#নাটাই_ঘুড়ি
।।২৯।।
ইমরুল বেরিয়ে এল এই সময়। তাকে দেখে যেন ধড়ে প্রাণ ফিরে পেল মেয়েটি।
“আমি চলে এসেছি!”
“তুমি! তুমি চলে এসেছ মানে?”
“আমার কিছু করার ছিল না ইমরুল! আব্বু আমাকে…”
“আরে না বলে কয়ে কি আশ্চর্য! এখানে আমার নিজেরই থাকার জায়গা নাই…”
বলতে গিয়ে ইমরুল আচমকা থেমে গেল অন্য পাশে দাঁড়ানো রুম্পার দিকে তাকিয়ে। সে তখন প্রাণপণে ময়লার বালতি আঁকড়ে ধরে নিজেকে সামলাচ্ছে।
রূম্পা বলে উঠল, “কোনো অসুবিধা নাই! ইমরুল ভাই, আপনি বাসা দেখে আসছেন না?”
“কিন্তু…”
“কোনো কিন্তু না। তিথি আপু আপনি ভেতরে আসেন, কোনো চিন্তা করবেন না! ইমরুল ভাই গতকালকেই বাসা দেখে আসছে আপনার জন্য!”
তিথির হাত ধরে টানতে টানতে ভেতরে নিয়ে গেল রূম্পা। “আপা, এই যে দেখ, এটাই বলতে চাইছিলাম তোকে!”
তাড়াহুড়ো করে বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছে তিথি, তেমন কিছুই আনতে পারেনি। বিয়েতে একটা লাল শাড়ি পরবার শখ সব মেয়েরই থাকে।
রূম্পা হাসি মুখে লাল জামদানি শাড়িটা বের করে দিল তাকে, আজকে সকালেও যেটা সে নিজেই পরতে চেয়েছিল!
“শাড়িটা বেশি দামি না, বোন, আপনার খারাপ লাগবে না তো পরতে?”
জবাব না দিয়ে রুম্পাকে জড়িয়ে ধরল তিথি। তিথির হাতে মেহেদির নকশা তুলে নকশার আড়ালে ইমরুলের নাম লিখে দিল রূম্পা।
বিকেল নাগাদ গায়ে একটু হলুদ ঘষে সন্ধ্যার মধ্যেই কাজী অফিসে বিয়ে হয়ে গেল ইমরুল আর তিথির। বাসা ভাড়ার এডভান্সের টাকাটা ইমরুলের হাতে তুলে দিতে দিতে হাসিমুখে বলল রূম্পা, “ধার দিলাম কিন্তু ইমরুল ভাই! ফেরত দিতে হবে!”
বাসর হলো শ্যাওড়াপাড়ার সেই বাসাতেই। যে ভাড়াটিয়া সাবলেট দিচ্ছে তারা খুশিই হলো লাল শাড়িতে তিথির মায়াবী মুখ দেখে।
(সুস্থ হলেই পরের পর্ব দিয়ে দেব ইন শা আল্লাহ্)