The Hunted Lover💖part-17

#The_Hunted_Lover (A vampire love story)
#Tafsia_Meghla
#Part:17

জেনিফা গাড়ি থেকে নেমে ব্যাগটা ঠিক করতে করতে বাড়ির দরজার সামনে এসে পুরো পুরি অবাক৷ দরজার সামনে এসে দেখে রিও হাত ভাজ করে দাড়িয়ে আছে৷

জেনিফা ব্রু কুচকে বলে,
— “আপনি এখানে কি করে? আপনিতো গাড়িতে ছিলেন৷ ”

রিও জেনিফার সামনে এসে কানে ফিস ফিস করে বলে,
— “তো কি হয়েছে? গাড়িতে থাকলে কি আসা যায় না? আমি তো বিদ্যুৎ গতিতে চলাফেরা করি৷ ”
বলেই বাকা হাসে৷ জেনিফার মুখ দেখে মনে হলো না রিওর কথায় একটুও ব্রুক্ষেপ হয়েছে৷ রিওর দিকে একবার তাকিয়ে বাড়ির ভিতর ঢুকে পরে৷
জেনিফা ভিতরে যেতেই রিও অদৃশ্য হয়ে কোথায় একটা চলে যায়,,,,,
|
|
অন্ধকার বাড়িতে খট খট করে হাটছে হিংস্র নেকড়ে কখনো পৈচাশিক হাসছে কখনো আবার রেগে যাচ্ছে৷
এঞ্জেলিনার তৈল চিত্রের সামনে দাড়িয়ে বলে,
— “আবার ফিরে এলে?এবার তোমাকে আমার করবই একরাতের জন্য হলেও৷ ”

এইটুকু বলে কিছু একটা ভেবে আবার বলে,
— “কিন্তু না না এবারো শেষ করে দেবো তোমায়, আর এবার তো তোমার রক্ত দিয়ে এক ভিন্ন খেলায় মেতে উঠবো৷ ”
বলে আবার জোরে জোরে হাসতে থাকে তার হাসির ধ্বনিতে পুরো বাড়িটা কেপে উঠছে৷
— “দু দু বার আক্রমণ করার পরেও ওই রিওর জন্য বেঁচে গেলে এই রিও কেই আগে শেষ করতে হবে, রিও কে মেরে ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে আমি রাজত্ব করবো৷”
বলেই আবার জোরে জোরে হাসতে থাকে বাড়িটা জঙ্গলের ভিতর হাসির শব্দে জঙ্গলের জন্তু জানোয়ারাও ভয় পাচ্ছে৷

— “রিও কে তুমি মারবে না৷ ”
মেয়েলি কন্ঠ পেয়ে পিছনে তাকায় এ নেকড়ে তাকিয়ে দেখে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটা কে দেখে নেকড়ের মুখে রহস্যময় হাসি ফুটে উঠে৷
মেয়েটি আবার বলে,
— “রিও কে মারবে না, রিও আমার রিওকে আমার করে রাখবো৷ ”

মেয়েটির কথা শুনে চোখ মুখ শক্ত করে মেয়েটির হাত চেপে ধরে কাছে এনে বলে,
— “রিও কে বাঁচিয়ে রাখলে ভ্যাম্পায়ার রাজত্ব কখনো নিজের করতে পারবো না আর এখনতো ওই এঞ্জেলিনা আছে৷ ”

মেয়েটি জোরে জোরে হেসে দিয়ে বলে,
— “এঞ্জেলিনা এবার কিছু করার ক্ষমতা নেই কারন সে মানুষ আর তা কোনো ভ্যাম্পায়ার শক্তি নেই৷ ওকে এখন তুমি তোমার কাছে আনতেও পারবে৷ ”
বলে জোরে জোরে হাসতে থাকে৷

____________

আজ রিও এঞ্জেলিনার ডাইরিটা নিয়ে বসেছে ডাইরিটা হাতে পাওয়ার পর পড়া হয়নি এখানে অনেক গোপন রহস্য যা দিয়ে একটু হলেও জানতে পারবে এঞ্জেলিনাকে কে মেরেছিলো৷
অতীত,,,,,

সেইদিন এঞ্জেলিনা বৃদ্ধা মহিলার কোন কথা বুঝতে না পেরে সেখান থেকে চলে গিয়েছিলো৷ গোমরা মুখো হয়ে পুকুরে ঢিল ছুরছিলো হঠাৎ কেও এসে এঞ্জেলিনাকে নিয়েই পুকুরের তলদেশে চলে যায়৷ এঞ্জেলিনা বুঝতে পারে এ কে এ তার ভালোবাসা রিও৷
পুকুরের একেবারে গভীরে দুজন বসে আছে আর মাছের খেলা দেখছে এটা ভ্যাম্পায়ার দের জন্য স্বাভাবিক এঞ্জেলিনার এখনো মন খারাপ৷
রিও বলে,
— “কি হয়েছে এঞ্জেল?”

এঞ্জেলিনা রিও কে সব বলে৷ রিও এঞ্জেলিনার মন ভালো করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু প্রতিবারই ব্যর্থ হঠাৎ পানির উপরে কারো পায়ের শব্দ পেয়ে দুজনেই উপরে তাকায় দেখে একদল অচেনা ব্যাক্তি কি যেন কথা বলছে তাদের দেখে ভ্যাম্পায়ার মনে হচ্ছে না৷
রিও আর এঞ্জেলিনা দুজনেই পানি থেকে বেরিয়ে এসে ওদের সামনে দাড়ায় এঞ্জেলিনার মুখ ঢাকা
রিও বলে,
— “কে আপনারা?”

সেখান থেকে সুঠাম দেহের এক সুদর্শন পুরুষ দাড়িয়ে বাকা হেসে বলে,
— “আপনি ভ্যাম্পায়ার প্রিন্স সায়মন রিও? ”

— “হ্যা৷ ”

— “আমি নেকড়ে রাজ জুবিয়ান রিজভী৷ ”
বলেই মুখে এক রহস্যময় হাসি ফুটিয়ে তোলে, হাসিটা রহস্যময় হলেও জুবিয়ান রিজভী দেখতে খুব সুদর্শন৷

রিও ব্রু কুচকে বলে,
— “নেকড়ে রাজ আজ ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে? কেন? কোন কু মতলব আছে নাকি?”

রিজভী রেগে হুংকার দিতে গিয়েও থেমে যায় তারপর বাকা হেসে তার সাথের একজন কে ইশারা করে সে বলে,
— “কিং হাওয়া বদলে এসেছে৷ ”

রিও একি ভঙ্গি নিয়ে বলে,
— “হাওয়া বদলে তাও শত্রু রাজ্যে? যাক শত্রু হন বা যাই হন আপনি এখন আমাদের অতিথি, আশা করি অতিথি হয়েই থাকবেন ভ্যাম্পায়ার রাজ্য বা রাজ্যের জিনিস এর উপর কু-নজর ফেলবেন না৷ ”
বলে এঞ্জেলিনার হাত ধরে চলে যেতে নিলেই একটা গাছে কাটার সাথে লেগে এঞ্জেলিনার মুখের থেকে কাপড়টা সরে যায়৷ যা এখন সবার সামনে দৃশ্যমান জুবিয়ান রিজভী সহ সাথে থাকা ব্যাক্তিগুলো ও হা করে তাকিয়ে আছে৷ এতো সুন্দর কেউ হতে পারে তাদের জানা ছিলো না৷ রিও হন্ততন্ত হয়ে দুজনেই অদৃশ্য হওয়ার জন্য চোখ বন্ধ করবে তখনি রিজভী বলে,
— “প্রিন্স পালাচ্ছেন? নাকি লুকাচ্ছেন?”

রিও রক্ত চক্ষু দিয়ে বলে,
— “কী বলতে চাইছেন?”

রিজভী এঞ্জেলিনা সামনে এসে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে বলে,
— ” এমন চোখ ধাধানো সৌন্দর্য ফুল যে ভ্যাম্পায়ার রাজ্যে আছে তা তো আমার জানা ছিলো না৷ প্রিন্স রাজ্যের উপর কু-নজর পরবে কি না জানি না, কিন্তু রাজ্যের মনোমুগ্ধকর ফুলের উপর যে আমার নজর পরে গেছে৷ ”

রিও হুংকার দিয়ে বলে,
— “এ ফুলের দিকে তাকালেও চোখ তুলে ফেলবো৷ ”

রিজভী এঞ্জেলিনার চারোপাশে ঘুরে ঘুরে অদ্ভুত ভঙ্গিতে তাকিয়ে বলে,
— “এই নেকড়ে রাজ জুবিয়ান রিজভী যার দিকে নজর দেয় তা না পেলে তা ধ্বংস করে দেয়, একে তো চাই আমার এক রাতের জন্য হলেও৷ ”
বলেই জোরে জোরে হাসতে থাকে৷

রিও রেগে হুংকার দিয়ে রিজভীর গলা চেপ বলে,
— “তোকে আমি এখনি শেষ করে দেবো৷ ”

— “রিও কি করছো?”
চেনা পুরুষালী কন্ঠ পেয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখে রিওর বাবা ভ্যাম্পায়ার কিং জ্যাক দাড়িয়ে আছে গম্ভীর মুখ করে৷
এঞ্জেলিনার আবার মুখটা ঢেকে নেয় , ভ্যাম্পায়ার কিং দাঁড়িয়ে রিওর মাইন্ড পরে রিজভীর উদ্দেশ্যে বলে,
— “আপনি এখানে হাওয়া বদলে আসেন আর যে জন্যই আসেন কু মতলব থাকলে আপনি নিশ্চয়ই জানেন এখান থেকে আপনার নিস্তার নেই৷ ”
বলে রিও আর এঞ্জেলিনাা কে নিয়ে এখান থেকে চলে আসে৷

একটু দূর যেতেই কিং জ্যাক এঞ্জেলিনার উদ্দেশ্যে বলে,
— “আমি শুনেছি তোমার কথা, আমার এতে কোনো দ্বিমূখী সিদ্ধান্ত নেই আমার রিও যা চায় তাতেই আমরা খুশি কিন্তু আমি চাই অতি শীঘ্রই তোমাদের বিয়েটা হয়ে যাক৷ আর দুদিন পর রিওর জন্মদিন সেইদিনই তোমাদের বিয়ের ঘোষণা করবো৷ ”
,
,
গভীর রাত পুকুরের পারে বসে আছে এঞ্জেলিনা তার কোমর চেপে শুয়ে আছে রিও ভালোবাসাটা আগে এঞ্জেলিনা সুচনা করলেও রিও এঞ্জেলিনা কে পাগলের মতো ভালোবাসে৷ রিওর এমন পাগল করা ভালোবাসায় এঞ্জেলিনাকেও কয়েকগুন বেশি ভালোবাসতে শিখায়৷
— “ভালোবাসি৷ ”

রিওর এমন কথায় এঞ্জেলিনা কেপে উঠে, রিও উঠে বলে,
— “প্রতিবার ভালোবাসি কথাটা শুনে কেপে উঠো? জানো? তোমার ছোট ছোট জিনিস আমাকে মুগ্ধ আর পাগল করে তুলে আর রুপের প্রশংসা তা আর নতুন করে কি বলবো, চাঁদেরও রুপে কিছুটা খুত আছে কিন্তু তুমিতো নিখুঁত সুন্দর৷ ”

এঞ্জেলিনা লজ্জামাখা হাসি দিয়ে উঠে যায় হঠাৎ রিও কে কিং জ্যাক স্বরন করায় “আসছি বলে অদৃশ্য হয়ে যায় এঞ্জেলিনাও যাবে তখনই জুবিয়ান রিজভী আসে মুখে তার রহস্যময় হাসি,,

চলবে,,,,

[কেমন হচ্ছে জানায়ো ❤️]