#শেহজাদী
Part–25
Arishan_Nur (ছদ্মনাম)
ইমান মিরার নতজানু হয়ে থাকা মাথাটার দিকে তাকিয়ে কটমট সুরে বলে, এই ড্রামাবাজ মেয়েটাকে কে ভালোবাসতে যাবে? আমি তো বাসি না। একটুও বাসি না।
ইমানের কথা শোনামাত্র মিরা চকিত দৃষ্টিতে তার দিকে তাকালো। ইমানের চাউনী ভাবলেশহীন।
মিরা বিড়বিড়িয়ে বলে, ভালোবাসবেন না মানে! আমাকেও ভালোবাসবেন আমার বাপকেও ভালোবাসবেন৷
মিরার এতো নিচুস্বরে বলা কথাগুলো কিভাবে যেন সে শুনে নিলো৷ এরপর মিরার কানের কাছে মুখ এনে বলে, তোমার চৌদ্দ গুষ্টিকে ভালোবাসার ইচ্ছা আমার একবিন্দু নেই।
মিরা চোখ বড় বড় করে তার দিকে তাকাতেই ইমান ঠোঁট টিপে হেসে, তাকে পাজকোলে নিয়েই রাব্বির পিছু পিছু হাঁটা ধরে। সত্যি বলতে, মিরাকে নিয়ে এই কাদা মাটি পথে তাকে হাঁটতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। পা ফেলতে হচ্ছে সাবধানে। এলোমেলো পা ফেলে সামান্য ঝুকলেই মিরা পড়ে যাবে৷ কাদা মাটিতে পা ডেবে ডেবে যাচ্ছে। বিরাট মুশকিল! বেশ ধকল পেরিয়ে টানা পনের মিনিটের মতো হেঁটে রাব্বির বাসায় পৌঁছে তারা।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই রাত এগারোটাও রাব্বির বৃদ্ধা মা উঠানে মোড়া পেতে বসে আছে হারিকেন জ্বালিয়ে। বহুদিন পর হারিকেন দেখলো তারা। ঢাকা শহর থেকে বহু আগেই হারিকেন বিলুপ্ত হয়ে গেছে৷
মিরাকে কোল থেকে নামিয়ে দিলো সে। মিরা নিজের চশমা ঠিক করায় ব্যস্ত হয়ে পড়লো৷
রাব্বি উঠানের পাশে থাকা ইয়া বড় ড্রাম থেকে পানি বের করে নিজের পা, হাত ধুয়ে মাকে উদ্দেশ্য করে বলে, মা দেখো কে এসেছে! তুমি যার প্রোগ্রাম দেখতে না রেডিওতে। ওই যে প্রিয়তমা অনুষ্ঠান?
রাব্বির মা মাথা নাড়িয়ে বলে, অনুষ্ঠানটা তো শেষ৷ আর হয় না এখন।
রাব্বি উত্তেজিত হয়ে বলে, প্রিয়তমা প্রোগ্রামের ওই ভাইয়াটা আমার সঙ্গে এসেছে৷
রাব্বির মা ভারী অবাক হলো হারিকেনের টিমটিম আলোয় একজন সুদর্শন যুবককে দেখতে পাচ্ছেন তিনি।ছেলেটার সঙ্গে একটা রূপবতী মেয়েও আছে। মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছে, বিশাল বড় এক রাজ্যের রাজকন্যা! ভুলে এই গ্রামে চলে এসেছে। তিনি একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন। কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না তিনি।
প্রথমে ইমান তাকে সালাম দিলো। ইমানের কণ্ঠ শুনেই সে চিনে ফেললো। এতোক্ষণ তিনি ভাবছিলেন রাব্বি বুঝি মজা করছে। কিন্তু প্রিয়তমা অনুষ্ঠানের ছেলেটার কণ্ঠ সত্যি সত্যি শুনে সে আসলেই হতভম্ব!
এরপর রাজকন্যার মতো মেয়েটাও তাকে বিনীত গলায় সালাম দেন৷ তার প্রাণটা ভরে উঠল। আহা কি আদুরে কণ্ঠ মেয়েটার। শুনলেই মন ভালো হয়ে যায়।
রাব্বি উৎসাহ নিয়ে বলে, আম্মা! উনি হচ্ছে ভাবী। আমাদের মেহমান। আম্মা! ভাত দাও৷ ওনারা দূর থেকে আসছে অনেক।
রাব্বির মা বলে উঠে, ঘরে নিয়ে আয়। বাইরে দাঁড় করায় রাখছিস ক্যা?
ইমান আর মিরা পা, হাত, মুখ ধুয়ে উঠানে এসে দাঁড়ালো। রাব্বির মা তখন ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়লো খাবার-দাবারের আয়োজনে। কিছুক্ষণের মধ্যে কয়েক পদের সাধারণ বাঙ্গালী খাবার তাদের সামনে রাখা হলো৷ মিরার ততোক্ষণে ক্ষুধায় পেট চোচো করছে৷
রাব্বি বলে, ভাইয়া-ভাবী বসেন। আরাম করে খান। আজকে বৃষ্টি-বাদল জন্য কারেন্ট নাই৷ বসেন আরাম করে খান।
ইমান বসে পড়ে বলে, তোমরা খাবে না? আস একসঙ্গে খাই।
ইমানের একথায় রাব্বি আর রাব্বির মা দুইজনেই খুব খুশি হলো। বেলা রাত সাড়ে এগারোটায় চারজনে খেতে বসলো।
খাওয়া শেষ করে ইমান আর মিরাকে গোসল করার জন্য গরম পানি দেওয়া হলো। রাব্বির মা ইতিমধ্যেই মিরাকে বৌমা বলে ডাকা শুরু করে দিয়েছে।
বৌমা বলে ডাকায় অবশ্য মিরার একদমই বিরক্ত লাগলো না। বরং তার ভালোই লাগছে। মিথ্যা মিথ্যা বৌ হওয়ার মধ্যে ও এক ধরনের মজা আছে। আসলে ছলনার মধ্যে একটা সূক্ষ্ম ধরনের আনন্দ গুপ্ত অবস্থায় থাকে। এইজন্য যারা ছলনা করে তারা অনুতপ্ততার বদলে আনন্দ পায়!
ইমান গোসল সেড়ে রাব্বির দেখিয়ে দেওয়া রুমে গিয়ে বসলো। কি যে ক্লান্ত লাগছে তার৷ পারলে এক্ষুনি ঘুমিয়ে পড়ে সে।
ঘুমু ঘুমু চোখে সে সাদের নাম্বার ডায়াল করে।ফোনটাও রাব্বির। সাদের নাম্বার তার মুখস্থ। মিরা আর সাদ এই দুইজনের নাম্বার সে মুখস্ত করে রেখেছে। মিরার নাম্বারটা কাজে আসেনা তারপর ও মস্তিষ্ক থেকে তার নাম্বার মুছে যায়না। দিব্যি মনে থাকে।
সাদের জায়গায় ইরা ফোন ধরলো। ইমান অবাক হলোনা। মিনিটে মিনিটে অবাক হতে ভালো লাগেনা তার। সে ইরাকে সুন্দর করে বুঝিয়ে সবটা বললো সঙ্গে বলে দিলো কালকে সকাল নাগাদ তারা ফিরে আসবে।
ফোন কেটে সে যেই না রুম থেকে বের হবে তখনই একটা ধাক্কা খেল। এই ধাক্কা মনের ধাক্কা। মনের ধাক্কা খেয়ে হুট করে সেই ধাক্কার প্রবল চাপে তার হৃদয়ে মিরা নামক এক পাজি, দুষ্টু রমনী ঢুকে পড়লো।
রুমের দরজার সামনে আচমকা মিরার আগমন ইমানকে অশান্ত করে তুলে। দুজনের চোখাচোখি হতেই মিরা চোখ সরিয়ে নেয়৷ মিরাকে দেখে ঢোক গিললো সে। নিশ্বাস আটকে আসছে তার। এমন অবস্থায় যেকেউ মিরাকে দেখলে, এই মেয়ের প্রেমে পড়তে বাধ্য৷ তার পরনে সাদা সুতির শাড়ি। চুল ভেজা। চুল থেকে গড়িয়ে পানি চুইয়ে পড়ছে৷ কাজল লেপ্টে আছে৷ কথা সেটা না! কথা হলো মিরা ব্লাউজ ছাড়াই শাড়ি পড়ে বেরিয়ে এসেছে। এই মেয়েটা এতো আহাম্মক কেন! চড়া এক ধমক দিতে মন চাচ্ছে তাকে কিন্তু সে নিজেকে ধাতস্থ করে বলে, কি চাই?
মিরা নতজানু হয়ে বলে, ভীষণ ঠাণ্ডা লাগছে৷ গরম পানি দিয়ে গোসল করার পর আরো বেশি ঠাণ্ডা লাগছে৷
— চুল কেন ভিজিয়েছো? এতো রাতে কেউ চুল ভেজায়?
এর উত্তরে কিছু বলার আগেই মিরা পরপর তিনটা হাঁচি দিলো।
ইমান বিচলিত হলোনা। মিরার একটুতেই ঠাণ্ডা লাগে। তার মায়েরও এই স্বভাব ছিলো। একটুতেই ঠাণ্ডা লাগবে। টনসিল ফুলে একাকার অবস্থা হবে কিন্তু বৃষ্টি নামলেই ভিজতে যাবে। মায়ের আবছা কিছু স্মৃতির মধ্যে একটা স্মৃতি আজো বুকে মোচড় দেয় ইমানের। সেবার পরীক্ষা শেষ হয়েছিলো। মা দুপুরের রান্না বসিয়েছে।আষাঢ় মাস।হুটহাট করে ঝুমঝুম করে বৃষ্টি নামলো। মা তাকে নিয়ে ছাদে উঠে গেলো। ছাদে যাওয়ার আগে দুটো গামছা নিলো সাথে।
বৃষ্টিতে সে আর মা আধঘন্টার মতো ভিজলো। এরপর মা বেশ যত্ন নিয়ে তার গা মুছিয়ে দিয়ে ঘরে ফিরে এসে মধু দিয়ে একটা পানীয় খেতে দিয়েছিলো। সেইদিন রাতেই মায়ের খুব জ্বর এলো। মা জ্বরে কাতরাতে কাতরাতেই ঘুমিয়ে পড়ে তাকে নিয়ে।
— এই যে! কি ভাবছেন?
ইমানের ঘোর কাটে। সে মিরাকে পাশ কাটিয়ে চলে যায়।
এইযে মিরা এতোবড় একটা অপরাধ করলো। এরপর ফিরে এলো। খুব নরমাল বিহেইভ করছে। ইমান কি পারেনা তাকে একটা কঠিন জবাব দিতে? পারে না একটা শাস্তি দিবে? ঠিকই পারে৷ কিন্তু মন সায় দেয়না। মন সায় না দেওয়ার পেছনে কেবল এক তরফা ভালোবাসা দায়ী না। আরেকটা বিরাট বড় কারণ অপরিসীম ভূমিকা রাখছে। তাহলো ইমান মিরার মধ্যে নিজের মায়ের প্রতিচ্ছবি দেখতে পায়। এই যে মাত্র, মিরা সাদা সুতার কাজ করা যেই শাড়িটা পড়েছে তাকে অবিকল মায়ের মতো লাগছে৷ মায়ের মতো অবিকল দেখতে এই মেয়ের সকল অন্যায় সে মাথা পেতে মেনে নেয়। তর্ক করতে ভালো লাগেনা। কষ্ট দিতেও ভালো লাগে না। দিন যতো যাচ্ছে মিরার চেহারায় মায়ের প্রতিফলন পাওয়া যাচ্ছে।
সে ফোস করে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে রাব্বিকে ফোন দিল। রাব্বি এক গাল হেসে বলে, ভাইয়া আপনারা কি হানিমুনে এসেছিলেন?
ইমান অস্বস্তিতে পড়ে গেল। আর হানিমুন! বিয়েই কপালে নেই তার! আবার হানিমুন। এই জনমে হানিমুন-কানিমুন হচ্ছে না তার বোধহয়।
খুব করে বলতে মন চাইলো, আমার এইসব চাঁদ দেখতে দেখতে মধু খাওয়ার স্বপ্ন স্বপ্ন ই রয়ে যাবে রাব্বি।
ফোন দিয়ে ফেরত এসে দেখলো মিরা বিছানার এক সাইডে গুটিসুটি মেরে বসে কি যেন ভাবছে। তার বসার স্টাইল দেখে বোঝা যাচ্ছে, বিছানার অপর প্রান্ত সে ইমানের জন্য ছেড়ে দিয়েছে৷
ইমান শুকনো কেশে বলে, তুমি নিচে শোও মিরা। আমি খুব ক্লান্ত। আমি উপরে শুব৷
মিরা তার দিকে অসহায় চোখে তাকিয়ে বলে, নিচে তেলাপোকা থাকতে পারে আবার আমার ঠাণ্ডা লেগেছে সেই সাথে পায়ের ব্যাথা তো আছেই। আপনি নিশ্চয়ই এতোটাও নির্দয় নন!
— নির্দয় নাহলে খুব এতোটাও উদার ও নই। বিছানা ছাড়ার মতো স্যাকরিফাইজ আমার দ্বারা সম্ভব না৷
মিরা শাড়ির আঁচল ডান কাধে তুলে নিলো। ইমানের চোখ না চাইতেও সেদিকে গেল। সে চোখ ঘুরিয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে বলে, অসম্পূর্ণভাবে শাড়ি পড়েছো কেন? বাকি অংশ কই?
ইমানের এই সভ্য কথাটাও কি ভীষণ অসভ্য লাগলো মিরার। লজ্জায় সিটিয়ে গেল সে।গালি গুলো বিনা ব্লাসনেই লাল হয়ে গেলো। মন চাচ্ছে মাটিটা মাঝ বরাবর ফাঁকা হোক আর সে ওই গর্তে ঢুকে পড়ুক।
জানালা খোলা থাকায় হুহু করর হাওয়া এসে মিরার শান্ত-শিষ্ট আঁচলটার সঙ্গে খেলা শুরু করলো। আঁচল আর কাঁধে থাকছেনা। বারবার উড়ে যাচ্ছে। মিরাও হাত দিয়ে আঁচল টেনে বলে, আমার মাপের একটা ব্লাউজও এ বাসায় নেই। সব ব্লাউজ,,,,,,
— সাইজে হবে কিভাবে? সারাদিন তো খাওয়া-খাওয়া ঘুরে মাথায়।এতো খেলে মানুষ কি আর মানুষ থাকে। ছোট-খাটো হাতির বাচ্চা হয়ে যায়। সারাটা দিন বিস্কুট, পরোটা, ডাল এইসব মাথায় থাকলে কোন জামা-ই আর সাইজে হবেনা৷
— আপনি কি আমাকে খাওয়া নিয়ে ইনিয়েবিনিয়ে খোটা দিচ্ছেন?
— ইনিয়েবিনিয়ে না সরাসরি ই দিচ্ছি৷
মিরা চোখ ছোট ছোট করে তার দিকে তাকিয়ে আচমকা উঠে দাঁড়ালো এবং বেশ জোড়ালো ভাবে বলে, যে লোকের আমার খাওয়া নিয়ে সমস্যা, তার সঙ্গে আমি সংসার করব না৷
ইমান তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বলে, গরম পানি দিয়ে গোসল করে কি তোমার মাথায় গন্ডগোল দেখা দিল? তোমার-আমার কোন সংসার নেই মিরা। একটা সময় হওয়ার কথা ছিলো। মানুষ কথা দেয়-ই কথা ভাঙ্গার জন্য।তুমিও কথা ভাঙ্গলে, সংসারটাও না হওয়া রয়ে গেল।
মিরার কি যেন হলো। চোখ বেয়ে নিরব অশ্রু বিসর্জন দিতে লাগলো সে।বুকে তীব্র ব্যাথা হতে লাগলো। হাত-পা ছড়িয়ে কাঁদতে মন চাচ্ছে। এখানে এসে মিথ্যা বউ হওয়ার নাটকটা কি সে কোনভাবে সত্য ভেবে বসে আছে?
ইমান নিজের হাত ঘড়িটা খুলে যেই না বিছানায় শুতে যাবে, ওমনি টের পেল বেড়াল ছানার মতো নরম একটা শরীর তাকে পেছন থেকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরেছে। সে চমকে উঠে।
গরম,উষ্ণ ছোঁয়ায় সে বাকরুদ্ধ। ছোঁয়ায় এতো তৃপ্তিবোধ হচ্ছে কেন? সে হতবাক। বুকে হাতুড়ি পেটানোর মত জ্বালা হচ্ছে৷ তরতর করে ঘামতে শুরু করলো সে।
মিরা নাক টেনে তাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলে, আমি তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি ইমান!এই এখনি টের পেলাম। জানি না কিভাবে কিন্তু আমার একটা অসুখ হয়ে গেলো মাত্র। সেই অসুখের নাম তোমাকে দেখার অসুখ।
মিরার কথা গুলো এই ছোট ঘরেও প্রতিধ্বনি হতে লাগলো।তার কানে এসে তীড়ের মতো বিঁধছে।মনটা অশান্ত সাগরের অক্লান্ত, তোলপাড়যুক্ত স্রোতের মতো গর্জে উঠছে। ইমানের তৃষ্ণা পেয়ে গেল। খুব করে বলতে মন চাচ্ছিল যে, আমিও একটা অসুখে বহুদিন ধরে আক্রান্ত মিরা। সেই অসুখের নাম তুমিময় অসুখ!
কিন্তু বলা হলোনা। কথাগুলো দলা পাকিয়ে বেরিয়ে আসতে গিয়েও সে থেমে যায়৷ তার চোখের কার্নিশ বরাবর পানি চলে এলো। এই দিনটার প্রতিক্ষায় সে কতো রাত জেগে বসে ছিলো! আর আজকে এই মাহেন্দ্রক্ষণ তার সামনে অথচ সে বোধশক্তি হারিয়ে নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে!
মিরা আরেকটু শক্ত করে চেপে ধরে ফিরফিস করে বলে, তোমাকে না পেলে এবার বুঝি আমি সত্যি সত্যি পাগল হয়ে যাবে।
ইমান কিছু বললো না। তবে সে খুব কঠিন একটা কথা বলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে৷
চলবে৷