আকাশে তারার মেলা সিজন 2 পর্ব-৪৪

0
2297

#আকাশে_তারার_মেলা_২
#লেখিকাঃআসরিফা_সুলতানা_জেবা
#পর্ব_৪৪

নিস্তব্ধ, নির্বাকতায় কাটিয়ে দিল তুলি কয়েক মুহুর্ত। আদ্রর মুখের দিকে চেয়ে শুকনো একটা ঢোক গিলল। কপালে সূক্ষ্ম ভাঁজ পরিস্ফুটিত আদ্রর। দৃষ্টি প্রশ্নসূচক। ভোরের সূর্যের কিরণ তির্যকভাবে আছড়ে পড়ছে দু’জনের মুখশ্রীতে। নির্মল হাওয়া ধেয়ে এসে শরীরে আলিঙ্গন করে যাচ্ছে প্রতিক্ষণে। সূর্যের দীপ্ততায় ও বিশুদ্ধ,নির্মল হাওয়ার মিলনে শরীরে অন্যরকম শিহরণ খেলে যাচ্ছে দু’জনের। ডায়েরি দিয়েছে আদ্র প্রায় কেটে গেছে একটা বছর। যখন হাতে পেয়েছিল পড়ার জন্য মনটা সারাক্ষণ আকুপাকু করেছিল তুলির। ঢাকায় এসে নানা রকম ব্যস্ততা, বিয়ে নিয়ে ভেজালে ডায়েরির কথা টা মনের মাঝে চাপা পড়ে গিয়েছিল। এখন কি প্রতুত্তর করবে আদ্রকে ভেবেই গলা বার বার শুকিয়ে আসছে তুলির। তবুও এখন তো আর সম্ভব না নিরুত্তর থাকা,কেননা আদ্র উত্তরের আশায় চেয়ে আছে নিষ্পলক, চাকত পাখির ন্যায় ঠাঁই। তুলির মাথা নত হয়ে গেল। নত মস্তকে জিহ্বা দিয়ে ভিজিয়ে নিল শুকনো, লাবণ্যহীন ঠোঁট দুটো। অতঃপর ভাঙা কন্ঠে বলে উঠল,

” আ’ম স্যরি ডাক্তার সাহেব। আমি ডায়েরি টা পড়ার কথা ভুলে গিয়েছিলাম। বান্দরবান থাকতে পড়ব পড়ব করেও পড়া হয় নি। কারণ আপনি বলেছিলেন ঢাকা এসে যেন পড়ি। আর ঢাকা এসে নিত্যদিনের ব্যস্ততা, ভেজালে বেমালুম ভুলে বসেছি আমি।”

রুদ্ধশ্বাসে কথাগুলো বলে নতমস্তকে ক্লান্ত একটা নিঃশ্বাস ত্যাগ করল তুলি। একদম সাহস হচ্ছে না আদ্রর উজ্জ্বল ফর্সা মুখশ্রী টা দেখার। যদি রেগে থাকে?মুখখানি যদি ধারণ করে রক্তিম আভা?প্রচন্ড ভয় হচ্ছে তুলির। একতাল কান্না জমাট হচ্ছে মনের এককোণে। অত্যাধিক সাহস জুগিয়ে তীররেখা নজরে চাইল আদ্রর দিক। নিমিষেই তব্দা খেয়ে গেল। একি অবস্থা আদ্রর!রাগ নেই কেন?পুরো মুখে শঙ্কাভাব স্পষ্ট। শিগগির তুলির কন্ঠনালি হতে আওয়াজ বেরিয়ে এল। বাক্য নয় অতি সংক্ষিপ্ত একটা শব্দ, একটা নাম।

” আদ্র!”

তুলির কন্ঠে আদ্রর মুখভঙ্গির কিঞ্চিৎ পরিবর্তন ঘটল। উত্তেজিত স্বরে বলে উঠল,

” কেন পড়ো নি?কি করে ভুলতে পারলে তুমি এত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়?ডু ইউ নো?ডায়েরি টা আমার, তোমার জীবনের সাথে ওপ্রোতভাবে জড়িত। আমার দেওয়া একটা জিনিসই তোমার দ্বারা সামলানো হয় না,ভুলে যাও! গুড তুলা। ”

আদ্রর কন্ঠে রাগের আভাস পাচ্ছে তুলি। আঁড়চোখে খুব ভালোভাবেই চোখে পড়ল আদ্রর কপালের ফুলে উঠা রগ। আদ্রর কথার মানে উদ্ধার হলো না তার তবে এতটুকু বুঝতে পারল ডায়েরি না পড়ে ভীষণ ভুল করে বসেছে। তুলির চোখে জল টলমল করছে। গড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা আপ্রাণ। পলক ফেললেই বুঝি গড়াবে অতি নিশ্চিন্তে। সমস্ত মনটাতে ভিজে হাওয়া যেন শ্রাবণের অরণ্যের গন্ধ নিয়ে নিয়ে ঘনিয়ে ওঠছে। হৃদয়ে বইছে এলোমেলো বাতাস। তুলি অনঢ় রইল। কথায় কথায় কাঁদবে না বলে পণ করল মনে মনে। আদ্রর রাগ করাটা সঠিক, এর প্রেক্ষিতে কান্না করাটা একদমই বেঠিক মনে হলো তুলির। ধীরস্থ পায়ে খানিকটা আগাল আদ্রর দিকে। কিছুটা দূরত্ব সংবরণ করে আনত স্বরে বললো,

” ক্ষমা করা যায় না ডাক্তার সাহেব?”

তুলির মোলায়েম স্বর কর্ণগোচর হওয়া মাত্র শীতল স্রোত বয়ে গেল আদ্রর বক্ষে। বলিষ্ঠ আগ্রাসী হস্তে তুলিকে টেনে আবদ্ধ করে নিল বাহুতে। তুলি থতমত খেয়ে গেল। আকস্মিকতায় অনেকখানি চমকালো। পরক্ষণেই আদ্রর বুকে মাথা এলিয়ে হাসল মৃদু। বেশ শান্তি অনুভূত হচ্ছে তার। প্রশ্নের জবাবে প্রশস্ত বুকে জায়গা দেওয়ার মানেই তো রাগ নেই তুলা,ক্ষমা করব কি!পিঠে আদ্রের হাতের বন্ধন শক্ত হয়ে এল। তুলিকে জড়িয়ে রেখে পার হলো কয়েক সেকেন্ড, কয়েক মিনিট। হাতের বাঁধন শিথিল করে নিল একটা সময়। তুলির অযত্নে এলোমেলো হওয়া চুল গুলো হাতের সাহায্যে গুছিয়ে দিল আদ্র। হলুদ ওড়না টা দিয়ে মাথার ঘোমটা টা টেনে দিল। এক হাতের ভাঁজে তুলির ছোট কোমল হাত টা নিয়ে এগিয়ে চলল অন্যদিকে। বিস্মিত দৃষ্টি নিয়ে তুলি হাতের দিকে একবার তাকাল,ঘাড় ফিরিয়ে আরেকবার তাকালো কবরস্থানের দিকে। একপাশে সারি বেঁধে উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কৃষ্ণচূঁড়া গাছগুলো থেকে ঝরে পড়ছে পাতা। ফুল নেই গাছগুলোতে তবুও কি আকর্ষণ করার ক্ষমতা নিয়ে স্থির হয়ে আছে এরা। তুলির মনে হলো আজ বুঝি বসন্ত। ফাল্গুনের বাতাসের ন্যায় পথে পথে ঝরছে পাতা। হলুদ রাউন্ড ড্রেস পড়ে এক শ্যামবর্ণা প্রিয় মানুষের হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাচ্ছে অজানা কোথাও। সত্যিই কি আজ বসন্ত এসেছে ধরণীতে?অস্থির আঁখি যুগল নিয়ে তুলি চারপাশে তাকাল। মনে মনে বললো,

” উহু!আজ তো বসন্ত নয়। বসন্ত হলে তো কৃষ্ণচূড়ার লাল রঙে ছেয়ে থাকত গাছগুলো, ডাক্তার সাহেবের সুঠাম দেহে জড়িয়ে থাকত একটা হলুদ রঙের পাঞ্জাবি।”

আদ্রর পা থমকাল পুকুর পাড়ে এসে। সেই সাথে থেমে গেল তুলির কদম। সামনে তাকিয়ে দেখল বিশাল বড় একটা পুকুর। সবুজ হয়ে আছে পানি। খুব বেশি বড় নয় তবে ভীষণ সুন্দর একটা ঘাট বাধিয়ে রাখা হয়েছে পুকুর পাড়ে। তুলির মনটা ক্ষণিকের জন্য হলেও আনন্দিত হয়ে উঠল। কিছুটা উঁচানো স্বরে বললো,

” ঘাটে বসি?”

হাতের ভাঁজ ঢিল হতেই তুলি উত্তরের প্রতীক্ষায় ব্যায় করল না সময়। লুব্ধনেত্রে, গটগট পায়ে এসে বসে পড়ল ঘাটে। পাশেই পাথরকুচি ও কন্টিকারীর জঙ্গল। হাত এগিয়ে নিয়ে একটা পাথর কুঁচি পাতা ছিঁড়ে নিল। মৃত বাচ্চাটার মুখ টা মনে পড়তেই ঝিমঝিম করে উঠল দেহের সর্বাঙ্গ। ক্রমে আনন্দ ছড়িয়ে পড়া মনটা তে হঠাৎই নেমে এল শ্রাবণ ধারা। পাশে আদ্রর বসার উপস্থিতি অনুভব করল। মলিন,বিষন্ন দৃষ্টি তাক করল সঙ্গে সঙ্গে। দাদার কথাটা মনে পড়তেই নিষ্প্রভ স্বরে জিজ্ঞেস করল,

” আপনাদের বাড়ি তো বান্দরবান ও ঢাকা এই দুই শহরে। তাহলে দাদা কে রাজশাহী তে কেন কবর দেওয়া হয়েছে আর এই জায়গাটার সাথেই বা আপনাদের কিসের যোগসূত্র?”

আশ্চর্য! তুলির প্রশ্নে আদ্র হাসছে। আদ্রর ঠোঁটের কার্ণিশে লেগে আছে ম্লান হাসি। মোহে আটকা পড়ে গেল তুলি। একবারের জন্যও অদ্ভুত লাগল না আদ্রর হাসি টা। তুলির খুব জঘন্য, বেহায়া একটা স্পৃহা, বাসনা জাগল মনে। আদ্রর হাসিতে মাখামাখি অধর যুগলে স্পর্শ করার ইচ্ছে হল। হাতে নয় বরং নিজের ওষ্ঠ দ্বারা । সমুদ্রের উতালপাতাল ঢেউয়ের ন্যায় তুলির অন্তর টা উতালপাতাল করছে,এবড়ো থেবড়ো হয়ে পড়ছে,আদ্র কে স্পর্শ করার তৃষ্ণায় খাঁ খাঁ করছে মন। আদ্র তুলির দিকে চেয়ে আছে মন্ত্রমুগ্ধের ন্যায়। তাকানোর ভঙ্গিতে মনে হচ্ছে যেন তুলির মন পড়তে মগ্ন সে। চোখে চোখ পড়তেই তুলি বিমূঢ়তায় বাক হারা হয়ে পড়ল। নজর সরিয়ে নিক্ষেপ করল দূরের গাছপালাতে। কর্ণে এলো আদ্রর দৈবাৎ, লহু স্বর।

” ভালোবাসার টানে এই জায়গার সাথে জড়িয়েছিলেন আমার দাদা। প্রণয়ে এমনভাবে ডুবেছিলেন মৃত্যুর আগে আমার কাছে অনুরোধ করেছিলেন উনার দেহ টা যেন রাজশাহীতে সমাহিত করা হয়,উনার প্রিয় অর্ধাঙ্গিনীর পাশে।”

একরাশ বিস্ময় নিয়ে তুলি চক্ষুদ্বয় বড়সড় করে চাইল আদ্রর দিকে। সঙ্গে সঙ্গেই ব্যগ্র কন্ঠে বলে উঠল,

” আপনার বুবু রাজশাহীর ছিলেন?আমি তো ভাবতাম উনার বাড়ি ঢাকা। আপনার দাদা এতদূর পাত্রী দেখে বিয়ে করেছেন!”

সায়েরা বেগমের কাছে এক দু’বার উনার শাশুড়ির কথা শুনেছিল তুলি। কথায় কথায় জানতে পেরেছিল আদ্র কখনও দাদি বলে ডাকত না। সবসময় কন্ঠে মায়া নিয়ে বুবু বলেই ডাকত উনাকে। আর আদ্রর নীল বর্ণী চোখের মণির সাথে তার দাদির চোখের মণির মিল রয়েছে। আদ্র যখন ছোট ছিল তখন নাকি সবাই বলে বেড়াত ছেলেটা একদম দাদির চোখগুলো পেয়েছে। আর স্বভাব হয়েছে দাদার মতো। গম্ভীর, রগচটা ছেলে। তুলি তখন মনে মনে হেসেছিল,বলেছিল-” শুধু রাগী, গম্ভীর নয়, প্রচন্ড কেয়ারিং ছেলেটা।”

শার্টের উপরের বোতাম খুলে ফেলল আদ্র। হুট করেই উত্তাপ টা বেড়ে গেছে। প্রকৃতিতে বাতাসের আনাগোনা নেই বললেই চলে। রোদ উঠছে মাথাচাড়া দিয়ে। তুলির দিকে তাকিয়ে ধীর স্থির ভঙ্গিতে বলতে আরম্ভ করল,

” আমার বুবুর বাড়ি রাজশাহীতে। পরিবারে বলতে বাবা মা আর উনিই ছিলেন। তবে খুব ধনী পরিবারের মেয়ে ছিলেন তিনি। এই যে জায়গা টা দেখছো এটা সবটা বুবুকে উনার বাবা চব্বিশতম জন্মদিনে গিফট করেছিলেন। পেশায় মেডিক্যাল স্টুডেন্ট ছিল। আমার ডাক্তার হওয়ার পেছনে উৎসাহ আমার বুবু জাগিয়েছিলেন। কিন্তু মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার আগেই চলে গেলেন উনি আমাদের একা ছেড়ে। ডাক্তারি পেশায় নিয়োজিত হওয়ার পর উনার অনেক ক্যান্সারে আক্রান্ত ছোট বাচ্চাদের সাক্ষাৎ হতো। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার আছে যাদের পক্ষে ক্যান্সার চিকিৎসা করানো সম্ভব না। এসব দেখে বুবু খুব কষ্ট পেতেন। সবচেয়ে মজার ব্যাপার কি জানো তুলা?আমার বুবু একদম তোমার মতো নরম মনের ছিলেন। কোনো কিছুরই অমিল নেই স্বভাবের দিক থেকে তোমার সাথে। উনার বাবা-মার এতো টাকা উনি একা ভোগ করবেন অথচ এসব শিশুগুলো বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে,শৈশবেই সমাপ্তি ঘটবে তাদের জীবকাল এটা তিনি মানতে পারছিলেন না। তাই এই জায়গাটাতে ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের থাকার ব্যবস্থা করেন। চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। নিজের একাকিত্ব লাইফটা কাটাতে শুরু করলেন বাচ্চাদের সাথে। বুবুর পঁচিশ বছর বয়সে উনার বাবা-মা রোড এক্সিডেন্টে মারা যান। তখন থেকেই কাটাতে শুরু করেন নিঃসঙ্গ জীবন।

দাদার এক বন্ধু ছিলেন তখন এখানকার সবকিছু দেখাশোনার দায়িত্বে। তিনি দাদার খুব কাছের বন্ধু ছিলেন। দাদা প্রায় বছর খানেক পর পর উনার সাথে দেখা করতে রাজশাহী চলে আসতেন। উনার মুখে বাচ্চাদের জন্য নেওয়া উদ্যোগের কথা শুনে দাদা বেশ অবাক হয়েছিলেন। ইচ্ছে পোষণ করেছিলেন এতো ভালো মনের মানুষ কে দেখার, যিনি অন্যদের জন্য ভেবেছেন। কথামতো চলে এলেন, বুবুর সাথে পরিচয় হলো। প্রথম দেখাতেই কোনো কিছু না ভেবে বিয়ের প্রস্তাব রাখেন দাদা। পরে জানতে পেরেছিলাম আগে থেকেই না দেখে বুবু কে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ দাদা নিজের জন্য এমন একটা জীবনসঙ্গী চাইতেন সবসময়। বুবু প্রথমে একটু দ্বিধাবোধ করলেও পরে আর না করেন নি। বুবুর ইচ্ছে ছিল উনি মারা গেলে যেন উনার এই প্রিয় জায়গাটাতে সমাহিত করা হয়। দাদা কথা রেখেছিলেন, আর আমি রেখেছিলাম উনার কথা। জানিনা কতটুকু পারছি তবুও সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব বুবুর দেওয়া দায়িত্ব টা পালন করতে। বাবাও হেল্প করে, আমিও নিজের আয় করা টাকার বেশ অর্ধেক টাকা এখানেই ব্যয় করি। তাতে তোমার প্রবলেম নেই তো তুলি?”

আদ্রের বলা শেষ বাক্যে ভড়কে গেল তুলি। মাথা দু’দিকে নাড়াল তৎক্ষনাৎ। তৎপরে উগ্রতার সহিত বললো,

” আপনার দাদা-বুবু কিভাবে মারা গিয়েছেন আদ্র?”

আদ্র দুর্বোধ্য হাসলো। জবাবে বললো,

” অবাক করা ব্যাপার কি জানো তুলা?যারা নিরীহ,ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশুদের জন্য করে গেছেন নিজেদের সবটুকু দিয়ে তারাই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।”

তুলির বুক টা কেঁপে উঠল প্রচন্ড বেগে। নিয়তি বড়ই অদ্ভুত! ভালোবাসার মানুষের টানে এতদূরে চলে এল আদ্রর দাদা। সত্যিই ভালোবাসা খুব সুন্দর। আচ্ছা তুলির কিছু হলে আদ্র কি কষ্ট পাবে?দাদার মতো কি কারো কাছে আবদার করবে তুলির নিকট আসার?সূক্ষ্ম একটা নিঃশ্বাস ছাড়ল তুলি। আদ্রর হাতে হাত রেখে মনে মনে বললো,

” পূর্ণ একটা পরিবার চাই, ডাক্তার সাহেবের ভালোবাসার অস্তিত্ব ধারণ করা বাকি এখনও। এর আগে প্রাণ ত্যাগ করতে চাই না আমি। জানি দিনকে দিন লোভী হয়ে যাচ্ছি। মন টা মস্তিষ্কের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে। ডাক্তার সাহেবের বৃদ্ধ রূপ টা দেখার লোভ টা বেড়ে যাচ্ছে সময়ের সাথে সাথে। ”

#চলবে,,,

(আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই?ফাল্গুনের সূচনায় সমাপ্তি হোক আপনাদের সকল কষ্টের। সবাইকে বসন্তের শুভেচ্ছা। ইদানীং গল্প রেগুলার দিতে পারছি না। আগেই বলেছি ব্যাবহারিক পরীক্ষার জন্য গল্পটা লিখার সুযোগ হয়ে উঠে না। ভুল-ত্রুটি মার্জনা করবেন।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here