উত্তরণ পর্ব-৭

0
868

#উত্তরণ
পর্ব_৭

হিয়ার ডিউটি শেষ হলে ও এয়ারপোর্ট থেকে বেড়িয়ে ডাইরেক্ট সিটি সেন্টার 2 তে চলে যায়. নির্ধারিত জায়গায় নির্ধারিত সময়ে হিয়া অপেক্ষা করতে থাকে. বেশিক্ষন অপেক্ষা করার দরকার হয়না, মি: সংকল্প সেন চলে আসেন.

মি: সেন: Good evening মিস মিত্র

হিয়া: Good evening মি: সেন

মি: সেন: আপনার সাথে দেখা করাটা আমার জন্যও জরুরি ছিল. আপনি ফোন না করলে দু-এক দিনের মধ্যে আমিই আপনার সাথে যোগাযোগ করতাম.

হিয়া: কি ব্যাপার বলুন তো?

মি: সেন: লেডিস ফার্স্ট

হিয়া : সেদিন আপনার অফিস থেকে জানিয়েছে যে ক্যাপ্টেন হার্দিক কাশ্যপের এক্সিডেন্ট টা আদেও এক্সিডেন্ট না.

মি: সেন: হ্যাঁ ম্যাডাম, ঠিকই শুনেছেন. নিখুঁত পরিকল্পনা. প্রথমে আমরা ধরতে পারিনি কিন্তু ওপর থেকে প্রেসার আসে কেস টা খুঁটিয়ে দেখতে. ওনাদের সন্দেহ এটা পরিকল্পিত খুন. আরো জোরদার ইনভেস্টিগেশন শুরু হয়. দিল্লি থেকে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম আসে. ফরেনসিক অনেক পরিশ্রমের পর ক্লু পায় খুনের.

হিয়া: অসাধারণ. এক্সিডেন্ট না খুন সেটা বুঝতে আপনাদের এত সময় লাগল?

মি: সেন: (মাথা নেড়ে স্বীকার করেন ওনাদের কাজে গাফিলতির কথা) কিন্তু যে কেমিকেল টা পেট্রল ট্যাঙ্কে মেশানো হয়েছিল সেটা ট্রেস করা সহজ না. এর থেকে বোঝা যায় উনি জ্ঞানতো বা অজ্ঞানতো কোনো ভয়ঙ্কর কিছুর সাথে জড়িয়ে গিয়েছিলেন.

আরও কিছু কথা হয় দুজনের মধ্যে. মি: সেন বললেন যে ওনারা এই কেস টা কে আলাদা ইম্পর্টেন্স দিয়ে তদন্ত করছেন, যদিও ওনারা এযাবৎ কিছুই পাননি. যাবার আগে উনি বার বার হিয়াকে সাবধান করেন আর বলেন পুলিশ ব্যাপারটা দেখছে. হিয়া যেন ইনভল্ভ না হয়, তাতে ওই বিপদে পড়তে পারে.

হিয়া কথা বলে বেড়িয়ে এসে ক্যাবের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে রাস্তার ওপর, এমন সময় একটা গাড়ি ওর দিকে ছুটে আসে তীব্র গতিতে. সাথে সাথে হিয়াকেকেও কেউ বিদ্যুৎ বেগে সরিয়ে নিয়ে যায় সেখান থেকে. যে ওকে সরিয়ে নিয়ে যায়, তার ক্ষিপ্রতা গাড়ির গতিবেগের তুলনায় বেশি হওয়ায় হিয়া বেঁচে যায় এযাত্রায়.

সব কিছু আচমকা ঘটে যাওয়ায় হিয়া প্রথমে কিছুই বুঝে উঠতে পারেনা. একটু ধাতস্ত হলে লক্ষ্য করে তাকে ঘিরে একটা বড়সর ভিড় তৈরী হয়েছে. কানে যেটুকু কথা আসে তার থেকে ওর কাছে পুরো ঘটনাটা ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে যায়. অনেক চেষ্টা করেও ওর রক্ষককে হিয়া আর খুঁজে পায়না. বুঝতে পারে, কোনো ভয়ঙ্কর এর সাথে জড়িয়ে গেছে হিয়া নিজেও, ওর অজান্তেই.

বাড়ি ফিরে সুষমাকে কিছু বলেনা হিয়া. ডিনার করে বেডরুমে চলে আসে. আজকের ঘটনাটা ওর মনের উপর তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে. সকাল থেকে যা কিছু ঘটেছে সবই যেন চেনা ছকের বাইরে, সেটা নিকুঞ্জ হোক বা মি: সেন বা সেই গাড়িটা যেটা ওকে চাপা দিতে এসেছিলো, অথবা সেই ব্যক্তি যে ওকে রক্ষা করেছে. হিয়ার মনে হতে থাকে হঠাৎ করেই ওর চেনা পৃথিবীটা যেন বদলে গেছে. আজও ওকে স্লিপিং পিলের দ্বারস্থ হতে হয়…

দেখা যাক কে সেই অচেনা রক্ষক আর কেই বা হিয়ার ক্ষতি চাই…

NB:এখন #উত্তরণ পোস্ট করলাম।রাতে #ভালোবাসার_নীড় পোস্ট করা হবে।দুটো FF ই ভিন্নধর্মী ছকভাঙ্গা গল্প।আপনাদের কেমন লাগছে দুটো গল্প অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here