The Hunted Lover💖part-19

#The_Hunted_Lover (A vampire love story)
#Tafsia_Meghla
#Part:19

বর্তমান,,,
হঠাৎ রয়ের ডাকে অতীত থেকে ফেরে রিও রয় দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে,
— “প্রিন্স আপনি আবার অতীতে মগ্ন আছেন? সেই চিরকুটটা এঞ্জেলিনার ছিলো না তার হাতের লেখা গুলো দেখেই বলে দেওয়া যায় তা এঞ্জেলিনার নয়৷ ”

রিও পিছনে তাকিয়ে বলে,
— “রয় আড়ালে আমার মাইন্ড পরতে না করেছিলাম৷ ”

— “দুখিঃত প্রিন্স৷”

রাত গভীর জেনিফা ঘুমে মগ্ন মায়াবী তার চেহারা চাঁদের আলোতে যেন আরো বেশি মায়াবি লাগছে৷ ঘুমের মধ্যে কিছুক্ষন পর পর ঘন পাপড়ি ওয়ালা চোখটা কিছুক্ষন পর পর নারিয়ে উঠছে৷ কাটা কাটা চুল গুলো সামনে আসছে তাকে রিওর কাছে এখন সবচেয়ে মায়াবি নারী লাগছে রিও বসে বসে জেনিফার ঘুম কুমারী রুপ দেখছে৷ জেনিফা এঞ্জেলিনারই আরেক জন্ম কিন্তু জেনিফা মানুষ এটাই পার্থক্য৷ রিও জেনিফার দিকে ঝুকে ছিলো হঠাৎ করে জেনিফা রিওর গলায় সেই লকেটটায় ধরে থাকে৷
তখনই জেনিফার শরীর ঝাকি দিয়ে হুরমুরিয়ে উঠে, উঠেই রিও কে দেখে কিছুটা ভরকে যায়৷ মায়া ভরা চাওনি দিয়ে তাকিয়ে আছে জেনিফা উঠাতে যেন রিওর কোন মাথা ব্যাথাই নেই৷
জেনিফা বলে,
— “আপনি এখানে?এখন?কিভাবে আসলেন? কোথার থেকে আসলে?”

রিও বাকা হেসে বলে,
— “আরে শান্ত হও, এক সাথে এতো প্রশ্ন কেউ করে? আর আমি বা একসাথে কি করে এতো গুলোর উত্তর দিবো?”

জেনিফা বলে,
— “হেয়ালি পানা বাদ দিয়ে বলুন কেন এসেছেন?
আর কিভাবে এসেছেন?”

রিও উঠে দাঁড়িয়ে বারান্দায় যেতে যেতে বলে,
— “ওখানে আসো বলছি৷ ”

সব কিছু যেন জেনিফার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে তাও উঠে নিজেকে ঠিকঠাক করে বারান্দায় গিয়ে দেখে রিও আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে৷ চাঁদের আলোয় যে একটা ছেলেকে এতো টা সুন্দরলাগে জানা ছিলো না চুল গুলো বাতাসের তালে তালে একবার কপালের সামনে এসে পরছে আরেকবার সরে যাচ্ছে আর মুখের সবসময় লেগে থাকা বাকা হাসি টা যেকোন মেয়ের নজর কেরে নিবে৷
রিও বাকা হেসে পিছনে তাকিয়ে বলে,
— “দেখার জন্য সারাটা জীবন পরে আছে, একটা সময় দেখবে আমাকে দেখতে দেখতে বিরক্ত হয়ে যাবে আমি তোমারই আপাদত এখানে আসো৷ ”

রিওর কথা জেনিফার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে, এসব মাথা থেকে ঝেরে এখন ওর জানতে হবে কেন এলো? কিভাবে এলো?
জেনিফা বলে,
— “এবার নিজের উত্তর গুলো দিলে খুশি হতাম৷ ”

রিও মুচকে হেসে জেনিফার হাত টেনে নিজের কাছে এনে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে বলে,
— “কেন এসেছি জানতে চাও?
উমম আচ্ছা বলছি, আমি তো তোমাকে দেখতে এসেছি শুধু আজ না এ তো আমার প্রতিদিনের কাজ৷
আর কিভাবে এসেছি? এটা নাহয় না জানা থাক৷ ”

রিওর এমন কাজে এমন কথায় জেনিফার মধ্যে অদ্ভুত শিহরণ বয়ে যাচ্ছে, অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে কিন্তু আপাদত ভালো লাগা আর শিহরনটাকে সাইডে রেখে মাথাটা ঘুরিয়ে টুপ করে প্রশ্ন ছুরে মারে রিওর দিকে,
— “কেন দেখতে এসেছেন আমায়? আর প্রতিদিন আসেন মানে?”

রিও বলে,
— “কলেজে এতো মেয়ে যে রিওর সাথে কথা বলার জন্য এতোটা বেকুল সেই রিও তোমার আশে পাশে থাকে কেন বুঝো না? কেন তোমার জন্য বেকুল বুঝো না?”

জেনিফা কিছু একটা ভেবে রিও থেকে একটু সরে এসে দাঁড়ায়৷ অদ্ভুত ভালোলাগা কাজ করছে তাও কিছু একটা ভেবে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে,
— “যেই কারনেই বেকুল হন আমার থেকে দূরে থাকবেন আর এমন দেখতে আসবেন না, কেন তা জিগ্যেস করবেন না আপনি আমার থেকে দূরে থাকবেন৷ ”

রিও এবার অনেক রেগে গেছে চোখ লাল আবরন ফুটে উঠছে চোয়াল শক্ত করে হাত চেপে ধরে নিজের কাছে এনে বলে,
— “আমাকে তুমি পছন্দ করো না এটা মিথ্যে? আমি জানি তুমি আমাকে ভালোবাসো তাহলে এসব বলছো কেন?”

জেনিফা বলে,
— “আপনাকে বলতে বাধ্য নই আর আপনাকে আমি ভালোবাসি না, দূরে থাকবেন আমার থেকে নয়তো খারাপ হয়ে যাবে বলে দিলাম৷ আর এখন এখান থেকে চলে যান নয়তো আমার বাবা-মা কে বলতে বাধ্য হবো৷ ”

রিও কিছু বলতে গিয়েও কিছু একটা ভেবে রেগে দরজা দিয়েই বেরিয়ে যায় কারন এখন অদৃশ্য হতে পারবে না জেনিফার সামনে৷

রিও যাওয়ার দিকে তাকিয়ে জেনিফা দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বিছানায় গিয়ে বসে, আর মাদারের বলা কথা মনে করে৷
কলেজে প্রথম দিন যাওয়ার আগে মাদারের কাছে গিয়েছিলো মাদার সেদিন কিছু একটা ভেবে বলেছিলো,
— “কখনো কোন ছেলের সাথে সম্পর্কে জরিও না তাহলে তার বড় কোন ক্ষতি হয়ে যাবে৷কেন?কিভাবে? এটা জিগ্যেস করোনা মাই চাইল্ড এটা আমি বলতে পারবো না৷ ”
মাদারের এমন কথায় প্রথমত অনেকটা অবাক হয়েছিলো কিছু জিগ্যেস করতে না করেছে তাই আর কিছু জিগ্যেস করেনি৷

জেনিফা এখনো জানে না কেন তা বলেছিলো মাদার?
রিও চলে গেলেও অদৃশ্য অবস্থায় আবার এসেছিলো এতোক্ষন জেনিফার মাইন্ড পরে বুঝতে পারছে কেন এমন করছে জেনিফা৷
রিও কিছু একটা ভেবে বাকা হাসি দেয়৷ রিও জানে মাদার কেন ওই কথা বলেছিলো সেই ক্ষতি টা যে রিওই করবে সে জানতো কিন্তু এখন যে রিও নিজেই জেনিফাকে প্রেম নিবেদন করছে৷ তাও রিও সবটা সামনে নিতে পারবে৷

————————————

মায়ার বারান্দায় দাঁড়িয়ে রকিং চেয়ারে বসে অদৃশ্য অবস্থায় চেয়ারে বসে দুলছে রয় আর জোরে জোরে হাসছে৷ রিও অদৃশ্য অবস্থায় থাকলেও রিওর হাসিটা মায়া শুনতে পারছে, পা গুটিয়ে বিছানার উপর ভিতু হয়ে বসে আছে আর বলছে,
— “ক কে? কে ওখানে?”

মায়ার কথায় যেন রয়ের হাসির বেগ আরো বেরে যায় যার কারনে মায়ার পুরো রুমটা কেপে উঠছে, মায়ার বাড়িতে মায়া ছাড়া কেউ থাকে না পুরো ফ্লাটে মায়াই একা৷
গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যায় মায়া প্রবল বেগে হাসির শব্দ আর রকিং চেয়ারটা এমনি দুলছে তা দেখে ভয়ে আতংকে উঠছে বারান্দা থেকে রুমে আসবে তখনি রয় মায়ার হাত ধরে নিজের হাটুর উপর বসায়৷
কিন্তু মায়া দেখছে সে খালি চেয়ারে বসে আছে চেয়ারটা সজোরে দুলছে৷ রয় মায়ার ঘাড় থেকে চুলটা সরিয়ে ঘাড়ে নাক ডুবায়৷
মায়া কারো স্পর্শ অনুভব করতে পারছে কিন্তু কে? কে অদৃশ্য অবস্থায় এমন করছে?

মায়া আবার কাপা কাপা গলায় বলে,
— ” ক কে? ক কেন এমন করছেন?”

রয় জোরে মায়ার কোমর চেপে ধরে নিজের কাছে আরো মিশিয়ে গলায় ঠোঁট ছোয়াতে থাকে মায়া আরো বেশি ভয় পাচ্ছে ওর শরীর থর থর করে কেপে উঠছে এমনি শরীরটা যেমন শক্তিহীন ছিলো আবার ভয়ে যেন প্রান পাখি উরেই যাচ্ছে৷

মায়া আবার বলে,
— “কে আপনি? কি চান?”

রিও ফিসফিস কন্ঠে বলে,
— “তোমায় চাই৷ ”

বলেই ঘারে দাত বসিয়ে আবার রক্ত পান করতে থাকে, মায়া আবার নিজের সকল ভর রয়ের উপর ছেড়ে দেয় রয় কিছুটা তৃষ্ণা মিটিয়ে সরে এসে মায়ার দিকে তাকিয়ে বাকা হেসে বলে,
— “তোমায় মারবোনা ঠিক মত বাঁচতেও দিবো না৷ তোমাকে মারলে নিজেই শেষ হয়ে যাবো তাই নিজের কাছে আবদ্ধ করে রেখে নিজের তৃষ্ণাও মেটাবো আমার ভালোবাসার উষ্ণতায় ডুবিয়েও রাখবো৷ ”
মায়াকে নিয়ে আবার বিছানার উপর শুইয়ে দিয়ে নিজে ওর পাশে বসে দেখতে থাকে৷
চলবে,