The Hunted Lover💖part-11

#The_Hunted_Lover (A vampire love story)
#Tafsia_Meghla
#Part:11

এঞ্জেলিনা বলার পরই রিও হুংকার দিয়ে এঞ্জেলিনার ঘারে দাত বসিয়ে দেয়৷ আর এঞ্জেলিনা চোখ বন্ধ করে ফেলে কিন্তু কিছুক্ষন পরে আচ পেলো রিওর থেকে কোনো প্রয়িক্রিয়া নেই৷ এঞ্জেলিনা পিছনে তাকিয়ে দেখে রিও মাথা চেপে ধরে নিচু হয়ে বসে আছে৷
এঞ্জেলিনা কিছু একটা ভেবে মুচকি হেসে সেখান থেকে চলে যেতে নিলেই রিও ঝড়ের গতিতে গিয়ে এঞ্জেলিনার সামনে দাড়াঁয়, এঞ্জেলিনা আবার পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলেই চোখ বন্ধ করে হাত ইশারা করে নিজের কাছে নিয়ে আসে৷ এঞ্জেলিনা পিছে মুড়ে মুখ টিপে হাসছে৷
রিও এঞ্জেলিনার হাত চেপে ধরে বলে,
— “নিজ থেকে আমার কাছে এসে এতো কিছু করে এখন নিজেই পালাচ্ছো?তাতো হবে না একবার যখন আমার নজরে পরে গেছো তোমাকে আর ছারছি না৷ ”

এঞ্জেলিনা রিও থেকে হাত ছারিয়ে হাত ভাজ করে বলে,
— ” কেন? আপনি না বললেন আমার রক্ত পান করে পিপাসা মেটাবেন? তাহলে তাই করুন৷আমাকে শাস্তি দিন৷ ”

রিও দেয়ালের উপর থেকে তলওয়ার টা নিয়ে এঞ্জেলিনার হাত চেপে ধরে পিছে ঘুরে এঞ্জেলিনার গলায় তলওয়ার ধরে বলে,
— “ভুল যখন করেছো শাস্তিতো দিবোই, আমার মন এবং মস্তিষ্কে বিনা নোটিশে প্রবেশ করার শাস্তি তুমি পাবেই৷ নিজ ইচ্ছে মতো প্রবেশ করেছো আমার ইচ্ছায় তোমাকে ছাড়বো৷ তুমি এখন থেকে আমার নজর বন্দিনী, তোমার সব কিছুতেই শুধু আমার অধিকার, তুমি আমার রুপ মহিনী, তুমি আমার হৃদয় হরনী৷ আর তোমার শাস্তি হচ্ছে জন্ম থেকে জন্মান্তর এই ভয়ংকর রিওর হয়ে থাকতে হবে৷ যে রিওর সামনে আসতে ভ্যাম্পায়াররাও ভয়ে কাতর হয়ে থাকে তার হয়ে থাকতে হবে৷”

এঞ্জেলিনা মুচকি হেসে তলওয়ারটা হাতে ধরে ঘুরিয়ে নিয়ে নিচে ফেলে রিও কে জরিয়ে ধরে বলে,
— ” শত জনম এভাবেই জড়িয়ে থাকবো আপনার কাছে প্রিন্স৷ ভালোবাসি যে আপনাকে কিভাবে ছাড়ি বলুন তো? এ বাধন যে শত জন্মের নিজেকে ছাড়তে পারি তবুও আপনাকে কখনো ছাড়বো না৷ ”

আজ আরেক প্রেমের সূচনা হলো এ পূর্নিমাতেই মানুষ কন্যা আর ভ্যাম্পায়ার রাজ এর প্রেমের সূচনা হয়েছিলো৷
আজ আরেক ভ্যাম্পায়ার এর প্রেমের সূচনা হলো কিন্তু কোনো মানুষ কন্যা না ভ্যাম্পায়ার কন্যাই৷ এঞ্জেলিনা আর রিও বারান্দায় দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখছে দুজনে চাঁদ দেখছে বললে ভুল হবে এঞ্জেলিনা চাঁদ দেখছে রিও তার সামনে থাকা জীবিত চাঁদ এর সৌন্দর্য দেখছে, পূর্নিমার দ্বিতীয় প্রহর থেকে এঞ্জেলিনার সৌন্দর্য বাড়তেই থাকবে৷ এঞ্জেলিনাকে তার মা-বাবার পর প্রথম কেও দেখলো আর সে হচ্ছে রিও এর আগে কোনো পূরুষ বা মেয়ে দেখেনি৷ সবসময় এঞ্জেলিনা তার মুখ ঢেকেই চলতো আর ঢেকে রাখার রহস্য ছিলো এই রুপ, যা প্রত্যেক পূর্নিমায় আরো বারিয়ে দেয়৷
এঞ্জেলিনার মুগ্ধ করা রুপে যে কেও নির্দ্বিধায় প্রেমে পরে যাবে৷

এঞ্জেলিনা চাদের দিকে তাকিয়ে মুখটা কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে বলে,
— “এবার আমাকে যেতে হবে প্রিন্স৷ ”

এঞ্জেলিনা রিও কে যাইতে দিতে চায় না যে পূর্নিমায় তার রুপ বৃদ্ধি হয় আর ক্ষমতা বেড়ে যায় তাই এখান থেকে চলে যেতে চাইছে, এঞ্জেলিনা সবসময় সাধারন থাকতে চায় তাই সে ভ্যাম্পায়ার থেকে বেশি ক্ষমতা যে তার মধ্যে আছে সে কাউকে জানাতে চায় না৷

রিও এঞ্জেলিনার হাত ধরে বলে,
— “না আজ একসাথে পূর্নিমা বিলাশ করতে চাই আজ তোমাকে যেতে দিবো না৷ ”

এঞ্জেলিনা রিওর কথার উত্তর দেওয়ার আগে আবার চাদের দিকে তাকায় দেখে স্বল্প সময় বাকি আছে৷
এঞ্জেলিনা হকচকিয়ে বলে,
— “আমার যেতে হবে প্রিন্স৷ ”

এঞ্জেলিনাকে ব্যাস্ত হতে দেখে রিও বলে,
— ” কি হয়েছে? এমন করছো কেন?৷ ”

— “প্রিন্স,,,,,৷ ”

এঞ্জেলিনা আর কিছু বলতে পারলো না চাঁদের আলোক রশ্মি এসে পরতেই এঞ্জেলিনা আরো হিংস্র হতে শুরু করে আর এঞ্জেলিনা কিছুটা শান্ত হওয়ার চেষ্টা করে ধাক্কা দিয়ে রিওকে ঘরে পাঠিয়ে বারান্দার দরজা লাগিয়ে দেয় কারন সে জানে এখন ওর সামনে রিও থাকলে খারাপ কিছু হয়ে যাবে৷
রিও জানালা দিয়ে দেখছে আর নিজের শক্তি দিয়ে দরজা ভাঙার চেষ্টা করছে কিন্তু দরজার সামনেই এঞ্জেলিনা বেশি কিছু করলে এঞ্জেলিনা পরে যাবে কিন্তু রিও জানে না এঞ্জেলিনা এখন অনেক শক্তিশালী হয়ে উঠেছে৷ এঞ্জেলিনা নিচে বসে মাথা নিচু করে দাতে দাত চেপে নিজেকে শান্ত রাখছে৷
কিছুক্ষন পর সব শান্ত হয়ে যায় কারন তখন এঞ্জেলিনার শক্তি বেড়ে গেছে এঞ্জেলিনা একটু শান্ত হয়ে দরজাটা খুলে দেয় কিন্তু রিও কে একটু দূরে থাকতে বলেছে, রিওর এখন সবটাই বুঝে গেছে কিন্তু দূরে সরালো কেন এটা বুঝতে পারছে না, আবার চাঁদ থেকে আলোর আবরন আশায় এবার এঞ্জেলিনার সৌন্দর্য বেরে উঠছে৷ রিও চোখের সামনে এঞ্জেলিনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি দেখতে পারছে এঞ্জেলিনা মুচকি হেসে রিওর দিকে তাকিয়ে আছে আর রিও মুগ্ধ নয়নে দেখছে সৌন্দর্য বৃদ্ধি৷ পূর্নিমার রাত শেষ হয়ে ভোরের আবছা আলো ফুটে উঠেছে৷ রিও এতোক্ষন এঞ্জেলিনার রুপের বৃদ্ধি দেখছিলো দাঁড়িয়ে, এঞ্জেলিনাকে আরো রুপ মহিনী লাগছে৷

এঞ্জেলিনা মুচকি হেসে রিওর সামনে গিয়ে বলে,
— “এখন আমি যেতে পারি প্রিন্স?”

রিও মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে বলে,
— “ভ্যাম্পায়ার হিসেবে পূর্নিমায় শক্তি বৃদ্ধি পাবেই কিন্তু আলোকরশ্মি আর এ রুপের রহস্য কী এঞ্জেল?”

— “আপনি যেমন মানুষ আর ভ্যাম্পায়ার এর ভালোবাসার ফসল, আমিও তেমন পরি আর ভ্যাম্পায়ার এর ভালোবাসার ফসল৷ শক্তি প্রভাবিত হয় ভ্যাম্পায়ার থেকে আর রুপ প্রভাবিত হয় পরি থেকে৷

রিও এঞ্জেলিনার কথা শুনে অবাক হয়ে বলে,
— “তুমি জানলে কি করে আমি মানুষ আর ভ্যাম্পায়ার এর সন্তান আমার মস্তিস্কে ও তো এইসব ছিলো না এখন৷”

এঞ্জেলিনা হেসে বলে,
— “আমার মস্তিষ্ক পরার প্রয়োজন হয় না আমাকে যতটা সাধারণ দেখতে ততটাও আমি নই৷আমার প্রাপ্ত বয়স হওয়ার পর থেকে প্রত্যেক পূর্নিমায় এমনটা হয়৷ আর প্রত্যেক পূর্নিমায় ভ্যাম্পায়ার দের যেমন শক্তি বৃদ্ধিপায় আমারো তেমন শক্তি বৃদ্ধি পায় আর পরিদের প্রত্যেক পূর্নিমায় রুপ বৃদ্ধি পায় আমারো তেমন রুপ বৃদ্ধিপায়৷ ”

রিও অবাক হয়ে এতোক্ষন এঞ্জেলিনার কথা শুনছিলো, এ ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে যে এতো সুন্দরী মেয়ে রয়েছে তা হয়তো কেও জানেই না রিও ছাড়া৷ রিওর সাথে কথা বলতে বলতে অনেকটা বেলা হয়ে গেছে সেদিকে এঞ্জেলিনার খেয়ালই নেই৷

এঞ্জেলিনা চলে যেতে নিলেই রিও বলে,
— “এঞ্জেল,,,তুমি যতটাই ক্ষমতার অধীকারি হও না কেন রিওর জীবনে যখন প্রবেশ করেছো রিও কিন্তু তোমায় ছাড়ছে না৷ ”

এঞ্জেলিনা বলে,
— “আমিও যতদিন বেঁচে আছি আপনার হয়েই থাকবো প্রিন্স৷ ”
বলেই রিও কে জরিয়ে ধরে এঞ্জেলিনা৷
হঠাৎ কেও রুমে প্রবেশ করতেই দুজনে চমকে উঠে পিছনে তাকিয়ে দেখে,,,

চলবে,

[কেমন হইছে জানায়ো]