আকাশে তারার মেলা সিজন 2 পর্ব-৭

0
3300

#আকাশে_তারার_মেলা_২ #লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা #পর্ব -[৭] ড্রইং রুমে বাবা ও মায়ের সাথে একটা ছেলেকে বসে থাকতে দেখে চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে আসার উপক্রম তুলির। ভুল দেখছে ভেবে চোখ কচলে আবারও ভালোভাবে তাকাল। ভুল নয়,সবটাই সত্য। খুশিতে দৌড়ে গিয়ে ধপ করে সোফায় বসে ছেলেটার পাশে পড়ল। হতচকিত হয়ে উঠল ছেলেটা। ঘাড় কাত করে তুলির ঘুম ঘুম মুখটা চোখে পড়তেই ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠল। তুলি ঠোঁট উল্টে বলে উঠল, ‘ এতোদিনে আসার সময় হলো আহান ভাই?’ ‘ কালই ফিরেছি রাজশাহী থেকে। আর আজই সকাল সকাল এখানে।’ ‘ আমার জন্য তো আসো নি। আমি নিশ্চিত তুমি ইনশিতা আপুর বিয়ের জন্য এসেছো।’ ‘ দু’টো কারণেই এসেছি। প্রথমত তোর জন্য, তাই তো আগে তোর বাসায় এসেছি। এসেই খালা মণির কাছ থেকে শুনলাম তুই নাকি ইনশিতাদের বাসায়।’ ‘ হু।’ আফসানা মেয়ের দিকে ভালোভাবে তাকালেন। তুলির ঘুমন্ত মুখ জানান দিচ্ছে ঘুম থেকে উঠেই চলে এসেছে সরাসরি। বেশ মায়া লাগছে তুলির ঘুমন্ত চেহারাটা। হালকা হেসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ কিরে ঘুম থেকে উঠেই চলে এলি?’ নিজের মুষ্টিবদ্ধ হাতটা ওড়না দিয়ে ঢেকে ফেলল তুলি। ভড়কে যাওয়া কন্ঠে জবাব দিল, ‘ হ্যাঁ আম্মু। একটু পরেই তো সবার রওনা দিতে হবে। আমার এখনও অনেক কিছু গোছানো বাকি৷ তাই কাউকে না বলেই চলে এলাম।’ ‘ আচ্ছা। ‘ তুলির বাবা তৌফিক সাহেব মেয়ের মাথায় হাত বুলালেন। আদ্রদের বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে আহানের সাথে উঠে দাঁড়ালেন। আহান তুলির মাথায় হাত রেখে বলে উঠল- ‘ আদ্র ভাইদের বাসায় দেখা হবে।’ তুলি মাথা দুলিয়ে হ্যাঁ বুঝাল। ড্রইং রুম থেকে রুমে এসে ঠাস করে দরজা লাগিয়ে খাটে বসে পড়ল এক প্রকার লাফিয়ে। মুঠো করে রাখা হাতটা মেলে ধরতেই চক্ষুদ্বয়ে ভেসে উঠল কড়া লাল রঙে রঞ্জিত মেহেদী রাঙা হাত ও হলুদ রঙের চিরকুট। তুলির জানা নেই তার হাতে মেহেদী কিভাবে আসল। গতরাতে বাগানেই চেয়ারে বসে ঘুমিয়ে গিয়েছিল সে। কিন্তু সকালে নিজেকে আবিষ্কার করল আদ্রর রুমে। কিছু সময়ের জন্য বিস্মিত হলেও তুলির চোখ কপালে উঠে গেল দু’হাতে মেহেদী দেখে। লজ্জায় আরক্তিম হয়ে উঠেছিল তার গাল। ‘মেহেদী কি আদ্র ভাইয়া দিয়ে দিল?’ আনমনে নিজেকেই নিজে প্রশ্ন টা করল তুলি। কিন্তু মস্তিষ্ক বলে উঠল- ‘উনি কেন মেহেদী দিয়ে দিবেন?’ তুলি মিনমিন স্বরে বলতে লাগল–‘ আমরিন দেয় নি তো?কিন্তু আমরিন দিলে এটা কেন লিখবে?’ সকাল সকাল মাথায় প্রেসার দিতে ইচ্ছে করল না আর। বিছানা ছেড়ে আয়নার সামনে দাঁড়াতেই আঁতকে উঠল। তার গায়ে শাড়ি টা নেই বরং কালেকর নীল ড্রেস টা। শাড়ি টা কোথায় গেল?কে পাল্টাল?আদ্র! চোখে মুখে ভয়ের ছাপ দেখা ফুটে উঠল। তুলির মন তুলির মস্তিষ্ককে কঠিন ভাবে শাসালো–‘ ডাক্তার সাহেব কে অবিশ্বাস করার আগে তোর মরণ হোক তুলি।’ ‘ হয়তো আমরিন পাল্টিয়েছে’ এটা বলে তুলি গায়ের ওড়না টা দিয়ে মাথায় ঘোমটা টেনে নিল। ড্রেসিং টেবিলের উপর তাকাতেই দেখতে পেল শাড়িটা সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা কিন্তু তার উপর একটা চিরকুটও ভাজ করে রাখা, যা দেখে ভ্রু যুগল কুঁচকে এল। তুলি কিছু একটা ভেবে শাড়ি টা আদ্রর কাবার্ডে রেখে দিল। কারণ এটা এখন নেওয়া সম্ভব না। যদি মা দেখে সন্দেহ করে! তাই পরে নিয়ে যাবে। চিরকুট টা নিয়ে সোজা নিচে নেমে এল। ড্রইং রুমে আসতেই সোফায় ঘুমিয়ে থাকা আদ্রর দিকে চোখ পড়ল তার। আদ্রর ঘুমন্ত মুখ টা দেখে পরম ভালো লাগায় ছেয়ে গেল হৃদয়টা। চারদিকে তাকিয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত মন নিয়ে আদ্রর দিকে কিছুটা ঝুঁকে পড়ল। কাঁপা কাঁপা হাতে ছুঁয়ে দিল আদ্রর খোঁচা খোঁচা দাড়িতে। যন্ত্রণা অনুভব করল তুলি। আদ্র নিজে কষ্ট করে সোফায় ঘুমোচ্ছে, অথচ তাকে সম্পূর্ণ রুমে একা থাকতে দিয়েছে এটা তার জন্য অনেক বেশি। দু চোখ বুঁজতেই টুপ করে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে গেল। আবেগি মন টা সরে আসতে বাঁধা প্রদান করছে আদ্র থেকে। কিন্তু কেউ দেখে ফেললে অথবা আদ্র জেগে গেলে কি প্রতুত্তর করবে সে। তাই ধীর পায়ে হেঁটে বাসায় চলে এল তুলি। চিরকুট টা তার জন্যই ছিল এটা তার দৃঢ় বিশ্বাস। তবে কে রাখল?পড়েই তো দেখা হয় নি। যত্নসহকারে চিরকুটের ভাঁজ খুলে মেলে ধরল তুলি। চোখে ভাসমান হল খুব সুন্দর হাতের লেখা। ” চার বছর আগে দুই বেনুনী করা এক পিচ্চি তে আমার অবাধ্য চোখ দুটো আঁটকে গিয়েছিল। বেহায়া হয়ে গিয়েছিল আমার মন। আমার নির্ঘুম প্রতিটি রাতে প্রতি মুহুর্তে নিজেকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বেহায়া বলে অভিহিত করেছি আমি। শঙ্কায় কেটেছে নিদ্রাবিহীন আঁধার এই চিন্তায় পিচ্চির মনে আমার জায়গা হবে তো? সময়ের স্রোতে পিচ্চি আজ আঠারো তে পা রেখেছে। গতরাতে তাকে শাড়িতে দেখে বেসামাল হয়ে পড়েছিল আমার এতোদিনের বাধ্য হৃদয়। মন প্রতিবার একটা প্রশ্ন-ই করে যাচ্ছিল তবে কি আমার অপেক্ষার প্রহর গুণার সমাপ্তি ঘটবে এবার?শুভ জন্মদিন তুলা। ” চিরকুট পড়ে কিছুক্ষণ থম মেরে রইল তুলি। আজ তার জন্মদিন সে তো ভুলেই বসেছিল। চিরকুট টার মালিক কে তা বুঝতে আর বাকি নেই তার। কিন্তু চিরকুটের লিখাগুলো! তুলির পরিচয় আদ্রর সাথে এ বাড়িতে আসার পরই। আগে কখনও দেখা হয় নি আদ্রর সাথে। নানুর বাড়িতে আমরিন,ইনশিতার সাথে পরিচয় হলেও আদ্রর মুখটা দেখার সৌভাগ্যও তার কখনও হয় নি। শুধু নামটাই শুনে গেছে। _________ গোলাপি একটা লং টপস পড়ে তুলি গলায় সাদা একটা ওড়না পেচিয়ে নিল। ডান হাত টা লুকিয়ে অন্য হাতে টলি টানতে টানতে আদ্রদের বাড়িতে ঢুকল। সবাইকে নিজ নিজ গাড়িতে উঠতে দেখতে পেল তুলি। মায়ের সাথে উঠতে গিয়েও বাঁধা পেল আমরিনের জন্য। আমরিন টেনে নিয়ে তুলি কে গাড়িতে নিজের পাশে বসালো। এই গাড়িটা বেশ বড়। সামনে নিবিড় ও সাগর। পিছনে পায়েল,রিমি,অন্তু। নিজের পাশে অন্য একটা সিট খালি দেখে ভ্রু কুঁচকাল তুলি। তখনই জারিফা কে কোলে নিয়ে আদ্র হাজির হল। পড়নে কালো শার্ট, চোখে সানগ্লাস, ঠোঁটে স্মিত হাসি। তুলি রাতের জন্য কৃতজ্ঞতা সরূপ দৃষ্টি নিক্ষেপ করল আদ্রর দিকে। হাত বাড়িয়ে জারিফা কে নিজের কোলে নিতে গেলে জারিফা এমন এক বাক্য বলল যা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেল তুলি। জারিফার বাক্যটা ছিল এমন, ‘ বয়পেন বলেছে তুমি নরম,তাই তোমার কোলে যাওয়া যাবে না। তুমি ব্যাথা পেলে আমার বয়পেনও তো ব্যাথা পাবে।’ কথাটা বলেই জারিফা আমরিনের কোলে গিয়ে বসল। পায়েল,রিমি, অন্তু,সাগর সবার সন্দেহের দৃষ্টি নিবদ্ধ আদ্রর দিকে। আদ্র এমন ভাব করল যেন ওদের পাত্তা দেওয়ার সময় নেই। তুলির পাশে বসে গাড়ির দরজাটা লাগিয়ে দিল। বিড়বিড় করে বলে উঠল, ‘ গার্লফ্রেন্ড আমার হাঁটে হাড়ি ভেঙে দিল।’ কথাটা কারও কর্ণগোচর নাহলেও তুলির কর্ণগোচর হল ঠিকই। ভীষণ মজা পেল সে আদ্রর কথাটা শুনে। গাড়ি ছুটে চলেছে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে। যাত্রাটা দীর্ঘ হলেও সবাই বেশ উৎফুল্ল। তুলির কখনো বান্দরবানে যাওয়া হয় নি। জীবনে প্রথম ইনশিতার বিয়ে উপলক্ষে বান্দরবান যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। ইনশিতার বিয়ে হবে ওদের দাদার বাড়িতে। ইনশিতাদের দাদার বাড়ি বান্দরবান। এতদূর কিভাবে কি তা প্রশ্ন জাগলেও সবটাই সম্ভব হয়েছে প্রেমের টানে। তুলি মায়ের কাছে শুনেছিল আদ্রর বাবা রাদিফ সাহেব কুমিল্লা ভার্সিটিতে চান্স পাওয়ায় এখানে পড়তে আসেন বান্দরবান থেকে। ভার্সিটিতেই পরিচয় হয় সায়েরা বেগমের সাথে। তারপর প্রেম,বহু তিতিক্ষার পর বিয়ে। কারণ এতো দূর মেয়ে দিতে নারাজ ছিলেন আদ্রর নানা। কিন্তু মেয়েকে এতো বেশিই ভালোবাসতেন যে না মেনে উপায় ছিল না। বিয়ের পর রাদিফ সাহেব সায়েরা বেগম কে নিয়ে ঢাকায় সেটেল হন। ইনশিতার দাদা-দাদী বেচে নেই। তাই খুব একটা যাওয়া হয় না ওদের। তবে রাদিফ সাহেবের ইচ্ছে মেয়ে ওনি নিজের বাপের বিটে হতে বিদায় দিবেন। সেই সুবাদে বরপক্ষও যাচ্ছে সেখানে। আকাশে মেঘ জমেছে। চারদিক কিছুটা অন্ধকারে ছেয়ে আছে। চট্টগ্রাম ছেড়ে বান্দরবানের দিকে ছুটে চলেছে গাড়ি। তুলি এতোক্ষণ সবার সাথে কম বেশি কথা বললেও আদ্রর সাথে একটা কথাও বলে নি। বলে নি বললে ভুল হবে চেষ্টা করেও পারে নি। কারণ ডাক্তার সাহেব যে ফোনে ব্যস্ত ছিল সারা রাস্তা। তুলির একবার মোবাইলে উঁকি দিয়ে দেখার ইচ্ছে হল, কিন্তু দেখতে হলে তো আদ্রর গা ঘেঁষে বসতে হবে তাই ইচ্ছে টা কে দমিয়ে ফেলল। পাছে যদি আদ্র তাকে ভুল বুঝে। নিবিড় উঠে সাগর এর সিটে বসে পড়ল। আর সাগর ড্রাইভিং করতে লাগল। তুলি পাশ ফিরে দেখল আমরিন ও জারিফা গভীর ঘুমে তলিয়ে গেছে। পিছনে অন্তু ও পায়েল পরস্পরের মাথা একসাথে ঠেকিয়ে কি সুন্দর করে ঘুমোচ্ছে। এই দু’টো মানুষ যদি স্বচক্ষে নিজেদের এই দৃশ্য দেখত তাহলেও হয়তো বিশ্বাস করত না ভেবেই হাসি পেল তুলির। রিমি কানে এয়ারফোন গুঁজে চোখ বন্ধ করে সিটে মাথা এলিয়ে রেখেছে। তুলির নিজেরও এখন খুব ঘুম পাচ্ছে। এতো লং জার্নি এর আগে কখনো করে নি সে। মাথাটা ঝিম ধরে আছে। সিটে মাথা এলিয়ে দিয়েও খুব একটা আরাম পেল না৷ তবে এছাড়া যে উপায় নেই। আকস্মিক চেনা স্পর্শে কেঁপে উঠল তুলি। একটা বলিষ্ঠ হাতের মালিক তাকে টেনে নিজের বুকে জড়িয়ে নিল যত্ন করে। পরম আবেশে চোখ বুঁজে এল তুলির। ঠোঁটে প্রতীয়মান হল হাসির রেখা। মাথায় ঠোঁটের ছোঁয়া পেতেই শীতল স্রোত বয়ে গেল পুরো হৃদপিণ্ড জুড়ে। মনে মনে আওড়াল, ‘ এই মানুষটা আমার হোক। শুধুই আমার হোক।’ _________ ‘ পেশেন্টের হুঁশ ফিরেছে মিস্টার পূর্ব। ‘ ডাক্তারের কথা শুনে উঠে দাঁড়াল পূর্ব ও তার সাথের সেই বন্ধু। দরজা ঠেলে কেবিনে ঢুকে দেখতে পেল বিধস্ত অবস্থায় পড়ে থাকা রিশাদ কে। গলায়,হাতে, পায়ে ব্যান্ডেজ। গত রাতেও ছেলেটা সুস্থ স্বাভাবিক ছিল। রিশাদের দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে ডাক্তারের দিকে তাকাল পূর্ব। সাথে সাথেই ডাক্তার বললেন, ‘ উনি আর কথা বলতে পারবেন না। যেই ব্যক্তি,অথবা যারা উনাকে আঘাত করেছেন আমার ধারণা মতে খুবই বিচক্ষণ ছিলেন। প্ল্যান করেই কন্ঠনালিতে আঘাত করেছেন মেবি। হাত টাও অকেজো হয়ে পড়েছে।’ সূক্ষ্ম একটা নিঃশ্বাস ছাড়ল পূর্ব । তার মুখের হাবভাব বুঝা দুষ্কর। পূর্বের দিকে তাকিয়ে কিছু বলার জন্য ছটফটাতে লাগল রিশাদ। ভয়ে তার চোখের কার্ণিশ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ল। ভেসে উঠল কাল রাতের দৃশ্য, তুলির ঘাড়ে নিজের ঠোঁট দুটো এগিয়ে নিতেই খুব শক্ত করে মুখ চেপে ধরল কেউ। টেনে হিঁচড়ে অতি সাবধানে নিয়ে এল বাড়ির পিছনের সাইডে। চাঁদের আলোয় মানুষ টা কে দেখে ভয়ার্ত চোখে তাকাল রিশাদ। ছোটার জন্য হাত পা ছোটাছুটির প্রয়াস চালাতেই বলিষ্ঠ আগ্রাসী হাতে গলা চেপে ধরল মানুষ টা। ছোট্ট একটা ছুরি দিয়ে আঘাত করল গলায়। হাতে রক্তের ছিটেফোঁটা লাগার আগেই লাথি দিয়ে রিশাদ কে নিচে ফেলে দিল। এলোপাতাড়ি লাথি মারতে লাগল রিশাদের পেটের নিচের দিকে। রিশাদ প্রাণ ভিক্ষা চাইতে গিয়েও পারছে না। চোখ দুটো থেকে যেন অগ্নি বর্ষণ হচ্ছে। রিশাদের হাত মুচড়ে ধরে রাগান্বিত কন্ঠে বলে উঠল, ‘ প্রথম দেখায় অর্ধাঙ্গিনী রূপে মেয়েটা কে কবুল করে নিয়েছি আমি। নিজের প্রত্যেক টা শ্বাসে মিশিয়ে নিয়েছি তাকে। আর তুই তাকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছিলি?তোর এমন হাল করব আজ যেন বেঁচে থেকেও মরণ যন্ত্রণা অনুভব করিস। কোনো মেয়ের দিকে চোখ তুলে চাইতেও যেন তোর চোখের সামনে আমার চেহারা টা ভেসে উঠে। মেয়েরা সম্মানের যোগ্য, তোদের মতো কুত্তার ভোগের পাত্রী নয়। জানে মারব না,হসপিটালেও পাঠাব তোকে তবে তোর জীবনের সবটুকু শান্তি কেড়ে নিয়ে। নষ্টামি করার পথটাও রাখব না। কথাগুলোই বলেই শরীরের সবটুকু শক্তি দিয়ে পাগলের মতো মারতে লাগল অনবরত। সাথের ছেলেটা থামাল না। এসব মানুষের প্রাপ্য এমনই হয়। নিজের হাতের মোটা লাঠি টা এগিয়ে দিল সুঠাম দেহের অধিকারী যুবকের নিকট। লাঠি নিয়ে বাঁকা হাসল ছেলেটা। রিশাদ ভয়ে করুণ চোখে চাইল। চোখ দুটো ব্যাথার চোটে বুঁজে আসছে তার। সহ্যশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। লোকটা তাচ্ছিল্যের স্বরে প্রশ্ন ছুড়ল, ‘ তুই কাকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করেছিস জানিস?’ রিশাদ কোনো উত্তর দিতে পারল না। লোকটা হাঁটু মুড়ে হাসিটা প্রসারিত করে বলে উঠল, ‘যার থমকে যাওয়া নিঃশ্বাসে আমার সমাপ্তি। ‘ #চলবে,,,,,! (ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here