#আকাশে_তারার_মেলা_২
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
#পর্ব – ১৩
সকালের প্রহর কেটে দুপুরের আগমন। বৃষ্টি থেমে গিয়ে বড় বড় গাছের ফাঁক দিয়ে এক মুঠো রোদ উঁকি দেওয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। তুলি ভেজা চুলগুলো আঁচড়ে গোলাপি ওড়না টা টেনে মাথায় ঘোমটা দিয়ে নিচে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়েও থেমে গেল। পিছু ফিরে আরশিতে নিজেকে দেখে নিল গভীর নয়নে। নিজেকে শূন্য শূন্য লাগছে তার। মনে তীব্রভাবে নিজেকে সাজিয়ে নেয়ার ইচ্ছে উদয় হলো। কাজল টেনে নিল ডাগরডাগর আখিঁদ্বয়ে। হালকা গোলাপি শেডের লিপস্টিক রাঙিয়ে নিল চিকন ওষ্ঠযুগলে। নিমিষেই তুলির শ্যামলা মুখশ্রী জুড়ে লজ্জার আভা ছেয়ে গেল। নিজেকে পরিপূর্ণ মনে হচ্ছে তার। এতোক্ষণ কেমন সন্ন্যাসী সন্ন্যাসী লাগছিল নিজেকে। তুলি আনমনে হাসতে হাসতে বিড়বিড় করল–” ওহে,শ্যামবর্ণা তোমাকে এখন লাগছে ডাক্তার সাহেবের বউ।”
বাহিরের ঝলমলে রৌদ্র রুমের মেঝেতে ছুঁয়ে যাচ্ছে। একটু আগেও বৃষ্টির তীব্র বেগে সারা প্রকৃতি বৃষ্টি বিলাসে মত্ত ছিল আর এখন রৌদ্রময় রূপ শুষে নিতে মগ্ন। এ যেন, কখনও বৃষ্টি কখনও রৌদ্দুর। তুলির কাছে প্রত্যেক টা মানুষের জীবন ঠিক এমন মনে হয়। কখনও সুখ তো কখনও কান্না।’ আচ্ছা আমার জীবন টা এখন কোন পরিস্থিতিতে আছে?’প্রশ্ন টা মনে জাগতেই তুলি মুখে উচ্চারণ করল-‘ রৌদ্রময় রূপে। যেই জীবনে আদ্রর ভালোবাসা রোদের ন্যায় প্রখর। তবে একটুখানি পার্থক্য আছে!রোদের প্রখরতা কমে এলেও কখনও কমবে না আদ্রর ভালোবাসা।’
নিজের ভাবনায় এতোটাই মত্ত ছিল তুলি তার খেয়ালই ছিল না ঝুমু দুপুরের খাবারের জন্য নিচে যেতে বলেছিল। কাজের মেয়ে রিমার ডাকে হুঁশ ফিরে এল তার। রিমা দাঁত কেলিয়ে বলে উঠল-
‘ আদ্র ভাই আমনের লাই ওয়েট করতাছে ছোডো আফামণি। বাহি সবাইও ওয়েটিং। তাড়াতাড়ি আইয়েন।’
রিমার কথা শুনে পেট ফেটে হাসি আসার উপক্রম তুলির। কিন্তু হাসা যাবে না। এতে মেয়েটার মন ক্ষুণ্ণ হতে পারে। কথায় কথায় ভুলভাল ইংলিশ বলা মেয়েটার স্বভাবে পরিণত হয়েছে। বয়স পনেরো কি ষোলো হবে। আদ্র একটা স্কুলেও ভর্তি করিয়ে দিয়েছে রিমা কে। কিন্তু স্কুল ফাঁকি দেওয়ার জন্য ওস্তাদ মেয়েটা। আদ্র বাড়িতে না থাকায় তো আরো সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল কিন্তু বেচারির সেই সুযোগ শেষের পথে আদ্রর আগমনে। তুলি আলতো হেসে সায় জানিয়ে রিমার পিছু পিছু হাঁটছে। মাথা টা ভার ভার লাগছে তার সকালে বৃষ্টি তে ভেজার পর থেকে। গা টাও হালকা গরম। হয়তো দু’দিন আগে হুট করে উদাও হওয়া জ্বর টা বৃষ্টির পানির স্পর্শে ফিরে এসেছে। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে তুলির কর্ণকুহর ভেসে আসতে লাগল হাসির কলরব। তুলি দিব্যি ঠাওর করতে পারল এই হাসির কারণ অন্তু। অন্তু নিশ্চয়ই তার মজার মজার কথা দিয়ে ডাইনিং টেবিলে উপস্থিত সবাইকে হাসাতে ব্যস্ত। কিন্তু এই মানুষ টা মনে মনে হাসে তো?নাকি মন পাঁজরে বেঁধে রেখেছে অজস্র বিষাক্ত বেদনা!এই চার দিনে অন্তুকে বেশ খেয়াল করেছে তুলি। মানুষ টা তাকে বড় ভাইয়ের মতো ভালোবাসে। তুলির মনে পড়ে গেল ইনশিতার গায়ে হলুদের রাতের সেই দৃশ্য। সেদিন কেঁদে কেটে অস্থির হওয়া তুলি কোনোমতে নিচে এসেছিল। বাগানের এক পাশে দাড়িয়ে যখন সবার অগোচরে নিঃশব্দে চোখের জল ভাসিয়ে দিচ্ছিল ঠিক তখনই কেউ একজন তার সামনে এক প্যাকেট হাওয়ায় মিঠাই ধরেছিল। হাওয়ায় মিঠাই দেখে তুলির অশ্রুসিক্ত চক্ষুদ্বয় লোভাতুর হয়ে উঠেছিল পলকেই। সেই কবে হাওয়ায় মিঠাই খেয়েছিল মেয়েটা!তার যতদূর মনে পড়ছে ক্লাস সেভেনে থাকতে খেয়েছিল শেষ বার স্কুলের ক্রীড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। হাওয়ায় মিঠাইয়ের প্রতি চরম দুর্বলতা তুলির। মুখে দিলেই চুপসে যায় তাতে পেট না ভরলেও মনটা দিব্যি ভরে যায়। মুখের সামনে হাওয়ায় মিঠাই ধরা মালিক কে দেখে তুলি কিছুটা চমকপ্রদ হলেও পরক্ষণেই ঠোঁট দুটো প্রসারিত হয়ে এল। অন্তু হাওয়ায় মিঠাই টা নেওয়ার ইশারা করতেই প্যাকেট টা এক প্রকার লুফে নিল তুলি। হাতে নিয়েই ফিক করে হেসে উঠল। তার হাসির সাথে তাল মিলিয়ে অন্তু ও খানিকক্ষণ হেসে নিল। হাসি থামিয়ে বলে উঠল,
“বিষাক্ত যন্ত্রণাগুলো কে জমাতে নেই, পারলে গিলে ফেলো তুলি। রেহাই দাও নিজের মন কে যন্ত্রণার পাহাড় বানানো হতে।”
তুলির কি হয়েছিল সে জানেনা তবে দ্রুত গতিতে প্রশ্ন করেছিল,
” আপনি পারেন গিলে ফেলতে?”
তুলির প্রশ্নের প্রেক্ষিতে অন্তু নিজের চিরাচরিত হাসি টা উপহার দিয়েছিল। অবলীলায় প্রতুত্তর করেছিল,
” পারি বলেই তো এতো হাসি-খুশি থাকতে পারি। বাই দ্যা ওয়ে, হাওয়ায় মিঠাই চুপসে যাওয়ার আগে খেয়ে নিও। আদ্র ভালোই করেছে গায়ে হলুদে হাওয়ায় মিঠাইয়ের আয়োজন করে। আমার পছন্দের একটা জিনিস। ”
তুলি অতিশয় বিস্ময়ে জড়ীভূত হয়ে শুধু অন্তুর উত্তর টা ভেবেছিল কিছু সময়। তখনই কিছু একটা খেলে গিয়েছিল তার ছোট্ট মস্তিষ্কে। মন বলেছিল–” একটা মানুষ যেমন কখনও পারফেক্ট হয় না, কোনো না কোনো দিক দিয়ে ত্রুটি থাকে তেমনই সর্বদা হাসি খুশি থাকা মানুষগুলোর মন কোনো না কোনো কিছুর শূন্যতায় ভুগে।”
__________
ডাইনিং টেবিলের সামনে আসতেই তুলি সবাইকে দেখতে পেল। বিশাল বড় ডাইনিং টেবিল। হরেক রকমের খাবার সাজিয়ে রেখেছে ডাইনিং টেবিলে। কিন্তু সবাই খাবার খাওয়া শুরু না করে আড্ডা দিচ্ছে যা দেখে তুলি বুঝে গেল সবাই তার অপেক্ষায়। আর এই জমপেশ আড্ডা জমিয়েছে অন্তু। কিন্তু এই আড্ডায় যেন কোনো খেয়াল নেই এক বান্দার। আদ্র চেয়ারে হেলান দিয়ে মোবাইল টিপছে। তুলি কে দেখে সবাই তাড়াতাড়ি বসতে বলল। চারদিকে চোখ বুলিয়ে তুলি একটা চেয়ারও খালি পেল না। হতভম্ব হয়ে গেল সে। তাকে খেতে ডাকল অথচ চেয়ার খালি নেই! ভীষণ অবাকও হলো সামনের চেয়ারে বসা এক সুন্দরী রমণী কে দেখে। এখানে এসেছে তিনদিন। মেয়েটা কে তো তুলি আগে দেখে নি। মুমতাহিনা খানমের অর্থাৎ আদ্রর ফুপি মেয়েটার পাশে বসে আছে। মোবাইল টিপতে ব্যস্ত মেয়েটা কে আরেকবার তীক্ষ্ণ নজরে দেখে নিল তুলি। বুঝতে পারল এই মেয়েই মুমতাহিনা খানমের মেয়ে রূপসা। নিমিষেই হৃদয়পটে প্রচন্ড যন্ত্রণা অনুভব করল তুলি। পরমুহূর্তেই সেই যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে আসার প্রয়াস চেষ্টা চালাল। নিজের মন কে শুধালো, ‘ ডাক্তার সাহেব আমার বর। আমার বর মানে শুধুই আমার। আমার চারপাশে কখনও মিথ্যের বেড়াজাল সৃষ্ট হলেও উনার ভালোবাসা চিরকাল সত্য থাকবে।”
তুলির বসার জায়গা না পেয়ে ইতস্তত অনুভব করতে লাগল। পাশের চেয়ার থেকে ছোট্ট জারিফা কে নিজের কোলে নিয়ে নিল আদ্র। চেয়ার টা দেখিয়ে বসার জন্য ইশারা করল। তুলি নম্র স্বরে বলল,
” এটা তো জারিফার চেয়ার। আমি নাহয় পরে খেয়ে নিব।”
” তোমার জন্যই চেয়ার টা। জারিফা আগেই খেয়ে নিয়েছে। ”
আদ্রর গাম্ভীর্য স্বর কর্ণপাত হতেই তুলি তড়িৎ গতিতে দুই কদম এগিয়ে এসে চেয়ারে বসে পড়ল। রাদিফ সাহেবের দিকে চেয়ে বলল,
” আপনারা খাওয়া শুরু করলেন না কেন খালু?”
রাদিফ সাহেব ঠোঁটের কোণে হাসি ঝুলিয়ে জবাব দিলেন,
” তোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম প্রিন্সেস। ভাবলাম আজ সবাই একসাথে লাঞ্চ করি। আর কবে এমন একটা সুযোগ হবে কে জানে!”
রাদিফ সাহেবের কথায় মুমতাহিনা খানম তীর্যক নজর তাক করল তুলির দিকে, যা তুলির চোখ এড়ায় নি। এই মহিলা যে তাকে একদমই সহ্য করতে পারছে না তা মহিলার মুখের হাবভাবে প্রকাশিত। অবশ্য এতে ওনার কোনো দোষ দেখতে পাচ্ছে না তুলি। একটা মানুষ কাকে পছন্দ করবে বা অপছন্দ করবে এটা সেই মানুষের ব্যাক্তিগত ব্যাপার। নিজের শশুড়ের মুখে প্রিন্সেস ডাক টা শুনে তুলির মন টা খুশিতে ভরে গেল। সবাই খেতে শুরু করে দিয়েছে। তুলি আঁড়চোখে পাশের মানুষ টার দিকে এক নজর চাইল। এই চাওয়া যেন কাল হয়ে দাঁড়াল তার জন্য। আঁড়চোখে চাইতে গিয়ে ফেঁসে গেল আদ্রর নীলাভ চোখের মণিতে। তার দিকেই নিষ্পলক চেয়ে আদ্র। তুলির বুকটা দরফর করতে লাগল। আদ্রর মুখ টা কেমন শুকনো শুকনো ঠেকল তুলির নিকট। আচ্ছা উনি কি অসুস্থ! চোখের সাদা অংশ টা লাল দেখাচ্ছে। তুলি পরখ করার জন্য আরেকবার তাকাতেই আদ্র বলে উঠল,
” খাবার খাওয়া শুরু করো। ঠান্ডা হয়ে যাবে তো।”
তুলির ইচ্ছে হলো জিজ্ঞেস করতে ‘আপনি কি অসুস্থ ডাক্তার সাহেব?’ কিন্তু এতো মানুষের সামনে জড়তা -সংকোচে দমে গেল। খাবার দেখে গা গুলিয়ে আসল তার। টানা কয়েকদিন মাংস,মাছ,ডিম এসব ধরনের খাবার খেতে খেতে বিরক্ত সে। জ্বরে আক্রান্ত তুলির এ মুহুর্তে খাবার গুলোকে বিষ মনে হচ্ছে। কয়েক পল স্থির নয়নে চেয়ে রইল প্লেটের দিক। হঠাৎ পাশ থেকে আদ্র কে উঠে দাঁড়াতে শঙ্কিত মনে মাথা তুলে তাকাল তুলি। আদ্র তুলির প্লেট টা সরিয়ে দিয়ে নরম স্বরে বলল,
‘ এসব খেতে হবে না। একটু অপেক্ষা করো।’
হতভম্ব তুলি মাথা নাড়িয়ে সায় দিল। গটগট পায়ে আদ্র ছুটে গেল কিচেনের দিকে। মিনিট পনেরো পর ফিরে এল হাতে ভেজিটেবল স্যুপ ও পাস্তা নিয়ে। তুলির সামনে খাবারগুলো রেখে দ্রুত বেগে উপরে উঠে গেল। কিছু সেকেন্ডের ব্যবধানেই থার্মোমিটার নিয়ে এসে জারিফা কে ড্রইং রুমে পাঠিয়ে চেয়ার টেনে তুলির পাশে বসে পড়ল। সবকিছু এতো দ্রুত দ্রুত হচ্ছে যার জন্য তুলি স্তম্ভিত হয়ে আদ্রর কান্ড অবলোকন করছে। দু ঠোঁটের কিঞ্চিত দূরত্বে সৃষ্ট হওয়া ফাঁক দিয়ে আদ্র থার্মোমিটার টা তুলির মুখের ভিতর পুড়ে দিল। অকস্মাৎ এহেন কান্ডে বোকা বনে গেল তুলি। কপালে ভাজ ফেলে আদ্রর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। সাথে সাথেই ভেসে এল আদ্রর রাগান্বিত নিচু স্বর,
” স্টুপিড একটা!বৃষ্টিতে ভিজে জ্বর বাঁধিয়ে বসে আছে অথচ বলার নাম নেই।”
কথাটা তুলি ব্যতীত অন্য কারো কর্ণগোচর হয়েছে কিনা তাতে যথেষ্ট সন্দেহ আছে তুলির। তবে সবার দৃষ্টি যে ওদের দু’জনের উপর নিবদ্ধ তা বেশ উপলব্ধি করতে পারছে। তুলির মা তো প্রশ্ন করেই বসল,
” কি হয়েছে আদ্র?”
” জ্বর হয়েছে খালামণি।”
অন্তু খাবার খাওয়া বন্ধ করে হেসে বলে উঠল,
” বাহ্!দুজনেরই জ্বর। ভালোই হলো এবার তাহলে মিলেঝিলে ওষুধ খা ।”
আদ্র চোখ গরম করতেই অন্তু মুখে কুলুপ এঁটে ফেলল। আফসানা মেয়ের জন্য অস্থির হয়ে উঠে আসতে নিলে আদ্র আলতো স্বরে বলল,
” তুমি খাবার ফিনিশ করো খালা মণি। আমি ওষুধ খাইয়ে দিব। আশা করি সুস্থ হয়ে উঠবেন উনি।”
এমনিতেই তুলির মন জুড়ে বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে আদ্রের জ্বরের কথা শুনে। এখন আদ্রর রাগের বলা বাক্যটা ও তার মনে আষাঢ়ে বর্ষণ নিয়ে এল। জ্বর হয়েছে বলে নি এটাও বুঝি তুলির অপরাধ!তুলি চুপচাপ স্যুপ টা বহু কষ্টে খেতে লাগল আদ্রর আদেশে। তুলির জন্য আদ্রর এতো অস্থিরতা দেখে আগুনে ফুটন্ত লার্ভার ন্যায় জ্বলে উঠলেন মুমতাহিনা খানম। নিজের মেয়ের দিকে তাকালেন রাগান্বিত দৃষ্টি নিয়ে। অথচ রূপসা ভাবলেশহীন যেন এসবের কিছুই পাত্তা দেওয়ার সময় তার নেই। জ্বরে বেহাল অবস্থা নিয়েই আদ্রর তুলির প্রতি কেয়ার দেখে উচ্চস্বরে বলে উঠলেন,
” শুনলাম তুমি নাকি নিজের বাবার কথা শুনো না?আমার মেয়েকে বিয়ে করতে কি সমস্যা তোমার? বাবার খাও কিন্তু তার কথা শুনতেই অপারগ তোমার।”
সোজা হয়ে বসল আদ্র। তুলির হাতে ওষুধ দিয়ে পানি এগিয়ে দিল। নিজের আঁখিযুগল রাদিফ সাহেবের দিকে নিবদ্ধ করে কোমল কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
” বাবা আমি কি আপনার টাকায় খাই?”
” একদম না। তুমি তোমার ইনকাম করা টাকায় খাও এবং চলো।”-খেতে খেতে জবাব দিলেন রাদিফ সাহেব।
মুমতাহিনা খানমের মুখটা চুপসে গেল সাথে সাথেই। ওনার নিকট মনে হলো–” যেমন ছেলে তেমন তার বাবা। যেমন বাপ তেমন ছেলে প্রচলিত বাক্য টা বুঝি আদ্র ও রাদিফ সাহেবের ক্ষেত্রে উল্টো হলো।” টেবিলের সবাই মিটমিট করে হাসছে। মুমুতাহিনা খানম তুলির দিকে অগ্নি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলে উঠল,
” এই মেয়েটার প্রতি তোমার এতো দরদ কেন?খালাতো বোনের প্রতি এতো দরদ ভালো ঠেকছে না আদ্র।”
” ফুপু আম্মু কে বলেছে তুলি আমার খালাতো বোন?আমার জানামতে তুলি আমার বউ।”–নির্লিপ্ত জবাব আদ্রর।
#চলবে,,,,
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)