। হাত দুটো মুষ্টিবদ্ধ করে দু হাঁটু গেড়ে বসল তুলির সম্মুখে। কারো আভাস পেতেই মেঝে থেকে অশ্রুসিক্ত চোখ সরিয়ে উপরের দিকে তাকাল তুলি। প্রচন্ড জোরে ধুক করে উঠল তুলির বুক টা। আদ্রর রক্তিম চোখে পানি টলমল করছে। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আদ্র তার দিকে। তুলির কষ্ট যেন হু হু করে আরো বেড়ে গেল। কিছু বলতে চেয়েও অভিমানে আঁটকে যাচ্ছে সব কথা। হাতে আদ্রর স্পর্শ পেতেই জ্বলে উঠল হাতটা। নীল বর্ণের চোখে রক্তিম আভা, চোয়াল শক্ত, কপালের রগ ফুলে আছে তবুও সবকিছু উপেক্ষা করে আদ্র ব্যস্ত হয়ে পড়ল তুলির হাতে গেথে যাওয়া কাচ গুলো খুলতে। কোনো ব্যাথাই উপলব্ধি করতে পারছে না তুলি। অযাচিত নয়নে আদ্রর দিকে তাকিয়ে। চোখ থেকে ঝরে যাচ্ছে পানি। এতো রাগ আদ্রর চোখে মুখে অথচ তুলির কেয়ার করতে মগ্ন সে। তুলির মন বলছে আদ্রর এই রাগ, চোখে টলমল করা পানি তীব্র কষ্ট,যন্ত্রণার। ক্লেশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আদ্রর বুকে। এতটুকু ভালোবাসা পেয়ে যেন তুলির অভিমান গলে যাচ্ছে।ইচ্ছে করছে আদ্রর বুকে ঝাপিয়ে করতে। আদ্রর বুক ভিজিয়ে সব কষ্ট মুক্ত করে দিতে। কিন্তু! কিন্তু তুলির যে আর সেই অধিকার নেই। ইনশিতার বলা কথাটা কানে এসে বাজতে লাগল। প্রচন্ড ক্ষোভে হাতটা টেনে ছাড়িয়ে নিল আদ্রর হাত থেকে। ঢুলতে ঢুলতে উঠে দাঁড়াতেই ছিটকে পড়ল আদ্রর বুকে। এক হাতে আগলে নিল আদ্র। অন্য হাত দিয়ে গালে হাত রাখল। শরীরের অবশিষ্ট শক্তি দিয়ে আদ্রর বুকে হাত দিয়ে ঠেলতে লাগল তুলি। গলায় জোর দিয়ে চিৎকার করে উঠল,,,
–“হাউ ডেয়ার ইউ? কোন সাহসে আপনি আমায় স্পর্শ করছেন? আপনার অপবিত্র হাত দিয়ে আমায় স্পর্শ করবেন না। লজ্জা করে না স্ত্রী থাকা স্বত্তেও অন্য একটা মেয়ে কে এভাবে স্পর্শ করতে? চরিত্রহীন একটা!”
কথাগুলো কর্ণধার হতেই ধপ করে বিছানায় ফেলে দিল আদ্র তুলি কে। কোমরে ব্যাথা পেয়ে কুঁকড়ে উঠল তুলি। শব্দ করে কেঁদে উঠল ভীষণ জোরে। মাথার চুল গুলো টেনে মাথা নিচু করে বসে পড়ল আদ্র। চোখ থেকে টুপ টুপ করে জল গড়িয়ে পড়ছে ফ্লোরে।নিজেকে স্বাভাবিক রাখতে চেয়ে ও পারছে না। তুলির মুখের বিষাক্ত বাক্য টা শুনে রাগের মাত্রা বেড়ে গেল চরচর করে। তুলির কান্নার আওয়াজ অস্বাভাবিক করে তুলছে তাকে। পাশের ড্রয়ার থেকে ফাস্ট এইড বক্স বের করে ড্রেসিং করতে লাগল তুলির হাতে। তুলি এখনও চোখ বুঁজে কেঁদেই যাচ্ছে। কেন অন্য কারো স্বামী হয়েও আদ্র তার এতো কেয়ার করছে? হাতটা বেন্ডেজ করে দিয়ে অন্য হাতে টেনে তুলল তুলি কে। ঝাপসা দৃষ্টিতে আদ্রর দিকে চাইল তুলি। আদ্রর ঠোঁটে তাচ্ছিল্যের হাসি।
–” ভালোবাসি বললেই কি ভালোবাসা যায়? তুই ও পারিস নি। কারো মুখের কথায় তুই আমায় চরিত্রহীন উপাধি দিয়ে দিলি। কি বলেছিলি সিলেটে? আমার উপর তোর অটুট বিশ্বাস তাই না? এই তোর বিশ্বাস? ”
কথাগুলো বলে মৃদু হাসল আদ্র। যেই হাসির পিছনে লুকিয়ে আছে অজস্র বেদনা তীব্র আঘাত। তুলি নিশ্চুপ। রাগী স্বরে চিৎকার করে উঠল আদ্র।
–“তুই কি আদৌও অনুভব করতে পেরেছিলি আমার ভালোবাসা? যদি অনুভব করতে পারতি তাহলে বুঝতে পারতি তোকে ছাড়া কতগুলো কষ্টের প্রহর কাটিয়েছি আমি। তোকে নিজের কাছে আনার জন্য ওয়াদাবদ্ধ হয়েছি নিজের বাবা-মায়ের কাছে।একটুখানি বিশ্বাস রেখে আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারতি না? বিশ্বাস করলি অন্য কারো কথায়।কান খুলে শুনে রাখ আমি বিবাহিত না। নিজের সবটুকু দিয়ে তোকে ভালোবেসেছি তুলি তার বদলে এই প্রতিদান দিলি তুই? কি বলেছিস আমি ক্যারাক্টারলেস? আজ তোকে বুঝাব চরিত্রহীন কাকে বলে।”
কথাটা বলেই তুলির ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়ে দিল আদ্র। চুলের পিছনে হাত গলিয়ে শক্ত করে চেপে ধরল নিজের সাথে। এতোক্ষণের জমানো রাগ ঝারতে লাগল ঠোঁটের উপর। আদ্রর ঘাড়ে খামচে ধরে কেঁদে দিল তুলি। ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে গলায় সজোড়ে কামড় বসাল আদ্র। তুলির মাথাটা বুকে চেপে ধরে ভেজা কন্ঠে বলে উঠল,,,
–“তোমার জন্য নিজেকে শেষ করে দিতে রাজি আছি তুলি তাহলে তুমি কিভাবে আমার ভালোবাসা টা অবিশ্বাস করলে? আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। তোমার রক্ত গুলো দেখে জীবনে প্রথম হৃদয় টা কেঁপে উঠেছে আমার। কতো রক্ত দেখি প্রতিদিন এমন কষ্ট তো কোনোদিন হয় নি।তোমার কিভাবে সাহস হলো রক্ত জড়ানোর? তোমাকে খুন করে নিজে মরে যেতে ইচ্ছে করছে। আমার এতো বছরের ভালোবাসা কে এক নিমিষেই বিষিয়ে দিলে তুমি। আমি কখনও ক্ষমা করব না তোমাকে। কখনও না।”
নীরবে কেঁদে যাচ্ছে তুলি। উপলব্ধি করতে পারছে আদ্রর কষ্ট। ভুল করে ফেলেছে। আদ্রর ভালোবাসা অনুভব করতে অক্ষম সে। একটুখানি বিশ্বাস রেখে আদ্রর কাছ থেকে সত্যি টা জানতে চাইতে তো পারত। সব অভিমান নিঃশেষ হয়ে গেল তুলির। আদ্র কে আঁকড়ে ধরতেই টেনে বুক থেকে সরিয়ে দিল। সাদা শার্টে লেপ্টে আছে তুলির রক্ত। মেঝেতে রক্ত গুলোর দিকে চোখ পড়তেই দু চোখ বন্ধ করে নিল আদ্র। হাত মুঠ করে বলে উঠল,,
—“তুই আমার ভালোবাসার না ঘৃণার যোগ্য। আজ থেকে তুই শুধু আমার ঘৃণাটাই অনুভব করবি।”
বিছানা থেকে উঠল তুলি। আদ্রর কাছে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলল,,
–” আমার ভুল হয়ে গেছে আদ্র। এক সেকেন্ডের জন্য মনে হয়েছিল আমাকে কেউ শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলেছে। ইনশিতা আপুর কথাটা আমায় স্বাভাবিক থাকতে দেয় নি আদ্র। আপনাকে হারানোর ব্যাথা টা আমি সহ্য করতে পারি নি। মনে হয়েছে আপনি বোধহয় আমায় ঠকিয়েছেন,,”
কথাটা শুনে পাশের দেয়ালে লাগাতার ঘুষি মারতে লাগল আদ্র। আজ যদি নিজের রাগ দমাতে না পারে তবে হয়তো সত্যি সত্যিই খুন করে বসবে তুলি কে। এতো ভালোবাসা দিয়েও আজ আঘাত পেতে হচ্ছে তার। বিরহ পাওয়ার জন্য তো সে এতোগুলো বছর অপেক্ষা করে নি। নিজেকে সংযত রেখে অপেক্ষা করেছে তুলির বড় হওয়ার। তবুও তুলি তাকে অবিশ্বাস করে নিজের ক্ষতি করল।আঁতকে উঠল তুলি। দৌড়ে গিয়ে থামাতে চেয়েও থামাতে পারছে না আদ্র কে। কাঁদতে কাঁদতে বসে পড়ল আদ্রর পা জড়িয়ে। নরম স্বরে বলে উঠল-,,
–“আমি আর কখনও আপনাকে অবিশ্বাস করব না আদ্র। কোনোদিন ও আর নিজের ক্ষতি করার চেষ্টা করব না।”
আদ্রর হাত থেকে রক্ত ঝরছে। তুলির দিকে এক পলক চেয়ে এক হাত ধরে উঠিয়ে টেনে নিয়ে যেতে লাগল নিচে,,,
#চলবে,,,,
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। কেন যে গল্পটা লিখায় মন বসাতে পারছি না। 😔 কেমন হয়েছে জানাবেন সবাই।)