# আরশিযুগল প্রেম❤পর্ব- ৩৩
# লেখিকাঃ নৌশিন আহমেদ রোদেলা ❤
________________
পশ্চিমাকাশে কমলা রঙের সূর্যটা হেলে পড়েছে। ঘড়ির কাঁটাটা পাঁচের ঘরের আশেপাশেই উঁকি দিয়ে চলেছে সেই কখন থেকে। শুভ্রতা সারা রুমময় পায়চারী করছে। একটু পর পর ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে। নাহ্, আজ ঘড়িটা বড্ড আলসেমো করছে। নব বধূর মেহেদী রাঙা পায়ের মত এগুতে গিয়েও যেন এগুচ্ছে না। ঘড়ির কাঁটার এমন লাজুকলতা ভাব একদমই সহ্য করা যাচ্ছে না। শুভ্রতা ক্লান্তি আর উত্তেজনায় অস্থির হয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে বসল। স্বচ্ছ আয়নায় নিজের রক্তিম চেহারাটা বার কয়েক নেড়েচেড়ে দেখল। আজ আবারও গায়ে শাড়ি চড়িয়েছে শুভ্রতা। গাঢ় নীল রঙের শাড়ি। দু’চোখ ভরা কাজল , কপালে টিপ, ঠোঁটের কোণে লাল লিপস্টিক কিছুই যেন বাদ যায় নি আজ। নাকের বিন্দু বিন্দু ঘাম আর ছোট্ট নাকফুলটাও যেন আজ বেশ আয়োজন করেই জ্বলছে। শুভ্রতা ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেলে জানালার দিকে তাকাল। বিকেলের হালকা আলোটা আড়াআড়িভাবে এসে পড়ছে শুভ্রতার গালে, গলায়। শুভ্রতা চোখ বন্ধ করে সাদাফকে ভাবার চেষ্টা করল। প্রায় সাথে সাথেই মানসপটে ভেসে উঠল হাস্যোজ্জল সেই চেহারা। শুভ্রতা নিজের মনে হাসল। ঘড়ির কাটায় পাঁচটা বাজতেই লাফিয়ে উঠে দাঁড়াল সে। তাড়াহুড়ো করে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যেতেই মুখোমুখি হল রাদিবার কড়া দৃষ্টির। শুভ্রব তখন ড্রয়িংরুমেই ছিল। শুভ্রতাকে ব্যতিব্যস্ত হয়ে বেরুতে দেখেই আড়চোখে ঘড়ির দিকে তাকাল সে। ভ্রু কুঁচকে প্রশ্ন ছুঁড়ল,
—-” মাত্র তো পাঁচটা বাজে, এখনই ব্যাগ নিয়ে দৌড়াচ্ছিস কেন? ট্রেন তো সাতটায়।”
শুভ্রতা কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে বলল,
—-” যদি জ্যামে পড়ে যাই? আর মা তো সবসময় বলে….কোথাও যাওয়ার হলে আগে আগে বেরুনোই ভালো।”
শুভ্রব বাঁকা চোখে তাকিয়ে বলল,
—-” তা না-হয় বুঝলাম। কিন্তু এমন পেত্নী সাজ সেজেছিস কেন? দেখে তো মনে হচ্ছে বিয়ে বাড়ি যাচ্ছিস।”
—-” সাজুগুজু শব্দটাই মেয়েদের জন্য। মেয়েরা কোথাও যাওয়ার আগে সাজবে এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া, ঝরঝর বর্ষায় শাড়ি পড়ে ট্রেন জার্নি করার মজাই আলাদা। তোর মত গবেট এসব বুঝবি না। আমাকে পৌঁছে দিতে যাবি কিনা তাই বল… নয়ত আমি একাই রওনা দিব।”
শুভ্রব সোফা থেকে উঠতে উঠতে বিদ্রুপ করে বলল,
—-” তোর ঝরঝর বর্ষা উপভোগ করতে গিয়ে ট্রেনের যাত্রীরাই না ঝরঝর করে সেন্স হারায়। পেত্নী দেখে কে না ভয় পায়, বল?”
শুভ্রতা নাক ফুলিয়ে বলল,
—-” খবরদার পেত্নী বলেছিস তো। নিজে যে আস্ত একটা পিশাচ সেটা নিয়ে চিন্তা কর। সাদা বানর একটা।”
কমলাপুর রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে শুভ্রতা। পাশেরই একটি পিলারে ঠেস দিয়ে মগ্ন চিত্তে ফোন চাপছে শুভ্রব। ট্রেন আসতে আর-ও কিছুক্ষণ বাকি। শুভ্রতা অস্থির নজরে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে। সাদাফ কি এখনও আসে নি? কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর তার থেকে দু-তিনহাত দূরেই সাদাফকে দেখতে পেল শুভ্রতা। সাদা শার্ট আর কালো প্যান্টে পুরোপুরি ফর্মাল লুক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সাদাফ। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, একটা বারের জন্যও শুভ্রতার দিকে তাকাচ্ছে না সে। এমন একটা ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে যেন পাশে দাঁড়ান মেয়েটাকে চিনেই না সে। আদৌ কখনও দেখা হয়েছিল কিনা সেই ক্ষুদ্র স্মৃতিটুকুও মাথায় নেই তার। শুভ্রতা ভ্রু কুঁচকে বারবারই সাদাফের দিকে তাকাচ্ছে। সাদাফের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে কিন্তু সাদাফ অনড়! কিছুক্ষণ এভাবে লুকোচুরি খেলার পর, হুট করেই বিস্ময় সুরে বলে উঠলো শুভ্রব,
—-” আরে সাদাফ ভাই না?”
শুভ্রবের মুখে সাদাফের নাম শুনেই চমকে উঠল শুভ্রতা। ঢোক গিলে ভয়মাখা দৃষ্টিতে ভাইয়ের দিকে তাকাল। শুভ্রতার প্রশ্নমাখা দৃষ্টি এড়িয়ে সাদাফের দিকে এগিয়ে গেল শুভ্রব। বিস্ময় আর আনন্দে গদগদ হয়ে বলল,
—-” আসসালামু আলাইকুম ভাই। ভালো আছেন?”
সাদাফ অবাক হওয়ার চেষ্টা করে বলল,
—-” আরে শুভ্রব! ওয়ালাইকুম আসসালাম, কিন্তু তুমি এখানে? কোথাও যাচ্ছ?”
—-” জ্বি না ভাই। আমি যাব না। ছোটবোনটাকে ট্রেনে তুলে দিতে এসেছি… ও একটু মামুবাড়ি যাবে।”
—-” ও আচ্ছা।”
সাদাফ আর শুভ্রবকে কুশলাদি বিনিময় করতে দেখে ধীর পায়ে এগিয়ে গেল শুভ্রতা। ঠোঁটে মেকি হাসি টেনে নিয়ে বলল,
—-” আসসালামু আলাইকুম, ভালো আছেন?”
—-” ওয়ালাইকুম আসসালাম।”
সাদাফকে কথা শেষ করতে না দিয়েই কথা বলে উঠল শুভ্রব,
—-” শুভ্রতাকে চিনেছেন ভাই? আমার ছোটবোন। শেফার বিয়েতে দেখার কথা।”
সাদাফ মৃদু হেসে বলল,
—-” হ্যাঁ। দেখেছিলাম তখন। ভাবির সাথেই ছিলেন উনি।”
শুভ্রব হেসে ফেলল। হাসিমুখে বলল,
—-” ওকে আপনি করে বলার দরকার নেই ভাই। বাচ্চা একটা মেয়ে। শুভি? উনাকে চিনতে পেরেছিস? আরাফ ভাইয়ার বন্ধু। আর তার থেকেও বড় কথা হলো আমাদের ভার্সিটির সিনিয়র ভাই। আমরা যখন সেকেন্ড ইয়ার তখনই ভাইরা মাস্টার্স শেষ করেন।”
শুভ্রতা ছোট্ট করে বলল,
—-” ওহ।”
—-” আপনি কই যাচ্ছেন ভাই? চট্টগ্রাম? ”
শুভ্রবের প্রশ্নে মৃদু হেসে জবাব দিল সাদাফ,
—-” হ্যাঁ। চট্টগ্রামেই যাচ্ছি।”
—-” শুভ্রতাও চট্টগ্রাম যাচ্ছে।”
—-” তাই নাকি? একা যাবে?”
—-” জ্বি ভাই। আমার একটু কাজ পড়ে যাওয়ায় একাই যেতে হচ্ছে ওকে। আর আপনি তো আছেনই ভাই। আপনি থাকতে টেনশন কিসের?”
শুভ্রবের কথায় হালকা কাঁশলো সাদাফ। শুভ্রতা অন্যদিকে তাকিয়ে ঠোঁট টিপে হাসল। আরও কিছুক্ষণ আলাপ চলার পরই ট্রেন এল। শুভ্রতাকে নির্দিষ্ট বগিতে তুলে দেওয়ার আগ পর্যন্ত শুভ্রবের সাথে দাঁড়িয়ে রইল সাদাফও। শুভ্রতা ট্রেনে ওঠে গেলে সাদাফের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ল শুভ্রব,
—-” সাদাফ ভাই আপনার সিট কোন বগিতে?”
সাদাফ তাড়াহুড়ো করে বলল,
—-” শুভ্রতার দু’সিট পেছনেই আমার সিট। ট্রেন ছাড়ার হুইসেল বাজলে উঠে যাব।”
শুভ্রব খুশি হয়ে বলল,
—-” তাহলে তো ভালোই হল। শুভিকে একটু দেখে রাখবেন ভাইয়া। ছোট মেয়ে তো, বাচ্চা বাচ্চা স্বভাবটা এখনও যায় নি। আপনি আছেন বলেই নিশ্চিন্ত লাগছে।”
সাদাফ জোরপূর্বক হাসল। শুভ্রতাকে সাবধানে থাকতে বলে, সাদাফকে বিদায় দিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিল শুভ্রব। শুভ্রব চোখের আড়াল হতেই জানালা দিয়ে শুভ্রতাকে ডাকল সাদাফ। শুভ্রতা যেন প্রস্তুতই ছিল। সাদাফ ডাকতেই তাড়াহুড়ো করে নেমে এল সে। নিজেদের রিজার্ভ করা কেবিনে ঢুকেই খিলখিল করে হাসতে লাগল শুভ্রতা। দরজাটা চাপিয়ে রেখে বিস্ময় নিয়ে বলে উঠল সাদাফ,
—-” তুমি শুভ্রবের বোন?”
শুভ্রতা হাসতে হাসতেই মাথা নাড়ল। হাসি থামিয়ে প্রশ্ন করল,
—-” কেন তুমি জানতে না?”
কেবিনের সিটে গা এলিয়ে দিয়ে বলে উঠল সাদাফ,
—-” কখন চিন্তায় করি নি। শেষে কিনা জুনিয়রের বোনকে সবার অলক্ষ্যে বিয়ে করে ফেললাম? প্রেম করতে গিয়ে ধরা পড়লে তিল পরিমাণ মানসম্মানও থাকবে না।”
—-” শেফা আপুর বিয়েতে ভাইয়াকে দেখ নি?”
সাদাফ সানগ্লাসটা খুলে রেখে জুতোর ফিতা খুলতে খুলতে বলল,
—-” একবারের জন্য শুধু দেখা হয়েছিল। আরাফের শ্যালক হয় তা জানতাম। তোমারই যে ভাই তা জানতাম না। তোমার বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে কেমন একটা পরিস্থিতি হবে ভাবতে পারছ? নির্ঘাত ভাববে, ট্রেনে বোনকে দেখে রাখতে বলেছিলাম বলে ভাই এমন দেখা দেখেছে যে বিয়েই করতে চলে এসেছে। ছি! ছি!”
শুভ্রতা আবারও খিলখিল করে হেসে উঠল। সাদাফ পলকহীনভাবে শুভ্রতার হাসিমাখা মুখের দিকে তাকিয়ে রইল। সাদাফকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে লজ্জায় রাঙা হয়ে হাসি থামাল শুভ্রতা। আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে, কৃত্রিম রাগ নিয়ে বলল,
—-” উফ! সবসময় এভাবে তাকিয়ে থাক কেন? অন্যদিকে তাকাও।”
সাদাফ শব্দ করে হাসল। সাদাফের ঝংকার তোলা হাসি আর ট্রেনের ঝকঝক শব্দে অদ্ভুত এক অনুভূতি হল শুভ্রতার মনে। শুভ্রতা শাড়ির উপর দিয়ে আড়চোখে তাকাল। সাদাফ হেসে বলল,
—-” কেবিনে তৃতীয় কেউ তো নেই। অন্যকেউ থাকলে নাহয় তার দিকে তাকাতাম। এখন আমার হাতে একটাই অপশন আর সে হলে তুমি। তাই চোখ ফেরাতে পারছি না। দুঃখিত, পৃথার ছোট ভাবি।”
শুভ্রতা কিছুক্ষণ অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে বসে রইল। বেশ কিছুক্ষণ পর নিজেকে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে বলল,
—-” ভাইয়া সেকেন্ড ইয়ারে থাকতেই মাস্টার্স শেষ হয়েছে তোমার?”
সাদাফ মাথা নাড়ল। শুভ্রতা অবাক হয়ে বলল,
—-” তারমানে ভাইয়া তোমার থেকে চার বছরের জুনিয়র। আর আমি ভাইয়ের থেকে চার বছরের জুনিয়র। সব মিলিয়ে তুমি আমার থেকে আট বছরের সিনিয়র। এই? তোমার বয়স ত্রিশের কাছাকাছি?”
সাদাফ হাসল। শুভ্রতা বিস্ময় নিয়ে তাকাল। সাদাফের পা থেকে মাথা পর্যন্ত সবটা পরখ করে নিয়ে বলল,
—-” দেখে একদমই বুঝা যায় না!”
সাদাফ জবাব না দিয়ে শার্টের বোতাম খুলতে মনোযোগ দিল। শুভ্রতা কিছুক্ষণ ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থেকে বলল,
—-“শার্টের বোতাম খুলছ কেন?”
সাদাফ চোখা চোখে শুভ্রতার দিকে তাকাল। শুভ্রতার চোখের দিকে দৃষ্টি রেখেই বাকি দুটো বোতামও খুলে ফেলল সাদাফ। গম্ভীর গলায় বলল,
—-” তুমি জান আমি কেন বোতাম খুলছি শুভ্রা।”
শুভ্রতা চোখ বড় বড় করে তাকাল। অল্প একটু কেশে নিয়ে সন্দেহী গলায় বলল,
—-” কি হচ্ছেটা কি? এসব কোন ধরনের ব্যবহার? এটা একদম ঠিক নয় বলে দিলাম।”
সাদাফ সরু চোখে তাকাল। শার্টটা খুলতে খুলতে বলল,
—-” বার বার শাড়ি পরে আমার সামনে আসাটাও তো ঠিক না। তবুও তুমি আসছ। বার বার আঁচল ঠিক করতে গিয়ে তোমার ফর্সা উদর উন্মুক্ত হয়ে পড়ছে। আমি কি কিছু বলেছি?”
শুভ্রতা চোখ বড় বড় করে নিজের দিকে তাকাল। শাড়িটা এদিক-ওদিক টেনে নিয়ে আবারও সন্দেহী দৃষ্টিতে তাকাল। সাদাফকে দাঁড়াতে দেখেই চোখে-মুখে চরম অসহায়ত্ব ফুটে উঠল তার। সাদাফ ধীর পায়ে শুভ্রতার পাশে গিয়ে বসল। শুভ্রতা ভ্রু কুঁচকে তাকাতেই পাশে রাখা ব্যাগ থেকে সাদা-নীলের মিশ্রণে একটি টি-শার্ট বের করে পরে নিল সে। শার্টটা ভাঁজ করে ব্যাগে ঢুকিয়ে নিয়ে কপাল কুঁচকে তাকাল সাদাফ। শুভ্রতার বিস্মিত মুখের দিকে তাকিয়ে গা জ্বালান হাসি দিয়ে বলল,
—-” তুমি আমায় নিয়ে এসব ভাব শুভ্রা? তোমার ভাইয়া যে বলল, তুমি বাচ্চা! এটা তো রীতিমতো অন্যায় হয়ে গেল। মেয়ের ভাই বাচ্চা বলে হাতে তুলে দিয়ে গেল অথচ মেয়ে নিজেই বাচ্চার মা হওয়ার চিন্তায় মগ্ন। কি সাংঘাতিক!”
শুভ্রতা পাশে থাকা কাপড়ের ব্যাগটা দিয়েই দু-একবার আঘাত করল সাদাফের গায়ে। সাদাফকে শব্দ করে হাসতে দেখে লজ্জায় লাল হয়ে গেল শুভ্রতা। নাক-মুখ ফুলিয়ে বলল,
—-” অসভ্য! আমি মোটেও এমন কিছু বুঝাইনি।”
সাদাফ হাসি চেপে বলল,
—-” তাহলে কি বুঝিয়েছ?”
—-” তুমি আবারও মৃদু মৃদু হাসছ। ধেৎ! আমার সাথে একদম কথা বলবে না তুমি।”
শুভ্রতার কথায় আবারও হেসে উঠল সাদাফ। সাদাফের প্রাণখোলা হাসি দেখে শুভ্রতার অভিমানটা খানিক মিঁইয়ে আসতেই আবারও বলে উঠল সাদাফ,
—-” চিন্তা কর না শুভ্রাণী। পুরো রাত বাকি পড়ে আছে… এখন তো মাত্র সন্ধ্যা।”
সাদাফের কথাটা শুনেই জ্বলে উঠল শুভ্রতা। শুভ্রতার রাগের সাথে পাল্লা দিয়েই ছুটতে লাগল সাদাফের হাসির প্রহর। শুভ্রতা জানালার গায়ে ঠেস দিয়ে বাইরের ঝাপসা অন্ধকারে চোখ রাখল। গালদুটো লজ্জা আর অভিমানে লাল হয়ে আছে তার। শুভ্রতা আড়চোখে সাদাফের হাসিমাখা মুখটিতে তাকিয়েই বুঝতে পারল….আজকের রাতটা হবে লজ্জাময় এক ভয়ঙ্কর রাত!!
#চলবে…..
( আগমীকালই আরেক পার্ট দিব। মাঝপথে ব্যাটারি ডাউন হওয়ায় আর লেখা হয় নি।)