The Hunted Lover💖part-4

#The_Hunted_Lover (A Vampire Love Story)
#Tafsia_Meghla
#Part:04

জেনিফা হাটতে হাটতে প্রায় অনেক দূর এসে পরেছে হঠাৎ করে জেনিফা ডান হাতের কব্জির কিঞ্চিত নিচে হাত দিয়ে দাঁড়ায় জন্ম দাগটার জায়গা কেমন জ্বলছে এটা তো এমন হয় না আজ এমন জ্বলা করছে কেন?
রিওর হাতের উলকিটা জল জল করে জলে উঠছে রিও এখনো বুঝতে পারছে না এমনটা কেনো হচ্ছে৷
তখনি রয় আসে রিও’র সামনে রয়ের হাতে সেই ডাইরিটা রিও রয়ের হাতের ডাইরিটা দেখে অবাক হয়ে বলে,
— “এটা কোথায় পেলে?”

রয় বলে,
— “জঙ্গলে আপনাকে খোজার সময় এটা ওই পুরোনো বাড়ির সামনে পরে থাকতে দেখি৷ ”

— “পুরোনো বাড়ি?”

— “হ্যা৷ ”

রিও চোখ মুখ শক্ত করে বলে তার মানে এটা ওই নেকড়ের কাজ ছিলো? ওকেতো আমি ছারবো না৷ রিও রয় থেকে ডাইরিটা নেয় ডাইরির উপরের চিত্রটার উপর হাতের ছোয়া লাগতেই ডাইরির কভারটা মাঝখান থেকে সরে যায়৷
রয় আর রিও এটা দেখে বেশ অবাক রিও’র ছোয়া লাগতেই ওইটা সরে যায় ওইটার ভিতর পাতার উপর কিছু লিখা৷
রয় অবাক হয়ে বলে,
— “প্রিন্স আগেও তো এটা আপনি ধরেছিলেন এমনটা তো হয়নি তাহলে কি এটা ওই নেকড়ের কোন চাল?”

রিও ভেবে বলে,
— “না ডাইরিটা আমি আগে পাই নি যেখানে রেখেছিলো সেখানে আর ডাইরিটা পাইনি৷ ”

রিও ডাইরিটার ভিতর থেকে পাতাটা বের করে, পাতাটার লেখাগুলো পরেই থমকে যায় তখনই রয় রিও’র হাতের উলকিটা জলজল করতে দেখে বলে,
— “প্রিন্স এটা এভাবে জলসাচ্ছে কেন?”

রিও রয়ের কথার উত্তর না দিয়ে ঝড়ের গতিতে কোথাও একটা চলে যায়৷

জেনিফা নিচু হয়ে একটা ফুল দেখছিলো তখনই মায়া এসে রেগে বলে,
— “জেনি তুই এখানে? আর আমি খুজতে খুজতে হরান৷ এই ভয়ংকর জঙ্গলে এসেছিস কেন? চল ইয়ার তোর মা কে মিথ্যে বলে বেরিয়েছি এখন দেরি হয়ে গেলে আমায় বকবে৷ ”

জেনিফা হাতের কব্জি টা হাত দিয়ে ধরে বলে,
— “আজ এই দাগটা খুব জালা করছে কেন বুঝতে পারছি না৷”

মায়া জেনিফার কথার পাত্তা না দিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যেতে থাকে৷
এদিকে রিও অদৃশ্য হয়ে কিছু খুজে বেরাচ্ছে, কিন্তু কি খুজছে? রিও আসতে আসতে জনপথে এসে পরেছে একটা বাসস্টপ এর সামনে রিও অদৃশ্য হয়ে আছে৷ রিওকে কিছু একটা টানছে গভীর ভাবে টানছে৷
তা এই জন পথের মানুষের রক্ত নয়, সে যে অন্য কিছুর খোজে আজ মেতে আছে এতো মানুষের মধ্যেও আজ পিপাসু লাগছে না৷
এতো মানুষের মাঝেও একটা ভ্যাম্পায়ার রক্তের নেশায় নয় অন্য কিছুর নেশায় আসক্তি হয়ে আছে৷
সেই সুভাস তাকে টানছে আজ এতো মানুষের রক্তের ঘ্রানকেও রিও’র কাছে সেই সুভাস হার মানিয়ে দিয়েছে কিন্তু কিসের জন্য রিও’র মতো রক্ত খেকো ভ্যাম্পায়ার কে হার মানিয়ে দিলো?
যেই রিও’র কাছে হাজারো ভ্যাম্পায়ার হার মানে আজ রিও কে সেই সুভাস আবার হার মানিয়ে দিলো? রিও আজ বেকুল কিন্তু কিসের জন্য?

জেনিফা আর মায়া বাস এ উঠে চলে যায়৷

— “আজ কি আমায় এতো করে টানছে? কেন ওই জঙ্গলটা থেকে আসতে ইচ্ছে করছিলো না? কেন এমন লাগছে? এ কেমন অনুভূতি? আগে তো হয় নি৷”

বাসের ঝাকুনি খেয়ে ভাবনার জগত থেকে বেরিয়ে আসে জেনিফা, বাস এসে বাড়ির সামনে থামতেই জেনিফা আর মায়া বাস থেকে নেমে পরে জেনিফা জেনিফার বাড়িতে যায় আর মায়াও মায়ার বাড়িতে চলে যায়৷

রিও এখনো কিছু খুজছে কিন্তু সে সুভাস টা আর পাচ্ছে না উলকিটাও আর জলে উঠছে না৷ রিও আবারো রেগে যায় তখনই রয় আসে রয় দূরে দারিয়েই রিও’র মাইন্ড পরে নেয়৷
রয় কে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে রিও বলে,
— “আমার ভালো বন্ধু হলেও আমার মাইন্ড পরার অধিকার তোমায় দেই নি৷ ”

রয় রিও’র সামনে গিয়ে বলে,
— “সরি প্রিন্স কিন্তু আপনি যা ভাবছেন তা কি ঠিক?”

— “হ্যা আমি জানি সে আছে আসে পাশেই আর তাকে আমি খুজে বের করবই৷ ”

— “কিন্তু প্রিন্স এই জনবসতি জায়গায় আপনি কি নিজেকে ঠিক রাখতে পারবেন? আর সে কি সত্যি আছে নাকি,,,,”

রয় আর কিছু বলতে পারলো না কারন এই মূহুর্তে রিও অনেক রেগে আছে চোখ মুখে আবার হিংস্রতা ফুটে উঠেছে৷সন্ধ্যা হয়ে এসেছে জন বসতি পথ মানুষের আনাগোনা একটু বেশি এখন রয় আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছে না আর সে জানে রিও কে কিছু বললে শুনবে না তাই রয় চলে যায়৷
রিও অদৃশ্য হয়ে এখনো কিছু একটা খুজে বেরাচ্ছে কিন্তু কি খুজছে রাত ও হয়ে গেছে রিও এখনো খুজেই চলেছে৷

—————————————–

রিও জঙ্গলের মাঝে দাঁড়িয়ে আবার হুংকার দিয়ে উঠে হিংস্র রুপ আবার ধারন করেছে রিও, তার যে এখন রাগ জেদ আর পিপাসা মেটাতে রক্ত চাই৷ আজ জঙ্গলে কোনো প্রানিও পায় নি রিও’র শরীরের শিরা উপশিরা শির শির করছে তার যে এখন রক্ত চাই এখানে না দারিয়ে ঝড়ের গতিতে জঙ্গলের বাইরের দিকে ছোটে৷

আকাশ ঘন কালো অন্ধকারে ছেয়ে গেছে মধ্যরাতের প্রথম প্রহর চলছে চারোদিকে মানুষের আনাগোনা কমে গেছে অশরীরীরা আনাগোনা করছে কেউ বা হিংস্রতায় এদিক ওদিক করছে কেও বা তার অতৃপ্ততা বিলুপ করছে কিছু রক্তচোষা অশরীরীরা তাদের তৃষ্ণায় এদিক ওদিক ছুটছে শিকারের আশায় কেও তাদের খালি চোখে দেখে ভীত হয়ে আছে আর কেও বা তপস্যায় মগ্ন আছে তাদের দেখার জন্য৷
অশরীরীর কথা শুনলেই মনটা যে কারোই ভিত হয়ে যায়, যারা দেখতে পায় তারা হয়তো তা সয্য করতে পারে না আর যারা দেখতে চায় তারা হয়তো শত তপোস্যার পরেও দেখতে পায় না৷
বারান্দায় রকিং চেয়ারে বসে বাইরের দিকে তাকিয়ে আছে এক ব্যাক্তি রকিং চেয়ার দুলছে আর ঠক ঠক আওয়াজ হচ্ছে৷ চারোদিক নিস্থব্দ হয়ে আছে৷
ব্যাক্তিটির হঠাৎ মনে হলো ওয়াশরুমের কলটা জোরে ছাড়া সে একা একাই বকে,
— “ওয়াশরুমের কলটা তো আমি বন্ধই করে এসেছিলাম তো এভাবে জোরে চলছে কেনো?”
উঠে যেতে নিলেই রকিং চেয়ার টা জোরে জোরে আওয়াজ হতে থাকে সেই দিকে একবার তাকিয়ে ওয়াশরুমের দিকে পা বারাবে তখনই দেখে আওয়াজ টা নেই৷
— “কি হলো? দূর আমি হইতো ভুল শুনেছি এতো রাত হয়ে গেছে ঘুমাচ্ছি না হয়তো বেশি ঘুম পাওয়ার কারনে ভুল শুনছিলা৷ ”

বলেই খাটে গিয়ে শুয়ে পরে অনেক্ষন হলো শুয়েছে রকিং চেয়ারটা এখনো ঠক ঠক করে নরছেই৷ ওয়াশরুমের কল থেকে টপ টপ করে পানির আওয়াজ হচ্ছে আলসেমি করে আর উঠে না চোখ বন্ধ করে ফেলে৷ হঠাৎ মনে হলো তার পাশে কেউ শুয়েছে আতকা পিছে মুররেই লোকটির বুক কেপে উঠে কি হিংস্র রুপ নিয়ে পাসে দারিয়ে আছে৷
কাপা কাপা গলায় বলে,
— “কে?”

সে অস্ফুটো স্বরে বলে,
— ” #The_Hunted_Lover ”
বলেই সেই লোকটির ঘারে দাত বসিয়ে দেয়৷

______________________

রাত তিনটা ছুই ছুই জেনিফার চোখে এক ফোটাও ঘুম নেই, আর সময় হলে তো পড়আর টেবিলেই ঘুমিয়ে পরে আজ চোখে এক ফোটাও ঘুম নেই৷ বিছানা ছেড়এ বারান্দায় এসে দারায়৷
আজ মনটা কেমন হয়ে আছে জেনিফাও বুঝতে পারছে না এমন হয়ে আছে কেন৷

আত্মার তৃপ্তি মিটিয়ে অদৃশ্য হয়ে কোথাও একটা যাচ্ছে রিও মুখের এক পাশে রক্ত লেগে ছিলো তা হাত দিয়ে মুছে আজ মানুষের মতো ধীর পায়ে হাটছে রিও হঠাৎ করে উলকিটা আবার জলসে উঠছে সেই সুভাস আবার ভেসে উঠছে৷
একটু সামনে যেতে যেতেই কাউকে দেখে থমকে যায়, মুখে অজান্তেই হাসি ফুটে উঠে রয় পিছনেই আছে রিও রয় কে দেখেনি মাত্রই এলো৷ রয় রিও মুখে হাসি দেখে অবাক এই ভুবন ভুলানো হাসি কত শত বছর পর দিলো রিও৷
রিও অস্ফুটস্বরে বলে উঠে,
— ” এঞ্জেল৷ ”

রয় ও এখন তাকে দেখলো রয় তো পুরো পুরি অবাক, এ যে সত্যি এটা কি করে হতে পারে? এটা কি সত্যি?

চলবে,,

[ ভ্যাম্পায়ার মুভি দেখতে দেখতে ভ্যাম্পায়ার দের প্রেমে পরে যাওয়া আমি😅 তাই আমারো ভ্যাম্পায়ার স্টোরি লিখতে অনেক ভালো লাগে৷ কেমন হইলো জানায়ো]