The Hunted Lover💖part-2

#The_Hunted_Lover (A Vampire Love Story)
#Tafsia_Meghla
#Part:02

রাত ফুরিয়ে আসছে অশরীরী দের আনা গোনাও কমছে মাদার গির্জার সামনে মোমবাতি জালিয়ে বাইরে আসতেই দাঁড়িয়ে যায়,,,,,,,,”
একটা মেয়ে হুট করে এসে জড়িয়ে ধরে বলে,
— “মাদার কেমন আছেন?”

মাদার মেয়েটাকে দেখেই সেই বৃদ্ধা মহিলার বলা কথাটা মনে পরে যায় “মিলন খুব সন্নিকট সে আসবে তাকে নিয়ে যেতে”
মেয়েটার ডাকে মাদার ভাবনার জগত থেকে ফিরে মেয়েটা আবার বলে,
— “মাদার কি ভাবছেন?”

মাদার জোর পূর্বক হাসি টেনে বলে,
— “ভালো মাই চাইল্ড, তুমি?”

মেয়েটা মুখ গোমড়া করে বলে,
— “মাদার আজ আমার বার্থডে, ভুলে গেলেন?”

মাদার মুচকি হেসে বলে,
— ” আমার জেনিফার জন্মদিন ভুলে যেতে পারি? শুভ জন্মদিন মাই চাইল্ড৷ ”

জেনিফা মাদার কে জরিয়ে ধরে বলে,
— “ধন্যবাদ!! আচ্ছা আমি একটু আশ্রম থেকে আসছি৷ ”

জেনিফা আশ্রমের দিকে চলে যায়৷ মেয়েটির নাম মেহেক জেনিফা দেখতে খুবই সুন্দরী আর সুশীল৷
জেনিফার মা এসে মাদারের সামনে দারিয়ে মুচকি হেসে কিছু বলবে এর আগেই মাদার বলে,
— “সতেরো বছরে পা রাখলো এঞ্জেলিনা জেনিফা,,,,,,৷ ”

মাদার কে থামিয়ে কাপা কাপা গলায় জেনিফার মা বলে,
— “না না এঞ্জেলিনা না ও আমার মেহেক জেনিফা কোনো এঞ্জেলিনা বা,,, নাহহ মাদার আপনি আর এগুলো বলবেন না ও আমার মেয়ে৷ ”

মাদার মুখ শক্ত করে বলে
— “হ্যা তোমার মেয়ে কিন্তু,,,৷ ”

— “কোনো কিন্তু না ও আমারই মেয়ে আমি ওকে জন্ম দিয়েছি৷ ”

— “তুমি জন্ম দিয়েছো তোমারই মেয়ে কিন্তু সে তো মানবে না কিছু সে তো নিয়ে যাবে, আর এগুলো জেনিফা কে জানিয়ে দেওয়া উচিত নয়তো পরবর্তীতে সব কিছুর ধাক্কা সামলাতে পারবে না৷ ”

জেনিফার মা মাদারের দিকে তীহ্ম দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে,
— “কী বলছেন কী? জানিয়ে দেবো মানে? এসব কিছুই সত্যি না, ও আমার মেয়ে আর আমি ওকে নিয়ে এখান থেকে দূরে চলে যাবো৷ ”

— “দূরে গেলেই কি সব ঠিক হয়ে যাবে? যতই দূরে যাও না কেন তার হ্মমতার বাইরে যাওয়া সম্ভব হবে না তোমাদের এটা তো জানো?”

জেনিফার মা রেগে বলে,
— “হ্মমতা? কিসের হ্মমতা? এখন পর্যন্ত তো তার নাগাল ও পায়নি আমার মেয়ে আর পাবেও না আমি পেতে দিবো না৷ ”

মাদার আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে,
— “সেটা ওপর ওয়ালা ভালো জানে৷ ”

তখনি জেনিফার বাবা এসে বলে,
— “কি ওপর ওয়ালা জানে মাদার?”

জেনিফার মা বলে,
— “আমরা এখান থেকে আজই চলে যাবো এখান থেকে অনেক দূরে আমার মেয়েকে নিয়ে৷ ”

জেনিফার বাবা বুঝতে পেরে বলে,
— “মেয়েকে নিয়ে যত দুরেই পালাই না কেন সময় হলেও সে যেনে যাবে৷ ”

জেনিফার মা ধপ করে নিচে বসে পরে বলে,
— “আমি জানি না আমি আমার মেয়েকে আমার কাছেই চাই৷ ”

vampire Kingdom,,,,,,,,,,,,,,,,

একটা তৈল চিত্রের সামনে রক্ত চক্ষু নিয়ে দারিয়ে আছে প্রিন্স সায়মন রিও চোখ মুখি তার ভয়ানক হয়ে আছে৷
রিও গর্জন দিয়ে অস্পষ্ট ভাবে বলে,
— “পাঁচ শত বছর পূর্ন হলো আজ তোমার প্রতিজ্ঞা অপূর্ণ রয়ে যাচ্ছে তুমি প্রতিজ্ঞা করেও সেই প্রতিজ্ঞা রাখছো না৷ তাহলে তো আমাকে আমার দিক দেখতে হবে নিজ দায়িত্বে তোমাকে আমার কাছে খুজে আনবো এই পাচঁশত বছর আমার কষ্টের পরিনাম শোধে আসলে আমি নিবো৷ ”
বলেই আবারো হুংকার দিয়ে উঠে, পুরো ভ্যাম্পায়ার রাজ্য কেপে উঠে৷
কিছুক্ষন পরই রয় আসে৷
রিও কে এভাবে গর্জন দিতে দেখে বলে,
— ” প্রিন্স প্লিজ শান্ত হোন এমনটা করলে কি সব ঠিক হয়ে যাবে? আপনার হিংস্রতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে আপনি ভ্যাম্পায়ার দের ও নিজের শিকার বানাচ্ছেন? কেন এমন করছেন? যা হবার নয় কেন তার আশায় পরে আছেন?”

রিও হুংকার দিয়ে বলে,
— “কি হবার নয়? তার প্রতিজ্ঞা তার শেষ কথা হবার নয়?”

— “হ্যা প্রিন্স এটা আর হবার নয় এটা কি করে হবে? সে তো পাচঁ শত বছর আগেই,,,,৷”

রিও রেগে রয় এর সামনে তেরে এসে বলে,
— “কিছু হয়নি সে ফিরবে, আমি জানি সে আছে৷ আমি তাকে ফেরাবো৷ ”

— “কিন্তু এ,,,,”

রয় আর কিছু বলতে পারলো না রিও এর হিংস্র রুপ দেখে৷ রয় রিও এর ভালো বন্ধু হলেও রয় রিও কে খুব ভয় ও পায়৷

_____________________

মেহেক জেনিফার আজকে ১৭ বছর পূর্ন হলো এই উপলক্ষে আশ্রমের সব বাচ্চাদের গিফট আর খাবার দেওয়া হচ্ছে, জেনিফা বাচ্চাদের সাথে আশ্রমের মাঠটার মধ্যে খেলছে গির্জার পাশেই দাঁড়িয়ে দেখছে মাদার, আর জেনিফার মা৷ ১৭বছর হলেও বাচ্চামোটা ওই ছোট বেলার মতই আছে আশ্রমের বাচ্চাদের সাথে বাচ্চাদের মতই খেলছে৷
আশ্রমের পিছন দিকেই সেই জঙ্গলটা থেকে কেও জেনিফা কে আকর্ষন করে দেখছে আর বিরবির করে বলছে কিছু৷
জেনিফা বাচ্চাদের সাথে খেলতে খেলতে মনে হচ্ছে কেও তার দিকে তাকিয়ে আছে শান্ত ভাবে দাড়িয়ে পিছে তাকাতেই দেখে খালি কেউ নেই৷
কে ছিলো?
কেউ কি দেখছিলো আমায়?
কেন জানি টানছে আমায় জঙ্গল টা কিন্তু কেন এমন হচ্ছে?
হঠাৎ হাত কেউ জোরে চেপে ধরায় ভাবনার জগত থেকে ফিরে জেনিফা৷ সামনে তাকাতেই সামনে থাকা ব্যাক্তি টি কে দেখে কেপে উঠে জেনিফা,,,,,,

চলবে,,,,,,

[কেমন হচ্ছে গল্পটা জানায়ো৷]