#আকাশে_তারার_মেলা_২
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
#পর্ব_৩৫
আমরিন ওয়াশরুমের দরজা লাগিয়ে ভিতরে ঘাপটি মেরে বসে আছে এক ঘন্টা যাবত। খোলার নামই নিচ্ছে না। ডেকে ডেকে গলা শুকিয়ে এসেছে নিবিড়ের। রাগে কপালের রগ গুলো ভেসে উঠেছে। আমরিন কে কষে থাপ্পড় লাগিয়ে ক্ষান্ত হবে আজ। দরজায় বাড়ি মেরে রাগী কন্ঠে বলে উঠল,
” আমি চলে যাচ্ছি। এবার বের হয়ে শান্তির নিঃশ্বাস নে। বাথরুমে থাকলে তো দম বন্ধ হয়ে মারা যাবি।”
আমরিন নাক ফুলিয়ে বিড়বিড় করল,
” আমাদের বাথরুম দেখেছেন আপনি?একবার দেখলে বলবেন বাহিরে নিঃশ্বাসের চেয়ে এখানে শান্তি বেশি।”
দরজায় কান পেতে অনুমান করার চেষ্টা করল আমরিন সত্যিই নিবিড় গেল কিনা রুম থেকে। মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করে দরজা খুলে বেরিয়ে এল। নতজানু হয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ছেড়ে যেই না সামনে তাকালো চক্ষু যুগল চড়কগাছ। ভয়ে ঠেসে দাঁড়াল দেয়ালের সাথে। সাধ্য হলে দেয়াল ভেদ করে পেরিয়ে যেত আমরিন। চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে আয়েশি ভঙ্গিতে বসে আছে নিবিড়। চোখে রাগের ছাপ স্পষ্ট। শুকনো ঢোক গিলে আমরিন ফের ওয়াশরুমে ঢোকার জন্য অগ্রবর্তী হলো। তবে ব্যর্থ হল তার ইচ্ছা। শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কোলে তুলে নিল নিবিড়। পা ছুড়তেই চোখ রাঙিয়ে বললো,
” আছাড় দিয়ে গুঁড়া করে বোতলে ভরে রাখব,যদি আর একটুও নড়েছিস তবে।”
ভয়ে চুপসে গেল আমরিন। বোকা বনে গেল একদম। কই গেল তার এতো সময় অব্দি পোষে রাখা রাগ!এ কেমন রাগ ভয়ের চোটে পালালো। আমরিন কে বিছানায় ফেলে শক্ত করে চেপে ধরল নিবিড়। টকটকে লাল চোখ জোড়া নিক্ষেপ করে বললো,
” সমস্যা কি তোমার?এতো বড় সাহস আমাকে ব্লক করো সবকিছু থেকে। আবার ওয়ার্নিং দাও আমার শশুড় বাড়িতে আমি পা রাখলে পা কেটে দিবা। তোমার সামনেই হাজির আছি কাটো পা। কষ্ট করে পা টা বাড়িয়ে দিব?”
আমরিন মুখ ফিরিয়ে বললো,
” আপনার এসিস্ট্যান্ট রিয়ার কাছে যান। আমার কাছে কি আপনার?গতকাল দুপুরেও তো ওই মেয়ের সাথে মধুর আলাপ করছিলেন। আমার কাছে এসেছেন কেন এখন?আমি মধুর আলাপ করতে জানিনা। আর হ্যাঁ। সরি। সরি আপনাদের আলাপে বাঁধা হয়ে কেবিনে ঢুকে পড়েছিলাম।”
নিবিড় আহত চোখ চাইল আমরিনের দিক। আমরিনের কথা গুলো মনে কষ্টের দাগ কেটে গেল নিমেষ। দুই হাতে আমরিনের মুখ টা কাছে টেনে নিল।
” এই আমার দিকে তাকাও তুমি।”
” দেখতে চাই না আমি আপনাকে।”
আমরিনের কাঠ কাঠ গলা নিবিড়ের বুকে ভারী পাথর চেপে ধরল যেন। উত্তেজিত সুরে বললো,
” তোমার টাইমিং টা ভুল ছিল আমরিন। আই মিন তুমি যখন রুমে আসলে তখন রিয়া পেশেন্ট দের ফাইলগুলো চেইক করানোর জন্য এসেছিল। আই নো তুমি খুব জেলাস। তাই বলে এতোটাই যে আমাকেই দূর করে দিবে!”
পলকেই ক্ষিপ্র দৃষ্টি নিক্ষেপ করল আমরিন। কন্ঠে এক রাশ তেজ ঢেলে বলে উঠল,
” আমি জেলাস?ওকে আমি জেলাস। হবই জেলাস। কেন হব না?আমি বাঙালি মেয়ে। সুতরাং আমার হাসবেন্ডের আশেপাশে মেয়ে মানেই প্রকৃতিতে সন্দেহ সন্দেহ ভাব। অভিমানের কারণ নিশ্চয়ই আপনার জানা আছে। তবুও বলছি, কোনো ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরিধান করা মেয়ে আপনি এসিস্ট্যান্ট হিসেবে রাখতে পারবেন না। না মানে না।”
বড় রকমের একটা নিঃশ্বাস বেরিয়ে এল নিবিড়ের শ্বাসনালী বেয়ে। আমরিন কে জড়িয়ে ধরে গলায় মুখ গুঁজে ছোট্ট ছোট্ট চুমু খেল। অকস্মাৎ এমন স্পর্শে ধুক করে কেঁপে উঠল আমরিনের হৃদপিণ্ড। বিয়ে হয়েছে দু’মাস। কখনও এতোটা কাছে আসা হয় নি দু’জনের। অনুভব করা হয় নি মাতাল করা এই স্পর্শটুকু। এই তো সেদিনের কথা মা কে নিয়ে হুট করেই হাজির হয়েছিল নিবিড়। বিয়ের প্রস্তাব রাখতেই কেউ নাকচ করে নি। করবেই বা কোন মুখে, ফিরিয়ে দেবার মতো কোনো খারাপ বৈশিষ্ট্য যে নিবিড়ের মাঝে বিদ্যমান নেই। তাছাড়া এতে আদ্রর মতামত ছিল একশ পারসেন্ট। রাদিফ সাহেবও ছেলের মতামতে, যুক্তিতে অমত করেন নি। আমরিন চমকিত নয়ন নিয়ে স্তব্ধ হয়ে ছিল কয়েক সেকেন্ড। ধরা গলায় শুধু এটুকু বলেছিল,
” বিয়েতে অমত নেই আমার। তবে আমি এখন প্রস্তুত না ভাইয়া। প্রস্তুত নই এই বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার জন্য। ”
ক্রমে ক্রমে হেসে উঠেছিল সবাই। আমরিনের মাথায় স্নেহের হাত বুলিয়ে প্রকাশ করেছিল নিজেদের মনের কথা। সেদিন শুধু কাবিন হওয়ার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিল দুই পরিবার। আমরিনের ইচ্ছে, চাওয়া বিবেচনা, প্রাধান্য দিয়ে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে ঘরোয়া ভাবে বেঁধে দেওয়া হয়েছে নিবিড় -আমরিন কে এক পবিত্র বন্ধনে। নতুনভাবে, অভিনবত্ব নিয়ে ভালোবাসার সম্পর্ক পরিণতি লাভ করেছে স্বামী -স্ত্রীর সম্পর্কে। হঠাৎ বিয়ে,হঠাৎ নতুনত্ব। সেই দিনটায় ছিল প্রকৃতির রোমাঞ্চকর বর্ষণমুখর দিন।
কপালে উষ্ণ পরশে স্মৃতি চারণের সমাপ্তি ঘটিয়ে চোখ নির্মলিত করে নিল আমরিন। সহসা ধড়াস করছে বক্ষস্থল। চোখ বন্ধ রেখেই আঁকড়ে হাতের মুঠোয় পুরে নিল নিবিড়ের শার্টের কিছু অংশ। যতটুকু নেওয়া যায় ততটুকুই মাত্র। প্রেমে আবদ্ধ থেকেও তো এমন অনুভূতি আসে নি৷ তবে কি স্বামীর প্রতি অধিকারবোধ থেকেই এমন নির্লজ্জ, বেহায়া ইচ্ছে মনে জেগেছে!আমরিনের গলা শুকিয়ে এলো। তৃষ্ণায় খা খা করছে কন্ঠনালি। নিবিড়ের প্রশস্ত বুকে নিবিড়ভাবে লেপ্টে থাকার তীব্র আশা জাগ্রত হলো মনের মাঝে। বয়সের তুলনায় খুবই বিচক্ষণ আমরিন। স্পষ্ট জানা আছে তার আশাবাদী হওয়া ভালো। তবে খুব বেশী আশাবাদী হওয়া নিজের জন্য ঢের অন্যায়। তাই অপেক্ষা অথবা আশাবাদীর লিস্টে থাকতে রাজি নয় সে। তৎক্ষনাৎ মনের বাসনা কে মুখে আনল,ব্যক্ত করল নিবিড়ের কাছে।
” আমাকে একটু আপনার বুকে জায়গা দিবেন নিবিড়?”
বলতে কিছু সেকেন্ড ব্যয় হলেও বুকে নিতে ব্যয় করে নি নিবিড়। মাথা বুকে চেপে ধরে ঠোঁট বুলালো আমরিনের চুলের ভাঁজে। আবেগী স্বরে বলে উঠল,
” এই বুকে তোমার স্থান পার্মানেন্ট এবং চিরকাল।”
কথাটা শুনে আনন্দে অশ্রু ভরে এল আমরিনের দু চোখে। গাল দুটো তে লাল রঙের প্রলেপ পড়েছে। মনে মনে বললো,তুলি তোর সঙ্গদোষ পেয়েছে আমায়,নয়তো লজ্জা আমাকে স্পর্শ করার সুযোগ পেত নাকি!” আচমকা কিছু একটা মনে পড়তেই উৎকন্ঠা হয়ে বললো,
” আপনি কবে যাবেন অস্ট্রেলিয়া? ”
” ক্যান্সেল করে দিয়েছি। সম্ভব না আমার পক্ষে কোথাও যাওয়া।”
নিমিষে তীক্ষ্ণ চাহনি ছুঁড়ে দিল আমরিন নিবিড় কে লক্ষ্য করে। কড়া সুরে বললো,
” আপনি তো সেমিনারের জন্য অস্ট্রেলিয়া যাবেন বলেই এতো তাড়াহুড়া করে বিয়ে হলো। এখন যাবেন না কেন?”
” অনেক ভেবেছি। ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যাব না। কারণ আমরিন বিহীন প্রতিটা মুহুর্ত মরুভূমির উত্তাপের মতো। এতো তেষ্টা সহ্য করার শক্তি যে আমার নেই মিসেস আমরিন।”
কপট রাগ প্রদর্শন করলেও মনে মনে প্রচন্ড খুশি হলো আমরিন। কারণ একটাই আজকাল বছর খানেক আগের চেয়েও বেশি ভালোবাসা অনুভব হয় নিবিড়ের জন্য।
_______
গোধূলি বেলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে কাঁচের দরজা ঠেলে বেলকনিতে এসে দাঁড়াল তুলি। মৃদুমন্দা বাতাস বইছে চারদিকে।
আদ্রর রুমের বারান্দা বিয়ের আগেই তুলির ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। মনে জেগেছিল প্রতিদিন এখান থেকে গোধূলি লগ্নতে মন মাতানোর। তখনও তুলি জানত না তার ইচ্ছে টা এতো অবলীলায় পূর্ণতা পাবে। ক্ষীণ শব্দে কর্ণ খাড়া করে বেলকনির একসাইডে ঠেসে দাঁড়াল তুলি। নিজেকে লুকিয়ে ফেলল এক কোণায়। রক্ত হিম হয়ে গেল তুলির রুমে উঁকি দিতেই। হাতে খাতা নিয়ে আদ্র বসে আছে বিছানায়। চোখে মুখে ক্রোধের চিহ্ন লেগে আছে। কাউকে সামনে পেলে অনাসয়ে পিষে ফেলবে রাগ দ্বারা প্রহার করে। ভয়ে কুঁকড়ে গেল তুলি। মিন মিন করে বললো,
“দরকার হলে আজ সারারাত বেলকনিতে লুকিয়ে থাকব। তবুও যাবো না রুমে। মেরে ফেলবেই আমাকে উনি।”
আরেকটু উঁকি দিতেই কর্ণপাতে ভেসে এলো,
” গর্দভ একটা। অলওয়েজ আমার কথার খেলাপি। আজ ছাদ থেকে ফেলেই দম নিব। বেলকনিতে লুকিয়ে না থেকে বেরিয়ে আসো জলদি।”
মাত্রই তো এলেন। উনি কিভাবে জানলেন আমি বেলকনিতে? আন্দাজে ঢিল ছুঁড়ে নি তো?এরূপ আকাশ-পাতাল ভাবতে ভাবতে তুলি না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। ঘাপটি মেরে দাঁড়িয়ে রইল এক কোণ ঘেষে। কয়েক মিনিট পার হওয়ার পর আদ্রর উপস্থিতি বারান্দায় না পেয়ে উল্টো ঘরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। এমন সময় দমকা হাওয়া হু হু করে তুলির সারা অঙ্গে হিম ধরিয়ে গেল। সূক্ষ্ম কম্পন ধরলো তুলির মনে। মাথার ঘোমটা সরে গিয়ে চুল গুলো অবাধে উড়তে শুরু করল। তুলি আকাশ পানে চাইতেই প্রচন্ড অবাক হলো। এখনই তো কি সুন্দর কমলা,লালচে রঙ ধারণ করেছিল আকাশ টা। হুট করেই নিকষ কালো আঁধারে আবৃত হয়ে গেল। শরীর কাটা দিয়ে উঠল তুলির। বাতাস বইছে এলোমেলো। এক্ষুনি বোধহয় ঝড় উঠবে। বৃষ্টি রূপে পতিত হবে ধরিত্রীতে। ধুয়ে নিবে সকল আবর্জনা, আবার কারও কারও মনের বিতৃষ্ণা। হয়ত বা ঘটতে পারে উল্টো। ঝড়ের সাথে সাথে ছিন্ন, দ্বিখণ্ডিত হতে পারে কারো হৃদয়, অন্তর।
আনমনে আর কিছু ভাবার আগেই বারান্দার দরজাটা দড়াম করে বন্ধ হয়ে গেল। মুহুর্তেই স্তব্ধ হয়ে গেল তুলির বুকের ধুকধুকুনি। শরীর টা থরথর করে কাঁপতে লাগল মুষলধারে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়া বর্ষণ ছোঁয়ায়। আদ্র সামনে দাড়িয়ে। দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে রেখেছে। মুখভঙ্গি নিরলস যা তুলির ভয় বাড়িয়ে দিল। গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে এলো আদ্রের কাছে।
” বিশ্বাস করুন ডাক্তার সাহেব আমি ইচ্ছে করে ফেইল করি নি। কিভাবে ফেইল হয়ে গেছি নিজেও জানিনা। আমি পড়েছি তো। আপনি যখন রাতে ঘুমোতেন, আড়ালে আমি অনেক পড়তাম। বায়োলজি, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি সব দশ দশবার পড়েছি, মানে শেষ করেছি বইগুলো। আমাকে ছাদ থেকে ফেলবেন না প্লিজ। ”
অশ্রুসিক্ত কন্ঠে তুলির এক নাগাড়ে বলা কথা গুলো শুনেও আদ্রর ভঙ্গিমায় কোনো রূপ পরিবর্তন এলো না। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে তুলির হাত টা টেনে খাতা গুলো ধরিয়ে দিল। ভ্রঁ কুঁচকে জিজ্ঞেস করল,
” তুমি ফেইল করেছো?”
চমকালো তুলি। কাঁপা কাঁপা পাল্টা প্রশ্ন করল,
” করি নি?”
” নিজেই দেখে নাও।”
খাতা মেলতেই বড় বড় হয়ে গেল নেত্র যুগল। বায়োলজি তে পয়তাল্লিশ পেয়েছে যা তুলি ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করে নি। আগে তো তিন তিন বার ফেইল করেছিল। বিয়ের পর আদ্রর ভয়ে দিন রাত কেঁদে কেঁদে পড়তে পড়তে নাস্তানাবুদ অবস্থা হয়েছিল মেয়েটার। খুশি তে এক লাফ দিয়ে হামলে পড়ল আদ্রর বুকে। তুলি কে জড়িয়ে ধরে আদ্র মুচকি হাসল। কিছু বলবে তার পূর্বেই মোবাইলের শব্দ বৃষ্টির ঝমঝম শব্দকে হার মানিয়ে কানে আসল আদ্র তুলি উভয়ের। পকেট থেকে ফোন টা বের করে রিসিভ করলো আদ্র। চোখের পলকেই মুখ টা আঁধারে ছেয়ে গেল। কথা জড়িয়ে এল গলায়। কোনো রকমে প্রতুত্তরে জানালো,
” আমি আসছি।”
কলটা কেটে তুলি কে সরিয়ে দিল আদ্র। অজানা আশঙ্কায় প্রখর আর্তনাদ করে উঠল তুলির ভিতরটা। মনোক্ষুন্ন হলো কিঞ্চিৎ। হন্তদন্ত হয়ে বেড়িয়ে যাওয়া আদ্রর পিছনে পাগলের মতো ছুটে এলো। চিৎকার করে ডাকল আদ্র কে। জবাব না পেয়ে দৌড়ে এসে আদ্রর পাশে বসে পড়ল গাড়ি তে। ভয়ার্ত স্বরে জিজ্ঞেস করল,
” কি হয়েছে আদ্র?”
ভিজে চুপচুপে হয়ে গেছে দু’জন। আদ্রর চুল থেকে টপাটপ পানি ঝরে পড়ছে বৃষ্টির ফোঁটার ন্যায়। কিছু সেকেন্ডের ব্যবধানেই সারা মুখে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া। তুলি ফের উৎকন্ঠিত হতেই আদ্রর মুখ থেকে অস্ফুটস্বরে বেরিয়ে এল,
“অন্তু!”
#চলবে,,,
(ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)