#মনের_মানুষ ❤️
#চতুরবিংশ_পর্ব❤️
#কলমে_সাঁঝবাতি 🌸
এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে একবার মাকে কল করে নিলো আহেলি…..হাজার মনখারাপের মাঝে বাড়ি ফেরার আনন্দে এখন অনেকটা ভালো লাগছে।অনেকবার রিকোয়েস্ট করার পর আহেলি চারদিনের ছুটি পেয়েছে,সেটা কোনোভাবে নষ্ট করতে চায় না আহেলি।দুর্গাপুজোর সময় বাড়িতে ফেরার চেয়ে আনন্দ হয়তো আর কিছুতেই নেই…..তাই আজ আহেলি বাড়ি ফিরছে।যদিও কলকাতায় পুজো শুরু হয় তৃতীয়া থেকেই….সেই হিসাবে আহেলি পৌঁছাতে অনেকটা লেট কারণ আজ সপ্তমী।তবুও এটাই বা কম কি?
ফ্লাইট যখন কলকাতার মাটি স্পর্শ করলো তখন বেলা বারোটা……আগেরবার যাওয়ার সময় যতটা মনখারাপ ছিলো এখন ঠিক ততই ভালো লাগছে।অনেকগুলো দিন পর বাবা মায়ের কাছে ফিরছে আহেলি….অল্প সময়ের জন্য হলেও তা অনেকটা আনন্দের।
হলুদ ট্যাক্সিটা যখন শহরের রাস্তা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলো আহেলি জানলা দিয়ে বাচ্ছাদের মতো বাইরেটা দেখতে দেখতে যাচ্ছিলো……এই দুপুরেও প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড়,মাইকে পুজো স্পেশাল গান,রাস্তায় দুধারে নানান ধরনের দোকান।এসব অন্য শহরে থেকে কোনোভাবে উপলব্ধি করা যায় না….দুর্গাপুজোটা একমাত্র এই বাংলায় এসে অনুভব করা যায়।
আহেলির পাড়াতেও থিমের পুজো হয়।ছোটো থেকে আহেলি পুজোর সময় ভীষন এক্সসাইটেড থাকতো….ওই চারটে দিন ছুটি,পড়ার চাপ নেই,সারাদিন প্যান্ডেলে থাকা মায়ের হাতে রোজকার সুস্বাদু সব রান্না আর ঠাকুর দেখতে যাওয়া।আজ আবারো আহেলির সেই ছোট্ট বেলার মতো ফিলিংস আসছে…..হলুদ ট্যাক্সিটা বড়ো রাস্তার সামনে দাঁড়াতে আহেলি চটপট নেমে পরলো।লাগেজটা নিয়ে রাস্তা ক্রস করে এপারে এসে প্রানভরে একটা নিশ্বাস নিলো……বড়ো রাস্তা থেকে আহেলির বাড়ি যাওয়ার পুরো রাস্তাটা রঙিন আলো আর ফুলে সাজানো।কতো মানুষ যাচ্ছে ঠাকুর দেখতে…..একবার মাথার ওপরে থাকা গেটটার দিকে চোখ বুলিয়ে আহেলি সামনে পা বাড়ালো।
বাড়ি ফেরার সময় অনেক চেনা মানুষের সাথে দেখা হলো আহেলির….সকলেই আহেলির সাথে হাসিমুখে কথা বলছে।প্যান্ডেলের দিকে যেতে চাইলেও আহেলি প্রথমে নিজের মা আর বাবাকে দেখতে চায় তাই বাড়ির গেটের সামনে এলো…..এই সময়টা আহেলির বাবা বাড়ির বারান্দায় বসে খবরের কাগজ পড়ে।আহেলি কে ঢুকতে দেখেই কাগজ ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন,,,,
“ওগো দেখে যাও…..আহু এসেছে।আয় মা যায়…সেই কখন থেকে আমি অপেক্ষা করছি।দে ব্যাগটা আমার হাতে দে।আসতে আবার কোনো সমস্যা হয়নি তো?”
অমিও বাবুর কথা বলার মাঝেই উমা দেবী এসে উপস্থিত হয়….মা বাবাকে প্রণাম করতেই উমা দেবী শাড়ির আঁচলে চোখ মুছে বলেন,,,,
“আমি বলেছিলাম না তোমায়….আমার মেয়েটা ঠিক পুজোর সময় ফিরবে।মিললো তো?দেখো…..ইসসস গরমে একেবারে ঘেমে গেছিস তো।চল আগে একগ্লাস গ্লুকোষের জল খেয়ে তারপর স্নানটা সেরে নিবি।”
বাবা মাকে দেখে আহেলির চোখে জল এলো….এই মুহূর্তে কোনোমতে অশ্রুপাত করতে চায় না আহেলি।তাই মুখে হাসি ফুটিয়ে বাবা মায়ের সাথে ঘরে ঢুকলো।
🌸🌸🌸
“আহু তুই একাই এলি যে?প্রান্তিকের কি ডিউটি আছে?তাই তোকে বাড়ি অব্দি ছেড়ে গেলো?”
“আরে না না….আহু তো ট্যাক্সিতে এলো।প্রান্তিক বোধহয় এয়ারপোর্ট থেকেই হসপিটাল চলে গেছে।ডাক্তার মানুষ হলে যা হয়….পুজোর সময়েও ছুটি নেই।”
মা বাবার কথা শুনে আহেলি অবাক হয়ে বললো,,,,
“প্রান্তিক আবার আমায় দিয়ে যাবে কেনো?আমি কি একা আসতে পারিনা?”
“আরে তা হবে কেনো?যাওয়ার দিন তো তোকে দিয়ে আসলো তাই তুই যখন বললি কাউকে এয়ারপোর্টে যেতে হবে না ভাবলাম প্রান্তিক হয়তো যাবে।”
“আহঃ মা…..ওর তখন সময় ছিলো।কিন্ত এখনো যে ওর ইম্পর্টেন্ট কাজ ফেলে আমায় নিতে যাবে এটা আশা করছো কেনো?”
“তুই রাগ করছিস কেনো আহু?ছেলেটা কি তেমন?এই যে ওর এতো কাজ তারমধ্যে ঠিকই আমাদের কাছে আসে।যে যে দায়িত্বগুলো তোর কাঁধে ছিলো সেগুলো নিজে পালন করে।আমরা বললেও তো শোনে না….”
আবারো অবাক হলো আহেলি।ওর বাবা সম্মতি জানিয়ে বলেন,,,
“ঠিকই তো….আজকাল ওরকম ছেলে সত্যিই পাওয়া যায় না।এইতো পুজোর আগে এসে আমাদের জন্য কেনাকাটা করে দিয়ে গেলো।আমি এতো বারন করলাম তাও কি শুনলো?বরং বললো আমায় কি আপনে ভাবেন না আঙ্কেল?”
“প্রান্তিক তোমাদের জন্য শপিং করে দিয়ে গেছে?”
“তা নয় তো কি?মহালয়ার দিন দুপুরে এসে আমার শাড়ি,তোর বাবার পাঞ্জাবি এমনকি তোর জন্যেও একটা শাড়ি দিয়ে গেছে।আমি শুধু অবাক হয়ে দেখি ছেলেটাকে…..”
খাওয়া শেষে মায়ের কথামতো আলমারি খুলে একটা প্যাকেট বের করলো আহেলি….খুলে দেখলো তাতে একটা লাল রঙের জামদানি শাড়ি।আহেলির বড্ড পছন্দের এই রঙটা…..আর সেটাই কিনা প্রান্তিক ওর জন্য কিনেছে?এখনো ছেলেটা ওর কথা ভাবে?তবে মাঝের কেটে যাওয়া এই একটা সপ্তায় প্রান্তিক তো ওরসাথে নিজে থেকে যোগাযোগ করেনি….তাই আহেলিও আর চেষ্টা করেনি।এখন হয়তো সে নতুন মানুষের সাথে সময় কাটাতে ব্যস্ত……তাই আহেলি যে ফিরছে এই খবরটাও দেওয়া হয়নি।
শাড়িটা রেখে হাতে ফোন নিলো আহেলি….প্রান্তিকের নাম্বারটা ডায়াললিস্টে খুঁজে বের করেও আবার ফোনটা রেখে দিলো।একটু বেশিই নিজে থেকে ভাবছে আহেলি…ওর বাবা মায়ের জন্য কিনেছে বলেই হয়তো ওর জন্য একটা শাড়ি কিনেছে এটা নিয়ে অন্যকিছু ভাবার কোনো কারণ নেই।আহেলি নিজেও বাবা মায়ের জন্য এখনো কিছু কেনেনি….ভেবেছিলো আজ বাড়ি ফিরে সন্ধ্যেয় বেরোবে।সেইমতো আহেলি বন্ধুদের সাথে দেখা করতে যাওয়ার নাম করে বিকেলে বাড়ি থেকে বেরোলো…..যদিও উদ্দেশ্য বাবা মায়ের জন্য নতুন জামাকাপড় কেনা।
ভিড়ে ভরা শহরে আহেলি হেঁটে হেঁটেই কোনোরকমে কাছের মলটায় এলো…..প্রথমে বাবার জন্য আর তারপর মায়ের জন্য শপিং করে ফিরে আসছিলো।কি মনেহতে একবার আহেলি আবার গ্রাউন্ড ফ্লোরের মেন্স কালেকশনে গেলো।অনেকক্ষণ ঘাটাঘাটি করার পর একটা ব্লু স্কাই রঙের শার্ট আর জিন্স কিনলো।ক্যাশ কাউন্টারে দাঁড়িয়ে আহেলি এদিক ওদিক তাকাচ্ছিলো….হটাৎ একটা জায়গায় চোখ যেতেই আহেলি অবাক হলো।ও কি ঠিক দেখছে?এরআগে যদিও মেয়েটাকে ফটোতে দেখেছে…হ্যাঁ এটাই তো রিমিকা।সাথে একটা ছেলে না?আহেলি তৎক্ষনাৎ মুখটা ছোটো করে এগিয়ে যাবে তার আগেই ছেলেটা আহেলির দিকে ফিরলো।নাহ এটা তো প্রান্তিক নয়…..
আর চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে আহেলি এগিয়ে গেলো সেদিকে…..মেয়েটার সামনে দাঁড়িয়ে কোনো প্রকার ভনিতা ছাড়াই বললো,,,,
“রিমিকা?”
আহেলির কথায় রিমিকা প্রথমে ওরদিকে তাকালো তারপর অবাক হয়ে বললো,,,
“আহেলিদি……আপনি এসেছেন কলকাতায়?”
“হ্যাঁ কিন্তু তুমি আমায় চিনলে কিকরে?”
“আপনাকে চিনবো না তো আর কাকে চিনবো?প্রান্তিকদা তো সারাক্ষণ আপনার নাম জপ করে যায়…..বাপরে।তবে সে যে বললো আপনি আসবেন না!”
“ছুটি ম্যানেজ করতে পেরেছি….কিন্তু তুমি আজ প্রান্তিকের সাথে বেরোয় নি?”
“প্রান্তিকদার সাথে আমি?ওর ওতো সময় কোথায়?বেচারা এমনিই সবসময় মনখারাপ করে থাকে…..আর এখন তো আরো।ইভেন একটাও ছুটি নেয়নি পুজোয়।আমিও আজকের দিনটা পেয়েছি তাই এনার সাথে বেরিয়ে পড়েছি।ফার্স্ট কলকাতার পুজো উইথ বয়ফ্রেন্ড মিস করলে চলে?”
পাশের ছেলেটা আহেলির দিকে তাকিয়ে সৌজন্যমূলক হাসি দিলো।রিমিকার কথাতেই জানা গেলো রিমিকার বয়ফ্রেন্ড সৌমাল্য প্রান্তিকের খুব ভালো বন্ধু…..রিমিকা আর সৌমাল্যর লাভ স্টোরি গড়ে ওঠার পেছনে সবচেয়ে বেশি নাকি প্রান্তিকের অবদান।রিমিকা আর প্রান্তিক একে অপরের সাথে বেশ সহজভাবে মেশে বলে অনেকেই ওদের সম্পর্কে উল্টোপাল্টা ভাবে যদিও তাতে ওরা কর্নপাত করে না।
আহেলি যাহোক করে বেরিয়ে এলো মল থেকে…..সবটা কেমন গুলিয়ে যাচ্ছে।সকলেই জানে প্রান্তিক আহেলিকে পাগলের মতো ভালোবাসে অথচ এই খবরটা আহেলি নিজেই জানে না।আর কিকরে জানবে?যে মানুষটা গত কয়েকদিন ধরে ওকে ইগনোর করছে,রিমিকা কে জড়িয়ে নানান কথা বলছে নিজে থেকেই সে যে আসলে আহেলি কে চায় এটা কিকরে বুঝবে?
কোনোরকমে একটা ট্যাক্সি পেলো আহেলি….তবে বাড়ি ফেরার রাস্তায় না গিয়ে প্রান্তিকের এপার্টমেন্টের ঠিকানাটা বললো।ভিড় ঠেলে যেতে বেশ সমস্যা হচ্ছিলো…তাই দেরিও হলো।আহেলি যখন এপার্টমেন্টের সামনে নামলো তখন সন্ধ্যে হয়ে আসছে…কোনদিকে না তাকিয়ে আহেলি সোজা লিফটে গিয়ে উঠলো।প্রান্তিকের মুখে যেটুকু বিবরণ শুনেছিলো তাতে ভরসা করে একটা দরজার সামনে এসে দাঁড়ালো…..কলিং বেলে কয়েকবার চাপ দিতেও ওপাশ থেকে দরজা খুলে গেলো।
প্রান্তিক ডিউটি সেরে ফিরে সবেমাত্র স্নান করেছে…..এখনো ভিজে চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে।দরজা খুলে আহেলি কে সামনে অনেকগুলো শপিং ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেই অবাক হলো….প্রান্তিক সরে দাঁড়াতে আহেলি চুপচাপ ঘরের মধ্যে ঢুকলো।দরজা আটকে আহেলির সামনে এসে প্রান্তিক অবাক করা গলায় বললো,,,
“আপনি কলকাতায়?আসবে..
প্রান্তিকের কথা শেষ হওয়ার আগেই আহেলি কঠিন গলায় বললো,,,,
“আমি এসে পড়ায় ভীষণ সমস্যা হলো তাই না?রিমিকার সাথে কেমন প্রেম গড়ে উঠেছে?আজ দুজনে ঘুরতে বেরোয় নি?”
“আহেলি আপনি এভাবে চলে আসবেন সত্যিই জানা ছিলো না….আর রিমিকার কথা নয় পরে আলোচনা করা যাবে।”
হাতের শপিং ব্যাগগুলো ফেলে প্রান্তিকের সামনে এসে দাঁড়ালো আহেলি….একহাতে প্রান্তিককে অল্প ঠেলে দিয়ে বললো,,,
“আর কতো মিথ্যে বলবেন প্রান্তিক?আপনাকে কে বলেছে আমার বাবা মায়ের এতো খেয়াল রাখতে?হ্যাঁ…..আমার জন্য আবার শাড়ি কিনেছেন?কেনো?দয়া করে?রিমিকার সঙ্গে তো আপনার নাকি দারুন সম্পর্ক…..এসবই তো বলতেন আমায় তাই না?কেনো প্রান্তিক?আমায় কষ্ট দিতে খুব ভালোলাগে?আমি কাঁদলে বুঝি আপনার ভালোলাগে তাই না?তাইতো সবসময় আমার কানের সামনে রিমিকা রিমিকা করতেন যাতে আমি কষ্ট পাই….আমি কেনো সবসময় এতো কষ্টভোগ করবো বলতে পারেন?
আহেলি কথা বলার সাথে সাথে প্রান্তিকের গায়ে আঘাত করছিলো আর প্রান্তিক পিছিয়ে যাচ্ছিলো একটু একটু করে…..এবার প্রান্তিক আহেলির হাতদুটো চেপে ধরে নিজের কাছে টেনে বললো,,,
“আমি যদি মিথ্যে বলি তাতে আপনার কি?আপনার কষ্ট কেনো হয়?আমার সঙ্গে যার ইচ্ছা সম্পর্ক থাকুক…তাতে আপনার কষ্ট কেনো হবে?”
প্রান্তিকের কথায় আহেলি কান্নাভেজা গলায় বললো,,,
“বোঝেন না কেনো?এতদিনে আমার মনের এটুকু অনুভূতি আপনি বুঝতে পারেন নি?এইতো সকলের মনের কথা বুঝে যান…আর আমারটা?আমারটা বোঝেন নি?”
“না বুঝিনি….সবসময় আমি কেনো বুঝবো?আপনি বলতে পারেন না?”
প্রান্তিকের অভিমানী গলার প্রশ্নে আহেলি কিছুক্ষন চুপচাপ থেকে কান্না আটকানোর চেষ্টা করলো….কান্নার চোটে হেঁচকি উঠতে শুরু করেছে আহেলির।তাও কোনোরকমে নিজেকে সামলে আহেলি নাক টেনে বললো,,
“আপনি কেনো বোঝেন না প্রান্তিক,যে আমি আপনাকে চাই….ভীষণভাবে আমার পাশে চাই।আর তা শুধু বন্ধু হিসাবে নয় মনের মানুষ হিসেবে…যে হবে একান্ত আমার।”
আহেলির উত্তরে প্রান্তিকের চোখ থেকেও জল গড়িয়ে পরলো।আহেলি আরো কিছু বলবে তার আগেই প্রান্তিক আহেলির মুখটা দুহাতে ধরে নিজের ঠোঁট নিয়ে আহেলির ঠোঁটে মিশিয়ে দিলো।ঘটনার আকস্মিকতায় আহেলি চমকে উঠলেও আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলো……প্রান্তিকের এই স্পর্শে কতখানি ভালোবাসা আছে তা উপলব্ধি করতে পারছে আহেলি।কে বলেছে ভালোবাসা অনুভব করা যায় না?সঠিক মানুষকে পেলে তার থেকে ভালোবাসার প্রতিটা মুহূর্ত অনুভব করা যায়।
আহেলি আর প্রান্তিকের এরকম মধুর মুহূর্তে এপার্টমেন্টের মন্ডপে বাজছে,,,,,
পথিক কয় ভেবোনা রে
ডুবে যাও রূপসাগরে
পথিক কয় ভেবোনা রে
ডুবে যাও রূপসাগরে
বিরলে বসে করো যোগ-সাধনা
একবার ধরতে পেলে মনের মানুষ
ছেড়ে যেতে আর দিও না
ধরতে পেলে মনের মানুষ
ছেড়ে যেতে আর দিও না
দেখেছি, দেখেছি রূপসাগরে মনের মানুষ কাঁচা সোনা
দেখেছি রূপ সাগরে মনের মানুষ কাঁচা সোনা
চলবে……
(এবার খুশি তো বাপুলোগ?সেই আনন্দে কমেন্ট করুন দেখি…..আজ কিন্তু আমি সকলকেই কমেন্ট সেকশনে চাই)