#শেহজাদী
Part–36
Arishan_Nur (ছদ্মনাম)
মিরার যখন জ্ঞান ফেরে, সে তখন সম্ভবত হাসপাতালে শুয়ে ছিল। চারিদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। চোখে আধার নেমেছে। সে যেন এক অপার ঘোরের মধ্যে ডুবে আছে। মাথার পেছনের দিকটা ব্যথায় একাকার। সে আস্তে করে চোখ বুজে ফেললো। চোখের পলক ফেলার শক্তিটাও তার মধ্যে নেই। তার পিপাসায় গলা শুকিয়ে গেছে। ঠোঁট শুকিয়ে গেছে। হাতের উপরিভাগে চিনচিন ব্যথার অনুভূতি জাগছে।এমনকি তার প্রচুর শীত লাগছে। মনে হচ্ছে, দুটো লেপ মুড়িয়ে শুলেও শীত ভাব কমবে না। আচ্ছা সে কোথায় এখন? এ রুমে কি সে একা? কেউ নেই কোথাও? তার মনে ভয়েরা দল বেঁধে ডানা ঝাপ্টাতে লাগে। কালকে পর পর বেশ ক’টা দুঃস্বপ্ন দেখেছে সে। মজার ব্যাপার হলো সে স্বপ্নের মধ্যেই বুঝে যাচ্ছিল, সে স্বপ্ন দেখছে! কি অদ্ভুত ব্যাপার! আচ্ছা এটা কি পৃথিবী নাকি অন্য কোন ভূবন ?
তার চিৎকার করে মা বলে ডাকতে মন চাচ্ছে! মা কোথায়?বাবা কোথায়? ইরা কি আশেপাশে নেই? আচ্ছা ইমান কি রাতে বাসায় ফেরেনি?সারারাত কোথায় ছিল সে? আধো অচেতন অবস্থাতেও মিরা ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠে ইমানের জন্য। এক ঝলক দেখার জন্য কাতরাতে লাগে।
তখনই রুমে কারো উপস্থিতি টের পেল সে। কেউ যেন কাছে এসে তার মাথায় হাত বুলাচ্ছে।
সে মিরা কাহিল গলায় বলে, ইমান?
— না। আমি তোমার বড় আব্বু।
মিরা যেন একথায় কিছুটা লজ্জা পেল। চোখ হালকা চোখ খুলে আবার বন্ধ করে ফেলে।
বড় আব্বু কিছুটা গম্ভীর গলায় বলে, ব্যাপার কি মিরা মামনি? তুমি হুট করে এতো সিক হলে কিভাবে? কালকেই তো সুস্থ ছিলে, ঘুরে আসলে, আর আজকে সোজা হাসপাতালে!
— কি হয়েছিল?
— সকালে নাস্তা খাওয়ার জন্য তোমাকে ডাকতে গিয়ে ইরা দেখলো তুমি অচেতন হয়ে আছো। তখন বাসায় আমি বা তোমার বাবা কেউ ছিলাম না। গোডাউনে ছিলাম। ইমানের ছোট ভাই তোমাকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করালো।তোমার আম্মু ভীষণ আপসেট হয়ে আছে।যদিও বা ডাক্তার বলেছেন নাথিং সিরিয়াস।
মিরা চুপ করে বড় আম্মুর কথা শুনলো। এরপর মিইয়ে যাওয়া গলায় বলে, এখন ক’টা বাজে?
— দুপুর এখন। তুমি কি কিছু খাবে? হালকা স্ন্যাকস জাতীয় কিছু?
— না৷ কিছু খাব না। আচ্ছা বড় আব্বু ইমান কি কাল বাসায় আসেনি?
বড় আব্বু কপালে চিন্তার ভাজ ফেলে বলে উঠে, না আসেনি। ওর কথা কেন বারবার বলছো? তোমাদের মধ্যে কিছু হয়েছে?
মিরা ধপ করে আরো মিইয়ে পড়লো। বড় ক্লান্ত লাগছে তার। হুট করে সবকিছুই অসহ্য লাগা শুরু করলো।
বড় আব্বু বললেন, তোমার সম্ভবত বদহজম হয়েছিল৷ বমি-টমি করে বিশ্রী অবস্থা! সেই সাথে ভীষণ জ্বর। এমনি কি মানা করি বাইরের খাবার খেতে? যাগ গে! জ্বর সেরেছে। এখন কেমন লাগছে?
— ভালো না।
— এই ভালো না কি মনের নাকি শারিরীক?
— তাতো জানি না।
— আমার কেন জানি মনে হচ্ছে, তোমার এই ভালো না লাগাটা সম্পূর্ণ মনের। শরীরের না। ঠিক কিনা?
মিরা না ভেবেই বলে, ঠিক বলেছেন। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।
বড় আব্বু মিরার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে, সুখ-দুঃখ দুটোই সাময়িক। ক্ষণস্থায়ী।
— তাহলে চিরস্থায়ী কি?
— ভালোবাসা! ভালোবাসা চিরস্থায়ী।
মিরা বেশ খানিকটা অবাক হলো। বড় আব্বুর মুখে ভালোবাসা শব্দটা বেমানান! তার মুখে ব্যবসার লাভ-ক্ষতি ছাড়া অন্য কিছু কোনদিন শোনেনি মিরা। আজ প্রথম সেই ব্যক্তির মুখে ভালোবাসা নিয়ে উক্তি শুনে হজম করতে কষ্ট হচ্ছে তার।
বড় আব্বু এবারে মলিন স্বরে বলে, তোরা মনে করিস, আমি বুঝি খুব নির্দয়। তোদের ভালো-মন্দের খবর রাখি না। কিন্তু এ ধারণা ভুল। তোদেরকে বোধহয় আমার চেয়ে বেশি কেউ ভালোবাসে না। তোকে, ইমানকে, ইরাকে আমি নিজের সন্তান হিসেবেই দেখি। সায়েমা,সোনালী যেমন তোরাও তেমনই! তবে ইমান আমার একটু বেশিই প্রিয়! কেন তা জানি না! হয়তোবা মৃত বোনের ছেলে জন্য! ইমান কষ্ট পেলে সেই আঘাতটা সরাসরি আমার গায়ে এসে লাগে।
মিরা এবারে বড় আব্বুর চোখের দিকে তাকালো। তার চোখ ছলছল করছে। তিনি মাথাটা সোজা রেখে বলে উঠে, আম্মা যখন তোদের বিয়ে নিয়ে মত সবার সামনে রাখলো, আমি সেদিন অনেকটা সময় নিয়ে ভাবলাম। ভাবার পর একটা ব্যাপার উপলব্ধি করি তাহলো, তোর জন্য ইমান পারফেক্ট একটা ছেলে। তোকে সামলে রাখার ক্ষমতা আছে ওর। এজন্য প্রস্তাবে রাজী হই। কিন্তু এটাই বুঝি ভুল ছিল। তোদের বিয়ে ভেঙে গেল। তুই দূরে চলে গেলি। এদিকে ছেলেটা তীব্র কষ্ট পেল!
— পুরনো কথা হঠাৎ বলছেন কেন?
বড় আব্বু অকপটে জবাব দেন, কালকে ইমান শুধুমাত্র আমার ফোন রিসিভ করেছিল।
সে ব্যতিব্যস্ততা দেখিয়ে বলে, কোথায় আছে ও? ওকে একবার আমার সঙ্গে দেখা করতে বলুন প্লিজ!
— তোমাদের মধ্যে কি হয়েছে জানি না কিন্তু ইমান অনেক বেশি আপসেট, হতাশ! ওর কণ্ঠ শুনেই বুঝে গেছি আমি।
মিরা এতো অসুস্থতার মাঝেও উঠে বসে আচমকা হুহু করে কেঁদে দিয়ে বলে, বড় আব্বু প্লিজ ওকে আসতে বলেন। আমি আর কোনদিন ওকে ভুল বুঝব না।
আজমল সাহেব ভড়কে গেলেন তাকে কাঁদতে দেখে। অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটা এতো হাইপার কেন হচ্ছে ইমানের জন্য? তিনি বললেন,
— তোমাদের মধ্যে কি হয়েছে জানি না কিন্তু শুধু এতোটুকুই চাই যে তোমরা সবাই মিলেমিশে থাকো। আমাদের বংশে কোন ছেলে নেই। এই বংশ টিকিয়ে কে রাখবে? বল? তোমরা এভাবে আলাদা হয়ে পড়লে, আমি মারা গেলেই আমাদের এতো কষ্টের যক্ষের ধনের ব্যবসা শেষ হয়ে যাবে।
— ওকে শুধু একবার আমার কাছে আসতে বলেন। আমি সব ঠিক করে দিব।
— দেখি। তুমি রেস্ট নাও।
বলে উনি উঠে দাঁড়ালো এবং বাইরে চলে গেলেন। এদিকে মিরা বিছানায় ছটফট করতে লাগলো। হাতে স্যালাইন দেওয়া জন্য উঠে চলে যেতেও পারছে না। দুশ্চিন্তায় সে ঘেমে যাচ্ছে। এতো অস্থিরতা মনে পুষেও সে ঘুমের রাজ্যে তলিয়ে গেলো। আস্তে আস্তে প্রগাঢ় থেকে প্রগাঢ়তর হতে লাগলো তার ঘুম।
বড় আব্বু মিরার কেবিন থেকে বের হলো। বাইরে কেউ নেই৷ কিছুক্ষণ আগেই ইরা আর মিরার বাবা-মা রেস্ট নেওয়ার জন্য বাসায় ফিরে গেছে। বাসা থেকে হাসপাতাল বেশি দূর না। তিনি একাই মিরার সঙ্গে ছিলেন এবং আছেন। বাসায় সোনালী একা জন্য সুপ্তি বেগম বেশি ঝামেলা করেননি। এছাড়া ডাক্তার বলে দিয়েছে, মেজর কিছু না। জ্বরের কারণে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে সে।
তিনি পকেট থেকে ফোন বের করে ইমানকে কল লাগায়। চার বারের বার সে রিসিভ করতেই আজমল সাহেব থমথমে গলায় বলে, ফোন ধরছিলে না কেন?
ইমান বিনীত গলায় সালাম দিয়ে বলে, মামা আমি একটু বাইরে আছি এজন্য ফোন ধরতে দেরি হলো!
— তুমি এই মূহুর্তে কোথায়?
— বসুন্ধরাতে।
— এক্ষুনি রওনা দাও৷
— কেন? মামা? কোন সমস্যা হয়েছে?
— মিরা অসুস্থ। হুট করে কালকে রাতে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। মাত্র জ্ঞান ফিরলো। তোমার সাথে দেখা করতে চাচ্ছে। তুমি কি আসবে না?
ইমান যখন খবর পায় যে মিরা অসুস্থ তখন সে যমুনা ফিউচার পার্কে ছিল। মামার কথা শোনার পর তার পা থেকে মাটি সরে গেল। কালকেই সুস্থ ছিল আর আজকে একদিনের ব্যবধানে হাসপাতালে মিরা এটা মানতে কষ্ট হচ্ছে তার।ভীষণ কষ্ট!
সে দিশেহারা অবস্থাতে বের হয়ে ড্রাইভারকে ফোন দিলো। ভাগ্য ভালো আজ সে ড্রাইভার সঙ্গে এনেছে।নাহলে আজকে একটা এক্সিডেন্ট ঘটিয়ে ফেলতে পারত!
সে গাড়িতে উঠে তড়িঘড়ি করে বলে, দ্রুত সূত্রাপুর চলুন।
— স্যার! এখন ওদিকে যেতে সময় লাগবে। চারটা থেকে প্রচুর জ্যাম হয় তো!
— হোক।তবুও যেতে হবে। এক কাজ করুন, হাতিরঝিল হয়ে যান। আর এসিটা বাড়িয়ে দেন। প্রচুর গরম লাগছে।
— আচ্ছা স্যার।
ড্রাইভার গাড়ি নিজ গতিতে চালিয়ে নিয়ে যেতে লাগলো। এদিকে ইমান হাঁসফাঁস করছে। বারবার সময় দেখছে সে। আর সহ্য হচ্ছে না। রাস্তায় মরা জ্যাম লেগে গেছে। তার মন চাচ্ছে, হেলিকপ্টার ডেকে আকাশপথে উড়াল দিতে!
ইমানের পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় মাগরিবের ওয়াক্ত হয়ে যাচ্ছে। সূর্য ঢলে পড়ছে। ইমানের মনে মনে ঢাকা শহর আর ঢাকা শহরের জ্যামের গুষ্টি উদ্ধার করা শেষ।
কেবিনের দিকে যেতেই ইরা আর সাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ।
ইরা তাকে দেখে স্মিত হেসে বলে, আপু ঘুমাচ্ছে।
— মামী কই?
— বাসায়। সোনালী আপুর প্রেসার একটু বেড়ে গেছে জন্য আম্মু বাসায় আছে। বড় আব্বু মাত্র বাসার উদ্দেশ্য রওনা হলো।
ইমান শুকনো ঢোক গিলে বলে, আর ছোট মামা উনি কোথায়?
— আব্বু তো আসরের ওয়াক্ত থেকেই হাসপাতালের মসজিদে বসে আছে৷
এবারে সাদ বলে উঠে, তোমরা টেনশন নিও না! সব ঠিকই আছে। জাস্ট রিল্যাক্স।
সাদের কথার পিঠে কেউ জবাব দিলো না৷ ইমান কেবিনের ভেতরে ঢুকে গেল।
ঢুকতেই মিরার ঘুমন্ত মুখ চোখে পড়লো। তার বুকটা দুমড়ে মুচড়ে যেতে লাগলো। মিরা ঘুমাচ্ছে কিন্তু মুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট! সে এগিয়ে গিয়ে একটা চেয়ার টেনে এনে মিরার মাথার কাছে বসে, তার চুলে হাত রাখলো এবং সে মিরার কপালে খুবই প্রগাঢ় করে নিজের ঠোঁট ছোয়ালো। ঘুমন্ত মিরা টের পেল না।
সে নিস্তেজ হয়ে ঘুমাচ্ছে। ইমান আপনমনে তার চুলে বিলি কাটছে আর এক দৃষ্টিতে তারই পানে তাকিয়ে আছে। থেকে থেকে কপালে গভীর করে ভালোবাসার পরশ একে দিচ্ছে।
আচমকা মিরা নড়েচড়ে উঠে। হয়তোবা ঘুম ভেঙে গেছে তার ইমানের অযাচিত স্পর্শ পেয়ে। ইমান দেখলো, সে পিটপিট করে চোখ খুলে তার দিকে তাকালো এবং বেশ বিষ্মিত হলো৷ মনে হচ্ছে ইমানের আসার ব্যাপারটা তার বিশ্বাস হচ্ছে না।
ইমান তার চোখে চোখ রেখে খুবই সাবলীল ভাবে বলে, কেমন আছো?
— ভালো৷
— ভালো আছো?
— হু৷
— তাহলে হাসপাতালে কি করছো?
— ফটোশুট করতে এসেছি। আপনি করবেন?
ইমান শব্দ করে হেসে দিল না চাইতেও। মিরা ঠোঁট বাকিয়ে, অপর পাশে মুখ ঘুরে, ইমানের দিকে পিঠ দিয়ে শুলো।
ইমান বলে, কালকেই না দিব্যি সুস্থ ছিলে। তিড়িংতিড়িং করে নাচা-নাচি করলে, আর আজকেই এই দশা কেন?
— অসুস্থতা বুঝি এপোয়েন্টমেন্ট নিয়ে আসে?
— তুমি আসলে কার উপর রাগ দেখাচ্ছো?
— কারো উপরই না।
— আমার মনে হচ্ছে আমার উপর রাগ দেখাচ্ছো।
— উহু। একদমই না।আপনি কে? যে আপনার উপর রাগ দেখাব?
ইমান ঠোঁট দুটো গোল করে বলে, ও।
মিরা এবারে উঠে বসলো। তার আসলেই রাগ লাগছে। এই ছেলেটাকে দেখার জন্য সে কাল রাত থেকে অস্থির করছে, জ্বর শরীরেও ওকে দেখার জন্য মন কাতরাচ্ছিল কিন্তু দেখামাত্র সব, সব দুঃখ-কষ্ট এক নিমিষেই ফুরিয়ে গেলো।
সে টেনে টেনে শ্বাস নিতে নিতে ইমানকে উদ্দেশ্য করে বলে, আপনি খুব পঁচা৷
— জানি।
— জানেন?
— হুম।
— আপনাকে আমি একফোঁটা ও ভালোবাসি না।
ইমান বাঁকা হেসে বলে, এই ব্যাপারটা তুমি যেদিন আমাকে ভালোবাস-বাসির কথা বলেছিলে সেদিনই বুঝি গেছি।
মিরার কি যেন হলো একথা শুনে। ভীষণ রাগ উঠে গেল তার। সমস্ত ক্লান্তি, গ্লানি ছাপিয়ে তার মনটা অজগর সাপের ন্যায় ফুসতে লাগে। সে ক্ষ্যাপা বাঘিনীর ন্যায় হামলে পড়ে ইমানের দিকে।
ইমান ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়। মিরা তার চুল খামচে ধরেছে। আচ্ছা বজ্জাত তো মেয়েটা! যতোই হোক ইমান তার এককালীন টিচার, সম্মান তো করেই না! সুযোগ পেলেই তার চুল ধরে টানাটানি শুরু করে দেয়।
ইমান থমথমে গলায় বলে, কি?
— দেখ ইমান! বেশি বাড়াবাড়ি করলে তোর ভালো হবে না বলে দিলাম!
মিরার কথা কর্ণকুহর হতেই ইমানের চোখ কপালে। কি ডেঞ্জারাস মেয়ে! অসুস্থ জন্য দেখতে এলো, অথচ মেয়ে তার সঙ্গে তুই-তুরাকি শুরু করেছে। এটা মানা যায় না!
মিরা সত্যি সত্যি ইমানের চার-পাঁচটা চুল টেনে, শান্ত মেয়ের মতো তার বুকে নেতিয়ে পড়ে, কান্না করে দিয়ে বলে, আমি সত্যি আপনাকে ভালোবাসি। এক সমুদ্রে যতোগুলো ঢেউ সৃষ্টি হয়, ঠিক সেই পরিমাণ ভালোবাসি!
আজকে ইমানের কি যে হলো! সে নিজেকে ধাতস্থ করতে পারলো না। কঠোর হতে পারলো না। মিথ্যা জিহবা দিয়ে বের হলো না।
সে মিরাকে নিজের বুকের সঙ্গে প্রায় পিষে ফেলে, কোমল গলায় বলে, ভালোবাসি তো!
এই দুটো শব্দই যেন মিরার শরীরে ঔষধের ন্যায় কাজ করলো। সমস্ত রোগ-বালাই গায়েব হয়ে গেল দেহ থেকে, এবং দেহে এক অদ্ভুত শিহরণ বয়ে গেল৷
ইমান তাকে বুক থেকে সরিয়ে, সোজা করে বসিয়ে দিলো এবং তার নাকে নাক ঘষে বলে, লাভ ইউ মাই শেহজাদী!
চলবে।
[ আসসালামু আলাইকুম। আজকে একটা বোনাস দিতে চাচ্ছি। আপনারা পড়তে চাইলে দ্রুত বলে ফেলুন! তাহলে বোনাস পার্ট লিখা শুরু করব। ]